সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনও

পৌর কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসানের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর আলহাজ্ব কাজী ফিরোজ হাসানের উদ্যোগে শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার বিকালে কাজীপাড়া এলাকায় প্রায় ২শ শীতার্থ পরিবারের মাঝে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলহাজ্ব কাজী ফিরোজ হাসান, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিমা রাণী মন্ডল। এছাড়াও উপস্থিত কাজী বাদশা, কাজী আব্দুল মতিন, বিমান, কাজী আব্দুল মাগফুর, কাজী আব্দুল মোমিন, কাজী বাবু, কাজী বেলাল, কাজী মানিক সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এ শীতবস্ত্র বয়ে অসহায়, দরিদ্র ব্যক্তিরা শীতবস্ত্র পেয়ে পৌর কাউন্সিলর কে ধন্যবাদ জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রেবেকা ইমতিয়াজ ট্রাস্ট এর পক্ষ থেকে চাদর বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রেবেকা ইমতিয়াজ ট্রাস্ট এর পক্ষ থেকে গরিব ও অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র(চাদর) বিতরণ করা হয়েছে। গত ৮ জানুয়ারি ২০১৮ সাল শ্যামগনরের কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ঘোলা গ্রামের আশ্রায়ন প্রকল্প এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, এই ট্রাস্ট্রের সভাপতি জি এম আব্দুল্লাহ আল মামুন। এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরাও উক্ত বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে প্রকৃত গরিবদেরকে শীতবস্ত্র বিতরণের সাহায্য করেন। এসময় মোট ৮০ জন অসহায় ব্যক্তিদের শীতবস্ত্র(চাদর) বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য : রেবেকা ইমতিয়াজ ট্রাস্ট সিডোর পরবর্তী বছর ২০০৮ সালে বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলীয় জেলা সাতক্ষীরা দুর্যোগ এলাকার মানুষের জন্য জন্মলাভ করে। সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার উপকুলীয় এলাকা জুড়ে আজ অবধি সিডোর ও আইলার তান্ডব চোখে পড়ে যা অন্যান্য জেলার তান্ডবতা থেকে ভিন্ন। যেমন, জোয়ারের পানিতে অনেক ইউনিয়ন এখনও প্লাবিত হয় এবং বর্ষা মৌসুমে ডুবে থাকে অনেক এলাকা। অত্র এলাকার বেশিভাগ গরিব দুঃখী মানুষের সহায়তায় ঘোলার সন্তান ডাঃ জি এম ইমতিয়াজ উদ্দীন সম্পূর্ন ব্যক্তিগত ও স্বীয় পরিবারের দানের এই ট্রাস্ট চালিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়াও এই ট্রাস্টের এই পর্যন্ত সুপেয় পানির জন্য ডিপ টিউবওয়েল দান করেছেন। আরো দুটি স্কুল বর্তমানে এই এলাকারই বাচ্চাদের শিক্ষাদান করে যাচ্ছে। তাছাড়া আরো একটি স্কুল ভবন নির্মানাধীন আছে। মানুষের শিক্ষাদান ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করায় এই ট্রাস্টের মুল উদ্দেশ্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাটকেলঘাটা আজিজ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের কম্বল বিতারণ

পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি : পাটকেলঘাটা আলহাজ্ব আঃ আজিজ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অসহায়, দুস্থ, ছিন্নমূল শীতার্থ মানুষের মাঝে শীত নিবারণে কম্বল বিতারণ করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় শাকদাহ আজিজ কমপ্লেক্স এর আজিজ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এলাকার হতদরিদ্র শীতার্থ ১৫০ জন মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আলহাজ্ব আব্দুল জলিল মোল্যা, বিশেষ অতিথি ছিলেন, আলহাজ্ব মাহাতাব উদ্দীন, আব্দুল ওয়াদুদ মোল্যা, আব্দুল আলিম, মেহেদী হাসান, ডালিম হোসেন, শহিদ হোসেন প্রমূখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : শহরের মাছখোলায় হাজী সামছুদ্দিন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র(কম্বল) বিতরণ করেছেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু। রোববার রাতে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে এ কম্বল বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কুমার সানা, আলহাজ্ব সাজ্জাত হোসেন, মাও: মিজানুর রহমান, মোঃ সাইফুল্লাহ, মোঃ সুলতান কারিগর, মোঃ জাকির হোসেন,রবিউল ইসলাম নয়ন, রাশেদুজ্জামান চৌধুরী, মোঃ কবির হোসেন আকাশ, পলাশ কুমার সানা প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডিআইজি মিজানের কাণ্ডে সারাদেশে তোলপাড়!

বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে তুলে নিয়ে জোর করে বিয়ের কথা শোনা যায়। আর এমন কাজ করে বখাটে যুবক কিংবা সন্ত্রাসীরা। আর সেই নারীকে উদ্ধারে নায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন পুলিশ। এমন ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু সেই পুলিশই এবার মরিয়ম আক্তার ইকো নামের এক নারীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করলেন। আর সেই নারী যখন পুলিশ স্বামীর স্ত্রী পরিচয় দিতে চাইলেন তখনই তাকে ফাঁসানো হলো মামলার জালে। যা রীতিমতো ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। যদিও নিজের বিরুদ্ধে উঠা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মিজানুর রহমান।

দেশের একটি শীর্ষ স্থানীয় দৈনিককে মরিয়ম আক্তার ইকো জানিয়েছেন, চাকরির জন্য বান্ধবীর পরিচয় সূত্রে এক নারীর মাধ্যমে মিজানুর রহমানের সঙ্গে প্রথমে মুঠোফোনে পরিচয় হয় তার। এরপর তিনি তাকে ফোনে কথা বলার সময় বিয়ে করার ইঙ্গিত দিতেন। এরই মধ্যে গত বছরের ১৪ জুলাই ইকোকে তাদের পান্থপথের বাসা থেকে এক রকম কৌশলে তার গাড়িতে তুলে জোরপূর্বক ৩০০ ফুট এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন ইকো। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ডিআইজির বেইলি রোডের বাসায়। সেখানে তাকে সুস্থ করার কথা বলে অষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। ইকো জানান, পরদিন দুপুর ১২টার দিকে তিনি ঘুম থেকে জেগে দেখতে পান তার পরনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মিজানের স্লিপিং ড্রেস এবং তিনি তার বেডরুমে। বুঝতে পারেন, তার সর্বনাশ হয়ে গেছে। এরপর কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ডিএমপি কার্যালয় থেকে ছুটে আসেন মিজানুর রহমান। ইকোকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। ১৪ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত ৩ দিন ওই বাড়িতেই ছিলেন ইকো।

পরবর্তীতে, খবর দেওয়া হয় ইকোর মা কুইন তালুকদারকে। বগুড়া থেকে তার মা কুইন তালুকদার ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় ডিআইজির বেইলি রোডের বাসায় এসে পৌঁছান। এরপর অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক তার সঙ্গে ইকোর বিয়ে দিতে মা-মেয়েকে রাজি করান। ৫০ লাখ টাকা দেনমোহরে মরিয়ম ও মিজানুর রহমানের বিয়ে পড়ানোর জন্য মগবাজার কাজী অফিসের কাজীকে ডেকে আনা হয়। বিয়ের পর ওই রাতেই মা-মেয়েকে ছেড়ে দেয়া হয়।

পরে লালমাটিয়ায় ৫০ হাজার টাকার ভাড়া ফ্ল্যাটে নিয়ে গোপনে সংসার শুরু করেন ডিআইজি মিজান। ওই ফ্ল্যাটের নিচে সাদা পোশাকে সার্বক্ষণিক পুলিশের দু’জন সদস্যকে পাহারায় রাখা হয়। এর ফলে ইকো এক রকম গৃহবন্দি হয়ে পড়েন। মাঝে মাঝে তাকে নির্যাতন করা হতো বলেও অভিযোগ করেন ইকো। ৪ মাস এভাবে অতিবাহিত হওয়ার পর ডিআইজি মিজানকে স্বামী হিসেবে পরিচয় দিয়ে অফিসে মুডে থাকা একটি ছবি ফেসবুকে আফলোড করেন। এতেই চরমভাবে ক্ষিপ্ত হন মিজানুর রহমান। এ ছবির বিষয়টি পুলিশের উপর মহলে জানাজানি হয়ে যায়। ফেসবুক থেকে দ্রুত ছবিটি সরিয়ে ফেলতে তিনি লালমাটিয়ার বাসায় ছুটে আসেন। সেখানে বিষয়টি নিয়ে স্ত্রী ইকো, শাশুড়ি কুইন তালুকদারের সঙ্গে তার চরম মাত্রায় বাকবিতণ্ডা হয়। একই পর্যায়ে ডিআইজি মিজান তার বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দেন।

পরবর্তীতে মামলাও হয়। সেই মামলায় ৫৪ ধারায় সেগুনবাগিচার একটি রেস্তোরাঁ থেকে পুলিশ ইকোকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তিন সপ্তাহ কারাভোগের পর সপ্তাহখানেক আগে মরিয়ম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। নতুন করে তাঁকে মামলায় জড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে মরিয়মের পরিবার।

এদিকে, পুলিশ কর্মকর্তার এমন বিয়ের খবর প্রকাশ হতেই চারদিকে সমালোচনার ঝড় উঠে। পুলিশের এমন রূপ সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে। গতকাল থেকে শুরু করে আজও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকে।

যদিও নিজের বিরুদ্ধে উঠা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মিজানুর রহমান। দেশের একটি শীর্ষ স্থানীয় দৈনিককে তিনি বলেন, মরিয়ম আক্তার ইকো একজন প্রতারক। তাঁর মা, নানিও একই রকম। তাঁর সঙ্গে ইকোর মাত্র দুবার দেখা হয়েছে। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইকোর আপলোড করা ছবির জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
উন্নয়নের বড় হুমকি জঙ্গিবাদ : প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদ সবচেয়ে বড় সমস্যা। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সমস্যাকে সমাধান করতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। একজন সন্ত্রাসীর কোনো ধর্ম-বর্ণ ও গোত্র নাই। সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই। আমরা ধর্মের নামে যেকোনো সহিংস কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই।’

‘আর বিশেষ করে ইসলাম শান্তির ধর্ম। সেখানে মানুষ হত্যা করে বেহেশতে যাওয়া যাবে—এ ধরনের বিভ্রান্তি যারা পোষণ করে, তারা কখনোই বেহেশতে যাবে না। কাজেই ইসলাম যে শান্তির ধর্ম, সেই শান্তি বজায় রাখা সবারই কর্তব্য।’

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘কিন্তু অযথা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের পবিত্র ধর্মকে অনেকেই কলুষিত করছেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত ১১টি কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহী দলের নয়নাভিরাম প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। এবারের পুলিশ সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য ‘জঙ্গি-মাদকের প্রতিকার, বাংলাদেশ পুলিশের অঙ্গীকার’।
জঙ্গিবাদ দমনের ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশের মাটিতে কোনো জঙ্গি-সন্ত্রাস বা যুদ্ধাপরাধীদের স্থান হবে না। আমরা চাই, বাংলাদেশের মাটি থেকে জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ মুক্ত হবে, বাংলাদেশ শান্তির দেশ হবে। তাই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল করে আমরা দেশের প্রতিটি মানুষের শান্তি-নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই।’

‘সে কারণেই আমরা এ দেশের সর্বস্তরের মানুষ, আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা একেবারে গ্রাম বা তৃণমূল পর্যায় থেকে সব গোষ্ঠী, সব সম্প্রদায়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলে এই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদকে আমরা বাংলার মাটি থেকে নির্মূল করতে চাই।’

এর আগে প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে গত বছর (২০১৭) পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩০ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ৭১ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৮ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ৫৩ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ প্রদান করেন।

জঙ্গি ও সন্ত্রাস মোকাবিলায় শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, ইন্সপেক্টর মরহুম চৌধুরী মো. আবু কয়ছর ও ইন্সপেক্টর মরহুম মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামকে বিপিএম-মরণোত্তর পদক প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পদক প্রদান করবেন।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়াম উদ্বোধন, পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) স্টল পরিদর্শন এবং পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কল্যাণ প্যারেডে অংশগ্রহণ করেন।

পুলিশ সপ্তাহের এবারের প্যারেডে অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন পুলিশ সুপার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন। তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত প্যারেডে অংশ নেন সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য।
পুলিশ সপ্তাহের কর্মসূচি
পুলিশ সপ্তাহের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মেলন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের সম্মেলন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতির ভাষণ, পুরস্কার বিতরণ (আইজি’জ ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র/মাদক উদ্ধার প্রভৃতি), অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের পুনর্মিলনী, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইজিপির সম্মেলন এবং বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা ইত্যাদি।

আগামী ১২ জানুয়ারি শুক্রবার আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ-সংক্রান্ত মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহ শেষ হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নেইমারের অসাধারণ গোল; পিএসজির জয় ৬-১ এ
বেচারা এডিনসন কাভানি! শীতকালীন ছুটি পেয়ে গিয়েছিলেন পরিবারের কাছে। উরুগুয়েতে নববর্ষ উদ্‌যাপন সেরে আর যথাসময়ে ফিরতে পারেননি প্যারিসে। কোচ উনাই এমেরেও কোনো রকম ছাড় দেননি। ফ্রেঞ্চ কাপে রেঁনের বিপক্ষে দল গড়েছিলেন উরুগুয়ে স্ট্রাইকারটি ছাড়াই। কাভানির নিশ্চয়ই দারুণ অনুশোচনা হচ্ছে! মাঠে নামলে যে তাঁরও অবদান থাকত মৌসুমের অন্যতম সেরা গোলে!

‘কাউন্টার অ্যাটাক’ থেকে সব দল গোল আদায় করে নিতে পারে না। এ জন্য চাই দ্রুতলয়ের পাস আর ‘স্প্রিন্টার’ ফুটবলার। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, গ্যারেথ বেলের মতো দ্রুতগামী ফুটবলার থাকায় রিয়াল মাদ্রিদ এ কাজে সিদ্ধহস্ত। তবে রেঁনের বিপক্ষে পিএসজিও বুঝিয়ে দিয়েছে ‘কাউন্টার অ্যাটাক’-এ তারাও কম যায় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকের মতেই এটা মৌসুমের সেরা গোল। এ নিয়ে তর্কের অবকাশ থাকলেও গোলটা যে মৌসুমের ‘অন্যতম সেরা’, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।

প্রথমার্ধে নির্ধারিত সময়ের ২ মিনিট আগে নিজেদের বক্স থেকে দারুণ বোঝাপড়ায় আক্রমণে ওঠে পিএসজি। সেখান থেকে নেইমার বল পান মাঝমাঠে থাকতে। দুরন্ত গতিতে রেঁনের বিপৎসীমায় ঢুকে পাস দেন অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়াকে। সেখান থেকে কিলিয়ান এমবাপ্পের পা হয়ে বল নেইমারের কাছে এবং গোল! নিজেদের বক্স থেকে পিএসজি এ গোল করেছে মাত্র ১৭ সেকেন্ডের ব্যবধানে।

সেই গোলটির মতো নেইমার-এমবাপ্পেরাও খেলেছেন চোখধাঁধানো ফুটবল। রেঁনেকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করে শেষ ষোলোয় উঠেছেন উনাই এমেরের শিষ্যরা। জোড়া গোল করেছেন নেইমার, এমবাপ্পে এবং ডি মারিয়া। এ মৌসুমে ২২ ম্যাচে নিজে ১৪ গোল করার সঙ্গে সতীর্থদের দিয়ে আরও ১৪ গোল করিয়েছেন এমবাপ্পে। নেইমারও আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। এ পর্যন্ত ২১ ম্যাচে তাঁর গোলসংখ্যা ১৯, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও ১২ গোল।

দেখুন সেই গোলের ভিডিও (৪৩ মিনিট):

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অনিয়মের প্রতিবাদ করায় অভিভাবককে বেঁধে পেটালেন শিক্ষকরা

কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা খরুলিয়া এলাকায় স্কুলের অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাওয়ায় আয়াত উল্লাহ নামে এক অভিভাবককে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার আয়াত উল্লাহর ছেলে শাহরিয়ার নাফিস আবির খরুলিয়া কেজি এ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। নাফিস প্রথম শ্রেণিতে এ প্লাস না পাওয়ায় এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বোরহান উদ্দিনের কাছে জানতে সকালে স্কুলে যান আয়াত উল্লাহ। একই সময় পূর্বঘোষণা ছাড়াই ভর্তি ও মাসিক বেতন কেন বাড়ানো হয়েছে তাও জিজ্ঞেস করেন। এ নিয়ে শিক্ষক বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়।

এ সময় পার্শ্ববর্তী খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হককে ডেকে আনেন বোরহান। শুরু হয় ত্রিমুখী তর্ক-বিতর্ক। একপর্যায়ে ঘটনাটি হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। এ সময় আয়াত উল্লাহ ছিলেন একা। ‘কেন এসব জানতে চাচ্ছ’ এই বলে শিক্ষক জহিরুল হক আয়াত উল্লাহকে  ধাক্কা দেয়। একই সময় বোরহান উদ্দিনও তাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় মাটিতে পড়ে যান অভিভাবক আয়াত উল্লাহ।

এরপর রশি দিয়ে তার হাত ও পা বেঁধে ফেলা হয়। তাকে মারধর করতে থাকেন দুই শিক্ষকসহ তাদের সহযোগীরা। আয়াত উল্লাহকে লাথি মারে ও থুথু দেন শিক্ষক জহিরুল হক ও বোরহান উদ্দিন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে কেউ সাহস পায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আয়াত উল্লাহকে এমনভাবে মারা হচ্ছে যেন তিনি একজন বড় সন্ত্রাসী। মধ্যযুগীয় কায়দায় তাকে নির্যাতন করা হলেও কোন শিক্ষক বা ছাত্রছাত্রী তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে যায়নি। পরে তার চিৎকার শুনে স্কুলের আঙিনায় গিয়ে পৌঁছে পথচারীরা। শিক্ষক-ছাত্রদের পায়ের নিচ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।  পরে এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে আয়াত উল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই স্কুলে প্রায় সময় অনিয়ম করা হয়। কিছুদিন আগে কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই শিক্ষক নিয়োগ করা হয় খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। কেজি স্কুলে নানা অনিয়ম রয়েছে। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে অনিয়ম করেন অনেক শিক্ষক। এ নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।তিনি বলেন, আমার ছেলের কাঙ্খিত ফলাফল কেন হয়নি? কোন যুক্তিতে ভর্তি ফি ও মাসিক বেতন বাড়ানো হয়েছে? জানতে চাওয়ায় আমার উপর নির্যাতন করা হয়েছে। দুই শিক্ষকই এই ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছে। শিক্ষক জহিরুল হক, নজিবুল্লাহ, নুরুল হকসহ আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষক আমার উপর নির্যাতনে সরাসরি জড়িত।

কেন এমন ঘটনা সৃষ্টি করা হয়েছে জানতে চাওয়া হয় খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হকের কাছে। তিনি বলেন, আয়াত উল্লাহ আমাদের স্কুলের ছাত্র ছিল। বেয়াদবি করায় তাকে এমন শাস্তি দেয়া হয়েছে। এমনকি আর কোনদিন ‘বেয়াদবি করবে না’ মর্মে মুচলেকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে একজন শিক্ষক হিসেবে হাত-পা বেঁধে মারধর করা উচিত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নয় বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ঘটনাটি ক্ষুব্ধ লোকজন ঘটিয়েছে।

অভিযুক্ত অপর শিক্ষক বোরহান উদ্দিনের মুঠোফোনে কল করা হলেও ওপার থেকে নিজেকে বোরহান উদ্দিন নয় দাবি করে বলা হয়, ভর্তি ফি, মাসিক ফি ইত্যাদি বিষয় স্কুল পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মতে হয়। আমাদের কাছে জানতে চাওয়ায় আয়াত উল্লাহকে কমিটির কাছে যেতে বলা হয়। তাতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে যান।এতটুকু উত্তর দিয়ে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। নিজের সঠিক পরিচয় দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

এর কিছুক্ষণ পরে একই ব্যক্তি কল করে অারেকটি মোবাইল নম্বর দিয়ে বলেন, এটি বোরহান স্যারের নম্বর। কল দিলে বিস্তারিত জানবেন। কিন্তু ওই নম্বরে ফোন করেও কোন সাড়া মেলেনি। এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নোমান হোসেন বলেন, শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে এমন আচরণ আশা করা যায় না। খুনের আসামি কিংবা বড় মাপের কোন অপরাধীকেও এভাবে শাস্তি দেয়ার বিধান নেই। এটি চরমভাবে মানবাধিকারের লঙ্ঘন। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা দরকার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest