সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার শিয়ালডাঙ্গায় বসতঘরে আগুন : ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিদেবহাটায় তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষসাতক্ষীরায় সরকারি গোরস্থান বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের উদ্বোধনখাস জমি উদ্ধার পূর্বক ভ‚মিহীনদের মধ্যে বন্টনের দাবিতে সভাবাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন: জামায়াত নেতা ডাঃ তাহেরদেবহাটায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের সমাপনীইছামতি নদী থেকে জালে ধরা পড়লো বিশাল এক কচ্ছপসার্চ কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভসাতক্ষীরার পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৫টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবেতারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য ও সাইদুরের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

আশাশুনিতে মৎস্য ঘের দখলের চেষ্টা: ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার মাছ লুট

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার আশাশুনির কাকড়াবুনিয়ায় মৎস্য ঘের দখলের চেষ্টা, ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবী ও নগদ ৬০ হাজার টাকা জোর পূর্বক চাঁদা আদায়সহ মোট ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার মাছ ও মালামাল লুটের অভিযোগে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার জমা দেয়া হয়েছে। গত ২২ মার্চ (শনিবার) আশাশুনি থানায় এজাহারটি জমা দেন জেলা মহিলা দলের সদস্য ও সাতক্ষীরা শহরের মধ্য কাটিয়া এলাকার ভুক্তভোগী আম্বিয়া বেগম। সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের নির্দেশে এজাহারটি আমলে নিয়ে আশাশুনি থানার ওসি এটি তদন্তের জন্য এসআই নাহিদের উপর দায়ীত্ব দিয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাহিদ ইতিমধ্যে বিষয়টির সত্যতা পেয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

এ মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা হলেন, আশাশুনি উপজেলার কাকড়াবুনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র মোস্তাক (৩০), মৃত গফুর সানার পুত্র দ্বীন মোহাম্মদ সানা দ্বীনু (৩৫), মোস্তফা আকুঞ্জির পুত্র জহুরুল আকুঞ্জি (২৮), গোলাম বারীর পুত্র মোঃ সাগর (৩০), গফুর সানার পুত্র রফিকুল ইসলাম সানা হাসেম (৪০), জব্বার সার পুত্র জমাত সানা (৩৮) ও গফুর সানার পুত্র জাহাঙ্গীর ওরফে নাটা (৩৮)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার কাকড়াবুনিয়া এলাকায় আম্বিয়া বেগমের জামাতা আব্দুল্লাহ আলমামুনের ৩০ বিঘা জমির উপর একটি মৎস্য ঘের রয়েছে। উক্ত ঘেরে লক্ষ লক্ষ টাকা বাগদা ও গলদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে। গত (২০২৪) বছরের ৭ আগস্ট আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে উপরোক্ত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা বেআইনি জনতা দলবদ্ধ হয়ে হাতে ধারালো দা ও চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আম্বিয়া বেগমের জামাতা আব্দুল্লাহ আল মামুনের ঘেরে প্রবেশ করে।

এসময় সেখানে পাহারারত জামাতার ভাই হাবিবুর রহমান বাধা দিলে তারা তাকে খুন জখমের হুমকি প্রদান করে এবং এখানে ঘের করতে হলে তাদের ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে জানায়। একপর্যায়ে তারা তাকে ঘের থেকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দিয়ে ঘেরের বাসায় থাকায় মাছ বিক্রির নগদ ৭০ হাজার টাকাসহ ১ লাখ ৫ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এরপর তারা একাধিকবার উক্ত মৎস্য ঘেরে প্রবেশ করে আরো প্রায় ৩ লাখ টাকার মাছ ধরে তা লুট করে নিয়ে যায়। এমাতাবস্থায় চলতি (২০২৫) বছরের ২৩ ফেব্রæয়ারী উক্ত আসামীরা আবারো অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মৎস্য ঘেরটি দখলে নেয়ার চেষ্টা করতে থাকলে আম্বিয়ার বোন জেলা মহিলা দলের নেত্রী সালেহা হক কেয়া ও জামাতা আব্দুল্লাহ আল মামুন এতে বাধা দিলে তারা বলে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিলে তারা এখুনি চলে যাবে। এসময় টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় ৫ নং আসামী রফিকুল সানার হুকুমে ১ নং আসামী মোস্তাক আম্বিয়ার জামাতা আব্দুল্লাহকে ধারালো দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারিয়া রক্তাক্ত জখম করে। এসময় ৩ নং আসামী জহুরুল আকুঞ্জি জোরপূর্বক আব্দুল্লাহর পকেটে থাকা ৬০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এসময় আম্বিয়া ঠেকানোর চেষ্টা করলে ৬নং আসামী জমাত সানা তাকে কিল ঘুষি মারিয়া অসৎ উদ্ধেশ্যে পরনের কাপড় চোপড় খুলে শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং কিল ঘুষি মেরে ফোলা জখম করে। ৭ নং আসামী নাটা এসময় আম্বিয়ার গলা থেকে ৭৫ হাজার টাকা মূল্যে ১০ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিড়ে নেয়। আম্বিয়ার বোন সালেহা হক কেয়া তার বোনকে ঠেকাতে গেলে ৪ নং আসামী সাগর অসৎ উদ্ধেশ্যে তার তাকেও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে এবং কিল ঘুষি মেরে ফোলা জখম করে। এসময় ২ নং আসামী দ্বীন মোহাম্মদ সানা ওরফে দ্বীনু ও ৬ নং আসামী জমাত সানা আম্বিয়ার জামাতা আব্দুল্লাহকে গলা চেপে ধরে শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে।

এরপর উক্ত সকল আসামীরা তাদেরকে মৎস্য ঘেরের ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রেখে বাহিরের থেকে তালা লাগাইয়া দিয়ে চলে যাওয়ার সময় আবারো ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে যা ১৫ দিনের মধ্যে তাদেরকে পরিশোধ করতে হবে বলে জানায়। অন্যথায় তারা মৎস্য ঘের দখলে নেওয়াসহ খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করেন এজাহারে বর্ণিত স্বাক্ষী অলিউল্লাহ অলু, তুহিন, সোহেলসহ অন্যরা।

এমামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশাশুনি থানার এসআই নাহিদ জানান, অভিযোগটি হাতে পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি এ ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে এ প্রতিবেদককে জানান।
এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নোমান হোসেন জানান, তদন্ত কর্মকর্তা নাহিদ বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার পর এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালার শিশু মেহজামিনকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন

তালা প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরা তালার মেহজামিন ২২ মাসের এক শিশু কন্যা থ্যালাসেমিয়া ও রক্ত শূন্যতায় ভুগছে। অসুস্থ্য ও দরিদ্র পিতা মাতার শিশুটির চিকিৎসার জন্য সমাজে বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। সে তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের অভয়তলা গ্রামের মনিরুল ইসলাম ও মাতা হাফিজা বেগমের কন্যা।

মেহজামিনের মা হাফিজা বেগম জানান, তার স্বামী পরের জমিতে কৃষি কাজ করে সংসার চালাতো। কিন্তু বর্তমানে তার স্বামী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ্য অবস্থায় বাড়িতে আছেন। তার দুইটি মেয়ে বড় মেয়ে মনিয়ারা (১০) একটি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে।

ছোট মেয়ে মেহজামিন জন্মের ১০ মাস পর থ্যালাসেমিয়া ও রক্ত শূন্যতা ধরা পড়ে। বর্তমানে হেমাটোলজি ও বোনম্যারো ট্রন্সপ্লান্ট বিভাগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাঃ মোঃ আশিকুজ্জামানের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন আছে। প্রথমে রোগটি ধরা পড়লে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়ে প্রায় ৭/৮ লক্ষ টাকা পরিবার খরচ করেছে। কন্যার চিকিৎসার জন্য সহায় সম্বল সবকিছু বিক্রয় করে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে।

এখন প্রতি মাসে চিকিৎসা খরচ বাবদ প্রায় ২০ হাজার খরচ হচ্ছে। শিশুটির চিকিৎসা খচর বহন করতে অসহায় পিতা মাতার মানুষের দাড়ে দাড়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। অসহায় পরিবার শিশুটির চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। যোগাযোগ: বিকাশ- ০১৯৪৩-৪৪৫৮৫৪।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাজারে আসছে নারী ন্যাপকিন

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার প্রান্তিক নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাজারে আসছে নারী ন্যাপকিন। যেটি স্বল্প মূল্যে হাতের কাছেই পাবেন প্রান্তিক নারীরা। বর্তমান সময়ে এসেও নারীরা তাদের স্বাস্থ্যে বিষয়ে উদাসীন। অনেক সময় চাইলেও হাতের কাছে না পেয়ে হয়রানির শিকার হতে হয়। নারী যাতে হাতের কাছেই ন্যাপকিনের সুরক্ষা পেতে পারে সে লক্ষ্যেই এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা ম্যানগ্রোভ সভাঘরে অনুষ্ঠিত উপক‚লীয় সাতক্ষীরায় জননিয়ন্ত্রিত জলবায়ু অভিযোজন এবং টেকসই জীবিকায়ন কর্মসূচি প্রকল্পের অংশীজনের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

প্রেরণার নারী উন্নয়ন সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: ফরহাদ জামিল।

বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার নাজমুল হুদা এবং প্রশিক্ষন ও ডকুমেন্টেশন অফিসার মৃত্যুঞ্জয় সাহার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা বিসিকের উপ-পরিচালক গৌরব দাশ, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মেডিকেল অফিসার ডা: মফিজুল ইসলাম, সূর্যের হাসি’র ম্যানেজার মিকাইল হোসেন, আনন্দ’র প্রোজেক্ট ম্যানেজার আমিরুল ইসলামসহ অন্যরা। প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমানে যে সব নারী রোগে আসে। তাদের অধিকাশংই জরায়ুতে সমস্যা নিয়েই আসে। একটু সচেতন হলেই কিন্তু এসব রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সকলকে ন্যাপকিন ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে পুকুরে গোসল করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ###

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা জামায়াতের ইফতার মাহফিলে দেশের স্বার্থে ঐক্য অটুট রাখার প্রত্যয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
দেশের স্বার্থে ঐক্য অটুট রাখার প্রত্যয়ব্যক্ত করে সাতক্ষীরায় জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতারা বলেছেন, আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ন হবো না। আমরা হবো সহনশীল এবং পরমত সহিষ্ণু। জুলাই বিপ্লবের শহিদদের রক্তের দাগ শুকায়নি। বাংলাদেশের আকাশে আবারো সেই কালো শকুনের ছায়া। এই কালো শকুন যেন আমাদের ছাত্র—জনতার আন্দোলনের স্বাধীনতাকে ভুলুন্ঠিত করতে না পারে। সেজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এদেশকে আমরা সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নিতে চাই।

সাতক্ষীরাসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নের প্রশ্নে আমরা সবাই এক। আমাদের এই একতা যেন অটুট থাকে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে সাম্প্রতিক সম্প্রীতি এবং পারস্পরিক সহমর্মিতা অক্ষুণ্ণ থাকবে। কেউ আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। এজন্য আমাদের ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। ১৯৯১ সাল সাল থেকে বিএনপি—জামায়াত জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিএনপি—জামায়াত জোট অতীতে ঐক্যবদ্ধ ছিল এখনো আছে। রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে কিন্তু দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন আছি এবং ভবিষ্যতে থাকবো।

সাতক্ষীরায় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাতক্ষীরা জেলা শাখার ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানে বিএনপি—জামায়াতের শীর্ষ নেতারা এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য অধ্যক্ষ মুহাঃ ইজ্জত উল্লাহ।
রবিবার (২৩ মার্চ) বিকালে শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক সংলগ্ন পৌর অডিটরিয়ামে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুলের সভাপতিত্বে ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুল ইসলাম, সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমতুল্লাহ পলাশ, সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, যুগ্ম—আহ্বায়ক তাসকিন আহমেদ চিশতি, আবুল হাসান হাদী, সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আলম, ইসলামি আন্দোলন জেলা শাখার সহ—সভাপতি প্রভাশক ওয়েজ কুরুণী প্রমুখ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর শেখ নূরুল হুদা, ডাক্তার মাহমুদুর রহমান, গাজী সুজায়েত আলী, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মাহবুবুর রহমান, প্রভাষক ওবায়দুল্লাহ, প্রভাষক ওমর ফারুক, মাওলানা ওসমান গণি, অফিস সেক্রেটারী মাওলানা রুহুল আমিন, শহর শাখার আমীর জাহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা মোশারফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ইফতার মাহফিলে জাতীয় নেতা, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি, পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ, কবি—সাহিত্যিক, ডাক্তার, সাংবাদিক, গবেষক, ব্যবসায়ী ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে জামায়াতে ইসলামীর নেতা—কর্মীদের মধ্যে পারস্পারিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিময় মিলনমেলায় পরিণত হয়। পারস্পারিক আলাপ—আলোচনায় মুখরিত হয়ে ওঠে পৌর অডিটরিয়াম।
ইজ্জত উল্লাহ বলেন, জুলাই বিপ্লবে যারা প্রাণ দিয়েছেন, আজকের এই দিনে তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। তারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন বলেই আজ আমরা উন্মুক্ত পরিবেশে আপনাদের সাথে বসে ইফতার করতে পারছি। যারা শাহাদাত বরণ করেছেন তাদের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর শত শহীদের বিনিময়ে আমরা আবার এক হতে পেরেছি। আমরা কথা বলার অধিকার ফিরে পেয়েছি। পেয়েছি স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করার অধিকার। বাংলাদেশের আকাশে আজ কালো মেঘের ঘনঘটা। বাংলাদেশের আকাশে আবারো কালো শকুনের ছায়া। এছায়া যেন আমাদের শান্তি বিনাশের কারণ না হয়। সুযোগ এসেছে স্বাধীনতার সেই সোনার ফসল ঘরে তোলার। আমারা সুখী, সমৃদ্ধশালী, উন্নত এক শান্তিময় বাংলাদেশ কায়েম করতে চাই। যেখানে থাকবে না হিংসা, হানাহানি। থাকবে না কোন বৈষম্য। সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই।’

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমতুল্লাহ পলাশ বলেন, আমরা ১৯৯১ সাল থেকে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন ও আন্দোলন করে আসছি। এদেশের গণতন্ত্রের মুক্তির আন্দোলনে আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমাদের এ ঐক্য অটুট থাকবে

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় সন্ত্রাসী স্টাইলে পৈত্রিক সম্পত্তির প্রাচীর ভাংচুরের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে সন্ত্রাসী স্টাইলে পৈত্রিক সম্পত্তির প্রাচীর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ২৩ মার্চ রবিবার সকালে কাটিয়া টাউন বাজার ঢালীপাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে।

এতে বাধা দিতে গেলে উল্টো জামায়াতের উর্দ্ধতন নেতাদের সংশ্লিষ্টতার দোহাই দিয়ে খুন জখমসহ নানা হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কাটিয়া টাউন বাজার ঢালীপাড়া এলাকার মৃত শামছুদ্দিন ঢালীর পুত্র সিরাজুল ইসলাম গংয়ের সাথে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল একই এলাকার মৃত রাজ্জাক ঢালীর পুত্র মনিরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান ও শাহিন হোসেনের সাথে। এর জের ধরে দীর্ঘদিন ধরে উল্লেখিত ব্যক্তিরা সিরাজুল গংয়ের পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে আসছিল। একপর্যায়ে রবিবার সকালে খায়রুল ইসলাম গং ১৫-২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ ভাড়াটিয়া বাহিনী অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সিরাজুল ইসলামের পৈত্রিক সম্পত্তিতে প্রবেশ করে সেখানে থাকা সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেয়।

পরে সেখানে টিন সেডের ঘর নির্মাণ এবং টিউবওয়েল স্থাপনের কাজ শুরু করে। এতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে উল্লেখিত ভাড়াটিয়া বাহিনীর সদস্যরা সিরাজুল ইসলামসহ তার পরিবারের সদস্যদের খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। এসময় উপায়ন্তর হয়ে থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের কাজ বন্ধ রাখতে বললেও তারা সে নির্দেশ অমান্য করে কাজ অব্যাহত রাখে। এছাড়া জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতার অনুমতিক্রমেই ভাংচুর করা হয়েছে বলে প্রচার দিচ্ছে খায়রুল গং।

এবিষয়ে অভিযুক্ত খায়রুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মুহাদ্দিস খালেকের কাছে আমরা অভিযোগ করেছিলাম। সেখানে সিরাজুলগং যায়নি। এরপর আমরা আমাদের জমি দখল করে নিয়েছি। সেখানে ঘর নির্মান এবং টিউবওয়েল স্থাপন করে দখল নিয়েছি। সেখানেই ইনশাল্লাহ আছি আমরা।

ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম বলেন, উক্ত সম্পত্তি নিয়ে দেং ৩৯/২০০৩ মামলা আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু জামায়াত নেতাদের ইন্ধন থাকায় আইন আদালত অমান্য করে সন্ত্রাসী স্টাইলে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দখলে নিয়েছে।

এবিষয়ে সাতক্ষীরা পৌর জামায়াতের আমীর জাহিদুল ইসলাম বলেন, খায়রুল ঢালী আমাদের কাছে এসেছিল। কিন্তু পারিবারিক বিষয় বলে আমরা তাদের পারিবারিকভাবে মিটাতে বলেছি। এটাতে জামায়াতের কোন সম্পৃক্তা নেই।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক বলেন, পুলিশ গিয়ে উভয়পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার উভয় পক্ষ মিমাংসা করে নিবেন বলে জানিয়েছেন। ##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় মৎস্য কর্মকর্তাদের অভিযানে পুশকৃত বাগদা জব্দ

দেবহাটা প্রতিনিধি৷। দেবহাটা উপজেলার বিভিন্ন মৎস্য ডিপো ও মৎস্য সেডে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ অভিযান পরিচালনা করেছেন। শনিবার ২২ মার্চ সকাল ১১টার দিকে এই অভিযানে পুশকৃত বাগদা জব্দ করা হয়েছে। আর এই অবৈধ কাজের জন্য মৎস্য ডিপো মালিককে জরিমানা করা হয়।

উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, শনিবার মৎস্য অধিদপ্তরের এফআইকিউসি কর্মকর্তা লিপ্টন সরদার, দেবহাটা উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের মেরিন ফিসারিজ অফিসার সাজ্জাদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা দেবহাটা উপজেলার বিভিন্ন মৎস্য ডিপো ও মৎস্য সেডে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে
গাজীরহাট বাজারের বাবর আলীর মালিকানাধীন বিসমিল্লাহ ফিস থেকে
৮ কেজি পুশকৃত বাগদা চিংড়ী মাছ জব্দ করা হয়। এসময় মৎস্য ডিপো মালিক বাবর আলীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পরে আটককৃত পুশ মাছগুলো দেবহাটা শহীদ মিনারের পিছনে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। এসময় উপজেলা মেরিন ফিসারিজ অফিসার সাজ্জাদ হোসেন, দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আর.কে.বাপ্পা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তারেক রহমানের পক্ষে সাতক্ষীরা শহর ছাত্রদলের ঈদ উপহার বিতরণ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছে শহর ছাত্রদল। শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে শহরের বিভিন্ন এলাকায় এসব উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন শহর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শাহিন ইসলাম।

উপহার বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন, সাতক্ষীরা সিটি কলেজ ছাত্রদলের নেতা রুবাই, সাতক্ষীরা দিবা-নৈশ কলেজ ছাত্রদলের তামিম রশিদ, ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আরিফ হোসেন, ২নং ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা নাঈমসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

শহর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শাহিন ইসলাম বলেন, “তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমরা অসহায় ও দুস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। ঈদ মানে আনন্দ, আর সেই আনন্দ সবাই মিলে ভাগাভাগি করে নিতেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। ভবিষ্যতেও আমরা সাধারণ মানুষের পাশে থাকবো।”

এই মানবিক কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে উপহার পাওয়া পরিবারগুলো শহর ছাত্রদলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হিমবাহ সংরক্ষণ প্রতিপাদ্য নিয়ে সাতক্ষীরা পানি দিবস পালণ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
বিশ্ব পানি দিবস প্রতি বছর ২২ মার্চ পালিত হয়। এটি ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘ দারা প্রতিষ্ঠত হয়েছিলো। এই দিনটি মিঠা পানির গুরুত্ব এবং দীর্ঘ স্থায়ী ব্যবস্থপনার উপর জোর দেয়।

২০২৫ এর বিশ্ব পানি দিবসের থিম হলো হিমবাহ সংরক্ষণ, যা হিমবাহের গুরুত্ব এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে তুলে ধরে। সাতক্ষীরাএর জন্য এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ কারন জলবায়ু পরিবর্তন।

সেই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা সদরে ব্রক্ষরাজপুর ও ফিংড়ী ইউনিয়নের পানির পয়েন্ট এ ২২ মার্চ সকাল ১০ টায় পানি দিবস পালিত হয়।

ব্রক্ষরাজপুর পানি ব্যবস্থপনা কমিটির সভাপতি রজব আলী এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ইয়ুথ এ্যডাপটেশন ফোরাম এর সভাপতি কর্ণ বিশ্বাস কেডি, নারী ব্যবস্থপনা পানি কমিটির সভাপতি মিনতী সাহা,ইউপি সদস্য নূরনাহার বেগম,প্রকল্প সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আলী,সহ পানি ব্যবস্থপনা কমিটির সদস্যরা। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা উত্তরণের ফিল্ড অফিসার ফাহারানা দিবা।

উত্তরণ ও সেভ দ্য চিলড্রেন এর সহযোগিতায় বিশ্ব পানি দিবসে আলোচনা সভা ও রালি শেষে উপস্থিত সদস্যদের মাঝে একটি করে আমের চারা বিতারণ করা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest