সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলামসাতক্ষীরা সদরের দত্তবাগ টাইগার ক্লাবের নাইট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনজাতীয় সংহতি দিবস,এই দিনে বিভাজন নয়, ঐক্যের আহবান -কাজী আলাউদ্দিনসাতক্ষীরা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনকে বিজয়ী করতে গণমিছিলতরুণদের উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রীন ইনোভেশন ফেয়ারExplorez les avis des utilisateurs sur gtbet et rejoignez la communautéΕξερευνήστε τις καλύτερες στρατηγικές καζίνο στο gtbet για μεγαλύτερα κέρδηCome registrarsi su Nixbet e iniziare a vincere in pochi passiদেবহাটায় কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে খেলাধুলার আয়োজনগণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নলতা হাসপাতাল হুমকির মুখে :রক্ষার দাবি

প্রসেনজিৎ নায়ক তবে পরীমণির বাবা !

ডিসেম্বরে দীপঙ্কর দীপন তার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র নিয়ে আসতে চান। তবে ‘ডু অর ডাই’ নয়। প্রসেনজিৎ এবং পরীমণিকে নিয়ে যে প্রজেক্ট সম্প্রতি আলোচিত হয়েছে সেটি।

প্রযোজক জানিয়েছেন এর প্রাথমিক নাম ‘নায়িকা’ ঠিক হয়েছে। তবে পরে বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মে মাসে শুরু হবে সিনেমাটির শুটিং জানিয়ে প্রযোজক বলেছেন এটি যৌথ প্রযোজনায় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

৫ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে এক পোস্টে প্রসেনজিৎকে নিয়ে সিনেমার কাজের ইঙ্গিত দেন পরিচালক দীপঙ্কর দীপন। পরে তিনি গণমাধ্যমকে অবহিত করেন প্রসেনজিৎ এবং পরীমণিকে নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন। দীপনের পরিচালনায় দারুণ আলোচিত গত বছরের চলচ্চিত্র ‘ঢাকা অ্যাটাক’ এর অন্যতম প্রযোজক থ্রি হুইলার্স এর কর্ণধারদের একজন মোহাম্মদ আলী হায়দার। শুক্রবার জানান, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া ‘ডু অর ডাই’ এর আগে প্রসেনজিৎ ও পরীমণিকে নিয়ে চলচ্চিত্রটির কাজ শুরু এবং শেষ করবেন তারা। যা হবে যৌথ প্রযোজনায়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রসেনজিৎকে নেওয়ায় চলচ্চিত্রের বাজেট বাড়ছে। ফলে যৌথ প্রযোজনার দিকে যেতে হবে। সমস্ত নিয়ম মেনেই যৌথ প্রযোজনায় নামব আমরা। তিনি আরও বলেন, ‘গল্পের বাস্তবতায় তার (প্রসেনজিৎ) বিকল্প কেউ ছিলনা। ছবির নায়ক প্রসেনজিৎ। তবে তিনি পরীমণির বাবা। এ চরিত্রটি আমি বাংলাদেশের কাকে নিয়ে করতাম? শাকিব খান এটা করতেন না। অন্য সিনিয়রদের যারা একটিভ আছেন তাদের সঙ্গে প্রসেনজিৎ এর বয়সের কেউ নেই। অতএব কেউ সমালোচনা করলেও করার কিছু নেই। সিনেমার বাজার বাড়াতে এবং শিল্পের স্বার্থে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নিশ্চয় আমাদের আছে। ’

এ চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য করেছেন অর্ক মোস্তফা। আলি হায়দার জানান, চলচ্চিত্রটিতে দ্বিতীয় নায়ক চরিত্রে এবিএম সুমন কিংবা তাসকিনের যে কেউ একজন অভিনয় করবেন।মুক্তিযুদ্ধের অবিশ্বাস্য ও দুঃসাহসিক ‘অপারেশন কিলো ফ্লাইট’ এর বীর নায়কদের অন্যতম DHC3-OTTER বিমানের কমান্ডার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শামসুল আলম, বীর উত্তম-এর মুক্তিযুদ্ধের সময়ের এক অসম্ভব সাহসী ও অবিশ্বাস্য গল্প নিয়ে ‘ডু অর ডাই’ এর ঘোষণা আসে ১৭ জানুয়ারি। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু কনসেপচুয়াল পোস্টার উন্মোচন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কিডনি পাথর থেকে বাঁচতে চাইলে এড়িয়ে চলুন ১০ খাবার

বিশ্বব্যাপী মানুষের কিডনিতে পাথর হওয়ার ঘটনা বেড়ে চলায় বিশ্বের নেতৃস্থানীয় স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো এখন বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। কিডনি মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি। যা একটি ফিল্টারের মতো কাজ করে। এর কাজ হলো দেহ থেকে টক্সিন বা খাদ্য বিষ এবং অতিরিক্ত পানি প্রস্রাব আকারে বের করে দেওয়া।
কিন্তু এখন প্রচুর মানুষই কিডনিতে পাথর হওয়ার অভিযোগ করেন। প্রস্রাবে থাকা ক্রিস্টাল বা স্ফটিক থেকে কিডনিতে পাথর হয়। এই পাথর প্রস্রাবের নালিতে ব্যথা এবং প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

কিডনির পাথরসমুহকে ক্যালসিয়াম ফসফেট, সিস্টিন, ক্যালসিয়াম অক্সালেট এবং ইউরিক এসিড হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এসবের মধ্যে ক্যালসিয়াম অক্সালেটই মানুষেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
কিডনিতে পাথর হওয়ার জন্য প্রধানত খাদ্যাভ্যাস দায়ী। সুতরাং কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে বাঁচতে চাইলে কিছু খাবার বেশি বেশি খেতে হবে আবার কিছু খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে হবে।

সবজি, ফল, পূর্ণ শস্য, নিম্ন-চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য, পোল্ট্রি, শীম, মাছ, বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার খেতে হবে বেশি বেশি। সোডিয়াম এবং সুগার কম আছে এমন খাবার খেতে হবে।

তাহলে আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো খাওয়া যাবেন না বা বাদ দিতে হবে।

১. ক্যাফেইন এবং সোডা এড়িয়ে চলুন
আপনি যদি কিডনিতে পাথর রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে তরল খেতে হবে। কিন্তু তাই বলে কফি খাবেন না। দিনে দুই কাপের (২৫০-৫০০) বেশি কফি, চা এবং কোল্ড ড্রিঙ্কস খাবেন না। অতিরিক্ত কফি পানে কিডনির অবস্থা আরো খারাপ হবে।

২. সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। প্রক্রিয়াজাত এবং ক্যানজাত খাবার খাওয়াও বাদ দিতে হবে। কারণ এসব খাবারে প্রচুর লবণ দেওয়া হয় সংরক্ষণের জন্য। তারচেয়ে বরং কম লবণযুক্ত খাবার খান।

৩. বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার
মাংস, মাছ এর মতো উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার পরিমাণও কমিয়ে দিতে হবে। তার চেয়ে বরং চর্বিহীন মাংস সামান্য পরিমাণে তেলে রান্না করে বা সেদ্ধ করে খান। আর বেশি মশলাযুক্ত খাবারও এড়িয়ে চলুন।

৪. উচ্চহারে চর্বিযুক্ত খাবার
পনিরের মতো উচ্চহারে চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়াও বাদ দিতে হবে। তারচেয়ে বরং নিম্নহারে চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খান। নাস্তার জন্যও আপনার পাস্তুরিত দুধ খাওয়াই উচিত। উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

৫. ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি খাদ্য
আপনার যদি কিডনিতে পাথর হয়ে থাকে তাহলে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি আছে উচ্চমাত্রায় এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে আপনাকে। এন্টাসিড ওষুধও এড়িয়ে চলুন কেননা তাতে উচ্চ মাত্রায় ক্যালসিয়াম থাকে। তবে খুবই স্বল্প পরিমাণে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। এছাড়া মাছের তেল বা ভিটামিন ডি খেতেও সাবধান। কেননা কিডনিতে পাথর থাকলে পরিস্থিতি খারাপ করে তুলতে পারে এসব খাবার।

৬. অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার
আপনার কিডনিতে হওয়া পাথরগুলো যদি হয় ক্যালসিয়াম অক্সালেট তাহলে আপনাকে অবশ্যই অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এমন খাবারগুলো হলো, চা, কফি, বিট, লাউজাতীয় তরকারি, মিষ্টি আলু, স্পিনাক, টমেটো স্যুপ, ক্যানজাত ফলের সালাদ, রুবার্ব বা রেউচিনি, স্ট্রবেরি ইত্যাদি। এছাড়া চকোলেট, টোফু, বাদাম এবং মোটাভাবে চূর্ণিত শস্য বাদ দিতে হবে।

আপনার যদি ইউরিক এসিড পাথর হয়ে থাক তাহলে আপনাকে এই খাবারগুলো খাওয়া বাদ দিতে হবে…

৭. অ্যালকোহল
কিডনিতে পাথর হওয়ার সঙ্গে সরাসরি জড়িতে না হলেও অ্যালকোহল কিডনিদে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে আছে পিউরিন উপাদান যা ইউরিক এসিড পাথর তৈরি করতে পারে। এছাড়া অ্যালকোহল কিডনির কর্মক্ষমতা নষ্ট করে।

৮. হেরিং জাতীয় ছোট মাছ
এই চর্বিবহুল মাছটি বেশ সুস্বাদু। কিন্তু কিডনিতে পাথর সৃষ্টি করতে পারে এই মাছ। সুতরাং এই মাছ না খাওয়াই নিরাপদ।

৯. অ্যাসপ্যারাগাস
অনেক মূত্রবর্ধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু কিডনিতে পাথর হলে এটি না খাওয়াই ভালো।

১০. সেঁকা বা গেঁজানো খামির
আপনার কিডনিতে যদি ইউরিক এসিড স্টোন হয়ে থাকে তাহলে সেঁকা বা পোড়ানো অথবা গেঁজানো খামির এড়িয়ে চলাই জরুরি। কেননা এতে উচ্চহারে পিউরিন থাকে।

এছাড়াও শীম ও শুটিজাতীয় খাদ্য, ফুলকপি, কিডনি ও লিভারের মাংস, মাশরুম, অলিভ অয়েল এবং সার্ডিন মাছ খাওয়াও এড়িয়ে চলতে হবে।

আরো কয়েকটি জরুরি পরামর্শ:

প্রতিবেলায় ৮৫ গ্রামের বেশি মাংস খাওয়া যাবে না। আইসক্রিম, ভাজা-পোড়া খাবার এবং সালাদ ড্রেসিং খাওয়ার লোভও সামলাতে হবে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেটস, কমলা, লেবু এবং লেবুর সরবত খেতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অমিতাভ বচ্চন হাসপাতালে ভর্তি

মুম্বাইয়ের লীলাবতি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। তবে হঠাৎ কেন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। যদিও বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের দাবি রুটিন চেকআপের জন্যেই অমিতাভকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।

জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সারা রাত শুটিং করেছেন অমিতাভ। শুক্রবার সকালে বাড়ি ফেরেন বচ্চন। এরপরেই এদিন সন্ধ্যায় অসুস্থতা বোধ করায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে তার পরিবারের লোকজনকেও দেখা গেছে। এমনকি, বিগ-বির অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন তার অসংখ্য অনুগামীরা। তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হজমশক্তি ঠিক রাখতে চাইলে…

হজমশক্তি ঠিক রাখা সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি। এ জন্য কিছু স্বাভাবিক কাজই একটু সতর্কভাবে করতে হবে। হজমশক্তি বাড়ানোর উপায় নিয়ে আজকের টিপস।

শারীরিক অনুশীলন

শরীর সচল রাখলে হজমও সহজ হবে। এ কারণে নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম বা অনুশীলনকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যাপ্ত পানি

পানি পান করার কোনো বিকল্প নেই। প্রচুর পানি পান করলে পরিপাকতন্ত্রও সঠিকভাবে আর্দ্র থাকে এবং হজম সহজ হয়। তবে খাবারের সঙ্গে বেশি পানি পান করা যাবে না। খাওয়ার কিছুক্ষণ পরে পানি পান করতে হবে।

এনজাইমযুক্ত খাবার খান

যেসব খাবারে এনজাইম আছে, সেসব বেশি করে খেতে হবে। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে দই, দানাদার খাবার ইত্যাদি। এ ছাড়া আদা কিংবা পুদিনা পাতাও হজম সহায়ক।

আঁশযুক্ত খাবার

খাবারের আঁশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেসব খাবারে পর্যাপ্ত আঁশ নেই, সেসব খাবার সীমিত খাওয়াই ভালো। শাক-সবজি ও ফলমূলে পর্যাপ্ত আঁশ থাকায় সেগুলো খেতে হবে।

নিয়মিত খাবার গ্রহণ

খাওয়ার সময়টি যেন প্রতিদিন একই থাকে। শরীর পরবর্তী খাবারের সময় অনুযায়ী অভ্যস্থ হয়ে ওঠে এবং সে অনুযায়ী পাচক রস নিঃসরণ করে। কিন্তু খাবারের সময় ঠিক না থাকলে এ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়, হজমে গণ্ডগোল হয়ে যায়।

চা-কফি সীমিত

কয়েক কাপ চা-কফি পান করতে বাধা নেই। বাড়তি ক্যাফেইন পেটে গেলে হজমশক্তি কমে যায়। এ ছাড়া খাবারের অন্তত এক ঘণ্টা পরে চা-কফি পান করতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
উত্তপ্ত সীমান্ত, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন

আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক। আর তারই জের ধরে এবার রাশিয়ার সর্বপশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত কালিনিনগ্রাদ অঞ্চলে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

মনে করা হচ্ছে, পূর্ব ইউরোপে রুশ সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় মার্কিন সামরিক তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে রুশ পার্লামেন্টের প্রতিরক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির প্রধান ভ্লাদিমির শামানোভের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের খবর জানানো হয়েছে। তবে ঠিক কতটি ক্ষেপণাস্ত্র কতদিনের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে তা তিনি জানাননি।

শামানোভ বলেন, ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিদেশি সামরিক ঘাঁটিগুলো বাছাই করা হয়েছে। রাশিয়া এর আগেও একাধিকবার তার পশ্চিম সীমান্তে মার্কিন সেনা সমাবেশের জবাব দিতে কালিনিনগ্রাদে ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র প্রচলিত অথবা পরমাণু ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম।

এদিকে, লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট ডালিয়া গ্রিবুসকাইত রাশিয়ার এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়া স্থায়ীভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। এর ফলে ইউরোপের প্রায় অর্ধেক দেশের রাজধানী শহরের নিরাপত্তা বিপন্ন হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাংলা ভাষায় পর্তুগিজদের যত দান

‘কেদারা’ নিয়ে অনেক গল্প চালু আছে। এর মধ্যে ছাত্র-শিক্ষকের গল্পটি বহুশ্রুত। শিক্ষার্থীর জ্ঞানের বহর যাচাই করার জন্য শিক্ষক বললেন, ‘যাও, একটি কেদারা নিয়ে এসো।’ ছাত্র অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কেদারার সন্ধান করতে পারল না। যখন শিক্ষক বললেন, ‘যাও একটি চেয়ার নিয়ে এসো’—সঙ্গে সঙ্গেই ছাত্র এনে হাজির করল। এই কেদারা শব্দটিকে সাধারণত আমরা বাংলা হিসেবেই দেখে থাকি, যদিও এটি পর্তুগিজ ভাষা থেকে এসেছে। এমন আরো অনেক শব্দ বাংলায় পাওয়া যায় যেগুলো ঠিক বাংলা নয়; কিন্তু যুগ যুগ ধরে শব্দগুলো এতই ব্যবহৃত হয়েছে যা সাধারণ মানুষের কাছে বাংলা হয়ে গেছে।

ফিরিঙ্গি, হার্মাদের মতো অপবাদ যে জাতির বিরুদ্ধে দেওয়া হতো শুরুতে তারা হচ্ছে পর্তুগিজ। তবে তারা এ দেশে অনেক নতুন নতুন জিনিসপত্র ও পণ্যদ্রব্য নিয়ে এসেছিল। এর মধ্যে গাছগাছালিই ছিল ৩৫ রকম। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে বাদাম, ব্রাজিল থেকে আনারস, আফ্রিকা ও মোজাম্বিক থেকে আতাফল, পেরনাম্বুকো থেকে লাল মরিচ, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পেঁপে, ইন্ডিগো থেকে নীল, আফ্রিকা ও ব্রাজিল থেকে আলু, চিনা আলু ও মিষ্টি আলু; পেরু ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে কৃষ্ণকলি এবং রঙিন ফুল তাদের হাত ধরেই আসা। এগুলো বাংলা শব্দের ভাণ্ডারে এমনভাবে মিশে গেছে যে মৌলিক পরিচয়টিই হারিয়ে গেছে। এখন আম, বাদাম, আলু, আতা, পেঁপে কিংবা মরিচকে অন্য ভাষার শব্দ বললে বরং সেটাই বেমানান হয়ে যাবে।

আকবরের শাসনামলে ১৬০৫ সালের দিকে পর্তুগিজদের কল্যাণে বাংলায় সর্বপ্রথম তামাক চাষ শুরু হয়। তবে তারা ১৫০০ সালের দিকে এ দেশে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে যাতায়াত শুরু করে বলে বিভিন্ন ইতিহাসবিদ মনে করেন। অনেক প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে ক্ষতিকর তামাক চাষ শুরু করে তারা হার্মাদ নামের সত্যতা প্রমাণ করেছে বলে অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন। কারণ তামাক একটি নেশাজাতীয় পণ্য হলেও এর ব্যবহার এত ব্যাপকতা লাভ করেছে, যা থেকে কোনো দেশই মুক্তি পাচ্ছে না। একই সময় লিচু ফলটি তারা বঙ্গে নিয়েছিল। তামাক শব্দটি যেমন কুখ্যাত তেমনি লিচু কিংবা পেয়ারা শব্দ দুটি সবার কাছে সুস্বাদু শব্দে পরিণত হয়েছে।

যুগ যুগ ধরেই পর্তুগিজ শব্দ বাংলা ভাষায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এতে ভাষা সমৃদ্ধ হয়েছে না ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটা নিয়ে প্রথম দিকে অনেক তর্ক-বিতর্ক হলেও বর্তমানে বাঙালিরা সেসব শব্দ সুন্দরভাবে গ্রহণ করেছে। বর্তমানে প্রতিটি বাঙালির ঘরে ঘরে আলমারির ব্যবহার রয়েছে। এটি প্রথম পর্তুগিজরাই নিয়ে আসে। একইভাবে কামরা, জানালা, গরাদ, চাবি, কামিজ, ফিতা, বোতাম, আলপিন, গামলা, বালতি ও কেরানি শব্দগুলো পর্তুগিজ থেকে ধার করা হলেও বর্তমানে শব্দটি বাংলাভাষীদের বহুল ব্যবহৃত শব্দে পরিণত হয়েছে।

বাঙালিদের একটি প্রিয় খাবার মোরব্বা। সেটাও তারা উদ্ভাবন করে। একইভাবে আম, কমলা, লেবু ও আদা থেকে তৈরি খাবার পণ্যও তাদের হাত ধরে এ দেশের মানুষ ব্যবহার করতে শিখেছে। কালের প্রবাহে পর্তুগিজদের অস্তিত্ব এখানে না থাকলেও তাদের ব্যবহৃত শব্দগুলো বাঙালিদের মধ্যে জিইয়ে আছে। এমনকি একসময়ে পর্তুগিজ শাসিত ভাওয়ালের নাগরী এলাকায় অনেক পর্তুগিজ আচার, ভাষা ও শব্দ টিকে আছে। সেখানকার লোকজন তরকারির ঝোলকে ‘কালদো’ বলে। এ কালদো শব্দটি পর্তুগিজ থেকে এসেছে। তেমনি সেখানে বহুল ব্যবহৃত শব্দ কোমাদি (কম্পানি), কেন্দু (বড় বোনের স্বামী), নানু (বড় ভাই), পাদু (ধর্মপিতা), পুতু (কাকা), মাদি (ধর্ম মাতা) ও মানা (বড় বোন) পর্তুগিজ ভাষা থেকে এসেছে।

ভাওয়ালের খ্রিস্টান ধর্মপল্লীতে বসে প্রথম বিদেশি হিসেবে বাংলা ভাষার গ্রন্থ লিখেছিলেন পর্তুগিজ পাদরি মানো এল দো আসসুম্পসাঁও। বইটি পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে ১৭৪৩ সালে বই আকারে ছাপা হয়েছিল। তখন বাংলা হরফ আবিষ্কার না হওয়ায় রোমান শব্দে বাংলা উচ্চারণরীতি ওই গ্রন্থে পালন করা হয়। বহু ভাষাবিদ ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় এটাকে বাংলা ভাষার প্রথম বই হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘উক্ত বইতে বাংলা ভাষার প্রাচীন গদ্য সংরক্ষিত হয়েছে। কোনো বিদেশির হাতে এটাই সর্বপ্রথম বাংলা ভাষায় লেখা গ্রন্থ।’

আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের বিবরণ থেকে জানা যায়, আরবদের পরে পর্তুগিজরা প্রথমে ব্যবসায়ী হিসেবে এবং পরে ধর্ম প্রচারের জন্য এ দেশে এসেছিল। তারা সে সময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল। অনেকে ধুতি পাঞ্জাবি পরে খাঁটি বাঙালি সেজেছিল। যার কারণে তাদের অনেক সংস্কৃতি, আচার ও ভাষা বাঙালিদের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল। বিশেষ করে তাদের অনেক শব্দ বাংলা ভাষার অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে, যা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আর পর্তুগিজদের আগে আরবীয়রা এ দেশে এসেছিল বলে অনেক আরবি শব্দও পর্তুগিজরা গ্রহণ করেছিলেন।

আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ তাঁর ইসলামাবাদ গ্রন্থে কতগুলো পর্তুগিজ শব্দ উল্লেখ করেছেন, যা বাংলা শব্দে রূপান্তর হয়েছে। সেগুলো হলো কাপ্তান, পিন, কামান, কার্তুজ, কম্পাস, তাঁবু, খ্রিস্টাব্দ, আলকাতরা, গুদাম, চা, চাবি, চুনা, ছাপ, নিলাম, ঝড়, তোয়ালে, পাউরুটি, পাদ্রি, পালকি, পিপা, পাতিহাঁস, ফর্মা, জাহাজের বয়া, বর্গা, ভাতা, ভাপ, মাদি, মাস্তুল, মিস্ত্রি, মেজ, লস্কর, লণ্ঠন, লেবু, সাগু, সিপাহি, ডাকাত প্রভৃতি। প্রতিটি শব্দই এখন বাংলা শব্দে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলা ভাষাকে এসব পর্তুগিজ শব্দ বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছে।

সূত্র: কালের কণ্ঠ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অবৈধ ব্যবসায় নাম জড়াল রাইমার!

সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের জামা-কাপড় আইন ফাঁকি দিয়ে শিয়ালদায় নিয়ে আসা। তার পর তা কলকাতা তো বটেই, পাশাপাশি সারা ভারতেই বিক্রির জন্য ছড়িয়ে পড়া। আইন ফাঁকি দিয়ে এই অবৈধ ব্যবসার রমরমার কথা অনেকেরই জানা।

সেই অবৈধ ব্যবসার সঙ্গেই এবার নাম জড়িয়ে গেল জনপ্রিয় নায়িকা রাইমা সেনের!

জানা গেছে, আবুল বাশারের ‘ভোরের প্রসূতি’ অবলম্বনে একটি ছবি তৈরিতে হাত দিয়েছেন পরিচালক আশিস রায়। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র, অর্থাৎ যে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, তার নাম সিতারা। এই চরিত্রটির নামেই ছবিরও নাম রেখেছেন পরিচালক। আর এই সিতারার ভূমিকাতেই বাংলা ছবির পর্দা এ বার দেখবে রাইমা সেনকে।

আশিস রায়ের এই ছবিটিতে রাইমা ছাড়াও দেখা যাবে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা এফ আর বাবুকে। তিনি ছবিতে অভিনয় করবেন সিতারা ওরফে রাইমার স্বামীর চরিত্রে। এছাড়া এম নাসির, যিনি ‘বাহুবলী’ ছবিতে শিবগামী দেবীর স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, তাকেও সিতারা-য় দেখা যাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায়।

খবর বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখ থেকেই ছবিটির শুটিং শুরু হয়েছে। আপাতত জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারের সীমান্ত এলাকায় শুটিং চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কারাগারে খালেদা জিয়ার ২৪ ঘণ্টা

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজা ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সোয়া তিনটায় কারাগারে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনটিকে ‘সাবজেল’ ঘোষণা করে সেখানে রাখা হয় তাকে। বর্তমানে একজন নারী ও একজন পুরুষ ডেপুটি জেলার ও কয়েকজন নারী কারারক্ষী এই ‘সাবজেলে’ দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া, বাইরে রয়েছেন আরও শতাধিক কারারক্ষী। তারা সবাই খালেদা জিয়ার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।

কারা সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া কারাগারে সুস্থ আছেন। তারপরও তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেহেরুন নেছা নামে একজন মহিলা নার্সকে সার্বক্ষণিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিকালে তিনি হালকা নাস্তা করলেও রাতে কারাগারের দেওয়া খাবার খেয়েছেন। সবজি, মাছ, মাংস ও ডালসহ সব ধরনের খাবারই তাকে দেওয়া হয়েছিল। তার পছন্দের খাবার পেপের জুসও দেওয়া হয়। এছাড়া, খালেদা জিয়া যে কক্ষে রয়েছেন সেখানে ডিস সংযোগ ও এসি লাগানো হয়েছে।

কারা সূত্র আরও জানায়, খালেদা জিয়া বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পরপরই ঘুমিয়েছেন।শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘুম থেকে উঠে কয়েকটি পত্রিকা পড়েছেন। এরপর তাকে রুটি, সবজি, ডিম ও চা দেওয়া হয়। তিনি সেগুলো খেয়েছেন। দুপুরেও কারা কর্তৃপক্ষের দেওয়া খাবার খেয়েছেন খালেদা জিয়া। শুয়ে, বসে, পত্রিকা পড়ে ও কারারক্ষীদের সঙ্গে আলাপ করেই সময় কাটিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার সকালে খালেদা জিয়ার জন্য তার পছন্দের কিছু ফল নিয়ে জেল গেটে গিয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতার স্ত্রী। কিন্তু খালেদা জিয়ার পছন্দের সেই ফল পৌঁছেনি তার কাছে। জেল গেট থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাদের। দুপুরে আবারও ফল নিয়ে জেলগেটে যান বিএনপির তিন নেত্রী। তারা হলেন অ্যাডভোকেট আরিফা জেসমিন, নেত্রকোনা জেলা মহিলা দলের যুগ্মআহ্বায়ক রেহানা তালুকদার ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি উম্মে কুলসুম রেখা। পুলিশ তাদেরও ফিরিয়ে দেয়।

শুক্রবার বিকাল তিনটার দিকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়ার জন্য খাবার নিয়ে যান তার মেজো বোন সেলিমা রহমান ও ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার, শামীমের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও ছেলে অভীক ইস্কান্দার। আধা ঘণ্টা অপেক্ষার পর বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে তারা একটি গাড়িতে করে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে তারা কারাগার এলাকা ত্যাগ করেন।

কারা অধিদফতরের ঢাকা বিভাগের ডিআইজি (প্রিজন্স) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির কয়েদি বন্দি হিসেবে খালেদা জিয়া সব সুবিধা পাবেন। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টা কারা কর্তৃপক্ষের দেওয়া সব খাবারই তিনি খেয়েছেন। তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন। বিকালে খালেদা জিয়ার স্বজনরা তার সঙ্গে দেখা করে কিছু খাবার ও ফল দিয়ে গেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest