সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে

টানা ২১ দিনের প্রচার শেষে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ মে) সকাল ৮টায় মহানগরীর ভোট কেন্দ্রগুলোয় একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ হবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচন উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এক কন্যার পর এবার যমজ ছেলের বাবা হলেন রেলমন্ত্রী

এক কন্যা সন্তানের পর এবার দুই পুত্রের পিতা হলেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। এ নিয়ে তিনি মোট তিন সন্তানের জনক হলেন।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে যমজ সন্তানের জন্ম দেন রেলমন্ত্রীর স্ত্রী হনুফা আক্তার রিক্তা।

রেলমন্ত্রীর একান্ত সচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মা ও সন্তানরা সুস্থ আছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে হনুফা আক্তার রিক্তার সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। পরে ২০১৬ সালের মে মাসে প্রথম কন্যা সন্তানের বাবা হন মুজিবুল হক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিরাট কোহলিদের হেসে খেলে জয়

হেসে খেলে জয় পেল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। আইপিএলের ৪৮তম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে উমেশ যাদবের গতিতে বিধ্বস্ত হয়ে ১৫.১ ওভারে ৮৮ রানে অলআউট হয়ে যায় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।

সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন দুই ওপেনার বিরাট কোহলি (৪৮) ও পার্থিব প্যাটেল (৪০)।

সোমবার ইন্দোরের হলকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে পাঞ্জাব। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৬ রান সংগ্রহ করা পাঞ্জাব পরের ১৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়। এরপর খেলায় ফেরাতো দূরে থাক, নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাঞ্জাবের দলটি।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন অ্যারন ফিঞ্চ। পাঞ্জাবের দুই ওপেনার ক্রিস গেইল এবং লোকেশ রাহুলকে ১৮ ও ২১ রানের বেশি করতে দেননি যাদব। ৮ জন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি।

রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে ৪ ওভারে ২৩ রানে তিন উইকেট নেন উমেশ যাদব। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ, চাহাল, মঈন আলী ও গ্রান্ডহোম।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উমেশ যাদবের করা পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে গ্রান্ডহোমের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রাহুল (২১)।

দুই বল ব্যবধানে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন পাঞ্জাবের ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল। যাদবকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে মোহাম্মদ সিরাজের হাতে ধরা পড়েন গেইল।

শূন্যরানে একবার জীবন পেয়েও নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি ক্যারিবিয়ান ওপেনার ক্রিস গেইল। ফেরেন মাত্র ১৮ রান করে।

পরপর দুই উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়া দলটিকে খেলায় ফেরানোর আগেই বিপদে পড়ে যান করুন নায়ার এবং মার্কাস স্টইনিসরা।

মোহাম্মদ সিরাজের বলে খোঁচা দিতে গিয়ে থার্ডম্যানে ধরা পড়েন নায়ার। ব্যাঙ্গালুরুর লেগ স্পিনার চাহালের বলে উড়ে যায় মার্কাসের স্টাম্প।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আর্জেন্টিনার ৩৫ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা

৩৫ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে আর্জেন্টিনা। এই দলে কোচ সাম্পাওলি স্ট্রাইকার হিসেবে তার সেরা সব অস্ত্রদের নিয়েছে। লিওনেল মেসির পাশাপাশি আছেন সার্জিও আগুয়েরো, গঞ্জালো হিগুইন, পাওলো দিবালা ও মাউরো ইকার্দি।

১৪ জুন থেকে শুরু হওয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা রয়েছে গ্রুপ ডি তে। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা পাচ্ছে আইসল্যান্ড , ক্রোয়েশিয়া ও নাইজেরিয়াকে। আগামী ৪ জুনের মধ্যে ২৩ সদস্যের পাকা স্কোয়াড ঘোষণা করা হবে।

আর্জেন্টিনা স্কোয়াড :
গোলরক্ষক: সার্জিও রোমেরো, নাহুয়েল গুজম্যান, উইলফার্ডো কাবাল্লেরো ও ফ্রাঙ্কো আরমানি।

রক্ষণভাগ : গ্যাব্রিয়েল মার্কাদো, এডুয়ার্ডো সালভিয়ো, জাভিয়ার মাশ্চেরানো, ফেড্রিকো ফাজিও, মার্কোস রোহো, রামিরো ফুয়েনস মোরি, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, মার্কোস আকুনা, নিকোলাস ওটামেন্ডি , জার্মান পেজ্জেল্লা ও ক্রিস্টিয়ান আনসালদি।

মধ্যমভাগ : ম্যানুয়েল লানজিনি, রিকার্ডো সেঞ্চুরিওন, এনজো পেরেজ, এভার বানেগা, জিওভানি লো সেলসো, লিওনার্দো পারেদেস, রদ্রিগো বাট্টাগলিয়া, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, ক্রিস্টিয়ান পাভোন, ম্যাক্সিমিলিয়ানো মেজা, লুকাস বিগলিয়া, গুইদো পিজারো ও পাবলো পেরেজ।

আক্রমণভাগ: লিওনেল মেসি, গঞ্জালো হিগুইন, মাওরো ইকার্দি, দিয়েগো পেরোত্তি, পাওলো দিবালা, সার্জিও আগুয়েরো ও লাউটারটো মার্টিনেজ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাত পোহালেই খুলনা সিটি করপোরেশনের ভোট

ন্যাশনাল ডেস্ক: ‘আমি ২০১৩ সালে ভোটার হয়েছি। কিন্তু ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে যাইনি একতরফা নির্বাচনের কারণে। সে হিসেবে এবার আমার জন্য প্রথম ভোট। আমি ভোট দিতে চাই। কিন্তু কেন্দ্রে যাব পরিস্থিতি জেনে-বুঝে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তার অবস্থা দেখে আস্থা পাচ্ছি না। পাশাপাশি এখানকার পরিবেশও আমাকে আশাবাদী করতে পারছে না।’ খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এমন মন্তব্য করলেন খুলনা বিএল কলেজের শিক্ষার্থী আল আমিন।

একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রেজাউল করিমের মতে, ভোট ভালোই হবে। এখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই প্রার্থীর অবস্থাই ভালো। দুই দলই শক্তিশালী। এ কারণে মানুষের মধ্যে হয়তো শঙ্কা কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ভোট সুষ্ঠু হবে। ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন না, এমন কোনো পরিস্থিতি এখানে হবে না।’

আল আমিনদের মতো অনেকের মধ্যে শঙ্কা আছে। আবার রেজাউলদের মতো অনেকেই ভালো ভোটের আশা করছেন। তবে দলভেদে রাজনৈতিক কর্মীদের অবস্থা ভিন্ন। সরকারি দলের কর্মীরা অনেক আশাবাদী। আবার বিএনপি কর্মীরা আশঙ্কায়।

রাত পোহালেই ভোট। মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে শুরু হয়ে কোনো বিরতি ছাড়াই বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হবে। এরপর ফল ঘোষণা। জানা যাবে কে বিজয়ী হয়ে খুলনার পরবর্তী নগরপিতা হচ্ছেন।

খুলনার নির্বাচনে মেয়র পদে এবার পাঁচজন প্রার্থী। আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক নৌকা এবং বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুজ্জাম্মিল হক হাতপাখা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে) এবং জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুর রহমান (লাঙ্গল) মেয়র পদে লড়বেন।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১৪৮ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৫ জন নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন। এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। ভোট হবে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে। দুটি ওয়ার্ডের দুটি ভোটকেন্দ্রে ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। সেখানে মেয়র প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক এবং সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীকে বোতাম চেপে ইভিএমে ভোট দেবেন ভোটাররা।

ভোটের আগের দিন সোমবার দিনভর নানা শ্রেণির মানুষের সঙ্গে কথা হয়েছে প্রথম আলোর। তাঁরা বলেছেন নিজের ভাবনার কথা। নির্বাচন নিয়ে শেষ মুহূর্তেও তাঁদের মধ্যে উদ্বেগ, আতঙ্ক, শঙ্কা কাটেনি। এরপরও ভোটাররা একটি ভালো নির্বাচনের প্রত্যাশা করছেন। সবাই চান কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে।

খুলনার ৪ নম্বর ঘাট এলাকায় পাওয়া গেল একদল শ্রমিককে। কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তাঁরা। সবাই একযোগেই বললেন, সকাল আটটার আগেই ভোটকেন্দ্রে যাবেন। পরিস্থিতি ভালো দেখলে ভোট দেবেন। না হলে ফিরে যাবেন। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না, জানতে চাইলে তাঁরা শুরুতে কিছুটা চুপসে যান। পরে আবার বলে ওঠেন, ‘কিছুটা তো আছেই।’ পাল্টা প্রশ্ন তাঁদের, ‘আপনারা দেখছেন না? বুঝছেন না?’

মো. সেলিম নামের একজন ব্যবসায়ী জানালেন, তিনিও সকাল সকাল কেন্দ্রে যাবেন। পরিস্থিতি ভালো দেখলে ভোট দিয়ে বাসায় ফিরে স্ত্রী ও অন্যদের নিয়ে কেন্দ্রে যাবেন। খারাপ দেখলে পরিবারের অন্যদের ভোট দিতে পাঠাবেন না।

সুমাইয়া স্নিগ্ধা নামের এক শিক্ষার্থী জানালেন তাঁর আশঙ্কার কথা। কেন্দ্র কতটা নিরাপদ, সেটার খোঁজখবর নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন তিনি। এই তরুণী বললেন, ভোট দিলে ব্যক্তিগত লাভ নেই। সামষ্টিক লাভ। ভোট দিতে গিয়ে ব্যক্তিগত কোনো ক্ষতি হলে সেটা হবে একান্তই ব্যক্তিগত। ক্ষতি হলে যার জন্য যাব, তিনিও খবর পর্যন্ত নেবেন না।

ইজিবাইকচালক মো. মুন্না জানালেন আটটার আগেই ভোট দিয়ে আসার ইচ্ছা আছে। তিনি বলেন, ‘গন্ডগোল হলে তো পরে হবে। তাই সবার আগেই ভোট দিয়ে চলে আসব।’

কেডিএ রোডে চায়ের দোকানে কথা হলো বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। তাঁরা বললেন, ভোট ভালোভাবেই হবে। সরকারি দলের পক্ষ থেকে ভোটার বা অন্য কারও ওপর কোনো চাপ নেই। তবে বোঝা যাচ্ছে না ভোটের দিন সকালে কী হয়।

ভোটারদের আশঙ্কার মূলে রয়েছে নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকে ভোটের আগের দিন পর্যন্ত সার্বিক পরিস্থিতি। প্রধান দুই প্রার্থীর অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগে শুরু থেকে উত্তপ্ত ছিল মহানগরীর নির্বাচনী অঙ্গন। বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনে ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের’ অভিযোগ এসেছে গতকাল দুপুরে। সরকারি দল পাল্টা একই অভিযোগ করেছে বিএনপির বিরুদ্ধে। পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানি আর গ্রেপ্তারের অভিযোগ ছিল নিয়মিত। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগও শুরু থেকে করে আসছে বিএনপি।

এরই মধ্যে সোমবার ভোটের আগের দিন শহরের অবস্থা ছিল অনেকটাই থমথমে। ভোট নিয়ে কথা বলতে অনেককেই সতর্কভাব নিতে দেখা গেছে। অবস্থা বুঝে মুখ খুলেছেন। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যেও পরিস্থিতি নিয়ে রয়েছে মিশ্র মূল্যায়ন।

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) খুলনার সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির বলেন, মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা আছে। কয়েক দিন আগে যে উৎকণ্ঠা ছিল তা অনেকটা কমেছে। ভোটের দিন সকালে মানুষের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ যতটা থাকবে, আস্তে আস্তে সেটা বাড়তে পারে। প্রথম দিকে মানুষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। পরে সিদ্ধান্ত নেবেন।

তবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) খুলনা জেলা সম্পাদক কুদরত ই খুদা মনে করেন, ভোটের পরিবেশ নিয়ে বলেন, ভোটের পরিবেশ এখন অনেকটাই অনিশ্চিত (আনপ্রেডিকটেবল) অবস্থায় চলে গেছে। আজই (সোমবার) দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। একটা নির্বাচনের আগের দিন এ ধরনের কথাবার্তা সন্দেহ তৈরি করে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট করার জন্য তাঁদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ২৪ জন পুলিশ ও আনসার। সাধারণ কেন্দ্রগুলোর প্রতিটিতে থাকবে ২২ জন করে। এর বাইরে পুলিশের ১১টি স্ট্রাইকিং দল (প্রতিটিতে ১০ জন করে), ৭০টি ভ্রাম্যমাণ দল (প্রতিটি ৭ জন করে), ১৬ প্লাটুন বিজিবি, র‍্যাবের ৩২টি ভ্রাম্যমাণ দল, ৩১ জন নির্বাহী হাকিম এবং ১০ জন বিচারিক হাকিম দায়িত্ব পালন করবেন।

নির্বাচন কমিশন বলছে, খুলনায় মোট ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৩৪টিকেই ঝুঁকিপূর্ণ (কমিশনের ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ)। আর ৫৫টি সাধারণ বা ঝুঁকিমুক্ত কেন্দ্র আছে।

খুলনায় ২০১৩ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনি বিজয়ী হন। ওই নির্বাচনে তালুকদার আবদুল খালেক পরাজিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে খালেক মেয়র নির্বাচিত হন।

সূত্র: প্রথমআলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন নিয়ে আলোচনার নিন্দা ও প্রতিবাদ

গত ১৪ মে সাতক্ষীরার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে “জেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা, মিথ্যা মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করলে ব্যবস্থা গ্রহণ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটির প্রতিবাদ জানিয়েছে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ। প্রেসক্লাবের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে সংবাদের একটি অংশে “অপ্রয়োজনে অহেতুক যত্রতত্র মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন বন্ধ প্রসঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ” এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সাংবাদিকরা মনে করে এ ধরনের বক্তব্য ব্যক্তি স্বার্থসিদ্ধি এবং দুর্নীতিবাজদের আরো উৎসাহী করবে। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ব্যহত হবে। সাধারণ মানুষের কথা বলার মৌলিক অধিকারের সুযোগ সংকুচিত হবে। সর্বপরি স্বাধীন সংবাদিকতা ও সংবাদ মাধ্যম এবং জনগণের কন্ঠ রোধ করবে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে আমরা আরও মনে করি, জেলার এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সভায় এ ধরনের বক্তব্য ব্যক্তি স্বার্থ ছাড়া আর কিছুই না। আমরা উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি এ ধরনের কোন বক্তব্য কমিটির সভায় রেজুলেশনভূক্ত করা হলে তা বাতিল করে সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নেইমারকে নিয়েই বিশ্বকাপে ব্রাজিলের চূড়ান্ত দল ঘোষণা

স্পোর্টস ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরেই ইনজুরিতে আক্রান্ত নেইমার। এখনো অনুশীলনটাই ঠিকমতো শুরু করতে পারেননি। তবে বিশ্বকাপের প্রশ্ন এলে নেইমারকে তো দলে রাখতেই হবে। ব্রাজিলিয়ান কোচ তিতেও কোন ভুল করেননি। দলের সেরা তারকাকে রেখেই চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছেন। গতকাল তিতের ঘোষিত দলে স্থান পেয়েছেন সম্ভাব্য সবাই।

রিও ডি জেনিরোতে এক সংবাদ সম্মেলন করে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের চূড়ান্ত দলের নাম ঘোষণা করেন তিতে। ২৩ সদস্যের এই দলে নেইমার ছাড়াও স্থান পেয়েছেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস, রবার্তো ফিরমিনো, ডগলাস কস্তা এবং তাইসন। আক্রমণ ভাগটা এরাই সামলাবেন বিশ্বকাপে। নেইমার গত ফেব্রুয়ারিতে গুরুতর আঘাত পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। এরপর তার অপারেশন হয়েছে ব্রাজিলে। তবে বিশ্বকাপে নেইমারের উপস্থিত থাকা নিয়ে কোন সংশয় ছিল না কোচ তিতের। সেই হিসেবেই তিনি নাম ঘোষণা করেছেন। অবশ্য ব্রাজিলিয়ান এই তারকাকে বিশ্বকাপে পূর্ণ ফর্মে ফিরতে হলে অনেক পরিশ্রমই করতে হবে। নেইমার সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন বর্তমানে।

এদিকে নেইমারদের সাপ্লাই লাইন হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে মিডফিল্ডার কাসেমিরো, কটিনহো, পলিনহো এবং উইলিয়ানদের পাশে স্থান পেয়েছেন ফার্নান্দিনহো, ফ্রেড এবং রেনাতো অগাস্তুও। ডিফেন্স সামলানোর দায়িত্ব পড়েছে রিয়াল তারকা মার্সেলোর উপর। তার সঙ্গে থাকছেন ফিলিপ লুইস, ফগনার, মিরান্ডারা। তবে ৩৫ বছর বয়সী দানি আলভেজ নেই দলে। ইনজুরির কারণে আগেই তিনি ছিটকে গেছেন বিশ্বকাপ থেকে।

গোলরক্ষক: অ্যালিসন, স্যাসিও, এডারসন মোরায়েস।
ডিফেন্ডার: ড্যানিলো, ফগনার, ফিলিপ লুইস, পেড্রো জেরোমেল, মার্সেলো, মারকুইনহস, হুয়াও মিরান্ডা ও থিয়াগো সিলভা।
মিডফিল্ডার: কাসেমিরো, ফিলিপ কটিনহো, ফার্নান্দিনহো, ফ্রেড, পলিনহো, রেনাতো অগাস্তু ও উইলিয়ান।
স্ট্রাইকার: নেইমার, ডগলাস কস্তা, রবার্তো ফিরমিনো, গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও তাইসন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ১০ ব্যক্তি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফোর্বস। এ তালিকার শীর্ষে আছে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

দ্বিতীয় আর তৃতীয় অবস্থানে আছেন যথাক্রমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়াও বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী হিসেবে তালিকার চতুর্থ স্থানে জায়গা পেয়েছেন জার্মানীর চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল।

সম্প্রতি চীনের সংসদ কংগ্রেস আইন পরিবর্তন করে শি জিনপিং-কে আজীবন ক্ষমতায় থাকার অনুমোদন দিয়েছেন। এছাড়াও তার ক্ষমতারও পরিধি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ফোর্বস বলছে, স্থানীয়ভাবে এমন আস্থা ও ক্ষমতাই শি’কে তালিকার শীর্ষে নিয়ে এসেছে।

তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চলতি মাসেই ৭৭ শতাংশ ভোট পেয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্রেমলিনে জায়গা করে নিয়েছেন সাবেক এই কেজিবি এজেন্ট।

খুব একটা আশ্চর্যজনক না হলেও তালিকার তৃতীয় অবস্থানে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সব সময় সবার আগে থাকতে চাওয়া ট্রাম্প এই খবরে নাখোশ হতেই পারেন। তবে ২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পরেন ট্রাম্প।

বিশেষ করে সাবেক পর্নো তারকাসহ একাধিক নারীর সাথে তার যৌন সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক ওঠে। এমনকি যে নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন সেই নির্বাচন নিয়েও আছে বিতর্ক। দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এখনও নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে রুশ সংশ্লিষ্টা বিষয়ে তদন্ত করছে।

তালিকার চতুর্থ স্থানে শীর্ষ নারী হিসেবে আছেন জার্মানীর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। ২০১৭ সালে চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্বভার নেন তিনি। আর রাজনৈতিক বা কোন দেশের শীর্ষ পদের বাইরে থেকে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তির তালিকায় পঞ্চম স্থানে জায়গা হয় আমাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ বেজোস। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিও তিনি। আমাজনের ১৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক তিনি।

তালিকার ষষ্ঠ অবস্থানে আছেন ক্যাথলিকদের ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিস। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ছয় ভাগের এক ভাগ মানুষের ধর্মের গুরু তিনি। বিশ্বের এক সময়ে শীর্ষ ধনী ব্যক্তি ও মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস আছেন সাত নম্বরে।

আর সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় আসা সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আছেন অষ্টম স্থানে। গত বছর দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে তিনি গ্রেফতার করেছিলেন সৌদি আরবের বেশ কিছু শীর্ষ পর্যায়ের যুবরাজ, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিককে। এছাড়াও দেশটিতে ব্যাপক সামাজিক পরিবর্তন আনছেন তিনি। বিশেষ করে নারীদের জন্য ব্যাপক সুবিধা বৃদ্ধি করেছেন তিনি।

এশীয়দের মধ্যে শীর্ষ এবং তালিকার নবম স্থানে আছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরে তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় নেতা যার টুইটারে ৪৩ লাখের বেশি অনুসারী আছেন।

১০ জনের তালিকার সর্বশেষ অবস্থানে আছেন বিশ্বের সর্ববৃহত সার্চ ইঞ্জিন গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ। ১৯৯৮ সালে শিক্ষা কার্যক্রমের একটি প্রজেক্টে কাজ করতে গিয়ে গুগল তৈরি করা দলের সদস্য হয়ে যান এই বিলিয়নিয়ার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest