সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

কথায় কথায় হাঁপিয়ে উঠা থেকে মুক্তি পেতে যা খাবেন

ক্রনিক ক্লান্তির সমস্যায় যদি আপনিও ভুগে থাকেন, তাহলে বিষয়টিকে হলকা ভাবে নেবেন না। এক্ষেত্রে বিশেষ কিছু খাবারকে রোজের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতেই হবে। নিয়মিত কিছু খাবার খেলে ক্লান্তি তো দূর হয়ই, সেই সঙ্গে শরীরের ক্ষমতা এতটাই বেড়ে যায় যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না। ক্লান্তি দূর করতে নিয়মিত কী কী খাবার খাওয়া জরুরি আসুন জেনে নিই …

বাদাম : ক্লান্তি দূর করতে বাস্তবিকই বাদামের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এর মধ্যে থাকা প্রোটিন এবং ফাইবার এনার্জির ঘাটতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। বাদামের পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামও এক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে থাকে।

তরমুজ : এই ফলটি নিয়মিত খাওয়া শুরু করলে শরীরে পানির ঘাটতি দূর হয়। ফলে ক্লান্তি দূর হতে সময় লাগে না। আসলে দেহে পানির ঘাটতি দেখা দিলে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলি ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্তি ঘারে চেপে বসে। এই কারণেই তো নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

কলা : পটাশিয়ামে ভরপুর এই ফলটি সকাল বিকাল খেলে ক্লান্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। আসলে পটাশিয়াম শর্করাকে ভেঙে এনার্জির যোগান ঠিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে কলায় উপস্থিত ভিটামিন বি, সি, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট দেহে পুষ্টির ঘাটতি হতে দেয় না। ফলে একাধিক রোগের প্রকোপ থেকেও শরীর রক্ষা পায়।

গ্রিন টি : অফিস থেকে ফেরা মাত্র ধোঁয়া ওঠা এক পেয়লা গ্রিন টি ক্লান্তি দূর করতে দারুন কাজে আসতে পারে কিন্তু! আসলে এতে উপস্থিত পনিফেনলস, স্ট্রেস কমায়, সেই সঙ্গে শরীরে বিশেষ কিছু উপাদানের ঘাটতি মিটিয়ে শরীর এবং মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। গ্রিন টিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ আরও এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং হজম শক্তির উন্নতিতেও সাহায্য় করে থাকে। তবে দিনে ২-৩ বার এই পানীয়টি খেতেই হবে। না হলে কিন্তু তেমন একটা সুফল পাবেন না।

দই : প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট হল এনার্জির ঘাটতি দূর করার সবথেকে জরুরি দুটি উপাদান। আর এই উপাদান দুটি প্রচুর মাত্রায় রয়েছে দইয়ে। সেই সঙ্গে এই দুগ্ধজাত দ্রব্যে উপস্থিত উপকারি ব্যাকটেরিয়া হজমের সমস্যা দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। দিনে মাত্র ১ কাপ করে দই খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই ক্লান্তি চিরতরে ছুটিতে চলে যাবে।

কুমড়ো বীজ : ক্লান্তির সঙ্গে সফলভাবে লড়াই করতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। ভিটামিন বি১, বি২, বি৫ এবং বি৬ সমৃদ্ধ এই প্রাকৃতিক খাবারটি খেলে শরীরে প্রাটিনের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রণ এবং কপারের চাহিদাও পূরণ করে। এই সবকটি উপাদানটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে জোরদার করার পাশাপাশি শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়তেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুক্তির আগেই ছবির আয় ১৯০ কোটি!

সালমান খানকে বলা হয় বক্স অফিসের রাজা। মুক্তির কয়েক দিনের মধ্যে ছবির আয় ১৫০ কোটি পেরিয়ে যায়। এরপর ৩০০ কোটির ক্লাবে। বেশি দূর যেতে হবে না, ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ তার সর্বশেষ উদাহরণ। আগামী ১৫ জুন মুক্তি পাচ্ছে সালমানের ‘রেস থ্রি’।

অ্যাকশন ঘরাণার এ ছবির সহ-প্রযোজক সালমান। তার সঙ্গে আছেন রমেশ তুরানি। গত এপ্রিল মাস থেকেই ছবিটি বিশ্ব ব্যাপী (চীন ব্যাতীত) পরিবেশনের জন্য একাধিক কোম্পানি তাদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন।

ছবিটি পরিবেশনের স্বত্ন ক্রয়ে করতে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে আছে ফক্স স্টার স্টুডিও, রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্ট, ইয়াশ রাজ ফিল্মস ও ইরোস ইন্টারন্যাশনাল। সূত্রের ঊদ্ধৃতি দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, সালমান ও রমেশ তুরানিকে বেশ লোভনীয় প্রস্তাবটিই দিয়েছে ইরোস। অঙ্কটা ১৯০ কোটি রুপির কাছাকাছি!

‘রেস থ্রি’ ছবিতে খলনায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে সালমানকে। এছাড়াও অভিনয় করেছেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ, ডেইজি শাহ, অনিল কাপুর ও ববি দেওল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ব্যায়ামের সঙ্গে প্রয়োজন খাবারও

কঠোর অনুশীলনেই পাওয়া যায় কাঙ্ক্ষিত শরীর। তবে শুধু অনুশীলনই নয়, আকর্ষণীয় শরীর গঠনের জন্য অনুশীলনের পাশাপাশি যেমন প্রয়োজন উপযুক্ত খাদ্য, তেমনি বিশ্রামেরও প্রয়োজন রয়েছে। মাংসপেশি গঠনের জন্য সহজ কিছু নিয়ম, সেই সঙ্গে খাদ্যাভ্যাস ও বিশ্রাম নিয়ে আলোচনা করা হলো এবারের সংখ্যায়।

স্ট্রেচ

যেকোনো ধরনের স্ট্রেচিং করতে হবে। তবে স্ট্রেচ করার সময় একটা ফোম ব্যবহার করা উচিত। এতে স্ট্রেচিংয়ের সময়টা যেমন স্বস্তিতে কাটবে তেমনি ছোটখাটো ইনজুরি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

পুরো শরীরকে কাজে লাগানো

সবচেয়ে ভালো ফল পেতে একই ব্যায়ামে শরীরের সব অংশকে কাজে লাগাতে হবে। অথবা একই অনুশীলনে শরীরের ওপরের অংশ এবং অন্য অনুশীলনে নিচের অংশের অংশগ্রহণ হলে ভালো হয়।

ফুয়েল আপ

কোন খাবারে কত ক্যালরি আছে শুরুতেই সে সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। কেননা শরীর গঠনের জন্য খাবারটা সবচেয়ে বেশি জরুরি। আর জরুরি ক্যালরি সম্পৃক্ত খাবার গ্রহণ। খাবারের ক্যালরি সম্পর্কে ধারণা নিয়ে আগের চেয়ে প্রতিদিন খাবারে যেন আরো ৫০০ ক্যালরি যোগ হয় সেদিকে মনোযোগী হতে হবে।

সীমিত কার্ডিও

ট্রেডমিলে সপ্তাহে দুই দিন জগিং করা যেতে পারে। তবে প্রতিটি সেশন আধাঘণ্টা করে হলে ভালো। আবার মাঝে মাঝে মাঠেও দৌড়ানো যেতে পারে। প্রতি এক মিনিট দৌড়ের পর দুই মিনিট জগিং। এভাবে ৩০ মিনিট করে প্রতি সপ্তাহে তিনবার করতে হবে।

ঘুম

সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম সবচেয়ে ভালো। সপ্তাহে এক বা দুই দিন হয়তো এর ব্যতিক্রম হতে পারে। এমনটা হলেও দ্রুত তা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।

পরিবর্তন

মাঝে মাঝে অনুশীলনে পরিবর্তন আনতে হবে। প্রতি চার থেকে ছয় সপ্তাহ অন্তর পরিবর্তন আনলে ভালো হয়। এটা যেমন অনুশীলনে হতে পারে, তেমনি হতে পারে অনুশীলনের পরিমাণে, এমনকি বিশ্রামের সময়েও।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
টাইগার ক্রিকেট দলের মৌসুম শেষের হিসাব

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য ২০১৭-২০১৮ মৌসুম খুব একটা ভালো না কাটলেও টেস্ট র‌্যাকিংয়ে নিজেদের সেরা অবস্থানে (৮) পৌঁছানোর আনন্দ নিয়েই শেষ হয়েছে। তবে গত বছরের আগস্ট থেকে মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করলে বেশ কিছু বিষয় চোখে পড়বে, যেসব নিয়ে তাৎক্ষনিক মনোযোগ প্রয়োজন।

নেতৃত্বশূন্যতা
অনেকে হয়তো বলবেন যে দলে মাশরাফি কিংবা সাকিবের মতো অধিনায়ক আছে সেই দল নেতৃত্বশূন্য হয় কিভাবে? তবে বাস্তবতা চিন্তা করলেই বিষয়টা স্পষ্ট হবে। সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী কোচ ছিলেন। তার অধীনে দারুণ সাফল্যও পেয়েছিলো টাইগাররা।

কিন্তু গত বছর নভেম্বরে তার হুট করেই দায়িত্ব ছেড়ে চলে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হাথুরুকে সবসময় আগলে রাখা বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন তারপর থেকে নতুন কোচ নিয়োগে নানান উদ্যোগ নিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি এখনও। কয়েকজন হাইপ্রোফাইল কোচ তো প্রস্তাব ফিরিয়েই দিয়েছেন। ফলে দলের মূল কর্তা, যিনি দলকে একসূত্রে গাঁথা এবং গেমপ্ল্যান তৈরি করেন, তার অনুপস্থিতিতে ভুগছে বাংলাদেশ দল।

এমন অবস্থায় নিজ দেশে ত্রিদেশীয় সিরিজে সিনিয়র ক্রিকেটারদের হাতে কোচের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন নাজমুল হাসান। নিদাহাস ট্রফিতেও প্রায় একই অবস্থা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দলের কোচ আসলে বিসিবি প্রধান নিজেই। দলের অনেক সিদ্ধান্ত তিনি নিজেই নিচ্ছেন। ফলে সমালোচনার তীরও ছুটে যাচ্ছে তার দিকে। হাথুরুর বিদায়ের পর কোচ নিয়োগে দীর্ঘসূত্রিতা কাটছেই না। ক্রিকেটের উদীয়মান পরাশক্তি একটি দলের জন্য এমন পরিস্থিতি মোটেই সুখকর নয়।

ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা
২০১৭-২০১৮ মৌসুমটা বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার গল্পই বলছে। মুশফিক আর তামিম ছাড়া বাকিদের ব্যাটিং মোটেই চাহিদামতো হয়নি। এই দুজনই সব ফরমেট মিলিয়ে ৭০০-এর বেশি রান করেছেন। মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেললেও সিনিয়র হিসেবে তাদের সার্বিক ব্যাটিং সন্তোষজনক নয়। ৪০০-র বেশি রান করা মুমিনুল শুধু টেস্ট ক্রিকেটেই খেলার সুযোগ পেয়েছেন। অপরদিকে এই মৌসুমের সবচেয়ে বড় হতাশার নাম সাব্বির রহমান। মাঠের বাইরেও তার শৃঙ্খলাজনিত কারণে শিরোনামে আসা ও নিষিদ্ধ হয়া নিয়ে উত্তাল ছিল দেশের ক্রিকেটজগত।

লিটন দাশ ও সৌম্য সরকার ১৫ ইনিংস খেলে গড়ে ২০-এর নিচে রান করে হতাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। আনামুল হক বিজয় এবং মোহাম্মদ মিথুন, যাদের আর তরুণ ক্রিকেটারের তালিকায় রাখার সুযোগ নেই, তাদের অবস্থা আরও খারাপ। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুর্দান্ত টেস্ট অভিষেক হওয়া মোসাদ্দেক হোসেন মৌসুমের অধিকাংশ সময় চোখের সমস্যার কারণে স্কোয়াডের বাইরে ছিলেন।

নিজেদের বাজে ফর্মের কারণে বিসিবি’র কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে চলে গেছেন সৌম্য, সাব্বির। লিটনের জন্য অবশ্য আরও একবার সুযোগ থাকছে। কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দিয়ে বিসিবি যে বার্তা দিতে চাচ্ছে তা হয়তো বাস্তবের মুখ দেখবে না যদি খুব শিগগিরই ব্যাটিং কোচ নিয়োগ না দেয়া হয়।

বোলিং ব্যর্থতা
গত মৌসুমজুড়ে বাংলাদেশের বোলিং ছিলো সমালোচনার তীরের নিচে। গত জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে সাকিবের অনুপস্থিতে বিকল্প স্পিনার খোঁজার চেষ্টা করেন নির্বাচকেরা। প্রথমে সাকিবের বদলে দলে ডাকা হয় স্পিন-অলরাউন্ডার তানভির হায়দারকে। পরে সিনিয়র স্পিনার আব্দুর রাজ্জাককে ডেকে আনা হয়। তাকে ডেকে এনে প্রথম টেস্টে না খেলানোয় সমালোচনার পর পরের টেস্টে একাদশে রাখা হলো। সুযোগ পেয়ে ভালো বলও করলেন। তার ডাক পাওয়াটা সিনিয়র যারা দলে সুযোগ পাচ্ছেন না তাদের জন্য উৎসাহের বিষয় হলেও দেশে তরুণ স্পিনারের অভাবটা স্পষ্ট করে দিয়েছে।

পেস বোলিংয়ে অবস্থা আরও খারাপ। স্পিননির্ভর পিচ বানিয়ে পেস বোলিংয়ে সাফল্য আশা করাও ঠিক নয়। বছরজুড়ে তাসকিন আহমেদের বাজে লেন্থে বোলিং আর মোস্তাফিজের অফ ফর্মের কারণে মাশরাফিকে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে বোলিং করতে হয়েছে। রুবেল হোসেন মুখ রক্ষা করার মতো বল করতে পেরেছেন। ২০১৫ বা ২০১৬ সালের দুর্দান্ত পেস আক্রমণ এখন ক্রমেই নিভু নিভু অবস্থায় চলে যাচ্ছে। অথচ, বাংলাদেশ দলের জন্য তিনজন বোলিং বিশেষজ্ঞ আছেন। বোলিং কোচ ওয়ালশ, স্পিন বোলিং কোচ সুনীল যোশী, একাডেমির পেস বোলিং কোচ চম্পকা। তবে ভালো কোচ থাকলেই তো আর সাফল্য আসে না, শেখার আগ্রহ ও অধ্যবসায়ও জরুরি।

তথাপি ক্রিকেটই রাজত্ব করছে
বাংলাদেশে নারী ক্রিকেট অনেকটা পথ পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। দলের কোচ মুসলিম উদ্দিন তার দলকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখাতে সক্ষম হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়াতে খেলতে গিয়ে নিজেদের পাশাপাশি দেশের নাম উজ্জ্বল নারী ক্রিকেট দলের রুমানা আহমেদ, খাদিজাতুল কুবরা। নারী দলটি এখন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে গেছে। মধ্যপ্রাচ্যে যৌবনের চার বছর শ্রমিক হিসেবে কাজ করা সালাউদ্দিন শাকিলের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষিক্ত হওয়ার গল্পটাও অনুপ্রেরণা যোগায়।

নানান সমস্যায় আবর্তিত বাংলাদেশ ক্রিকেট। তাতে অবশ্য জনপ্রিয়তায় কোনো ভাটা পড়েনি। বরং ক্রিকেটের প্রতি এদেশের মানুষের ভালবাসা আর আবেগের পরিমাণ উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। ক্রিকেট এদেশের মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় বিনোদন হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের জয়ে যেমন আনন্দে উদ্বেলিত হয় এদেশের মানুষ, তেমনি পরাজয়ে দুঃখভারাক্রান্ত হয় তাদের মন।

সূত্র: ইএসপিএনক্রিকইনফো

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ওআইসি সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রের মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। যাতে তারা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। এই সমস্যা সমাধানে ওআইসি ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

আজ শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওআইসি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) নিপীড়িত মানবতার পাশে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। কাজেই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যখন জাতিগত নির্মূলের মুখোমুখি ওআইসি তখন নিশ্চুপ থাকতে পারে না।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব এখন এমন একটা সময় পার করছে, যখন অতীতের থেকে আরও বেশি যুদ্ধ, সংহাত ও অসহিষ্ণুতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রোহিঙ্গারা আজ জাতিগত নির্মূলের মুখোমুখি। ওআইসি তখন নিশ্চুপ থাকতে পারে না। রোহিঙ্গাদের জন্য ওআইসির একান্ত ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, নিপীড়িত মানবতার জন্য আমাদের মন ও সীমান্ত দুই-ই উন্মুক্ত করে দিয়েছি। মিয়ানমারের প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের ব্যথায় ব্যথিত। কারণ, আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্য নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর আমি ব্যক্তিগতভাবে ছয় বছর দেশে ফিরতে পারিনি, উদ্বাস্তু হিসেবে বিদেশের মাটিতে কাটিয়েছি।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য— ‘টেকসই শান্তি, সংহতি ও উন্নয়নে ইসলামিক মূল্যবোধ’।

ওআইসিভুক্ত ৫৭টি দেশের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এই সম্মেলনে (সিএফএম) যোগ দিয়েছেন। এবারের সিএফএম সম্মেলনে সব রাষ্ট্র, পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র, ওআইসি প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানসহ ছয় শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন প্রায় ৪০ জন মন্ত্রী ও সহকারী মন্ত্রী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড, রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল লিওনিদোভিচ বাগানোভওসহ সংস্থার সদস্যরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নলতা-তারালী সড়কের বেহাল দশা

নলতা প্রতিনিধ: সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা-তারালী সড়কের কার্পেটিং উঠে খানা খন্দকে পরিণত হয়ে বেহাল দশা হয়েছে। নলতা থেকে তারালী পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কার্পেটিং উঠে ছোট-বড় গর্তে পরিণত হয়ে বর্ষার পানি জমে থাকায় জনসাধারণসহ স্কুল শিক্ষার্থীদের চলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নলতার ফারজানা হেল্থ কেয়ারের ডাঃ ফজলুর রহমান, ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন, লাভলু, রফিকুল ইসলাম, আবু বক্কার, আঃ হামিদসহ স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১ বছর আগে নলতা-তারালী সড়কটি কার্পেটিং করা হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজে অনিয়ম, দূর্ণীতি করায় কিছু দিন যেতে না যেতেই কার্পেটিং উঠে খানা খন্দকে পরিণত হয়েছে। নলতায় প্রতি সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার ২ দিন হাট বসে। আশাশুনি, উজিরপুর, তেতুলিয়া, রাজাপুর, ঘুূশুড়ী, তারালী, পাইকাড়া, কাজলাসহ আশে পাশের এলাকার ব্যবসায়ী ও হাজার হাজার ক্রেতার এই সড়ক দিয়ে হাটে আসতে হয়। তাছাড়াও স্বনামধন্য কয়েকটি স্কুল ও কলেজ থাকায় দুরদুরান্তের শিক্ষার্থীদের পড়তে আসতেও দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই উক্ত সড়কটি অতি দ্রুত সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তোভোগি মহল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সায়ন্তিকা খুঁজে পেলেন নতুন সঙ্গী!

ওপার বাংলার হালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। সপ্তাহের অধিকাংশ দিনই কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এর পাশাপাশি মনোযোগ থাকে শারীরিক ফিটনেসের দিকে। সম্প্রতি তার পরিবারে এক নতুন সদস্য এসেছে। কাজ ও জিমের ফাঁকে নতুন এই সদস্যের সঙ্গেই সময় কাটাচ্ছেন নায়িকা।

কিন্তু সায়ন্তিকায় নতুন সঙ্গী কে? ভাবছেন, হয়তো মনের মানুষ খুঁজে পেয়েছেন নায়িক। আসলে তা কিন্তু নয়। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, এটা সায়ন্তিকার নতুন পোষ্য কুকুর ছানা। পুডল প্রজাতির এই সারমেয় ছানার ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন সায়ন্তিকা। নায়িকা এই ছোট্ট মিষ্টি পোষ্যর নাম রেখেছেন টিকি।

সময় পেলেই টিকির সঙ্গে খেলা করছেন সায়ন্তিকা। আবার মাঝে মধ্যে নিজের মনের মতো করে সাজিয়ে তোলেন সাদা লোমশ টিকি। ইনস্টাগ্রামের একটি ছবিতে দেখা গেছে, টিকিকে লাল ফ্রক পরিয়ে মাথায় ক্লিপ পরিয়ে সাজিয়েছেন সায়ন্তিকা। আবার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কিটির সঙ্গে খেলায় মেতেছেন নায়িকা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে হাওয়াই দ্বীপে জরুরি অবস্থা

যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মাউন্ট কিলাউয়া আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ দিয়ে লাভা উদগিরণ শুরু হওয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করে স্থানীয়দের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
লাভার কারণে অন্তত তিনটি সড়কে ফাটল ধরেছে বলে জানিয়েছে দ্বীপপুঞ্জের সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি, বেশ কয়েকটি বাড়িও ধ্বংস হয়ে গেছে।

মাউন্ট কিলাউয়া যেখানে অবস্থিত, হাওয়াইয়ের সে ‘বিগ আইল্যান্ডে’ প্রায় এক হাজার ৭০০ মানুষের বাস। তাদের সবাইকে বাধ্যতামূলক সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, উদগীরনের মাত্রা ধীরে ধীরে তীব্রতর হচ্ছে। মাটি থেকে ১০০ ফুট উপরেও জ্বালামুখ থেকে ছুড়ে দেওয়া লাভার ঝর্ণা দেখা যাচ্ছে।

উদগীরণের কারণে বাতাসে সালফার ডাই অক্সাইডের পরিমাণ এমন বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছেছে বলে সতর্ক করেছে সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি। কেউ সেখানে অবস্থান করলে এবং বাতাসের কারণে আক্রান্ত হলে জরুরি বিভাগের কর্মীরা তাকে সহায়তা দিতে পারবে না বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কিলাউয়াতে উদগীরণ শুরু হওয়ার এক দিনের মাথায় আগ্নেয়গিরিটির দক্ষিণ-পূর্ব অংশে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার একটিসহ বেশ কয়েকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প রেকর্ড করেছে ইউএসজিএস।

নতুন করে পাহাড়টির পূর্ব দিককার নিচের অংশ থেকে ‘তুমুল লাভা উদগীরণ’ ঘটছে বলেও জানিয়েছে তারা। উদগীরণের মাত্রা আরও বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছে মার্কিন এ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী একজন বিবিসিকে সালফার এবং গাছগাছালি পোড়ার গন্ধ পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় জরুরি ভিত্তিতে আমেরিকান রেড ক্রসের একটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বাড়িঘর ছেড়ে আসাদের জন্য খোলা হয়েছে বেশ কয়েকটি কমিউনিটি সেন্টার।

উদ্ধার কাজে সহায়তার জন্য এরই মধ্যে হাওয়াই ন্যাশনাল গার্ড কাজ শুরু করেছে বলে জানান গভর্নর ডেভিড আইজিই।

গত সপ্তাহের শুরু থেকেই হাওয়াই কর্তৃপক্ষ আগ্নেয়গিরিটির অগ্ন্যুৎপাতের ব্যাপারে সতর্ক করে আসছিল।
“আমার পরিবারের সবাই নিরাপদে আছে। এর বাইরে যেসব জিনিস ছিল, তা বদলে নেওয়া যাবে। ১৪ বছর আগে যখন আমি এখানে এসেছিলাম, তখন জানতাম এমন একদিন আসবেই। যদিও বাস্তবতা এখন আমাকে ভাসিয়ে দিয়েছে,” হাওয়াই নিউজ নাও’কে এমনটাই বলেন দ্বীপটির এক বাসিন্দা।

লাভার উদগীরণের সময় আধা মাইর দূর থেকেও বিকট আকারের বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায় বলে জানান বিগ আইল্যান্ডের আরেক বাসিন্দা মাইজা স্টেনবেক।

“আপনি এর শক্তি অনুভব করতে পারবেন। লাভার রং ছিল অবিশ্বাস্য, শব্দও। জোরে বিস্ফোরণের মত শব্দ হয়। আগ্নেয়গিরিটি তার যত শক্তি আছে, তা দিয়ে লাভা ছুড়ে দেয়। এটা আপনি শুনে বুঝতে পারবেন না, এটা অনুভবের বিষয়,” বলেন তিনি।

অগ্ন্যুৎপাতের পর দ্বীপটির অন্তত দুটি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে বলে এবিসিকে জানিয়েছেন হাওয়াইয়ের মেয়র হ্যারি কিম।

চলতি বছরের শুরুতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ভুল সতর্ক বার্তাও হাওয়াইয়ের অধিবাসীদের আতঙ্কিত করেছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest