সর্বশেষ সংবাদ-
বিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যানল স্টুডেন্টস ফোরামের নির্বাচন সম্পন্নসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৯০ দশক ছাত্রদলের দোয়াশ্যামনগরে ঘের ব্যবসায়ীকে কুপি×য়ে হত্যা : আ×টক ৯সাতক্ষীরায় প্লাস্টিক “অদল-বদল” ক্যাম্পেইনহাদির মৃত্যুতে সাতক্ষীরায় গায়েবানা জানাজাসাতক্ষীরার সাবেক পিপি লতিফের ৪ দিন : ছেলে রাসেলের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরসাতক্ষীরায় মুন্ডা সম্প্রদায়ের নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রকল্প সমাপনীতালায় আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধারআশাশুনিতে আশা ব্রিক্সের লেলিহান শিখায় জনজীবন বিপর্যস্ত

আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস

ভালোবাসার নামই প্রেম। ভালোবাসার গভীরতাকে মোহ নামে আখ্যায়িত করেন অনেকে। তবে হাজারো দ্বন্দ্ব সংঘাতের এই পৃথিবী টিকে আছে ভালোবাসার টানে। স্নেহ-প্রীতির বন্ধন, প্রেম আর ভালোবাসার জন্য কি বিশেষ কোনো দিনের প্রয়োজন হয়! কিন্তু তারপরও পৃথিবীর মানুষ পালন করে আসছে একটি দিন। আর সেই কাঙ্ক্ষিত দিনটিই আজ— বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন্স ডে। দিনটি আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সবার জন্য হলেও প্রধানত তারুণ্যের জয়জয়কার ঘোষিত হবে আজ। ফাগুন হাওয়ায় ভেসে যাবে ভালোবাসার নৌকা। প্রেমকাতর হৃদয়ের রক্তরাঙা গোলাপটি তুলে দেবে প্রিয়ার হাতে। হিয়ার মাঝে বেজে উঠবে গান, আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল। ভালোবাসা দিবস উদযাপনের ইতিহাস বেশ পুরনো। এ নিয়ে প্রচলিত রয়েছে অনেক কাহিনী। তবে সবচেয়ে বেশি যে গল্পটি প্রচলিত সেটি হচ্ছে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামে একজন রোমান ক্যাথলিক ধর্মযাজকের ২৬৯ খ্রিস্টাব্দের একটি ঘটনা। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামে ওই ধর্মযাজক একই সঙ্গে চিকিৎসক ছিলেন। তখন রোমান সম্রাট ছিলেন দ্বিতীয় ক্লডিয়াস। বিশ্বজয়ী রোমানরা একের পর এক রাষ্ট্র জয় করে চলেছে। যুদ্ধের জন্য রাষ্ট্রে বিশাল সৈন্যবাহিনী গড়ে তোলা দরকার। কিন্তু লোকজন বিশেষ করে তরুণরা এতে উৎসাহী নয়। সম্রাটের ধারণা হলো, পুরুষরা বিয়ে করতে না পারলে যুদ্ধে যেতে রাজি হবে। তিনি তরুণদের জন্য বিয়ে নিষিদ্ধ করলেন। কিন্তু প্রেমপিয়াসী তারুণ্যকে কি নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ করা যায়! এগিয়ে এলেন সেন্ট ভ্যালেন্টাইন। ভ্যালেন্টাইন প্রেমে আবদ্ধ তরুণ-তরুণীদের বিয়ের ব্যবস্থা করলেন। কিন্তু এক দিন ধরা পড়ে গেলেন ভ্যালেন্টাইন। তাকে জেলে নেওয়া হলো। দেশজুড়ে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিল। অনেকেই ভ্যালেন্টাইনকে জেলখানায় দেখতে যান। ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। কারাগারের জেলারের একজন অন্ধ মেয়েও ভ্যালেন্টাইনকে দেখতে যেত। চিকিৎসক ভ্যালেন্টাইন মেয়েটির অন্ধত্ব দূর করলেন। তাদের মধ্যেও সৃষ্টি হলো হৃদয়ের বন্ধন। ধর্মযাজক হয়েও নিয়ম ভেঙে তিনি প্রেম করেন। আইন ভেঙে তিনিও বিয়ে করেন। খবর যায় সম্রাটের কানে। তিনি ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদণ্ড দেন। সে তারিখটি ছিল ২৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি। ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে রোমের রাজা পপ জেলুসিয়াস এই দিনটিকে ভ্যালেন্টাইন দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। রাজধানীর বিভিন্ন উদ্যান, বাংলা একাডেমির বইমেলা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, কফিশপ, ফাস্টফুড শপ, লং ড্রাইভ অথবা নির্জন গৃহকোণে একান্ত নিভৃতে চলবে তরুণ-তরুণীদের অভিসার। চকলেট, পারফিউম, শুভেচ্ছা কার্ড, ই-মেইল, মোবাইলে এসএমএস, প্রেমবার্তা, আংটি, প্রিয় পোশাক, বই অথবা রক্তগোলাপ উপহার হিসেবে আজ দেওয়া-নেওয়া হবে তরুণ-তরুণীদের মাঝে। শুধু তরুণ-তরুণীরাই নয়, এদিনে সন্তানের প্রতি তাদের পিতামাতার ভালোবাসাও উৎসারিত হয় স্বর্গীয়ভাবে। ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে অন্যান্য বছরের মতো এবারও নগরজুড়ে নানা অনুষ্ঠানমালা রয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বই মেলা আর টিএসসি চত্বরের সবুজ ঘাসে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিনোদন পিয়াসী নগরবাসীকে দারুণ আকৃষ্ট করে। এ ছাড়া চারুকলার বকুলতলা, শিল্পকলা একাডেমি, ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর, উত্তরা, বনানীসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানেও রয়েছে নানা অনুষ্ঠান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় পুলিশ সদস্যের স্কুল পড়ুয়া পুত্র খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা শহর উপকণ্ঠের বকচরা বাইপাস সড়ক এলাকায় পুলিশ পুত্রকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে এই হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সাকিব হোসেন (১৫) সে পুলিশ লাইন্স স্কুলের ১০ ম শ্রেণীর ছাত্র ও পুলিশ কনেস্টবল নজরুল ইসলামের ছেলে। এসময় একই সঙ্গে থাকা রাশেদ নামের অপর এক সঙ্গী আহত হয়। তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাশেদ শহরের রসুলপুর গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য আব্দুল আজিজের ছেলে।
পুলিশ ও অন্যান্য সূত্র জানায়, সাকিব হোসেন, রাশেদ ও অমি পুলিশ লাইন্স স্কুলের ১০ ম শেণির ছাত্র। তারা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বকচরা মাহফিলে যায়। সেখানে যেয়ে কামালনগর কলোনির আব্দুল কাদের ও একই এলাকার জনৈক শান্তর সাথে তুচ্ছ ঘটনায় বচসা হয়। বিষয়টি সেখানেই নিস্পত্তির পর সভা শুনে বকচরা দিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে বাইপাস সড়কে পৌছানো মাত্রই দুর্বৃত্তরা সাকিব ও তার বন্ধুদের উপর হামলা করে। গাছের ডাল দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে। এসময় সাকিব ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে। আহত হয় রাশেদ। একই সময়ে প্রাণ ভয়ে দৌড়ে পালায় অমি। পরে স্থানীয়রা গুরুত্বর জখম সাকিব ও রাশেদকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন। একই সাথে থাকা অপর সঙ্গী আহত রাশেদ বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ইনটেলিজেন্স) মহিদুল হক রাতে জানান, চিকিৎসাধীন রাশেদ কিছু তথ্য দিয়েছে। তারই ভিত্তিতে শহরের কামাল নগরের আমিরুজ্জামান বাবুর পুত্র অমিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাতেই পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়াসহ বিষয়টি জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় নদীতে ডুবে ৫ বছরের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ায় বেত্রবতী নদীর পানিতে ডুবে মাত্র ৫বছর বয়সী তাহমিদ নামের এক শিশুর করুণ মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান- কলারোয়া সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে কামরুলের বাড়িতে ২ মেয়ে ও ১ শিশু পুত্রকে নিয়ে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন মরহুম মুজিবুর রহমানের স্ত্রী রোজিনা খাতুন রোজি। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ির উঠানে খেলা করছিলো শিশুপুত্র তাহমিদ। সেসময় তার মা ঘরের কাজ করছিলেন। ১০/১৫ মিনিট পরেই তিনি দেখেন তার শিশুপুত্র উঠানে নেই। সাথে সাথে বাড়ির আশে-পাশে, সামনের পুরাতন খাদ্য গোডাউন রাস্তাসহ পাশ্ববর্তী এলাকায় খোঁজখবর করেও যখন শিশুকে পাওয়া গেলো না তখন বাড়ির একেবারেই পাশের বেত্রবতী নদীর মধ্যে পানিতে নেমে খোঁজ করতে থাকেন স্বজনরা। এরই মাঝে প্রায় ঘন্টাখানিক সময় পেরিয়ে গেছে। সেসময় নদীর মধ্যে ডুবে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শিশুপুত্র তাহমিদের মরদেহ। শিশুটির মৃগি রোগের লক্ষন ছিলো বলে প্রতিবেশিরা জানান।
শিশুর মৃত্যুতে স্বজনদের আর্তনাদে সেখানকার পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। বেলা ১টার দিকে শিশুটির মামার বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধবকাটি এলাকায় তার দাফন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডায়াবেটিস থেকে আজীবন মুক্ত থাকার ৯টি প্রমাণিত উপায়

আমাদের নিত্য ব্যবহার্য শব্দগুলোর মধ্যে এখন ডায়াবেটিস শব্দটি বেশ কমন হয়ে পড়েছে। কেননা ডায়াবেটিস যেন এখন মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে। দেখা যাবে যে আমাদের আশেপাশেরই কারো না কারো ডায়াবেটিস আছে।

এমনকি জরিপে দেখা গেছে, ১৯৮০ সালে বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ছিল যেখানে ১০৮ (১০ কোটি ৮০ লাখ) মিলিয়ন সেখানে তা আজ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২২ (৪২ কোটি ২০ লাখ)। এ থেকেই বুঝা যায় সামনে দিনে পরিস্থিতি আরো কত ভয়াবহ হতে চলেছে।

আমরা ইতিমধ্যেই জানি যে, ডায়াবেটিস হলো একটি বিপাকীয় প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট রোগ। যার কারণে দেহ যথেষ্ট পরিমাণে ইনসুলিন উৎপাদনে অক্ষম হয়ে পড়ে বা ইনসুলিন প্রত্যাখ্যান করে। ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায় অস্বাভাবিক হারে।

রক্তে সুগারের মাত্রা খুব বেশি বেড়ে গেলে ক্লান্তি, ঘন ঘন প্রস্রাব, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দেয়।

ডায়াবেটিসের সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক বিষয়টি হলো এই রোগ কখনো পুরোপুরি ভালো হয় না। তবে এর লক্ষণগুলো দূর করা যায় এবং নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

তবে এমন কিছু প্রমাণিত উপায় রয়েছে যেগুলো নিয়মিতভাবে মেনে চললে আপনি জীবনে কখনো ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবেন না। যদি না আপনার পরিবারের ডায়াবেটিসের কোনো ইতিহাস না থাকে।

১. স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা
দেহের ওজন স্বাস্থ্যকর মাত্রায় নিয়ন্ত্রিত রাখার মধ্য দিয়ে শুধু ডায়াবেটিসই নয় বরং আরো নানা ধরনের রোগ বালাই থেকে মুক্ত থাকা যায়। স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৭০% কমে আসবে।

২. সালাদ খান
প্রতিদিন অন্তত এক বাটি সালাদ খান। যার মধ্যে থাকবে গাজর, শসা, লেটুস, টমেটো, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি। প্রতিদিন দুপুরে বা রাতে খাবার খাওয়ার আগে এই সালাদ খেতে হবে। সালাদে এক চা চামচ ভিনেগারও যুক্ত করতে পারেন। ভিনেগার রক্তকে কমমাত্রায় সুগার শোষণে সহায়তা করে। আর রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমবে।

৩. প্রচুর হাঁটাহাঁটি করুন
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক সেরা ব্যায়ামগুলোর একটি হাঁটাহাঁটি। প্রতিদিন অন্তত ৪০মিনিট হাঁটাহাঁটি করলেই আপনার বিপাকীয় হার এমন পর্যায়ে থাকবে যা আপনার দেহে ইনসুলিনের মাত্রাকেও ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় রাখতে যথেষ্ট। ফলে ডায়াবেটিসেরও ঝুঁকিও কমে আসবে।

৪. পূর্ণ শস্যজাতীয় খাদ্য খান
ওটমিল, বার্লি, ব্রাউন রাইস, ভুট্টা, বাজরা ইত্যাদি পূর্ণ শস্য জাতীয় খাদ্য দিয়ে সকালের নাস্তা করুন। পূর্ণ শস্য জাতীয় খাদ্যে আছে আঁশ, যা রক্তে সুগারের মাত্রা কমাতে সহায়ক। ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমে। এছাড়া পূর্ণ শস্যজাতীয় খাদ্য কোষ্ঠকাঠিন্য, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি রোগ থেকেও বাঁচাবে।

৫. কফি পান করুন
বেশ কিছু গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, প্রতিদিন অন্তত দুই কাপ কফি পান করলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে আসে ২৯%। তবে চিনি ছাড়া কফি পান করতে হবে। কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান এই কাজ করে।

৬. ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন
আজকাল চাইলেই হাতের কাছে পাওয়া যায় নানা ধরনের ফাস্টফুড। যা দেখে হয়তো লোভ সামলানো অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে। কিন্তু ফ্রাইস, পিজ্জা, বার্গার এর মতো ফাস্ট এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে স্থুলতা, উচ্চ কোলেস্টেরল, হজমে সমস্যা এবং হৃদরোগের মতো নানা রোগ দেখা দিতে পারে। এসব খাবার দেহে ইনসুলিনের মাত্রায়ও ক্ষতিকরভাবে হেরফের ঘটিয়ে দিতে পারে। যা থেকে ডায়াবেটিসও হতে পারে।

৭. দারুচিনি খান
দারুচিনি তেল বা পাউডার আকারে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে আসে ৪৮%! গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, দারুচিনির আছে অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড এর মাত্রা কমিয়ে আনার প্রাকৃতিক সক্ষমতা। আর এই দুটি উপাদান প্রাকৃতিক ভাবে কমিয়ে আনতে পারলে রক্তে সুগারের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমে আসে।

৮. স্ট্রেস বা মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকুন
মাথা ব্যথা থেকে শুরু করে ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগও হতে পারে অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে। সুতরাং আপনি যদি এমন কেউ হন যিনি প্রায়ই তীব্র মানসিক চাপে থাকেন তাহলে রিল্যাক্স করার নানা কৌশল এবং যোগ ব্যায়াম করে স্ট্রেস কমান। এতে আপনার দেহে কর্টিসোল হরমোনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাবে।

৯. ধুমপান ত্যাগ করুন
স্ট্রেসের মতোই ধুমপানও নানা ধরনের মারাত্মক রোগের আরেকটি কারণ। ফুসফুস ক্যান্সার এর মতো ভয়ঙ্কর রোগের পাশাপাশি ডায়াবেটিসেরও একটি কারণ ধুমপান। সুতরাং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে না চাইলে আজই ধুমপান ছেড়ে দিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আগামীর সুপারস্টার পূজা !

ইন্ডাস্ট্রিতে প্রকট নায়িকা সংকট। কেউ আছেন জনপ্রিয়তায়, শিডিউলে নেই। শিডিউল থাকলেও খামখেয়ালিপনায় ভোগান্তিতে ফেলেন প্রযোজক-নির্মাতাদের। তবে বেশিরভাগই কাগজের নায়িকা, কাজে দুর্বল। না টানতে পারছেন দর্শক, না পারছেন ইন্ডাস্ট্রির ভরসা হয়ে উঠতে।

সেই সংকটে সবার দৃষ্টি এখন নতুন নায়িকার সন্ধানে। আপাতত উঠে আসছে পূজা চেরির নাম। শিশুশিল্পী থেকে পূজার নায়িকা হিসেবে অভিষেক ঘটছে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি। এদিন মুক্তি পাবে যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘নূরজাহান’। এখানে কলকাতার নতুন মুখ আদৃতের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। সাবলীল অভিনয় দিয়ে অনেক আগে থেকেই নিজের জন্য আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। অপেক্ষা ছিলো নায়িকা হিসেবে কেমন হবেন সেটা দেখার। এরইমধ্যে ‘নূরজাহান’ ছবির গানে তাকে বেশ প্রাণবন্ত দেখা গেছে। এটি দেখে ‘পোড়ামন ২’ ছবিতেও পূজাকে নিয়ে অনেক সম্ভাবনা দেখছে ইন্ডাস্ট্রি।

সেই সম্ভাবনাকেই নতুন করে শিরোনামে তুলে আনলেন কলকাতার সফল নির্মাতা রাজ চক্রবর্তী। গতকাল সোমবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল রোমান্টিক প্রেমের গল্পে নির্মিত ‘নূরজাহান’ ছবির মুক্তি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন। সেখানে ছবিটির টিম সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন রাজও। তিনি ‘নূরজাহান’র কলকাতার প্রযোজক।

অনুষ্ঠানে তিনি পূজার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। তার অভিনয় নিয়ে নানারকম দিকনির্দেশনাও দিয়ে গেলেন। তিনি পূজাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ঢাকার মেয়ে পূজা অনেক সুইট। ওর মধ্যে ভালো অভিনয় করার ক্ষমতা রয়েছে, সেটা বের করে আনতে হবে। যদিও পূজা একটু দুষ্টু হয়ে যাচ্ছে। তারপরেও ওকে ঠিক মত নির্দেশনা দিতে হবে। তাহলেই পূজা আগামীর সুপারস্টার হয়ে ওঠবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজিজ ভাই যখন আমার কাছে পূজাকে পাঠালেন তখন আমি তার লুক টেস্ট নেই। এরপর আজিজ ভাইকে শুধু একটাই কথা বলি, পূজাকে আমার কাছে দিয়ে দেন। ওর মধ্যে অনেক সম্ভাবনা আছে। আমি নতুনদের নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। আমার সিনেমার প্রোফাইল দেখলে আপনারা সেটা বুঝতে পারবেন। বোঝে না সে বোঝে না, চিরদিনই তুমি যে আমার, লে ছক্কা এসব ছবি যখন বানিয়েছিলাম দেব, সোহম নতুন ছিল। আমি সফল হয়েছি। পূজাকে নিয়েও যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছি সেটা সফল হবে বলে আমি বিশ্বাসী। আপনারা আপনাদের পূজাকে সাপোর্ট করুন। ও নায়িকা হিসেবে ইন্ডাস্ট্রির ভরসা হবে।’

এছাড়া নতুন নায়ক হিসেবে আদৃতকে শুভেচ্ছা জানান তিনি। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরাও আদৃত-পূজা জুটিকে অভিনন্দিত করেন। তাদের ছবিটি নতুন বছরের সফল সিনেমা হবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

ভারত বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ‘নূর জাহান’। ১৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় ৭০ এবং বাংলাদেশে ৩০টির মত সিনেমা হলে ‘নূর জাহান’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এই ছবি পরিচালনা করেছেন যৌথভাবে আব্দুল আজিজ ও অভিমন্যু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের এক মতবিনিময় সভা সংগঠনের আহবায়ক এডঃ ফাহিমুল হক কিসলুর সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, মোঃ আনিসুর রহিম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, এটিএন বাংলার সাংবাদিক এম কামরুজ্জামান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সদস্য স্বপন কুমার শীল, জেলা জাসদের (আম্বিয়া) সাধারণ সম্পাদক ইদ্রীস আলী, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক হাসান হাদী, জেলা জাসদের শিল্প ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আমির হোসেন খান চৌধুরী, এনজিও কর্মী অপারেশ পাল, রওনক বাশার, ইকবাল লোদী প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় সবজি চাষে স্বাবলম্বী প্রতিবন্ধী আলাউদ্দীন ও তার স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি: শারীরিক প্রতিবন্ধি কিংবা পঙ্গুত্বকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে জীবন সংগ্রামে সাফল্য অর্জন করে চলেছেন আলাউদ্দীন নামের এক ব্যক্তি। পাশাপাশি মহিলারাও যে পুরুষের চেয়ে কোন দিক থেকে কম নয় তারই প্রমানের স্বাক্ষর রেখেছেন ওই প্রতিবন্ধী মানুষটির স্ত্রীও। স্বামী-স্ত্রী দু’জনে মিলে নিয়মিত বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি চাষাবাদ করে দরিদ্রতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সাবলম্বি হচ্ছেন তারা। উপজেলার পূর্ব সোনাবাড়িয়া গ্রামের মৃত আফিল উদ্দীনের পুত্র জন্ম থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধি আলাউদ্দীন (৩৫) ও তাঁর স্ত্রী পাপিয়া খাতুন (৩০) এমনই অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- পূর্ব সোনাবাড়িয়ার ফসলি মাঠে স্বামী-স্ত্রী দু’জনে মিলে তাদের ১১কাঠার জমির বেগুন ক্ষেতে পরিচর্যা করছেন। নিজেরা সবজি চাষের পাশাপাশি সোনাবাড়িয়া বাজারে ছোট একটি কাচামালের অর্থাৎ তরিতরকারির দোকানও দিয়েছেন আলাউদ্দীন। ‘স্বাভাবিক শরীর’ পক্ষে না থাকলেও নিজের ইচ্ছাশক্তির জোরে সেটিকে তুচ্ছ করে জীবন সংগ্রামে সাবলম্বি হওয়ার প্রত্যয়ে অটুট আছেন তাঁরা।
তারা জানান- বছর দশেক আগে তাদের বিয়ে হয়। ৫বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে তাদের। প্রতিবছর নিজেদের অল্প জমিতে নিজেরাই বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি ফসল চাষাবাদ করে পাইকরি ও খুচরা বিক্রয় করেন।
আলাউদ্দীন জানান- ‘বেগুন চাষে এখন পর্যন্ত আনুমানিক হাজার দুয়েক টাকা খরচ হয়েছে আর ফলনকৃত বেগুন বিক্রয় করেছেন প্রায় ৫হাজার টাকা। এখনো গাছে বেগুন আছে, সেগুলো বিক্রয় হবে। এছাড়া আরেকটি ১০কাঠার জমিতে পটল ও পিয়াজ চাষ করছেন। প্রতি বছর খরচ খরচা বাদ দিয়ে সঞ্চয়ও করতে পারছেন।’
তিনি আরো জানান- ‘সরকার প্রদত্ত প্রতিবন্ধি ভাতা থেকে তিন মাস অন্তর ১হাজার ৮’শ টাকা পান। সবমিলিয়ে দরিদ্রতাকে বিদায় জানাতে কঠোর পরিশ্রম করছেন স্বামী-স্ত্রী দু’জনে। জন্মগতভাবে বাম পা খারাপ থাকলেও কোন জনমজুরি না নিয়ে স্ত্রী ও নিজে-ই সবজি আবাদ করে থাকেন।’
সমাজের ও এলাকার অনন্য দৃষ্টান্ত শারীরিক প্রতিবন্ধি আলাউদ্দীন ও তাঁর স্ত্রী পাপিয়াকে স্যালুট সংবাদকর্মীদের পক্ষ থেকে। কারণ তাদের দেখে কেউ না কেউ যদি উদ্বুদ্ধ হন তবেই আমাদের লেখনির স্বার্থকতা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় বর্ষীয়ান আ ‘লীগ নেতা ডা. মিজানের দাফন সম্পন্ন

মাস্টর মফিজুর রহমান : সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ডা. মিজানুর রহমান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। মঙ্গলবার সকালে সদর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাষ ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।
তার আকষ্মিক মৃত্যুতে শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে সদরের বল্লী ইউনিয়নে মরহুমের গ্রামের বাড়িতেযোন জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরষিদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী, বল্লী ইউপি চেয়ারম্যান মো. বজলুর রহমান প্রমুখ।
এদিকে জেলা আওয়ামীলীগ নেতার মৃত্যুতে সাতক্ষীরার বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাদ আসর মরহুমের নামাজে জানাযা শেষে তার পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest