সর্বশেষ সংবাদ-
সম্মিলিত সাংবাদিক এসোসিয়েশনের সদস্য সাদিকুরের পিতার মারা গেছেনবেগম খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে কলারোয়ায় দোয়াপাটকেলঘাটায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের এ প্লাস সংবর্ধনাতালায় তিন লক্ষ টাকার ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের শুরুবিয়ের প্রলোভনে বিধবাকে সাড়ে চার মাস ধরে ধর্ষণ : দলিল লেখক শাওনের বিরুদ্ধে মামলামেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় তালায় ৭ দোকানকে জরিমানাশ্যামনগরে বজ্রপাতে এক পথচারীর মৃত্যুতালায় আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের বৃক্ষরোপনজলবায়ু সহনশীল সমাজ গঠনে বারসিকের নতুন প্রকল্প: ২০ হাজার পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তনের উদ্যোগদেবহাটায় শিক্ষার্থীদের বৃক্ষরোপণ উৎসবে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক

জনভোগান্তি চরমে খুলনা-পাইকগাছা সড়কের তালা উপ-শহরের বেহাল দশা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিরামহীন বৃষ্টিতে খুলনা-পাইকগাছা প্রধান সড়কের তালা উপ-শহরের জেলেপাড়া এলাকায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচল প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।

সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল থেকে ভারি বর্ষণের ফলে সড়কের অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় মানুষ ও যাত্রীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, তালা উপ-শহরের জেলেপাড়া থেকে তালা ব্রিজ মোড় পর্যন্ত সড়কটি ঠিকাদার কর্তৃক খুঁড়ে ফেলে রাখা এবং টানা বৃষ্টির কারণে করুণ দশায় পড়েছে।

খুলনা থেকে আঠারোমাইল হয়ে পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায় যাতায়াতের একমাত্র প্রবেশপথ এই সড়ক। কিন্তু সড়কের উক্ত অংশে যানবাহন আটকে যাচ্ছে গর্তে পড়ে। বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে বারবার ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এমনকি পথচারীরাও পায়ে হেঁটে পার হতে পারছেন না।

খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি অমরেশ কুমার মন্ডল বলেন, আঠারোমাইল থেকে তালা সদর হয়ে পাইকগাছা পর্যন্ত ছয়টি স্থানে সড়কের খুবই খারাপ অবস্থা। তালা থানা-ব্রিজ মোড়, কপিলমুনি ফকিরবাসা মোড়, গোলাবাটি মোড়, মুচির পুকুরের মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে সমস্যা ভয়াবহ। আমরা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে কিছু জায়গায় ইট-বালু ফেলে মেরামতের চেষ্টা করছি।

সৈয়দ বাচ্চু নামের এক পথচারী বলেন, ঠিকাদার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে আমাদের চরম মাশুল দিতে হচ্ছে।

বাস, ট্রাক, পিকআপ, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল চালকরাও ঠিকাদার ও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, খুলনা-পাইকগাছা রুটে প্রতি ১২ মিনিট পরপর একটি করে গাড়ি চলাচল করে। দিনে প্রায় ১২০টি গাড়ি ও ৭০টি ঢাকা রুটের পরিবহন এ সড়ক ব্যবহার করে। সড়কের দুরাবস্থার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।

তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপা রানী সরকার বলেন,সড়কের বিষয়টি নিয়ে খুলনা বিভাগীয় প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন।

খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তানিমুল হক জানান, ভেঙে যাওয়া সড়কের মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই সড়কটি চলাচলের উপযোগী হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্রেতা সুরক্ষা আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ক্রেতা সুরক্ষা আন্দোলন (সিআরবি) সাতক্ষীরা জেলা শাখার নবগঠিত কমিটির সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে শপথ গ্রহণ করেন সিআরবির নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শপথ বাক্য পাঠ করান উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোয়াইব আহমাদ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিআরবি সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি গোলাম রসূল রাসেল, সহ-সভাপতি গাজী আব্দুস সামাদ, সাধারণ সম্পাদক জি এম রেজাউল করিম রেজা, সার্ভিস ফি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মাহমুদুল হাসান, কুমারেশ দাশ, ইমরান হোসেন, রফিকুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, বাবু। ###

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া এলাকায় পুরাতন ডাকবাংলোর সামনে স্মৃতিস্তম্ভটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল হাসেম, সিভিল সার্জন ডা.আব্দুল সালাম, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন, মুখপাত্র মোহিনি তাবাসসুম এবং জুলাই আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমানের প্রস্তাব অনুযায়ী সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া এলাকায় পুরাতন ডাকবাংলোর সামনে স্মৃতিস্তম্ভটির নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে ঐস্থানে স্মৃতিস্তম্ভটির নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

এদিকে, ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এ স্মৃতিস্তম্ভের উচ্চতা হবে ১৮ ফুট এবং প্রস্থ ৬ ফুট। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজপথে উচ্চারিত প্রেরণামূলক স্লোগান স্তম্ভটিতে খোদাই করে রাখা হবে। এটি নির্মিত হচ্ছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যৌথ অর্থায়নে। স্মৃতিস্তম্ভটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে আগামী ৫ আগস্ট।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে বীর শহীদদের স্মরণে এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা দেশের ৬৪ জেলাতেই নির্মিত হবে। আশা করছি, আগামী ৫ আগস্টে এই স্মৃতিস্তম্ভে জুলাই শহীদদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা সম্ভব হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিভিন্ন ব্যবসায়ীর নিকট থেকে টাকা নিয়ে লাপাত্তা সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস এর মালিক মিজান

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা শহরের ব্যবসায়ী ( কাটিয়া এলাকা ) করা মামলায় এক বছরের সাজা মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কাটিয়া এলাকার মিজান। ব্যাসায়ীর কাছ থেকে অল্প কিছুদিনের জন্য ধার নেওয়া টাকা ফেরত না দিলে উক্ত ব্যবসায়ী চেকের মামলা করেন
সাতক্ষীরা যুগ্ম দায়রা জজ ১ম আদালতে।

দীর্ঘ যুক্তিতর্ক শেষ করে এ সাজা ঘোষণা করেন যুগ্ম দায়রা জজ ১ম আদালত।মিজানুর রহমান সাতক্ষীরা পৌরসভার দক্ষিণ কাটিয়া এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস পরিবহনের পরিচালক মিজানুর রহমান তার প্রতিবেশি ভোমরার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চেকের বিনিময়ে ১০ লক্ষ টাকা ধার নিয়ে ফেরত না দেওয়ায় ওই ব্যবসায়ী আদালতের দারস্ত হন। পরবর্তীতে সাতক্ষীরার যুগ্ম দায়রা জজ ১ম আদালত সাক্ষ্য প্রমান গ্রহণ শেষে এনআই এ্যাক্টের ১৩৮ ধারা মোতাবেক ব্যবসায়ীর ১০ লক্ষ টাকা ফেরত ও আরও ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন।

পরবর্র্তী ৬০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের জন্য সময়সীমা বেধে দিলেও মিজান সে টাকা পরিশোধ না করায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী করে। বিষয়টি জানতে পেরে মিজান সাতক্ষীরা থেকে পালিয়ে যায়। তার অবস্থান জানতে পেরে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে গেপ্তারি পরয়ানাটি ডিএমপির আদাবর থানায় অগ্রগামী করা হলেও এখনো গ্রেপ্তার হয়নি মিজান।

সাতক্ষীরা সদর থানা আসামি গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অসাধু ও প্রতিহিংসাপরায়ন শিক্ষক সিন্ডিকেটের কবলে দিশেহারা কলারোয়ার হাজীনাছির উদ্দীন কলেজের শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিনিধি : অসাধু ও প্রতিহিংসাপরায়ন শিক্ষক সিন্ডিকেটের কবলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কলারোয়ার হাজী নাছির উদ্দীন কলেজের এক শিক্ষক। এখতিয়ার না থাকলেও অবৈধভাবে সহকারী অধ্যাপকের পদ থেকে পদাবনতি করিয়ে প্রভাষক পদে চাকরি করতে বাধ্য করা হয় ওই শিক্ষককে। একাধিবার চেষ্টাও করা হয়েছে বরখাস্ত করার। ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম কলারোয়া হাজী নাছির উদ্দীন কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক। বিগত ৪ বছর ধরে নির্মম এই অত্যাচারের শিকার হয়ে আসলেও কোন প্রতিকার পাননি বলে দাবি করেন তিনি। গত চলতি বছরের ২ ফেব্রæয়ারি ন্যায় বিচার চেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকার মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে ২৫ জুন ২০২৫ তারিখে একটি প্রতিনিধি দল তদন্ত সম্পন্নও করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রবিউল ইসলাম হাজী নাছির উদ্দীন কলেজে ২০১০ সালে তৎ কালিন বৈধ কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে রেজুরেশনের মাধ্যমে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।

২০২১ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত সহকারী অধ্যাপক হিসাবে প্রায় সাড়ে এগারো বছর ধরে সরকারি পূর্ণ বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করে আসার পরে মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক স্ট্যাটাসকো সত্তে¡ও পদ অবনতি করা হয়েছে।
কিন্তু ২০২১ সালে রবিউল ইসলাম ও সাচিবিকবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক বরকত আলীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সাল থেকে শারিরীকভাবে অক্ষম আব্দুস সবুরকে দিয়ে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করে। আব্দুস সবুর চলাফেরা করতে পারেনা এমনকি কথাও বলতে পারে না।
উক্ত বিষয়ে মাউশি ঢাকা এর স্মারক নং-৩৭০২০০০০১০৫১২০০৫.২০২৩০, তারিখ ২৩ জুলাই ২০২০ এর পত্র মোতাবেক মাউশি খুলনা অঞ্চল স্মারক নং ৩৭.০২.৪৭০০ .০০.০১.০০১.১৭.৬৪৬ তারিখের পত্রের আলোকে মো: ইনামুল ইসলাম সহকারী পরিচালক, ২৯ জুলাই সকাল ১০ টায় আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়ে শুনানির জন্য উপস্থিত হই। কিন্তু উক্ত শুনানিতে আব্দুস সবুর অনুপস্থিত থাকা সত্তেও শুনানি শেষে অবৈধভাবে সহকারী অধ্যাপকের পদ প্রভাষকের পদে সুপারিশ করেন। কিন্তু একই অভিযোগে অভিযুক্ত মো: বরকত আলীকে নিয়োগ জালিয়াতির মাধ্যমে স্বপদে বহাল রাখেন। অথচ বরকত আলীর নিয়োগ প্রক্সির মাধ্যমে হয়েছে যা ডি আই এ এর এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের রিপোর্টে প্রমানিত। মন্ত্রনালয়ের পুনঃতদন্তের লক্ষে জেলা প্রশাসক মহোদয় তার যোগদান পত্রটিও তার হাতের লেখা নয় মর্মে বিগত-০৮/১০/২০১৭ ইং তারিখ রিপোর্ট প্রদান করেন। মোঃ বরকত আলীর যোগদান পত্র ও নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত খাতার হাতের লেখা এক নয় মর্মে রিপোর্টে প্রমাণিত।

এদিকে, কলেজের অসাধু শিক্ষক সিন্ডিকেটের প্ররোচনায় শারিরীক ও মানসিকভাবে একেবারে অক্ষম আব্দুস সবুরকে সহকারী অধ্যাপক প্রদানের সুপারিশ করা হয়। অথচ তার পক্ষে ক্লাস নেওয়া অসম্ভব। অসুস্থ্যতার কারনে এছাড়া তিনি দীর্ঘদিন কলেজেও আসেন না। উক্ত রিটের বিরুদ্ধে রবিউল ইসলাম হাইকোর্টে আপিল করলে ১৭ আগস্ট ২০২১ তারিখে তাকে স্বপদে বহাল রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু কলেজের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাইকোর্টের সে নির্দেশ অমান্য করে অবৈধ ভাবেই রবিউল ইসলামকে সহকারী অধ্যাপক পদ থেকে অপসারন করে প্রভাষক পদে রেখেছেন।

অন্যদিকে, কলেজের ওই অসাধু সিন্ডিকেটটি শিক্ষক আব্দুস সবুরের অসুস্থ্যতাকে মানবিক কারনে দেখিয়ে ওই পদে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এবিষয়ে কলেজের বর্তমান সভাপতি সালাউদ্দিন পারভেজ বলেন, রবিউল ইসলাম নি:সন্দেহের একজন ভালো শিক্ষক। কিন্তু তার সিনিয়র স্কেলের বিষয়টি বেশ জটিল। আমরা চেষ্টা করছি বিষয়টির সমাধানের। ইতোমধ্যে একটি তদন্তও সম্পন্ন হয়েছে। দেখাযাক কি করা যায়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক প্রফেসর ড. আনিস আর রেজা বলেন, আমরা তদন্ত সম্পন্ন করেছি। কিছু সত্যতা আমরা পেয়েছি। কিন্তু তারপরও কলেজের ভেতরে অনেক সমস্যা রয়েছে। যাইহোক ন্যায় বিচার নিশ্চিতে আমরা কাজ করছি। ##

১৩.০৭.২০২৫

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চাঁদাবাজ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে- এড. আকবর আলী

নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৩ জুলাই জেলা আইনজীবী সমিতির ২নং ভবনের ৩য় তলায় লাইব্রেরী রুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আইনজীবী সমিতির আহবায়ক এড. মো: আকবর আলী।

সংগঠনের জেলা সদস্য সচিব এড. নুরুল আমিনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক এড. শহীদ হাসান, এড. এবিএম সেলিম, এড.শাহারিয়ার হাসিব, এড. জি এম ফিরোজ আহমেদ, এড. এবিএম ইমরান শাওন, এড. সিরাজুল ইসলাম-৫ সহ অন্যরা।

সভায় সবার সম্মতিক্রমে সদস্য ফরম সংগ্রহ, আগামী ১৪ জুলাই বিকাল ৪টায় সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি এবং প্রতি সপ্তাহের বুধবার ২টার ৩১ দফার লিফলেট বিতরণের সিদ্ধান্ত হয়।

সভাপতি বলেন, আইনজীবীদের চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। #

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদরের ডিবি ইউনাইটেড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সেনেটারি ন্যাপকিন চুরি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গালিগালাজসহ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ক্লাস বর্জন করেছে শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৩ জুলাই) সকাল থেকে ক্লাস বর্জন করে স্কুলের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্কুলের শিক্ষক লুৎফুননেছা ডালিয়া, সহকারী প্রধান শিক্ষক কংকন কুমার দাস, আকলিমা খাতুন, মোস্তাফিজুর রহমান, অফিস সহকারী সালাউদ্দীন, ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী খাদিজা খাতুন, রিক মল্লিকসহ অন্যরা।

এসময় স্কুলের ১৫ জন শিক্ষকের অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক মোমিনুর রহমান ‍মুকুল গালিগালাজসহ খারাপ ব্যবহার করেন। এছাড়া আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। তিনি স্কুলে থাকলে আমরা কোনো ক্লাস নিবো না।

অপরদিকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মেয়েদের সেনেটারি ন্যাপকিন চুরি, খারাপ ব্যবহার করেন প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা ক্লাস করবো না। এসময় তারা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগসহ বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।
খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও পুলিশের একটি দল উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে।

গালিগালাজের বিষয়টি অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মোমিনুর রহমান মুকুল বলেন, আমি কড়া প্রধান শিক্ষক হওয়ায় শিক্ষকরা আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। তবে স্কুলের অর্থ আত্মসাথের বিষয়ে তিনি বলেন আওয়ামীলীগের সময়ে ভবন বরাদ্দের জন্য সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের এমপিসহ বিভিন্ন দপ্তরে ঘুষ দেওয়া লেগেছে। যে কারনে স্কুল ফান্ডের টাকা নিয়ে ঘুষ দিয়েছি। তিনি আরো বলেন কেউ না চাইলে আমি স্কুলে থাকবো না।

এবিষয়ে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নারায়ন চন্দ্র মন্ডল বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমাদের কাছে রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ভাইয়ের জমি দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ভাইয়ের জমি দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।

জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদরের কাটিয়ায় মৌজায় ১০১, এ খতিয়ান নং-১২৯৫, বিআর এস খতিয়ান নং ১২১০, জমা খারিজ খতিয়ান নং-২০০৯ এস এ দাগ ১৩০০. হাল বি.আর.এস ৬৯১ দাগের .০৮ একর জমির মধ্যে .০১০০ একর নিয়ে উত্তর কাটিয়া গ্রামের মৃত আমজাদ আলীর পুত্র খলিল উল্লাহ এবং নজিবুল্যাহ ও শফিউল্লার মধ্যে পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

এনিয়ে আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। আদালত উক্ত সম্পত্তিতে ১৪৪ ধারা জারি করে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে স্থিতিবস্থা জারি করেছেন। কিন্তু আদালতের সে নির্দেশ উপেক্ষা করে ভাইয়ের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করতে জোরপূর্বক ওই সম্পত্তিতে ভবন নির্মান শুরু করে শফিউল্লাহ এবং নজিবুল্লাহ। এবিষয়ে সদর থানার এ এসআই বোরহান শেখ অভিযুক্ত নজিবুল্যাহ ও শফিউল্লারদের আদালতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এভাবে আইন অমান্য করে কাজ করতে নিষেধ করেন। কিন্তু পুলিশের সে নির্দেশ অমান্য করে প্রভাব খাটিয়ে কাজ অব্যাহত রেখেছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ করলেও পুলিশ বলছে তাদের কিছু করার নেই মর্মে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

এবিষয়ে সদর থানার এ এসআই বোরহান শেখের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তাদের জানিয়েছি। কিন্তু নজিবুল্যাহ ও শফিউল্লা আমার কথা মানতে রাজি হচ্ছে না। তারা আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কাজ করে যাচ্ছে। আমি অবশ্যই ভুক্তভোগীর আইনজীবীকে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছি।

অভিযুক্ত শফিউল্লাহর ব্যবহৃত নাম্বারে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest