সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

সাতক্ষীরা পৌরসভার পলাশপোলে রাস্তা ঢালাই কাজ উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা পৌরসভার আরসিসি রাস্তা ঢালাই কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার ০৯ নং ওয়ার্ডে পলাশপোল এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান সড়কে আরসিসি রাস্তা ঢালাই কাজের উদ্বোধন করেন পৌরসভার ০৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ-দৌলা সাগর।

এডিপির অর্থায়নে ও সাতক্ষীরা পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানের বাড়ির সামনে থেকে জজ কোর্টের সামনে মেইন রাস্তার মুখ পর্যন্ত ২শ ৪৬ ফুট রাস্তা ২ লক্ষ ২ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর ফারহা দীবা খান সাথী, জেলা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি সহিদুর রহমান, সাতক্ষীরা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামরুল আখতার, এস.ও সাগর দেবনাথ, বিভাগীয় আম্পায়ারস এন্ড স্কোরাস এসোসিয়েশনের সভাপতি আ.ম আক্তারুজ্জামান মুকুল, আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান (খাদ্য বিভাগ) সভাপতি তৈয়েবুর রহমান, শেখ অলিউর রহমান, পলাশপোল উদিত সংঘের সহ-সভাপতি আব্দুল গফ্ফার ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ.এস এন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটার শেখ গোলাম রসুল প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্বকাপে চোখ রাখুন এই ১০ জনে

স্পোর্টস ডেস্ক: অপেক্ষার প্রহর শেষ করে রাশিয়া বিশ্বকাপ এখন দরজায় কড়া নাড়ছে। বিশ্বকাপের উন্মাদনায় বুঁদ পুরো ফুটবল বিশ্ব। যদিও এখন ক্লাব ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল বাকি আছে। এই ম্যাচ শেষেই প্রত্যেকদল গুছিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করবে তাদের বিশ্বকাপ যাত্রার। প্রত্যেক দলেই কিছু মূল্যবান বা স্টার খেলোয়াড় থাকে। এবারের বিশ্বকাপেও এমন কিছু নামি-দামি খেলোয়াড় খেলবেন, মূলতঃ যাদের উপরই তাদের দলের ভাগ্য অনেকাংশে নির্ভর করবে।

এবারের বিশ্বকাপে এমন সেরা ১০ খেলোয়াড়কে নিয়ে আজকের এই আয়োজন…

১. লিওনেল মেসি : অবধারিতভাবে এখানে নাম্বার ওয়ানে মেসিই থাকবনে। বিশ্বের সেরা অ্যাটাকিং লাইনআপসহ মোটামুটি একটা দল পেয়েও মেসি ছাড়া আর্জেন্টিনা যেন কল্পনা করা দায়। বিশ্বকাপের মূল পর্বে ওঠার লড়াইয়ে প্রায় বাদই পড়তে চলেছিল ডিয়েগো ম্যারাডোনার দেশ। শেষে ওই মেসিই দলের ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত। ডু-অর-ডাই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে দলকে পাইয়েছেন রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকিট। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপেই প্রমাণ হয়েছিল মেসি কি আর্জেন্টিনার জন্য। একাই দলকে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন ফাইনাল পর্যন্ত।

১৭-১৮ মৌসুমে দলীয় সাফল্যর সাথে সাথে ব্যক্তিগত সাফল্যও হাতে এসে ধরা দিয়েছে মেসিকে। দলীয়ভাবে জিতেছেন লা-লিগা আর কোপা দেল রে ট্রফি। জিতেছেন লা-লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পিচিচি ট্রফি ও ইউরোপের সর্বোচ্চ গোল দাতার পুরস্কার ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শ্যু।

এবারও তাই হোর্হে সাম্পাওলির আর্জেন্টিনার দলের ত্রাতা-প্রাণ সবই ওই এক লিও মেসি। দীর্ঘ ৩২ বছরের বিশ্বকাপ না পাওয়ার আক্ষেপ মেটাতে এই মেসির কাঁধে ভর করেই রাশিয়া যাচ্ছে আর্জেন্টিনা বাহিনী। হবে নাকি দীর্ঘ ৩২ বছরের আক্ষেপের অবশেষ? নামটা যেহেতু সর্বকালের অন্যতম সেরা লিও মেসি! অসম্ভব কিছুই না! বিশ্বের কোটি আর্জেন্টাইন সমর্থকদের চোখ এখন ওই একজনের দিকেই, কেননা জাদুকরী মেসির এক জাদুই পারে ম্যাচের ফলাফল পরিবর্তন করে দিতে।

২. মোহামেদ সালাহ : এই মৌসুমে যেন এক আশ্চর্য হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন এই লিভারপুল উইঙ্গার। সাবেক এই রোমা খেলোয়াড় কাটাচ্ছেন খেলোয়াড়ি জীবনের সেরা সময়। জাতীয় দলকে নিজ হাতে করে তুলেছেন এই রাশিয়া বিশ্বকাপে। হয়ে গেছেন মিশরের জাতীয় হিরো। খেলার ধরণ অনেকটা মেসির মত বিধায় অনেকে তাকে ‘দ্বিতীয় মেসি’ বলে ডাকছে। তবে সালাহ তো সালাহই! সালাহ একটাই!

এবারের লিগ মৌসুমে করেছেন ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৩২ গোল, সাথে ঝুলিতে আছে ১০টি গোল করানোর কীর্তি। কেভিন ডি ব্রুইনকে হারিয়ে জিতেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। ১০ গোল আর ৪ অ্যাসিস্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্সলিগেও দুর্দান্ত মিশরের এই রাজা। সালাহের এই অতিমানবীয় খেলায় তাই এবার এক অন্যরকম স্বপ্ন বুনছে মিশরবাসি। এবারের বিশ্বকাপে তাই মিশরীয় রূপকথা ঘটলেও ঘটতে পারে!

৩. রোনালদো : ২০১৭-১৮ মৌসুমের শুরুটা যেন ভুলেই জেতে চাইবেন বর্তমানের ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এরকম বাজে মৌসুম শুরু এর আগে ক্যারিয়ারে কখনও হয়েছে কিনা হয়তো মনে করতে পারবেন না রোনালদো নিজেই। অনেকে তো পর্তুগিজ যুবরাজের শেষই দেখে ফেলেছিলেন। তবে ধীরে ধীরে রোনালদো খুঁজে পেয়েছেন নিজেকে। সেরা খেলা উপহার দিয়ে দলকে নিয়ে গেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। বাজেভাবে মৌসুম শুরু করলেও লিগ শেষ করেছেন ২৬ গোলের সাথে ৫ অ্যাসিস্ট নিয়ে। আর চ্যাম্পিয়ন্সলিগের ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় হয়ে ১২ ম্যাচে করেছেন ১৫ গোল আর ৩টি অ্যাসিস্ট!

বিশ্বকাপে এই রোনালদোকে পেয়ে হয়তো অনেকটা হাফ ছেড়েই বেঁচেছেন পর্তুগিজ বস ফার্নান্দো সান্তোস। কেননা দলের এক এবং একমাত্র সেরা খেলোয়াড় যে এই রোনালদোই!

৪. নেইমার : ব্রাজিলিয়ান দলের প্রাণভ্রমরা। ছিলেন নিজেদের ঘরে ২০১৪ বিশ্বকাপের দলের প্রধান খেলোয়াড়। তবে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ইনজুরিতে পরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পরেন ব্রাজিলের এই সেনসেশন। এরপরই বিশ্বকাপ থেকে জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলে হেরে বিদায়ের লজ্জা দেখেছেন মাঠের বাহিরে বসে। তবে এবারের বিশ্বকাপেও যে ত্রাস ছড়াতে যাচ্ছেন তার প্রমাণ তার এবারের লিগে পারফরম্যান্স। এই মৌসুমে ইনজুরিতে পড়ার আগে ১৯ ম্যাচে করেন ১৯ গোল সাথে ১৩টি গোল বানিয়ে দেওয়ার দারুণ এক কীর্তি। বিশ্বকাপে নিজের সেরাটাই দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড়।

২০১৪ বিশ্বকাপের ন্যায় এবারও ব্রাজিলিয়ানদের হেক্সা জয়ের স্বপ্ন নেইমারের কাঁধেই থাকছে। দলে জেসুস, কৌতিনহো , ফিরমিনো, উইলিয়ানদের মত সেরা সেরা খেলোয়াড় থাকতেও ব্রাজিলিয়ানদের হেক্সা জয়ের মিশন তাকে কেন্দ্র করেই। কোচ তিতের ‘মেইন ম্যান’ তো তিনিই!

৫. রবার্তো ফিরমিনো : ব্রাজিল কোচ তিতে এই বিশ্বকাপে পড়েছেন এক মধুর সমস্যায়। সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলাবেন কাকে? গ্যাব্রিয়েল জেসুস না ফিরমিনোকে!

দু’জনই নিজ নিজ ক্লাবের হয়ে কাটিয়েছেন নিজেদের সেরা মৌসুম। অবশ্য এক দিক কিছুটা এগিয়েই থাকবে ফিরমিনো। গোল করার সাথে সাথে আছে গোল বানিয়ে দেওয়ার অসাধারণ ক্ষমতা। প্রিমিয়ার লিগ কি ইউরোপিয়ান সেরাদের আসর চ্যাম্পিয়ন্সলিগ দু’জায়গাতেই করেছেন নিজের ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স। ইংলিশ লিগে করেছেন ১৫ গোল সাথে সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৭ গোল আর চ্যাম্পিয়ন্সলিগে ১০ গোল করে করিয়েছেন আরও ৮টি।

বিশ্বকাপে অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার হয়েই এবার রাশিয়াতে যাচ্ছে ফিরমিনো। এই তারকা যে কোনো সময়ে গোল করে খেলার ফলাফল পাল্টে দিলেও থাকবে না অবাক হওয়ার মত কিছুই!

৬. ইস্কো আলার্কন : নিঃসন্দেহে স্পেনের সেরা খেলোয়াড় হয়ে এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপে যাচ্ছেন ইস্কো। কি মাঝমাঠ কি আক্রমণ ভাগ! উভয়দিকেই সমান পারদর্শী এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। দলে ইনিয়েস্তার মত জীবন্ত কিংবদন্তী থাকলেও মাঝমাঠ থেকে আক্রমণে যাওয়ার দায়িত্ব থাকবে তার কাঁধেই। এবারের মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ তাদের প্রচলিত প্রথা ভেঙ্গে ইস্কোকে মাঠে ফ্রি রোলে খেলায় অর্থাৎ যে কোনো পজিশনেই খেলতে তিনি পারদর্শী। মৌসুমে করেছেন ৭ গোল করিয়েছেনও ৭টি।

লা ফুরিয়া রোজা’দের বিশ্বকাপ পুনরুদ্ধার মিশনে তাই এবার অগ্রণী ভূমিকাই পালন করতে দেখা যাবে ইস্কো আলার্কনকে।

৭. কাইলিয়ান এমবাপ্পে : টানা দ্বিতীয়বারের মত ফ্রেঞ্চ লিগের মৌসুম সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের খেতাব নিজের ঘরে তুলেছেন। আগের মৌসুমে ১৮০ মিলিয়ন দিয়ে মোনাকো থেকে তাকে দলে ভেরায় ফ্রেঞ্চ জায়ান্ট প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। মাত্র ১৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে দলে নিয়ে যে মোটেও ভুল করেনি খেলাইফি, তার প্রমাণ এমবাপে দিয়েছেন মাঠেই। তালে তাল মিলিয়ে খেলে গেছেন নেইমার, কাভানি, ডি মারিয়াদের সাথে। জিতেছেন টানা দ্বিতীয়বারের মত সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার।

ফ্রান্স দলে আছেন পল পগবার মতো তারকা। তবে দলের আক্রমণ ভাগের বড় একটা দায়িত্ব এই তরুণের উপরই বর্তাচ্ছে।

৮. কেভিন ডি ব্রুইন : এই মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় নিঃসন্দেহে এই বেলজিয়ান। ছিলেন এবারের মৌসুমের সিটির মধ্যমনি হয়ে। লিগে ৩৮ ম্যাচের ৩৬ ম্যাচেই নেমেছেন মাঠে। করেছেন ৮ গোল আর সিটি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন রেকর্ড ১৬ গোল। প্রায় প্রতি ম্যাচেই তার জাদুকরী খেলায় পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে পেপ গার্দিওলা শিষ্যরা।

তাই এডিন হ্যাজার্ডের মত সেরা উইঙ্গার দলে থাকতেও বেলজিয়ান দলের সেরা খেলোয়াড় হয়েই এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপে যাচ্ছেন কেভিন!

৯. পল পগবা : জুভেন্টাস থেকে বিশাল ট্রান্সফার ফি’তে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ার পর থেকে অবশ্য আগের মত আর স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারছেনা পগবা। জুভেন্টাসের হয়ে মাঠে যে রকম ত্রাস ছড়িয়ে বেড়িয়েছেন ম্যানইউের হয়ে যেন ততটাই খোলসবন্দি ছিলেন এই মৌসুমে। যদিও ইনজুরি বড় একটা কারণ। কিছু ম্যাচে দারুণ খেললেও পারফরম্যান্সে ছিল না ধারাবাহিকতা। এবারের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে করেছেন ৬ গোল করিয়েছেন ১০ খানা।

তবুও ফ্রান্স দলের কাণ্ডারি পগবাই। রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সের ভালো বা খারাপ করা বলতে গেলে পুরোটাই নির্ভর করছে পগবার সেরাটা দেওয়ার উপর।

১০. টনি ক্রুস : জার্মানি ফুটবল দল আর লা-লিগা জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের মাঝমাঠের কারিগর ধরা হয় তাকে। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে মাঠে তার কোনো বিকল্প নেই। মাঝমাঠের ভারসাম্য আনতে পালন করেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এবারের লা-লিগাতে ৯৩.১% পাসিং একুরেসি নিয়ে প্রতি ম্যাচে গড়ে ৭৬.৭টি পাস দিয়েছেন এই জার্মান ফুটবল মেশিন। এছাড়াও প্রতি ম্যাচে গড়ে ২.৪টি করে কি-পাস দেওয়ার সাথে সাথে আছে ৬.২ টি করে লম্বা পাস দেওয়ার কীর্তি।

মাঝ মাঠ থেকে রক্ষণচেরা পাস বা ৫০-৬০ গজ দূর থেকে বুলেট গতির শটে গোল করতেও দারুণ পটু ক্রুস। তাই এবারের জার্মান দলে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে যাচ্ছেন এই মিডফিল্ডার।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাহাথিরের পাঁচ হাতে নতুন হবে মালয়েশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ৯২ বছর বয়সে এসে আবার নতুন করে মালয়েশিয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন মাহাথির। ১০০ দিনের নির্বাচনী প্রচারে যেসব প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পরপরই তা পূরণে দ্রুত পদক্ষেপ নেন তিনি।

এ ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচজনের এক উপদেষ্টা দল নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। মাহাথিরের দুই দশকের শাসনকালে তার বিশ্বস্ত দোসর ছিলেন তারা। পুরনো এই পাঁচ সঙ্গীকে নিয়েই মালয়েশিয়ার অর্থনীতি নতুন করে সাজাবেন মাহাথির।

পাঠকদের জন্য মাহাথিরের পাঁচ অর্থনৈতিক উপদেষ্টার পরিচয় তুলে ধরা হল-

ডায়িম জয়নুদ্দীন : ৮০ বছর বয়সী ডায়িম জয়নুদ্দীন মাহাথিরের দীর্ঘদিনের এক বিশ্বস্ত সহযোগী। সংকটকালে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে মাহাথির যাদের ওপর ভরসা রাখতেন জয়নুদ্দীন তাদের একজন। পেশায় যুক্তরাজ্যে প্রশিক্ষিত একজন আইনজীবী তিনি।

তবে প্রথম পেশা জীবনের অনেকটা সময় তিনি রিয়েল এস্টেট ও ব্যাংক খাতে ব্যয় করেন। প্রথমবার ১৯৮৪-১৯৯১ পর্যন্ত মালয়েশিয়ার অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এশিয়ায় আর্থিক সংকট-পরবর্তী ১৯৯৯-২০০১ পর্যন্ত দ্বিতীয়বার অর্থমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেন।

জেতি আখতার আজিজ : ৭০ বছর বয়সী জেতি আখতার আজিজ মালয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রথম এবং একমাত্র নারী গভর্নর। ২০১৬ সালে অবসরে যাওয়ার আগে দীর্ঘ ১৬ বছর এ দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী জেতি আখতার একজন ঝানু ব্যাংকার। ব্যাংক নেগারা মালয়েশিয়ার বিশ্বস্ততা ও স্বাধীনতা শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে বিরাট কৃতিত্ব রয়েছে তার।

হাসান ম্যারিকান : ৬৫ বছর বয়সী হাসান ম্যারিকান ১৯৯৫ থেকে ২০১০ সালে অবসর নেয়া পর্যন্ত জাতীয় তেল কোম্পানি পেট্রলিয়া ন্যাশিয়নাল বরহাদের প্রধান নির্বাহী ছিলেন। তার নেতৃত্বেই একটি ছোট্ট তেল কোম্পানি থেকে বিশ্বের ৫০০ শীর্ষ কোম্পানির কাতারে উঠে আসে পেট্রোনাস।

মালয়েশিয়ার এই তেল কোম্পানি এখন বিশ্ববাজারে অন্য বড় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। জ্বালানি শিল্পে তিন দশকের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হাসান ম্যারিকানের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েছে সিঙ্গাপুর সরকার। সেমবিকর্প মেরিন লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

জোমো কোয়ামে সুন্দরম : ৬৫ বছর বয়সী জোমো কোয়ামে সুন্দরম একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ। এক সময় জাতিসংঘের অর্থনৈতিক উন্নয়নবিষয়ক সহকারী মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া জোমো কোয়ামে মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক অর্থনীতি নিয়ে অনেক বই লিখেছেন। তার লেখা বইয়ের মধ্যে ‘এম ওয়ে : মাহাথির’স ইকোনমিক পলিসি লিগেসি’ বেশ জনপ্রিয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের অর্থনৈতিক নীতির কঠোর সমালোচক তিনি।

রবার্ট কুক : ৯৪ বছর বয়সী রবার্ট কুক একজন ঝানু ব্যবসায়ী। ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতার পরপরই চিনির ব্যবসা করে প্রচুর সম্পদের মালিক হওয়ায় মালয়েশিয়ায় তাকে ‘সুগার কিং’ বলা হয়। মালয়েশিয়ার পাশাপাশি পরবর্তী সময় সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ে ব্যবসা বিস্তার করেন তিনি।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাম তেল কোম্পানি থেকে শুরু বেইজিংয়ের সবচেয়ে উঁচু ভবনেও তার বিনিয়োগ রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সরকারি হলো কলারোয়া জিকেএমকে পাইলটসহ ২৪ হাইস্কুল

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার সাতক্ষীরার কলারোয়া জি কে পাইলটসহ আরও ২৪টি বেসরকারি বিদ্যালয় সরকারি করেছে। সোমবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এগুলো হচ্ছে- সিলেটের ছাতক বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জের জামতৈল ধোপাকান্দি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, রাজবাড়ীর পাংশা জর্জ পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া পাইলট মডেল হাইস্কুল, ভোলার বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জের সাবের মিয়া জসিমুদ্দীন (এসজে) মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, মেহেরপুরের গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নওগাঁর বদলগাছি মডেল হাইস্কুল, নেত্রকোনার শালদীঘা গোপাল গোপীনাথ উচ্চ বিদ্যালয়, নেত্রকোনার জাহাঙ্গীরপুর টিআমিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, সাতক্ষীরার কলারোয়া জিকেএমকে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পাইলট মডেল বিদ্যালয়, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ কাসিম আলী মডেল উচ্চ কটিয়াদী পাইলট মডেল বিদ্যালয়, ময়মনসিংহের ত্রিশাল নজরুল একাডেমি, নাটোরের বেগম রোকেয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা দামুরহুদা পাইলট হাইস্কুল, বগুড়ার কাহালু মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানা সদর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, মাদারীপুরের রাজৈর গোপালগঞ্জ কেজেএস পাইলট মডেল ইন্সটিটিউশন, কুড়িগ্রামের রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জের পাগলা মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ জেকে মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, কুড়িগ্রামের রাজিবপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, নেত্রকোনার বানিয়াজান সিটি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব লুৎফুন নাহার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো শিক্ষক অন্যত্র বদলি হতে পারবেন না।

উল্লেখ্য, দেশের প্রতি উপজেলায় একটি করে বেসরকারি স্কুল ও কলেজ সরকারিকরণের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন। এরপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, ৩১৫টি উপজেলায় হাইস্কুল এবং ৩২১টি উপজেলায় সরকারি কলেজ নেই।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর বিভিন্ন দফায় ১৯৯টি বেসরকারি কলেজ এবং ৩০৩টি হাইস্কুল জাতীয়করণের ব্যাপারে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন।

দেশে বর্তমানে ৩৪৭টি সরকারি হাইস্কুল এবং ৩৩১টি কলেজ আছে। এর সঙ্গে নতুন ২৪টি যুক্ত হল।

এদিকে, ঐতিহ্যবাহী কলারোয়া জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুল সরকারি করার প্রজ্ঞাপনে যার পর নেই আনন্দ-উল্লাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীসহ গোটা এলাকাবাসী। কলারোয়াবাসী সেই সাথে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্থানীয় সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনসহ সংশ্লিষ্টদের।
সোমবার বিকেলে স্কুলের পক্ষ থেকে মাইকিং করে মঙ্গলবার ২২মে সকালে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্কুলে উপস্থিত হয়ে আনন্দ র‌্যালিতে অংশ নেয়ার আহবান জানানো হয় ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যেভাবে ফ্রিজে খাবার রাখবেন

স্বাস্থ্য ডেস্ক: বর্তমান সময়ের প্রযুক্তির অন্যতম উপহার রেফ্রিজারেটর। যা আমাদেরকে করেছে আরও সৌখিন আর আরাম প্রিয়। যার মধ্যে আমরা যে কোন খাবার নিশ্চিন্তে দিনের পর দিন রাখতে পারি। নেই নষ্ট হওয়ার ভয়, করা যায় ইচ্ছেমত ব্যাবহার।

প্রায়ই রেফ্রিজারেটরের ভেতরে দমবন্ধ করা গন্ধ হয়। সপ্তাহে এক দিনের জন্যে ভেতরে দিয়ে রাখুন লেবুর রস ও ভিনেগারের মিশ্রণ। ওই দিনই বাজে গন্ধ চলে যাবে। পুরো এক সপ্তাহ সতেজ ভাব থাকবে ভেতরে। এরপর ধীরে ধীরে গন্ধ জমতে থাকবে। আবারও একই পদ্ধতি অবলম্বন করবেন। ফ্রিজে খাবার রাখতে আরো কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত। যেমন—

যেসব খাবারের বেশি ঠাণ্ডা দরকার

কিছু খাবার আছে, যেগুলোকে ভালো রাখতে তাপমাত্রা শীতল রাখতে হয়। এ জন্য ফ্রিজের কারিগরি দিকটি বুঝতে হবে। ফ্রিজের প্রতিটি তাকে এয়ার ডিসপেন্সার থাকে। এর মাধ্যমে তাপমাত্রা বজায় রাখা হয়। আর তা থাকে পেছনের দিকে। তাই ফ্রিজের ভেতরে পেছনের দিকে ঠাণ্ডা থাকে সবচেয়ে বেশি। যে খাবার কম তাপমাত্রায় টাটকা থাকবে, সেগুলো পেছনের দিকে রাখুন।

এয়ারটাইট প্লাস্টিক ব্যাগ

অনেকে শুকনো ফল খেতে পছন্দ করে। আবার কেটে রাখা শাক-সবজি ফ্রিজের মধ্যে গুছিয়ে রাখতে প্লাস্টিকের বাটি ব্যবহার করা যায়। ফ্রিজের আকার যথেষ্ট বড় না হলে বাটি রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ব্যবহার করতে পারেন এয়ারটাইট প্লাস্টিক ব্যাগ। এতে এক জায়গাতেই একটার ওপর আরেকটা করে বেশ কয়েকটি ব্যাগ রাখা সম্ভব হয়।

ম্যাটের পরিবর্তে সেলফ লাইনার

প্রায় সময় বাজার থেকে কাঁচা সবজি এনেই রেফ্রিজারেটরে রাখা হয়। এতে মাটি ও ময়লা লেগে থাকে। এতে ফ্রিজের ভেতরে যেন ময়লা না হয়, সে জন্য অনেকেই তাকের ওপর ম্যাট রাখে। কিন্তু এতে ওপর-নিচের জায়গা যেমন কমে যায়, তেমনই দেখতেও ভালো লাগে না। তাই তাকের জন্যে কিনবেন লাইনার। ফ্রিজের সেলফের সাইজ বুঝে লাইনারগুলো কিনে বসিয়ে দেবেন।

ট্রে বাস্কেট

মরিচ আর লেবুর মতো খাবারগুলো সাধারণ পলিথিনের ব্যাগেই রাখা হয়। সাধারণত সবজির জন্যে ফ্রিজের ভেতরে যে বাস্কেট থাকে, সেখানে স্থান হয় এদের। কিন্তু আমাদের খাবারে মরিচ বা লেবুর ব্যবহার প্রচুর হয়ে থাকে। তাই এদের গুছিয়ে রাখতে হবে। ফ্রিজের সঙ্গে থাকতে পারে ছোট ছোট ট্রে বাস্কেট। এগুলো খুব কম জায়গা দখল করে, আবার ভেতরের জিনিস চাপে নষ্ট হয় না।

দরজার ট্রেতেই বোতল

ফ্রিজের দরজায় বোতল রাখার যথেষ্ট জায়গা থাকে। সেখানে অন্যকিছু রেখে স্থান নষ্ট করবেন না। দরজার ট্রেতেই বোতল সাজিয়ে রাখুন। এখানে রাখলে সহজেই খুঁজে পাবেন এবং তা হঠাৎ করে ভেতরের দিকে পড়বে না।

ক্লিং শিট

ফ্রিজে খাবার রাখার সময় তা অন্য কিছু দিয়ে ঢেকে রাখার অভ্যাস আছে অনেকের। একটা বাটি ঢাকতে তার ওপর আরেকটি প্লেট দিলে অনেক জায়গা নষ্ট হয়। তার চেয়ে বরং ক্লিং শিট ব্যবহার করুন। এর ব্যবহার স্বাস্থ্যসম্মত আর সুবিধাজনক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বাপ্পা ও তানিয়া

বিনোদন ডেস্ক: আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার এবং অভিনয়শিল্পী তানিয়া হোসাইন।

দুই পরিবারের সম্মতিতেই তারা আংটিবদলের পর্বও সেরে ফেলেছেন।

বেশ কিছুদিন ধরেই শোবিজ অঙ্গনে শোনা যাচ্ছিল, বাপ্পা আর তানিয়া প্রেম করছেন। কিন্তু কোনোভাবেই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে দুজনের আংটিবদলের মধ্য দিয়ে সেই গুঞ্জন বাস্তব রূপ পেল।

গত ১৬ মে রাতে ঘরোয়াভাবে তাদের আংটিবদল অনুষ্ঠান হয়। আংটিবদলের একটি ছবি ২০ মে রাতে তানিয়া হোসাইন তার ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন।

এ বিষয়ে তানিয়া হোসাইন আংটিবদলের কথা স্বীকার করলেও বাপ্পা কিছু বলতে চাননি।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৩০ মার্চ চিত্র পরিচালক ও উপস্থাপক দেবাশীষ বিশ্বাস আর তানিয়া হোসাইন ভালোবেসে বিয়ে করেন। বিয়ের এক বছরের মাথায় তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।

অপরদিকে, বাপ্পা মজুমদার এবং অভিনয়শিল্পী ও নৃত্যশিল্পী চাঁদনী ভালোবেসে বিয়ে করেন ২০০৮ সালের ২১ মার্চ। দীর্ঘ নয় বছর সংসারজীবনের পর ছাড়াছাড়ি হয় তাদের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা শিশুর চোখে নিঃসীম শূন্যতা- প্রিয়াংকার আবেগঘন স্ট্যাটাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রুপালি জগতের ঝলমল দুনিয়া ছেড়ে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে হাজির হলিউড-বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী প্রিয়াংকা চোপড়া।

তাকে কাছে পেয়ে খুশিতে মেতে ওঠে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গা শিশুরা।

যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শুরুতে রোহিঙ্গাদের প্রিয়াংকার কাছে ঘেঁষতে বাধা দিচ্ছিল।

কিন্তু নিরাপত্তার ঘেরাটোপ ছেড়ে আপনজনের মতো রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে মিশে যান প্রিয়াংকা। তাদের মমতাভরে জড়িয়ে ধরে আদর করেন। শোনেন তাদের কষ্টের কথা।

এর পর হোটেলে ফিরে সামাজিকমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন প্রিয়াংকা।

এতে রোহিঙ্গা শিশুদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে তাদের সাহায্য করার জন্য বিশ্ববাসীর কাছে আবেদন জানান জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিলের এ শুভেচ্ছাদূত।

স্ট্যাটাসে প্রিয়াংকা লেখেন- ‘আমি আজ (সোমবার) বাংলাদেশের কক্সবাজারে এসেছি। ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হয়ে এখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করলাম।’

‘২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্ববাসী দেখল কী নৃশংসভাবে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর জাতিগত নির্মূল অভিযান চালানো হয়। এতে সাত লাখের মতো নির্যাতিত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। এদের মধ্যে ৬০ শতাংশই শিশু’, উল্লেখ করেন প্রিয়াংকা।

তিনি আরও লেখেন- ‘রোহিঙ্গাদের এই প্রজন্মের শিশুগুলোর সামনে ভবিষ্যৎ বলে কিছু নেই। যদিও তারা হাসছিল, তবে তাদের চোখে আমি দেখেছি নিঃসীম শূন্যতা। মাসের পর মাস ধরে তারা এক অনিশ্চিত ও মানবেতর জীবনযাপন করছে। এখানে মানবিক সংকট যে কতটা গভীর, তার নজির এ শিশুরা। আমাদের সাহায্য তাদের খুবই দরকার।’

বিশ্বে এই সময়ে শরণার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ইউনিসেফের পাশে বিশ্ববাসীকে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘এই শিশুগুলোই আমাদের ভবিষ্যৎ’।

মানবিক কারণে বাংলাদেশ এই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে, তাদের রাখা হয়েছে কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে।

শরণার্থী শিবিরে গাদাগাদি করে রোহিঙ্গাদের থাকার বিষয়টি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেন প্রিয়াংকা। সামনে বর্ষা মৌসুমে শরণার্থী শিবিরে সংকট আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত প্রিয়াংকা চোপড়া চার দিনের সফরে সোমবার ভোরে বাংলাদেশে আসেন।

ঢাকা থেকে কক্সবাজারে গিয়ে সফরের প্রথম দিনে তিনি শামলাপুর রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন।

সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ সকালে প্রিয়াংকার উখিয়ার বালুখালী ও জামতলী রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের কথা রয়েছে। এর পর বিকালে তিনি টেকনাফ রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন। তৃতীয় দিন বুধবার তিনি উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন। সফরের শেষ দিন বৃহস্পতিবার সকালে তিনি কক্সবাজার ত্যাগ করবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
করাচিতে দাবদাহে ৬৫ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের করাচিতে প্রচণ্ড গরমে গত ৩ দিনে অন্তত ৬৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক নিউজ এজেন্সি রয়টার্স।

মঙ্গলবার স্থানীয় গণমাধ্যম ও একটি সমাজকল্যাণ সংস্থার বরাত দিয়ে তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, ওই অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪৪ড্রিগ্রি সেলসিয়াস (১১১ ফারেনহাইট) পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে। উচ্চ তাপমাত্রা বজায় থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের দাতব্য সংস্থা ঈদি ফাউন্ডেশনের পরিচালক ফয়সাল ঈদি জানান, “গত তিন দিনে ৬৫ জন মারা গেছেন। লাশগুলো আমাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মর্গে রাখা আছে। তারা হিট-স্ট্রোকে মারা গেছেন বলে স্থানীয় চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।”

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার করাচির তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। রোজার মধ্যে নগরীর অধিকাংশ মানুষ রোজা থাকায় এবং দিনের বেলা পানি পান থেকে বিরত থাকায় বিরূপ পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হচ্ছে তাদের।

তবে সিন্ধু প্রদেশের স্বাস্থ্য সচিব ফজলুল্লাহ পেচুহো গরমে কেউ মারা যায়নি দাবি করেছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদপত্র দ্য ডন।

ডনে উদ্ধৃত বক্তব্যে পেচুহো বলেছেন, “মৃত্যু হিট-স্ট্রোকে না অন্য কোনো কারণে হয়েছে তা শুধু চিকিৎসক ও হাসপাতালগুলোই বলতে পারে। করাচিতে হিট-স্ট্রোকে লোকজন মারা যাচ্ছেন, এসব স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছি আমি।”

তিনি এসব বললেও করাচিতে হিট-স্ট্রোকে মৃত্যুর বিভিন্ন প্রতিবেদন আসায় শঙ্কা বেড়েই চলছে। অনেকেই ২০১৫ সালের ঘটনার পুনারাবৃত্তির আশঙ্কা করছেন; ওই বছরের গ্রীষ্মকালে তীব্র গরমে করাচিতে অন্তত ১৩০০ লোকের মৃত্যু হয়েছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest