সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

হায়দরাবাদ-চেন্নাই ফাইনালে ওঠার লড়াই আজ

স্পোর্টস ডেস্ক: আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে সাকিব আল হাসানের দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং চেন্নাই সুপার কিংস। আজকের এই ম্যাচের বিজয়ী দল সরাসরি পৌঁছে যাবে ফাইনালে।

আজ মঙ্গলবার ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে।

আজকের এই ম্যাচে জিতলে সরাসরি ফাইনালে পৌঁছে যাবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আর এই ম্যাচ হারলেও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে খেলার সুযোগ থাকবে সাকিবদের। সেখানে জয় পেলেও ফাইনালের টিকিট পাবে তারা।

প্লে-অফে হায়দারাবাদ ও চেন্নাই বাদে বাকি দুটো দল হচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়্যালস। হায়দরাবাদ প্লে-অফ নিশ্চিত করার পরই চেন্নাই শেষ চারে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করে। দুই দলের সমান পয়েন্ট হলেও রানরেটের বিবেচনায় তালিকার শীর্ষে আছে হায়দরাবাদ। চেন্নাই আছে দুই নম্বরে।

চলতি আসরে হায়দরাবাদের সঙ্গে দুটি ম্যাচই জয় তুলে অনেকটা আত্মবিশ্বাসী থাকছে ধোনিরা। আইপিএলে দুইবারের শিরোপাজয়ী দলটি এর আগে ৬ বারই উঠেছিল আসরের ফাইনালে। তাই চেন্নাইয়ের বিপক্ষে জয় তুলে নিতে বেশ ঘাম ঝরাতে হবে হায়দারাবাদের খেলোয়াড়দের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাশিয়ায় ভয়াবহ দাবানল, ২৩ হাজার হেক্টর বনাঞ্চল ধ্বংস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়াজুড়ে ভয়াহত দাবানলে ৭ হাজার ৪শ’ হেক্টরের বেশি বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে গেছে। দমকল কর্মীরা গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১শ’টি স্থানে দাবানল নিভিয়ে ফেলেছে। মঙ্গলবার এরিয়াল ফরেস্ট প্রটেকশন সার্ভিসের প্রেস সার্ভিস এ কথা জানিয়েছে।

বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানায়, ‘২২ মে মধ্যরাত থেকে ২৩ হাজার ৬৪৮ হেক্টর এলাকায় ৪৫টি স্থানে দাবানল জ্বলছে। দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

সোমবার রাশিয়ার ২০ হাজার ৭শ হেক্টর এলাকায় ৫৫টি স্থানে দাবানল দেখা দিয়েছিল।

পূর্ব প্রান্তের আমুর অঞ্চলে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল দেখা দিয়েছে। এখানকার ১৩ হাজার ৭শ’ হেক্টর জমিতে ১২টি স্থানে দাবানল জ্বলছিল।
যেসব এলাকায় দাবানলগুলো ছড়িয়ে পড়েছে সেগুলো হচ্ছে- খাবারোবস্ত অঞ্চল (৯৬০ হেক্টর), প্রিমোরেই (১৭ হেক্টর), ইয়াকুতিয়া (২ হেক্টর) ও ইহুদী স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল (৫০ হেক্টর)।

রাশিয়ার পূর্ব প্রান্তের পাশাপাশি ট্রান্সবৈকাল অঞ্চলে ৮ হাজার ৬শ’র বেশি এলাকা জুড়ে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। চেলইয়াবিনস্ক অঞ্চলে (২শ’ হেক্টর), মুরমানস্ক অঞ্চলে (২১ হেক্টর), দাগেস্তান প্রজাতন্ত্রের (১৬ হেক্টর) এলাকায় দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়াও ভেরদলোভস্ক, মুরমানস্ক, চেলিয়াবিনস্ক ও তিউমেন অঞ্চলে এবং তাইভা প্রজাতন্ত্রের কয়েকটি এলাকায়ও দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে।

আগুন নেভাতে প্রায় ২ হাজার ৫শ’ লোক মোতায়েন ও ৫৫০টির বেশি সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং প্রায় ৩৩টি এয়ারক্রাফ্ট থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্বকাপের বিভিন্ন গ্রুপে যারা ফেবারিট

স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপ ফুটবল মানেই টান টান উত্তেজনা। গ্রুপ পর্ব থেকেই উত্তেজনার পারদ যেন তুঙ্গে। এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপগুলো নিয়েও চলছে হিসাব-নিকেষ। চলুন চুলচেরা বিশ্লেষণ করে নিই গ্রুপগুলোর।

গ্রুপ-এ
গ্রুপ এ-তে আছে স্বাগতিক রাশিয়া, ল্যাটিন পরাশক্তি উরুগুয়ে, আফ্রিকার দেশ মিশর ও এশিয়ার সৌদি আরব। এর মধ্যে সুয়ারেজ, কাভানির উরুগুয়েকেই ফেবারিট মানছেন সবাই। তবে সবার চোখ থাকবে লিভারপুল তারকা মোহাম্মদ সালাহ’র দিকে। তার উপর ভর করে স্বাগতিক রাশিয়া ও সৌদি আরবকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় রাউন্ডে মিশর যেতে পারবে বলে অনেকেরই মত।

গ্রুপ-বি
টিকিটাকা কৌশলের স্পেন ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো পর্তুগালের সঙ্গে বি গ্রুপে আছে মরক্কো ও ইরান। বলাই বাহুল্য, কোনো অঘটন না ঘটলে স্পেন ও পর্তুগালই দেখবে দ্বিতীয় রাউন্ডের মুখ। এই বিশ্বকাপটি রোনালদোর চতুর্থ বিশ্বকাপ। এবারো ফর্মের তুঙ্গে থাকা রোনালদো দলের জন্য কতটা কী করতে পারেন তা দেখার অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা। তারকাখচিত স্পেনও এবার শিরোপার জন্য উন্মুখ।

গ্রুপ-সি
ফ্রান্স, ডেনমার্ক, পেরু ও অস্ট্রেলিয়া নিয়ে গ্রুপ সি। শক্তি মত্তায় ফ্রান্স যে এবারের শিরোপার লড়াইয়ে প্রথম সারিতে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গত বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে স্পেন, হল্যান্ড ও চিলির মাঝখানে চ্যাপ্টা হওয়া সকারুদের জন্য এবার দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করার সুযোগ আছে। ডেনমার্কেও আছেন কয়েকজন প্রতিভাবান খেলোয়াড়। আর ১৯৮২ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয়া পেরু না হয়ে ওঠে ডার্কহর্স।

গ্রুপ-ডি
দর্শক ফেবারিট আর্জেন্টিনার গ্রুপ এটি। আরও আছে ক্রোয়েশিয়া, নাইজেরিয়া ও আইসল্যান্ড। মেসিনির্ভর আর্জেন্টিনা যে গ্রুপ পর্ব সহজেই পেরিয়ে যাবে সে বিষয়ে খুব একটা সন্দেহ নেই। তবে ইতিহাসে প্রথমবার বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়া আইসল্যান্ডের ওপর বাজি রাখতে পারেন। তারা কিছু একটা দেখাবে নিশ্চিত। অন্যদিকে, ক্রোয়েশিয়া ও নাইজেরিয়া দুই দলই নির্ভর করছে তাদের বর্ষীয়ান খেলোয়াড়দের ওপর।

গ্রুপ-ই
ব্রাজিল এমন একটি দল যারা সব সময়ই শিরোপার দাবিদার। তবে ২০০২ সালের পর আর শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি তাদের। এবার সে সম্ভবনা কতদূর, তার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ চলছে। ই গ্রুপে আর যারা আছে, তাদের মধ্যে সুইজারল্যান্ডকে এগিয়ে রাখছেন অনেকেই। এছাড়া আছে সার্বিয়া ও কোস্টারিকা।

গ্রুপ-এফ
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি আছে এই গ্রুপে। জার্মানরাও এবারো শিরোপার দাবিদার। ধরে নেয়া যায়, গ্রুপ পর্বে খুব একটা বাধা পাবে না দক্ষিণ কোরিয়া ও সুইডেনের কাছ থেকে। তবে হাভিয়ের হার্নান্দেজের মেক্সিকোর সঙ্গে গ্রুপ পর্বে লড়াইটা জমবে বলে মনে হচ্ছে। এই গ্রুপে এই দুই দলই ফেবারিট।

গ্রুপ-জি
ইংলিশরা আছে এই গ্রুপে। আছে শক্তিশালী বেলজিয়ামও। আর আছে পানামা ও টিউনিসিয়া। শেষ দুই বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বই পেরুতে পারেনি থ্রি লায়ন্সরা। তবে এবার সে সম্ভাবনা আছে তাদের সামনে। বেলজিয়ামও গ্রুপের ফেবারিট। তবে পানামা ও টিউনিসিয়া অঘটন ঘটাতে উদগ্রীব। দুই দলই ভালো খেলেছে বাছাই পর্বে।

গ্রুপ-এইচ
হামেস রড্রিগেজের কলম্বিয়া গতবার যে চমক দেখিয়েছে তা এবার কতটা ধরে রাখতে পারবে বোঝা যাবে গ্রুপ পর্বেই। কারণ, গ্রুপে আছে শক্তিশালী পোল্যান্ড। আছে পরিশ্রমী সেনেগাল ও জাপান। পোলিশরা ফেবারিট হলেও কোন দু’টি দল শেষ ষোল নিশ্চিত করবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। মনে করা যেতে পারে, এটিই গ্রুপ অফ ডেথ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আমেরিকায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম তনয়ের এপার্টমেন্ট নিয়ে তোলপাড়

ন্যাশনাল ডেস্ক: বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তমাল মনসুর আমেরিকার নিউ ইয়র্কের আফতাব টাওয়ারের ১২টি এপার্টমেন্ট ও ৪টি পার্কিং স্পটের মালিক। এ নিয়ে ভবনের নিচতলায় অবস্থিত মসজিদ মিশন সেন্টার নামক একটি মসজিদের বিরুদ্ধে প্রায় পাঁচ লাখ ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলা করেছেন তিনি। বাংলাদেশের বিখ্যাত নির্মাতা জহিরুল ইসলামের ভাই আজহারুল ইসলাম ২০১১ সালে নিউ ইয়র্ক সিটির জ্যামাইকাতে আফতাব টাওয়ার নির্মাণ করেন। এই ভবনে ২৪টি এপার্টমেন্ট ও বেইসমেন্ট রয়েছে। এর অর্ধেক অর্থাৎ ১২টি এপার্টমেন্টের মালিক হচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমের ছেলে তমাল মনসুর।

একই ভবনের নিচে অবস্থিত মসজিদ মিশনের কর্মকর্তা মাওলানা হাফেজ রফিকুল ইসলামের কাছে বিক্রি করা হয়েছিল মসজিদের জন্য বেইসমেন্ট।
তবে, মসজিদে মুসল্লি সমাগমের কারণে পানি সমস্যাসহ বিভিন্ন ইস্যু তুলে তিনি মামলা ঠুকেছেন ম্যানেজমেন্ট ও মসজিদের বিরুদ্ধে।

সূত্রমতে, জ্যামাইকাতে তমাল মনসুরের আরো দুটি বড় বড় প্রোপার্টি রয়েছে। যেখানে এখন নির্মাণ কাজ চলছে। উল্লিখিত দুই প্রোপার্টিতে এপার্টমেন্ট নির্মাণের কাজ চলছে। এখানে কোনো বাংলাদেশি নির্মাণ কোম্পানিকে কাজ দেয়া হয়নি। গায়ানিজ একজন কন্ট্রাক্টর এই ভবনগুলোতে এপার্টমেন্ট তৈরির কাজ করছেন বলে জানা গেছে।
নিউ ইয়র্কে সম্পত্তি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তমাল মনসুরের সঙ্গে রোববার (২০ মে) ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আমার সম্পদ আছে কি নেই এটা অন্য কারো বিষয় হতে পারে না। একটি মহল আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

জ্যামাইকার আফতাব টাওয়ারে তার কোনো এপার্টমেন্ট আছে কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি উত্তর না দিয়ে এটাকে তার ব্যক্তিগত গোপনীয়তার উপর হস্তক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন।

উল্লিখিত বিষয়ে নিউ ইয়র্ক সুপ্রিম কোর্টে দায়েরকৃত মামলার ইনডেক্স নং ৭০৬৯৪৮/২০১৮। মামলার তারিখ মে ৩, ২০১৮। আর এই মামলার বাদী হচ্ছেন লেমবডা প্রোপ্রার্টিজ ইনক নামক একটি প্রতিষ্ঠান। তমাল মনসুর এফিডেভিটের মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানকে মামলাটি পরিচালনা করার অনুমতি দিয়েছেন। মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছে আফতাব স্কাইভিউ কনডোমোনিয়াম, বোর্ড অব ম্যানেজারর্স অব আফতাব কনডোমোনিয়াম, হাফেজ রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ টি আলী, আব্দুল মালেক, মির্জা রেজওয়ান ও মসজিদ মিশন সেন্টার ইনক।

মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে বাদী আফতাব টাওয়ারের ১২টি বাণিজ্যিক এপার্টমেন্টের মালিক। যার মধ্যে আছে এপার্টমেন্ট ২এ থেকে ৪ডি এবং ৪টি পার্কিং স্পেস। যার মধ্যে আছে পিএস১, পিএস২, পিএস৩ এবং পিএস৪। উল্লেখ্য, আফতাব স্কাইভিউতে ২৪টি এপার্টমেন্ট, দুটি কমিউনিটি সেন্টার ও ১৩টি পার্কিং স্পট রয়েছে।

মামলার আর্জিতে কনডোমোনিয়াম বোর্ড গঠনের বিভিন্ন নিয়মাবলী উল্লেখ করে এর বেইসমেন্টের দুটি কমিউনিটি সেন্টারের স্পেস মসজিদ মিশন মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করছে বলে উল্লেখ করা হয়।

আর্জিতে বলা হয়, মুসল্লিদের সংখ্যাধিক্যের কারণে সিটির অকুপেন্সি সার্টিফিকেট আইন বার বার ভঙ্গ করেছে কথিত মসজিদটি। এভাবে ৮৬ জনের জায়গায় সেখানে শত শত মুসল্লির সমাবেশ ঘটে নামাজের সময়। এর ফলে মুসল্লিদের ওজু করার কারণে প্রচুর পানি খরচ হচ্ছে। এরফলে কনডোমোনিয়ামের জন্য বরাদ্দকৃত পানির চাইতে অনেক বেশি পানি ব্যবহৃত হচ্ছে মৃসল্লিদের ওজুর কারণে।

এ বিষয়ে অফতাব টাওয়ার ম্যানেজমেন্টদের পানির প্রতিকার বিষয়ে বার বার দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনো লাভ হয়নি। এর ফলে সিটির সংশ্লিষ্ট বিভাগ এই ভবনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভায়োলেশন মামলা করেছে। যার কোনো প্রতিকার ম্যানেজমেন্ট বোর্ড না করার কারণে দরপতন ঘটেছে মামলার বাদী তমাল মনসুরের এপার্টমেন্ট সমূহের। ফলে বাদী তার ভাড়ার আয় ছাড়াও প্রোপার্টির সঠিক বাজার মূল্য পাচ্ছেন না। এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য নতুন ম্যানেজমেন্ট বোর্ড গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া সার্টিফিকেট অব অকুপেন্সি মেনে চলতে হবে মসজিদটিকে। এ ছাড়াও আরো অনেক অনিয়মের বিষয় আছে ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে।

আইন ভঙ্গ, উন্নাসিকতা, অবেহলা ও উপেক্ষার কারণে বাণিজ্যিক এই ভবনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ একটি দুরুহ বিষয়। তারপরও বলা যায় উল্লিখিত কারণসমূহের জন্য বাদী তমাল মনসুরের ১২টি এপার্টমেন্ট বাজার দরের চেয়ে কমপক্ষে সাড়ে তিন লাখ ডলারের দরপতনের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ৪টি পার্কিং স্পটের দাম কমেছে কমপক্ষে ৪০ হাজার ডলার এবং এক লাখ ২০ হাজার ডলারের ক্ষতি হয়েছে ইমেজ নষ্টের কারণে। মামলায় এসবের প্রতিকার কামনা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কনডোমোনিয়াম বোর্ড ম্যানেজমেন্টের অন্যতম কর্মকর্তা এবং মসজিদ মিশনের প্রধান মওলানা হাফেজ রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তমাল মনসুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে। এই হিসেবে বাংলাদেশিদের একটি মসজিদের বিরুদ্ধে তিনি অবস্থান নেবেন এটা আমরা চিন্তাই করতে পারিনি। তিনি আমাদের বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেছেন। এখন এই মামলার অন্যতম কারণ হচ্ছে তার সম্পদের খবর যাতে কোনোভাবেই কেউ ফাঁস করতে না পারে এজন্য তিনি আমাদের ভয় দেখাচ্ছেন। আমরাও আইনের মাধ্যমেই এর জবাব দেবো।

হাফেজ রফিকুল ইসলাম বলেন, তমাল মনসুরের ১২টি নয়, আরো অনেক প্রোপ্রার্টি আছে। বাংলাদেশের একজন মন্ত্রীর ছেলে এতো সম্পদের মালিক কিভাবে হলেন তা যে কেউ প্রশ্ন করতে পারে।

বাংলা পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে তমাল মনসুর বার বার বলেন, আপনারা যা বলছেন তা সঠিক নয়। কোনটি সঠিক নয় এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা যে আইনজীবী মামলা করেছেন তার কাছে প্রশ্ন করুন।
তিনি বলেন, আমার সম্পত্তির বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের আই আর এস জানে। আমি বিগত ১৫ বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ সিটিজেন। অন্য কোনো লোককে কোনো কথা বলতে আমি বাধ্য নই।

একজন মন্ত্রীর ছেলে হিসেবে বিশাল সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখানে আমার পারিবারিক বিষয়টিকে কেন আনা হচ্ছে। বাংলাদেশি কমিউনিটিতে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তারা কেন এমন প্রশ্ন তুলছে এটা তাদেরই জিজ্ঞেস করুন। নিজের ১২টি এপার্টমেন্ট আছে কি না জানতে চাইতে তিনি এ বিষয়ে হ্যাঁ বা না সরাসরি উত্তর না দিয়ে এটা তার ব্যক্তিগত বিষয় বলে মন্তব্য করেন।

উল্লিখিত এপার্টমেন্ট সমূহের দাম জানতে চাইলে একজন রিয়েল এস্টেট ব্রোকার বাংলা পত্রিকাকে বলেন, এখানে এখন প্রতিটি এপার্টমেন্টের দাম হচ্ছে কমপক্ষে চার লাখ ডলার। এই হিসেবে ১২টি এপার্টমেন্টের দাম ৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার। এর বাইরে পার্কিং লটের দাম না হয় বাদই দিলাম।

অপরদিকে মসজিদ মিশন সেন্টারের বিরুদ্ধে প্রায় পাঁচ লাখ ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলার ঘটনায় স্থানীয় মুসল্লিদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসের শুরুতে গত ১৬ই মে বুধবার তারাবির নামাজের সময় মামলার বিষয়টি মসজিদ কর্তৃপক্ষ মুসল্লিদের দৃষ্টিগোচরে আনলে উপস্থিত মুসল্লিরা আইনগত প্রক্রিয়ায় ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবিলা করার পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেন। এ ছাড়াও গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময়ও এ ঘটনার ব্যাপারে মুসল্লিারা তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেন।

সূত্র: মানবজমিন, ২২ মে, ২০১৮।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সৌদিতে বাপ-ছেলে মিলে বাংলাদেশি নারীকে যৌন নির্যাতন

ভিন্ন রকমের খবর: বাবার পর ছেলে। ছেলের পর ফের বাবা। পালাক্রমে নির্যাতন। নিষ্ঠুর পাশবিকতা! একই বাড়িতে বাপ-ছেলে মিলে যৌন নির্যাতন। অতঃপর ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা। এখন জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে হাসপাতালের বেডে শুয়ে দিন পার করছেন সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশের নারী শ্রমিক তানিয়া।

জানা গেছে, গত ১৭ এপ্রিল সৌদি আরব যান তানিয়া। অভাবের সংসারে আলো জ্বালাতে দেশ ছেড়ে প্রবাসে গেলেও সে আলো আর জ্বালানো হয়নি। এখন প্রায় নিভু নিভু জীবন প্রদীপও।

সূত্র জানায়, এক আদম ব্যবসায়ীর মাধ্যমে সৌদি আরবে যান তানিয়া। রিয়াদে গিয়ে এক স্কুল অধ্যক্ষের দুই শিশু সন্তানকে দেখভাল করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সে চাকরি আর ভাগ্যে জোটেনি। তাকে রাখা হয় এক নির্জন বাড়িতে। সেখানেই নেমে আসে জীবনের অন্ধকার অধ্যায়।

যে বাড়িতে তানিয়াকে গৃহপরিচারিকা হিসেবে রাখা হয় সে বাড়িতে অন্য কোনো নারী ছিলেন না। বাবা আর তিন ছেলের ওই বাড়িতে তানিয়া একাই নারী। যাওয়ার পর থেকেই নির্যাতনের খড়ক নেমে আসে তানিয়ার ওপর। প্রবাস জীবন। ভিনদেশি ভাষা। আপনজনকে না পাওয়া। এমনকি নালিশের জায়গাও না মেলা। এক বর্বর অন্ধকার যুগের অভিজ্ঞতা যেন। বাপ এবং ছেলেরা মিলে পালাক্রমে নির্যাতন। আট দিনের অসভ্য অভিজ্ঞতায় মুক্তির কোনো নিশানা ছিল না এই অসহায় নারীর।

বাপ-ছেলেদের টানা-হেচড়ার সময় একদিন আত্মরক্ষার্থে বাসার ছাদ থেকে লাফ দেন তানিয়া। মুক্তির ঠিকানা পেতে লাফ দিলেও ঠিকানা হয় হাসপাতালে। মারাত্মক আহত অবস্থায় দারোয়ানের সহায়তায় ভর্তি করা হয় কিং খালেদ হসপিটালে।

ওই হাসপাতালের বাংলাদেশি নার্সের মোবাইল ফোন থেকে স্বামী রাসেলকে ফোনে সব ঘটনা খুলে বলেন তানিয়া। এরপর রাসেল আদম ব্যবসায়ী ইকবালের সূত্র ধরে ঘটনার নায়ক ও মূল আদম ব্যবসায়ী এম এইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশাল (রিক্রুটিং লাইসেন্স নং-আরএল১১৬৬) এর মালিক মকবুল হোসেনকে খুঁজে বের করেন। তানিয়ার সাথে মকবুল হোসেন ও ইকবালের লোকেরাও কথা বলেন।

কিন্তু ভরসা মেলেনি এখনও। ঘটনার পর থেকেই স্বামী রাসেল সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির দুয়ারে ধর্না দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। বিভিন্ন দফতরেও ঘুরছেন স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে। তানিয়ার স্বামী রাসেল জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিচার পরে, আগে আমার স্ত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন।’

এ বিষয়ে এম এইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশালের মালিক মকবুল হোসেন বলেন, মেয়েটি আমার ব্যবসার সর্বনাশ করে দিয়েছে। দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলে তাকে আমি দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতেছি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তানিয়া সৌদি আরব যেতে কোনো টাকা না দিলেও সংশ্লিষ্ট রিক্রুটি এজেন্সি মালিক তানিয়াকে পাঠানো বাবদ নিয়োগ কর্তার কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা পেয়েছেন।

সম্প্রতি স্রোতের মতো দেশে আসতে শুরু করেছেন সৌদি আরবে নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশি নারীরা। গত দু’দিনে শতাধিক নারী শ্রমিক দেশে ফিরেছেন।

অভিবাসী নারী শ্রমিকদের বিপদে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছেন বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক। জানতে চাইলে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, অভিবাসী নির্যাতিত শ্রমিকদের আমরা সহায়তা দিয়ে আসছি। গত কয়েক দিনে সৌদি আরব থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে শতাধিক নারী দেশে ফিরে আসে। প্রতিদিনই নির্যাতনের চিত্র স্বজনরা আমাদের জানান। আমরা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিচ্ছি।

উল্লেখ্য, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য মতে ২০১৭ সালে অভিবাসী নারীর সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ১৯ হাজার ৯২৫ জন। যা মোট অভিবাসন সংখ্যার ১৩ শতাংশ। ১৯৯১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত একা অভিবাসন প্রত্যাশী নারী শ্রমিককে অভিবাসনে বাধা দেয়া হলেও পরবর্তীতে ২০০৩ এবং ২০০৬ সালে কিছুটা শিথিল করা হয়।

২০০৪ সালের পর থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নারী শ্রমিকের অভিবাসন হার ক্রমাগত বাড়তে থাকে। ২০১৫ সালে এ সংখ্যা দাঁড়ায় মোট অভিবাসনের ১৯ শতাংশে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কমলার খোসায় জাদু!

হলদে রঙের বা হালকা হলদে রঙের কমলা আমরা কমবেশি সবাই খেয়ে থাকি। আমরা সাধারণত কমলার কোষগুলো খেয়ে এর খোসা ফেলে দেই। কমলার খোসাও খাবেন ব্যাপারটি এমন নয়। আসলে কমলার খোসারও রয়েছে নানা রকম ব্যবহার। নিচে তেমনই কয়েকটি দরকারি ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা হলো :

কফ ও পিত্তের সমস্যায়:
কমলার খোসার রসের অন্যতম বৈশিষ্ট্যই হলো এটি কফের সমস্যা ও পিত্তের যে কোন ধরনের সমস্যা দূর করে। প্রথমে কমলার খোসা পাতলা করে ছিলে নিন। এরপর ভেজিটেবল পিলারের সাহায্যে কিংবা গ্রেটারে ঘষে নিন। পরে খোসার কুচিগুলো রঙ চা তৈরির সময়েই ঢেলে দিন। সাথে অল্প পরিমাণে আদা দিলে আরও ভাল হয়। এবার পানি একটু ফুটিয়ে আদা ও কমলার গন্ধ ছড়ালেই চায়ের মতো পান করুন। সাথে দিতে পারেন মধুও। তাহলে কফ ও পিত্ত সমস্যার অবশ্যই সমাধান হবে।

পেটের সমস্যা দূরীকরণে:
কমলালেবুর খোসা পেটের সমস্যার সমাধান করে। এমনকি গ্যাস, অ্যাসিটিডি ও বমি বমি ভাব দূর করতেও কমলার খোসার জুড়ি নেই। প্রতিদিন সকালে খোসার মিহি কুচি এক চা চামচ পরিমাণ মধুর সাথে খেয়ে নিন। তাহলে এ ধরনের সমস্যায় আর সহজে পড়বেন না। এমনকি সকালের নাস্তায় সালাদের সাথেও এটি খেতে পারেন।

ওজন কমাতে সহায়ক:
উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরলের সমস্যা ও ওজন কমানোর জন্য কমলার খোসা অনেক বেশি কার্যকরী। কারণ এতে ট্রাইগ্লিসারাইড দ্রবীভূত থাকে যেটি সমস্যাগুলো দূর করতে সাহায্য করে।

অনিদ্রা দূর করে:
কমলার খোসা মিশ্রত পানি গোসলের সময় ব্যবহার করলে এটি অনিদ্রা দূর করে। এমনকি কুসুম গরম পানিতে এর খোসা ফেলেও গোসল করা যায়। তবে চাইলে পানির সাথে খোসার তেল মিশিয়ে নিতে পারেন।

ক্যান্সার ও হাড়ের রোগ প্রতিরোধে:
কমলার খোসায় ফ্লেভোনয়েড রয়েছে যা ‘হেস্পিরিডিন’ নামে পরিচিত। এটি কোলন ক্যান্সার এবং অস্টিওপরোসিস বিরুদ্ধে কাজ করে আমাদের রক্ষা করে।

অ্যাজমা ও কাশির সমস্যা লাঘবে:
কমলার খোসার গুঁড়ো কাশির সমস্যা দূর করে। এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা ও অ্যাজমা উপশমে এটি কাজে লাগে। এসব কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে কমলার খোসায় তৈরি চা নিয়মিত পান করুন। আবার কমলার খোসা দিয়ে মোরব্বা বা টফিও তৈরি করে রাখা যায়। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে এই টফি চা পানের সময় ভালো করে চিবিয়ে খান। তাহলে রোগমুক্তি ঘটবে।

অ্যাসিডিটি দূর করতে:
কমলার খোসার তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি রয়েছে যা পেটের অ্যাসিডিটি দূরীকরণে সহায়তা করে। এছাড়াও এতে ডি-লিমোনেন নামের একটি উপাদান আছে যা অন্ত্র ও লিভার ফাংশনকে স্বাভাবিক রাখে। আর এর তেল পানিতে দু’ফোঁটা মিশিয়ে পান করলে অ্যাসিডির সমস্যা একেবারেই চলে যাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সৌদি আরবে ১৪১ বাংলাদেশি নিয়ে বিমানের জরুরি অবতরণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি আরবের মদিনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিমান যান্ত্রিক ক্রটির কারণে জেদ্দা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে। ফ্লাইটটিতে ১৫১ জন আরোহী ছিল বলে জানা গেছে। এদের ১৪১ জনই বাংলাদেশি।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে বিমানটি মদিনা থেকে বাংলাদেশের ঢাকা বিমানবন্দরের পথে রওয়ানা হওয়ার পরপরই বিমানের হাইড্রলিক সিস্টেমে একটি ত্রুটি ধরা পড়ে। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিমানটি ঢাকা না গিয়ে আবার জেদ্দাতে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।

সৌদি গণমাধ্যম আল আরাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে, বিমানটি রানওয়েতে অবতরণের অনুমতি না পাওয়ায় কয়েক ঘণ্টা ধরে বিমানবন্দরের আকাশে ঘোরাঘুরি করে এবং অবশেষে স্থানীয় সময় রাত ১০টায় অবতরণ করতে সক্ষম হয়।

এ ঘটনায় বিমানটির সামান্য ক্ষতি হলেও যাত্রীরা নিরাপদে আছেন বলে জানানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সারাদেশে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১০ ‘মাদক ব্যবসায়ী’ নিহত

ন্যাশনাল ডেস্ক: চলমান রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযান। গত কয়েকদিনের মতো আজ রাতেও (সোমবার দিনগত) আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ‌‘বন্দুকযুদ্ধে’ সারাদেশে ১০ ‘মাদক ব্যবসায়ী’ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গতকালও বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৯ জনকেও মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত র‌্যাব ও পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুমিল্লায় ২, নীলফামারীতে ২, চট্টগ্রামে ১, নেত্রকোনায় ১, দিনাজপুরে ১, নারায়ণগঞ্জে ১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ ও চুয়াডাঙ্গায় ১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই মাদক ব্যবসায়ী বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest