সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলামসাতক্ষীরা সদরের দত্তবাগ টাইগার ক্লাবের নাইট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনজাতীয় সংহতি দিবস,এই দিনে বিভাজন নয়, ঐক্যের আহবান -কাজী আলাউদ্দিনসাতক্ষীরা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনকে বিজয়ী করতে গণমিছিলতরুণদের উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রীন ইনোভেশন ফেয়ারExplorez les avis des utilisateurs sur gtbet et rejoignez la communautéΕξερευνήστε τις καλύτερες στρατηγικές καζίνο στο gtbet για μεγαλύτερα κέρδηCome registrarsi su Nixbet e iniziare a vincere in pochi passiদেবহাটায় কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে খেলাধুলার আয়োজনগণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নলতা হাসপাতাল হুমকির মুখে :রক্ষার দাবি

লাপা প্রকল্পের জেলা পর্যায়ে স্টেকহোল্ডার পরামর্শ সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও স্থানীয় পর্যায়ে অভিযোজন পরিকল্পনা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় জেলা পর্যায়ে স্ট্রেকহোল্ডার পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের টাইগার প্লাস কনফারেন্স রুমে “লোকাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান অ্যান্ড অ্যাকশন (ল্যাপা) ডেভেলপমেন্ট ইন দ্য পটুয়াখালী এবং সাতক্ষীরা ডিস্ট্রিক্টস” প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালার আয়োজন করে উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণ। কর্মশালায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করে ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি)।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উত্তরণের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার অ্যাডভোকেট মুনির উদ্দিন এবং সঞ্চালনা করেন প্রকল্প প্রধান হাসান আব্দুল্লাহ রাফাত। কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এসোসিয়েট প্রফেসর মো. মাহফুজুর রহমান, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মান্নান কবির, জেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা মৎস কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, যুব উন্নয়নের সহকারী পরিচালক মোছা. এসমত আরা বেগম, সমাজসেবা অফিসার প্রবীর রায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাহিনুর রহমান, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার মিজানুর রহমান, একাত্তর টিভি’র বরুণ ব্যানার্জি, ডিবিসি নিউজের এম বেলাল হোসাইন, মানবজমিন’র এস এম বিপ্লব হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার পানি, কৃষি, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। এ সংকট মোকাবিলায় জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ)-এর পাশাপাশি স্থানীয় বাস্তবতা অনুযায়ী কার্যকর অভিযোজন পরিকল্পনা (ল্যাপা) গ্রহণ জরুরি। তারা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণ ও বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য।

তথ্য উপস্থাপনায় জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার ২০২২ সালে ন্যাপ অনুমোদন করেছে, যার বাস্তবায়নকাল ২০২৩ থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত। স্থানীয় জনগণের অভিজ্ঞতা ও মতামতের ভিত্তিতে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের পথ খুঁজতেই ল্যাপা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা খাবার পানির সংকট, কৃষিজমিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অবকাঠামোগত দুর্বলতাকে প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন। এসব সমস্যা সমাধানে তারা দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই পরিকল্পনার ওপর জোর দেন।

উল্লেখ্য, প্রকল্পের আওতায় ধারাবাহিক আলোচনা, কর্মশালা এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীজনদের সম্পৃক্ততায় সাতক্ষীরার জন্য একটি চূড়ান্ত স্থানীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।  ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়ক আল আমিন মোল্লা

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনির অভিযানে অস্ত্র-মাদকসহ তিনজন আটক

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনির অভিযানে শীর্ষ মাদক সম্রাজ্ঞী আনজুয়ারাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা।রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযানটি পরিচালনা করেন সদর সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন নাহিদ। সেনা ও পুলিশের যৌথ টিম শহরের গড়েরকান্দা এলাকায় এ অভিযান চালিয়ে আনজুয়ারা, তার ছেলে আসিফ এবং বাটকেখালী এলাকার মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে আবদুর রহিমকে আটক করে।

সেনা ক্যাম্প সূত্র জানায়, অভিযানে তাদের কাছ থেকে ২৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, নগদ এক লাখ ৩৪ হাজার ১৬০ টাকা, তিনটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, পাঁচটি বাটন ফোন, তিনটি চাপাতি, দুটি কুড়াল, একটি চুরি, সাতটি চাকু ও একটি লাঠি উদ্ধার করা হয়।

সদর সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন নাহিদ বলেন, আটক আনজুয়ারা দীর্ঘদিন ধরে সাতক্ষীরায় মাদক সম্রাজ্ঞী হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
এদিকে আনুজয়ারার আটকের পর স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন স্থানীয়রা। মাদক সম্রাজ্ঞী আনজুয়ারা নিজের বাড়ীকে মাদকের ডেরা বানিয়ে ফেলেছিল। তার পরিবারের প্রতিটি সদস্য মাদকের সাথে সরাসরি জড়িত। স্থানীয়রা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মাম লা দেওয়াসহ মারপিট করে হয়রানি করে আসছিল। যে কারনে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস দেখাতো না। এছাড়া পালিয়ে থাকা তার ভাই আশরাফুল ইসলাম ও স্বামী সাবেক পুলিশ কনস্টেবল শামসুর রহমানকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে জেলা  প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে  জেলা প্রশাসনের আয়াজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি অন্যান্য মাসের তুলনায় গতমাসে জেলায় অপরাধপ্রবণতা কমেছে বলে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি এই মাসে অনুষ্ঠিতব্য হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা সুষ্টুভাবে পালনের জন্য বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন।এছাড়া সভায় জানানো হয়, এবার পূজা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন মেলাকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

সভায় জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ শহরের যানজট নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ,লাইনেন্সবিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধকরণ,দ্বিধাবিভক্ত প্রেসক্লাব ইস্যুতে আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ,সরকারি খাস জমিতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছ্বেদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার মান উন্নয়নসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস,সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম,ক্যাপ্টেন নাহিদুল ইসলাম খান ,জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমতুল্লাহ পলাশ,সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাব্ল,জেলা জামায়াতের আমীর শহিদুল ইসলাম মুকুল,সেক্রেটারি আব্দুল আজিজ,সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের  অধ্যক্ষ প্রফেসর এম এ হাশেম, জেলা দুর্নীতি প্রতিরাধ কমিটির সভাপতি ডা. আবুল কালাম বাবলা,প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাসেম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা কারা মহাপরিদর্শকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি :  সাতক্ষীরা যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়র জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেনের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের হয়েছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি প্রিজন্স শেখ আব্দুল অমিক। আদালতের বিচারক শহিদুল ইসলাম বিবাদীপক্ষকে সমন ইস্যু করার নির্দেশ দিয়েছেন । এ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে আগামী ৭ অক্টোবর।

শেখ আব্দুল অমিক সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁকাল গ্রামের বাসিন্দা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদী শেখ আব্দুল অমিক দীর্ঘ ২৩ বছর দেশের বিভিন্ন কারাগারে সুনামের সঙ্গে রাস্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০১১ সালের ২৯ এপ্রিল অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কারা অধিদপ্তরের অনিয়ম নিয়ে তিনি মাঝে মাঝে মন্তব্য করতেন। তবে তিনি সর্বদা কারা অধিদপ্তরের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে সচেষ্ট ছিলেন।
বাদীর অভিযোগ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করার অভিযোগে গত ২৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন স্মারক নং ৫৮,০৪,০০০০,০২৮,০৫,০০১,২৫-২৭৯ অনুযায়ী তাকে দেশের সকল কারাগারে অবাঞ্ছিত (Persona non-grata) ঘোষণা করেন। এ সংক্রান্ত চিঠির কপি ইতোমধ্যে সকল কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এতে বাদী সামাজিকভাবে হেয় হয়েছেন । তার সম্মানও ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে ।

মামলায় আরজি পেশ করা হয়, অবসরপ্রাপ্ত একজন জ্যেষ্ঠ কারা কর্মকর্তা হিসেবে বাদীকে দেশের সব কারাগারে প্রবেশে নিষিদ্ধ করা অন্যায় ও বেআইনি। এ ঘটনায় গত ১৮ মে ২০২৫ তারিখে মহাপরিদর্শককে প্রতিবাদপত্র দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। প্রতিবাদপত্র ও লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পরও বিবাদীপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এ কারণে তিনি সাতক্ষীরা যুগ্ন জেলা জজ আদালতে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিএম আবুবকর সিদ্দিক আদালতে বলেন, “আমার মক্কেলকে বেআইনিভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে অপমানিত করা হয়েছে। এজন্য মানহানির ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৪ আগস্ট আদালতে মামলা দায়ের করেন তার মক্কেল।কিন্তু আদালত নির্দিষ্ট পরিমাণ কোর্ট ফি দিয়ে মামলা করার আদেশ দেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর বাদীপক্ষ সেই নির্দিষ্ট পরিমাণ কোর্ট ফি দাখিল করার পর আদালত বিবাদীপক্ষকে সমন ইস্যু করার নির্দেশ দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের জিপি (সরকারি কৌশলী) অসীম কুমার মন্ডল বলেন,বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। মহাপরিদর্শকের পক্ষ হতে কেন এ ধরনের আদেশ দেওয়া হয়েছিল,আদালতে তিনি তার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় গ্রিলের তালা ভেঙে দুর্ধর্ষ চুরি

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়র জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেনের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের হয়েছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি প্রিজন্স শেখ আব্দুল অমিক। আদালতের বিচারক শহিদুল ইসলাম বিবাদীপক্ষকে সমন ইস্যু করার নির্দেশ দিয়েছেন । এ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে আগামী ৭ অক্টোবর।

শেখ আব্দুল অমিক সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁকাল গ্রামের বাসিন্দা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদী শেখ আব্দুল অমিক দীর্ঘ ২৩ বছর দেশের বিভিন্ন কারাগারে সুনামের সঙ্গে রাস্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০১১ সালের ২৯ এপ্রিল অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কারা অধিদপ্তরের অনিয়ম নিয়ে তিনি মাঝে মাঝে মন্তব্য করতেন। তবে তিনি সর্বদা কারা অধিদপ্তরের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে সচেষ্ট ছিলেন।
বাদীর অভিযোগ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করার অভিযোগে গত ২৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন স্মারক নং ৫৮,০৪,০০০০,০২৮,০৫,০০১,২৫-২৭৯ অনুযায়ী তাকে দেশের সকল কারাগারে অবাঞ্ছিত (Persona non-grata) ঘোষণা করেন। এ সংক্রান্ত চিঠির কপি ইতোমধ্যে সকল কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এতে বাদী সামাজিকভাবে হেয় হয়েছেন । তার সম্মানও ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে ।

মামলায় আরজি পেশ করা হয়, অবসরপ্রাপ্ত একজন জ্যেষ্ঠ কারা কর্মকর্তা হিসেবে বাদীকে দেশের সব কারাগারে প্রবেশে নিষিদ্ধ করা অন্যায় ও বেআইনি। এ ঘটনায় গত ১৮ মে ২০২৫ তারিখে মহাপরিদর্শককে প্রতিবাদপত্র দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। প্রতিবাদপত্র ও লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পরও বিবাদীপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এ কারণে তিনি সাতক্ষীরা যুগ্ন জেলা জজ আদালতে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিএম আবুবকর সিদ্দিক আদালতে বলেন, “আমার মক্কেলকে বেআইনিভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে অপমানিত করা হয়েছে। এজন্য মানহানির ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৪ আগস্ট আদালতে মামলা দায়ের করেন তার মক্কেল।কিন্তু আদালত নির্দিষ্ট পরিমাণ কোর্ট ফি দিয়ে মামলা করার আদেশ দেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর বাদীপক্ষ সেই নির্দিষ্ট পরিমাণ কোর্ট ফি দাখিল করার পর আদালত বিবাদীপক্ষকে সমন ইস্যু করার নির্দেশ দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের জিপি (সরকারি কৌশলী) অসীম কুমার মন্ডল বলেন,বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। মহাপরিদর্শকের পক্ষ হতে কেন এ ধরনের আদেশ দেওয়া হয়েছিল,আদালতে তিনি তার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরার লাবসা বাইপাস সড়কে মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন সড়কে মেয়াদোত্তীর্ণ এবং খেলাপি মোটরযানের চলাচল বন্ধে বিশেষ মোবাইল কোর্টের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিশেষভাবে ২০ বছরের অধিক পুরাতন বাস-মিনিবাস এবং ২৫ বছরের অধিক পুরাতন ট্রাক-কভার্ডভ্যানের বিরুদ্ধে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর ‘২৫) বিকালে সাতক্ষীরা শহরের লাবসা বাইপাস সড়কে এই ধরনের একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের কারণে ৫টি মামলার বিপরীতে মোট ৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম, বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেল সহকারী মোটরযান পরিদর্শক মোঃ ওবায়দুর রহমান এবং সঙ্গীয় ব্যাটালিয়ন আনসার ফোর্স।

বিআরটিএ সূত্রে জানা যায়, এই মোবাইল কোর্টের উদ্যোগ এসেছে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ এবং খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (ইঞ্জি:) মোঃ জিয়াউর রহমানের নির্দেশনায়। সড়কে শৃঙ্খলা আনার লক্ষ্যে খুলনা বিভাগের প্রত্যেকটি সার্কেলের আওতাধীন জেলা গুলোতে এই ধরনের অভিযান চালানো হচ্ছে। সাতক্ষীরায় এই বিশেষ অভিযান সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাক আহমেদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে।

এই অভিযানগুলির মূল লক্ষ্য হচ্ছে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা এবং সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস করা। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুযায়ী, মেয়াদোত্তীর্ণ ও খেলাপি যানবাহনের চলাচল নিশ্চিত করা এবং লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালানো বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি। এই ধরনের অভিযানগুলি ভবিষ্যতে সড়ক নিরাপত্তা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশা করছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে স্কুল শিক্ষক ও আয়া আটক

দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটায় অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে একই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও ঐ স্কুলের আয়াকে স্থানীয় জনতা আটক করে থানায় প্রেরন করার ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় পুলিশ আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আটককৃত শিক্ষক ও আয়াকে আদালতে প্রেরন করেছে। এছাড়া স্কুল ম্যানেজিং কমিটি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে উক্ত দুজনকে সাময়িক বহিষ্কার ও স্কুলের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

জানা গেছে, উপজেলার টাউনশ্রীপুর শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব কুমার ব্যানার্জী ও উক্ত স্কুলের আয়া জান্নাতুল ফেরদৌস দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার কারনে উক্ত স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হওয়া ও স্কুলের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ায় পূর্বের কমিটির সময় তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে সতর্ক করা হয়। কিন্তু তারা সে বিষয়ে সতর্ক না হয়ে তাদের অনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখে। এই কারনে ঐ মহিলার পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি হলে তিনি দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া আশু মার্কেটে একটি ঘর ভাড়া করে থাকেন। বৃহস্পতিবার ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে ঐ এলাকার জনগন ঐ ভাড়া বাসা থেকে সঞ্জীব কুমার ও আয়া জান্নাতুল ফেরদৌসকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে।

দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও টাউনশ্রীপুর শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির আহবায়ক আব্দুল মতিন বকুল জানান, অনৈতিক কর্মকান্ডের কারনে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব কুমার ও আয়া জান্নাতুল ফেরদৌসকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান মাসুমকে আহবায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর ২জন সদস্য হলেন স্কুলের শিক্ষক আমিরুল ইসলাম ও শিক্ষক হাসান রেজা মুকুল। আব্দুল মতিন বকুল জানান, এই কমিটি রিপোর্ট দিলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া জানান, রাতে স্থানীয়দের বরাতে সংবাদ পেয়ে পুলিশ শিক্ষক ও আয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
 কালিগঞ্জে শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে আটক-৩

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ৫ বছরের শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিন কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে এঘটনা ঘটে।

গুরুতর অসুস্থ শিশুটিকে প্রথমে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে অবস্থার অবনতিতে  সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আটককৃত ৩ কিশোর কালিগঞ্জের পিরোজপুর বস্তির বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী শিশুটির মা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে তার মেয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে খেলতে যায়। এ সময় প্রতিবেশী তিন কিশোর খেলার কথা বলে শিশুটিকে ডেকে নিয়ে পরিত্যক্ত একটি ঘরে যায়। এরপর তারা শিশুটিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে তার মেয়ের কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে তিনি ভেতরে ঢুকতেই ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে ওই তিন কিশোর পালিয়ে যায় ।

তিনি আরও জানান,  তিনি মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কালিগঞ্জ থানায় নিয়ে আসেন। পরে থানা থেকে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। পরে অবস্থার অবনতিতে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া চলমান।এঘটনায় শিশুটির মা থানায় নারী ও শিশু নিরযাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ডালিয়া আক্তার বলেন, শিশুটির অবস্থা এখনো স্থিতিশীল নয়। তাকে কেবিনে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest