সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার নারায়নজোল ব্রীজটি সংস্কারের দাবিশিবপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের ইফতার ও দোয়াদেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন তাঁতীদলের মতবিনিময়সাতক্ষীরায় পিপি অফিস দুর্নীতিমুক্ত করতে যা করলেন এড. শেখ আব্দুস সাত্তারসাতক্ষীরায় তিনতলা ভবন জায়গা দেখিয়ে রেজিষ্ট্রি : সরকারের রাজস্ব ফাঁকি ২০ লাখ টাকা !সাতক্ষীরার সাবেক ডিসি নাজমুল আহসানের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধনতরুণদল সাতক্ষীরা সদর থানা শাখার কমিটি অনুমোদনদ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ-রমজানের পবিত্রতা রক্ষার দাবিতে সাতক্ষীরায় ছাত্র শিবিরের র‍্যালিসাতক্ষীরায় মাসব্যাপী সুলভ মূল্যে মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রির উদ্বোধনবন্ধন টেলিমিডিয়া ও শিল্পী সংসদের আয়োজনে স্মৃতি চারন ও দোয়া

শ্যামনগরে বাঘের নখসহ শরিফ নামের একজন ব্যক্তি আটক

শ্যানগর প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বাঘের নখসহ মোঃ শরিফ উদ্দিন (শরিফ ডাক্তার) (৪০) নামে একজনকে আটক করেছে বন বিভাগের সদস্যরা
। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার নীলডুমুর খেয়াঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটক শরিফ উদ্দিন ইশ্বরীপুর ইউনিয়নের শ্রীফলকাটি এলাকার মোকাদ্দেস মোল্লার ছেলে।

বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন অফিসার মো. হাবিবুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকাল তিনটার দিকে নীলডুমুর খেয়াঘাট এলাকার আটক শরিফ উদ্দিনের মায়ের দোয়া ফার্মেসি নামীয় দোকান থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তাকে তল্লাশি করে কাছ থেকে ২টি বাঘের নখ উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বন আইনের মামলার প্রস্তুতি ও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিল প্রশাসসন

তালা প্রতিনিধি ॥
সাতক্ষীরার তালায় ঘোনার খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আরাফাত হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার এর নির্দেশে ইসলামকাটি ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল মুকিত সরেজমিন পরিদর্শন করে বালি উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দেয়।

জানা গেছে, তালা মাঝিয়াড়া ও ঘোনা বাজার সড়কে উন্নয়ন কাজ চলছে। কাজটি বাস্তবায়ন করছে আমানত এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। একাজের বালি ভরাটের জন্য পার্শ্ববর্ত্তী ঘোনা সরকারী খাল থেকে সামাদ নামের এক ব্যাক্তির মাধ্যমে প্রায় ১৫ দিন ধরে বালি উত্তেলনের কাজ চলছিলো।

বৃহস্পতিবার খবর পেয়েই উপজেলা সহকারী কমিশনার ইসলামকাটি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দেয় । পরে ভূমি কর্মকর্তা সরেজমিনে পরিদর্শন করে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়।
ইসলামকাটি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল মুকিত জানান, উপজেলা সহকারী কমিশনারের নির্দেশে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আরাফাত হোসেন জানান, তারা সম্পূর্ণ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিলো খবর পেয়ে আমি তা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি। এর পরও তারা যদি একই কাজ আবার করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়া উপজেলায় আমিনুল ইসলাম লাল্টু বিজয়ী

কলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু।

আমিনুল ইসলাম লাল্টু ৪৭০৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিবন্ধী প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টু ৪২৪৫ ভোট পেয়েছেন। ডেক্স রিপোর্ট:

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সদরে মশিউর রহমান বাবু নির্বাচিত

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) প্রতীকের প্রার্থী মশিউর রহমান বাবু। তিনি ভোট পেয়েছেন ৩১হাজার ১৯৬ টি।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম শ‌ওকাত হোসেন (মটরসাইকেল ) তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪২ ভোট।

এম সুশান্ত (আনারস) পেয়েছেন ১৮২৬৯ ভোট , গোলাম মোর্শেদ (চিংড়ি মাছ) পেয়েছেন ১৬৮৬৯ ভোট এবং তামিম হোসেন সোহাগ (ঘোড়া) পেয়েছেন ৩১৪৮ ভোট। ডেক্স রিপোর্ট:

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষতচিহ্নের উপর দাঁড়িয়ে বাঁচার আকুতি উপকূলবাসীর

নিজস্ব প্র্রতিনিধি :
‘মিথ্যা আশ্বাস আর নয়; এবার টেকসই বাঁধ চাই, আর চাইনা ভাসতে;এবার দিন বাঁচতে, উপকূলের কান্না; শুনতে কি পান না’- এমন বিভিন্ন স্লোগান তুলে মানববন্ধন করেছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলের সহস্রাধিক তরুণ ও স্থানীয় এলাকাবাসী।

ঘূর্ণিঝড় রিমালসহ বিভিন্ন সময়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাতাখালী পয়েন্টে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের ওপর এ মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

উপকূলবাসীর আয়োজনে মানববন্ধনটিতে স্থানীয় বাসিন্দা মাওঃ আব্দুল মাজেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- আবু তাহের, মোক্তার হোসেন, তরিকুল, স.ম ওসমান গনি সোহাগ,মাসুম বিল্লাহ, নিসাত, রায়হান প্রমূখ।

এ সময় বক্তারা আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিয়েল নয় প্রতিবারই এমন পরিস্থিতিতে কর্তা ব্যক্তিরা শুধু আশ্বাসের বুলি আওড়ান। শোনান নানা ধরনের মেগা প্রকল্পের গল্প। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমাদের এই অঞ্চলে এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উপকূলের মানুষকে বাঁচাতে টেকসই বেড়িবাঁধের বিকল্প নেই।

তাঁরা বলেন, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে ব্যর্থ হলে সাতক্ষীরা উপকূলীয় অঞ্চলকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিন। আমরা বারবার নয়, একবারই মরতে চাই।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ষাটের দশকের বেড়িবাঁধ প্রায় অর্ধশত বছর ধরে জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছে। এ কারণে সামান্য ঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের কথা শুনলেই আঁতকে ওঠে উপকূলের মানুষ। তারা ঝড়কে ভয় পায় না, উপকূলের মানুষ ভয় পায় বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হওয়াকে।

উপকূলীয় এলাকায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ না থাকার কারণে ২০০৯ সালে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় আইলায় এইএলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয় উল্লেখ করে তারা বলেন, কয়েক বছর সাগরের লোনাপানিতে বন্দী থাকতে হয় হাজার হাজার পরিবারকে। এ সময় টিকতে না পেরে শত শত মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে অন্য এলাকায় চলে গেছে।

বক্তারা আরোও বলেন, আইলার সময়ই উপকূলীয় এলাকার ভঙ্গুর বাঁধ টেকসই করার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু পার্শ্ববর্তী গাবুরায় মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও ক্ষতিগ্রস্ত এই এলাকায় এক যুগেও তা আর হয়নি। এ কারণে সামান্য জোয়ারের পানিতে বাঁধ ভেঙে এই এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:
ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর তাণ্ডবে নদী ভাঙনের হাত থেকে আশাশুনি উপজেলা বাসী রক্ষা পেলেও প্রচণ্ড ঝড়ে উড়ে গেছে উপজেলায় ২৫৩ টি পরিবারের বসতঘর। ২৪ টি স্কুল, মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের চাল উড়ে গেছে। তবে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। উপজেলায় বিদ্যুৎ বিভাগের ক্ষতি হয়েছে বেশি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ঝড়ের তাণ্ডবে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙেছে ১১টি, বেঁকে গেছে ২৭টি, তার ছিঁড়ে গেছে ৮১ টি স্পটে, ক্রস ওয়ান ভেঙেছে ১৫টি, ট্রান্সফার্মা নষ্ট হয়েছে ১৩টি ও ভেঙে পড়েছে ২০৩ টি মিটার। আশাশুনি পল্লী বিদ্যুতের এজিএম লিটন মণ্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঝড়ের কবলে পড়ে বিদ্যুৎ বিভাগের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলায় প্রত্যেক অঞ্চলে লাইন চালু করতে ঠিকাদার ও অফিসের প্রায় শতাধিক শ্রমিক রাতদিন কাজ করে যাচ্ছে। তবে এর পরেও আরও দুই দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে।

এই প্রথম ১০ নম্বর সতর্কতা সংকেত এর প্রভাবে উপজেলার কোন নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে পারেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার সুমন আলীর দেওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর জলোচ্ছ্বাসের তাণ্ডবে উপজেলার প্রায় ২০ কি.মি. বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বপন বর্মন জানান, ঝড়ে কালকি, খাজরা সহ বিভিন্ন স্থানে মোট ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিনের চাল উড়ে গেছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমান জানান, ঝড়ে ৯ টি মাদ্রাসা ও ৭ মাধ্যমিক বিদ্যালয়এর টিনের চাল উড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সোহাগ খান জানান, ঝড়ে ৪০টি কাঁচা ঘর সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে ও ২১৩ টি ঘরের আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

মঙ্গলবার সকালে আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। তিনি আশাশুনি সদরের দয়ারঘাট বেড়িবাঁধ, শ্রীকলস, তুয়ারডাঙ্গা আশ্রয়ণ প্রকল্প, প্রতাপনগরের চাকলা বেড়িবাঁধ সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। চাকলায় ২০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ২৭ টন চাল ও ৩ লক্ষ ৫০ হাজার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

পৃথকভাবে পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রনি আলম নূর, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম, থানা অফিসার ইনর্চাজ বিশ্বজিৎ কুমার, এসডিই রাশিদুল ইসলাম, আশাশুনি সদর ইউপি চেয়ারম্যান হোসেনুজ্জামান হোসেন, আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রহুল কুদ্দুস, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজ্বী আবু দাউদ, পিআইও মোঃ সোহাগ খান, এসও মমিনুল হক প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় গরুর দুধে ভেজাল দেওয়ার অভিযোগে ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় গরুর দুধে ভেজাল দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
শনিবার সদরের ফিংড়ীতে অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি টিম।
জেলা ক্যাব ও পুলিশ ফোর্সেস’এর সহায়তায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ বাস্তবায়নে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ফিংড়ীর কার্তিক চন্দ্র ঘোষের ছেলে পলাশ চন্দ্র ঘোষকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই দুধ ব্যবসায়ী ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪১ ধারা লংঘন করায় এ জরিমানা করা হয় এবং তাৎক্ষণিক তার কাছে পাওয়া ২২ লিটার ভেজাল দুধ জব্দ ও বিনষ্ট করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে মাটির পুকুরে গলদা (চিংড়ি) পিএল উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে মাটির পুকুরে লাখ লাখ গলদা (চিংড়ি) পিএল উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য মিলেছে। আশাশুনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাপড়ায় ৭০ শতকের একটি পুকুরে ৩২৬ টি গলদা চিংড়ির মাদার থেকে প্রায় ১০ লক্ষাধিক পিএল উৎপাদিত হয়েছে। এতে খামারিদের পাশাপাশি চাষিরাও দ্বিগুণ লাভের মুখ দেখতে পাবেন বলে ধারণা করছেন মৎস্য অধিদপ্তর।

দেশে যে পরিমাণ গলদা চিংড়ি চাষ হয় তার শতকরা ৯৫ শতাংশ পিএল চোরা চালানোর মাধ্যমে ভারত থেকে আনা অথবা অবৈধভাবে নদী থেকে রেণু সংগ্রহ করা। হ্যাচারীগুলোতে উৎপাদিত পিএল চাহিদার পাঁচ শতাংশ পূরণ করতে পারে না। যে কারণে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের মতো বাংলাদেশেও উপকূলীয় অঞ্চলে মাটির পুকুরে গলদা চিংড়ির পিএল উৎপাদনের। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার পর সেই সাফল্য ধরা দিয়েছে সাতক্ষীরায়।

কালীগঞ্জ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদার সরাসরি তত্ত্বাবধানে আশাশুনি উপজেলার চাপড়ার এইচ এম জামানের পুকুরে সফলভাবে গলদা চিংড়ির পিএল উৎপাদন সম্পন্ন হয়েছে।
মৎস্য অফিস জানায়, পিরোজপুরের কচা নদী থেকে মাদার সংগ্রহ করে ৩২৬ টি বাছাই করা মাদার এইচ এম জামান এর মৎস্য খামারের ৭০ শতক জমির একটি পুকুরে ছাড়া হয়। গলদা চিংড়ির মাদারগুলোর ওজন ছিল ৬০ থেকে ৮০ গ্রাম। সেমিইনটেনসিভ বাগদা চিংড়ি চাষের পুকুরের মতো করে বায়োসিকিউরিটি ও পুকুর প্রস্তুতি নিশ্চিত করা হয়েছে। পানির স্যালাইনিটি ১২ থেকে ৮ পিপিটি পর্যন্ত ওঠানামা করানো হয়েছে। সব খরচ মিলিয়ে ব্যয় হয়েছে দুই লাখ টাকা। ধারণা করা হচ্ছে, এই পুকুরে ১০ লক্ষাধিক পিএল উৎপাদিত হয়েছে যার বাজার মূল্য ২৫ লাখ টাকার মত। ইতোমধ্যে লক্ষাধিক রেনু বিক্রি করা হয়েছে।

যশোর জেলার কেশবপুর থানার নওয়াপাড়া গ্রামের মোশাররফ হোসেন বলেন, আগে আমরা নদীর এবং ভারত থেকে আসা পিএল উচ্চ মূল্যে সংগ্রহ করতাম। হঠাৎ খবর পেলাম আশাশুনি উপজেলার জামান এর খামারে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে মাটির পুকুরে গলদা পিএল উৎপাদন হয়েছে। তাই এখানে এসেছি পিএল নেওয়ার জন্য। পিএল (পোনা) দেখেই মনে হচ্ছে এগুলো অনেক ভালো হবে। পিএল’র গ্রোথ অনেক ভালো। দামও কম।
পিএল ক্রয় করতে আসা কবির হোসেন জানান, হ্যাচারীর পিএল ঘেরে ছাড়লে অনেক সময় মাটির স্পর্শ পেলেই মারা যায়। এছাড়া ভারত থেকে আসা পিএলও ভালো হয় না। এখানের পিএলগুলোর গ্রোথ দেখেই মনে হচ্ছে অনেক ভালো হবে। তাই আমরা নিজেরাও নিয়েছি। আবার অন্যত্র বিক্রয়ের চিন্তাও করছি।
বুধহাটা ইউনিয়নের খামারী গোলাম মোস্তফা বলেন, এতদিন আমরা নদী থেকে সংগৃহিত গলদা রেনু ক্রয় করে খামারে ছাড়তাম। অনেক সময় ভারতে চোরাই পথে আসা রেনুও ছেড়েছি। এতে আমাদের লস হতো। তবে আশাশুনিতে প্রাকৃতিক পরিবেশে গলদার পিএল উৎপাদনের খবর পেয়ে এখানে এসেছি। পিএল দেখে মনে হচ্ছে চাষীদের লাভ হবে।
খামারের সত্বাধিকারী এইচ এম জামান বলেন, কালিগঞ্জ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদার পরামর্শে এখানে ৭০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে মাদার ছেড়েছি। পরীক্ষায় আমরা সফল হয়েছি। যে পরিমাণ পিএল (পোনা) উৎপাদন হয়েছে। তা আশে পাশের এলাকার চাহিদা মিটিয়ে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলেও পৌছে দেওয়া সম্ভব হবে।
কালিগঞ্জ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, গলদা রেনুর চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় ঘাটতি থেকেই যায়। ঘাটতি পূরণের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে যাচ্ছি। এর প্রেক্ষিতে খামারী জামানের ৭০ শতক পুকুরে পরীক্ষামূলকভাবে ফিরোজ পুরের কচা নদী থেকে মাদার সংগ্রহ করে পিএল উৎপাদনের চেষ্টা করি। অনেক কম খরচে আমাদের চেষ্টাটি সফল হয়েছে। আমরা মনে করি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন এসব পিএল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছে দিতে পারলে চাষিরা লাভবান হবে খামারীরাও আশার আলো দেখবেন। উভয়ের খরচ কমবে। পাশাপাশি চাহিদাও পূরণ হবে।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest