সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

ভারতে ফের ১০ স্থানে মুসলিমদের নামাজে বাধা

ফের খোলাস্থানে নামাজ পড়াতে বাধা প্রদান করা হল ভারতের গুরুগ্রামে৷ গতকাল শুক্রবার ১০ টি স্থানে খোলা জায়গায় মুসলিমদের নামাজ পাঠে বাধা দেওয়ার খবর ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

খবর অনুযায়ী, গুরুগ্রাম এবং তার চারপাশের মোট ১০ টি স্থানে এই ঘটনা ঘটে৷ দুই সপ্তাহ আগেই গুরুগ্রামে সেক্টর ৫৩-তে খোলাস্থানে নামাজ পড়াতে বাধা দেয় হিন্দু গ্রামবাসীরা৷ প্রতি শুক্রবার প্রায় ৭০০ মুসলিম এই স্থানে নামাজ পড়ে৷

নেহেরু যুব সংগঠন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি চ্যারিটেবল ট্রাস্টের প্রধান ওয়াজিদ খান জানান, বৃহস্পতিবার পুলিশ প্রধানের সঙ্গে হওয়া মিটিংয়ে স্থির হয় তিন স্থানে মুসলিমরা নমাজ পড়বে৷ এই স্থানগুলি হল, সেক্টর ৫৩ প্লট, সিকন্দরপুর এবং অতুল কাটারিয়া চৌক৷ এই সব স্থানে নামাজ পড়ার কারণে যানজটের অভিযোগ ছিল৷

এদিকে, হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা সাইবার পার্কের কাছে ৩ স্থানে মুসলিমদের নামাজ পড়াতে বাধা দেন, সেখানে পুলিশও মোতায়েন করা হয় বলে জানা যায়৷ গুরুগ্রামের পুলিশের পিআরও রবীন্দর কুমার জানান, সব থানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে বিশেষ বিশেষ স্থানগুলিতে পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়৷ তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি৷

অন্যদিকে, গুরুগ্রামের ডেপুটি কমিশনার বিনয় প্রতাপ সিং জানান, সব স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি তিনি আরও জানান, নমাজে যদি কেউ বাধা দিতে চায়, সেই প্রচেষ্টাকে রুখবে প্রশাসন৷

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতে চিকিৎসা নিতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়ে আইরিশ তরুণীর মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক: হতাশায় ভুগছিলেন আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনের বাসিন্দা লিগা স্ক্রোমান। চিকিৎসার জন্য তিনি এসেছিলেন ভারতের কেরালার থিরুভাল্লাম আশ্রমে। অরণ্য ঘেরা আশ্রমের মধ্যে চিকিৎসার পাশাপাশি খুঁজেছিলেন শান্তি। কিন্তু ধর্ষণের শিকার হয়ে নির্মম মৃত্যু হয়েছে তার।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্যা সান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত এপ্রিলের ২১ তারিখে বনের একটি গাছে তার ক্ষত-বিক্ষত শরীর ঝুলে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর পর জানা যায়, ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন লিজা।

পশ্চিমের নারী হলেও ৩৩ বছরের লিজা আয়ুর্বেদের প্রতি বেশ দুর্বল ছিলেন। এ কারণেই মনের অসুখের চিকিৎসায় বেছে নিয়েছিলেন ভারতের কেরালার থিরুভাল্লাম আশ্রমকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আশ্রমের আসার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নিখোঁজ হয়ে যান লিজা। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তদন্তে নামলে বনের ভেতর লিজার রক্তাক্ত মরদেহের সন্ধান পায়।

এই ঘটনায় পুলিশ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বলেও বলে ভারতীয় বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম এক প্রতিবেদনে জানায়।

জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ পরে সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, ধর্ষণের উদ্দেশ্যে লিজাকে তারা নেশাদ্রব্য খাওয়ায়। কিন্তু তারপরেও অর্ধচেতন অবস্থায় লিজা তাদের ধর্ষণে বাধা দিলে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় ধর্ষকরা।

লাটভিয়ার নাগরিক স্ক্রোমান বেশ কয়েক ধরেই আয়ারল্যান্ডে বসবাস করতেন। মানসিক অবসাদের কারণে চিকিৎসার জন্য যে তিনি ভারতে গিয়েছেন তা বোনকে বলেও যান। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পর লিজার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে দূতাবাসকে জানায় তার বোন। এমনকি ভারতেও চলে আসে সে।

মিররকে লিগার বোন লিজা জানায়, এর আগেও ভারতে একাধিকবার গিয়েছিল লিজা। কেরালার প্রতি তার প্রচণ্ড আকর্ষণ ছিল। তবে বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটলেও শুধুমাত্র দু’জন অপরাধীর জন্য কেরালাকে তার পরিবার ঘৃণা করতে পারবেন না বলেও জানান লিজা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ লিজার মরদেহ হস্তান্তরের পর শেষকৃত্যানুষ্ঠান কেরালার থিরুভাল্লাম আশ্রমেই অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে, অভিযুক্ত দুই ধর্ষক এখন বিচারের অপেক্ষায় কারাগারে রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্লোবাল সামিট অব উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হওয়ায় বঙ্গবন্ধু কন্যা মাদার অব হিউম্যানিটি, দেশরতœ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৫টায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রেজাউল ইসলাম রেজার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদেকুর রহমান সাদিক, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আসিফ শাহবাজ খান, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাইন আলম সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি শাওন। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী শাহেদ পারভেজ ইমনের পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মোস্তাফিজুর রহমান শোভন , সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম, সাতক্ষীরা সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আলিফ খান, সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিউট ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক শামীম গাজী সহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ আনন্দ র‌্যালীতে অংশ গ্রহন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় বিষমুক্ত আম বাজারজাতকরণে মতবিনিময় সভা

কলারোয়া প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম বাজারজাত করনের লক্ষে আম চাষী এবং ব্যবসায়ীদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার কলারোয়া উপজেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হল রুমে নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম বাজারজাত করনের লক্ষে সচেতন মূলক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আরাফাত হোসেন। এর আগে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মহাসীন আলী। সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ফরমালিন বা রাসায়নীক পদার্থ ব্যবহারের ফলে ২০১৬ সালে রাজশাহী আম ব্যবসায়ী মুনাফা করতে পারেনি বরং তাদের মুলধনসহ ভোক্তাদের মরন ফাদে জড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ তথা বিশ্ব বাজারে রাজশাহীর আম সুস্বাদের কারনে বেশ সুনাম রয়েছে। কিন্তু আম ব্যবসায়ে বেশি মুনাফা করতে গিয়ে বির্পযয় নিয়ে এসছে বিষ ক্রিয়া।  যার কারনে রাজশাহীর আম বাজারে এখন চাহিদা কম। যে কারণে সাতক্ষীরার আম ব্যবসায়ীরা সারা দেশব্যাপি বাজারজাত করনে অনেকাংশে এগিয়ে আছে। তাই সাতক্ষীরার আম বাজারের সুনাম  নষ্ট না হয় সে জন্য সকল ব্যবসায়ীদের সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সাতক্ষীরার আম বিষমুক্ত আম, বিশ্ব বাজারে এক নম্বার আম সাতক্ষীরার আম। “বিষমুক্ত আম দেশ ও জাতির সুনাম, ঘরে আসবে অর্থের যোগান” সঠিক সময়ে আম বাজারজাত করণ এবং বিষক্রিয়া থেকে নিজে এবং অপরকে সচেতন করতে সচেষ্ট  ভুমিকা রাখবে বলে বক্তব্যে উল্লেখ্য করেন। অনুষ্ঠানে অন্যন্যেদের মধ্যে উপস্থিত ও বক্তব্য দেন কলারোয়া রিপোর্টাস ক্লাবের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন, সাংবাদিক আরিফুল হক চৌধুরী, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার গোলাম রসুল, তাপস কুমার মজমদার, লুৎফর রহমান, পিপিআই মনিরুল হক, কলারোয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, পৌর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আলহাজ্ব আবুল হাসান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনির বড়দলে কৃষি ব্যাংক শাখার দাবিতে মানববন্ধন

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনির বড়দল বাজারে কৃষি ব্যাংকের শাখা স্থাপনের দাবিতে মনববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বাজার সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বড়দল বাজারে প্রায় সাড়ে ৪ শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বহু এনজিও, বীমা অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ধনী শ্রেণি মানুষের বসবাস। এখানে ব্যাংকের শাখা স্থাপিত হলে একটি লাভজনক শাখা হিসাবে পরিচালিত হতে পারবে বলে অভিজ্ঞ জনদের ধারনা। বড়দল, কাদাকাটি, খাজরা, আনুলিয়া, প্রতাপনগর ও দরগাহপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ এলাকায় কোন ব্যাংকের শাখা না থাকায় অর্থ লেনদেন নিয়ে খুবই সমস্যায় রয়েছেন। এসব এলাকার মানুষকে দুরবর্তী আশাশুনি, গুনাকরকাটি বা বুধহাটা বাজারে অবস্থিত ব্যাংকে লেনদেন করতে হয়। যা অবসম্ভব বললেও ভুল হবেনা। অনেকে ঝক্কি-ঝামেলা মাথায় নিয়ে বাধ্য হয়ে ঐসব ব্যাংকে লেনদেন করে থাকেন। সরকারের কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিকরাসহ বিভিন্ন ভাতাভোগিরা ১০ থেকে ৩০/৩৫ মাইল পথ অতিক্রম করে তাদের ভাতার টাকা উঠাতে ঐ সব ব্যাংকে যেতে বাধ্য হয়ে থাকেন। যেটি দুরূহ ও ব্যয়বহুল। বাজারের ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের শাখার অভাবে ব্যবসায়িক টাকা লেনেদেনে চরম বিপাকে রয়েছেন। এলাকার মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখতে না পেরে বিপদ সংকুল জীবন যাপন করছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আঃ আলিম মোল্যা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার লিয়াকত আলি, গ্রামীন ব্যাংক ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম, উন্নয়ন প্রচেষ্টার ম্যানেজার শফিয়ার রহমান, আশা ম্যানেজার শিবপদ চক্রবর্তী, ইউপি সদস্য, ব্যবাসায়ীবৃন্দ, বাজার কমিটির সেক্রেটারী কাজল, বড়দল প্রেসক্লাব সভাপতি শফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেন। এলাকাবাসীসহ সকল প্রতিষ্ঠানের মানুষের প্রাণের দাবি অবিলম্বে বড়দল বাজারে কৃষি ব্যাংকের একটি শাখা স্থাপনের মাধ্যমে এলাকাবাসীর দুঃখ ও দুর্গতি লাঘবে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
উন্নয়নের সরকার শেখ হাসিনার সরকার -ডা. রুহুল হক এমপি

কে. এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটা উপজেলা শ্রমিকলীগের আয়োজনে সখিপুর মোড়ে শনিবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আবু তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডাঃ রুহুল হক এমপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ রুহুল হক বলেন, উন্নয়নের সরকার শেখ হাসিনার সরকার। দেবহাটা উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, স্কুল কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসা ও মন্দির এবং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও বাইসপাস সড়ক সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরে রুহুল হক বলেন, আপনারা যদি উন্নয়ন চান তাহলে আবারো আওয়ামীলীগকে বিজয়ী করতে হবে। শেখ হাসিনার বিকল্প শুধুমাত্র শেখ হাসিনাই উল্লেখ করে তিনি জনগনকে শেখ হাসিনার সাথে থাকার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে শ্রমিকলীগের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি শেখ সাইফুল করিম সাবু, উপজেলা আঃলীগের সভাপতি নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান, উপজেলা আঃলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, জেলা শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ খালেক, উপজেলা আঃলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল হক, উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রতন ও জেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ সরদার। উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক আমিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এসময় অনুষ্ঠানে দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের নির্বাচনে বিতর্কিতদের ভরাডূবি

আসাদুজ্জামান: সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে বিতর্কিত ও দুর্নীতিবাজদের ভরাডূবি হয়েছে। শহরের চিহ্নিত দুই/তিন জন টাউটের কারণে পুরো প্যানেলের ভরাডূবি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই বিতর্কিতদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিল মিশন সংশ্লিষ্ট সকলে।

নির্বাচনে মকুল(সহ-সভাপতি)-উজ্বল(সাধারণ সম্পাদ)পরিষদ নিরঙ্কুশ বিজয়ী হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে শনিবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত এক টানা এ ভোট গ্রহন চলে। পরে ভোট গণনা শেষে বিকাল ৫টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোতাকাব্বির আহম্মেদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করেন। এ সময় তার সহযোগী হিসেবে ছিলেন, সাতক্ষীরা বিআরটিএ অফিসের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ ও জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক।
প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি পদাধিকার বলে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক হওয়ায় বাকী ২৪টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে যথাক্রমে কাজী মনিরুজ্জামান মুকুল ৭৪ ভোট (সর্বোচ্চ), আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা ৬০ ভোট ও আলহাজ্ব শেখ মামুনুর রশিদ ৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাদের প্রতিদ্বন্দী প্রাথীরা যারা পরাজিত হয়েছেন তারা পেয়েছেন যথাক্রমে, আলহাজ্ব বজলুর রহমান ৪৮ ভোট, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু ৪৩ ও কাজী সিরাজুল হক ৩৫ ভোট। সাধারান সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান উজ্বল। তিনি পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রাথী আলহাজ্ব শেখ আজিজুল হক পেয়েছেন মাত্র ৩৭ ভোট। যুগ্ন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোনায়েম খান চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী শেখ আঃ মাসুদ পেয়েছেন ৪০ ভোট। সহ-সম্পাদক পদে আব্দুর রহমান ৭৪ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী কাজী আমিরুল হক আহাদ পেয়েছেন মাত্র ৩৩ ভোট (সর্বনি¤œ)। ক্যাশিয়ার পদে ৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে আবুল কাসেম। তারনিকটতম প্রতিদ্বন্দ¦ী আবু দাউদ পেয়েছেন ৪৫ ভোট।
সদস্য পদে যারা নির্বাচিত হযেছেন তারা হলেন যথাক্রমে, আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল খালেক, আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ, আলহাজ্ব শেখ আবুল কালাম, জি,এম মাহবুবুর রহমান, মীর আমজাদ হোসেন, আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক, এ্যাড. শেখ সিরাজুল ইসলাম, ডা. একরামুল হক, আব্দুল আলিম, হাফিজুল আল মাহমুদ, মাহমুদুল হক, হাবিবুর রহমান রনি, আজহারুল ইসলাম, আলহাজ্ব শেখ আলমগীর হাসান, আহছান কবির, জুলফিকার হায়দার ও সৈয়দ মাহমুদ পাপা।
উল্লেখ্য, খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র:) এর হাতে গড়া এই প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন গত কয়েকদিন ধরে সাতক্ষীরা শহরের টক অব দ্যা টাউন ছিল। নির্বাচনকে সামনে রেখে পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে দুটি পক্ষ। মিশনের মাল্টি কমপ্লেক্সে নির্মাণসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সরগরম ছিল মাঠ। পরাজিত কমিটির বিতর্কিত কয়েকজন কর্মকর্তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে যারপরনাই বিরক্ত ছিল মিশন সংশ্লিষ্টরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে শিশুসহ ৮ রোহিঙ্গা আটক

সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে নারী ও শিশুসহ ৮ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বিজিবি।

শুক্রবার রাতে কুশখালি সীমান্তের শিকড়ি গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।

বিজিবি জানায়, ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে কয়েকদিন আগে কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্প থেকে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গাকে সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যায় পাচারকারীরা।

এ খবরে কুশখালি সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৩ শিশু ও নারীসহ ৮ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। পরে তাদের উখিয়া ক্যাম্পে ফেরত পাঠাতে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest