সর্বশেষ সংবাদ-
দৈনিক সাতনদী সম্পাদক হাবিব কারাগারেমুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‌্যালি ও আলোচনাসভাসাংবাদিক টিপুকে কারাদ্বন্ডাদেশ দেওয়া ইউএনও শেখ রাসেল রংপুর বিভাগে বদলীদেবহাটায় বাবার সঙ্গে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে ছেলের মৃত্যুবেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরায় সাতক্ষীরা জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের শুভেচ্ছাপ্রযুক্তির সহায়তায় নারী ক্ষমতায়নে ফ্রিল্যান্সর প্রশিক্ষন শেষে ল্যাপটপ বিতরণদেবহাটার রুপসী ম্যানগ্রোভ পরিদর্শনে হাইকোর্টের বিচারপতি মাহমুদুল হকবুধবার কপিলমুনিতে তাফসীরুল, কোরআন মাহফিল ঘিরে সাজসাজ রববাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে উঠলো সাতক্ষীরার আমতালায় এক মহিলার লাশ উদ্ধার

160827122548_tamim_chowdhury_narayanganj_house_640x360_unk_nocreditস্বদেশ: পুলিশ কর্মকর্তারা বেশ কিছুদিন ধরেই বলে আসছেন, ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার মাস্টারমাইন্ড বা মূল পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন এই বাংলাদেশী-বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান তামিম চৌধুরী – যিনি গতকাল নারায়ণগঞ্জে এক পুলিশী অভিযানে নিহত হয়েছেন।
বাংলাদেশের পুলিশ মহাপরিদর্শক শহিদুল হক বলেছেন, তামিম চৌধুরী নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন জামা’তুল মুজাহিদীনের ‘নব্য’ অংশের নেতা।
তা ছাড়া কোনো কোনো গবেষকের মতে তিনিই ইসলামিক স্টেটের মুখপত্র দাবিক-এ সাক্ষাৎকার প্রদানকারী শেখ আবু ইব্রাহিম আল-হানিফ। তাকে নিয়ে এর মধ্যে বহু আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রে রিপোর্ট বের হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে যতটুকু জানা যায় তামিম চৌধুরীর জন্ম ১৯৮৬ সালে। তার পিতামাতা বাংলাদেশের সিলেটের বিয়ানিবাজারের বাসিন্দা ছিলেন, ১৯৭১এর পরে তারা কানাডা প্রবাসী হন। কানাডার ওন্টারিওর উইন্ডসর শহরে বড় হন তামিম এবং সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই স্নাতক ডিগ্রি নেন।
উইন্ডসরে যারা তামিমকে চিনতেন তারা তাকে ‘শান্ত স্বভাবের’ বলে বর্ণনা করেছেন।
এর পর তিনি ক্যালগারি শহরে চলে যান এবং সম্ভবত সেখানেই ইসলামী উগ্রপন্থার সাথে জড়িত একটি গোষ্ঠীর সাথে তার ঘনিষ্ঠতা হয় – বলেন ডালহাউসি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণাকেন্দ্রের ফেলো অধ্যাপক অমরনাথ অমরাসিংগম।
অমরাসিংগম সিরিয়ায় যাওয়া কানাডীয় জিহাদিদের সম্পর্কে গবেষণা করেছেন। তিনি বলেন, সম্ভবত ২০১২ সালে তামিম চৌধুরী সিরিয়ায় যান। তার মতে, কানাডা থেকে অন্তত ১৮০ জন অন্য দেশে গিয়ে জঙ্গী তৎপরতায় জড়িত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন সিরিয়ায় নিহতও হয়েছেন। অমরাসিংগম লিখেছেন, সরাসরি বলা না হলেও তথ্যভিত্তিক অনুমান করা চলে যে তামিম চৌধুরী এবং আবু ইব্রাহিম আল-হানিফ একই লোক। পরের বছরই ২০১৩ সালের অক্টোবরে তামিম চৌধুরী বাংলাদেশে আসেন। জানা যায়, তার আগে তিনি কানাডায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ‘হয়রানির’ শিকার হন।
বাংলাদেশে এসে তামিম চৌধুরী জামা’তুল মুজাহিদীনের একটি অংশকে নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে জানা যায়। উল্লেখ্য জেএমবিকেই বাংলাদেশের একমাত্র সহযোগী এবং ‘প্রকৃত জিহাদি সংগঠন’ বলে মনে করে ইসলামিক স্টেট – এ কথা একাধিকবার তাদের মুখপত্র ‘দাবিক’এর নানা নিবন্ধে লেখা হয়েছে। এ বছরই এপ্রিল মাসে ‘দাবিক’-এ এক সাক্ষাৎকারে আবু ইব্রাহিম আল-হানিফ বলেন, তারা বাংলাদেশকে ‘ক্লেদ’ থেকে ‘পরিশুদ্ধ’ করার কাজ করছেন। ‘দাবিক’-এর ওই সাক্ষাৎকারে আল-হানিফকে বেঙ্গল-এ ইসলামিক স্টেট বা ‘খিলাফাহ’র সৈন্যদের আমির বা নেতা’ বলে পরিচয় দেয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, ইসলামিক স্টেট ‘বেঙ্গল’কে কৌশলগত অবস্থানের কারণে খেলাফত ও বৈশ্বিক জিহাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এবং তারা জিহাদের মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে বার্মা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে ‘মুক্ত’ করতে চায়। দু’বছর আগে থেকে এ সময় পর্যন্ত বাংলাদেশে একাধিক আক্রমণের ঘটনায় সংখ্যালঘু, লেখক, প্রকাশক, ব্লগার, অধ্যাপক, সমকামী অধিকারকর্মী, এবং বিদেশী নাগরিককে হত্যা করা হয়।
এর পর গুলশানের হোলি আর্টিজানে হামলায় জঙ্গীদের হাতে নিহত হন ১৭ জন বিদেশীসহ মোট ২০ জন। সেখানে পুলিশের অভিযানে আক্রমণকারীরা সবাই নিহত হয়। পুলিশের মহাপরিদর্শক শহিদুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে তামিম চৌধুরীকে গুলশান ও শোলাকিয়ায় ঈদের দিনের হামলার পেছনে মূল ব্যক্তিদের অন্যতম বলে উল্লেখ করেন।
তাকে এবং সেনাবাহিনীর বরখাস্তকৃত মেজর জিয়াউল হককে ধরিয়ে দেবার জন্য ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

খেলাধুলো: ফ্লোরিডায় প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছুড়ে দেওয়া ২৪৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দারুণ খেলে ভারত।

রোহিত শর্মা আর লোকেশ রাহুলের ব্যাটিং দৃঢ়তায় জয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন ধোনি-কোহলিরা। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ২৪ রান। হাতে ৭ উইকেট।

ক্রিজে আছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহেন্দ্র সিং ধোনি ও খুনে মেজাজে থাকা লোকেশ রাহুল।

আইপিএলে দারুণ বোলিং করা আন্দ্রে রাসেল ১৯তম ওভারে বল হাতে আসেন। তার ওভারে ধোনি ও রাহুল মিলে ১৬ রান নেন। জয়টা তখন ভারতের হাতের নাগালে। কারণ, জয়ের জন্য শেষ ৬ বলে তাদের প্রয়োজন ৮ রান। টি-টোয়েন্টিতে যা মামুলি ব্যাপার।

বল হাতে আসেন ডোয়াইন ব্রাভো। তাকে খেলতে ধোনি ও রাহুলের বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল। তার পাঁচ বলে কোনোমতে ৬ রান নিলেন ধোনি ও রাহুল। জয়ের জন্য শেষ বলে ২ রান প্রয়োজন। ১ রান হলে ম্যাচ চলে যাবে টাইব্রেকার তথা সুপার ওভারে। স্ট্রাইকে ভারতের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ধোনি। তার উপর ভারতের সমর্থকদের আগাধ আস্থা। আর যাইহোক ধোনি ভুলচুক করবেন না।

ব্রাভো বেশ সময় নেন শেষ বলটি করতে। আস্তে আস্তে দৌড়ে স্লোয়ার ডেলিভারি দেন। সামান্য উঁচু হয়ে আসা বলটি ধোনি স্লাইস করে ২ রান নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার প্লেসমেন্ট ভালো হয়নি। বল চলে যায় থার্ডম্যানে দাঁড়িয়ে থাকা স্যামুয়েলসের কাছে। আগেরবার ধোনির ব্যাট থেকে ঘূর্ণি বেগে আসা বলটি হাত ফসকে গেলেও এবার আর সেই ভুল করেননি স্যামুয়েলস। বলটি ঠাণ্ডা মাথায় তালুবন্দি করেন। অবশ্য বলটি ধরতে তাকে কোনো বেগই পেতে হয়নি।

দৌড় শুরু করে ধোনি হতাশায় মুষড়ে গেলেন। ডাগআউটে ভারতের খেলোয়াড়রা দাঁত দিয়ে নখ কাঁটতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। আর ব্রাভো তার জনপ্রিয় গান ‘চ্যাম্পিয়ন’ এর ছন্দে নাচতে শুরু করলেন। কারণ, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে তারা যে মাত্র ১ রানে জয় পেয়েছে। তাও আবার ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে। টেস্টে যাদের বিপক্ষে নাস্তানাবুদ হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ২৪৫/২০ (লিউইস ১০০, চার্লস ৭৯; বুমরাহ ৪-০-৪৭-২)

ভারত : ২৪৪/২০ (রাহুল ১১০*, রোহিত ৬২; ব্রাভো ৪-০-৩৭-২ )

ফল : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ রানে জয়ী

ম্যাচসেরা : এভিন লিউইস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

সিরিজ : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

F-02স্বদেশ: গুলশান, শোলাকিয়া ও কল্যাণপুর ঘটনার দুই মাস্টারমাইন্ডের একজন কানাডা প্রবাসী তামিম চৌধুরী নিহত হওয়ার পর টার্গেট এখন পলাতক মেজর জিয়া। গতকাল নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় ‘হিট স্ট্রং-টোয়েন্টি সেভেন’ নামের অভিযানে দুই সহযোগীসহ নিহত হয় তামিম। সম্প্রতি মেজর জিয়া ও তামিম চৌধুরীকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ সদর দফতর।
কে এই জিয়া : জিয়াউল হকের পুরো নাম সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক। বাবার নাম সৈয়দ মোহাম্মদ জিল্লুল হক। বাড়ি মৌলভীবাজারের মোস্তফাপুরে। সর্বশেষ ব্যবহূত বর্তমান ঠিকানা পলাশ, মিরপুর সেনানিবাস, ঢাকা। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) আধ্যাত্মিক নেতা জসীমুদ্দিন রাহমানীকে গ্রেফতারের পর এবিটির শীর্ষ সংগঠক, সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হকের নাম জানতে পারেন গোয়েন্দারা। দেশে ব্লগার, প্রকাশক, মুক্তমনা লেখকসহ অন্তত নয়জনকে টার্গেট করে হত্যার নেপথ্যে ছিলেন মেজর জিয়া।
আরও কয়েকজনকে হত্যাচেষ্টা পরিকল্পনার সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। গোয়েন্দাদের ধারণা, আশপাশের দেশের কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গেও তার যোগাযোগ রয়েছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার পাশাপাশি সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গুপ্তহত্যাসহ নানা পরিকল্পনার নেপথ্যে রয়েছেন তিনি। গত তিন বছরে তার তত্ত্বাবধানে এবিটির অন্তত আটটি স্লিপার সেল তৈরি হয়েছে। প্রতিটি সেলের সদস্য সংখ্যা চার থেকে পাঁচজন। সেই হিসাবে অন্তত ৩০ জন দুর্ধর্ষ ‘স্লিপার কিলার’ জঙ্গি তৈরি করেছেন মেজর জিয়া। তারাই ব্লগার, প্রকাশক, মুক্তমনা ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের হত্যা করেছে। গোয়েন্দারা নিশ্চিত, গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার মাস্টারমাইন্ডদের একজন হলেন এই জিয়া। মূলত সেনাবাহিনীতে একটি ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টার পরই ২০১২ সালে আলোচনায় আসেন মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক। অভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর থেকেই জিয়ার আর কোনো সন্ধান মেলেনি।
জিয়াকে ধরতে সেই সময় পটুয়াখালী শহরের সবুজবাগ এলাকায় জিয়ার শ্বশুর মোখলেছুর রহমানের বাসায় দফায় দফায় অভিযান চালায় পুলিশ। রাজধানীর কয়েকটি স্থানেও জিয়ার খোঁজে চলে অভিযান। কিন্তু আজও জিয়া রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। মেজর জিয়ার শাশুড়ি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা হামিদা বেগম সেই সময় গণমাধ্যমকে জানান, জিয়া পটুয়াখালীর বাসায় কখনো আসেননি।
ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের তদন্ত দ্রুত শেষ করার জন্য সেই সময় সেনাবাহিনীতে মোট ৬টি তদন্ত আদালত কাজ শুরু করে। একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের তদন্ত আদালত কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সমন্বয়ের কাজে যুক্ত ছিলেন। লে. কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তার নেতৃত্বে ৩ সদস্য করে ঢাকার বাইরে আরও পাঁচটি তদন্ত আদালত তখন গঠন করা হয়েছিল। সেই সময় সেনাবাহিনীর সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মেজর জিয়া হিযবুত তাহ্রীরের সঙ্গে জড়িত।
পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ‘ডন’-এর খবর অনুযায়ী, গত বছরের ৯ জানুয়ারি করাচিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে এক বন্দুকযুদ্ধে এজাজসহ আল-কায়েদার চার জঙ্গি নিহত হয়। ওই খবরে এজাজ ওরফে সাজ্জাদকে একিউআইএসের কমান্ডার বলে উল্লেখ করা হয়। পরে বাংলাদেশের জঙ্গিবাদবিরোধী কার্যক্রমে যুক্ত গোয়েন্দারা এজাজ নিহত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হন। এজাজের মৃত্যুর পরে আনসারুল্লাহ নতুন নেতৃত্বে পুনর্গঠিত হয়। জসীমুদ্দিন রাহমানীর স্থলে তাত্ত্বিক নেতা হন পুরান ঢাকার ফরিদাবাদের এক মাদ্রাসা শিক্ষক। আর সামরিক শাখার নেতৃত্বে আসেন মেজর (বহিষ্কৃত) সৈয়দ মো. জিয়াউল হক। বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, মেজর জিয়া আগে থেকেই উগ্র গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মুফতি জসীমুদ্দিন রাহমানী গ্রেফতার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, ধরা পড়ার আগে তিনি একাধিকবার ঢাকা ও চট্টগ্রামে মেজর জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1472303024স্বদেশ: প্রেমঘটিত কারণে মেয়ের প্রেমিককে গলা কেটে হত্যা করেছেন এক বাবা। নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার চকাবির গ্রামে গত বৃহস্পতিবার রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের প্রেমিকার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বাবাকে আটক করে পুলিশ। এরপর প্রেমিকার বাবা মোহাম্মদ আলম পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এরপর পুলিশ প্রেমিকার বাবাসহ স্কুলছাত্র আহসান হাবিব বিদ্যুতের খুনের সঙ্গে জড়িত অপর তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। নওগাঁর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোজাম্মেল হক আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে লোমহর্ষক এই হত্যাকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, শ্বশুরের লাশ পৃথিবীতে রেখেই প্রেমিকার বাবা মোহাম্মদ আলম নিজেই গলা কেটে স্কুলছাত্র বিদ্যুৎকে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডে একই গ্রামের বুলু, তছলিম এবং আমজাদ আলমকে সহযোগিতা করে।
জিজ্ঞাসাবাদের কথা উল্লেখ করে মো. মোজাম্মেল হক জানান, বদলগাছি উপজেলার কোলা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আহসান হাবিব বিদ্যুৎ চকাবির গ্রামে নানাবাড়ি থেকে বালুভরা উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ত। একপর্যায়ে ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলমের নবম শ্রেণি পড়ুয়া একমাত্র মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। এ সম্পর্কের কথা মোহাম্মদ আলম সম্প্রতি জেনে গিয়েছিলেন।
এর মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদ আলমের শ্বশুর মারা গেলে তাঁর স্ত্রীসহ পরিবারের সবাই সেখানে চলে যায়। পরীক্ষার জন্য তাঁর নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে তখন বাড়িতেই ছিল। এ সময় বাড়ি ফাঁকা পেয়ে মেয়ে মোবাইল ফোনে প্রেমিক বিদ্যুৎকে ডেকে আনে। এর মধ্যে কোনো কাজে বাড়ি ফিরে আসেন মোহাম্মদ আলম। এসে মেয়ের শয়নকক্ষে অন্য কণ্ঠ শুনতে পেয়ে নিশ্চিত হন ঘরের মধ্যে কেউ আছে।
এরপর জোরপূর্বক মেয়েকে পাশের চাচার বাড়িতে রেখে আলম একই গ্রামের বুলু, তছলিম ও আমজাদকে সঙ্গে নিয়ে মেয়ের ঘরের খাটের নিচে লুকিয়ে থাকা বিদ্যুৎকে বের করে মাঠের মধ্যে নিয়ে যান। সেখানে বুলু পা এবং তছলিম ও আমজাদ দুই হাত এবং মাথা ধরে রাখে। পরে আলম ছুরি দিয়ে বিদ্যুৎকে গলা কেটে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডের পর আলম তাঁর তিন সহযোগীর সঙ্গে বিল পার হয়ে হেঁটে শ্বশুড়বাড়ি চলে যান।
পরদিন সকালে বাড়ির পাশের মাঠে বিদ্যুতের লাশ পাওয়ার পর আলমের মেয়ে নিশ্চিত হয় যে তার বাবাই বিদ্যুৎকে হত্যা করেছেন। এরপর পুলিশ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্তে এলে মেয়ে বাবার বিচার দাবি করে। মেয়ের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোহাম্মদ আলমকে আটক করা হলে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে খুনের বিবরণ দিয়ে জবানবন্দি দেন। পরে তাঁর জবানবন্দির পরিপ্রেক্ষিতে হত্যাকাণ্ডে অপর তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1472302066-Maradona-2খেলাধুলো: ডিয়েগো জুনিয়রের বাবার নাম শুনলে চমকে ওঠার কথা। আর কেউ নন, স্বয়ং আর্জেন্টিনার ফুটবল-ঈশ্বর ডিয়েগো ম্যারাডোনা। তবে ছেলেকে এতদিন স্বীকৃতি দেননি ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার। অবশেষে মন গলেছে ম্যারাডোনার, ছেলেকে জড়িয়ে কেঁদে ভাসিয়েছেন তিনি।
আশির দশকে ইতালির নাপোলি ক্লাবে খেলার সময় ক্রিস্তিনা সিনাগ্রা নামে এক মডেলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ম্যারাডোনার। সেই সম্পর্কের জেরে ১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বরে জন্ম হয়েছিল ডিয়েগো জুনিয়রের। ইতালির একটি আদালত ম্যারাডোনার ছেলে হিসেবে স্বীকৃতিও দিয়েছেন তাঁকে। কিন্তু বিখ্যাত বাবার স্বীকৃতিই এতদিন পাননি। এমনকি ডিএনএ পরীক্ষা করতেও রাজি হননি আর্জেন্টিনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক।
শেষ পর্যন্ত যে স্বীকৃতি পেলেন, সে জন্য সবচেয়ে বেশি অবদান ম্যারাডোনার বর্তমান প্রেমিকা রোসিও অলিভার। সম্প্রতি একটি নাচের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুয়েনস আইরেসে গিয়েছিলেন ডিয়েগো জুনিয়র। তখনই তাঁকে বাসায় ডিনারে আমন্ত্রণ জানান অলিভা। ম্যারাডোনার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের মেয়ে জানাকেও নিমন্ত্রণ করেছিলেন তিনি। ২০ বছর বয়সী জানার মা ভ্যালেরিনা সাবালাইনও আদালতের মাধ্যমে মেয়ের স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছেন।
নিজের বাসায় ছেলেমেয়েকে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ম্যারাডোনা। বিশেষ করে ডিয়েগো জুনিয়রকে দেখে নিজেকে সামলাতে পারেননি তিনি। ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘ছেলেকে পেয়ে আজ আমি ভীষণ খুশি। আমি তাকে ভালোবাসি আর সে অনেকটা আমার মতোই।’
সাবেক স্ত্রী ক্লদিয়া ভিল্লাফেনের ঘরে দালমা ও জিয়ান্নিনা নামে দুই মেয়ে আছে ম্যারাডোনার। সাবেক প্রেমিকা ভেরোনিকা ওহেদাও একটি ছেলেসন্তান উপহার দিয়েছেন তাঁকে। ডিয়েগো ফার্নান্দো নামের ছেলেটির বয়স তিন বছর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

PIC_Sunil Banerjeeডেইলি সাতক্ষীরা ডেস্ক: ২৮ অগাস্ট। বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক সুনীল ব্যানার্জি দশম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৪৭ সালের ২০ এপ্রিল সাতক্ষীরা শহরের এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭৩ সাল থেকে প্রত্যক্ষভাবে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত ছিলেন। বিসিএস পাশ করেও ক্যাডার সার্ভিসে যোগ দেননি সুনীল ব্যানার্জি। এমন কী এল.এল.বি পাশ করে স্বাধীন আইন পেশায় যোগ না দিয়ে সাংবাদিকতাকেই তিনি পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত তিনি অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলায় সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর সর্বশেষ কর্মস্থল ছিল দৈনিক জনকণ্ঠ। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন অনুসন্ধানী রির্পোট লিখে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। ২০০৬ সালে একুশে গ্রন্থ মেলায় সুনীল ব্যানার্জির লিখিত বই ‘সাংবাদিকতায় বিড়ম্বনা’ পাঠক মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য, ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির আজীবন সদস্য ও কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর কার্যনির্বাহী পরিষদের একজন সদস্য ছিলেন। অবিভক্ত সাংবাদিক ইউনিয়নের সাথেও তিনি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। গত ২০০৬ সালের ২৮ অগাস্ট ভোররাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরস্থ নিজ বাসভবনে তাঁর আকস্মিক মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। তাঁর স্ত্রী শিখা ব্যানার্জি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার। সুনীল ব্যানার্জির একমাত্র সন্তান সাংবাদিক শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ ভয়েস অব বাংলাদেশ-এর যুগ্ম বার্তা সম্পাদক এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসবিডি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম-এর প্রধান সম্পাদক।
বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সুনীল ব্যানার্জি’কে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মরণোত্তর বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করেছে। এর আগে মুক্তিযুদ্ধে অমূল্য অবদানের জন্য সুনীল ব্যানার্জিকে ২০১০ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মরণোত্তর স্বীকৃতি স্মারক প্রদান করা হয়।
প্রয়াত সুনীল ব্যানার্জির মৃত্যুবার্ষিকীতে দেশবাসীর কাছে তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1472308112খেলাধুলা: এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে দারুণ সূচনা করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী ইরানকে হারিয়ে দিয়েছে তারা। স্বাগতিক মেয়েরা এই ম্যাচে জিতেছে ৩-০ গোলে।

শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটির প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধে ১৭ মিনিটে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন মার্জিয়া।

অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধের ২০ মিনিটে মৌসুমী করেন গোলটি।

ইরানের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন তহুরা। ম্যাচ শেষ হওয়ার চার মিনিট বাকি থাকতে করেন এই গোলটি।

অবশ্য এই জয়ে একটি মধুর ‘প্রতিশোধ’ নিয়েছে বাংলাদেশ। দুই বছর আগে ঢাকায় এই ইরানের কাছে হেরে চূড়ান্তপর্বে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিল তারা। অথচ এবার সেই ইরানকেই বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

এদিকে দিনের অন্য ম্যাচে চায়নিজ তাইপে ৭-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে কিরগিজিস্তানকে হারিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

333333মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের ভাটপাড়ায়  ১০ হাজার মানুষের দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি বেতনা নদীর উপর নব-নির্মিত ব্রিজের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার বিকালে উপজেলা প্রশাসন(ত্রান শাখা)’র আয়োজনে বল্লী ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে ও ফলক উন্মোচন করে নব-নির্মিত ব্রীজের উদ্বোধন করেন সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা তার পিতার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ শেষ করছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাস্তা ঘাট, ব্রীজ ক্যালভাট, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিদ্যুৎসহ প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ আবদুল সাদী। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন  জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ডাঃ মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন, সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন, যুবলীগ নেতা মীর মহি আলম, সাবেক বল্লী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বল্লী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান লাল্টু, মো. শাহিদুল ইসলাম, ইউপি সদস্য সামছুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, ঠিকাদার আখিরুল ইসলামসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ভাটপাড়া, নারানপুর, হাজিপুর, রায়পুর, আমতলাসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষের দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবী স্বপ্নের সেতু হওয়ায় এলাকার মানুষের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে। মানুষ আনন্দে আতœহারা হয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ও সদর আসনের সংসদ সদস্য কে ধন্যবাদ জানান।
দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু ক্যালভাট নির্মান প্রকল্পের আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের অর্থ্যায়নে ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভাট পাড়া-নারানপুর এলাকায়  বেতনা নদীর উপর ২৮ মিটার ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছে। সমগ্র শেখ খায়রুল ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest