সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

বেনাপোলে চলছে রমরমা কোচিং বাণিজ্য

মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল প্রতিনিধি: কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নিয়ে কম কথা হয়নি। কিন্তু কে শোনে কার কথা। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বেনাপোলে প্রতিটি স্কুল ও কিন্ডার গার্টেন স্কুলে চলছে কোচিং বানিজ্য। সকালে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসে আর সন্ধ্যায় বাড়ি গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। খেলা ধুলা থেকে ও হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন অভিভবক বলেন,শিক্ষার উন্নতির জন্য পুরো বিষয়টি সামগ্রিকভাবে বিবেচনা ও বিশ্লেষণ করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৈষম্য এবং অসুস্থ প্রতিযোগিতা ও দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে কোচিং ব্যবসা এবং শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনি বন্ধ করতেই হবে। ভর্তি পরীক্ষার জন্যও চালু রয়েছে কোচিং ব্যবস্থা। পাস করার আগেই পরীক্ষার্থীরা লাইন দিচ্ছে সেসব কোচিং সেন্টারে ।
দীর্ঘদিন ধরে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে সরকারের নিকট দাবি জানানো হচ্ছিলো। কিন্তু কাজ হয়নি। অভিযোগ রয়েছে স্কুলের শিক্ষকরা স্কুলের বাইরে কোচিংয়ে ক্লাস করিয়ে বাড়তি টাকা পান বলে স্কুলগুলোতে ঠিকমতো ক্লাস নেন না। তাই শিক্ষকদের কোচিংয়ে ক্লাস নেওয়া বন্ধ করা জরুরি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এ কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করা অত্যাবশ্যক।

সত্যি বলতে কি শিক্ষাঙ্গনে কোচিং ব্যবস্থা এক মারাত্মক ব্যাধির রূপ নিয়েছে। তার বিস্তার ঘটেছে বিপুলভাবে। অধিক উপার্জনের জন্য একশ্রেণির শিক্ষক কোচিংয়ে তার শক্তি ও সময় ব্যয় করছেন। ফলে উপেক্ষিত হচ্ছে শ্রেনীকক্ষের শিক্ষাদান। আবার এর অন্য একটি অনৈতিক দিকও রয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকারও একধরনের চাপ অনুভব করেন শ্রেনীকক্ষের শিক্ষকের কাছে কোচিং পড়াতে। পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রে এটা অনৈতিক কৌশল হিসেবেই বিবেচিত হয়ে থাকে। প্রতিযোগিতামূলক সমাজে সাধারণভাবে পরীক্ষায় ভালো ফল লাভের আশায় শিক্ষার্থীরা কোচিং সেন্টারের মুখাপেক্ষী হয়ে পড়ছে। শ্রেনীকক্ষে যথাযথভাবে পাঠদান করা গেলে, মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হলে একজন শিক্ষার্থীর কোচিংয়ে পড়ার দরকার হতো না। শিক্ষক এবং ছাত্রের একটি বাস্তবসম্মত অনুপাত রক্ষা করাও জরুরি।

সুতরাং শিক্ষার উন্নতির জন্য পুরো বিষয়টি সামগ্রিকভাবে বিবেচনা ও বিশ্লেষণ করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৈষম্য এবং অসুস্থ প্রতিযোগিতা ও দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে কোচিং ব্যবসা এবং শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনি বন্ধ করতেই হবে। ভর্তি পরীক্ষার জন্যও চালু রয়েছে কোচিং ব্যবস্থা। পাস করার আগেই পরীক্ষার্থীরা লাইন দিচ্ছে সেসব কোচিং সেন্টারে।

শিক্ষাকে কিছুসংখ্যক লোকের অনৈতিক বাণিজ্যের ধারা থেকে বের করে আনতে মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে শিক্ষকদের পূর্ণ প্রস্তুতি ও মনোযোগ দিতে। বিশ্বের কোথাও মূলধারার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এ ধরনের কোচিং ও প্রাইভেট টিউশনির রমরমা ব্যবসা নেই। বর্তমান বাস্তবতায় কোচিং ব্যবসা বন্ধের পাশাপাশি শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার মানোন্নয়নে দ্রুত ও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দানের পাশাপাশি দক্ষ, মেধাবী ও সঠিক যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের শিক্ষকতার পেশায় আকৃষ্ট করতে শিক্ষকদের বেতন কাঠামো ও সুযোগসুবিধা বুৃদ্ধির বিষয়ে বাস্তববসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সরোজমিনে বেনাপোল সানরাইজ পাবলিক স্কুল, নবদিগন্ত কিন্ডারগর্টেন, বন্দর স্কুল, আইডিয়াল কিন্ডারগার্টেন, বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মডার্ন পাবলিক স্কুল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের ছুটির পর ১ ঘন্টা তাদের টিফিন দিয়ে শিক্ষকরা আলাদা কোচিং করছে। যাদের বাড়ি দুরে তাদের বাড়ি থেকে অভিভাবকরা খাবার নিয়ে আসছে। আর যাদের বাড়ি নিকটে তারা গিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে আসছে।

সানরাইজ পাবলিক স্কুলের অভিভাবক জি এম আশরাফ বলেন, শিক্ষার্থীদের এক ঘেয়েমি লেখা পড়ায় স্কুলে দিন কেটে যাচ্ছে। খেলা ধুলার কোন পরিবেশ পাচ্ছে না। সন্ধ্যার সময় বাড়ি যেয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু উপায় নাই সব ছেলে মেয়েরা কোচিং করে । বাধ্য হয়ে মেয়েকে কোচিং করাতে হচ্ছে। আর এর জন্য শিক্ষকরা বাড়তি টাকা নিচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঐক্য-অনৈক্যে নির্ভর করছে দুই সিটি নির্বাচনে আ.লীগের জয়-পরাজয়

অনলাইন ডেস্ক: গাজীপুর ও খুলনা— এই দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সম্ভাব্য জয় ও পরাজয় দুটোই নির্ভর করছে স্থানীয় ঐক্য-অনৈক্যের ওপর। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, বিরোধ-বিভেদ ভুলে স্থানীয় নেতারা এক হলে যেমন জয় ছিনিয়ে আনা সম্ভব, আবার বিরোধ-বিভেদ জিইয়ে থাকলে পরাজয়েরও সম্ভাবনা রয়েছে। তারা বলছেন, দুই সিটিতেই জয় যেমন নির্ভর করছে ঐক্যের ওপর, তেমনি পরাজয়ও নির্ভর করছে অনৈক্যের ওপর।

জানা গেছে, আগামী ১৫ মে অনুষ্ঠিতব্য এই দুই সিটির নির্বাচনের প্রচারণায় কেন্দ্রীয় নেতারা শামিল হওয়ার চেয়ে স্থানীয় নেতাদের ঐক্য নিশ্চিত করতে এবং অনৈক্য দূর করতে কাজ করে যাচ্ছেন। এমনিতেই জাতীয় নির্বাচনের বছরে দুই সিটির নির্বাচন ভীষণ দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলকে। এর ওপর স্থানীয় ঐক্য-অনৈক্যের হিসাব-নিকাশ সেই দুশ্চিন্তা দ্বিগুণ করেছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড.আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘স্থানীয় ছোটখাটো কিছু সমস্যা নির্বাচন এলে সামনে চলে আসে, আওয়ামী লীগ এগুলো মীমাংসা করে চলেছে।’ তিনি বলেন, ‘জয়ের ব্যাপারে অন্তরায়গুলো কী আছে তা চিহ্নিত করা হচ্ছে, আবার সমাধানও করা হচ্ছে।’
প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেওয়া কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা জানিয়েছেন, ঐক্যের বিষয়টি এখনও মীমাংসা হয়নি। বাইরে ঐক্যের আওয়াজ থাকলেও ভেতরে অনৈক্য রয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই অনৈক্য ভরাডুবির অন্যতম কারণ হয়ে উঠতে পারে।
দুই সিটি নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর দুই নেতা দাবী করেন, তারা নির্বাচনি প্রচারণার চেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় অনৈক্যগুলো দূর করে নেতাদের একসঙ্গে প্রচরণায় নামাতে। কিন্তু এখনও পুরোপুরি সফল হয়েছেন তারা, তা বলা যাবে না। তবে স্থানীয় নেতাদের যাকে যেভাবে আয়ত্তে আনা যায় সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। সে ক্ষেত্রে সফল হলে নির্বাচনে বিজয়ও নিশ্চিত হবে।
জিতলে নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা হবে, হারলে নেতাকর্মীদের মনোবলে বড় ধরনের চিড় ধরবে। আবার যেনতেনভাবে জিতে আসলে সরকারের সমালোচনায় মেতে উঠবে বিভিন্ন মহল। এসব বিষয় দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে আওয়ামী লীগে।
জানা গেছে, দলের একটি মহল যেনতেনভাবে জিতে আসার পক্ষে অবস্থান নিলেও শীর্ষ পর্যায়সহ বেশিরভাগ কেন্দ্রীয় নেতা এর বিপক্ষে। তাতে করে সরকারের কাঁধে দোষ পড়বে। স্থানীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনও দোষ সরকারের কাঁধে নেওয়া ঠিক হবে না বলে মনে করছেন প্রভাবশালী নেতারা। জাতীয় নির্বাচন সামনে, ফলে এই দোষ হীতে বিপরীত হয়ে দেখা দেবে। অপর পক্ষও আগামী নির্বাচনকে উপলক্ষ টেনে দাবি করছে, দুই সিটিতে হেরে গেলে নেতাকর্মীদের মনোবলে চিড় ধরবে, তারা ঘরে ঢুকে যাবে, ঘর থেকে তাদের বের করা কষ্টকর হয়ে পড়বে। ফলে নির্বাচনে জেতা জরুরি।
নীতি-নির্ধারকেরা বলছেন, সম্ভাব্য জয়-পরাজয় নিয়ে দলের মধ্যে দুই ধরনের আলোচনা চললেও দুই সিটি নিয়ে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের অবস্থান হলো হেরে গিয়ে জেতা যাবে না। আবার জিতেও কোনোভাবেই হেরে যাওয়া যাবে না। অর্থাৎ সরকারের কাঁধে দোষ চাপিয়ে এমন কোনও বিজয় ঘরে নিয়ে আসতে চায় না আওয়ামী লীগ। সমালোচনামুক্ত বিজয়ই হলো দলের একমাত্র কৌশল।
কেন্দ্রীয় নেতারা মনে করছেন, দুই সিটিতে দলের ঐক্যই জয়ের অন্যতম নিয়ামক। ফলে ঐক্য অটুট রাখা গেলে, দ্বিধা-বিভক্তি দূর করা সম্ভব হলে বিজয় দুঃসাধ্য ব্যাপার নয়। আর অনৈক্য থাকলে পরাজয়ের সম্ভাবনাও অনেক বেড়ে যাবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামাতে কেন্দ্রীয় নেতারা কাজ করে যাচ্ছেন।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘দুই সিটিতেই আমরা জয়লাভ করবো।’ তিনি বলেন, ‘তবে স্থানীয় নির্বাচনে জয়-পরাজয় জাতীয় নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলবে না। দুই সিটিতেই এখন আর কোনও বিরোধ-বিভেদ নেই। ফলে জেতার ব্যাপারটি অনেকখানি নিশ্চিত।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শুরু হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্মেলন

মুসলিম বিশ্বের সাড়ে পাঁচ শতাধিক ভিআইপি অতিথিকে নিয়ে ঢাকায় শুরু হল অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) এর ৪৫তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে শনিবার সকাল ১০ টায় সম্মেলন শুরু হয়।

সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে এটাই সবচেয়ে বড় মাপের আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্মেলন। ওআইসি’র এ সম্মেলন চলবে দুই দিন। গত বছর আইপিও সম্মেলন আয়োজন হলেও এবারের অতিথি ও বিষয়বস্তু দু’টোই আগের চেয়ে বেশি মর্যাদাপূর্ণ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চীনেও ‘বাহুবলী’ একদিনেই ভেঙে ফেলল সমস্ত রেকর্ড!

দক্ষিণী সিনেমা বাহুবলী-২ এর কথা নিশ্চয় মনে আছে সবার। প্রভাস-আনুশকা অভিনীত বাহুবলী-২ সিনেমাটি মুক্তির পর জনপ্রিয়তার একেবারে শিখর পর্যন্ত ছুঁয়েছিল। ছবিটি শুধু ভারতেই নয় বিদেশেও রাজামৌলির ‘বাহুবলী-২: দ্য কনক্লুশন’ বক্স অফিসে কী হারে ব্যবসা করেছিল সে কথা তো প্রায় সকলেরই জানা।

এবার চীনেও মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। শুক্রবার (৪ মে) ‘বাহুবলী ২: দ্য কনক্লুশন’ মুক্তি পেয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম এদেশটিতে। আর চীনে মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই সমস্ত রেকর্ড ভাঙতে শুরু করেছে প্রভাস-আনুশকার ‘বাহুবলী-২: দ্য কনক্লুশন’।

বাহুবলী-২ চীনে মুক্তির প্রথম দিনেই কত টাকা ব্যবসা করেছে জানেন?

সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রথম দিনেই ১.১৮ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছে ব্যবসা করেছে। যা কিনা লাইফটাইম রেকর্ড বলে জানাচ্ছেন ফিল্ম সমালোচকরা। আর মাত্র সকাল ও দুপুরের শো-গুলোর মধ্যেই বাহুবলী-২ এই ব্যবসা করে ফেলেছে বলে জানা গেছে। বিকেলের শোগুলোতে যে বাহুবলীর বক্স অফিস কালেকশন আরো বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য। বাহুবলীর এই সাফল্যের কথা টুইট করে জানান, ফিল্ম সমালোচক রমেশ বালা।

উল্লেখ্য, চীনের সর্বমোট ৭ হাজার প্রেক্ষাগৃহে বাহুবলী-২ মুক্তি পেয়েছে। একইভাবে আমির খানের ‘দঙ্গল’ সিনেমাটিও চীনের ৭ হাজার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল। চীনে ‘দঙ্গল’ সিনেমার বক্স অফিস কালেকশন ছিল প্রায় ১,৩০০ কোটি টাকা। রাজামৌলি বাহুবলী-২ সেই রেকর্ডকেও ভেঙে ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। চীনে আমির খানের ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ অবশ্য ৬ হাজার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রবিবার এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ

২০১৮ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হচ্ছে রবিবার (৬ মে)। প্রতিবছর দুপুর ২টায় ওয়েবসাইট, মোবাইলফোন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফলাফল পাওয়া গেলেও এবার তা এক ঘণ্টা আগে পাওয়া যাবে। অর্থাৎ এবার দুপুর ১টায় শিক্ষার্থীরা ফলাফল হাতে পাবে।

এর আগে সকাল ১০টায় শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফল হস্তান্তর করবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আর প্রধানমন্ত্রীর হাতে হস্তান্তরের পর শিক্ষামন্ত্রী সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করবেন দুপুর ১২ টায়। এরপর দুপুর ১টা থেকে ওয়েবসাইট, মোবাইলফোন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ফল পাওয়া যাবে।

এদিকে, এবারের ফলাফলেও লেটার গ্রেডের পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক নম্বরও জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা। তবে তা শুধু শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটে। অবশ্য, শারীরিক শিক্ষা ও ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ের নম্বর ওয়েবসাইটে যুক্ত থাকলেও এই দুই বিষয়ের নম্বর জিপিএ নির্ধারণে ভূমিকা রাখে না বলে জানিয়েছেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

অন্যদিকে, এবারও ফলাফলে থাকছে না সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (সেরা–২০ ও সেরা–১০) তালিকা। ফলাফলের দিক দিয়ে শীর্ষ তালিকায় ঠাঁই পেতে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করছে, এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সেরা প্রতিষ্ঠানের তালিকা তুলে দেয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। যা ২০১৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল থেকে কার্যকর করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সাল থেকে পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে (জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি) বোর্ডভিত্তিক সেরা ২০ ও জেলাভিত্তিক সেরা ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকা করে আসছিল শিক্ষা বোর্ড। নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থীর শতকরা হার, শতকরা পাসের হার, মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ–৫ প্রাপ্তির হার, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও প্রতিষ্ঠানের গড় জিপিএ মূল্যায়নের ভিত্তিতে এ তালিকা করা হতো। এর আগে শতভাগ পাস এবং সর্বাধিক জিপিএ’র ভিত্তিতে সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করা হতো। যা গতবার (২০১৫ সাল) থেকে তুলে দেয়া হয়।

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গত ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়। লিখিত সৃজনশীল অংশের পরীক্ষা চলে ২৪ তারিখ পর্যন্ত। পরীক্ষায় সারা দেশের ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৯ জন অংশ নেয়। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২ এবং ছাত্রী ছিল ১০ লাখ আট হাজার ৬৮৭ জন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে আওয়ামীলীগের আনন্দ শোভাযাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে “গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ এ্যাওয়ার্ড” প্রদান করায় শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আনন্দ শোভা-যাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। র‍্যালি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার বলেন, “আমি এমপি হতে চাইনা” জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।
র‍্যালি ও আলোচনা সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শ্যামনগর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পিপি ইউপি চেয়ারম্যান এস এম জহুরুল হায়দার (বাবু), উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন সভাপতি জি এম আকবর কবীর, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বাবু দেবী রঞ্জন মন্ডল, শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগের শ্যামনগর উপজেলার নেত্রীবৃন্দ, ১২ টি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেত্রীবৃন্দ, শ্রমিকলীগের সভাপতি কামরুল হায়দার নান্টু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি একরামুল কবীর লায়েস, সম্পাদক আব্দুল হাকীম সবুজ, আওয়ামী লীগ শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ জনতা। সমস্ত আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন স ম আব্দুস সাত্তার। আনন্দ শোভা-যাত্রাটি শ্যামনগরে সদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পরিশেষে উপজেলা প্রেসক্লাব চত্বরে এসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সংসদ সদস্য সকলের উদ্দেশ্যে বলেন- ‍”উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে মাননীয় প্রধামন্ত্রী জননেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ছেঁড়া জামায় প্রিয়াঙ্কা, সমালোচনার ঝড়

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ভারতীয় হিন্দি চলচ্চিত্রের একজন অভিনেত্রী এবং কণ্ঠশিল্পী। ২০০০ সালে তিনি মিস ওয়ার্ল্ড উপাধি লাভ করেন। ২০০২ সালে তামিল ঠামিজান চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিষেক হয়। হিন্দি চলচ্চিত্রে তিনি সানি দেওলের বিপরীতে দ্য হিরো ছবির মাধ্যমে প্রবেশ করেন। ২০০৪ সালে আন্দাজ ছবির জন্য তিনি সেরা নবাগতা অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৮ সালে তিনি ফ্যাশন ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন।

২০১৬ সালে তিনি ভারত সরকার প্রদত্ত চতুর্থ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী অর্জন করেন এবং টাইম ম্যাগাজিন প্রকাশিত তালিকায় শীর্ষ ১০০ প্রভাবশালী নারী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

চমকপ্রদ অভিনয় থেকে শুরু করে ব্যক্তিজীবনের বহু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা দিয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন এই তারকা। তাই এবারো হয়নি তার ব্যতিক্রম।

এবার পোশাক নিয়ে ফের অনলাইনে সমালোচনার মুখে পড়লেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। আলোচনার বিষয় তার ‘ছেঁড়া জামা’। প্রিয়াঙ্কার ছেঁড়া জামা নিয়ে চলছে নিন্দুকদের করা সমালোচনা। ওই ছবি যখন নায়িকার সোশ্যাল মিডিয়ায় আসে, তখন একের পর এক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে।

নীল রঙের যে পোশাক প্রিয়াঙ্কা পরেছ্নে, তাকে কেউ ‘ব্যাটম্যান আই’ আবার কেউ ‘সেলাই করতে পাঠানো হোক’, আবার কেউ ‘প্রিয়াঙ্কার পকেট কেউ কেটে নিয়েছে’ বলে মন্তব্য শুরু করেন।

জি নিউজ জানায়, নিউইয়র্কের ডিজাইনার ডিওন লিসের নকশা করা পোশাক পরে যখন ক্যামেরার সামনে এলেন প্রিয়াঙ্কা, তখন পাপারাৎজি তাকে ঘিরে ধরে।

তবে একের পর এক সমালোচনার মুখে পড়েও এ বিষয়ে পাল্টা কোনো মন্তব্য করেননি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।

এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্লিন সফরের সময় তার সঙ্গে দেখা করে সমালোচনার মুখে পড়েন প্রিয়াঙ্কা। প্রধানমন্ত্রীর সামনে প্রিয়াঙ্কা কেন হাঁটুর উপরে থাকা পোশাক পরে হাজির হন, তা নিয়ে শুরু হয় জোর সমালোচনা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেখ হাসিনার বিকল্পও শেখ হাসিনা, অন্য কেউ নয় -নির্বাচনী গণসংযোগ কালে বাবু

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবুর নির্বাচনী গণসংযোগ উপলক্ষে মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ব্রহ্মরাজপুরের মেল্লেকপাড়া এলাকায় জনসভায় মিলিত হয়। শোভা যাত্রায় প্রায় ৪ শতাধিক মোটর সাইকেল অংশ নেয়। ব্রহ্মরাজপুরের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হুমায়ন কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী সহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ সহ সকল অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় সাতক্ষীরা সদর-২ আসন থেকে আগামী মহান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই আমরা সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করছি। রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, শিক্ষার্থীদের বিনামুল্যে বছরের প্রথম দিনেই বই এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই। তিনি আরো বলেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও যাতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে পারে সেজন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বাবু আরো বলেন, আমি আপনাদের এলাকারই সন্তান বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে আপনাদের খেদমত করতে পারছি। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাতে আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা পেতে পারি সেজন্য আপনাদের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। সর্বশেষ তিনি বলেন, দেশ ও জনগনের উন্নয়নে শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা অন্য কেউ নয়। এজন্য মুক্তিযদ্ধের পক্ষের সরকারকে আবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে দেশ ও জনগনের সার্বিক উন্নয়নের কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest