সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অন্যের রেকর্ডীয় সম্পত্তি জরব দখলের অভিযোগ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেআগরদাড়ী ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৮ জনের নামে দ্রুত বিচার আদালতে মামলাপুলিশকে রাজনৈতিক দলের লাঠিয়াল বাহিনী বানানো যাবে না: শিবির নেতা সিফাতসাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে কোপানোর ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদ নেতাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলাসাতক্ষীরায় ৫৮৭টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব ; ঝুঁকি পূর্ণ ৫৫টিনির্মল বায়ু সবার অধিকার’ স্লোগানে সাতক্ষীরায় কুইজ ও রচনা প্রতিযোগিতাআইনজীবী ফোরাম সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের আহবায়ক কমিটির ৪র্থ সাংগঠনিক সভাবিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শ্যামনগরে বিজয় র‌্যালিস্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে কোপানোর অভিযোগ গণধিকার পরিষদের নেতা বিরুদ্ধেসাতক্ষীরা পৌর ১নং ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে কর্মী সমাবেশ

খ্রিস্টান এসোসিয়েশন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কমিটি গঠন

বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার মাছখোলা ব্রেড অব লাইফ চার্চে বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত বার্ষিক সমন্বয় সভা ও কাউন্সেলিং অনুষ্ঠানে উক্ত কমিটি ঘোষনা করা হয়। নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ হলেন, সভাপতি মিঃ অমাল ব্যানার্জি, সিনিয়র সভাপতি রেভাঃ নেলসন দাস, সহ-সভাপতি সুশান্ত বিশ^াস, পা: রণজিত বিশ^াস, সাধারণ সম্পাদক মিঃ যোসেফ খাঁ খাঁ, যুগ্ম সম্পাদক বিধান সরকার, মিলন বিশ^াস, ডমিনিক বিশ^াস, সাংগঠনিক সম্পাদক রেভাঃ থিয়ফিল গাজী,কোষাধ্যক্ষ জয়দেব দাশ, সহ-কোষাধ্যক্ষ মুকন্দ দাস।

অনুষ্ঠানে খ্রিস্টান সমাজ ও খ্রিস্টবাসীর কল্যাণে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফাদার সেরজো, জেলা কমিটির সভাপতি নোটাঃ মিঃ স্বপন বৈরাগ,সাধারণ সম্পাদক মিঃপৌল সাহা,রেভাঃ থিয়ফিল গাজী, রেভাঃ প্রদুত সরকার,মি: মানিক সরকার,নবম নবনির্বাচিত সভাপতি অমাল ব্যানার্জি, সিনিয়র সভাপতি রেভাঃ নেলসন দাস,সাধারণ সম্পাদক মিঃ যোসেফ খাঁ খাঁ।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাংবাদিক আবু সাঈদ বিশ্বাসের  মায়ের  মৃত্যুতে শহর জামায়াতের শোক

সাংবাদিক আবু সাঈদ বিশ্বাস এর মা করিমননেছা (৬৫) এর মৃত্যুতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা শহর শাখার পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে  শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে মরহুমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এক শোক বার্তা দিয়ে বিবৃতি প্রদান করেন,  সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারী  মো. খোরশেদ আলম।

এক যৌথ শোকবার্তায় জামায়াত নেতৃবৃন্দ মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। নেতৃবৃন্দ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে দোআ করেন, আল্লাহ যেন মরহুমার নেক আমল সমূহ কবুল করে তাঁকে জান্নাতবাসী করেন এবং তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনকে সবর করার তৌফিক দান করেন। এবং বিবৃতিতে আরো বলেন, মরহুমা করিমননেছা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তালা উপজেলার একজন প্রবীন রোকন ছিলেন।

দুনিয়ার জীবনে আল্লাহর দ্বিন প্রতিষ্ঠায় নিজ সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করতে বেশ সংগ্রাম করেগেছেন। উল্লেখ আজ শুক্রবার (৮ জুলাই)  ভোর ৫টায় ঢাকা বক্ষ ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎনাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তিনি দীর্ঘ দিনযাবত বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভূকছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী,  ৪ ছেলে ও ৫ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগৃাহী রেখেগেছেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ‘স্পিক আপ’ প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা

জি.এম আবুল হোসাইন : ৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের আয়োজনে সাতক্ষীরা উপজেলা পরিষদ হলরুমে উক্ত প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স অনলাইন বিষয়ে সচেতনতা এবং শিশু ও যুবদের সক্রিয় অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করে অনলাইন সহিংসতা, শিশু যৌন নির্যাতন ও শোষণ প্রতিরোধে “স্পিক আপ! এমপাওয়ারিং সিএসওস টু প্রোটেক্ট চিলড্রেন এন্ড ইয়ুথস ফ্রিডম অফ এক্সপেশন বাই ক্যাপিটালাইজিং অন দ্যা অপরচ্যুনিটিস এন্ড এড্রেসিং দ্যা চ্যালেঞ্জেস অফ দ্য ডিজিটাল স্পেস ইন বাংলাদেশ” শিরোনামে একটি প্রকল্প সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)-এর আর্থিক সহায়তায় এবং টেরে ডেস হোমস্ নেদারল্যান্ডস-এর কারিগরি সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারে ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে শিশু-কিশোর ও যুবসহ সকল শ্রেণির মানষ বিশ্বের সঙ্গে সহজে সংযুক্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রায় ৪০% জনগোষ্ঠী শিশু, যাদের মধ্যে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয়। ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে শিশু ও যুবদের জন্য যেমন তথ্য ও শিক্ষা অর্জনের সুযোগ তৈরি হয়েছে, তেমনি তাদের জন্য তৈরি হয়েছে নানা ধরনের ঝুঁকি। অনলাইন যৌন হয়রানি, সহিংসতা এবং ডিজিটাল অনভিজ্ঞতার কারণে বাংলাদেশে শিশু ও যুবরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে পড়ছে। যদিও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মতামত প্রকাশের সুযোগ রয়েছে, তথাপি অনলাইন সহিংসতা ও শোষণ (বিশেষ করে কিশোরীদের ক্ষেত্রে) শিশু ও যুবদের মতপ্রকাশ ও অংশগ্রহণকে সীমিত করার পাশাপাশি ইন্টারনেটের অপব্যবহার তাদের মানসিক ও সামাজিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. হুসাইন শওকত।

কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তর, সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক নাজমুন নাহার, টেরে ডেস হোমস্ নেদারল্যান্ডস এর প্রকল্প সমন্বয়ক মাইকেল মন্ডল, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’র পরিচালক (কর্মসূচি ও পরিকল্পনা) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

এছাড়াও সাতক্ষীরা জেলার সুশিল সমাজ, সরকারি কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাংবাদিক, এনজিও এবং শিশু ও যুব প্রতিনিধিগণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। “স্পিক আপ” প্রকল্পের উদ্দেশ্য, পরিধি, কৌশল এবং প্রত্যাশিত ফলাফলসহ প্রকল্প বাস্তবায়নে অংশীজনদের ভূমিকা ও দায়িত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত উপস্থাপনা করেন, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’র প্রকল্প সমন্বয়ক মো. নূর জামান।

কর্মশালায় বক্তারা প্রকল্পের কাঙ্খিত ফলাফল অর্জনে স্ব স্ব জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করে সাতক্ষীরা জেলার সামগ্রিক ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং শিশু ও যুবদের জন্য একটি নিরাপদ ডিজিটাল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

শ্যামনগরে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ তিন ব্যক্তি আটক

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ তিন ব্যক্তি আটক

ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ তিন ব্যক্তিকে আটক করেছে সেনাসদস্যরা। বুধবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ভেটখালী বাজারে কুতুব উদ্দীনের চায়ের দোকানে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সেনাবাহিনী ১টি একনলা বন্দুক, ১৪ রাউন্ড শট গানের গুলি ও ৬টি মোবাইল ফোন জব্দ করে।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তাদেরকে শ্যামনগর থানায় সোপর্দ করা হয়।

আটকৃকতরা হলেন- শ্যামনগরের কালিঞ্চী গ্রামের আবু দাউদ গাজীর পুত্র রবিউল ইসলাম (৪৫), তারানীপুর গ্রামের আঃ সবুর শেখের পুত্র আলমগীর হোসেন বাবু (৩৬) ও গোলাখালী গ্রামে মৃত সিয়াদ উদ্দীন মোল্যার পুত্র জামিরুল ইসলাম জামু (৫৫)।

শ্যামনগর থানার ওসি মোঃ হুমায়ুন কবির মোল্যা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ টিম ভেটখালি বাজারে অভিযান চালায়। এসময় কুতুবউদ্দীনের দোকানে চা পানরত অবস্থায় রবিউল ইসলাম,আলমগীর হোসেন বাবু ও জামিরুল ইসলাম জামুকে আটক করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি জব্দ করে সেনা সদস্যরা । বৃহস্পতিবার বিকেলে আসামীদের জব্দকৃত অস্ত্র ও গুলিসহ শ্যামনগর থানায় সোপর্দ করা হয়।তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে এবং শুক্রবার তাদেরকে সাতক্ষীরা আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান ওসি।

অপরদিকে, শ্যামনগর থানার একটি সূত্র থেকে জানা যায়, জামিরুল ইসলাম জামু বনদস্যু ছিলেন। পরে তিনি আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে সুন্দরবনের বনদস্যুদের কাছে অস্ত্র বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে চোরাচালান, মানব পাচার, অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনের একাধিক মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ ও সোনা-রুপা চোরাচালানে বাধা দেওয়ায় পৌর ছাত্রদলের আহবায়কের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ ও সোনা-রুপা চোরাচালানে বাধা দেওয়ায় পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক রাসেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ছাত্রনেতা। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন কলারোয়ার তুলশীডাঙ্গা গ্রামের আমিরুল ইসলামের পুত্র রাসেল আহমেদ।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, কলারোয়ার পিছলাপো এলাকার শেখ রেজাউল ইসলামের ছেলে কামাল শেখকে ২ জুলাই, ২০২৫ একজন নারীর সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় এলাকাবাসী থেকে ধরে ফেলে।

এই খবর পেয়ে আমি সেখানে যান। তখন কামালের কাছে একাধিক সন্দেহজনক মোবাইল ফোন দেখতে পেয়ে তিনি তা পরীক্ষা করেন এবং সোনা পাচারের বিষয়ে কথোপকথনের প্রমাণ পান। স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে আমি তার ফোন চেক করে সোনা পাচারের তথ্য পাই এবং বিষয়টি পুলিশকে জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এসময় উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল খান এবং কলারোয়া সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক শিমুলের সাথে ফোনে কথা বলাই দিয়ে বলে ভাইয়া ও আমাদের লোক ও ছেড়ে দাও পিলিজ আমি তোমার বড় ভাই হিসাবে অনুরোধ করছি। তাদের অনুরোধ সে সময় ছেড়ে দিলেও এখন উল্টো আমার নামেই মারপিট, হত্যাচেষ্টা ও চুরির অভিযোগ এনে মামলা ঠুকে দেন।” অথচ ওই কামাল শেখ বিগত ফ্যাস্টিট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে অবৈধ সোনা ও রুপা চোরাচালানসহ এলাকায় বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িত ছিলো। চোরাচালানের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এবং প্রতিশোধ নিতে কামাল শেখ এই হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেছেন।

তিনি আরো বলেন, ২০১০ সাল থেকে ছাত্রদলের রাজনীতি শুরু করে বর্তমানে কলারোয়া পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমি কলারোয়া পৌর সদরের ২নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক, পরে আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। এ দীর্ঘ সময়ে আমার বিরুদ্ধে আওয়ামী ফ্যাস্টিট সরকার ১৩ মিথ্যা মামলা দিয়েছে, নির্যাতন করেছে, হয়রানি করেছে, বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করেছে, তিন বার জেল খেটেছি। ৫ আগস্টের পরেও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হচ্ছে, হয়রানি হতে হচ্ছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে এখন ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হচ্ছে। অথচ আমি এসএসসি পরীক্ষার সময় বিএনপির ডাকা আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের হাতে আটক হই। পরে কারাগারেই এসএসসি পরীক্ষা দিতে হয়েছে।

এ বিষয়ে গরুর হাট তিন রাস্তার মোড়ে শিমুলের সাথে রাস্তায় হঠাৎ দেখা হলে আমার চাচাতো ভাই পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আলী হোসেন রাস্তার ওপাশ থেকে জিজ্ঞাসা করলে ভাইয়ের দিকে তেড়ে আসার সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে আঘাত প্রাপ্ত হন শিমুল। এঘটনায় আবারো মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে শিমুলের ব্যবসায়িক পার্টনার নূরুল। এছাড়া আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে নানা চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে ওই চোরাকারবারি কামাল শেখগং। কামাল শেখ প্রকাশ্যে বলে ৫০ কেজি সোনা বা রূপা নিয়ে ধরা পড়লেও আমাদের কেউ আটকে রাখতে পারবে না। তার মাথার উপর কি এমন অদৃশ্য শক্তি রয়েছে সেটি কলারোয়ার মানুষ জানতে চান। একজন চোরাকারবারি কিভাবে প্রকাশ্যে এমন কথা বলেও টিকে থাকতে পারে? এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ওইসব মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে এবং কামাল শেখ গংয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক চোরাকারবারি ব্যবসা বন্ধের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় শিক্ষকের ধাপ্পড়ে কানের পর্দা ফাটল শিক্ষার্থীর!

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় শিক্ষকের ধাপ্পড়ে কানের পর্দা ফেটেছে শিক্ষার্থীর। এঅভিযোগ সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে শিক্ষার্থীর পিতা ফারুকুজ্জামান সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ জানা গেছে, সাতক্ষীরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রভাতি শিফটের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফিন রিফাত অসুস্থ থাকলেও গত ৩ আগস্ট স্কুলে যায়। স্কুল চলাকালিন সময়ে বেশি অসুস্থতা বোধ করলে সে ক্লাসের বেঞ্চে মাথা দিয়ে শুয়ে ছিল। এসময় ক্লাসের বাংলা শিক্ষক গাজী মোমিন উদ্দিন কোন কিছুই না শুনে তাকে ডেকে নিয়ে কানে একাধিক থাপ্পড় মারে।
তখন সে তার কানের ভিতরে, মাথায় ও কাঁধে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করতে থাকে এবং একপর্যায় তার কান থেকে রক্তপাত শুরু হলে সে ক্লাস থেকে বের হয়ে তার একবন্ধুর সহায়তায় কান হতে রক্ত পরিস্কার করায়। পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করা হয়।

কিন্তু তার অবস্থার অবনতি হলে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো. হাসানুজ্জামানের কাছে গেলে তিনি পরীক্ষা নিরিক্ষা করে জানান তার কানের পর্দা ছিড়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কান পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হলে আগামী তিন মাসের মধ্যে অতিঝুকিপূর্ণ অপারেশনের প্রয়োজন হবে। এছাড়া দীর্ঘদিন তাকে শ্রবণ হীনতাসহ কানের অন্যান্য জটিল অবস্থা সহ্য করে যেতে হবে।

শিক্ষার্থীকে এভাবে মারপিটের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পিতা ফারুকুজ্জামান।
এঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক গাজী মোমিন উদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম টুকু বলেন, এঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে শিক্ষা বিভাগের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ###

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাইকগাছার পল্লীতে বাসস চেয়ারম্যানের উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা

ডেস্ক রিপোর্ট : মানবসেবার ধারাবাহিক কর্মযজ্ঞের অংশ হিসেবে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার নগর শ্রীরামপুরে জিয়া প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টারের উদ্যোগে চক্ষু চিকিৎসা ও ছানি অপারেশন ক‍্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসসের চেয়ারম‍্যান ও দৈনিক ইত্তেফাকের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার আলদীনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে
আয়োজিত এই ক‍্যাম্পে দুই সহস্রাধিক মানুষকে বিনা মূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত
সাইটসেভার্সের অর্থায়নে ব্র্যাক ও খুলনা বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের অভিজ্ঞ–বিশেষজ্ঞ ডাক্তার-নার্সদের সমন্বয়ে গঠিত ১২ জনের মেডিকেল টিম চক্ষু রোগীদের চিকিৎসা প্রদান ও ছানি রোগীদের বাছাই করেন। বাছাই করা রোগীদের পর্যায়ক্রমে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন করা হবে। ছানি অপারেশনের পর কালো চশমা ও ১ মাসের ঔষধ বিনামূল্যে প্রদান করা হবে।

এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় এই ক‍্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডাঃ আব্দুল মজিদ। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আনোয়ার আলদীন ।

উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির অন‍্যতম সিনিয়র নেতা কে এম আশরাফুল আলম নান্নু,শেখ সামসুল আলম পিন্টু ,যুবদলের পাইকগাছা আহ্বায়ক তহিদুজ্জামান মুকুল ,ছাত্রদল সভাপতি সরজিৎ ঘোষ দেবেন,বিএনপি নেতা শেখ ইমাদুল ইসলাম ,আবুল হোসেন,মাসুদুজ্জামান বাবু ,তুষার কান্তি মন্ডল,শেখ আনারুল ইসলাম,তানভীর আলম,মহিলা দলের নেত্রী চুমকি ,মীর শাফায়েত হোসেন,শাহ আলম,আকিজ উদ্দিন ,শহিদুল ইসলাম ,আকারাম জোয়ারদার,হুরায়রা বাদশা ,শহিদুর রহমান,আজাহারুল ইসলাম গাজী ,সুমন কাজী ,শেখ আবদুল গফুর,জাহাঙ্গীর গাজী ,শেখ বিল্লাল,গাজী জাহিদ ,খান মাসুম,সাব্বির আহমেদ ,মোস্তফা মোড়ল , কবির গাজী প্রমুখ ।কপিলমুনি মেহেরন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রহিমা আক্তার শম্পা ,মানবাধিকার সংগঠক সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান পারভেজ ,শফিউল ইসলাম হাজারা,অলিউল ইসলাম শেখ ,
জহিরুল হাসান শাকিল,জাহিদ আলম,বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা.হাফিজুর রহমান আশিক,ডা.আসিফ হাসান ,ডা.হাবিবুল্লাহ,ডা.অয়ন,ডা.আশিক,ডা.ফুয়াদ প্রমুখ ।

এই বিনা মূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদান ক‍্যাম্পে পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলাসহ আশপাশ এলাকার গরীব দুঃস্থসহ সর্বস্তরের মানুষ প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্রি চিকিৎসা সুবিধা গ্রহণ করেন। ক্যাম্পে আগত রোগীদের ফ্রি চোখের পরীক্ষা, অভিজ্ঞ চক্ষু বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরামর্শ ও চিকিৎসা, প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্রি চশমা ও ওষুধ প্রদান ও নির্বাচিত রোগীদের ফ্রি ক্যাটারাক্ট (ছানি) অপারেশনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।।
ছানিজনিত কারণে যে সকল রোগী দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন, তাদের চোখের ছানি অপারেশন এবং (আইএলও) লেন্স স্থাপনের লক্ষ্যে ছানি রোগী শনাক্তকরণ করা হয়। রোগী শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে বিনামূল্যে রোগীর প্রয়োজনীয় কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। যেমন: চোখের প্রেশার, শরীরের রক্ত চাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি। প্রয়োজনীয় সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে পাঁচ শতাধিক রোগীকে ছানি অপারেশনের জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়।

আনোয়ার আলদীন বলেন ,সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে সাধারণ মানুষের জন্য এ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। বহু মানুষ চোখের নানা ধরনের দৃষ্টি সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু অনেকেই অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন না। তাই আমরা বিনা মূল্যের চক্ষু ক্যাম্পের আয়োজন করি। এ আয়োজনে সব শ্রেণির মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। আগামীতে এ ধরনের কার্যক্রম আরো অনুষ্ঠিত হবে বলেও তিনি জানান।
চিকিৎসা নিতে আসা আনোয়ারা খাতুন বলেন,চোখে সমস্যা ছিল, কিন্তু টাকা না থাকায় চিকিৎসা করাতে পারিনি। আজ ফ্রি ক্যাম্পে এসে ডাক্তার দেখালাম, অপারেশনের সুযোগও পেলাম। আল্লাহ যেন তাদের ভালো রাখেন।এমন উদ্যোগ গরিবদের জন্য আশীর্বাদ। তারা চান ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম চলমান থাকুক এ প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

আনোয়ার আলদীন দীর্ঘদিন ধরে অত্র অঞ্চলে বহুবিধ দাতব্যমূলক, কল্যাণমূলক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন।নান্দনিক জামে মসজিদ, মাদ্রাসা এতিমখানা হেফজখানা,ক্লিনিক ,রাস্তা ঘাট ড্রেনেজ নির্মাণ ও স্থাপন করেছেন । ৩০ বছর রাজনৈতিক দলীয় দূর্বৃত্তদের দখলে থাকা একটি ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ সরকারি নাছিরপুর খাল দখলমুক্ত করে স্থানীয় সর্বসাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়া প্রতিবছর শীতে শীতবস্ত্র প্রদান , কোরবানির সময় হাজার হাজার দুঃস্থ অসহায় গরিব মানুষকে মাংসের সংস্থান ,ঈদুল ফিতরের সময় গরীবদের মাঝে খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছেন ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
র গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির বিজয় মিছিল

নিজস্ব প্রতিনিধি :
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিজয় মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৬ আগস্ট) বিকাল ৫টায় সাতক্ষীরার ইটাগাছা ন্যাশনাল হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু হয় এই বিজয় মিছিল। মিছিলটি জেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নিউ মার্কেট মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রহমাতুল্লাহ পলাশ। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী মো. আলাউদ্দীন।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. মনিরুজ্জামান, আবুল হাসান হাদী এবং জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম।

বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী সরকার এ দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। প্রতিবাদী ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হাজারো শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে এই মাটি। প্রায় দুই হাজার শহীদ এবং অসংখ্য আহত মানুষের পঙ্গুত্বের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশকে আর কোনো দুর্নীতিবাজ শাসকের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে এদেশের মানুষ যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে সেভাবেই আজ আমাদের সকলকে শপথ নিতে হবে।

সমাবেশে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest