সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে বিজয় দিবস পালনতালায় সেতু আবুলসহ ৩ জন আটকসাউথ-এশিয়ান পিপলস ডায়ালগে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এগ্রোইকোলজির গুরুত্বারোপগ্রীন টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি হলেন মীর খায়রুলস্থানীয় জাতবৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণে নেপালের পারমাকালচারের প্রতিনিধি দলসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভাসাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী পথসভায় ইসলামী সংগীত পরিবেশন : পুলিশ সদস্য মহিবুল্লাহ বরখাস্তসাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি ও তার ছেলেকে কারাগারে প্রেরণসাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি  লতিফ ও তার ছেলে রাসেল আটকসাংবাদিক মোমিনের সুস্থ্যতা কামনায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বিবৃতি

কলারোয়ায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি: টাস্কফোর্সের অভিযানে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিনিধি :
কলারোয়ায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরীর কারখানায় টাস্কফোর্সের অভিযানে এক ব্যক্তিকে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

এছাড়া ৩০ লাখ টাকার ৭৫০০মন কাঠ জব্দ করা হয়েছে এবং ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল ২০২৫) বিকাল সাড়ে ৪টায় কলারোয়ার হেলাতলা গ্রামে অবস্থিত মোঃ আবুল বাশারের কারখানায় উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি এর এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় কলারোয়া থানার হেলাতলা নামক স্থানে পরিবেশ দুষণ করে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরী করছে এমন স্থানে বিজিবি, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, আনসার ও ফায়ার সার্ভিস এর সমন্বয়ে একটি টাস্কর্ফোস অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান পরিচালনাকালে পরিবেশ দুষণ এবং পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করার দায়ে টাস্কফোর্স বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ সংশোধিত ২০১০ এর ০৯ ধারা আইনের ১৫ এর ১০ নং ক্রমিক মোতাবেক কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরীকারী মোঃ আবুল বাশারকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করে।

এসময় কয়লা তৈরীর জন্য কাঠ মজুদ রাখার দায়ে টাস্কফোর্স দল ৭৫০০ মন কাঠ জব্দ করে। আটক কাঠের মূল্য প্রতিমন ৪০০ টাকা হিসাবে ৩০ লক্ষ টাকা।

এ সময়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে পরিবেশ দুষণ এবং পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করার দায়ে খুলনার কয়রা থানার নকশা গ্রামের মোঃ আবুল বাশারের ছেলে মোঃ সজিব আহমেদকে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন।

অভিযানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রণয় বিশ্বাস এর সাথে ৩ জন, বিজিবি’র পক্ষে সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর সহকারী পরিচালক বেগ আব্দুল্লাহ আল মাসুম এর সাথে ১৫ জন বিজিবি সদস্য, সাতক্ষীরা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম এর সাথে ৩ জন, ফায়ার সার্ভিসের ৬ এবং ০৬ জন আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে পারিবারিক মডেল পুষ্টি বাগান প্রদর্শনীর উপকরণ বিতরণ

আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনিতে অনাবাদি পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় “বসত বাড়িতে পারিবারিক মডেল পুষ্টি বাগান” শীর্ষক প্রদর্শনীর উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার সকাল ১০ টায় কৃষি অফিসারের কার্যালয় ও কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আশাশুনির আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর খামার বাড়ি সাতক্ষীরার অতিঃ উপ পরিচালক (শস্য) মোঃ ইকবাল আহমেদ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিঃ উপ পরিচালক (পিপি) মোঃ জামাল উদ্দীন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শুভ্রাংশু শেখর দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এসএপিপিও বিল্লাল হোসেন, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, আঃ ওহাব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপজেলার ১১ ইউনিয়নের ৯৬ জন কৃষক-কৃষাণিকে গাছের চারা ৭ প্রকার, জৈব সার, এমওপি, ডিএপি ও ইউরিয়া সার, ঘেরার নেট, বীজ সংরক্ষণ পাত্র, সাইন বোর্ড ও বছর ব্যাপী বিভিন্ন সবজির বীজ প্রদান করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় রাস্তা সংস্কারের কাজে অনিয়ম- দূর্নীতির অভিযোগ

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের চাঁদপুরের ভিতরের ১ কিলো ৩১০মিটার রাস্তা সংস্কারের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাস্তাটি সরকারী নিয়মানুযায়ী সংস্কার করার দাবীতে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ও তথ্য মতে জানা গেছে, ঐ রাস্তাটি সংস্কার (কার্পেটিং) জন্য এলজিইডি টেন্ডার আহবান করার পরে লটারিতে বসু ট্রেডার্স নামক প্রতিষ্টান কাজটি পাই। কার্পেটিং এর জন্য রাস্তার ব্যায় ধরা হয় ৩৫ লক্ষ ২৫ হাজার দুইশত ৫৯ টাকা। বসু ট্রেডার্স কাজটি নিজে না করে উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের আশরাফ মাস্টারের ছেলে শহিদুল ইসলাম বাবুর কাছে কাজটি বিক্রি করে দেন। নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু হয়। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী টেন্ডারের লিখিত বাজেট হল, প্রথম যে রাস্তা আছে তার ওপরে ছাল উঠিয়ে নতুন করে রুলার করে রাস্তার ওপর নতুন করে পাথরের সাই ৫/৮ ,!২,১.৪ সাইজের পাথর দিয়ে সিমেন্ট মিশিয়ে ২.৫ ইঞ্চির কার্পেটিং করার কথা থাকলেও এলাকাবাসীর দাবি ঠিকাদার বাবু সরকারের নির্দেশনা বিন্দু পরিমাণ না মেনে সে নিজের ইচ্ছায় রাস্তাটির কার্পেটিং কাজ শেষ করেন। এবিষয়ে এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানালে উপজেলার প্রকৌশলী দপ্তরের সংশ্লিষ্টরা সদুত্তর দিতে পারেনি। উপজেলা প্রকৌশলী দ্যুতি মন্ডল কাছে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক কাজ সঠিক হয়েছে। দূর্নীতি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন সরকারি কাজ কি কোনটাই ১০০% হয়। এখানেই প্রশ্ন থাকে যে কার্পেটিং কাজে দূর্নীতি হয়েছে। আগের যে রাস্তা ছিল সেটা অনেক ভাল ছিল, এখন যে রাস্তা করেছে সেটি তার চাইতে অনেক খারাপ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অনেকে দাবী করেছেন যে অধিক টাকা লেনদেনের কারণে রাস্তায় এত দূর্নীতির পরও রাস্তার বৈধতা দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসী বলেন, রাস্তা ব্যবহার করার নিয়ম ৫ /৮ইঞ্চি পাথর তা রাস্তা তৈরির পর একটিও চোখে পড়ে নাই। ২ইঞ্চি পাথর দিয়ে পুরো রাস্তার কার্পেটিং কাজটি তড়িঘড়ি শেষ করা হয়েছে। গ্রামবাসী অনেকবার ঠিকাদারের কাছে অভিযোগ করার পরও তাদের কথায় কোনরকম কর্ণপাত না করে উল্টো বিভিন্ন রকম ভাবে ভয় দেখিয়ে এলাকাবাসীকে শান্ত করে রাখেন। এলাকাবাসী আর দাবী করেছেন, এত বিপুল পরিমাণের টাকার যে কাজের বরাদ্দ হয়েছে তার তিন ভাগের এক ভাগের টাকাও এই রাস্তার কার্পেটিং কাজে ব্যয় করা হয়নি। কাজের দুই থেকে তিন দিনের পরে রাস্তার কার্পেটিং করায় সদ্য কার্পেটিং করা একাধিক জায়গায় বড় বড় কার্পেটিং উঠতে শুরু করেছে। এলাকাবাসী বলেন, তারা এবিষয়ে খুব দ্রুত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন। যে ঠিকাদার এই রাস্তার কার্পেটিং কাজ করেছে ঠিকাদার সঠিকভাবে সরকারি নির্দেশনা মেনে কাজ করেছেন কিনা তার সঠিক তদন্ত জন্য আবেদন করা হব । গ্রামবাসী উর্দ্ধতন প্রশাসনের কাছে আবুল আবেদন জানিয়েছেন যে, রাস্তার কার্পেনিং কাজে দূর্নীতি হয়েছে কিনা তার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হোক। এসব দূর্নীতিকে প্রতিরোধ না করলে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের মৃত সদস্যদের মাঝে অর্থ সহায়তা

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: নং-খুলনা-৫৫০)এর মৃত সদস্যদের পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় শ্রমিক ইউনিয়নের নিজস্ব কার্যালয়ে এ সহায়তা প্রদান করা হয়।

সাতক্ষীরা জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যদের মধ্যে যারা বার্ধক্যজনিত কারনে ও দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় তাদের পরিবারের মাঝে শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এককালীন নগদ সহায়তা প্রদান করে থাকে। এরই অংশ হিসেবে মৃত্যুবরনকারী পরিবারের সদস্যদের হাতে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন, সাতক্ষীরা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাকির হোসেন টিটু, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুর রহমান, ক্যাশিয়ার হুমায়ুন কবির স্বপন প্রমুখ।

নগদ অর্থ সহায়তাপ্রাপ্তরা হলেন, মৃত্যুবরনকারী ড্রাইভার পলাশপোল এলাকার বাসিন্দা ফজর আলীর পরিবার, মহিউদ্দীন সানার পরিবার, সুলতানপুরের আব্দুল কাদেরের পরিবার, মধুমল্লারডাঙ্গীর মফিজুল ইসলামের পরিবার, আশাশুনি উপজেলার আশিক রেজার পরিবার, পুরাতন সাতক্ষীরার আহসান উল্লাহর পরিবার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়নের সহ সভাপতি শেখ মশিয়ার রহমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মশিয়ার রহমান, প্রচার সম্পাদক মো. মিন্টু, নির্বাহী কমিটির সদস্য হোসেন আলী, নুর আলম গাজী, বিল্লাল হোসেন, আজিজুল ইসলাম, মোতাহার হোসেনসহ শ্রমিক ইউনিয়নের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা ফুটবল- সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিনিধি : জেলা ক্রীড়া অফিস সাতক্ষীরার উদ্যোগে ফুটবল ও সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার বিকাল ৩টায় সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রাণালয় আওতাধীন ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির ২০২৪-২৫ এর আওতায় বালক অনূ: ১৫ ফুটবল ও অনূ: ১৪ উন্মুক্ত সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

জেলা ক্রীড়া অফিস সাতক্ষীরার আয়োজনে সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার নব-গঠিত এ্যাডহক কমিটির সদস্য সচিব মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফুটবল ও সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল।

ফুটবল ও সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার নব-গঠিত এ্যাডহক কমিটির সদস্য ও সাবেক ফিফা রেফারী তৈয়েব হাসান বাবু, সাংবাদিক মুহা: জিল্লুর রহমান, ফুটবল কোচ ইকবাল কবির খান বাপ্পি, বিসিবি কোচ মোফাচ্ছিনুল ইসলাম তপু, ক্রীড়া শিক্ষক জাহিদ হাসান প্রমুখ। মাস ব্যাপী (২২টি সেশনে) ফুটবল বালক অনূ: ১৫ সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামে ও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ পুকুরে অনূ: ১৪ উন্মুক্ত সাঁতার প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা ক্রীড়া অফিস ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় বিএনপির সার্চ কমিটিতে আ.লীগ অর্ন্তভূক্তির অভিযোগ: প্রতিবাদে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরা পৌরসভা ও সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে বিএনপির রাজপথের পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে স্বৈরাচারের দোসরদের নিয়ে বিএনপির সার্চ কমিটি গঠনের অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে নেতাকর্মীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শহরের নিউমার্কেট মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শহরের ইটাগাছা হাটের মোড়ে এক সমাবেশ করে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক মোঃ শের আলী, জেলা কৃষক দলের সাবেক আহবায়ক আহসানুল কাদির স্বপন, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ্ আল মামুন রাজুসহ অন্যান্যরা।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা এসময় বলেন, বিএনপির সার্চ কমিটিতে যাদের অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে তাদের অনেকেরই গত ৫ আগষ্টের আগে আন্দোলন সংগ্রামে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি গত ১৭ বছরেও তারা বিএনপির কোন কর্মসুচিতে ছিলেন না। আওয়ালীগের দোসর, চোরাকারবারী ও বিগত দিনে বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে যাদের কোন ভূমিকা ছিল না। তাদের নিয়েই এই সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। বক্তারা এসময় অবিলম্বে এই সার্চ কমিটি বাতিলের জোর দাবি জানান।

এবিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক রাহমতুল্লাহ পলাশ বলেন, জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে কারো নাম অর্ন্তভ‚ক্ত করা হয়নি। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের কাছ থেকে নাম নিয়েই সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। দলীয় প্রতিপক্ষরা বিতর্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে এসব করাচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনির কাদাকাটিতে জামায়াতের পথ সভা

আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটিতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার(২৮ এপ্রিল)বিকালে ইউনিয়ন জামায়াত এ পথ সভার আয়োজন করে।

ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওঃ আবু বক্কার সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও সাতক্ষীরা-৩ আসনের জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ মাওঃ মুফতি রবিউল বাশার।

মাস্টার গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওঃ নূরুল আবছার মোর্তাজা,নায়েবে আমীর মাওঃ মোশাররফ হোসেন, নুরুল ইসলাম,হাফেজ নাঈম প্রমুখ।

সভায় ইউনিয়ন সেক্রেটারী আলী হায়দার,সহ সেক্রেটারী সিদ্দিকুর রহমান,সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মানব পাচার প্রতিরোধে রূপান্তরের উদ্যোগে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক আলোচনা সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
মানব পাচার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম জোরদারের লক্ষ্যে রূপান্তর-এর আশ্বাস প্রকল্পের উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভায় মানব পাচারের ভয়াবহতা, কারণ ও প্রতিরোধের কৌশল এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টায় পিজ্জা মিলান কনফারেন্স হলে বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিদের উপস্থিততে লার্নিং শেয়ারিং মিটিং এবং সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মানব পাচারের ভয়াবহতা, প্রতিরোধ কৌশল এবং ভুক্তভোগীদের সহায়তার পথ খোঁজার লক্ষ্যেই এ আয়োজন।

রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ’র সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিএফ, আশ্বাস, রূপান্তর সাতক্ষীরার মাহবুবুর রহমান আকন্দ ও কুমারেশ মণ্ডল, উইনরক ইন্টারন্যাশনালের প্রোগ্রাম অফিসার (কমিউনিকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মাসনুন হক, অগ্রগতী সংস্থার প্রকল্প ব্যবস্থাপক শেখ মাহবুবুর রহমান, রূপান্তরের প্রকল্প সমন্বয়কারী সুবল কুমার ঘোষ, উইনরক ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার (সোস্যাল প্রটেকশন) শেখ নাজমুল ইসলাম এবং অগ্রগতি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আব্দুর সবুর বিশ্বাস।

বক্তারা বলেন, মানব পাচার একটি বৈশ্বিক সংকট, যা বিশেষ করে সীমান্তবর্তী সাতক্ষীরার মতো অঞ্চলে আরও প্রকট। ভারতের নিকটবর্তী হওয়ায় পাচারের প্রবণতা এখানে বেশি; পাশাপাশি দারিদ্র্য, সচেতনতার অভাব ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জীবিকা সংকটে পতিত মানুষ পাচারকারীদের সহজ টার্গেটে পরিণত হচ্ছে। নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।

সভায় মানব পাচারের মূল কারণসমূহ যেমন বিকল্প জীবিকার অভাব, নিরাপদ অভিবাসন সম্পর্কে সচেতনতার ঘাটতি, দুর্বল সীমান্ত নিরাপত্তা এবং সামাজিক কুসংস্কার নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়। বক্তারা মিথ্যা চাকরির প্রতিশ্রুতি, ভুয়া বিবাহ প্রতারণা এবং অবৈধ অভিবাসন চুক্তির মাধ্যমে কিভাবে মানব পাচার সংঘটিত হয়, তা তুলে ধরেন।

সারভাইভার শাম্মি আক্তার ও হিরা আক্তার তাঁদের জীবনের মর্মস্পর্শী অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তাঁরা জানান, কিভাবে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে তাঁরা পাচারের শিকার হয়েছিলেন এবং কিভাবে রূপান্তরসহ অন্যান্য সংগঠনের সহায়তায় তাঁরা সম্মানজনক জীবনে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য উপস্থিত সকলকে আবেগাপ্লুত করে।

বক্তারা মানব পাচার রোধে স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্কুল পর্যায়ে শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনার ওপর জোর দেন। একইসঙ্গে মানব পাচারবিরোধী আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ, ভুক্তভোগীদের মানসিক ও আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং একটি শক্তিশালী কমিউনিটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সমাপনী বক্তব্যে স্বপন কুমার গুহ বলেন, “মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ, সচেতনতা এবং সক্রিয় কমিউনিটি অংশগ্রহণ অপরিহার্য। ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর পরিসরে কার্যক্রম চালানোর অঙ্গীকার করছি।”

প্রাণবন্ত আলোচনা, অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান এবং বাস্তবসম্মত সুপারিশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়। সাতক্ষীরার মতো ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মানব পাচার প্রতিরোধে রূপান্তরের এ ধরনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি অনুকরণীয় উদাহরণ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest