সর্বশেষ সংবাদ-
ছাত্রশিবিরের সাদিক ভিপি-ফরহাদ জিএস-মহিউদ্দীন এজিএস নির্বাচিতসাতক্ষীরায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অন্যের রেকর্ডীয় সম্পত্তি জরব দখলের অভিযোগ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেআগরদাড়ী ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৮ জনের নামে দ্রুত বিচার আদালতে মামলাপুলিশকে রাজনৈতিক দলের লাঠিয়াল বাহিনী বানানো যাবে না: শিবির নেতা সিফাতসাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে কোপানোর ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদ নেতাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলাসাতক্ষীরায় ৫৮৭টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব ; ঝুঁকি পূর্ণ ৫৫টিনির্মল বায়ু সবার অধিকার’ স্লোগানে সাতক্ষীরায় কুইজ ও রচনা প্রতিযোগিতাআইনজীবী ফোরাম সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের আহবায়ক কমিটির ৪র্থ সাংগঠনিক সভাবিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শ্যামনগরে বিজয় র‌্যালিস্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে কোপানোর অভিযোগ গণধিকার পরিষদের নেতা বিরুদ্ধে

সাতক্ষীরায় জুলাই শহীদ পরিবার ও যোদ্ধাদের নিয়ে আলোচনা সভা-সম্মাাননা

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও গৌরবের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হলো ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও যোদ্ধাদের’ নিয়ে আলোচনা সভা, সম্মাননা প্রদান এবং এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

মঙ্গলবার ( ৫ আগস্ট) সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, জামায়াতে ইসলামীর সাতক্ষীরা জেলা আমির শহিদুল ইসলাম মুকুল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিষ্ণু পদ পাল, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল হাশেম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক আরাফাত হোসাইন এবং সংগঠনটির মুখপাত্র মোহিনী তাবাচ্ছুম।

বক্তারা বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছিল এক ঐতিহাসিক প্রতিবাদের প্রতীক। দেশের গণতান্ত্রিক চেতনা পুনরুদ্ধারে এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছিলেন, তারা জাতির বীর সন্তান। তাদের আত্মত্যাগ ও সাহসিকতা স্মরণীয় করে রাখতে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ইতিহাস জানতে ও ধারণ করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরার ৪ শহীদ পরিবারসহ মোট ১০১ জন কে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সম্মাননা গ্রহণকারী পরিবারগুলোর চোখে ছিল শ্রদ্ধা, গর্ব ও আবেগের অশ্রু।

আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। তাতে ‘জুলাই আন্দোলন’ কেন্দ্রিক গান, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।

পুরো অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সঞ্চালনা করেন সাতক্ষীরা জেলা কালচারাল অফিসার ফাইজা হোসেন অন্বেষা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় সাংবাদিক পেটালেন সাবেক এমপির ভাগ্নে ও সাবেক ছাত্রদল সভাপতি

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের ভেতরে ঢুকে একজন সাংবাদিককে বেধড়ক মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবের ভাগ্নে সাবেক সভাপতি খালেদ মঞ্জুর রোমেলের বিরুদ্ধে।

সোমবার (৪ আগস্ট) রাতে কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাবে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক মো. জাহিদুল ইসলাম (৪৫)দৈনিক রূপান্তর পত্রিকার কলারোয়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। এ ঘটনায় তিনি কলারোয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

ডায়েরি সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে জাহিদুল ইসলাম কলারোয়া পৌরসভার প্রাণীসম্পদ অফিস মোড়ের রিপোর্টার্স ক্লাবে বসে সংবাদ প্রস্তুত করছিলেন। এ সময় উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি খালেদ মঞ্জুর রোমেল সেখানে ঢুকে কোনো কারণ ছাড়াই তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারেন। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।

জাহিদুল ইসলাম আরও অভিযোগ করেন, তিনি প্রতিবাদ করলে রোমেল তাকে হত্যার হুমকি দেন এবং বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে রিপোর্টার্স ক্লাব আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় জাহিদুল ইসলাম কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

ঘটনার পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে রিপোর্টার্স ক্লাবে জরুরি বৈঠক হয়। ক্লাবের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘এ ঘটনা ন্যক্কারজনক। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। আমরা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং রোমেলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা চাই।’

কলারোয়া থানার ওসি শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার কথা শুনেছি, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। লিখিত অভিযোগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত খালেদ মঞ্জুর রোমেলের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আকবর আলী অতিঃ পিপি নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বিবৃতি

সাতক্ষীরা জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহবায়ক এড. মোঃ আকবর আলী অতিঃ পিপি নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় সাতক্ষীরা জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।

অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেন সংগঠনের সদস্য সচিব এড: আলহাজ্ব নুরুল আমিন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এড:আবু সাইদ রাজা,যুগ্ম আহবায়ক এড: শহিদ হাসান,সদস্য এড: এ বি এম সেলিম,

এড: শাহরিয়ার হাসিব, এড: জি এম ফিরোজ আহমেদ, এড: এ বি এম ইমরান হোসেন শাওন, এড: সিরাজুল ইসলাম ৫, এড: মিজানুর রহমান বাপ্পি, এড: লুৎফুন্নেসা রুবি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালা মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় : ২৮ বছরেও নেই স্থায়ী ভবন

তালা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ২১০ নম্বর তালা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২৮ বছরেও এর জন্য নির্মিত হয়নি কোনো স্থায়ী ও টেকসই ভবন। আজও জরাজীর্ণ টিনের ঘরে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে।

সোমবার সরেজমিন বিদ্যালয় পরিদর্শনে দেখা যায়,শ্রেণিকক্ষের ছাউনি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে পুরনো টিন; দেয়ালে স্যাঁতসেঁতে দাগ, মেঝেতে ফাটল এবং কোথাও কোথাও জমে থাকা পানি। বর্ষাকালে ফাঁক দিয়ে পানি পড়ে পাঠদান ব্যাহত হয়, আর গ্রীষ্মে অসহনীয় গরমে দুর্ভোগে পড়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ভাঙা বেঞ্চে বসে, ভিজে বই-খাতায় পড়ালেখা যেন রীতিমতো যুদ্ধ।

বর্তমানে বিদ্যালয়ে ১৪২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে শিশু শ্রেণিতে ২৯, প্রথম শ্রেণিতে ২৮, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১৮, তৃতীয় শ্রেণিতে ২৯, চতুর্থ শ্রেণিতে ১৮ এবং পঞ্চম শ্রেণিতে ২০ জন শিক্ষার্থী পড়ছে। পাঁচজন নারী শিক্ষক অমানবিক পরিবেশেও প্রতিদিন নিয়মিত পাঠদান করছেন।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (LGED) বিদ্যালয়টির জন্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ভবন নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছিল। তবে ৫ আগস্ট সরকারের পরিবর্তনের পর সেই প্রকল্পসহ অন্যান্য বরাদ্দ স্থগিত রাখা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জোহরা পারভীন বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আজও কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এতে শিক্ষার মান যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারহান তামিহ জানায়, বৃষ্টির সময় বই ভিজে যায়, গরমে মাথা ঘুরে। ক্লাসে ঠিকভাবে বসতেও কষ্ট হয়।

অভিভাবক শরিফুল ইসলাম বলেন, ২৮ বছরেও স্কুলে একটা স্থায়ী ভবন হলো না—এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা অভিভাবকরা খুব উদ্বিগ্ন। শিশুদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার অন্যান্য স্কুলে নতুন ভবন হলেও তালা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দিকে কোনো নজর নেই। অথচ বিদ্যালয়টি উপজেলা সদর থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে এবং এটি শহরের অন্যতম প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ হাকিম বলেন, তালা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেবল একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি এই অঞ্চলের শিক্ষার মূলভিত্তি।২৮ বছরেও ভবন না থাকা চরম অবহেলার প্রতিচ্ছবি। সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই অবিলম্বে এই বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হোক।

এ বিষয়ে তালা উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী রথীন্দ্র নাথ হালদার বলেন, বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি আমাদের দপ্তর গ্রহণ করেছিল এবং বাস্তবায়নের সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছিল। কিন্তু উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ স্থগিত রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে পুনরায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করেছি। আশা করছি, খুব দ্রুত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খাল সংরক্ষণে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ভাবনা ও করণীয়’ বিষয়ক আলোচনা সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
খোশলখালী খাল সংরক্ষণে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ভাবনা ও করণীয়’ বিষয়ক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বেলা এর সহযোগিতায় সুন্দরবন ফেউন্ডেশন এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সালেহ। আলোচনা সভায় সঞ্চালনা করেন বেলা, খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলা নেটওয়ার্ক সদস্য শেখ আফজাল হোসেন এবং এলাকার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন নাসির উদ্দিন।

বক্তারা বলেন খোশাল খালি খাল আটুলিয়ার বড় কুপট, মালিবাড়ী এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ খাল । কিন্তু খালটির সাথে খোলপেটুয়া নদীর সংযোগ না থাকায় বড়কুপট, মালিবাড়ী এলাকার বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নাই।

দীর্ঘদিন থেকে এলাকার মানুষ বর্ষাকালে পানিবন্দী জীবনযাপন করছে। একদিকে খাল দখল করে বসত বাড়ি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে খালের প্রবাহ বন্ধ করা হয়েছে, অন্যদিকে খালের সঙ্গে নদীর যে সংযোগ সুইস গেটটি ছিল সেটাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে । এর ফলে পানির সরবার কোন রাস্তা নেই । এলাকার সাধারণ মানুষ জরুরি ভাবে পানি নিষ্কাশনের জন্য নদীর সাথে খালের একটি আউটলেট সুইজগেট নির্মাণের দাবি জানিয়েছে। তা না হলে এলাকার মানুষকে বসত বাড়ী ছাড়তে হবে। বক্তারা তাদের বক্তব্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জরুরী ভাবে সুইজগেট তৈরি করে এলাকার পানি নিষ্কাশনের জোর দাবি জানিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন, তানজিবুল আলম, মোহাম্মদ রুস্তম, জি এম ইয়াসিন, মোহাম্মদ মজিবর, মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, খুকুমণি, আনোয়ারা প্রমূখ

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভোমরা সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে এক বাংলাদেশী যুবক আহত

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে এক বাংলাদেশী যুবক আহত হয়েছে। সোমবার সকালে ভোমরা সীমান্তের লহ্মীদাড়ী এলাকায় এঘটনা ঘটে। আহত যুবক লহ্মীদাড়ী গ্রামের মৃত শেখ সাঈদ উদ্দীনের পুত্র আলমগীর হোসেন (৩৫)।

আহতের ভাগ্নে বেলাল হোসাইন জানান, সীমান্তে তার মামার একটি মৎস্যঘের রয়েছে। সোমবার ভোরে ঘেরে খাবার দিতে গিয়েছিল। এমন সময় ভারত থেকে কয়েকজন লোক দৌড়ে আসছিলো। বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে মামা আলমগীরের ডান পাশের ঘাড়ে, চোখে এবং মাথায় লেগে গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: এবিএম আক্তার মারুফ জানান, ছাররা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনি সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার শরীরের ডান পাশের কয়েকটি স্থানে ছাররা গুলি রয়েছে। চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি আশংকা মুক্ত রয়েছেন।

সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি’র ভোমরা ক্যাম্পের কমান্ডার জহির উদ্দীন বলেন, আলমগীর গত ৩০ জুলাই অবৈধ পথে তার আত্নীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল। আজ সোমবার পুনরায় অবৈধভাবে বাংলাদেশের আসার পথে বিএসএফ’র গুলিতে আহত হয়েছে। ###

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সদর থানা জামে মসজিদের ইমামকে পরিবর্তনের দাবিতে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর থানা জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল্লাহকে পরিবর্তনের দাবিতে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রোববার দুপুরে মসজিদের মুসুল্লীদেরপক্ষে ডা: মো: রেজাউল ইসলাম এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ বলা হয়েছে, আমরা দীর্ঘদিন ধরে অত্র মসজিদে নামাজ আদায় করি। এ পর্যন্ত কয়েকজন ইমাম মসজিদে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু মসজিদের বর্তমান ইমাম মাও: আব্দুল্লাহ’র নিয়োগের পর থেকে প্রায়ই তার বিরুদ্ধে নানান অপকর্ম মুসুল্লীদের চোখে ধরা পড়ছে। গত কয়েকদিন পূর্বে বেলা ১১টার দিকে হটাৎ ইমাম আব্দুল্লাহ লুঙ্গি পরে এবং গেঞ্জি গায় দিয়ে মসজিদে এসে দ্বিতীয় তলায় ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। এসময় একজন মহিলা আসলে তাকে নিয়ে দ্বিতীয় তলায় ঘরের মধ্যে যাওয়ার সময় মসজিদের ঝাড়–দার মো: আতিয়ার রহমান দেখে বাধা দেন। এতে ইমাম তার উপর ক্ষিপ্ত হন। এছাড়া মুসুল্লীদের সাথে খারাপ আচারণ করেন।

ইতোপূর্বে ইমাম মাও: আব্দুল্লাহ মুন্সিপাড়া জামে মসজিদে থাকাকালিন নানা মসজিদের অর্থ তছরুপসহ নানাঅপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। এঘটনায় মুসজিদের একজন মুসুল্লী আদালতে মামলা করে তাকে চাকুরিচ্যুত করেন। পরবর্তীতে মন্টু সাহেবের মসজিদের ইমাম থাকালিন সময়ে নিজের শালিকার সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া মসজিদের অর্থও আত্মসাথের অভিযোগও ধরা পড়ে। অভিযোগের পর সেখান থেকে তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়। এরপর কৌশলে সদরথানা জামে মসজিদে যোগদান করেন তিনি। তার এই অপকর্ম সাতক্ষীরা শহরের মানুষ অবগত আছেন। ধীরে ধীরে মাও: আব্দুল্লাহ’র চারিত্রিক ত্রæটিসহ নানা অপকর্ম মুসুল্লীদের চোখে ধরা পড়ায় মুসুল্লীরা ওই ইমামের পিছনে নামাজ পড়তে অনাগ্র প্রকাশ করছেন। ইতোমধ্যে অনেকে মুসুল্লী অন্য মসজিদের যাওয়া শুরু করেছেন। অবিলম্বে ওই চরিত্রহীন ইমাম মাও: আব্দুল্লাহ’র অপসারন করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানানো হয়েছে মুসুল্লীদের পক্ষ থেকে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত ইমাম মাও: আব্দুল্লাহ’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ অভিযোগ গুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। মসজিদের পূর্বের কমিটির কিছু ব্যক্তি এটি ছাড়াচ্ছে। ##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ১২ দিন ধরে নিখোঁজ তরুণ

নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার কুশখালী গ্রামের তরুণ মো. রাজু (২৬) বিগত ১২ দিন ধরে নিখোঁজ। গত ২৩ জুলাই রাতে একটি মারামারির ঘটনার পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের একমাত্র সন্তান রাজুর খোঁজে পাগলপ্রায় মা-বাবা এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

“আমার ছেলেটা কী মরে গেল?” রাজুর মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, “সেই রাতে বলেছিল—‘মা, একটু ঘুরে আসি’। তারপর আর সে ফেরেনি। আমার বুকের ধনটা কোথায় গেল? আমার রাজুকে ফিরিয়ে দাও— আল্লাহর কাছে এই চাই।”

বাবা আশরাফুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। গলায় ঝাঁঝ নেই, ভাঙা কণ্ঠে বলেন, “ও আমাদের একমাত্র ছেলে সন্তান। কত স্বপ্ন ছিল ওকে নিয়ে! এখন তো শুধু একটা খবরের আশায় রাত-দিন এক করে ফেলেছি। মরে গেলেও যেন একটা খোঁজ পাই।

কী ঘটেছিল সেদিন রাতে? স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, ২৩ জুলাই রাতে রহস্যময় ঘটনাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ কুশখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় মহব্বত, জিল্লু ও তার সঙ্গীরা রাজুকে মারপিট করে। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ। আর সেই রাতেই যেন থমকে যায় আশরাফুলের সংসার।

“এটা নিছক নিখোঁজ না, এর পেছনে রহস্য আছে”—অভিযোগ স্থানীয়দের রাজুর মা সরাসরি অভিযোগ করেন, “যারা মারামারিতে ছিল, তারাই কিছু করেছে। কোন একটা বিষয়ে ওরা রাজুর মুখ চেপে ধরতে চায়। কোথাও লুকিয়ে রেখেছে, হয়তো মেরে ফেলে দিয়েছে…। প্রশাসন কিছু করছে না।”

এলাকাবাসী জানান, রাজু একজন শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল। কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল না। প্রতিবেশী সিরাজুল বলেন,
“ওকে কখনও কাউকে কষ্ট দিতে দেখিনি। আমরা সবাই উদ্বিগ্ন।”

পুলিশের বক্তব্য: সাতক্ষীরা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান বলেন, “ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, রাজু মাঝেমধ্যে মাদক সেবন করত এবং আগে থেকেই ভারতে যাতায়াত করত। আমরা সব দিক বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করছি।”

তিনি আরও জানান, নিখোঁজের আগে রাজু কী পরেছিল, কার সঙ্গে শেষবার দেখা গেছে—এসব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।

ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে দাবি: স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, “ছেলেটা নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে এলাকায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত তৎপরতা চালিয়ে তাকে খুঁজে বের করা। পরিবারটি খুব অসহায় অবস্থায় আছে।”

সবকিছুর বিনিময়ে সন্তানকে ফিরে পেতে চান বাবা-মা: বাবা আশরাফুল বলেন, “আমি গরিব মানুষ। জমিজমা বিক্রি করে ছেলেকে খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে পড়েছি। সবার দ্বারে যাচ্ছি। কেউ সন্ধান দিতে পারছে না। ওর মাকে সান্তনা দিতে পারছিনা। সবসময় কান্নাকাটি করছে। শুধু আমার ছেলেটাকে ফিরিয়ে দাও।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest