সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি  লতিফ ও তার ছেলে রাসেল আটকসাংবাদিক মোমিনের সুস্থ্যতা কামনায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বিবৃতিশ্যামনগরে কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ মাদক জব্দসাতক্ষীরায় ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের ছোঁড়া বিস্ফোরক দ্রব্যে আহত-২সাতক্ষীরায় বাস ইজিবাইক সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু : আহত ৭তালায় খাবারের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে দুর্ধর্ষ চুরিকোটি টাকা চাঁদার দাবিতে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগ: সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও পিপিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাসমাজকে এগিয়ে নিতে হলে নারীকেও এগিয়ে নিতে হবে- সাতক্ষীরার ডিসিসাতক্ষীরার জুলাই যোদ্ধা মোহিনী অদম্য নারী পুরস্কারে ভূষিতসাতক্ষীরায় প্রতিপক্ষের হামলায় জখম-২

ভাইরাল সোনামের রিসেপশনে কারিনার নাচ(ভিডিও)

বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী বলা হয় তাকে। সবকিছুতেই তিনি যেন বি টাউনের অন্য অভিনেত্রীদের সামনে একজন ‘আইডল’। বলছিলাম কারিনা কাপুর খানের কথা। আর সেই কারিনাকে যখন মিউজিকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাচতে দেখা গেল, তখন সেই নাচ ভাইরাল হতে সময় লাগেনি।

ঘটনাটা খোলাশা করে বলা যাক তাহলে। সোনাম কাপুরের রিসেপশনে যখন একের পর এক বলিউড তারকারা ঝলসে উঠছেন, সেই সময় সোনালি লেহেঙ্গায় সেখানে হাজির হন কারিনাও। সাইফ আলি খানের হাত ধরে কারিনা যখন সোনাম-আনন্দের রিসেপশনে হাজির হন, তখন পড়তে শুরু করে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ।

এরপর রাত যত বাড়তে শুরু করে, সোনামের রিসেপশনের চমকও বাড়তে শুরু করে। আর সেখানেই ডিজে, কারিশমা কাপুর, রিয়া কাপুর এবং করণ জহরের সঙ্গে নাচতে দেখা যায় কারিনাকে।

কখনও ‘ভির ডি ওয়েডিং’-এর তিরেফানের সুরে নাচতে দেখা যায় কারিনাকে। আবার কখনও স্বামী সাইফ আলি খানের ‘সিগনেচার স্টেপ’ ‘ওলে ওলে’-তে কোমর দোলাতে দেখা তাকে। সোনামের রিসেপশনে হাজির হয়ে কারিনা যেভাবে মাতিয়ে দিয়েছেন, সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।

https://www.youtube.com/watch?v=I9hyYoqy6Iw

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন স্থগিত

বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ উৎক্ষেপন স্থগিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ৪৭ মিনিটে উৎক্ষেপনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরে তা ২টা ২২ মিনিটে ও সর্বশেষ ৩টা ৪৭ মিনিটে কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উপগ্রহটি বহনকারী রকেট ফ্যালকন-৯-এর মহাকাশের পথে উড়াল দেয়ার কথা ছিল।

কারিগরি ত্রুটির কারণে সেটি পরবর্তীতে ৪টা ২২ মিনিটে নির্ধারণ করে ঘোষণা দেয়া হয় এসময়ের মধ্যে উৎক্ষেপন না হলে সেটি আর আজ উৎক্ষেপন হবে না। সবশেষে কারিগরি সমস্যার কারণে সেটি স্থগিত করা হয় বলে ঘোষণা দেয়া হয়।

স্পেসএক্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উৎক্ষেপন আজকের মতো স্থগিত করা হয়েছে। রকেট ও পে লোড ভালোই আছে। ব্যাকআপ হিসেবে যে সুযোগ আছে সেটিকে কাজে লাগানো হবে।

তবে আগামীকাল একই সময়ে অর্থাৎ রাত ৪টার পর এটি আবার উড্ডয়ন করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ উপলক্ষে এদিন কেনেডি স্পেস সেন্টারে ছিল বাংলাদেশের ৩০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এ ঐতিহাসিক ঘটনা নিজ চোখে দেখতে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশিরাও ছুটে আসেন ফ্লোরিডায়। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজন করে নানা অনুষ্ঠান।

লঞ্চপ্যাডের সাড়ে তিন মাইল দূরে ছিল দর্শনার্থীদের বসার স্থান। এর ভিআইপি লাউঞ্জে এদিন ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। আর বাংলাদেশ দলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন তথ্যপ্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, ইমরান আহমেদ, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ প্রমুখ। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি কৃষিবিজ্ঞানী ড. সিদ্দিকুর রহমানসহ দলের নেতাকর্মীরাও ছিলেন দর্শনার্থী।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে গণমাধ্যমকর্মীরা নাসার গবেষণাস্থল কেনেডি স্পেস সেন্টারে ঢুকতে থাকেন। তবে নাসার কার্যক্রম শুরু হয় এর আগে সকাল ৭টা থেকে। সরকারের প্রতিনিধি দলের সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী ও সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য উৎক্ষেপণ দেখতে নির্ধারিত স্থান ছিল। তবে এর বাইরে কেনেডি সেন্টারের আশপাশে খোলা প্রান্তরে জড়ো হন বহু মানুষ।

ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, উৎক্ষেপণ অনুষ্ঠান উৎসবমুখর করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য থেকে দলের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা ফ্লোরিডা আসেন। উৎক্ষেপণ উপলক্ষে কাল (আজ) কোকোয়া বিচ হোটেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস। সজীব ওয়াজেদ জয় সেখানে থাকবেন বলে আশা করছি।

সিদ্দিকুর আরও বলেন, দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান করছে। সকালে কেনেডি স্পেস সেন্টারের আশপাশে নেতাকর্মীরা আনন্দ র‌্যালি বের করেন। সন্ধ্যার পর থেকে ফ্লোরিডার আকাশজুড়ে আতশবাজির ঝলকানি দেখা যাবে। তিনি বলেন, ৯ মে থেকে কেনেডি স্পেস সেন্টারের পার্শ্ববর্তী হোটেলগুলোয় রুম খালি নেই। অভ্যন্তরীণ এয়ারলাইন্সগুলোয়ও আসন মিলছে না।

উৎক্ষেপণের আগে সকালে তারানা হালিম বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত। সবকিছু ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট সময়েই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে বাংলায় ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানটি লেখা রয়েছে। এ স্লোগান নিয়েই কক্ষপথের দিকে ছুটবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।’ তিনি বলেন, উৎক্ষেপণের জন্য বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সব ধরনের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সব পরীক্ষার ফল ইতিবাচক। তবে এসব ক্ষেত্রে আবহাওয়া ও কারিগরি বিষয়গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। বহু ঘটনা আছে, যেখানে কাউন্টডাউনের একেবারে শেষ পর্যায়ে গিয়েও উৎক্ষেপণ স্থগিত করতে হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট সময়েই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কক্ষপথের দিকে রওনা হবে। স্পেসএক্স এবারই প্রথম উপগ্রহ উৎক্ষেপণে তাদের ফ্যালকন-৯ রকেটের ব্লক ৫ সংস্করণ ব্যবহার করতে যাচ্ছে। ৪ মে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে নতুন এই রকেটের স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট সম্পন্ন হয়। ৩ হাজার ৫০০ কেজি ওজনের জিওস্টেশনারি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ফ্যালকন-৯ কক্ষপথের দিকে ছুটবে কেনেডি স্পেস সেন্টারের ঐতিহাসিক লঞ্চ কমপ্লেক্স ৩৯-এ থেকে। এখান থেকেই ১৯৬৯ সালে চন্দ্রাভিযানে রওনা হয়েছিল অ্যাপোলো-১১।

বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গেছে, ফ্যালকন-৯ সম্পূর্ণ প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে। রকেটের গায়ে উপরের অংশে সবুজ বর্গের ভেতরে আঁকা বাংলাদেশ সরকারের লোগো। উৎক্ষেপক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পতাকার ছবিও অঙ্কিত রয়েছে এতে। রকেটের গায়ে লেখা ফ্যালকন-৯, স্পেসএক্স।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নির্মিত হয়েছে ফ্রান্সের তালিস এলিনিয়া স্পেস ফ্যাসিলিটিতে। পরীক্ষা ও পর্যালোচনা শেষে বিশেষ কার্গো বিমানে সেটি লঞ্চ সাইটে আনা হয়। উৎক্ষেপণের জন্য প্রথমে ১৬ ডিসেম্বর তারিখ ঠিক করা হলেও হারিকেন আরমায় ফ্লোরিডায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় তা পিছিয়ে যায়। এরপর কয়েক দফা সময় ঠিক হলেও আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় সেসব তারিখও পেছানো হয়। সরকারের তথ্য মতে, বর্তমানে বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার ব্যয় হয় বাংলাদেশের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলন আজ, সম্ভাবনায় যারা

অনলাইন ডেস্ক: অন্তত দুই প্রজন্ম আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত এমন পরিবারের সন্তানদের এবং বিভিন্ন সময়ে মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় মেধাবী ছাত্রদের হাতে এবার ছাত্রলীগের নেতৃত্ব তুলে দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগের নেতা হওয়ার অন্যতম মানদণ্ড হিসেবে পারিবারিক ঐতিহ্য ও মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকাকিই এবার বিবেচনায় নিয়েছেন দলের সভাপতি। সেইসঙ্গে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিতে চান তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ট সূত্রগুলো এই দাবি করছেন।

সূত্রগুলোর দাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছয়জন শিক্ষার্থী শেখ হাসিনার সংক্ষিপ্ত তালিকায় ঘুরেফিরে আলোচনায় আছেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, এদের মধ্য থেকেই নতুন নেতৃত্ব আসতে পারে। সম্ভাব্য এই নেতারা হলেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্র আদিত্য নন্দী। তিনি বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি। চট্টগ্রামের হাটাহাজারির সন্তান আদিত্যের ব্যাপারে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র শেখ ইনান। ঝালকাঠির সন্তান ইনান বর্তমান কমিটির উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার অবস্থান ভালো বলে তথ্য পেয়েছে দলের হাই-কমান্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রী চৈতালী হালদার। বর্তমানে সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন। সাংস্কৃতিকমনা এই নেতা মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় বলে জানেন দলের শীর্ষ নেতারা। চাঁদপুরের সন্তান মাজহার শামীমও রয়েছেন আলোচনায়। স্যোসিওলজি বিভাগের এই শিক্ষার্থী মিছিল-মিটিং নিয়ে মাঠে সক্রিয় থাকায় তিনিও আলোচনায় আছেন। পঞ্চগড়ের ছেলে হোসেইন সাদ্দামও রয়েছেন আলোচনায়। এফ রহমান হলের ছাত্র আইন বিভাগের সাদ্দাম বর্তমান কমিটির আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনও শেখ হাসিনার সুদৃষ্টিতে আছেন। কুড়িগ্রামের সন্তান শোভন ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সদস্য। এদের মধ্য থেকেই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হওয়ার বেশি সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাগেছে।

শেখ হাসিনার পছন্দের তালিকায় থেকে নেতা হওয়াকে এবার বেশি গৌরবের মনে করছেন ছাত্রলীগের পদ-প্রত্যাশী নেতারা। পদ পেতে চান এমন প্রায় ডজনখানেক নেতার সঙ্গে আলাপ করে তাদের মনের কথা জানা গেছে। তারা বলছেন, শেখ হাসিনার পছন্দে নেতা হওয়া গৌরবের বিষয়। নেত্রীর পছন্দে যারাই নেতা হয়ে আসবেন, তাদের ব্যাপারে কারও কোনও আপত্তি থাকবে না।

শুক্রবার (১১ মে) ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলন। এ উপলক্ষে ইতোমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের দেখভালের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের প্রস্তুতি শেষ করেছে ছাত্রলীগ। বেলা আড়াইটায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দ্বি-বার্ষিক এই সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের দিন শনিবার (১২ মে) একইস্থানে দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে নতুন নেতৃত্ব ছাত্রলীগের দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। ওইদিনই দেওয়া হবে ঢাকা বিশ্বদ্যিালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বভার। ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে ঢাকা বিশ্বদ্যিালয় শাখা ও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ছাত্রলীগের সম্মেলন। শেখ হাসিনার নির্দেশে এই কমিটিগুলোও কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে ঘোষণা করা হবে।

আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, সর্বশেষ দুটি সম্মেলনে ভোটে নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে কলুষিত করা হয়েছে মনে করে এবার নেতা নির্বাচনে শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। ফলে সংগঠনের নতুন নেতা নির্বাচনের জন্যে এবার ভোট হচ্ছে না। ভোটে কাউন্সিলরদের প্রভাবিত করে অযোগ্য নেতাও অনেক ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে এসেছে। ফলশ্রুতিতে দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বের বদলে অদক্ষ, অযোগ্য, ভিন্ন চিন্তা-চেতনা এবং ভিন্ন আদর্শের ছেলেরা ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ মহল এবার ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন না করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাই রবিবার দ্বিতীয় অধিবেশন শেষ করে প্রস্তাবিত নামগুলো নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে নতুন নেতা নির্বাচন করবেন।

ছাত্রলীগের সম্মেলন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ছাত্রলীগের সম্মেলনে আমাদের সহযোগিতা থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘আর নেত্রী (শেখ হাসিনা) যেহেতু সাংগঠনিক দায়িত্বে আছেন, তিনি যেভাবে চাইবেন, সেভাবেই নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হবেন।’ বৃহস্পতিবার (১০ মে) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খালি পেটে ফল খাওয়ার ৯টি উপকারিতা

এশিয়া মহাদেশের বাসিন্দারা বহু যুগ ধরে একটা ধরণা মেনে আসছেন যে, সকালে উঠে খালি পেটে ফল খেলে নাকি শরীরের ক্ষতি হয়। কিন্তু বৈজ্ঞানিক গবেষণা যে একেবারে অন্য কথা বলছে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত ব্রেকফাস্টে ফল খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে অন্দরে জমে থাকা টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরুন…

১. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে
ঘুম থেকে ওঠার পর ব্লাড সেল এবং ব্রেন সেলকে পুনরায় অ্যাকটিভ করতে শরীরের প্রচুর পরিমাণে প্রকৃতিক শর্করার প্রয়োজন পড়ে। এই কারণেই তো খালি পেটে ফল খাওয়া পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। আসলে এমনটা করলে একদিকে যেমন শরীরে চিনির চাহিদা পূরণ হয়, তেমনি প্রকৃতিক সুগার, লো গ্লাইকেমিক হওয়ার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কাও কমে। ফলে ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা যায় কমে।

২. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে
দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখেন নাকি? তাহলে ব্রেকফাস্টের মেনুতে ফল থাকা চাইই-চাই। কারণ নিয়মিত খালি পেটে ফল খেলে শরীরে উপকারি ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং মিনারেলের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমানোর পাশাপাশি ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

৩. পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ব্রেকফাস্ট করার ২০ মিনিট আগে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খেলে খাবারে উপস্থিত পুষ্টিকর উপাদানেরা শরীর দ্বারা বেশি মাত্রায় শোষিত হয়। ফলে দেহের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে অ্যানিমিয়ার মতো রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

৪. শরীরকে বিষ মুক্ত করে
সকাল ৭-১১ পর্যন্ত শরীর নিজের অন্দরে জমে থাকা টক্সিক উপাদানদের বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়া চালায়। তাই তো এই সময় এক বাটি ফল খেলে শরীর থেকে বেশি মাত্রায় বিষাক্ত উপাদান বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই টক্সিক উপাদানের প্রভাবে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। তাই শরীরকে যদি সুস্থ রাখতে চান, তাহলে ফল খেতে ভুলবেন না যেন!

৫. অ্যাসিডের প্রকোপ কমে
সকাল সকাল ফল খাওয়া মানেই চোরা ঢেকুর আর অ্যাসিডিটির কবলে পড়া- এমন ধরণার কিন্তু কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। কারণ একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে ফল খাওয়া মাত্র অ্যাসিড হওয়ার কোনও সম্ভাবনা তো থাকেই না। উল্টো শরীরে অ্যাসিড এবং অ্যালকেলাইনের ভারসাম্য ঠিক হতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অ্যাসিডিটি এবং গ্য়াস-অম্বলে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

৬. শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
ফলের অন্দরে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা রক্তে মেশার পর শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা তো বাড়েই, সেই সঙ্গে মস্তিষ্কও সজাগ হয়ে ওঠে। ফলে সার্বিকভাবে শরীরের সচলতা বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে চা-কাফি খেলে এমন উপকার পাওয়া যায় না। উল্টো নানান ক্ষতি হয় শরীরের।

৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়
বেশিরভাগ ফলে উপস্থিত ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপকারি উপাদান দেহের অন্দরের শক্তি এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে রোগ প্রতিরোধ ব্য়বস্থা ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে উঠতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ছোট-বড় নানা রোগ দূরে থাকতে বাধ্য হয়, সেই সঙ্গে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

৮. ওজন কমে
অতিরিক্ত ওজনেরে কারণে যারা বেজায় চিন্তায় রয়েছেন, তারা নিয়মিত ব্রেকফাস্টে যদি ফল খাওয়া শুরু করুন, তাহলে কিন্তু দারুন উপকার মেলে। কারণ ফলের অন্দরে থাকা একাধিক পুষ্টিকর উপাদান একদিকে যেমন শরীরে মজুত টক্সিক উপাদানদের বের করে দিয়ে ওজন হ্রাসের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে, তেমনি অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে কম খেলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা একেবারেই থাকে না বললেই চলে।

৯. নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপ কমে
ফলের অন্দরে থাকা ফাইবার, শরীরে প্রবেশ করার পর হজমে সহায়ক পাঁচক রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে একদিকে যেমন হজমক্ষমতার উন্নতি ঘটে, তেমনি কনস্টিপেশনের মতো রোগের প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না। তাই যারা নানাবিধ পেটের রোগের কারণে বেজায় চিন্তায় রয়েছেন, তারা নিয়ম করে ব্রেকফাস্টে ফল খাওয়া শুরু করুন। দেখবনে দারুন উপকার মিলবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নায়োকোচিত শপথ নিলেন কিংবদন্তী মাহাথির মোহাম্মদ

নায়োকোচিত বিজয়ের পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মালেশিয়ার কিংবদন্তী ড. মাহাথির মোহাম্মদ।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে রয়াল প্যালেসে রাজা সুলতান মোহাম্ম্দ ভি শপথ সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

বুধবার দেশটির ১৪তম সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয় পায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের জোট পাতাকান হারপান। ক্ষমতাসীন জোট বারিসান ন্যাশনাল (বিএন)-কে ৬০ বছর পর পরাজিত করে কোনো দল।

পার্লামেন্টে ২২২টি আসনের মধ্যে হারপান পেয়েছে ১২৩ আসন। যেখানে সরকার গঠন করতে ১১২টি আসনের প্রয়োজন। বিপরীতে বিএন জোট পেয়েছে ৭৬টি আসন।

মাহাথিরের এ জয় নানা কারণেই অবিস্মরণীয়। যে বারিসান ন্যাশনাল জোটকে হারিয়ে তিনি এ নির্বাচনে জয়ী হলেন, এক সময় এই জোট থেকেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ২২ বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাহাথির।

দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে মাহাথির উজ্জ্বল এক নাম। তার হাত ধরেই আধুনিক মালয়েশিয়ার গোড়াপত্তন হয়। কিন্তু ৯২ বছর বয়সে রাজনীতিতে নেমে ৬০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা একটি জোটকে পরাজিত করা মোটেও সহজ ছিল না।

মালয়েশিয়ার ১৪তম এ সাধারণ নির্বাচনকে গড়পড়তা হিসেবেই ধরে নিয়েছিলেন সবাই। নির্বাচনে নাজিব রাজাকের বিজয়ও নিশ্চিত দেখতে পাচ্ছিলেন সবাই।

কিন্তু মাহাথির নির্বাচনে নামার ঘোষণা দেওয়ার পরই পাল্টে যেতে থাকে ভোটের হিসাব। নির্বাচনী মাঠে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

তারপরও ‘বুড়ো’ মাহাথিরকে নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ ছিল। কিন্তু মাহাথির তাদের ভুল প্রমাণ করেছেন। নির্বাচনী প্রচারের সময় মাহাথির বারবার বলেছেন, ‘মালয়েশিয়ানরা পরিবর্তনে ভয় পায়।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তীব্র আকারে ‘ইসরায়েল-ইরান’ যুদ্ধ

সিরিয়ার ভেতরে থাকা ইরানী অবস্থানগুলোর ওপর অনেকগুলো বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েল বলছে, গোলান মালভূমি এলাকায় তাদের সামরিক ফাঁড়িগুলোর ওপর ইরানী বিপ্লবী গার্ডের শাখা কুদস বাহিনী অন্তত ২০টি রকেট হামলা চালানোর পর তার জবাবেই তাদের এ আক্রমণ। তারা ইরানী লক্ষ্যবস্তুর ওপর হামলা চালিয়েছে – যার মধ্যে রয়েছে সিরিয়ার অভ্যন্তরে থাকা অস্ত্রের গুদাম, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণস্থল এবং গোয়েন্দা কেন্দ্র।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এভিগডর লিবারম্যান বলেছেন, সিরিয়ার ভেতরে ইরানের যতগুলো স্থাপনা ছিল তার প্রায় সবগুলোতেই আঘাত হেনেছে দেশের সামরিক বাহিনী।

সিরিয়ান সূত্রগুলো বলছে, ইসরায়েলের এসব হামলায় কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছে। ইরানের দিক থেকে এসব হামলার ব্যাপারে কোন মন্তব্য করা হয়নি। সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদকে সাহায্য করতে ইরান সেদেশে সৈন্য পাঠিয়েছে।

ইসরায়েল আরো বলেছে, সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপরও হামলা চালানো হয়, কারণ ইসরায়েলের ভাষায় তারা সতর্ক করে দেয়া সত্বেও গুলিবর্ষণ করেছিল।

সিরিয়ান রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, কিছু ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকিয়ে দেয়া হয়েছে। দামেস্কের অধিবাসীরা শহরের আকাশে অনেকগুলো বিস্ফোরণ ঘটতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন।

ইসরায়েল বলছে তাদের সব যুদ্ধবিমানই নিরাপদে ঘাঁটিতে ফিরে এসেছে। তবে তারা মনে করে ইরান তাদের অন্যতম শত্রু। কিছুদিন আগে থেকেই ইসরায়েল হুমকি দিয়ে আসছে যে সিরিয়ার ভেতরে ইরানকে তাদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে দেয়া হবে না।

কে আগে হামলা চালিয়েছিল?

ইসরায়েলি বাহিনীর একজন মুখপাত্র লে. জেনারেল কনরিকাস বলেছেন, কুদস্ বাহিনীর জেনারেল কাসেম সোলেইমানির আদেশে ইসরায়েল-অধিকৃত গোলানে রকেট হামলা চালানো হয়।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস নিশ্চিত করেছে, কুনেইত্রা প্রদেশ এবং দামেস্কের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের গ্রামগুলো থেকেন অনেকগুলো রকেট নিক্ষেপ করা হয় – অধিকৃত গোলান এলাকা লক্ষ্য করে।

কিন্তু কারা ওই রকেট হামলা চালায় তা চিহ্নিত করেনি এই সংস্থাটি, তবে বলেছে যে ইসরায়েলি বাহিনী বাথ নামে একটি সিরিয়া-নিয়ন্ত্রিত শহরে বোমাবর্ষণের পর ওই রকেট হামলা চালানো হয়।

ইরানী-নেতৃত্বাধীন একটি সামরিক জোটের একটি সূত্র এএফপিকে বলেছেন – ইসরায়েলি বাহিনীই প্রথম গোলাগুলি করেছে।

জেনারেল কনরিকাস বলেন, চারটি রকেট ইসরায়েলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ দিয়ে আটকে দেয়া হয়। অন্যগুলো তাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই মাটিতে পড়ে যায়, কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

সিরিয়ার ভেতরে থাকার ইরানের বিভিন্ন স্থাপনার ওপর এর আগে একাধিক বিমান হামলা চালানো হয়েছে – যেগুলো ইসরায়েলই চালিয়েছে বলে মনে করা হয়।

এপ্রিল মাসে একটি বিমানঘাঁটিতে এক হামলায় সাতজন ইরানী বিপ্লবী গার্ড নিহত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মহাকাশে বাংলাদেশ, আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা

অবশেষে মহাকাশে স্থান পাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম যোগাযাগ ও সম্প্রচার স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’। ‘বঙ্গবন্ধু-১’ এই নামটির মাধ্যমেই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে- একটিই নয়, ভবিষ্যতে দেশের আরো কয়েকটি স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে।

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এরপরই সাড়ে তিন হাজার কেজি ওজনের বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণের কাজ শুরু হবে। এটির কক্ষপথ ৩৬ হজার কিলোমিটার উপরে। স্যাটেলাইটটির কাভারেজ হবে বাংলাদেশ ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া থেকে তাজিকিস্তান পর্যন্ত।

এ স্যাটেলাইটটি পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কম্পানি লিমিটেড নামের একটি কম্পানি গঠনের কাজও সম্পন্ন হয়েছে। ভূমি থেকে উপগহটি নিয়ন্ত্রণের জন্য গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর এবং রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) নিজস্ব জমিতে দুটি ‘গ্রাউন্ড স্টেশন’ নির্মাণ কাজও সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে সংশ্লিষ্টরা আগেই জানিয়েছেন, উৎক্ষেপণের পর বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মহাকাশে নিজ কক্ষপথের নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছতে আট থেকে ১২ দিন সময় লাগবে। এয়ার ট্রাফিকের কারণে এ সময় লাগবে। এরপর স্যাটেলাইটটি দেশের দুটি গ্রাউন্ড স্টেশনের সাথে পুরোপুরি যোগ্যাযাগ করতে সক্ষম হবে। বাণিজ্যিক কার্যক্রমে যেতে আরো তিন মাস সময় লাগতে পারে।

বাংলাদেশে কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলামও আজ বিকেলে জানান, আমরাও এখন ক্ষণগণনার মধ্যে আছি। যুক্তরাষ্ট্রের সময় বিকেল ৪টা ১২ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটের মধ্যে যে কোন সময় ‌উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হওয়ার কথা।

বাংলাদেশে এই কাঙ্খিত সময়টি আজ রাত ২টা ১২ মিনিট থেকে ৪টা ২২ মিনিট। এ সময়ের মধ্যেই তথ্য-প্রযুক্তিগত দিক থেকে মর্যাদার আসনে বাংলাদেশ স্থান পাওয়ার কথা। দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণের মাধ্যমে রাতেই স্যাটেলাইটের অধিকারী বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসাবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ঘটার কথা। পদ্মা সেতুর পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট হবে দেশেবাসীর জন্য দ্বিতীয় গর্বের বিষয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দীর্ঘদিন পর পর্দায় আফজাল-সুবর্ণা জুটি

আফজাল-সুবর্ণা জুটি বাংলাদেশের টেলিভিশন নাটকের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় রোমান্টিক জুটি হিসেবে পরিচিত। অনেক দিন হলো ছোট কিংবা বড় কোনো পর্দায়-ই দেখা যায় না এই জুটির। তবে দর্শকদের জন্য আনন্দের খবর হলো যে, আসছে রোজার ঈদে একসঙ্গে দুটি নাটকে দেখা যাবে আফজাল-সুবর্ণা জুটিকে।

ঈদে আফজাল হোসেন ও সুবর্ণা মোস্তফা বদরুল আনাম সৌদের ‘অক্ষর থেকে ওঠে আসা মানুষ’, আরিফ খানের ‘নুরুল আলমের বিয়ে’ দুটি নাটকে অভিনয় করছেন তারা। দুটি নাটকেরই রচয়িতা নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ।

এই দুটি নাটকের মধ্যে ‘অক্ষর থেকে ওঠে আসা মানুষ’র দৃশ্যায়নের কাজ বেশ কিছুদিন আগে সম্পূর্ণ হয়েছে। অন্যদিকে ‘নুরুল আলমের বিয়ে’ শিরোনামের নাটকটির শুটিং সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন লোকেশনে শেষ হয়েছে।

আফজাল হোসেন বলেন, ‘সুবর্ণা মুস্তাফা ও আমি অন্য রকম দুটি নাটকের কাজ করেছি। এর একটির পরিচালক সৌদ, অন্যটির আরিফ খান। এই দুই নাটকের লেখক সৌদ, তার লেখা আমার ভীষণ পছন্দ। তাছাড়া এই দুই পরিচালকের নাটকে আগেও অভিনয় করেছি। তরুণদের মধ্যে যারা খুব ভালো কাজ করে, তাদের সান্নিধ্য ভালো লাগে, তাই তাদের সঙ্গে কাজ করাটা উপভোগ করি।’

গত বছর জুনে প্রচারিত একটি নাটকে দেখা গিয়েছিল আফজাল হোসেন ও সুবর্ণা মুস্তাফাকে। তারও আগে ২০১২ সালে ‘প্রেম বাঁচিতে জানে’ নামের একটি টেলিছবিতে অভিনয় করেন তারা।

উল্লেখ্য, ছোট পর্দায় আফজাল ও সুবর্ণা জুটির প্রথম নাটক ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সুভা’। আবদুল্লাহ আল মামুনের প্রযোজনায় নাটকটি বিটিভিতে প্রচারিত হয় ১৯৭৫ সালে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest