সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার নারায়নজোল ব্রীজটি সংস্কারের দাবিশিবপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের ইফতার ও দোয়াদেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন তাঁতীদলের মতবিনিময়সাতক্ষীরায় পিপি অফিস দুর্নীতিমুক্ত করতে যা করলেন এড. শেখ আব্দুস সাত্তারসাতক্ষীরায় তিনতলা ভবন জায়গা দেখিয়ে রেজিষ্ট্রি : সরকারের রাজস্ব ফাঁকি ২০ লাখ টাকা !সাতক্ষীরার সাবেক ডিসি নাজমুল আহসানের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধনতরুণদল সাতক্ষীরা সদর থানা শাখার কমিটি অনুমোদনদ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ-রমজানের পবিত্রতা রক্ষার দাবিতে সাতক্ষীরায় ছাত্র শিবিরের র‍্যালিসাতক্ষীরায় মাসব্যাপী সুলভ মূল্যে মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রির উদ্বোধনবন্ধন টেলিমিডিয়া ও শিল্পী সংসদের আয়োজনে স্মৃতি চারন ও দোয়া

ফেলোশিপ শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরছেন সামেকের ডা. পলাশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটালে প্রায় মাসব্যাপী ফেলোশিপ শেষে দেশে ফিরছেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মাহমুদুল হাসান (পলাশ)।

রবিবার (২ জুন) দিবাগত রাতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিমানে তিনি ঢাকায় ফিরছেন।

সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক স্পাইন ও অর্থোপেডিক সার্জারির আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘এও স্পাইন’ এর এ ফেলোশিপ সফলভাবে সম্পন্ন করায় ডা. পলাশ সংস্থাটির অ্যাম্বাসেডর মনোনীত হয়েছেন। একইসাথে তিনি সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটাল এর অ্যালামনাইয়ের স্বীকৃতি পেয়েছেন।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে স্পাইন সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা করতে চান ডা. পলাশ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল রোগীরাও যাতে স্পাইন সার্জারির মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসা পায়, সেজন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বতন্ত্র স্পাইন ইউনিট প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

এ বিষয়ে তিনি সাতক্ষীরার সকল সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ, পরিচালক এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতা এবং সাতক্ষীরাবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

ডা. মো. মাহমুদুল হাসান (পলাশ) দক্ষিণবঙ্গের একমাত্র স্পাইন সার্জন। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজে সহকারী অধ্যাপক (স্পাইন সার্জারি) সংযুক্তিতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে শিক্ষকতা করছেন।

এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই শিক্ষক ভারতের দিল্লিতে দশ দিনের একটি ফেলোশিপ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এ ছাড়াও, তিনি মেলবোর্ন, মুম্বাই, গুজরাট, চেন্নাই ও আসাম থেকেও মেরুদন্ডের চিকিৎসার ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। দেশি-বিদেশি গবেষণা জার্নালে তার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রকাশনা রয়েছে। তিনি নিয়মিত বিভিন্ন কনফারেন্সে বক্তৃতা ও অংশগ্রহণ করে আসছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় অস্বাস্থকর পরিবেশে সেমাই ও চানাচুর তৈরি: দুই ব্যবসায়ীকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা: ব্যবসায়ীর দণ্ড

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় অস্বাস্থকর পরিবেশে সেমাই ও চানাচুর তৈরি করার অভিযোগে দুই ব্যবসায়ীকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে সেমাই ব্যবসায়ীকে ২ কারাদ- প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত।

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা এন এস আইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে রোববার দুপুরে সাতক্ষীরার মেঝমিয়ার মোড় এবং পুরাতন সাতক্ষীরা ঘোষপাড়ায় অভিযান চালিয়ে এ দ- প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান।

জানা গেছে, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা এন এস আইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহানের নেতৃত্বে দুপুর ১টার দিকে ভ্রাম্যমান আদালত সাতক্ষীরা সদরের চালতেতলা মেঝ মিয়ার মোড়ের মেসার্স মামুন এন্ড ব্রাদার্স নামক সেমাই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কারখানার মালিক মোঃ জিয়াউল হককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও ০২ (দুই) মাসের কারাদ- প্রদান করা হয়।

পরে দুপুর ২টার দিকে পুরাতন সাতক্ষীরা ঘোষপাড়ায় ইভা এন্টারপ্রাইজ নামক চানাচুর কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় কারখানার মালিক শেখ আব্দুস সামাদকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করার ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত দুটি প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

০২.০৬.২০২৪

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় জাতীয় ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২৪ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার ( ১ জুন) সকাল সাড়ে ৯ টায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন করা হয়।

এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ মো. আব্দুস সালাম, ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সরোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আতিকুল ইসলাম। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর হাসপাতালের আরএমও ডাঃ ফয়সাল আহমেদ, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার পুলক চক্রবর্তী, সিভিল সার্জন অফিসের স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক ( ভারপ্রাপ্ত) আবুল কাশেমসহ বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তাবৃন্দ।

এসময় অতিথিরা বলেন , ভিটামিন ‘এ’ শুধুমাত্র অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে তাই নয়, ভিটামিন এ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও শিশুর মৃত্যু ঝুঁকি কমায়। আগামী প্রজন্মকে সুস্থ ও সবলভাবে গড়ে তুলতে এ ভিটামিন কাজ করবে।

উল্লেখ্য এবার সাতক্ষীরা জেলায় ৭ টি উপজেলা, ২ টি পৌর সভায় ১৯৪১টি কেন্দ্রে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৭৬৫৬ জন শিশুকে নীল রংয়ের ভিটামিন ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ৩০ হাজার ৯১৫জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। জেলায় মোট ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫শত ৭১ জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস খাওয়ানো লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয় । ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজে সহায়তা করেছ ৪৮৮০ জন স্বাস্থ্য কর্মী। এর মধ্যে সরকারি স্বাস্থ্য কর্মী ১০১৩ জন ও বেসরকারি ৩৮৬৭ জন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে রোগাক্রান্ত মৃতপ্রায় গরু জবাই : ১৬০ কেজি মাংস ধ্বংস, দোকান সিলগালা

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে গুটিবসন্তে আক্রান্ত মৃতপ্রায় গরু গোপনে জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে তিন কসাইয়ের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে উপজেলার কুশলিয়া ইউনিয়নের জিরণগাছা বাজারে গরু জবাই করা হয় ।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ওই মাংস জব্দ করে কেরোসিন মিশিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলার পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি সিলগালার আদেশ দেন।

জিরণগাছা এলাকার ইউপি সদস্য গাজী ফারুক হোসেন জানান, উপজেলার শ্রীকলা গ্রামের মোজারুল ইসলাম (৩৬), গোবিন্দপুর গ্রামের মিলন হোসেন (৩৪) ও মুনসুর আলী (৫৫) দীর্ঘদিন যাবত জিরণগাছা বাজারে মাংস বিক্রি করে আসছেন।শনিবার সকালে তারা বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বেজুয়া গ্রামের আমিরুল ইসলামের নিকট থেকে প্রায় দুই সপ্তাহ যাবত গুটিবসন্ত রোগে আক্রান্ত একটা মৃতপ্রায় গরু ৯ হাজার টাকায় কিনে ওই গোয়ালে জবাই করে।পরে সেই মাংস জিরণগাছা বাজারে এনে দেশী এড়ে গরুর মাংস হিসেবে প্রচার দিয়ে বিক্রি করতে থাকে। এদিকে এ খবর এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে মাংসের দোকান ঘেরাও করে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। এসময় সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় বিতর্কিত তিন মাংস ব্যবসায়ী।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আজাহার আলী। তিনি প্রায় ১৬০ কেজি মাংস কেরোসিন মিশিয়ে মাটির নিচে পুঁতে ফেলার আদেশ দেন। মাংসের দোকান সিলগালা করার পাশাপাশি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয় মাংস বিক্রিতে ব্যবহৃত পাকা চাতাল।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আজাহার আলী বলেন, রোগাক্রান্ত গরু জবাই করে মাংস বিক্রির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার আগেই মাংস বিক্রেতারা পালিয়েছে। মাংসগুলো ধ্বংসের পাশাপাশি দোকান সিলগালা করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সন্ধান মিলছে না সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া সাতক্ষীরার তিন জেলের

নিজস্ব প্রতিনিধি

সন্ধান মিলছে না সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া সাতক্ষীরার শ্যামনগরে তিন জেলের। ধারণা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কবলে পড়ে মাছ ধরার নৌকাসহ নিখোঁজ হয়েছেন ওই তিন জেলে। শুক্রবার (৩১ মে) নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি প্রকাশ করেন।

নিখোঁজ জেলেরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর এলাকার বাবুর আলীর ছেলে মোঃ সাইদুর রহমান (৪২), মোঃ হযরত আলীর ছেলে মোঃ হায়দার আলী (৩০) ও গোলাম রব্বানীর ছেলে লিফন (৩০)।

নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ২৫ মে পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের কোবাদক ফরেস্ট স্টেশন থেকে পাস (অনুমতি পত্র) নিয়ে সুন্দরবনে মাছ ধরতে যান তারা। তাদের সাথে আরও একটি নৌকাসহ মোট দুইটি নৌকায় ৬জন জেলে ছিলেন। বনে যাওয়ার দিন শনিবার (২৫ মে) মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের সাথে সর্বশেষ যোগাযোগ হয় পরিবারের সদস্যদের। ঘূর্ণিঝড় রেমালের পর থেকে গত এক সপ্তাহ তাদের সাথে আর যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা।

নিখোঁজ জেলেরা কোথায় আছে, কি অবস্থায় আছে? এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তারা। তবে একই সাথে যাওয়া অন্য নৌকার জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সদস্যদের।

তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সদস্যরা জানান, ওই তিন জেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারাও তাদের খোঁজ করছেন।

অন্য নৌকার জেলে নিখোঁজ সাইদুর রহমানের বড় ভাই মাকসুদুল ইসলামের উদ্ধৃতি দিয়ে তার ভাই আবু সালেহ জানান, শনিবার (২৫ মে) কোবাদক ফরেস্ট স্টেশন থেকে পাস (অনুমতি পত্র) নিয়ে দুইটা নৌকায় ছয়জন ওই দিনই সুন্দরবনের মিশিনখালি এলাকায় পৌঁছায়। সেখান থেকে তারা দুইটি নৌকা দুই দিকে ভাগ হয়ে মাছ ধরতে থাকেন। এরপর রোববার থেকে ওই তিন জেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা ঘূর্ণিঝড় রেমালের কবলে পড়েছে বলে জানান তিনি।

আবু সালেহ আরও জানান, তাদের নিখোঁজের খবর সুন্দরবনের কোবাদক স্টেশনে জানানো হয়েছে। আজ শুক্রবার আমরা খুলনার নলিয়ান স্টেশন অফিসে যাচ্ছি।

এদিকে, কোবাদক স্টেশনের স্টেশন অফিসার মোবারক হোসেন বলেন, এখনো পর্যন্ত আমরা এমন কোনো খবর পাইনি। তবে আমরা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এজেডএম হাছানুর রহমান জানান, সুন্দরবনের মাছ ধরতে যাওয়া তিন জেলে নিখোঁজের খবর পেয়েছি। আমরা যাচাই-বাছাই করছি কতজন গিয়েছিল এবং কতজন ফিরেছে। তথ্য পেলে দ্রুত নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে কাজ করবে বন বিভাগ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যুগ্ম সচিব শাহ আলম

বিএম আলাউদ্দীন, আশাশুনি ব্যুরো:
ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করেছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ শাহ আলম। শুক্রবার দুপুরে তিনি শ্রীউলা ইউনিয়নের মহিষকুড় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।

যুগ্ম সচিব শাহ আলম দুপুর পৌণে ১ টার দিকে উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের মহিষকুড় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরোজমিন পরিদর্শন করেন এবং মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ করেন।

এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রনি আলম নূর, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সোহাগ খান, শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক দীপঙ্কর বাছার দিপু, আশাশুনি সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম হোসেনুজ্জামান। পরিদর্শন শেষে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় হতদরিদ্র ৫০ পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল, ১ কেজি তেল, ১ কেজি লবণ,
১ কেজি ডাল, ১ কেজি আলু, ২০০ গ্রাম হলুদের গুঁড়া ও ১০০ গ্রাম করে ধনিয়া গুড়ার ত্রাণ বিতরণ করেন। এসময় তিনি ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গ্রহণ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা ন্যাশনাল হাসপাতালে হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে অপারেশনের অভিযোগ !

ডেস্ক রিপোর্ট:
সাতক্ষীরা ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অবস্থিত ন্যাশনাল হাসপাতালটি কসাইখানায় পরিণত হয়েছে। দালালের মাধ্যমে রুগি বাগিয়ে হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে নাকি করা হচ্ছে অপারেশন। এতে রুগি ও রুগির স্বজনরা হচ্ছেন সর্বশান্ত। গরীব অসহায় রুগিদের সেবা দেওয়া নামে করা হচ্ছে প্রতারণা। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে মাস্তান ডেকে শাসানো হয়। দেওয়া হচ্ছে হুমকী। এমনই ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। গত ২৩ মে হার্নিয়ার সমস্যা নিয়ে এ হাসপাতালে ভর্তি হয় ভোমরার চৌবাড়িয়ার মৃত বাবর আলী মোল্লার ছেলে ইজাজুল ইসলাম। ভর্তির পর ৫দিন হাসপাতালে রেখে বিভিন্ন অজুহাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মোটা অঙ্কের টাকা বাগিয়ে নেন। রুগির স্বজনদের বলা হয় রুগির অপারেশন করতে ১৭ হাজার টাকা লাগবে। রুমভাড়া বাবদ প্রতিদিন ৪০০টাকা দিতে হবে। ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হবে। এ চুক্তিতে অপারেশন করা হয়।

অপারেশন করেন হাতুড়ে ডাক্তার আশরাফুজ্জামান। রোগী স্বজনদের অভিযোগ অপারেশনের পর থেকে প্র¯্রাব হচ্ছে না। রুগির যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকলে নার্সদের ডেকেও মেলেনি সাড়া। রুগীর অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে। অপারেশনের পর ডাক্তার আশরাফুজ্জামানকে আর হাসপাতালে দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার বিকেলে ডাক্তার আশরাফুজ্জামান হাসপাতালে অন্য আরেকজনকে অপারেশন করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরে ফেলেন ইজাজুল ইসলামের জামাতা। এসময় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

কিন্তু তারা ছাড়পত্র না নিয়ে পুলিশ ও গণমাধ্যম কর্মীদের স্মরণাপন্ন হন। খবর পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা হাসপাতালে গেলে রুগি ও তার স্বজনদের অবরুদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়। পুলিশও খবর পেয়ে হাসপাতালে যায়। সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ হাসপাতালে গেলে ম্যানেজার ও অন্যান্য কর্মকর্তারা গা-ঢাকা দেয়। পুলিশ এসময় খোঁজ খবর নিয়ে চলে আসে এবং বিষয়টি দ্রæত সমাধানের জন্য অন্যান্য কর্মচারীদের নির্দেশ দেন। এসআই সাইদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে দায়িত্বশীল কাউকে পাইনি। রুগির স্বজনদের সাথে কথা বলে হাসপাতালের কর্মচারীদের বিষয়টি সমাধানের জন্য নির্দেশ দিয়েছি।

এদিকে রুগির স্বজনদের অভিযোগ পুলিশ ও সাংবাদিকদের জানানোর কারণে রাতে হাসপাতালের ম্যানেজার হুমকি দিয়ে শাসিয়েছেন। রুগি ইজাজুল ইসলামের স্ত্রী জানান বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুদিন সময় নিয়েছে। এদিকে হাসপাতালের রিসিপশনে কর্মরত কর্মকর্তার সাথে এ ব্যাপারে বার বার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি মুখ খুলতে চাননি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটা  উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপা রানী সরকার , উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডাঃ এস এম সাখাওয়াত হোসেন, দেবহাটা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সেলিম রেজা, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবু, কুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আছাদুল হক, সখিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন জাহান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুস শাহদাৎ নফর বিশ্বাস, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শওকত ওসমান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী, দেবহাটা সরকারী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মদন মোহন পাল,

দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বকুল, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিউল বশার, ভাতশালা বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার শরিফুল ইসলাম, দেবহাটা বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আবদূল লতিফ মোল্লা, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা আশালতা খাতুনসহ উপজেলার বিভিন্ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। আলোচনা সভায় সভাপতি বিজিবিকে মাদকদ্রব্য না আসার জন্য কঠোর ও তৎপর হওয়ার নির্দেশনা দেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest