সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালনসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ছাত্রদলের দোয়াফেসবুক পোস্ট মুছে ফেলাকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ে সংঘর্ষতালায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের পর তরুণীকে হত্যার অভিযোগক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার কমানোর দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধনবেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাতক্ষীরায় দোয়াবারসিকের উদ্যোগে পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের ওরিয়েন্টেশনজামায়াত শুধু নিজেদের মানুষকেই চাকরি দেয়, তারা সার্বজনীন হতে শেখেনি: কাজী আলাউদ্দিনদেবহাটায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আহাদ আলীর রাস্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন উপকূলের মানুষের সংকট নিরসনের সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে নাগরিক সংলাপ

ছাত্রলীগ নেতা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার এমপি রানা

ডেস্ক রিপোর্ট: দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর পর এবার ছাত্রলীগ নেতা হত্যাচেষ্টা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ঘাটাইল আমলী আদালতের বিচারক আরিফুর রহমান এ আবেদন মঞ্জুর করেন।

এ সময় রানার আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

এদিকে, বুধবার দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

এ সময় রানাকে এই মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে রিমান্ড শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন। পরে সকালে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলী আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মাসুমের আদালতে রিমান্ডের শুনানি হলে বিচারক দুপুরের দিকে রিমান্ডের বিষয়ে সময় নির্ধারণ করেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি অশোক কুমার সিংহ এমপি রানাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন।

অপরদিকে ঘাটাইল জিবিজি কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ রুবেলকে হত্যাচেষ্টার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শামছুল ইসলাম ঘাটাইল আমলী আদালতে আমানুরকে গ্রেফতার দেখানোর অপর আবেদনটি করেন। পরে আদালতের বিচারক বৃহস্পতিবার ১০ মে আবেদনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি অশোক কুমার সিংহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর রাতে একদল সন্ত্রাসী আবু সাঈদকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ হামলায় আবু সাঈদ পঙ্গু হয়ে যান। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া আসামি আব্দুল জব্বার বাবু ঘটনার সঙ্গে রানার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর আদালতে জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে আব্দুল জব্বার জানান, এমপি রানা কারাগারে থেকে আবু সাঈদকে কিছু করার নির্দেশ দেন। তার নির্দেশ মতোই হত্যার উদ্দেশে সাঈদের ওপর হামলা করা হয়।

২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।

অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার আসামি এমপি রানা এই মামলারও অন্যতম আসামি। বর্তমানে মামলাটি আদালতে চলছে। এই হত্যা মামলায় কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন তিনি।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা ফারুক আহমেদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলাটি টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে এর তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে দেয়া হয়। গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত শেষে গত ৬ সেপ্টেম্বর ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। তাদের জবানবন্দীতে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের এমপি রানা ও তার তিনভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়িক নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। এর পর থেকে তারা আত্মগোপনে চলে যান।

তবে পরে দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর এমপি রানা গত ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতেই আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাংলাদেশকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে অজিরা

স্পোর্টস ডেস্ক: চলতি বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ‘আর্থিকভাবে লাভবান নয়’ এমন অজুহাতে সেই সফর বাতিল করেছে অস্ট্রেলিয়া।

তবে ২০২০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশকে নিয়ে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলার কথা জানিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।

বৃহস্পতিবার (১০ মে) সিএ’র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এমন তথ্য প্রকাশ হয়েছে।

আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্ল্যান (এফটিপি) অনুযায়ী আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলার কথা ছিল মাশরাফি-সাবিকদের। কিন্তু বোর্ডের অর্থ সংক্রান্ত ক্ষতির কারণে এ সিরিজ আয়োজন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে সিএ। ২০০৩ সালের এফটিপি অনুযায়ী দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ফিরতি সিরিজ হতো এটি।

সিরিজ বাতিল হলেও ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া যেতে আগ্রহী বাংলাদেশ। এমন একটি প্রস্তাব এরইমধ্যে চিঠি আকারে পাঠিয়েছে বিসিবি। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বা বিসিবি’র সাথে আলোচনা করেই বাংলাদেশকে নিয়ে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে সিএ।

আগামী ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরের বছর অনুষ্ঠেয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পূর্বেই এই সিরিজ আয়োজনের কথা ভাবছে অজিরা। এতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধ পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিয়ে বাকি বাংলাদেশ দলের সুবিধা হবে বলে মনে করছে সিএ। বিসিবিও তাতে সম্মত হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছে আরও দুইজন।বৃহস্প‌তিবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার কা‌শিমা‌ড়ি ইউনিয়নের ঘোলা ও গাঙআ‌টি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ঘোলা গ্রামের মৃত আব্দুল মাজেদের ছেলে আশরাফ হোসেন (২৮) ও গাঙআটি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আমিনুর রহমান (১৬)।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মান্নান আলী ডেইলি সাতক্ষীরাকে বিষয়‌টি নি‌শ্চিত করেছেন।
দগ্ধরা হলো- গাঙআটি গ্রামের আব্দুর র‌হিমের ছেলে মিজানুর রহমান (১৫) ও গোলাম বারীর ছেলে আক্তা‌রুল ইসলাম (১৭)।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরের দিকে আশরাফ হোসেন ঘেরে কাজ কর‌ছিলেন। এসময় হঠাৎ বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে আ‌মিনুর রহমান তার বা‌ড়ির পাশের মস‌জিদে জোহরের নামাজ পড়ে বারান্দায় বসে ছিলেন। মস‌জিদের বাইরের এক‌টি গাছে বজ্রপাত হলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দগ্ধ হন মিজানুর ও আক্তারুল। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
`কোটা নিয়ে কমিটি গঠনের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে’

কোটা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠনের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

সিনিয়র সচিব বলেন, কমিটি গঠনের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। এটা আজকে সকালে পৌঁছেছে। এটা যদি প্রধানমন্ত্রী দেখেন তবে দুই-এক দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত দেবেন। একটি কমিটি হবে। কমিটি সুপারিশ করবে। কমিটির সুপারিশ সরকার অনেক সময় পুরোপুরি রাখে, অনেক সময় আংশিক রাখে, এরপর একটা সিদ্ধান্ত যেটা সবাই চাচ্ছে, আশা করি সেটা হবে।

মোজাম্মেল হক খান বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল নাকি সংস্কার হবে এ কমিটি সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। পরে সেটা সবাইকে (প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে) জানিয়ে দেয়া হবে। তবে কবে হবে সেটা বলতে পারব না।

প্রস্তাবিত এ কমিটির নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদ সচিব রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

প্রস্তাবিত কমিটি কত সদস্যের জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, আমি যদি বলি পাঁচ, ছয়ও তো হতে পারে। চার-পাঁচ জন সদস্য এটা বলা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে- সামগ্রিক বিষয়, আইন-কানুন বিবেচনা করে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তারা প্রতিবেদনে সুপারিশ করবে। সরকার সেটাকে কতটুকু বিবেচনায় নেবে…। আমি আগেই বললাম, সরকার পুরোপুরি বিচেনা করতে পারে, আংশিক করতে পারে। যতটুকু গ্রহণযোগ্য ততটুকু নেবে।

‘কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন ওইটা আমাদের মাথায় রাখা ভালো। পরে বাস্তবে কি ঘটবে সেটা পরে দেখা যাবে’ বলেন মোজাম্মেল হক খান।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষিত কোটা ৫৬ শতাংশ। বাকি ৪৪ শতাংশ নেয়া হয় মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে। বিসিএস নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০, জেলা কোটায় ১০, নারী কোটায় ১০ ও উপজাতি কোটায় ৫ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণ করা আছে। এ ৫৫ শতাংশ কোটায় পূরণযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সে ক্ষেত্রে ১ শতাংশ পদে প্রতিবন্ধী নিয়োগের বিধান রয়েছে।

উল্লেখ্য, কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করছিলেন তারা।

৯ এপ্রিল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারীরা। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কোটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৭ মে পর্যন্ত সময় নেন ওবায়দুল কাদের। কিন্তু এরপরের দিনও আন্দোলন চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল বুধবার জাতীয় সংসদে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা নিয়ে যখন এতকিছু, তখন কোটাই থাকবে না। কোনও কোটারই দরকার নেই। যারা প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তাদের আমরা অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দেব।’

কিন্তু এরপর প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য অনুযায়ী কোটা নিয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলে ফের স্বোচ্চার হন শিক্ষার্থীরা। এই অবস্থায় গত ২৭ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানকের সঙ্গে বৈঠক করেন।

অস্টেলিয়া সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে- এ আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ওই বৈঠকে ৭ মে পর্যন্ত কোটাবিরোধী আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

কিন্তু ৭ মে’র মধ্যে কোটার প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় ফের আন্দোলনের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাহাথিরের শেষ চমক, এক গণতান্ত্রিক আত্মত্যাগ

পিতার হাতে ৬১ বছর আগে যে রাজনৈতিক জোটের উত্থান, পুত্রের হাতে তার সমাপ্তি ঘটল। ৬১ বছরের বারিসান ন্যাশনাল (বিএন) এই প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যখন একনায়কদের উত্থান হচ্ছে, চলছে লোকরঞ্জনবাদী বীর, সঙ আর ধুরন্ধর নেতাদের জয়জয়কার, তখন মালয়েশিয়া এক বিরাট ব্যতিক্রম। বিভিন্ন দেশের শাসকেরা যখন শক্তি, ছলনা কিংবা লোভ দিয়ে জনগণকেই বদলে দিচ্ছে, মালয়েশিয়ার জনগণ তখন গণতান্ত্রিকভাবে সরকার বদলের নজির রাখল। যুগের পর যুগ একচেটিয়া ক্ষমতায় থাকা বারিসান ন্যাশনালকে হারাল সদ্যগঠিত জোট পাকাতান হারাপান। মাহাথিরের হারাপান পেয়েছে ১২১টি আসন, আর ক্ষমতাসীনেরা পেয়েছে ৭৯টি এবং তৃতীয় জোট পাকিতান রাকিয়াত পেয়েছে ১৮টি। মজার বিষয়, ২০১৩ সালের থেকে ক্ষমতাসীনেরা হারিয়েছে ৫৪টি আসন, আর এবারের বিজয়ীদের আসনও বেড়েছে ঠিক ৫৪টিই। কীভাবে তা ঘটল?

বিরোধী দলের প্রধান নেতা আনোয়ার ইব্রাহিমকে কারাগারে পুরে মোটামুটি নিশ্চিন্ত ছিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। গত দশ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বকালে তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো কোনো জনপ্রিয় নেতার দেখা পাওয়া যায়নি। তাছাড়া হাতে রয়েছে এমন এক কালো আইন, যা দিয়ে যে কাউকে নির্বাচনে অযোগ্য, বাতিল কিংবা জেলে পোরা যায়। পরাশক্তিদের সমর্থনও তাঁর পক্ষে। বিরোধী যে জোট তাঁকে রুখতে চায়, তাদের শীর্ষ নেতা ন্যক্কারজনক অভিযোগে কারাদণ্ডে দণ্ডিত। জোটের দলগুলোও তেমন শক্তিশালী নয়। এ অবস্থায় মালয়েশিয়ায় পরিবর্তনের জন্য দরকার ছিল একটি তুরুপের তাস। আধুনিক মালয়েশিয়ার উন্নতির রূপকার মাহাথির মোহাম্মদ স্বয়ং হাজির হলেন সেই তাস হিসেবে। তিনি জাতীয়তাবাদী হলেও ছিলেন বাস্তববাদী। দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয় জাতি তাঁর ওপর আস্থা রাখত, কিন্তু চীনা ও ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের প্রতিও তিনি বৈষম্য করতেন না। কঠোর হাতে দেশ চালালেও দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে কাবু করা যাবে না। কোনো পরাশক্তির প্রতি অতিরিক্ত প্রেমও তিনি দেখাননি। দেশের প্রয়োজনে তাঁকেই দাঁড়াতে হলো মালয়েশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী এবং আন্তর্জাতিক মদদপুষ্ট নাজিব রাজাকের সরকারের বিরুদ্ধে। ৯২ বছর বয়স ছাড়া আর কোনো দুর্বলতা তাঁর ছিল না।

দেশি-বিদেশি বিশ্লেষকদের অনুমানের পাল্লা নাজিবের দিকেই হেলে ছিল। মালয়েশিয়ার বিভিন্ন জরিপ সংস্থাও সে রকমই আভাস দিচ্ছিল। ফল প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা আগেও তাঁর ওপর বাজি ধরার নিরপেক্ষ লোক পাওয়া কঠিন ছিল। কিন্তু সেটাই ঘটেছে। এই জয় সাধারণ হলে মালয়েশীয় গণমাধ্যম একে ‘মালয়েশীয় সুনামি’ বলত না আর চীনের রাজধানী বেইজিংয়েও সতর্কঘণ্টা বাজত না।

এক এক করে আসা যাক। যে বিরোধীরা এবার বিজয়ী হলো, মালয়েশিয়ার ইতিহাসে কখনো তারা ক্ষমতার স্বাদ পায়নি। আর সেটা কিনা ঘটল সেই নাজিব রাজাকের কারণে, যাঁর পিতা মালয়েশীয় রাজনীতির প্রধানতম পুরুষ। নাজিব রাজাকের পিতা তুন আবদুর রাজাক ৪৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা বারিসান ন্যাশনাল জোটের প্রতিষ্ঠাতা এবং নেতা। এই জোটেরই প্রধান দল এউএমএনওর তিনি সবচেয়ে সফল মানুষ। দুর্নীতি ও স্বৈরশাসনের কারণে পিতার ঐতিহ্যকে তলায় নামিয়ে আনায় নাজিব রাজাককে ইতিহাস নিশ্চয়ই দায়ী করবে।

চোখের দেখায় আমরা জানলাম, লড়াই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক বনাম মাহাথির মোহাম্মদের মধ্যে। রাজনীতি ও জনমনে নেতার ব্যক্তিত্ব অবশ্যই বড় ব্যাপার। কিন্তু সেটাই শেষ কথা নয়। মাহাথিরের নেতৃত্বে বিরোধীদের জয় হয়েছে তাদের কর্মসূচির জন্যও। নাজিব তুলেছিলেন উন্নয়নের ধ্বনি আর বিরোধীরা বলেছিল তারা ক্ষমতায় এলে বিরোধীদের দমনপীড়নের সংস্কৃতি বন্ধ করবে। মতপ্রকাশের বিরুদ্ধে কালাকানুন বাতিল করবে। গণবিরোধী কর (জিএসটি) ও টোল তোলা বন্ধ করবে এবং বন্ধ হওয়া ছাত্রঋণ আবার চালু করবে। দুর্নীতি ও বিদেশি বিনিয়োগে পক্ষপাত নিয়ে কঠোর তদন্ত চালাবে। নাজিব সরকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল সরকারিভাবে গঠিত বিনিয়োগ তহবিলে বিরাট দুর্নীতির ঘটনা। যথারীতি তিনি সেসব অস্বীকার করেছেন। কিন্তু মাহাথিরের আপত্তিটা ছিল নীতিগত। তিনি মুক্তবাজার অর্থনীতির নামে যেসব দ্বিপাক্ষীয় চুক্তি ও বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে, সেসবকে অস্বচ্ছ ও জাতীয় স্বার্থের জন্য হানিকর বলে মনে করেন। এ অভিযোগের দায় একা নাজিবের নয়, তাঁর উন্নয়নসঙ্গী চিনের বিরুদ্ধেও যায়। মাহাথির তাঁর আমলে যেভাবে দেশের শিক্ষা ও শিল্পোন্নয়নকে প্রধান গুরুত্ব দিয়েছিলেন, এসব কর্মসূচি ও বক্তব্য ছিল সেসবেরই প্রতিধ্বনি।

ওদিকে নাজিব উচ্চ প্রবৃদ্ধির দোহাই দিয়ে গেছেন আর বাস্তবে দাবড়ে বেড়িয়েছেন বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের। সত্য যে নাজিব রাজাকের আমলে বিপুল পরিমাণ চীনা বিনিয়োগ এসেছে; কিন্তু সেসবে মালয়েশিয়ার স্বার্থ রক্ষা পায়নি বলে অভিযোগ মাহাথিরের। তাছাড়া গত আট বছরের মধ্যে মূল্যবৃদ্ধি ছিল সর্বোচ্চ। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে প্রধান বিরোধী নেতা আনোয়ার ইব্রাহিমকে সমকামিতার অভিযোগে জেলে পোরার ব্যবস্থা। মতপ্রকাশের বিরুদ্ধে কালো আইন জারির কারণে সরকারের বিপক্ষে দাঁড়ানো হয়ে পড়েছিল কঠিন। যেমন নির্বাচনের সাত দিন আগে মাহাথির মোহাম্মদের বিরুদ্ধে ভুয়া খবর প্রচারের তদন্ত শুরু হয়। এর আগে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মাহাথিরের দলের নির্বাচনী প্রচারণা ৩০ দিনের জন্য নিষিদ্ধ করে দেয়। পরে অবশ্য আদালত এই নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে দেয়।

এখন মালয়েশিয়ার সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজার তরফে মাহাথিরকে আমন্ত্রণ জানাতে হবে সরকার গঠনের জন্য। পরাজিত প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজার সমর্থনে ক্ষমতা ছাড়ায় গড়িমসি করেন কি না, সেটা দেখার জন্য আরও কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। যদি সব ঠিকঠাক থাকে, তাহলে মাহাথিরই হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ৯২ বছর বয়সে তিনি দেশ চালাতে পারবেন? এর উত্তর হচ্ছে, সম্ভবত না। তাঁর দায়িত্ব ছিল এ বছরের জানুয়ারিতে গঠিত জোটকে নির্বাচনের নদী পার করিয়ে দেওয়া। তাতে তিনি বিস্ময়করভাবে সফল। পরের চমক হলো, বিরোধী নেতা আনোয়ার ইব্রাহিমের জেল থেকে মুক্তি। স্বাভাবিকভাবেই ৫ বছরের শাস্তির মেয়াদ শেষে আগামী জুন মাসের শুরুতেই তিনি মুক্তি পেতেন। এখন বিজয়ী সরকার তাঁর মামলার পুনঃ তদন্ত করে অথবা রাজকীয় দায়মুক্তির মাধ্যমে তাঁকে আইনগতভাবে পরিষ্কার করে আনতে পারে। তারপর কোনো একটি উপনির্বাচনে তাঁকে জয়ী করিয়ে আনা। আর তারপরই তিনিই হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে একটানা ২২ বছরের শাসনে তিনি মালয়েশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে সবল এবং জাতিগতভাবে ঐক্যবদ্ধ রেখেছিলেন। এবারে তাঁকে দাঁড়াতে হয়েছে গণতন্ত্রের পক্ষে। রাজনীতিতে এটা বিরাট আত্মত্যাগ। তিনি শুধু তাঁর আজীবনের দলের বিরুদ্ধেই দাঁড়াননি, তাঁর প্রধান রাজনৈতিক শত্রু আনোয়ার ইব্রাহিমকে মুক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর পদ পর্যন্ত এগিয়ে দেওয়ার কাজ করেছেন। ইব্রাহিমকে একবার শাস্তি দিয়ে তিনি যদি ভুল করে থাকেন, এভাবেই তার প্রায়শ্চিত্ত করলেন।

রাজনীতিতে কদাচিত বিজলি চমকের মতো দেশপ্রেমের ঝলক দেখা যায়। মাহাথির মোহাম্মদ ৯২ বছর বয়সে নিজের দলের বিরুদ্ধে, রাজনৈতিক শত্রুকে জয়ী করায় যে লড়লেন, এটা প্রমাণ করে, পাহাড় বৃদ্ধ হলেও পাহাড়ই থাকে, মাটির ঢিলা হয়ে যায় না। মাহাথির মোহাম্মদ বিশ্বজুড়ে ট্রাম্পিজমের পাগলানাচ আর পুতিনবাদের দম্ভের সামনে একটি গণতান্ত্রিক দৃষ্টান্তই রাখলেন। কোনো এশীয় মুসলিম দেশের নেতা হিসেবে এটা এক বিরাট অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে সব দেশের গণতন্ত্রীদের জন্য।

লেখক: ফারুক ওয়াসিফ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রথমবারের মত এক ফ্রেমে মৌ-জয়া!

এখনও দেশীয় বিজ্ঞাপনের সবচেয়ে বড় মডেল হিসেবে নিজের অবস্থান অটুট রেখেছেন মৌ। অন্যদিকে অভিনেত্রীদের তালিকায় দেশ ও দেশের বাইরে এক নম্বরে আছেন জয়া আহসান। দেশের সেরা এ দুজন ক্যারিয়ারের লম্বা সময় পেরিয়ে এবারই প্রথম এক হলেন একটি বিজ্ঞাপনের কাজে।

৯ মে নারায়ণগঞ্জের একটি বিশেষ সেট-লোকেশনে শুটিং করছেন দুজনে। ফ্যাশন হাউজ বিশ্বরঙ-এর এই বিজ্ঞাপনচিত্রটি নির্মাণ করছেন মনজু আহমেদ।
কাজটি প্রসঙ্গে মৌ বলেন, ‘আমরা দুজনেই খুব ব্যস্ত। তার মধ্যে জয়া এখন বেশিরভাগ সময়টাই থাকে কলকাতায়। তাই দেখা হয় না অনেকদিন। এই বিজ্ঞাপনের কারণে আমাদের সরাসরি দেখা হলো সম্ভবত পাঁচ বছর পর। আর দুজনে একসঙ্গে কাজ করলাম এবারই প্রথম।’
এদিকে জয়া বলেন, ‘কাজটি ঈদের সারপ্রাইজ হিসেবে রাখতে চেয়েছি। কিন্তু সেটা তো আর হলো না। আগেই ফাঁস হয়ে গেল। হুম, মৌ আপু আমার অনেক পছন্দের একজন মানুষ। তার সঙ্গে কাজটি করে ভালো লেগেছে। যদিও বিষয়টি একেবারে হঠাৎ ঘটেছে।’
জানা গেছে, বিজ্ঞাপনটির কনসেপ্ট, মৌ-জয়ার গেটআপ এবং গল্প ভাবনা করেছেন বিশ্বরঙ-এর প্রধান বিপ্লব সাহা।
মৌ-জয়া প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‌‘দুজনই অসাধারণ সুন্দরী। তারা প্রতিদিন যখন যেখানে যাবে, যেটুকু গল্প করবে- সেগুলো ক্যামেরায় ধারণ করলেও একেকটা অসাধারণ সিনেমা হয়ে যাবে! দুজনকে নিয়ে কাজটি করতে পেরে আমরা ধন্য।’
জানা গেছে, মৌ-জয়া আহসানের এই কাজটি দেখা যাবে ঈদের আগেই বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং বিশ্বরঙ ফ্যান ক্লাবের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা পুলিশের মাসিক অপরাধ সভায় চৌকস পুলিশ কর্মকর্তারা পুরস্কৃত

নিজস্ব প্রতিনিধি: মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গি, নাশকতা মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী গ্রেফতারসহ সার্বিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে সাতক্ষীরা পুলিশের মাসিক অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গি, নাশকতা মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী গ্রেফতারসহ সার্বিক আইন শৃঙ্খলার সাফল্যে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানা শ্রেষ্ঠ থানা নির্বাচিত হয়। একই সাথে আইন শৃঙ্খলায় বিশেষ অবদান রাখায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে জেলার শ্রেষ্ঠ চৌকস কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়।

শ্রেষ্ঠ চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা নির্বাচিতরা হলেন, কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ, জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মুনজুরুল হাসান ও কলারোয়া থানার এএসআইআহসান হাবিব।

পুরস্কৃত অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, সাতক্ষীরা সদর থানার এস আই বিপ্লব কুমার কান্তি ও মনির হোসেন, কলারোয়া থানার এসআই সোলায়মান আক্কাস, শরিফুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন ও এএসআই আহসান হাবিব, পাটকেলঘাটা থানার এএসআই হারুনর রশিদ, তালা থানার এসআই রফিকুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান, আশাশুনি থানার এএসআই উস্তার আলী ও জহুরুল ইসলাম, কালিগঞ্জ থানার এস আই সোহরাব হোসেন, শ্যামনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) শরিফুল ইসলাম, এসআই শংকর কুমার ঘোষ, ইমদাদুল হক, এএসআই আমিরুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ, ফজলুল হক ও তরিকুল(২)।

সভা শেষে নির্বাচিতদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও আর্থিক উপহার তুলে দেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( সাতক্ষীরা সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( কালিগঞ্জ সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( ইন সার্ভিস ট্রেনিং) রাসেলুর রহমান।

সভায় সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, গত এপ্রিল মাসে জেলার পুলিশ কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে মাদক, জঙ্গি, নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভ’ক্ত আসামীকে গ্রেফতার করে। মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গি, নাশকতা মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী গ্রেফতারসহ সার্বিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে কাজ করায় জেলা পুলিশের পক্ষথেকে মোট ২২ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে পুরস্কৃৃত করা হয় ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঐশ্বরিয়ার অভিষেক

শুনে আশ্চর্য লাগলেও সত্যি, এতদিন পর্যন্ত ফেসবুক, টুইটার কিংবা ইনস্টাগ্রামে বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়ার কোনো একাউন্ট ছিল না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে তিনি সবসময় দূরে থেকেছেন। অবশেষে ১১ মে কান চলচ্চিত্র উৎসবে লাল গালিচায় হাঁটার আগে ইনস্টাগ্রামে নিজের একাউন্ট খুলছেন ঐশ্বরিয়া। এর মধ্য দিয়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীর।

চলচ্চিত্র শিল্পে ঐশ্বরিয়ার কাছের বন্ধুরা অনেকদিন ধরেই তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগ দেওয়ার জন্য বলছিলেন। এছাড়া কান উৎসবে যে ব্রান্ডের শুভেচ্ছা দূত হয়ে তিনি ১৭ বারের মতো উৎসবে যোগ দিচ্ছেন সেই ‘লরিয়েল’ কোম্পানির কর্মকর্তারাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঐশ্বরিয়ার উপস্থিতি চাইছেন।

এর আগে অনেকেই বচ্চন পরিবারের বউ ঐশ্বরিয়াকে বারবার ফেসবুক টুইটারে যোগ দেওয়ার কথা বললেও তিনি তা এড়িয়ে যান। তার ভাষায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশি সময় কাটালে মানুষ অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ভক্ত, শুভাকাঙ্খীদের অনবরত অনুরোধ আসার পর অবশেষে ঐশ্বরিয়া ফেসবুক টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে একাউন্ট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেখানে ঐশ্বরিয়ার ব্যক্তিগত জীবন এবং কাজ নিয়ে অনেক ধরনের পোস্ট দেখা যাবে। সূত্র: ইন্ডিয়া ডট কম

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest