সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

যুব গণফোরাম সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবায়ক আক্তারুজ্জামান ॥ সচিব হুমায়ুন কবির

যুব গণফোরাম সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৫ মে’১৮ যুব গণফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক কাজী হাবিব স্বাক্ষরিত একপত্রে গাজী আক্তারুজ্জামান কে আহবায়ক ও হুমায়ুন করিবকে সদস্য সচিব করে যুব গণফোরাম সাতক্ষীরা জেলা শাখার ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
২৭ কেন্দ্রের ফলাফলে নৌকা ১৪৭৫৮, ধানের শীষ ৭৫২৯

খুলনা ডেস্ক: খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে চলছে গণনা। আজ মঙ্গলবার (১৫ মে) সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল চারটায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ২৮৯টি। জাল ভোট, বিচ্ছিন্ন ঘটনার কারণে বেশ কিছু কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করার হয়েছে।

এর মধ্যে ২৭টি কেন্দ্রর ফলাফল পাওয়া গেছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৪৭৫৮ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৫২৯ ভোট।

সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের রহিমা খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। ভোট দেয়া শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ৩০টি ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপি প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্রগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। ভোটাররা খুব ভয়ে আছেন। হামলা-সহিংসতার আশঙ্কায় অনেকে ভোট কেন্দ্রে আসতে ভয় পাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতি করে নির্বাচনে জয়ের চেষ্টা করতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করে মঞ্জু বলেন, ভোট ডাকাতি হলে এই নির্বাচন মেনে নেবেন না তিনি।

একই সময়ে নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পাইওনিয়ার গার্লস স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। ভোট দেয়া শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শেষবারের মতো নগরবাসী আমাকে সেবা করার সুযোগ দেবেন এই বিশ্বাস আমার আছে। তবে ভোটের ফলাফল যাই হোক তা মেনে নেব।

এদিকে নির্বাচন চলাকালে জালভোট দেয়ার জন্য দুটি কেন্দ্র বন্ধ করে দেন প্রিজাইডিং অফিসার। এছাড়া বিএনপি মেয়র প্রার্থীর বেশ কয়েকটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। মঞ্জুর দুই এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নৌকায় জালভোট দেয়ার কারণে ৮৫টি ব্যালট পেপার বাতিল করা হয়েছে।

দলীয় প্রতীকের এ নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা তালুকদার আব্দুল খালেকের সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এছাড়া লাঙল প্রতীকে জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক, কাস্তে প্রতীকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মিজানুর রহমান বাবু ও হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুজ্জাম্মিল হক মেয়র পদে লড়ছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউনুস আলী আরটিভি অনলাইনকে জানান, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ ও নারী ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘দেবদাস’ অপূর্ব, ‘পার্বতী’ মেহজাবিন আর ‘চন্দ্রমুখী’ মম

বিনোদন ডেস্ক: নতুন মোড়কে আবার নির্মাণ করা হচ্ছে ‘দেবদাস’। আসছে ঈদের টেলিফিল্ম হিসেবে এটি নির্মাণ করছেন জাকারিয়া সৌখিন। আর প্রধান তিন চরিত্রে এবার দেখা যাবে অপূর্ব, মেহজাবিন ও মমকে। তবে পুরো গল্প এবার নির্মিত হবে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে। আর তাই মূল গল্প ঠিক রেখে সবকিছুতেই পরিবর্তন আনা হয়েছে।

নতুন স্বাদের এই ‘দেবদাস’-এর নাম রাখা হয়েছে ‘জলসাঘর’। চরিত্রগুলোর নামও পাল্টে গেছে। দেবদাসের নাম রাখা হয়েছে পবন, পার্বতীর নাম অবনি আর চন্দ্রমুখীর নাম চারুলতা। এ ব্যাপারে নির্মাতা বলেন, ‘দেখুন, দেবদাসের মতো প্রেমের উপন্যাস কখনো পুরোনো হয় না। গল্পের মূল বিষয়টি সব সময়ই নতুন। তাই বর্তমান সময়ে গল্পটিকে ভেবেছি। আর বর্তমান সময়কে প্রাধান্য দিতে গিয়েই অনেক কিছু পাল্টে গেছে। কিন্তু গল্পের মূল আবেগ ঠিক আছে।’

‘জলসাঘর’ টেলিছবিতে দুটো বিষয় নিয়ে কাজ করা হয়েছে। দেবদাস বা পবনের সম্পর্কের ধরন এবং তার জীবন। দেবদাসের সঙ্গে পার্বতী ও চন্দ্রমুখীর সম্পর্কটা আসলে ‘ব্যথা’র। সে কারও সঙ্গেই ‘সুখে’র সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেনি, গড়েছে ব্যথার সম্পর্ক। আর এ কারণে তার জীবনটাও জলসাঘরের মতোই। ক্ষণিকের আনন্দ কিংবা বেদনার ঘোর,Ñতারপর সব শূন্য।

‘জলসাঘর’ টেলিছবিতে অভিনয় প্রসঙ্গে অপূর্ব বলেন, ‘অবশ্যই খুব কঠিন একটি চরিত্র। অনেক বড় অভিনেতারা এ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আমি সেই একই চরিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছি, তাও বর্তমান সময়ে। অবশ্যই কঠিন। আমি চেষ্টা করব।’

মেহজাবিন অভিনয় করছেন পার্বতী বা অবনি চরিত্রে। তিনি বলেন, ‘নির্মাতা যখন আমাকে প্রথম শেয়ার করেছিলেন বিষয়টি, বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছিল। বর্তমান সময়ে হলেও মূল গল্প তো একই। সবাই সেভাবে বিচার করবে, দেখবে। তাই চ্যালেঞ্জিং প্রজেক্ট।’

মম বলেন, ‘ভালো হবে আশা করি। আমার ভালো লেগেছে, চন্দ্রমুখীকে অনেক মানবিকভাবে নির্মাতা এবার উপস্থাপন করছেন। আসলে চন্দ্রমুখীর অনেক উদার একটি চরিত্র। মূল গল্পে কিংবা সিনেমাগুলোয় বিষয়টি নাচ-গানের ভিড়ে হারিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের প্রজেক্টে ঠিক উল্টোটা ঘটবে।’

প্রধান তিন চরিত্রে অপূর্ব, মেহজাবিন ও মমকে নেওয়ার বিষয়ে নির্মাতা জাকারিয়া সৌখিন জানান, টেলিভিশন নাটকে এ মুহূর্তে এই তিনজন বেশ জনপ্রিয়। দর্শকও তাঁদের ভালো অভিনয়শিল্পী হিসেবেই ভাবেন। আর চরিত্রের যে বুনন, সেখানে এঁরা তিনজনই বেশি মানানসই।
শিগগিরই ‘জলসাঘর’ টেলিছবির শুটিং শুরু হবে। আর এটি ঈদে বাংলাভিশনে প্রচারিত হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইভিএম কেন্দ্র: আ’লীগ ৭৭৭, বিএনপি ৭১০ ভোট

খুলনা ডেস্ক: খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে দুটি কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দু’টি কেন্দ্রেরই ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
নগরীর পিটিআই জসিম উদ্দিন হোস্টেলের নীচতলা ইভিএম কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ৫০৫ এবং বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছেন ৫১১ ভোট।
অপর ২৪ নং ওয়ার্ডের সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ২৭২ এবং বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছেন ১৯৯ ভোট।
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে দু’টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ হয়। দুটি কেন্দ্রের মোট ফলাফলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী পেয়েছেন ৭৭৭ ভোট এবং বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী পেয়েছেন ৭১০ ভোট।
কেসিসি নির্বাচনের মোট ২৮৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে অনিয়মের অভিযোগে দু’টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
দিনভর কয়েকটি কেন্দ্রে নানা কেন্দ্র দখল অনিয়ম, অভিযোগ, ব্যালট পেপারে জোরপূর্বক সিল মারার ঘটনা ঘটেছে। আবার সুষ্ঠ ভোটও হয়েছে অনেক কেন্দ্রে। খুলনা আ’লীগের মেয়র প্রার্থী বলেন, ভোট ভালো হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী বলেন, অন্তত ৪০টি কেন্দ্রে অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে।
জাল ভোটের অভিযোগে একটি কেন্দ্রে ভোট বাতিল, দুটি কেন্দ্র এবং এবং একটি বুথে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এর বাইরে একটি কেন্দ্রের অদূরে বিএনপির নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়েছে।
২৪ নং ওয়ার্ডের সরকারি ইকবাল নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করে দেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আনিসুর রহমান। নৌকা প্রতীকে সিল মারার ঘটনায় এছাড়া রূপসা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও রূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও ভোট স্থগিত হয়।
জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে চারটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে দুপুরে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের লবণচোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকা মার্কায় সিল মারার অভিযোগে কেন্দ্রটিতে ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে।
২২ নম্বর ওয়ার্ডের ফাতিমা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি বুথে স্থগিত করা হয় ভোট। সেখানেও নৌকা মার্কায় সিল মারা হচ্ছিল ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী আব্দুল মালেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রেও জাল ভোট দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
কলেজিয়াট স্কুলে জাল ভোট দেওয়ার ঘটনার ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। অভিযোগ উঠেছে ২৫ নং ওয়ার্ডের এতিমখানা মোড়ের নূরানি মাদ্রাসায় ভোটারদের হাতে কালি দিয়ে নিজেরাই ভোট দিয়েছে সরকার দলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউনুচ আলী বলেন, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোট সুষ্ঠু হয়েছে।

সূত্র: বাংলানিউজ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বার কাউন্সিল নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীদের নিরঙ্কুশ জয়

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছেন সরকার সমর্থক আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা।

নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে ১২টিতেই জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা। দুটি পদে জয় পেয়েছেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা।

ভোটগ্রহণের পর মঙ্গলবার বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সূত্রে বেসরকারি ফলে এ তথ্য জানা গেছে।

তবে আনুষ্ঠানিক ফল বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।

সারা দেশের ৭৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষে রাতেই আলাদা করে কেন্দ্রগুলোতে ফল ঘোষণা করা হয়। সে অনুযায়ী প্রাপ্ত ফল থেকে জানা যায়, নির্বাচিত ১৪টি পদের মধ্যে ১২টিতেই সরকারপন্থীরা জয়লাভ করেছেন।

এর মধ্যে সাধারণ ক্যাটাগরিতে সাতটি পদের মধ্যে আওয়ামীপন্থী প্যানেল থেকে ছয়জন নির্বাচিত হয়েছেন। এই প্যানেল থেকে সাধারণ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিতরা হলেন— বার কাউন্সিলের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুয়ায়ুন, বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম (জেডআই) খান পান্না, আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বাদল।

সাধারণ ক্যাটাগরিতে বিএনপিপন্থী প্যানেল থেকে শুধু সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী নির্বাচিত হয়েছেন।

গ্রুপভিত্তিক সাতটি পদের মধ্যে আওয়ামীপন্থীরা ছয়টি পদে জয়লাভ করেন। তারা হলেন— সাবেক বৃহত্তর ঢাকা জেলা (গ্রুপ-এ) অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, বৃহত্তর ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর জেলার আইনজীবী সমিতিতে (গ্রুপ-বি) মো. কবির উদ্দিন ভূঁইয়া, বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা ও সিলেট জেলা অঞ্চলের আইনজীবী সমিতিতে (গ্রুপ-ডি) এএফ মো. রুহুল আনাম চৌধুরী, বৃহত্তর খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলের আইনজীবী সমিতিতে (গ্রুপ-ই) পারভেজ আলম খান, বৃহত্তর রাজশাহী, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের আইনজীবী সমিতিতে (গ্রুপ-এফ) মো. ইয়াহিয়া এবং বৃহত্তর দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া ও পাবনা জেলার আইনজীবী সমিতিতে (গ্রুপ-জি) রেজাউল করিম মন্টু জয়ী হয়েছেন।

গ্রুপভিত্তিক পদে শুধু বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার আইনজীবী সমিতিতে (গ্রুপ-সি) বিএনপি সমর্থিত প্যানেল থেকে অ্যাডভোকেট মো. দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত বার কাউন্সিল নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে ১০টিতে আওয়ামীপন্থী ও চারটিতে বিএনপিপন্থীরা জয়লাভ করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন; ভোট শেষে গণনা চলছে

খুলনা প্রতিবেদক: ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। উৎসাহ-উদ্দীপনা আর উৎসবমুখর পরিবেশে আজ সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। জাল ভোট প্রদান ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগে দুটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তিনি বলেছেন, জালিয়াতি, কারচুপি, ভোট ডাকাতির ফলাফল খুলনাবাসী মেনে নেবে না। তবে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ভোট কেন্দ্র দখল, বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেয়া ও জালভোট দেয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

স্থগিত হওয়া ভোট কেন্দ্র দুটি হলো- ২০২নং ইকবাল নগর সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের একটি বুথ এবং খুলনা মহানগরীর ৩১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় ভোট কেন্দ্র।

নির্বাচনে মেয়র এবং কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিলিয়ে মোট ১৯১ জন প্রার্থী নির্বাচনের চূড়ান্ত লড়াইয়ে মাঠে ছিলেন। মেয়র প্রার্থী ৫ জন, ১৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন কাউন্সিলর এবং ১০টি সংরক্ষিত আসনে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

খুলনা সিটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ ও নারী ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন। ভোটকেন্দ্র ১ হাজার ১৭৮টি। প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার রয়েছে ৪ হাজার ৫৭২ জন।

এর আগে ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটার ছিল ৪ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৮জন। এর মধ্যে ২ লাখ ১৬ হাজার ৯৭ জন ছিল নারী ও ২ লাখ ২৪ হাজার ৪৭১ জন ছিল পুরুষ ভোটার। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটার ছিল ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৩৯৮ জন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ছাদ থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পাথরঘাটায় ছাদ থেকে পড়ে রকিব নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রকিব সদর উপজেলার চুপড়িয়া গ্রামের আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পাথরঘাটায় একটি দ্বিতল ভবনে নির্মাণ কাজ করছিলেন শ্রমিক রকিব। এসময় অসাবধানে পা পিছলে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। এ অবস্থায় স্থানীয়রা রবিককে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খালেদার জামিন বিষয়ে শুনানি শেষ, কাল রায়

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দূর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি বুধবার (১৬ মে) রায় ঘোষণা করা হবে। রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেলের শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করা হয়। মঙ্গলবার (১৫ মে) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের আদেশের জন্য আজ মঙ্গলবার (১৫ মে) দিন ধার্য থাকলেও। সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে মাহবুবে আলম আদালতকে বলেন, ‘আমি আরও কিছু যুক্তিতর্ক তুলে ধরতে চাই।’ এরপর বেলা সাড়ে ১১টা সময় নির্ধারণ করে যুক্তিতর্ক তুলে ধরার আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ।

এ মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। এরপর থেকে খালেদা জিয়া নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। রায়ের পর আপিল করে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া, যার ওপর শুনানি নিয়ে গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট চারটি দিক বিবেচনায় তাঁকে চার মাসের জামিন দেন।

এই জামিন স্থগিত চেয়ে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আবেদন করে। শুনানি নিয়ে ১৪ মার্চ আপিল বিভাগ ওই জামিন স্থগিত করে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে এই সময়ের মধ্যে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলেন। অন্যদিকে, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা, যা সেদিন চেম্বার বিচারপতির আদালতে ওঠে। আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। পরে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল করে। ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে শুনানির জন্য ৮ মে দিন রাখেন আপিল বিভাগ।

এদিকে আজ খালেদা জিয়ার জামিন হতে পারে—এই আশায় সকাল আটটা থেকে হাইকোর্টের সামনে আসতে শুরু করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তবে সোয়া নয়টার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হাইকোর্টের গেটের কাছ থেকে সরিয়ে দিচ্ছিল পুলিশ। হাইকোর্টের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের একটি সাঁজোয়া যান, জলকামান ও পুলিশ পরিবহন গাড়ি রাখা হয়েছে সেখানে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest