সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনও

সদর উপজেলা রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের মে দিবস পালন

সদর উপজেলা রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে শহরের মিনি মার্কেট থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় মিলিত হয়। ইউনিয়নের সভাপতি মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা এড. ফাহিমুল হক কিসলু। অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও পূর্ণবাসন সম্পাদক এড. আজহার হোসেন(অতি:পিপি), এড খোদাবক্স, শ্রমিক ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মকবুল হোসেন। সাধারণ সম্পাদক মোমিন হাওলাদারের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি আমির আলী, কওসার আলী, যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ, দপ্তর সম্পাদক বকুল, কোষাধ্যক্ষ সাংগঠনিক সম্পাদক গফুর, কবিরুল ইসলাম, সদস্য মনিরুজ্জামান বাবু, সিদ্দিক মোড়ল প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা মটর সাইকেল এসোসিয়েশনের মে দিবস পালন ও কমিটি গঠন

সাতক্ষীরা জেলা মটর সাইকেল এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন ও মহান মে দিবস পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে পৌর দিঘির ধার এলাকা থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভায় মিলিত হয়। এসোসিয়েশনের আহবায়ক আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য অহিদ পারভেজ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা, যুগ্ম সম্পাদক আসিফ শাহাবাজ খান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব বজলুর রহমান। সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে আগামী ২বছরের জন্য নতুন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির নেতৃবৃন্দরা হলেন, সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রকি, সহ-সভাপতি মদন কুমার দেব নাথ, সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক জামাল খা খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু, দপ্তর সম্পাদক মুকুল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ বাবলু বর প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ৫ম বর্ষ পূর্তি পালন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক এন্ড সিটিস্ক্যান সেন্টারের সেবা ও সাফল্যের ৫ম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে হেলথ চেক আপের উদ্বোধন ও কেক কাটা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় শহীদ কাজল স্মরণি জজকোর্টের দক্ষিণ পাশে ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিজস্ব ভবনে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন, ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এম.ডি কে এম মোজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স। এসময় ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসক, শেয়ার হোল্ডার, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং স্বাস্থ্য হেলথ চেক আপের সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গোপনে বিয়ে সারলেন প্রিয়াঙ্কা!

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বলিউড তো বটেই হলিউডেও নিজের একটা অবস্থান তৈরি করেছেন সাবেক এই বিশ্ব সুন্দরী। তবে নিজের বিরুদ্ধে উঠা গুঞ্জন নিয়ে কখনোই খোলসা করেনি অভিনেত্রী-সেটা শাহরুখ খান হোক কিংবা অক্ষয় কুমার। এবারও কি বিয়ের বিষয়েও চুপ থাকবেন প্রিয়াঙ্কা? অবাক লাগছে শুনতে? ভাবছেন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আবার বিয়ে করলেন কবে?

ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর, সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে একটি ছবি শেয়ার করেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানে হাতে কিছু একটা জড়িয়ে বসে থাকতে দেখা যায় তাকে। নেটিজেনদের একংশের মতে, হাতে নাকি মঙ্গলসূত্র জড়িয়ে বসে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। আর এখান থেকেই শুরু হয় গুঞ্জন। বিয়ে না হলে শুধু শুধু কেন প্রিয়াঙ্কার হাতের কবজিতে মঙ্গলসূত্র দেখা যাবে বলে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন অনেকে।

তবে এবারও নেটিজেনদের তোলা প্রশ্নের জবাব না দিয়ে নিশ্চুপ রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। আর তাতেই বাড়তে শুরু করেছে ধোঁয়াশা। তাহলে গোপনে বিয়ে করেছেন বলেই কি চুপ রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা, উঠতে শুরু করে সেই প্রশ্নও।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বজ্রপাতের আগাম সংকেত আসছে

কোন এলাকায় বিজলি চমকাবে এবং বজ্রপাত হবে তার আগাম সংকেত দেওয়া শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ঝড়-বৃষ্টির সময় কোন জেলায় বজ্রপাত হতে পারে তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারবে আবহাওয়া অফিস। এমনকি ১০ মিনিট থেকে আধাঘণ্টা আগে বজ্রপাতের সংকেত দেওয়া যাবে। এতে করে ওই এলাকার মানুষ নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার সময় পাবে। ফলে বজ্রপাতে প্রাণহানি কমে আসবে দেশে।

বজ্রপাতের আগাম সংকেত জানতে এরই মধ্যে দেশের আটটি স্থানে বসানো হয়েছে লাইটেনিং ডিটেকটিভ সেন্সর। স্থানগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া, নওগাঁর বদলগাছি, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনার কয়রা এবং পটুয়াখালী। আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানান, আটটি সেন্সরে পুরো দেশের চিত্র উঠে আসবে। একেকটি সেন্সরের রেঞ্জ ২৫০ কিলোমিটার। প্রতিটি সেন্সর থেকে এক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত মনিটরিং করা যাবে। এক মৌসুমে (এপ্রিল থেকে জুন) দেশে কতবার বিদ্যুৎ চমকায় এবং বজ্রপাত হয় সেটিও সংরক্ষণ করা হবে। তবে এখন সব চলছে পরীক্ষামূলকভাবে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রযুক্তির যাত্রা শুরু হবে।

আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, রেডিও, টেলিভিশন, ওয়েবসাইটে এখনো তাঁরা বজ্রপাতের পূর্বাভাস দেন। তবে সেটি রাডার থেকে নেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেওয়া হয়, যাতে বজ্রপাতের চিত্র সুস্পষ্টভাবে আসে না। এ ছাড়া এখন বজ্রপাতের তথ্য দেওয়া হয় জেলাওয়ারি। কিন্তু ডিটেকটিভ সেন্সরের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট এলাকার নামও বলা যাবে। কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, আগে বজ্রপাতের প্রতি নজর ছিল কম। গুরুত্ব অনুধাবন করে এখন এর প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষ যদি সচেতন না হয়, সংকেত পাওয়ার পরও যদি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা না ছাড়ে তাহলে কোনো উদ্যোগই কাজে আসবে না।

আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, ‘বাংলাদেশে ১৩টি নদীবন্দরে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পের আওতায় বজ্রপাতের সংকেত ও সংখ্যা নিরূপণের যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৬২ কোটি টাকা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আটটি ডিকেটটিভ সেন্সরের যন্ত্রপাতি কেনায় খরচ হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা।

প্রকল্প পরিচালক মজিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখন পরীক্ষামূলকভাবে ডিটেকটিভ সেন্সর ব্যবহার করছি। কোথায় কোথায় ত্রুটি বিচ্যুতি হচ্ছে সেটি দেখা হচ্ছে। আশা করছি এ বছরের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি চালু হবে। তখন বজ্রপাতের সংকেত আগাম দেওয়া সম্ভব হবে। এ ছাড়া বজ্রপাতের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ চমকানোর তথ্যও থাকবে।’

কর্মকর্তারা জানান, চারভাবে বজ্রপাত হয়ে থাকে। প্রথমত, মেঘমালা থেকে ভূপৃষ্ঠে। দ্বিতীয়ত, মেঘমালার সঙ্গে মেঘমালা। তৃতীয়ত, একই মেঘের মধ্যে। চতুর্থত, মেঘমালা থেকে বায়ুমণ্ডলে। এর মধ্যে মেঘমালা থেকে ভূপৃষ্ঠে যে বজ্রপাত হয় সেটি সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর। তাতে মানুষের প্রাণহানি ঘটে। আবহাওয়া কর্মকর্তা বজলুর রশীদ কালের কণ্ঠকে বলেন, অনেক বজ্রপাত হয় ভূপৃষ্ঠের ওপর, যেটা ক্ষতিকর নয়। যেটি ভূপৃষ্ঠে পড়ে সেটি ক্ষতিকর। মানুষের মৃত্যু হয়। নতুন ডিটেকটিভ সেন্সরের মাধ্যমে জানা যাবে এক দিনে কতবার বিজলি চমকায় এবং কতবার বজ্রপাত হয়।

ঢাকা স্টেশনের পরীক্ষামূলক তথ্যে দেখা গেছে, গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বজ্রপাত হয়েছে ১২ হাজার ২৯০ বার। মজিদুল ইসলাম বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশে আড়াই হাজার বজ্রপাত হয়। তবে এসব তথ্যের এখন কোনো মূল্য নেই। কম-বেশি হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক বছর আগেও বজ্রপাতে বছরে ৪০০ থেকে ৪৫০ জন মানুষ মারা যেত। প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি মানুষের সচেতনতা বাড়ায় সেখানে মৃতের সংখ্যা কমে ২০-এ দাঁড়িয়েছে। সিঙ্গাপুর, জাপান, কানাডা এমনকি পাশের দেশ ভারতেও ডিটেকটিভ সেন্সর বসিয়ে বজ্রপাতের আগাম সংকেত মিলছে। উল্টোদিকে বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে প্রাণিহানির সংখ্যা বাড়ছে। এতে সরকার ২০১৬ সালে একে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা দেয়। এ বছর পহেলা বৈশাখ থেকে এখন পর্যন্ত বজ্রপাতে অর্ধশতাধিক লোক মারা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসা ও মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত হয় সুনামগঞ্জে। হাওরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটে বজ্রপাতে।

বজ্রপাতের কারণ হিসেবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে বজ্রপাত বাড়ছে। আবহাওয়ার বিরূপ আচরণ দেখা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বজ্রপাত হচ্ছে এটা বলার সময় এখনো আসেনি। তিনি বলেন, দেশে জনসংখ্যা বাড়ছে। ঘর ছেড়ে বাইরে আসার প্রবণতাও বাড়ছে। মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি কর্মব্যস্ত। আগে অনেক কৃষিজমি খালি পড়ে থাকত। এখন সেসব জমি ব্যবহৃত হচ্ছে। মানুষ কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যাচ্ছে। তা ছাড়া আগে দেশের প্রায় সব স্থানে বড় বড় গাছ ছিল। সেসব গাছও কমে গেছে শিল্পায়নের কারণে। জলাভূমির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এসব কারণে বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।

বজ্রপাতে মৃত্যের সংখ্যা কমাতে সারা দেশে তালগাছ লাগানোর উদ্যোগ নেয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। কিন্তু সে উদ্যোগেও গতি নেই। কর্মকর্তারা জানান, বিপুলসংখ্যক গাছ পেতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আমরা ২৮ লাখ বীজ লাগিয়েছি। তালগাছ হতে কিছুটা সময় লাগে। আমরা গাছ লাগানোর যে উদ্যোগ নিয়েছি, সেটি সফল হবে। তবে কিছুটা সময় লাগবে।’

বজ্রপাত বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, বাতাসে সিসার পরিমাণ বাড়া, জনজীবনে ধাতব পদার্থের ব্যবহার বেড়ে যাওয়া, মোবাইল ফোনের টাওয়ারের সংখ্যা বাড়া, বনভূমি বা গ্রামাঞ্চলে উঁচু গাছ কমে যাওয়া, জলাভূমি ভরাট ও নদী শুকিয়ে যাওয়া বজ্রপাতের কারণ। বুয়েটের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, বিল্ডিং কোডে বলা আছে, দশ তলা পর্যন্ত ভবনে বজ্রপাত প্রতিরোধ রড ব্যবহার করতে। ঢাকায় তা মানা হলেও অন্য জায়গায় মানা হচ্ছে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আগামী ৬-৭ দিন বৃষ্টি ও কালবৈশাখী অব্যাহত থাকবে

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও ছোট আকারের কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে বিজলী চমকানোসহ বজ্রপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক দুপুরে বাসসকে জানান, আগামী ছয়-সাতদিন সারা দেশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। সেই সাথে দেশের অনেক অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাবে।

আবহাওয়াবিদ জানান, ঝড় ও বৃষ্টির সাথে বিজলী চমকানোসহ বজ্রপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে আজ দুপুরের পর পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সাময়িক বিরতি থাকলেও আজ বিকেল বা সন্ধ্যা থেকে আবারও দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ছোট আকারের কালবৈশাখী ঝড় ও বিদ্যুৎ চমকানো থাকবে।

আজ সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, রংপুর এবং রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া ও বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ ও শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ২৭ মিনিটে আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫টা ২৪ মিনিটে।

ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক সম্পর্কে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়া চিত্রের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ৭৭ মিলিমিটার। ঢাকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩২ মিলিমিটার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা জেলা বাস-মিনিবাস,মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের মহান মে দিবস পালন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃনং-খুলনা ৫৫০) মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পুনরায় টার্মিনালে গিয়ে এক আলোচনাসভায় মিলিত হয়। ইউনিয়নের সভাপতি মীর মনিরুজ্জামান মনির সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ছাইফুল করিম সাবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ খালেক,যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল্লাহ সরদার, অটো মোবাইল মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের শহিদুল ইসলাম কালু। ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান জাহিদের তত্ববধানে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, কার্যকরি সদস্য হামিদুল ইসলাম। সভায় মৃত শ্রমিকদের পরিবারের আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় আর্ন্তজাতিক শ্রমিক দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

কে.এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটায় আর্ন্তজাতিক শ্রমিক দিবসে উপজেলা শ্রমিকলীগের আয়োজনে একটি র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় পারুলিয়া বাসস্টান্ড থেকে উপজেলা শ্রমিকলীগের আয়োজনে র‌্যালীটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে সখিপুর মোড়ে শেষ হয়। পরে এক আলোচনা সভা সখিপুর আলিম মাদ্রাসা চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আবু তাহের। প্রধান অতিথি ছিলেন দেবহাটা উপজেলা আঃলীগের সভাপতি নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আঃলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম। এসময় উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি সদস্য আরমান হোসেন, সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম সহ সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা শ্রমিকদের কল্যানে বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কর্মকান্ডের আলোকপাত করে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest