সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনও

আইপিএলে সবার শীর্ষে ধোনি!

মাহেন্দ্র সিং ধোনি। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম নক্ষত্র। তার হাত ধরেই ক্রিকেটের বড় আসরগুলোতে শিরোপার স্বাদ পেয়েছে ভারত। আইপিএলেও চেন্নাইকে বেশ কয়েকবার চ্যাম্পিয়ন করেছেন ক্যাপ্টেন কুল।

ইতোমধ্যে অধিনায়ক হিসাবে আইপিএলে ১৫০টি ম্যাচ খেলার কীর্তি গড়েছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অধিনায়ক ও ব্যাটসম্যান হিসাবে ৫ হাজার রানের মাইলস্টোন পেরিয়ে গিয়েছেন অনেক আগেই।

তবে সোমবার রাতে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে ম্যাচে ২২ বলে ৫১ রান করে আরও এক কীর্তি গড়লেন চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে) অধিনায়ক।

এদিন দিল্লিকে ৪ উইকেটে ২১১ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় চেন্নাই। শেন ওয়াটসন ৭৮, ধোনি ৫১ ও আম্বাতি রায়ডু ৪১ রান করেন। তবে ধোনি অপরাজিত অর্ধশতরান করে অধিনায়ক হিসাবে আইপিএলে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড এখন তার দখলে।

লিগের লাস্ট বয় দিল্লিকে রানের পাহাড়ের তলায় চাপা দিয়ে প্লে অফের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল সিএসকে। এদিন ব্যাট হাতে লড়েও ম্যাচ হেরে কার্যত প্লে অফ থেকে ছিটকে যাওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে দিল্লি। চেন্নাইয়ের করা ২১১ রানের জবাবে দিল্লি থামল ৫ উইকেটে ১৯৮ রানে। হারল ১৩ রানে।
ধোনি টপকে গেলেন গৌতম গম্ভীরকে। গম্ভীরের থেকে ১৮ রান বেশি রয়েছে ধোনির। ডান-হাতি এই উইকেট-কিপার ব্যাটসম্যানের বর্তমান সংগ্রহ ৩ হাজার ৫৩৬ রান। ৩ হাজার ৫১৮ রান নিয়ে গম্ভীর রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। তৃতীয় স্থানে থাকা বিরাট কোহলির সংগ্রহ ৩ হাজার ৩৩৩ রান। এছাড়া ২ হাজার ১৯৮ রান নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন রোহিত শর্মা।

ধোনি আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে সফলতম অধিনায়ক। ৩৫ বছর বয়সী তারকার নেতৃত্বে চেন্নাই আটবার খেলে প্রতিবার প্লে-অফে উঠেছে। ২০১০ ও ২০১১ সালে আইপিএল জিতেছে। এবারও প্লে অফের দিকে এগিয়ে গিয়েছে চেন্নাই।

এদিনের জয়ের ফলে চেন্নাই ৮ ম্যাচে ৬টি জিতে ১২ পয়েন্ট পেল। একইসঙ্গে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে টপকে চলে গেল গ্রুপ শীর্ষে। দিল্লি ৮ ম্যাচে ৬টি হেরে লিগ টেবিলের শেষেই রইল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে চাচাতো ভাইদের পিটুনিতে যুবক নিহত, আটক ৩

আসাদুজ্জামান: জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ভাইদের লাঠির আঘাতে আর এক ভাই নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার বন্দকাটি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
নিহতের নাম মাসুদ হোসেন (২৫)। তিনি বন্দেকাটি গ্রামের মোনায়েম হোসেন গাজীর ছেলে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোনায়েম হোসেনের ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্দুল আজিজ ও আজিজের ছেলে আশরাফ হোসেন।
কালিগঞ্জ থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব হোসেন জানান, বন্দকাটি গ্রামের মোনায়েম গাজির পরিবারের সাথে তার ভাই মোয়াজ্জেম, আজিজ ও মোকাররমের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে সোমবার সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাাঁধে। এতে চাচাতো ভাই আতিকুলসহ কয়েকজন মোনায়েম গাজির ছেলে মাসুদ হোসেনের মাথায় বাঁশের লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করে। তাকে ঠেকাতে গিয়ে আহত হন মাসুদের বোন শারমিন ও স্ত্রী রেশমা। গুরুতর আহত অবস্থায় মাসুদকে প্রথমে কালিগঞ্জ, পরে সাতক্ষীরা ও সবশেষে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা যান।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মাসুদ হোসেনের লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আজ মহান মে দিবস

মহান মে দিবস আজ মঙ্গলবার। মাঠে-ঘাটে, কলকারখানায় খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে রক্তঝরা সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস সৃষ্টির দিন। দীর্ঘ বঞ্চনা আর শোষণ থেকে মুক্তি পেতে ১৮৮৬ সালের এদিন বুকের রক্ত ঝরিয়েছিল শ্রমিকরা।

এদিন শ্রমিকরা আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের সব শিল্পাঞ্চলে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। সে ডাকে শিকাগো শহরের তিন লক্ষাধিক শ্রমিক কাজ বন্ধ রাখে। শ্রমিক সমাবেশকে ঘিরে শিকাগো শহরের হে মার্কেট রূপ নেয় লাখো শ্রমিকের বিক্ষোভ সমুদ্রে। এক লাখ ৮৫ হাজার নির্মাণ শ্রমিকের সঙ্গে আরো অসংখ্য বিক্ষুব্ধ শ্রমিক লাল ঝাণ্ডা হাতে সমবেত হয় সেখানে। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে পুলিশ শ্রমিকদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালালে ১০ শ্রমিক প্রাণ হারান।

অন্যদিকে হে মার্কেটের ওই শ্রমিক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে। গড়ে ওঠে শ্রমিক-জনতার বৃহত্তর ঐক্য। অবশেষে তীব্র আন্দোলনের মুখে শ্রমিকদের দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

পরে ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে শিকাগোর রক্তঝরা অর্জনকে স্বীকৃতি দিয়ে ওই ঘটনার স্মারক হিসেবে ১ মে ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৮৯০ সাল থেকে প্রতি বছর দিবসটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ‘মে দিবস’ হিসেবে পালন করতে শুরু করে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা শ্রমজীবী মানুষসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘শ্রমিক-মালিক ভাই ভাই, সোনার বাংলা গড়তে চাই।’

আজ সরকারি ছুটি। সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব তফসিলি ব্যাংক ও কলকারখানা বন্ধ থাকবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন ও বেতারগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র ও নিবন্ধ প্রকাশ করবে।

প্রতিবছরের মতো এবারও রাষ্ট্রীয়ভাবে মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আজ সকাল ৭টায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করা হয়েছে। র‌্যালিটি দৈনিক বাংলা থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হবে।

মহান মে দিবস উপলক্ষে আজ বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে আগামী বৃহস্পতিবার ৩ মে সকাল সাড়ে ১০টায় মে দিবস উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক।

এ ছাড়া মে দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী এবং সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ সব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে র‌্যালি, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা শ্রমজীবী মানুষসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘শ্রমিক-মালিক ভাই ভাই, সোনার বাংলা গড়তে চাই।’

আজ সরকারি ছুটি। সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব তফসিলি ব্যাংক ও কলকারখানা বন্ধ থাকবে।

এ ছাড়া মে দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী এবং সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ সব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে র‌্যালি, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আজ পবিত্র শবেবরাত

আজ মঙ্গলবার রাতে পবিত্র শবেবরাত। মুসলমানদের জন্য সৌভাগ্যের একটি রাত।

আরবি শাবান মাসের ১৪ তারিখের এই মহিমান্বিত রাতকে পবিত্র কোরআনে ‘লাইলাতুল মোবারাকা’ বা বরকতময় রাত বলেও অভিহিত করা হয়েছে। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ, মিলাদ মাহফিলসহ নানা ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে এ রাত অতিবাহিত করবেন। মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশ্বের মুসলমান সম্প্রদায় বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া খায়ের করবে মহিমান্বিত এ রাতে।

পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলমানদের প্রতি মোবারকবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ রাতের পবিত্রতা রক্ষায় পটকা-আতশবাজি নিষিদ্ধ ঘোষণাসহ বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

মূলত পবিত্র মাহে রমজানের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে শবেবরাতের এ রাত। ফার্সি ‘শব’ শব্দটির অর্থ রাত, আর ‘বরাত’ শব্দের অর্থ ভাগ্য। হাদীসের বর্ণনা মতে, বিশেষ এ রাতে মহান আল্লাহ তায়ালা আগামী এক বছরের জন্য মানুষের রিজিক, জন্ম-মৃত্যু ইত্যাদি বিষয় নির্ধারণসহ তাঁর সৃষ্ট জীবের ওপর অসীম রহমত নাজিল করে থাকেন। এ জন্য এ রাতকে শবেবরাত বা ভাগ্যরজনী বলা হয়।

মঙ্গলবার সূর্যাস্তের পর থেকে শুরু হয়ে বুধবার সূর্যোদয় পর্যন্ত এ রাতের ফজিলত অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে এ রাতটি কাটাবেন মুসলমানরা। এ উপলক্ষে অনেকেই নফল রোজা পালন করেন। প্রায় সবাই সাধ্যমতো দান-খয়রাত করে থাকেন। রাতব্যাপী ইবাদত-বন্দেগি, জিকির ছাড়াও এ পবিত্র রাতে মুসলমানরা মৃত মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনসহ প্রিয়জনদের কবর জিয়ারত করে থাকেন। সবার ঘরে আয়োজন করা হয় হালুয়া, গোশত, রুটিসহ নানা রকমের খাবার। আত্মীয়-স্বজন ও গরিবদের মধ্যে এসব খাবার বিতরণ করবেন অনেকে। তবে এসব আয়োজনের কারণে মূল ইবাদতে যেন কোনো রকম ব্যাঘাত না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য গুরুত্বারোপ করেছেন ইসলামী চিন্তাবিদরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বজ্রাঘাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ৯টি উপায়

ঝড়বৃষ্টির সময় বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে নয়টি পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর-

১. পাকা বাড়ির নীচে আশ্রয় নিন। ঘন ঘন বজ্রপাত হতে থাকলে কোনো অবস্থাতেই খোলা বা উঁচু জায়গায় না থাকাই ভালো। এ অবস্থায় সবচেয়ে ভালো হয় যদি কোনও দালানের নীচে আশ্রয় নিতে পারেন।

২. উঁচু গাছপালা ও বিদ্যুতের লাইন থেকে দূরে থাকুন। উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এ সব জায়গায় যাবেন না বা কাছাকাছি থাকবেন না। ফাঁকা জায়গায় কোনও যাত্রী ছাউনি বা বড় গাছ ইত্যাদিতে বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি থাকে।

৩. জানালা থেকে দূরে থাকুন। বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভেতর থাকুন।

৪. ধাতব বস্তু এড়িয়ে চলুন। বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না। এমনকি ল্যান্ড লাইন টেলিফোনও স্পর্শ করবেন না। বজ্রপাতের সময় এগুলোর সংস্পর্শ এসে অনেকে আহত হন।

৫. টিভি-ফ্রিজ থেকে সাবধান। বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক সংযোগযুক্ত সব যন্ত্রপাতি স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি বন্ধ করা থাকলেও ধরবেন না। বজ্রপাতের আভাষ পেলে আগেই এগুলোর প্লাগ খুলে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করুন। অব্যবহৃত যন্ত্রপাতির প্লাগ আগেই খুলে রাখুন।

৬. বজ্রপাতের সময় রাস্তায় গাড়িতে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করুন। যদি প্রচণ্ড বজ্রপাত ও বৃষ্টির সম্মুখীন হন তবে গাড়ি কোনো পাকা ছাউনির নীচে নিয়ে যান। এ সময় গাড়ির কাঁচে হাত দেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।

৭. ঝড়-বৃষ্টির সময় রাস্তায় জল জমা আশ্চর্য নয়। তবে বজ্রপাত অব্যাহত থাকলে সে সময় রাস্তায় বের না হওয়াই মঙ্গল। একে তো বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। উপরন্তু কাছাকাছি কোথাও বাজ পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়।

৮. বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে থাকা খুবই বিপজ্জনক। যদি একান্ত বেরোতেই হয় পা ঢাকা জুতো পড়ে বের হোন। রবারের গাম্বুট এ ক্ষেত্রে সব থেকে ভালো কাজ করবে।

৯. বজ্রপাতের সময় রাস্তায় চলাচলের সময় আশেপাশে খেয়াল রাখুন। যে দিকে বাজ পড়ার প্রবণতা বেশি সে দিক বর্জন করুন। কেউ আহত হলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে বজ্রপাত প্রতিরোধের এখন পর্যন্ত কোনো উপায় আবিষ্কার না হলেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার মাধ্যমে প্রাণহানির আশঙ্কা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। অনুশীলনের মাধ্যমে এই অভ্যাসগুলো রপ্ত করার মাধ্যমে বিপদ কমিয়ে দিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্বে নতুন মহামারি আসছে মরবে তিন কোটি!

প্রাণঘাতী নতুন রোগ আসছে বিশ্বে। যা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়বে দেশে দেশে। অপ্রতিরোধ্য এ রোগের কারণ বুঝে ওঠার আগেই ৬ মাসের মধ্যে ৩ কোটি লোক মারা যেতে পারে। আর আগামী দশকের মধ্যেই এটা ঘটতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্বের সেরা ধনী ব্যক্তির আসনে ওঠা এবং দানশীল হিসেবে খ্যাতিমান বিল গেটস।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে গত শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) ম্যাসাচুসেটস মেডিকেল সোসাইটি ও দি নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন আয়োজিত মহামারি বিষয়ক এক আলোচনায় সভায় তিনি এসব কথা জানান।

বিল গেটস সবাইকে চরম হুঁশিয়ারি ও স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, আমরা বিশ্বব্যাপী শিশুদের দারিদ্রমুক্ত করছি এবং পোলিও ও ম্যালেরিয়ার মত রোগ নির্মূলে ভালো করছি। কিন্তু একটি ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে বিশ্ব বেশি এগোতে পারেনি। তা হচ্ছে মহামারি বিষয়ে প্রস্তুতি। এ ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা অব্যাহত থাকবে। বিশ্ব জনসংখ্যা বাড়ছে এবং মানব সমাজ বন্য পরিবেশের দিকে অগ্রসর হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সব সময় নতুন জীবাণুর উদ্ভব ঘটছে।

একক ব্যক্তি বা একটি ক্ষুদ্র দলের জন্য রোগকে অস্ত্র হিসেবে সৃষ্টি করা সহজ হচ্ছে যা দাবানলের মত বিশব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে। গেটসের মতে, রাষ্ট্র ছাড়াই ক্ষুদ্র কোনো সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান একটি গবেষণাগারে গুটি বসন্তের প্রাণঘাতী রূপ তৈরি করতে পারে।

আমাদের আন্তঃসংযোগ সম্পন্ন বিশ্বে মানুষ সব সময় বিমানে উড়ছে, মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে এক মহাদেশের এক নগর থেকে অন্য মহাদেশের আরেক নগরে যাচ্ছে।

বিল গেটস ইনস্টিটিউট ফর ডিজিজ মডেলিং-এর একটি রিপোর্টের অনুলিপি উপস্থাপন করেন। তাতে দেখা যায়, ১৯১৮ সালে প্রাদুর্ভাব ঘটা এক মহামারি ফ্লু যাতে ৫ কোটি লোক মারা গিয়েছিল সে রকম একটি নতুন ফ্লুতে মাত্র ৬ মাসের মধ্যে ৩ কোটি মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কাঁঠালের পুষ্টিগুণ

জাতীয় ফল কাঁঠাল। গ্রীষ্মকালীন রসালো এই ফল ইতোমধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে। কাঁঠাল দামে সস্তা। এতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, আমিষ ও ভিটামিন এ পাওয়া যায়। কাঁঠালের ৪-৫ কোয়া থেকে ১০০ কিলো ক্যালরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়। এর হলুদ রঙের কোষ হচ্ছে ভিটামিন ‘এ’সমৃদ্ধ। ২-৩ কোয়া কাঁঠাল আমাদের এক দিনের ভিটামিন ‘এ’এর চাহিদা পূরণ করে।

সেজন্য কাঁঠাল অপুষ্টিজনিত সমস্যা রাতকানা এবং রাতকানা থেকে অন্ধত্ব প্রতিরোধ করার জন্য খুবই উপযোগী ফল। শিশু, কিশোর, কিশোরী এবং পূর্ণ বয়সী নারী-পুরুষ সব শ্রেণীর জন্যই কাঁঠাল খুবই উপকারী ফল। গর্ভবতী এবং যে মা বুকের দুধ খাওয়ান তাদের জন্য কাঁঠাল দরকারি ফল।

শরীরে ভিটামিন ‘এ’এর অভাব দেখা দিলে ত্বক খসখসে হয়ে যায়। শরীরের লাবণ্যতা হারিয়ে ফেলে এজন্য কাঁঠাল প্রতিরোধ করতে পারে। এ ছাড়া কাঁঠালের মধ্যে ভিটামিন ‘সি’ এবং কিছুটা ‘বি’ আছে। পাকা কাঁঠাল যেমন উপকার রয়েছে, তেমনি কাঁচা কাঁঠালও কম উপকারী নয়। কাঁচা কাঁঠাল আমিষ ও ভিটামিনসমদ্ধ তরকরি। পাকা কাঁঠালের বিচি বাদামের মতো ভেজে যেমন খাওয়া যায়, তেমনি তরকারি হিসেবেও খাওয়া যায়।

১০০গ্রাম কাঁঠালের বিচিতে ৬.৬ গ্রাম আমিষ আছে ও ২৫.৮গ্রাম শর্করা আছে। সবার জন্যই আমিষসমদ্ধ কাঁঠালের বিচি উপকারী। এজন্য কাঁঠাল গাছ বেশি লাগানো উচিত। সেই সঙ্গে কাঁঠাল ফলটি খেয়ে ভিটামিন ‘এ-এর ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। কাঁঠালে বিদ্যমান ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস- আলসার, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে সক্ষম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে সিলেকশন হবে ছাত্রলীগের কমিটি-প্রধানমন্ত্রী

যোগ্যতার ভিত্তিতে পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড ও মেধা- এসব বিবেচনায় নিয়ে সিলেকশন পদ্ধতিতে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হবে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনে কোনো প্রার্থীর নাম প্রস্তাব ও সমর্থনের প্রয়োজন নেই বলে জানান তিনি।

সোমবার (৩০ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন গণভবনে দলের নেতাদের সঙ্গে এক অনির্ধারিত সভায় তিনি এমন তথ্য জানান।

সভায় নেতাদের কাছ থেকে ছাত্রলীগের আসন্ন সম্মেলনের সর্বশেষ প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চান আওয়ামী লীগ সভাপতি। ছাত্রলীগের ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এবারের সম্মেলনে কোনো দ্বিতীয় পর্বও থাকবে না। নেতা বানানো হবে জীবনবৃত্তান্ত দেখে এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমানসহ আরও কয়েক সিনিয়র নেতা।

ওই সভায় শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটি- সবক্ষেত্রে এবার সিলেকশন পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।’

আগামী ১১ ও ১২ মে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে কিন্তু নেতা নির্বাচন এখনও আটকে আছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest