সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলামসাতক্ষীরা সদরের দত্তবাগ টাইগার ক্লাবের নাইট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনজাতীয় সংহতি দিবস,এই দিনে বিভাজন নয়, ঐক্যের আহবান -কাজী আলাউদ্দিনসাতক্ষীরা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনকে বিজয়ী করতে গণমিছিলতরুণদের উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রীন ইনোভেশন ফেয়ারExplorez les avis des utilisateurs sur gtbet et rejoignez la communautéΕξερευνήστε τις καλύτερες στρατηγικές καζίνο στο gtbet για μεγαλύτερα κέρδηCome registrarsi su Nixbet e iniziare a vincere in pochi passiদেবহাটায় কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে খেলাধুলার আয়োজনগণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নলতা হাসপাতাল হুমকির মুখে :রক্ষার দাবি

সাতক্ষীরায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্বামী ও স্ত্রী দগ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে স্বামী ও স্ত্রী দগ্ধ হয়েছেন। রোববার রাতে শহরের সুলতান পুর ঝিলপাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে।
আহত আব্দুর রাজ্জাক ও তার স্ত্রীকে মারাত্মক আহত অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতরে ভর্তি করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর থানায় ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডার ত্রুটির কারনে বিস্ফোরণটি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে বলে ওসি আরো জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সুন্দরবনের কালিরচর এলাকা থেকে মুক্তিপণের দাবিতে ৬ জেলে অপহরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে মুক্তিপণের দাবিতে ছয় জেলেকে অপহরণ করেছে বনদস্যু ডন বাহিনীর সদস্যরা। সোমবার ভোরে সুন্দরবনের কালিরচর এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।
অপহৃত জেলেরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চাঁদনীমুখা গ্রামের ওয়াজেদ সরকারের ছেলে তরিকুল ইসলাম (২৭), একই গ্রামের রউফ গাজীর ছেলে বাদশা গাজী (২৮), রুপচাঁদ গাজীর ছেলে আজহারুল গাজী (২২), আছের শেখের ছেলে সোলায়মান শেখ (৫০), ৯নং সোরা গ্রামের কাদের সরদারের ছেলে বাবলু সরদার (২৬) ও একই গ্রামের এলাহি বক্সের ছেলে বায়েজিদ গাজী (২৮)।
ফিরে আসা জেলে চাঁদনীমুখা গ্রামের সাবুদ আলীর ছেলে ইলিয়াস গাজী সাংবাদিকদের জানান, এক সপ্তাহ আগে তারা বৈধ পাশ নিয়ে সুন্দরবনে মাছ ধরতে যান। সোমবার ভোরে সুন্দরবনের কালিরচর এলাকা থেকে তাদের ছয় সহকর্মীকে মাথাপিছু ৩০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণের দাবিতে বনদস্যু ডন বাহিনীর সদস্যরা অপহরন করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শোয়েব খান জানান, এ ধরনের কোন অভিযোগ আমরা এখনও পর্যন্ত পায়নি। তবে, খোঁজ খবর নিচ্ছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হল সাতক্ষীরায় তিন দিনব্যাপী ইজতেমা

নিজস্ব প্রতিবেদক : আমিন, আমিন ধ্বনিতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহার শান্তি কামনার মধ্য দিয়ে লক্ষাধিক মানুষের সমাগমে সাতক্ষীরায় তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা শেষ হয়েছে। সোমবার বেলা ১০টা ৫০ মিনিট থেকে ১১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত ২০ মিনিট ব্যাপী আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এ ইজতেমা শেষ হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের মুরব্বী মাওলানা যুবায়ের।
তাবলীগ জামাতের সাতক্ষীরার প্রধান মুরুব্বী মাওলানা আবু মুছা জানান, ইজতেমায় কোরিয়া, চীন, সিরিয়া, মরোক্কা, মালয়েশিয়া ভারতসহ ৬টি দেশের জামাতসহ লক্ষাধিক মুসুল্লীর সমাগম ঘটে। ইজতেমায় আগতদের থাকার জন্য ৫০ বিঘা জমির উপর প্যান্ডেল নির্মান করা হয়। এছাড়া সার্বক্ষণিক মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল পর্যাপ্ত।
এজতেমা শেষে সাতক্ষীরা থেকে দ্বীনের দাওয়াত দিতে বিভিন্ন মসজিদে ছড়িয়ে পড়েন এজতেমায় আগত মুসলিমরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঘোজাডাঙ্গা সিএন্ডএফ এজেন্টদের কর্মবিরতির কারনে বন্ধ ভোমরা স্থল বন্দরে আমদানী-রপ্তানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সিএন্ডএফ এজেন্ট এমপ্লয়ী কার্গো ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির কারনে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর ফলে সোমবার সকাল থেকে এখনও পর্যন্ত ভোমরা বন্দরে কোন পন্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করেনি। সে দেশের ঘোজাডাঙ্গা ল্যান্ড কাষ্টমস ষ্টেশনের অশোভনীয় আচরন ও অন্যায় দাবীর প্রতিবাদে সিএন্ডএফ এজেন্ট এমপ্লয়ী কার্গো ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন এ কর্ম বিরতির ডাক দিয়েছেন বলে তারা এক পত্রে ভোমরা স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনকে জানিয়েছেন। এর ফলে দুদেশের জিরো পয়েন্টে প্রায় ৫ শতাধিক আমদানিপন্যবাহী ট্রাক মাল খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। আর আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সরকার হারাবে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।
ভোমরা স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু জানান, ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সিএন্ডএফ এজেন্ট এমপ্লয়ী কার্গো ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মিহির ঘোষ স্বাক্ষরিত এক পত্রে জানানো হয়েছে, সে দেশের ল্যান্ড কাষ্টমস ষ্টেশনের আধিকারিকদের অশোভনীয় আচরন ও অন্যায় দাবীর প্রতিবাদে সিএন্ডএফ এজেন্ট এমপ্লয়ী কার্গো ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সকল সদস্যদের সর্ব সম্মতি সিদ্ধান্ত অনুসারে আজ সোমবার (০৫.০২.১৮ তারিখ) থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্ম বিরতির পালন করা হবে। তিনি আরো জানান, এতে তারা ভোমরা সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। এর ফলে সে দেশের এ্যাসোসিয়েশনের সকল সদস্য আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করায় আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। আর এই অনির্দিষ্ট কালের কর্মবিরতির কারনে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে।
ভোমরা শুল্ক ষ্টেশনের সহকারি কমিশনার রেজাউল হক জানান, ভারতের ব্যাবসায়িদের সাথে সে দেশের কাষ্টমের অভ্যন্তরীন দ্বন্দের কারণে দুই দেশের আমদানি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হামিদকে জাপার সমর্থন

ডেস্ক রিপোর্ট:
২৩তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বর্তমান রাষ্ট্রপতি ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আবদুল হামিদকে সমর্থন দিয়েছে জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)।
সোমবার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের প্রেসিডেয়াম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জাপা প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। জাপার প্রেসিডিয়াম সভায় উপস্থিত নেতারা। শেষে সাংবাদিকদের জানানো হয়, সভায় আগামী ২৪ মার্চ ঢাকায় মহাসমাবেশ করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া এপ্রিলে লং মার্চ, রোড মার্চ, লঞ্চ মার্চ এবং রেল মার্চ করবে জাতীয় পার্টি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৫ বিদেশি ফুটবলারসহ গ্রেফতার ৭

ক্রীড়া ডেস্ক:
প্রতারণার অভিযোগে পাঁচ নাইজেরীয় ফুটবলারসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। রোববার ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সিআইডির সহকারী কমিশনার শারমিন জাহান বলেন, ওই বিদেশিরা ফুটবলাররা হিসেবে বাংলাদেশে এসে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা ও অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে বলে তথ্য আছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সিআইডি সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শতকোটি টাকার অনিয়ম তদন্তে দুদক

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম, কলেজ র‌্যাংকিংয়ের নামে দুর্নীতি, ফলাফল কেলেঙ্কারিসহ কয়েকডজন অভিযোগ তদন্ত করতে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তর মূল্যায়নের ক্ষেত্রে দ্বৈত পরীক্ষক পদ্ধতি চালু আছে। দুই পরীক্ষকের মধ্যে ২০ নম্বরের বেশি হলে তৃতীয় পরীক্ষক দিয়ে খাতা মূল্যায়ন করা হয়। কিন্তু ক্র্যাশ প্রোগ্রামের নামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে একক পদ্ধতি চালু করা হয়েছে ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে। এতে ২৫০-৩০০ খাতা মূল্যায়নে জন্য একজন পরীক্ষককে সময় দেয়া হয় ১০-১২ দিন। এভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সবাইকে পরীক্ষার্থী বানিয়ে ফেলেছে। আর কর্তৃপক্ষ দাবি করছে সেশন জট কমানোর।

২০১৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কেনাকাটা, ফলাফল জালিয়াতির তদন্ত রিপোর্ট, নিয়োগ, অনুষ্ঠানের খরচ, বোনাস ও সিটিং অ্যালাউন্স ভাউচার, অনার্স, মাস্টার্স কোর্স চালু ও কলেজ র‌্যাংকিং নীতিমালাসহ আরও অনেক তথ্য চেয়েছে দুদক। ১২ ক্যাটাগরিতে চাওয়া প্রায় শতাধিক তথ্য কার্টন ভর্তি করে ইতোমধ্যে দুদকের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় ধরনের আর্থিক অনিয়ম, শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সরকারের রাজস্ব ক্ষতির প্রমাণ পায় রাজস্ব হিসাব নিরীক্ষা অধিদপ্তর। সরকারের বার্ষিক অডিটে ধরা পড়ে ১০৪ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি, অনিয়ম ও হিসাবের গরমিল। অডিট রিপোর্টে আপত্তি তোলা হয়েছে অন্তত ৪১টি আর্থিক খাতে।

যেখানে ভিসিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের ক্যাম্পাসের বাইরে বাড়ি ভাড়া, অতিরিক্ত গাড়ির জ্বালানি খরচ, ক্যাম্পাসবহির্ভূত স্থানে গবেষণা কেন্দ্রের ব্যয়, ভূমি রেজিস্ট্রেশনে অতিরিক্ত আর্থিক ক্ষতি, আইন লঙ্ঘন করে গাড়ি কেনা, অনিয়ম, জমির অনিয়মিত নামজারিতে অস্বাভাবিক অর্থ ব্যয়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আপত্তি তোলা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৭ই জানুয়ারি দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব তথ্য চাওয়া হয়। আর দুদকের সহকারী পরিচালক মো. হাফিজুর রহমানকে অনুসন্ধান টিমের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি কয়েকটি কার্টন ভর্তি করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুদকে তথ্য দিয়েছে।

অপরদিকে গত ডিসেম্বর মাসে ১০৪ কোটি টাকার অডিট আপত্তির তদন্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একটি টিম। কমিশনের সদস্য প্রফেসর শাহনেওয়াজ আলীর নেতৃত্বে এই টিম ইউজিসি’র চেয়ারম্যানের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ইউজিসি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তদন্ত প্রতিবেদন আমার কাছে জমা পড়েছে। কিন্তু সেখানে কী আছে তা বলা যাবে না।

দুদকের কাছে দেয়া অভিযোগের মধ্যে আছে, প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে নীতিমালা না মানা, ফলাফল কেলেঙ্কারি, বিভিন্ন ভবন নির্মাণ ও কেনাকাটায় পুকুরচুরি, ধানমন্ডিতে বাড়ি কেনায় অনিয়ম, বিভিন্ন সিটিং অ্যালাউন্স, বোনাসের অর্থ অপচয়, বিভিন্ন কমিটি, উপ-কমিটির জন্য ব্যয়কৃত অর্থের হিসাবে গরমিল, কলেজ র‌্যাংকিং, অনার্স-মাস্টার্স কোস খোলার নামে বাণিজ্য।

দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সব ধরণের কেনাকাটা, ভবন নির্মাণসহ আর্থিক সংশ্লিষ্ট সব ধরণের তথ্য নেয়া হবে। সেখান থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সামনে এনে তদন্তে নামবে সংস্থাটি। এসব অভিযোগ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক অডিটে ১০৪ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি, অনিয়ম ও হিসাবের গরমিল পাওয়ার সরকারি অডিট অধিদপ্তরের প্রতিবেদনটি আমলে নিবে দুদক।
দুদকে আসা অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ধানমন্ডিতে প্রায় ১০০ কোটি টাকায় কেনা বাড়ি নিয়ে আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। বাড়িটি প্রথমে ৭০ কোটি টাকায় কেনার সিদ্ধান্ত হলেও ভিসি’র নিকটাত্মীয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার এবং প্রকৌশল দপ্তরের পরিচালক মিলে সেটি ৯০ কোটি টাকায় দলিল করেন। সেখান থেকে বড় অংকের একটি কমিশন চলে যায় সংশ্লিষ্টদের পকেটে। রেজিস্ট্রি বাবদ ৫ লাখ টাকা খরচ হওয়ার কথা থাকলেও সেটি করা হয় ২৫ লাখ টাকায়। এছাড়াও এই বাড়িতে চারতলায় উঠার জন্য বাড়ির ডিজাইনের বাইরে নতুন করে ক্যাপসুল টাইপের লিফট বসানো হয়। এই লিফটের বাজার মূল্য ২৫ লাখ টাকা হলেও খরচ দেখানো হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা। বাড়ি সংস্কারের নামে বড় অংকের টাকা খরচ দেখানো হয়েছে যা অপচয় হিসেবে দেখছেন সরকারি অডিট বিভাগ। রাজধানীর আগারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের জায়গায় টুইন টাওয়ার নির্মাণের জন্য ১০ কোটি টাকায় কনসালটেন্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এই কনসালটেন্ট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি বর্তমানে ওআইসি পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মুনাজ আহমেদ নূরের সম্পর্কিত একটি ফার্মকে দিয়ে।
বোনাস ও সিটিং অ্যালাউন্সে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এসেছে দুদকের কাছে। সেখানে বলা হয়, অফিস সময়ে ভিসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা মিটিং করার নামে ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত সিটিং অ্যালাউন্স নেন। দিনে গড়ে ৪টা পর্যন্ত মিটিং এ অ্যালাউন্স নেয়ার নজির আছে। মূনাজ আহমেদ থাকাকালীন এই প্র্যাকটিস শুরু হয় যা এখন চলছে। এছাড়া অনুষ্ঠান-নির্ভর হয়ে পড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বাবদ খরচ, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের বরাদ্দ ভাউচার ও পরিশোধের সব কাগজপত্র দুদকের পক্ষ থেকে চাওয়া হয়েছে। দুদকের কাছে অভিযোগে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর প্রোগ্রামে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের ভাড়াবিহীন হলেও শুধু কমিশন খাওয়ার জন্য প্রতিবারই ভাড়া পরিশোধ করা হয়েছে বলে ভাউচার দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে তার বেশির ভাগ কর্তৃপক্ষ দিয়েছে। বাকি কিছু তথ্য প্রধানমন্ত্রীর প্রোগ্রাম থাকায় তারা সময় নিয়েছেন। আমাদের হাতে আসা তথ্যগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বাকি তথ্য পেলে এটা নিয়ে কাজ শুরু করবো।
সারাদেশে ৬টি আঞ্চলিক কেন্দ্র নির্মাণের বড় ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারি অভিযোগ উঠেছে। সেই আঞ্চলিক কেন্দ্র নির্মাণের তথ্য চাওয়া হয়েছে দুদকের পক্ষ থেকে। দুদকের কাছে অভিযোগে বলা হয়, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রকৃত ব্যয়ের চেয়ে ৩/৪ গুণ বেশি দেখিয়ে টাকা লোপাটের হিড়িক চলছে। ব্যান্ডউইথ কেনার নামে দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, টিএন্ডটি থেকে ৪০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ দিয়ে চলছিল। কিন্তু তৎকালীন একজন প্রো-ভিসি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ কেনা হয়। এটা কেনার পেছনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল এবং অনলাইন কার্যক্রম জোরদারের কথা বলা হয়েছে। বেসরকারি ১০০ ব্যন্ডউইথের ডাটার জন্য টিএন্ডটির মেইন সার্ভার দিয়ে ইন-আউট করে। এতে ৪০ ব্যান্ডউইথের বেশি খরচ হয় না। বাকিটা ব্যান্ডউইথ দিয়ে আইটি শাখার লোকজন বাণিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে। কম্পিউার কেনাকাটা, ডাটা রিকভারি সেন্টার নির্মান, ইন্টিগ্রেটেড সফ্‌টওয়ার, ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স মেশিন, আর্চওয়ে ও সিসিটিভি, ইন্টারনেট ওয়াইফাই, লিফ্‌ট কেনাকাটায় অনিয়ম হয়েছে। এসব জিনিসপত্র কেনাকাটায় সব ভাউচার চাওয়া হয়েছে দুদকের পক্ষ থেকে। অভিযোগে আরো বলা হয়, রাজধানীর ৭টি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হলেও নানাভাবে অসহযোগিতা করার অভিযোগ ওঠে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি’র বিরুদ্ধে। তার অনুমতি ব্যতীত কোনো তথ্য ঢাবিকে না দেয়ার কথা বলা হয় সব শাখাকে।
সেশনজট দূর করতে নেয়া ক্র্যাশ প্রোগ্রামে দ্রুত সময়ে পরীক্ষা ও ফল প্রকাশের অন্তরালে চলে অন্য বাণিজ্য। এই ফল প্রকাশের বিভিন্ন সময় জালিয়াতি করতে গিয়ে ধরা খায় কর্মকর্তারা। দেশের বিভিন্ন কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালুর নামে টাকা খাওয়ার হিড়িক উঠেছে। ক্লাস না করেও টিউটোরিয়াল ২০ নম্বরের মধ্যে ১৮-১৯ নম্বর দেয়া হচ্ছে। এটির সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সিন্ডিকেট জড়িত। কলেজ র‌্যাংকিং নামে নতুন পদ্ধতিতে প্রায় সব বড় কলেজগুলোতে নম্বর বেশি দেয়ার এক ধরনের অসৎ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। যারা যত নম্বর বেশি দিবে তারাই র‌্যাংকিং-এ এগিয়ে থাকবে। এভাবে সিদ্ধেশ্বরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসহ কয়েকটি নামহীন কলেজকে তালিকাভুক্ত করার অভিযোগ রয়েছে। কলেজগুলো ওই তালিকা ভাঙ্গিয়ে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়, ব্যানার ফেস্টুন তৈরি করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এমসিকিউ তুলে দেয়া হচ্ছে

প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চেনস-এমসিকিউ) তুলে দেয়া হচ্ছে।পাবলিক পরীক্ষায় অনিয়ম-দুর্নীতি কমাতে এর আগে দুই দফায় ১০ নম্বর করে এমসিকিউ প্রশ্ন কমানো হয়। এবার এ প্রশ্নপদ্ধতি পুরোপুরি তুলে দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মূলত প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে এমসিকিউ রাখা হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের মেধার সঠিক মূল্যায়ন করতে শতভাগ লিখিত ‘সৃজনশীল প্রশ্নে’ (সিকিউ) পরীক্ষা নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে বড় আকারের সেমিনার আয়োজন করে সেখানে সবার মতামত নিয়ে তা চূড়ান্ত করা হবে।

উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিদেশীদের পরামর্শে এমসিকিউ পদ্ধতি চালুর সিদ্ধান্ত হয় ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে। সব প্রস্তুতি শেষ করে ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষায় প্রথমবারের মতো প্রতি বিষয়ে ৫০ নম্বরের এমসিকিউ চালু হয়।

গত কয়েকবছর যাবত বলা হচ্ছে এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে প্রকৃত মেধা যাচাই হচ্ছে না। এ ছাড়া ভালো ফল করতে অনেক শিক্ষক টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার হলেই শিক্ষার্থীদের সরাসরি অথবা বোর্ডে উত্তর লিখে দিচ্ছেন। আবার সঠিক উত্তরসহ প্রশ্নপত্র আগেভাগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর তা পেয়ে শিক্ষার্থীদের নম্বর পাওয়া সহজ হচ্ছে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চলমান এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচকভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গঠিত ‘জাতীয় মনিটরিং এবং আইন-শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি সভায় এমসিকিউ পদ্ধতি তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ বিষয়ে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী বলেন, এমসিকিউ পদ্ধতি নিয়ে শিক্ষাবিদদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, এটা ২০১৭ থেকে বন্ধ করা হবে। তখন ১০ নম্বর কমানো হয়। শিক্ষাবিদদের নিয়ে সেমিনার করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, শতভাগ সৃজনশীল প্রশ্ন থাকলে ফেসবুকে আর উত্তর লিখে দেয়ার সুযোগ থাকবে না। মেধারও সঠিক মূল্যায়ন হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এমসিকিউ তুলে দিতে আমিই সভায় প্রস্তাব করি। তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।

১৯৯২ খ্রিস্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষায় প্রতি বিষয়ে ৫০ নম্বরের এমসিকিউ চালু করা হয়। বাকি ৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা (সিকিউ)। ৫০ নম্বরের এমসিকিউ উত্তর দিতে প্রতি বিষয়ে ৫০০টি এমসিকিউ প্রশ্ন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। যার নাম ছিল প্রশ্নব্যাংক। ৫০ নম্বরের উত্তর দিতে শিক্ষার্থীরা ৫০০ এমসিকিউ মুখস্ত করে পরীক্ষায় বসত। তখন এমসিকিউ ও সিকিউ মিলে ৩৩ নম্বর পেলেই পাস করত। ফলে শিক্ষার্থীরা রচনামূলক অংশের লেখাপড়া বাদ দিয়ে শুধু ৫০০ এমসিকিউ মুখস্থ করত। এতে পাসের হার রাতারাতি বাড়তে থাকে। এতে শিক্ষার মান নামতে শুরু করে। এ অবস্থায় ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে নির্ধারিত ৫০০ নম্বরের এমসিকিউ তুলে দেয়। তবে , এতেও কিছু হয়নি। এমসিকিউর উত্তর পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীদের বলে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে থাকে। পরে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে এমসিকিউর পূর্ণ নম্বর ৫০ থেকে কমিয়ে ৪০ করা হয়। কিন্তু পরীক্ষার হলে শিক্ষকদের এমসিকিউর উত্তর বলে দেওয়ার প্রবণতা কমেনি। নকল ঠেকাতে কেন্দ্র বিনিময় বিনিময় প্রথা ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক উত্তর বলে দেওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় এমসিকিউ প্রশ্ন কমিয়ে ৩০-এ নামিয়ে আনা হয়। চলমান এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে নানা উদ্যোগের পরও বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ প্রশ্ন উত্তরসহ ফাঁস হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest