সর্বশেষ সংবাদ-
ঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভপ্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা -অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনবিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যানল স্টুডেন্টস ফোরামের নির্বাচন সম্পন্নসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৯০ দশক ছাত্রদলের দোয়াশ্যামনগরে ঘের ব্যবসায়ীকে কুপি×য়ে হত্যা : আ×টক ৯সাতক্ষীরায় প্লাস্টিক “অদল-বদল” ক্যাম্পেইনহাদির মৃত্যুতে সাতক্ষীরায় গায়েবানা জানাজাসাতক্ষীরার সাবেক পিপি লতিফের ৪ দিন : ছেলে রাসেলের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

একাধিক মামলার আসামী শাল্যের ডাবলু আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : চুরি, ডাকাতি, নাশকতাসহ একাধিক মামলার আসামী শাল্যে এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী জামায়াত নেতা আবুল হোসেন ডাবলুকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। সে সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের শাল্যে গ্রামের আলহাজ্ব শের আলীর ছেলে। সে চুরি, ডাকাতি, নাশকতাসহ প্রায় ডজন খানেক মামলার আসামী। তাকে নাশকতা মামলায় আটক দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানাগেছে। (যার মামলা নং- ২৮)। তারিখ ১৩ফেব্র“য়ারি’ ১৮।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সংস্কৃতির ভৌত সুবিধাদি সন্নিবেশকরণ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : জরুরি ভিত্তিতে জানানো যাচ্ছে, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সংস্কৃতির ভৌত সুবিধাদি সন্নিবেশকরণ’ কর্মসূচির আওতায় সারাদেশের শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহের তালিকা, বিশিষ্ট শিল্পী ও জাতীয় ব্যক্তিত্বদের তালিকা এবং সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ঐতিহ্যের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে আট ডিরেক্টরি অব বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান এরই ধারাবাহিকতায় বিশিষ্ট শিল্পী ও জাতীয় ব্যক্তিত্বদের তালিকা এবং সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ঐতিহ্যের তথ্য উপাত্তসমূহ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রেরণের জন্য তথ্য সংগ্রহ ছক ফরম সকল উপজেলায় নির্বাহী অফিসার ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি হতে সরবরাহ করা হচ্ছে। আগ্রহী সকল গুণীশিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিক, ব্যক্তিত্বদের ফরম সংগ্রহ পূর্বক আগামী ১৯/০২/১৮ তারিখের মধ্যে জেলা শিল্পাকলা একাডেমিতের প্রেরণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। প্রয়োজনে : ০১৭১২ ৬৯৪৮৬৬।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের অংশ হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার ও উদ্ভাবনী চর্চার মাধ্যমে জনগনের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার অভীষ্ট লক্ষ্যে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই’র পৃষ্টপোষাতায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আগামী ১৫-১৭ ফেব্রুয়ারি ৩দিন ব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে শুরু হবে। মেলা উপলক্ষে ১৫ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হবে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে। মেলায় ৫টি প্যাভিলিয়ানে প্রায় ৭৬টি স্টল থাকবে। ১নং প্যাভিলিয়ানে থাকবে ই-সেবা সমুহ, ২নং প্যাভিলিয়ানে থাকবে ডিজিটাল সেন্টার, পোস্ট ই-সেন্টার, ফিনান্সিয়াল, ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, ৩নং প্যাভিলিয়ানে থাকবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (জেলা ব্রান্ডিং, দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মস্থান এবং রুরাল ই-কমার্স), ৪নং প্যাভিলিয়ানে থাকবে শিক্ষা এবং ৫নং প্যাভিলিয়ানে থাকবে তরুন উদ্বাবক’র স্টল। মেলায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আইটি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ কয়েকজন তরুণ উদ্ভাবক উক্ত মেলায় অংশ গ্রহণ করবে।
এছাড়া ১৬ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টায় আইসিটি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা এবং বিকাল ৩টায় আমার চোখে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন। ১৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের অংশ গ্রহণে সেমিনার “নতুন সোপান (একসেবা) ও আমাদের করণীয়” শীর্ষক প্রতিযোগিতা এবং বেলা আড়াইটায় তরুন উদ্ভাবক: প্রদর্শণী ও প্রতিযোগিতা এবং বিকাল ৪টায় হবে আলোচনাসভা, সমাপনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারী, এনটিভির জেলা প্রতিনিধি সুভাষ চৌধুরী, এনডিসি মোশারেফ হোসাইন সহ সাতক্ষীরার কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা।
মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হবে। এর মধ্যে শ্রেষ্ঠ ডিজিটাল সেন্টার ২টি, শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২টি, দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বিষয়ে ২টি, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ নাগরিক সেবায় উদ্ভাবন বাস্তবায়নে ১টি, শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ১টি, শ্রেষ্ঠ তরুন উদ্ভাবক ৩টি, শ্রেষ্ঠ স্টল ১টি, শ্রেষ্ঠ ই-সেবা প্রদানকারী দপ্তর ১টি এবং শ্রেষ্ঠ পোর্টালের দপ্তর জেলা ও উপজেলা) ২টি। এছাড়া মেলায় অংশগ্রহনকারী প্রতিটি স্টলকে শুভেচ্ছা পুরস্কার প্রদান করা হবে। মেলা উপলক্ষে প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পহেলা ফাল্গুনের যে ছবি থেকে দৃষ্টি সরছে না

রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে জ্যামের মধ্যে তোলা একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। সাধারণত নেটিজেনরা দুই ধরনের পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেন। একটি ইতিবাচক অন্যটি নেতিবাচক।

আজ ১ ফাল্গুন, প্রকৃতিতে এসেছে বসন্ত। বসন্তের প্রথমদিন দেশব্যাপী নানা আয়োজনে দিনটিকে পালন করছেন সকলে। বসন্ত বরণকে কেন্দ্র করে বাসন্তী রঙের পোশাক যেন অপরিহার্য হয়ে গেছে। নারী-পুরুষ তরুণ-তরুণী বসন্তকে বরণ করছেন সানন্দে।

রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে একটি ছবিতে আটকে গেছে চোখ। এক তরুণী নিজের স্কুটি নিয়ে জ্যামে আটকে আছেন। যে কারো চোখ সেদিকে চলে যাবে, যাচ্ছেও তাই। কেননা তরুণী বসন্ত সাজে এসেছেন। সেটাও বিষয় নয়, বিষয়টা হলো শাড়ি পরে স্কুটি চালাচ্ছেন। আবার বলতে গেলে সেটাও বিষয় নয়, বিষয়টা হলো শাড়ি বাসন্তী রঙের। তবে এরচেয়ে মুখ্য বিষয় হলো তরুণীর স্কুটিও বাসন্তী রঙের। স্বাভাবিকভাবে দৃষ্টি সরছে না।

ছবিটি তুলেছেন জহিরুল হক নামের এক ব্যক্তি। তিনি নিজেই জানিয়েছেন এ কথা। বললেন, ভাই ছবিটি আমারই তোলা। শাহবাগ জাদুঘরের সামনে। মেয়েটা কে আমি চিনি না। সকালে টিএসসিতে দেখছিলাম। ১০ টা নাগাদ আফিসে আসার সময় আবার দেখি, তখন তার বেশ কিছু ছবি তুলি তখন ট্রাফিক জ্যাম ছিল। অনেকগুলোর মাঝে এইটা একটা।’

তরুণীর বাসন্তি শাড়ি, হলুদ স্কুটি ছাড়াও আর একটা ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো তিনি হেলমেট পরেননি, পাশের প্রায় প্রত্যেকটা পুরুষ বাইকার কিন্তু হেলমেট মাথায় দিয়ে আছেন।

দুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়ে যান ভারতীয় তরুণী প্রিয়া। তার রেশ কাটতে না কাটতেই বাঙালি ললনার এই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারত মহাসাগরকে চীন মহাসাগরে রুপান্তরের চেষ্টা!

দীর্ঘদিন ধরেই ভারত মহাসাগরে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে এসেছে চীন৷ আর এবার সমগ্র ভারত মহাসাগরকেই যেন বেইজিং চীন মহাসাগরে রুপান্তরিত করার প্রচেষ্টায়৷ আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতেই একের পর এক বিনিয়োগ করে চলেছে চীন৷ আর তার অন্যতম উদাহরণ শ্রীলঙ্কার হাম্বানতোতা বন্দর পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ৷ যা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে চীনের কাছে এক নতুন দিক খুলে দেবে৷

অন্যদিকে, মালদ্বীপকে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে চলেছে বেজিং৷ শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপে চিনের এই আধিপত্য ভারতের কাছে দুশ্চিন্তার বলেই মনে করছে একাংশ৷ আর তার অন্যতম কারণ অর্থনৈতিক৷ চীনের প্রভাবে শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপে ধাক্কা খেতে পারে ভারতীয় পণ্য৷ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারত এবং চীনের সঙ্গে মালদ্বীপ ‘অবাধ বাণিজ্য চুক্তি’ করলে চীন প্রথমে মালদ্বীপে পণ্য পাঠিয়ে, পরে তা পুনরায় রফতানি করতে পারে ভারতে৷

এছাড়া অন্য কারণ হিসেবে ভৌগোলিক-রাজনৈতিক কারণকে তুলে ধরা যেতে পারে৷ বন্দরগুলোকে সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহার করার কোন পরিকল্পনা নেই বলে চীন জানালেও এই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ, বিগত কয়েক বছরে কলম্বোতে বারবার চীন তার শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করেছে৷ কলকাতা টুয়েন্টিফোর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
টি-টোয়েন্টিতেও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ, সাকিবের জায়গায় অপু

শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্রতিই আস্থা রাখলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজের পর দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও মাহমুদউল্লাহই অধিনায়ক থাকছেন।

সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের নিয়মিত টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। তিনি চোটে ছিটকে পড়ায় অধিনায়ক কে হবেন, সেটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল গত কয়েকদিন ধরেই। আজ সন্ধ্যায় বিসিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে অধিনায়ক করার ঘোষণা এসেছে।

এর আগে গতকাল টিম ম্যানেজমেন্ট ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি বসে সম্ভাব্য অধিনায়ক কাকে করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করে বোর্ড সভাপতির কাছে একটি সুপারিশ প্রেরণ করেন। দুবাইতে আইসিসির নির্বাহী সভায় যোগদান শেষে গতকাল পড়ন্ত বিকেলে রাজধানীতে ফেরার পর আজ সন্ধ্যায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন টি-টোয়েন্টি সিরিজের অধিনায়ক মনোনীত করেন। সেটাও আধঘন্টারও কম সময়ে বিসিবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আকারে চলে এসেছে।

এদিকে দুই ম্যাচের জন্য অধিনায়ক মনোনয়নের পাশাপাশি দলে শেষ মুহূর্তে একটি পরিবর্তনও এসেছে। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে বাঁ-হাতি স্পিনারশূন্য হয়ে পড়া স্কোয়াডে বাঁ-হাতি স্পিনার হিসেবে শেষ মুহূর্তে দলে নেয়া হয়েছে নাজমুল ইসলাম অপুকে। আজ দুপুর পর্যন্তও তিনি শেখ জামালের হয়ে অনুশীলন করেছেন, জানতেন না জাতীয় দলে ডাক পাচ্ছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতের সবচেয়ে দরিদ্র ৩ মুখ্যমন্ত্রী

ভারতের কেন্দ্রশাসিত বিভিন্ন অঞ্চল এবং রাজ্যের ৩১ জন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ১১ জনের বিরুদ্ধেই ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এছাড়া এদের মধ্যে ২৫ জন মুখ্যমন্ত্রীই কোটিপতি; অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়সহ তিনজন রয়েছেন যারা সবচেয়ে কম অর্থ-বিত্তের মালিক। বিধানসভা নির্বাচনে ভারতের মুখ্যমন্ত্রীদের দেয়া হলফ নামার তথ্য বিশ্লেষণে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

দেশটির বেসরকারি গবেষণা সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্ম (এডিআর) ও ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচের এক বিশ্লেষণ বলছে, মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে অন্তত ১১ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের মামলা রয়েছে। এছাড়া আটজনের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, প্রতারণা ও অবৈধ উপায়ে সম্পত্তি দখল ও অপরাধের উসকানি দেয়ার মতো গুরুতর অভিযোগে মামলা রয়েছে।

৩১ মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ২৫ জনই কোটিপতি। এদের মধ্যে শীর্ষ তিন কোটিপতি হলেন, অন্ধপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইড়ু; তার সম্পত্তির মূল্য প্রায় ১৭৭ কোটি রূপি। এরপর অরুণাচল প্রদেশের পেমা খান্ডু; তার সম্পত্তির পরিমাণ ১২৯ কোটি রূপি এবং ৪৮ কোটি রূপির সমমূল্যের সম্পত্তির মালিক পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং আছেন তৃতীয় স্থানে।

তবে এর উল্টো চিত্রও দেখা গেছে। ২৫ মুখ্যমন্ত্রীই যখন কোটিপতির ক্লাবে রয়েছেন; তখন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের মোট সম্পত্তি রয়েছে মাত্র ২৬ লাখ রূপি সমমূল্যের। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ৩০ লাখ রূপি ও জম্মু-কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির ৫৫ লাখ রূপি সমমূল্যের সম্পত্তি রয়েছে।

যে মুখ্যমন্ত্রীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফৌজদারি মামলা রয়েছে, তাদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের যোগি আদিত্যনাথ (বিজেপি), মহারাষ্ট্রের দেবেন্দ্র ফাদনাবিশ (বিজেপি), ঝারখণ্ডের রঘুবর দাস (বিজেপি), বিহারের নিতীশ কুমার (জেডি-ইউ), অন্ধপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইড়ু (টিডিপি), তেলেঙ্গানার কে চন্দ্র শেখর রাও (টিআরএস), পাঞ্জাবের অমরিন্দর সিং (কংগ্রেস), দিল্লির অরববিন্দ কেজরিওয়াল (এএপি), জম্মু-কাশ্মিরের মেহবুবা মুুফতি (পিডিপি) ও পুদুচেরির ভি নারায়ণস্বামী (কংগ্রেস) রয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পশ্চিম সুন্দরবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঝুঁকিভাতা পাস হলেও বন্ধ হয়নি অনিয়ম, ঘুষ বাণিজ্য

স্টাফ রিপোর্টার: সুন্দরবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও ঝুঁকি ভাতা পাস করার পরও কমেনি দুর্নীতি অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্য। সরকার সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে এনে প্রতিটি দপ্তরে সাফল্য অর্জন করে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, সুন্দরবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জেলে-বাওয়ালীদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণসহ নানা দুর্নীতি অনিয়ম বৃটিশের শাসন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি পর্যন্ত চলমান আছে। যাহা দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে দিনের আলোর মত পরিষ্কার। একদিকে বনদস্যুদের অপহরণ, মুক্তিপণ বাণিজ্য, অন্যদিকে বনবিভাগের অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ গ্রহণের কারণে নাজেহাল হয়ে পড়েছে উপকূলীয় জেলে-বাওয়ালীরা। সরেজমিনে ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জ-এর বনকর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ বাণিজ্যসহ বহুপ্রকার অভিযোগের তথ্য বেরিয়ে এসেছে। বর্তমান মৌসুমে কাঁকড়া আহরণ সরকারীভাবে নিষিদ্ধ থাকলেও সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের জেলেরা সাদা মাছের পাস নিয়ে বনবিভাগের নাকের ডগায় তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় কাঁকড়া আহরণ করছে।বনবিভাগের নিয়মিত টহলে তাদের চোখে পড়ে না এধরনের অপরাধ। তারা যেন না জানার ভান করে পাশ কাটিয়ে চলে। ২জন জেলের ১ সপ্তাহের পাসে সামান্য সরকারি রাজস্ব থাকলেও া প্রতি পাসে ৯০০টাকা আদায় করছে কৈখালী, কদমতলা, বুড়িগোয়ালিনী ও কোবাদক স্টেশন কর্মকর্তা। তবে তারা সরাসরি এ টাকা গ্রহণ করেন না। প্রতিটি স্টেশনে ডজন ডজন দালাল নিয়োগ দেওয়া আছে। তাদের মাধ্যমে এই টাকা নিয়ে থাকেন। আর ৭দিনের প্রবেশ কর নিয়ে পাস দিয়ে পাস সর্মপণের সময় ৭দিনের রাজস্ব নিয়ে সরকারের কোষাগারে জমা দিচ্ছে ৩থেকে ৫দিনের রাজস্ব। একদিকে জেলেদের কাছ থেকে ঘুষ বাণিজ্য করছে, অন্যদিকে সরকারকে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করছে। সরকারি নীতিমালায় জেলেরা মাছ আহরণ করে ফিরে এসে পাস সর্মপণ করার পর তাদের সর্মপণ পাস বা সিটি পাস দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও থলের বিড়াল বেরিয়ে আসার ভয়ে জেলেদের সিটি পাস না দিয়ে তা বনরক্ষীরা জ্বালানী হিসেবে পুড়িয়ে দেয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের চারটি স্টেশনে ৩ হাজারের অধিক মাছ-কাঁকড়া ধরার বিএলসি রয়েছে। এসমস্ত বিএলসি ধারীরা নিয়মিত সাদামাছ,কাঁকড়ার পাস নিতে দালালদের মাধ্যমে বনরক্ষীদের ঘুষ দিয়ে বন্ধ মৌসুমে অবাধে কাঁকড়া আহরণ করছে। ১লা জানুয়ারী থেকে কাঁকড়ার পাশ বন্ধ আছে। ১লা মাচ্য থেকে আবার কাঁকড়া আহরনের পাস দিবে বন বিভাগ।
এ দিকে পশ্চিম সুন্দরবনের লটাবেঁকী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় টহল ফাঁড়ির ট্রলার দিয়ে শত শত নৌকা সাদা মাছের পাস নিয়ে কাঁকড়া আহরণের জন্য অভয়ারণ্য এলাকায় টেনে নিয়ে কাঁকড়া ধরাচ্ছে। কাঁকড়া ধরার পর আবার তাদের ট্রলারে নৌকাগুলো টেনে এনে বিভিন্ন মোকামে পৌঁছে দিচ্ছে। সুত্র জানায়, এসমস্ত জেলেরা অভয়রণ্য এলাকা যেমন-আগুনজ্বালা, পান্তামারী, ইলশেমারী, খেজুরদানা, হেতালবুনিয়া, জনাবের ভারানি, ভাইজোড়া খাল, লতাবেঁকী খালসহ অসংখ্য অভয়ারণ্য এলাকায় লতাবেঁকী টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীদের সহযোগিতায় বন্ধ মৌসুমে কাঁকড়া আহরণ করছে। জেলে প্রতি লতাবেঁকীর বনরক্ষীরা সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা করে ঘুষ নিচ্ছে। এভাবে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্য করছে। দেখার কেহ নেই।
“স্মার্টটিম” সম্প্রতি গত মাসের ২৪তারিখ থেকে পশ্চিম সুন্দরবনে নামানো হয়েছে। যার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৈখালী স্টেশন কর্মকর্তা মিঠু তালুকদার ও বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা কে.এম কবির হোসেন। কিন্তু, আজ ২২ দিনে তারা কোন ধড়-পাকড় বা জব্দ করার মত কোন খবর নেই। একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, এই “স্মাট-টিম” পরিচালনার জন্য কোটির অধিক টাকা বরাদ্ধ দিয়াছে। স্মাট টিম মাঝে মাঝে দুই-একটা ট্রলার,নৌকা ও জাল জব্দ করলেও তা ঘটনা স্থল থেকে উৎকোচ নিয়ে আসামীদের ছেড়ে দিচ্ছে। আরাম-আয়েশ আর স্প্রিট-বোটের বরাদ্ধের তেল কিনেই পার হয়ে যাচ্ছে স্মার্ট-টিমের দৈনন্দিন কাজ। তাদের কাজের কোন অগ্রগতি নেই। সূত্রটি আরও জানায়, শুধু বনবিভাগের জনবল দিয়ে স্মার্ট টিম চালালে সরকারের টাকা অপচয় ছাড়া কোন কাজে আসবে না। সুন্দরবন থেকে ফিরে আসা অনেক জেলেরা বলেছেন,স্মার্ট টিম এবার সাদা মাছ ও কাঁকড়া আহরণকারীদের কাছ থেকে দেখা পেলেই ডিউটি খরচের অজুহাতে ১ হাজার টাকা করে নিচ্ছে। বনবিভাগের এই সমস্ত নানামুখী ঘুষ বাণিজ্য অনিয়ম সেই বৃটিশ আমল থেকে চলে আসছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক, সাংবাদিক-এর প্রতিবাদ করলে বনরক্ষীরা নানা অভিযোগ খাঁড়া করে জেলেদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন শুরু করে। জেলেরা পরিস্থিতির শিকার হয়ে জীব জীবিকা নির্বাহ কারর জন্য ঘুষ বাণিজ্যসহ সকল অনিয়মের সাথে সম্মতি জ্ঞাপন করতে বাধ্য হয়। জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক ও স্থানীয় সাংবাদিক যারা ঘুষ বানিজ্যসহ বনরক্ষীদের নানা অপকর্মের প্রতিবাদ করেন বনবিভাগের অসৎ কর্মকর্তারা উদোর বোঝা বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বন মামলা দেন। এমন মামলায় উপকূলীয় জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক ও সাংবাদিকরা অনেকই ভুগছে। যা আদালতে শেষ পর্যন্ত প্রমাণ হয় না। অবশেষে বিচারকরা খারিজ করে দেন। এই সমস্ত পাতানো মামলার করণে বনবিভাগের ৯৫% ভাগ মামলার দায় হতে আসামীরা অব্যহতি পাচ্ছে। কারণ, মিথ্যা মামলায় ঝুলিয়ে রাখায় স্বাক্ষীও স্বাক্ষ্য দিতে চায় না। নিজের স্বার্থ হাসিল করতে মিথ্যা মামলা দাখিল করায় বন কর্মকর্তা।এঅভিযোগ আদালতে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বন মামলা পরিচালকের। এভাবে বনবিভাগ সরকারের টাকা অপচয় করছে। এজন্য দরকার দক্ষ বন কর্মকর্তা। যারা দেশ ও জাতির উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। সেজন্য, নতুন এবং দক্ষ জনবল নিয়োগেরও প্রয়োজন আছে। তবে একটি অভিজ্ঞ মহল বলতে চায়, র‌্যাবে আর্মি অফিসার আছে, কোস্টগার্ডে আর্মি অফিসার আছে, বিজিবিতে আর্মি অফিসার আছে। এমন অসংখ্য সরকারি দপ্তর বা প্রশাসনে সেনাবাহিনী অফিসার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। সে সমস্ত দপ্তর বা প্রশাসনে অনিয়ম দূর্নীতির পরিমাণও খুবই কম। বনবিভাগের সহকারি বন সংরক্ষক পদ থেকে উচ্চ পর্যায়ে আর্মি অফিসার নিয়োগ দিয়ে যদি বনবিভাগ নিয়ন্ত্রণ করা হয়, তাহলে বনবিভাগের ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা ঘুষ কেলেঙ্কারীসহ নানাবিধ দূর্নীতি দূর হতে পারে। তাহা না হলে এটা বন্ধ হওয়ার কোন আলোর পথ দেখা যাচ্ছে না। এধরনের নানা অভিযোগের কারণ জানতে চেয়ে কথা হয় সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এ.সি.এফ) সোয়াইব খানের সাথে। তিনি বলেন, “ভাই অভিযোগ সবে আপনি জানালেন, বিষয়টি অতি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখছি। প্রমাণিত হলে দায়িদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সর্বশেষ কথা হয়, সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের কর্ণধার নামে পরিচিত বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মো. বশিরুল আলম মামুনে সাথে। তিনি বলেন, “আমি অল্প দিন পশ্চিম সুন্দরবনে ডি.এফ.ও.-এর দায়িত্বে যোগদান করেছি। টুকটাক অভিযোগের কথা শুনি। কিন্তু, কেহ এ পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তা নিজে অথবা তদন্ত কমিটি গঠণ করে তদন্ত করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest