সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলামসাতক্ষীরা সদরের দত্তবাগ টাইগার ক্লাবের নাইট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনজাতীয় সংহতি দিবস,এই দিনে বিভাজন নয়, ঐক্যের আহবান -কাজী আলাউদ্দিনসাতক্ষীরা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনকে বিজয়ী করতে গণমিছিলতরুণদের উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রীন ইনোভেশন ফেয়ারExplorez les avis des utilisateurs sur gtbet et rejoignez la communautéΕξερευνήστε τις καλύτερες στρατηγικές καζίνο στο gtbet για μεγαλύτερα κέρδηCome registrarsi su Nixbet e iniziare a vincere in pochi passiদেবহাটায় কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে খেলাধুলার আয়োজনগণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নলতা হাসপাতাল হুমকির মুখে :রক্ষার দাবি

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজে সরকারে সন্তোষ

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজে সরকার খুশি। দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার রায় ঘোষণার দিন গত বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ সারা দেশে বড় ধরনের কোনো সহিংসতার ঘটনা না হওয়ার পেছনে পুলিশ, র‌্যাব আর গোয়েন্দাদের কঠোর অবস্থানকেই কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরকার সংশ্লিষ্টরা বলছে, রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেভাবে পুরো পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে তা অভাবনীয়। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে এ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।
পুলিশের সূত্রগুলো জানায়, খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল, রায়ের দিন রাজধানী ঢাকায় বড় ধরনের গণজমায়েতের চেষ্টা করবে। গুলশানের বাসভবন থেকে আদালতের উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া বের হয়ে ধীর গতিতে যেতে থাকবেন। তখন হাজার হাজার নেতা-কর্মী গাড়িবহরের পেছন পেছন যাবে। ঢাকার বিভিন্ন অলিগলি থেকে বেরিয়ে বড় ধরনের শোডাউন করবে নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি বুঝে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করবে। এমন তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নড়েচড়ে বসে। রায়ের সাত দিন আগে থেকেই রাজধানীকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করতে শুরু করে। ধরপাকড় শুরু হয়। তল্লাশি চলে নেতা-কর্মীদের বাসা বাড়িতে। আবাসিক হোটেলগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়। চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায়। রায়ের আগের রাতে রাজধানীতে বিজিবি টহল দেয়। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয় গোটা রাজধানীতে। এদিকে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বাড়তে থাকে। ৮ ফেব্রুয়ারি কী হবে—এ নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। অজানা আশঙ্কা ছিল চারদিকে। দিন যতই ঘনিয়ে আসতে থাকে, মানুষের অস্বস্তি বাড়তে থাকে। রায়ের দিন কী যেন কী হয়—এমন আশঙ্কায় ঘর থেকে সেদিন লোকজনও খুব একটা বের হয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানে বড় ধরনের কোনো সহিংসতা ছাড়াই দিনটি পার করে দেশবাসী। পুলিশের তৎপরতায় রাজধানীতে স্বস্তি বজায় থাকায় পুলিশ ও র‌্যাবের ভূমিকা ছিল উল্লেখ করার মতো। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যদের ধন্যবাদ জানান ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। রায়ের দিন বিকালে ডিউটিরত সব পুলিশ ইউনিট ও টিমের স্পটে হাজির হয়ে পুলিশ সদস্যদের ধন্যবাদ জানান তিনি। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে প্রায় ১৫টি গাড়ি বহর নিয়ে আদালত ও আশপাশের স্পটগুলোতে ঘুরে ঘুরে পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের সাধুবাদ জানান ডিএমপি কমিশনার। এ সময় গাড়িবহর থেকে পুলিশ সদস্যদের প্রতি হাত নেড়ে অভিবাদন জানান, স্পটে নেমে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন আছাদুজ্জামান মিয়া। এ সময় তিনি বলেন, তোমাদের অনেক ধন্যবাদ। আমরা কোনো নৈরাজ্য সহ্য করব না। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ বাহিনী প্রস্তুত থাকবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তারেককে নিয়ে বিএনপিতে দুই মত?

লন্ডনে চিকিৎসাধীন তারেক রহমান বাংলাদেশের আইনের চোখে একজন পলাতক আসামি। আর এ অবস্থার মধ্যেই তিনি বিএনপির ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান’-এর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। দলের গঠনতন্ত্রের ৮ ধারার ‘গ’ উপধারা অনুযায়ী, চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব নেবেন ‘সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান’। তবে গত বছর খালেদা জিয়ার লন্ডন সফরে থাকার সময়ে তিন মাসের অনুপস্থিতি কিংবা এক-এগারো’র সরকারের সময়ে একবছরের বেশি কারাবাসের সময় তারেককে ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান’ করার প্রয়োজন মনে করেনি বিএনপি। আর এবার চেয়ারপারসন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তারেককে ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান’ করার কথা জানালেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এতে করে দল ও দলের বাইরে অনেকেই মনে করছেন, তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত করার মধ্যদিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নতুন করে বিতর্ক ও সমালোচনার সুযোগ দেওয়া হলো। যেখানে খালেদা জিয়ার কারাবরণ ‘শাপে বর’ হতে পারে— রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের এমন ভাষ্য সত্ত্বেও নতুন বিতর্কে জড়িয়ে পড়লো বিএনপি।
তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলছেন, ‘গঠনতন্ত্র মেনেই তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা স্বাভাবিকভাবেই ঘটেছে। এতে করে দলীয় গঠনতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এক-এগারো’র সময় বিএনপির গঠনতন্ত্রে এই সুযোগ ছিল না। এবং ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) যখন লন্ডনে গিয়েছিলেন, তখন কিন্তু আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত ছিল। এখন জেলে যাওয়ায় সে সুযোগ কম। চাইলেই দেখা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে তারেক রহমান দায়িত্ব পালন করবেন।’
বিএনপির কোনও কোনও সিনিয়র নেতা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেছেন, তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত করার মধ্যদিয়ে পুরনো বিতর্ক নতুন করে উঠে আসবে। ক্ষমতায় থাকতে ‘হাওয়া ভবন’ চর্চা, ‘বিকল্প প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়’ তৈরি করা, দুর্নীতির মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় পলাতক আসামি হিসেবে তারেক রহমানের রাজনৈতিক আবেদন এখনও খালেদা জিয়ার চেয়ে বহুগুণ কম। সেই কারণেই খালেদা জিয়ার কারাগারে যাওয়ার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারেককে এভাবে ভারপ্রাপ্ত করার মধ্যদিয়ে একদিক দিয়ে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অবজ্ঞার প্রকাশ ঘটেছে।
যদিও বিএনপির নয়া পল্টন কার্যালয়ের একটি সূত্রের ভাষ্য, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর আগ্রহের কারণে তারেক রহমান দ্রুত ‘ভারপ্রাপ্ত’ পদে বসতে আগ্রহী হয়েছেন। এতে করে বিএনপির মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করতে হবে না তাকে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) খালেদা জিয়ার রায়ের পর পরই স্থায়ী কমিটি ছাড়াই সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিক্রিয়া জানানোর পর থেকে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে। বিশেষ করে খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতেই স্থায়ী কমিটিতে সিদ্ধান্ত ছিল, দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে পরামর্শ করে এবং স্থায়ী কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে মহাসচি দলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন। আর এই সিদ্ধান্ত মানতেই সমস্যা হচ্ছে দলের একটি অংশের।
রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। যদিও শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তার বক্তব্য ছিল, ‘দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও স্থায়ী কমিটির সঙ্গে সমন্বয়ে দল আগামীতে পরিচালিত হবে ।’
রিজভীর এই বক্তব্য মেনে নিলেও বিএনপির একটি অংশ বলছে, তারেক রহমান বিএনপির ভবিষ্যৎ। তার নেতৃত্ব নিয়েও কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু যখন খালেদা জিয়ার গ্রেফতার হলেন, আর সময় গেল মাত্র ২৪ ঘণ্টা, তখনই প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়ার মধ্যদিয়ে মূলত বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে উপেক্ষা করা হয়েছে। বিশেষ করে দলের এই সময়ে যখন বিএনপির সিনিয়র নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা, সেখানে হঠাৎ করে তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার ঘোষণা দেওয়া হলো। বিশেষ করে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ভারপ্রাপ্ত’ করায় দলের মধ্যে এই মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে।
যদিও খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাষ্য, ‘কোনও দ্বিমত বা দ্বন্দ্ব তৈরি করবে না। আর এতে স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হয় না। এটা কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত। গত কাউন্সিলে তারেক রহমান সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।’
ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অভিযোগ করেছে, তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে বিএনপি প্রমাণ করেছে—‘তারা দুর্নীতির পথ থেকে সরে আসেনি। প্রমাণ হয়েছে বিএনপি সুস্থ রাজনৈতিক চিন্তা করতে পারে না। তারা মনে করে, আইন আদালতের ঊর্ধ্বে তারা।’
বিএনপি’র যুক্তরাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক কয়সর আহমেদ বলেন, ‘তারেক রহমান ভারপ্রাপ্ত হয়েছেন গঠনতান্ত্রিক নিয়মে। এটা তো দেরি হয়ে গেছে। আরও আগেই করা দরকার ছিল। আর ভারপ্রাপ্ত হওয়ায় দলে কেন প্রশ্ন থাকবে? কোনও সমস্যা থাকবে না।’ আর আওয়ামী লীগ সমালোচনা করছে, তার মানে বিএনপি ঠিক পথেই আছে (রাইট ওয়ে) বলেও মন্তব্য করেন কয়সর আহমেদ।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘বিএনপির একটা গঠনতন্ত্র আছে, সেই অনুযায়ী তারেক রহমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এর বাইরে দলের অন্য নেতারা সবাই তো আছেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে দল আরও ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী হবে আগামীতে।’
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দল পরিচালিত হবে। সেক্ষেত্রে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে পরামর্শ করে আগামী দিনের করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ায় আমি কোনও সমস্যা দেখছি না। এনিয়ে দলের মধ্যে কোনও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে বলেও মনে করি না। কারণ, আমাদের দলের গঠনতন্ত্রে চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে ভাইস চেয়ারম্যানই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হবেন—এটা সুস্পষ্টভাবে বলা আছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ওয়ানডেতেও জয় দিয়ে শুরু আফগানিস্তানের

টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশের পর ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। রহমত শাহর সেঞ্চুরির পর রশিদ খানের দুর্দান্ত বোলিংয়ের উপর ভর করে প্রথম ওয়ানডেতে ১৫৪ রানের বিশাল জয় তুলে নেয় আসগার স্ট্যানিকজাইয়ের দল।

শারজায় টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আফগানদের দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ও ইহশানুল্লাহ। দুইজনে মিলে গড়েন ৯০ রানের জুটি। ইহশানুল্লাহ তুলে নেন ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি। ৫৩ বলে ৯ চারে ৫৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান।

ইহশানুল্লাহর বিদায়ের পর খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি শাহজাদ। ৩৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান বিধ্বংসী এই ব্যাটসম্যান। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর এক প্রান্ত ধরে খেলতে থাকেন রহমত শাহ। তবে তাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন আসগার। ব্যক্তিগত ৩ রানে ফিরে যান এই অধিনায়ক।

দ্রুত ফিরে যান নাসির জামালও (৩১)। তবে পঞ্চম উইকেটে নাজিবুল্লাহ জাদরানকে নিয়ে ১৫৮ রানের জুটি গড়েন রহমত শাহ। তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ১১৪ রান। জাদরান ৫টি করে চার-ছয়ে ৫১ বলে ৮১ রানে অপরাজিত থাকলে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৩ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় দলটি।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন মিরে। তবে ২৫ বলে ৩৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান এই ওপেনার। এরপর দ্রুত বিদায় নেন মাসাকাদজা (১৬) ও টেলর (১৬)। ক্রিস অরভিন (৩৩) ও সিকান্দার রাজা (২৫) কিছুটা চেষ্টা করলেও তা শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে। আফগান স্পিনার রশিদ খান ৫.৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নিজস্ব মুদ্রা চালু করতে যাচ্ছে তুরস্ক-ইরান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানকে নিজস্ব মুদ্রা চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সুফল পেতেই এ পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে দেশ দুটি। বৃহস্পতিবার দুই নেতার টেলিফোন আলাপে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি বলেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ইরান সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছে। দুই দেশের নিজস্ব মুদ্রায় বাণিজ্য শুরু হলে তেহরান ও আংকারার সম্পর্কে আরো গতি আসবে।

আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার বিষয় নিয়ে রুহানি বলেন, এ অঞ্চলে ইরান ও তুরস্ক বেশকিছু অভিন্ন হুমকির মুখে রয়েছে; ফলে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক পরামর্শ ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকা দরকার।

ফোনালাপে তুর্কি প্রেসিডেন্ট ইসলামি বিপ্লবের ৩৯তম বিজয়বার্ষিকীতে ইরানের জনগণ ও সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে তেহরান এবং আংকারার মধ্যে সবক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান জানান। তিনিও দুই দেশের নিজস্ব মুদ্রায় বাণিজ্যিক লেনদেনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এর ফলে দুই দেশের সম্পর্কে বড় রকমের উন্নতি হবে।

এছাড়া রাশিয়ার সোচি শহরে সিরিয়াবিষয়ক সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট এরদোগান ইরানের প্রেসিডেন্টকে আসন্ন ত্রিপক্ষীয় ইস্তাম্বুল বৈঠকে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানান। এর আগে এরদোগান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। তবে কবে ত্রিপক্ষীয় এ শীর্ষ বৈঠক হবে তা এখনো জানা যায়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বুড়িগোয়ালিনীতে রসের মেলা উদ্বোধন

মাহফুজুর/আব্দুল্লাহ: শুক্রবার শ্যামনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদে রসের মেলা-২০১৮ উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো.মহিউদ্দীন। এ সময় তার সফর সঙ্গী ছিলেন অতিঃ জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন সরকার।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডলের উদ্যোগে এবং সভাপতিত্বে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে রসের মেলা-২০১৮ আয়োজন করেছেন। জাঁকজমক পূর্ণ আকর্ষণীয় পরিবেশে ৯টি ওয়ার্ডের পৃথক পেভিলিয়নের মাধ্যমে হরেক রকমের খেঁজুরের রসের পিঠা- পুলির বাহারী আয়োজন করা হয়েছে। মুল অনুষ্ঠানটি আগামী ১০ফেব্রুয়ারি দিন ব্যাপী নানান বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যামে উদযাপিত হবে। প্রধান আতিথি সাতক্ষীরা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ এস.এম জগলুল হায়দারের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা, জারি গান, পট গান এবং আদীবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ অনেক বর্ণাঢ্য আয়োজন থাকবে। উক্ত আয়োজনের মূল উদ্যেশ্য গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া বাঙালি পিঠা পার্বনকে পুনর্জগরিত করা। আনুষ্ঠানের মূল প্রতিপাদ্য “ফুল সুবাস ছাড়ায়, মানুষ ছড়ায় আলো। শুদ্ধ জীবন র্চ্চা করি, দেশকে রাখি ভাল।” ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠান উপভোগ করার জন্য সকলকে উদাত্ত আহবান জানানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল

কলারোয়া, প্রতিনিধি: দুর্নীতি মামলার রায়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সাজা ঘোষনায় কলারোয়ায় পৃথকভাবে আন্দন মিছিল করেছে যুবলীগ-ছাত্রলীগ।
শুক্রবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় পৃথকভাবে আয়োজিত ওই মিছিল বের করে দলটির নেতৃবৃন্দ। সেসময় কলারোয়া উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি।
বিকেলে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের নির্দেশনায় যুবলীগ-ছাত্রলীগ আনন্দ মিছিল বের করে। উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বের হয়ে মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। ওই মিছিলে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির বাবলু, সাংগঠিনক সম্পাদক শফিউল আলম শফি, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান তুহিন, সহ.সভাপতি শেখ মাসুমুজ্জামান মাসুম, পৌর যুবলীগের আহবায়ক জুলফিকার আলী, যুগ্ম আহবায়ক নয়ন হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ইমরান হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম ইলিয়াস হোসাইন, যুবলীগ নেতা মিলন, মারুফ, সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শেখ আশিকুর রহমান মুন্না, ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ, আসাদুল প্রমুখ অংশ নেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাটকেলঘাটায় আওয়ামীলীগের প্রতিবাদ মিছিল

পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তাল উপজেলা ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়েছে।
বি এন পি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দুর্ণীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় শুক্রবার বিকাল ৫ টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি এন পি সারা বাংলাদেশে দুইদিন ব্যাপী প্রতিবাদ সভা ঘোষণা করার প্রতিবাদে পাটকেলঘাটায় তালা উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের অংশগ্রহণে এক প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনি সম্পদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো ইখতিয়ার হোসেন, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা এ্যাডঃ আব্দুস সামাদ, নগরঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি যথাক্রমে আকতার হোসেন, সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিপু, সরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পদক আতিয়ার রহমান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পদক ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য কাজী নজরুল ইসলাম হিল্লোলসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ -সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খালেদার সাজা নিয়ে নেতাদের কম কথা বলতে শেখ হাসিনার নির্দেশ

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার সাজা নিয়ে আপাতত কম কথা বলতে নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি নেতাদের জানিয়েছেন,খালেদা জেলে থাকা অবস্থায় এই ইস্যুতে বিএনপি জনগণের সহানুভূতি পেতে পারে, এমন কোনও বক্তব্য বা আচরণ করা যাবে না। এমনকি নেতাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ  করা বা উস্কানিমূলক বক্তব্যও পরিহার করতে নির্দেশ পাঠিয়েছেন দলীয় সভাপতি।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) খালেদা জিয়ার মামলার রায় হওয়ার পর দণ্ড নিয়ে আবোল-তাবোল বা অনাকাঙ্ক্ষিত কোনও বক্তব্য না রাখতে নেতাদের প্রতি মৌখিক নির্দেশনা পাঠিয়েছেন বলে আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য একাদিক সূত্র জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন, ‘এই রায়কে ইস্যু করে সবাইকে সংযত হয়ে কথা বলতে হবে। সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে, খালেদা জিয়া যাতে কোনোভাবেই জনগণের সহানুভূতি পেয়ে না বসেন। বিএনপি চাইবে তার (খালেদার) মামলার রায় রাজনীতিকরণ করে সুবিধা আদায় করতে। এই সুযোগ তাদের দেওয়া যাবে না।’

আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতা শেখ হাসিনার এই মৌখিক নির্দেশনার কথা নিশ্চিত করেছেন।

সম্পাদকমণ্ডলীর দুই নেতা প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে আমরা এমন কোনও বক্তব্য দেবো না, যা বিএনপির পক্ষে যেতে পারে। আমাদের অবস্থান হবে— এটা বিচারিক বিষয়। তাছাড়া, এই মামলা গত সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার করেছে। আর  মামলার রায় দিয়েছে আদালত। এখানে সরকারের যে কিছুই করার ছিল না, সেটা প্রতিষ্ঠিত করাই হবে আওয়ামী লীগে কৌশল। দলের সভাপতির নির্দেশনায়ও বলা হয়েছে— বক্তব্য ও বিবৃতিতে এগুলোই তুলে ধরতে হবে।

সভাপতিমণ্ডলীর এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এই ইস্যুতে আমাদের প্রতি নির্দেশনা হলো— ডোন্ট স্পিক ভেরি মাচ।’

আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত হলো— বিএনপি যেহেতু  খালেদা জিয়ার দণ্ডকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালাবে। সেখানে আওয়ামী লীগকে প্রমাণ করতে হবে এই দণ্ড দুর্নীতির বিরুদ্ধে আদালতের। এখানে রাজনৈতিক কোনও স্বার্থ নেই। এই লাইনে সবাইকে কথা বলতে হবে এবং বিএনপির মিথ্যাচারকে মিথ্যা প্রমাণ করতে হবে। তাই সতর্কভাবে সবাইকে কথা বলতে হবে।

নেতারা আরও বলেন, খালেদা জিয়া জেল থেকে বের হলে দুর্নীতিবাজ ও দণ্ডিত ব্যক্তির রাজনীতি করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রচার চালাতে হবে আওয়ামী লীগকে।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার মামলার রায় ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ কড়া ভাষায় সমালোচনা করে সংবাদ সম্মেলন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশ আসার পর সংবাদ সম্মেলনে সতর্কতা অনুসরণ করে বক্তব্য রাখেন নেতারা।

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী মহল মনে করে, খালেদার সাজা হলেও জামিনে বের হয়ে আসবেন তিনি। ফলে বের হয়ে আসার পরে বিএনপির নেতাদের প্রতিক্রিয়া বুঝে পাল্টা প্রতিক্রিয়া প্রদান করবেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। খালেদা জেলে থাকা অবস্থায় বিচারিক ব্যাপার বলেই গণ্য করতে হবে। তবে জেল থেকে তিনি বের হয়ে আসলে, তার  দন্ড ও  দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে জনমত তৈরি  করতে কাজ করতে হবে আওয়ামী লীগ নেতাদের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest