সর্বশেষ সংবাদ-
ভারতীয় পর্ন ভিডিওতে সাংবাদিকের ছবি জুড়ে ব্লাকমেইল করে চাঁদা দাবিকালিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দূধর্ষ ডাকাতিজুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণভোমরার ইউপি চেয়ারম্যানকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিলেন ইউনিয়নবাসীআশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদের

আজ ১০ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বেলা ১টা ৪১ মিনিটে জাতির অবিসংবাদিত নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি পাকিস্তান থেকে লন্ডন যান। তারপর দিল্লী হয়ে ঢাকা ফেরেন।

পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্ত স্বদেশ ভূমিতে ফিরে আসার ঘটনা ছিল বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাসের আরেক আশীর্বাদ এবং বিজয়ের পূর্ণতা।

জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের প্রেক্ষাপটে সাংবাদিক ও কলমিস্ট আবুল মকসুদ বলেন: বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করেছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, তিনি ফিরে না এলে দেশের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়তো। বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরা না পর্যন্ত দেশের মানুষ উদ্বেগে ছিল। সে সময় দেশে গৃহযুদ্ধ লেগে যেতে পারতো। মুক্তিযুদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পন, ভারতীয় সেনাদের ফিরে যাওয়া ও বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি আদায় অনিশ্চিত হতো বঙ্গবন্ধু না এলে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। স্বাধীনতা ঘোষণার অব্যবহিত পর পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে তাকে গ্রেফতার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে আটক রাখা হয়।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধের পর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যদিয়ে জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে।
জাতির জনক পাকিস্তান থেকে ছাড়া পান ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর রাতে ইংরেজি হিসেবে ৮ জানুয়ারি। এদিন বঙ্গবন্ধুকে বিমানে তুলে দেয়া হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় তিনি পৌঁছান লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে। বেলা ১০টার পর থেকে তিনি কথা বলেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ, তাজউদ্দিন আহমদ ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেকের সঙ্গে। পরে ব্রিটেনের বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে পরের দিন ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন।
১০ তারিখ সকালেই তিনি নামেন দিল্লিতে। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সমগ্র মন্ত্রিসভা, প্রধান নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান এবং অন্যান্য অতিথি ও সে দেশের জনগণের কাছ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা লাভ করেন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জনক শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু ভারতের নেতৃবৃন্দ এবং জনগণের কাছে তাদের অকৃপণ সাহায্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। তাঁর এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেন ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা হিসেবে।’

বঙ্গবন্ধু ঢাকা এসে পৌঁছেন ১০ জানুয়ারি। ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের পর বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য প্রাণবন্ত অপেক্ষায় ছিল। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাঁকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানান। সেই সময়ে প্রকাশিত পত্রিকা খেকে জানা গেছে, বিকাল পাঁচটায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন। সশ্রদ্ধ চিত্তে তিনি সবার ত্যাগের কথা স্মরণ করেন, সবাইকে দেশ গড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ করেন।

বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী সরকার তাঁর নির্দেশিত পথে যুদ্ধ পরিচালনা করে। নয় মাসের যুদ্ধের এক পর্যায়ে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্ত রূপ নিতে শুরু করে। ধীরে ধীরে স্বাধীনতা অর্জনের পথে মুক্তিযোদ্ধা, জনতা ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণ তীব্র হয়। জয় তখন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় মাত্র। ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তোলা হয় । প্রবাসী সরকারের নেতৃত্বও বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার ভূমিকা রাখেন। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হলে পাকিস্তানী বর্বর শাসকগোষ্ঠী বাধ্য হয় তাকে সসম্মানে মুক্তি দিতে।

প্রবাসী অস্থায়ী আওয়ামী লীগ সরকার সরকার পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে এবং ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন।

স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথম সরকারের সাফল্য ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন এবং প্রায় এক কোটি শরণার্থীর পুনর্বাসন। বঙ্গবন্ধু সরকার অত্যন্ত সাফল্যের সাথে এই গুরু দায়িত্ব সম্পন্ন করে। দুর্ভিক্ষের যে আশংকা করা হয়েছিল সরকার তা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করে।

সামরিক-বেসামরিক প্রশাসন গড়ে তোলা হয়। শতাধিক রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে আদায়ে সক্ষম হয়। স্বাধীনতালাভের তিন মাসের মধ্যেই বাংলার মাটি থেকে ভারতীয় সৈন্যদের প্রত্যাবর্তন বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্বের কারণেই সম্ভব হয়েছিল।

১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ জারিকৃত প্রেসিডেন্সিয়াল আদেশ বলে গণপরিষদ গঠন করে নভেম্বর মাসের মধ্যেই দেশের জন্য একটি সংবিধান উপহার দেয়া হয় এবং যা কার্যকর হয় ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

তালা প্রতিনিধি : তালার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সাস’র উদ্যোগে, সংস্থার সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মসূচি প্রকল্প’র আওতায় বর্ষবরণ, পিঠা ও পৌষ উৎসব সোমবার দিনব্যপী সাস কার্যলয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রকল্পের আওতাভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানদের অংশগ্রহনে পৌষ ও পিঠা উৎসব শেষে সন্ধ্যায় একই স্থলে প্রতিবছরের ন্যায় বর্ষবরণ এবং ডায়েরি বিতরণ অনুষ্ঠান- সাস’র নির্বাহী পরিষদের সভাপতি আশুতোষ সরকার’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, তালা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. গোলাম মোস্তফা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সাস’র নির্বাহী পরিচালক শেখ ইমান আলী। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, তালা থানার ওসি মো. হাসান হাফিজুর রহমান, তালা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর শেখ আব্দুল মালেক, তালা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রহমান, শালিখা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ বিধান চন্দ্র সাধু ও তালা মহিলা ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ শেখ শফিকুল ইসলাম। সাস’র সমন্বয়কারী মো. শাহ আলম’র পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজ থেকে সব সময় নিজেকে বিরত রেখেছি -বিদায়ী সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : জেলা ও দায়রা জজ জোয়ার্দ্দার মোঃ আমিরুল ইসলামের অবসর জনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ২টায় সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির হলরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতি। সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. এম শাহ আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক এড. ওসমান গণির পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিদায়ী জেলা ও দায়রা জজ জোয়ার্দ্দার আমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সাতক্ষীরা আমার একটি পুরাতন জেলা। এ জেলা কে তিনি সব সময় নিজের মাতৃভূমি মনে করেছি। সুদীর্ঘ কর্মকালে আইনজীবী ও বিচারকবৃন্দদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করার চেষ্টা করেছি। তিনি আরো বলেন, মানুষের অধিকার ও বঞ্চিত হয় এমন কাজ থেকে সব সময় নিজেকে বিরত রেখেছি। তিনি আরো বলেন, সাতক্ষীরায় আইনজীবীদের সাথে সুসম্পর্ক ছিল বলে ভাল ভাবে কাজ করতে পেরেছি। আগামী দিন গুলো এ জেলার কথা মনে থাকবে বলে তিনি জানান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আশরাফুল ইসলাম, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রাফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য়) অরুনাভ চক্রবর্তী, সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. আব্দুর রউফ, জিপি এড. গাজী লুৎফর রহমান, সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. গোলাম মোস্তফা (১), এড. আবুল হোসেন (২), সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. সরদার আমজাদ হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের বিশেষ পিপি এড. এস এম জহুরুল হায়দার, অতিরিক্ত পিপি এড. শেখ আব্দুস সামাদ। উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. আব্দুল মজিদ, অতিরিক্ত পিপি এড. সৈয়দ জিয়াউর রহমান বাচ্চু, এড. তামিম আহমেদ সোহাগ, এড. সাইদুজ্জামান জিকো, এড. একেএম তৌহিদুর রহমান শাইনসহ অন্যান্য বিচারক ও আইনজীবীবৃন্দ। পরে বিকালে সাতক্ষীরা আইনজীবী সহকারী সমিতির উদ্যোগে জেলা ও দায়রা জজ জোয়ার্দ্দার মোঃ আমিরুল ইসলামের অবসর জনিত বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অনূর্ধ্ব-১৪ ক্রিকেটে খুলনাকে হারিয়ে সাতক্ষীরা অপরাজিত বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় ইয়ং টাইগার্স অ-১৪ বিভাগীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতা-২০১৭-১৮ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফাইনালে খুলনাকে হারিয়ে সাতক্ষীরা জেলা টানা তৃতীয়বারের মত বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র আয়োজনে ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। ইয়ং টাইগার্স অ-১৪ বিভাগীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতা-২০১৭-১৮ এর ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হয় সাতক্ষীরা জেলা দল বনাম খুলনা জেলা দল। খেলায় খুলনা জেলা দল টসে জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেয়। খুলনা জেলা দল ব্যাট করতে নেমে ১০ উইকেট হারিয়ে ৬৩ রান সংগ্রহ করে। জবাবে সাতক্ষীরা জেলা দল ১৮ ওভার ৩ বল খেলে ৩ উইকেটের বিনিময়ে সহজে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় এবং অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। ফলে সাতক্ষীরা জেলা দল ৭ উইকেটে জয়লাভ করে। খেলা শেষে অতিথিবৃন্দ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলকে ট্রপি তুলে দেন। ফাইনাল খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন সাতক্ষীরা জেলা দলের ক্যাপ্টেন আতিকুর রহমান আশিক। সে ১০ ওভারে ২ মেডিন, ১৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট দখল করে। ইয়ং টাইগার্স অ-১৪ বিভাগীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতা-২০১৭-১৮ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির খুলনা বিভাগীয় কোচ কাজী এমদাদুল বাসার রিপন, বাংলাদেশ আম্পায়ারস্ এন্ড স্কোরাস এসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহম্মেদ তুহিন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম শানু, সদস্য সৈয়দ জয়নুল আবেদীন জসি, কাজী কামরুজ্জামান, ইদ্রিস বাবু, মীর তাজুল ইসলাম রিপন, ইকবাল কবির খান বাপ্পি, মীর্জা কাকন, খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, বিসিবির কোচ মোফাচ্ছিনুল ইসলাম তপু প্রমুখ। এসময় ক্রীড়ামোদি দর্শক ও উভয় দলের কোচ এবং সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ আম্পায়ারস্ এন্ড স্কোরাস এসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় সভাপতি আ.ম আক্তারুজ্জামান মুকুল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আমরাই বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন হতে বাধ্য করেছি: নওয়াজ শরিফ

বছরের পর বছর ‘নিপীড়ন’ করে তাকে ‘বিদ্রোহের দিকে’ ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তিনি দাবি করেছেন, রাষ্ট্র কর্তৃক তাকে ‘একঘরে’ করে ফেলা আর ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়ার পটভূমির মিল রয়েছে এবং বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন হতে বাধ্য করেছেন তারাই। মঙ্গলবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে।

মঙ্গলবার ইসলামাবাদে পাঞ্জাব হাউসে জড়ো হওয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় ভোটে নির্বাচিত জনপ্রিয় নেতাদের কাছে রাষ্ট্রের ক্ষমতা হস্তান্তর না করার পরিণতি নিয়ে কথা বলেন নওয়াজ।  তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান (বঙ্গবন্ধু) বিদ্রোহী ছিলেন না, কিন্তু তাকে বানানো হয়েছে।’

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তিন বার উৎখাত হওয়া নওয়াজ এর আগেও ১৯৭১ সালকে ঠেনে এনেছিলেন। পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারিতে নাম উঠে আসার পর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রধানমন্ত্রীত্বের অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার পরও প্রসঙ্গটি সামনে এনেছিলেন।

নওয়াজ বলেন, ‘কিন্তু আমি এইসব ক্ষত ভুলে যাবো না। যেখানে আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না সেখানে আমি এসব ক্ষতকে নিয়ে যেতে চাই না। আমার সঙ্গে ও দেশের ইতিহাসে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে যা ঘটেছে তা সঠিক ছিল না। দেশ সেবার জন্য জাতির কাছ থেকে এ কোন ধরনের প্রতিদান?’

গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে অবৈধভাবে উচ্ছেদ বন্ধের দাবি জানিয়ে নওয়াজ এই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের নেপথ্যে জড়িতদের তাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করা ও জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।

ভাষণের এই পর্যায়ে নওয়াজ আবারও পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রসঙ্গে ফিরে আসেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান সৃষ্টিতে বাঙালিদের একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা ছিল। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে সঠিক আচরণ করিনি এবং আমাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছি। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সৃষ্টি নিয়ে বিচারপতি হামুদুর রহমান কমিশন একটি সততাপূর্ণ ও স্পষ্ট পর্যালোচনা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু আমরা তা পড়েই দেখিনি।’

শরিফ বলেন, ‘আমরা কি তা অনুসারে কাজ করেছি, করলে আজকের পাকিস্তান অন্যরকম হতো। যে ধরনের খেলা চলছে তা তা হতো না।’

বিচারকরাই দেশটির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দুর্বল করছে বলে অভিযোগ করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী জানান, বিচারপতিদের ‘আইনি একনায়কত্ব’ রয়েছে এবং তারাই ‘এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছেন’।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কাল শুরু সাতক্ষীরা উন্নয়ন মেলা

এম বেলাল হোসাইন: সরকারের চলমান সাফল্য তুলে ধরতে সাতক্ষীরায় বসছে বর্ণাঢ্য উন্নয়ন মেলা ২০১৮।
কাল বৃহস্পতিবার থেকে তিনব্যাপী এই মেলা বসবে শহরের প্রাণকেন্দ্র শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক জুড়ে। এতে অংশ নিয়ে উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, গ্রোথ সেন্টার, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল মাদ্রাসার নানা সাফল্য বিষয়ক প্রদর্শনী তুলে ধরা হবে। এতে কৃষি, শিল্প, খাদ্য, যোগাযোগ, সংস্কৃতি, শিক্ষা, পর্যটন, বিনোদনসহ নানা বিষয়ে সরকারের সাফল্যের সংবাদ। প্রাণ ভরে মানুষ দেখতেও জানতে পারবে তার জেলার চিত্র।
মঙ্গলবার বিকালে তার সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। তিনি বলেন এদিন সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে মেলার দ্বার উন্মোচন হবে। এবারের উন্নয়ন মেলা ২০১৮ এর প্রতিপাদ্য বিষয় ‘উন্নয়নের রোল মডেল শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’।
জেলার প্রশাসক বলেন উন্নয়ন মেলায় সরকারি বেসরকারি স্বায়ত্ব শাসিত দফতর, ব্যাংক বীমা ও এনজিও প্রতিষ্ঠান কমপক্ষে ৯০টি উন্নয়ন স্টল খুলবে। এসব স্টলে দেড় শতাধিক প্রতিষ্ঠান তাদের উন্নয়ন ও সেবামূলক কার্যক্রম অডিও ভিডিও ব্যানার ফেস্টুন লিফলেটসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তুলে ধরবে। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৭ টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য খোলা থাকবে এ মেলা।
জেলা প্রশাসক বলেন বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক যোগে সারা দেশের জেলা উপজেলায় এই মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। পরে বেলুন উড়িয়ে মেলার সূচনা করা হবে। এ সময় উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব এনএম জিয়াউল আলম ( সমন্বয় ও সংস্কার) সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
জেলা প্রশাসক বলেন উন্নয়ন মেলায় এবারের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হবে ‘সাতক্ষীরার আকর্ষণ, সড়ক পথে সুন্দরবন’। এর সাথে উপস্থাপিত হবে সাতক্ষীরার আকর্ষণ আম, কুল, চিংড়ি, মাছ, সন্দেশ, নারকেল গাছের কলম ও পোড়া মাটির তৈরি টালি। থাকবে দেশপ্রেমও মহান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বহুমুখী ঐতিহাসিক প্রচারণা। এ ছাড়া মাদক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে থাকবে সরব প্রচার।
মেলায় ‘শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ’ শিরোনামে প্রধানমন্ত্রীর ১০ টি বিশেষ উদ্যোগ সফলতা ও সুফল সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করতে প্রচার চালানো হবে। সহ¯্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রা ( এমডিজি) অর্জনে সাফল্য ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) কার্যক্রমের প্রচার, নাগরিক সেবায় উদ্ভাবন ও ডিজিটাইজেশন বিষয়ে অডিও ভিডিও স্লাইড প্রদর্শনী ও লিফলেট বিতরণ করা হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) মো. জাকির হোসেন , মোতাকাব্বির আহমেদ, সদর ইউএনও তহমিনা খাতুনসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জেলা প্রশাসক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির স্মারকলিপি প্রদান

দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটা উপজেলা শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদের নিকট এই স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শিক্ষার উৎকর্ষ সাধনে যে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন তা স্মরন করে বর্তমান সরকার শিক্ষানীতি ২০১০ প্রনয়ন, আইসিটি শিক্ষা প্রচলন ও ৭০০০ আইসিটি শিক্ষককে এমপিওভুক্তকরন, ২০১০ সালে ১৬২৪টি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্তকরন ও প্রায় ২৭০০০ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারীকরন সহ শিক্ষার উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তারা শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করন, সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ৫% বার্ষিক প্রবৃদ্ধি, পূর্নাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাংলা নববর্ষ ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা সহ শিক্ষক-কর্মচারীদের ১১ দফা দাবী বাস্তবায়নের আবেদন জানান। এসময় শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক সখিপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম, যুগ্ম আহবায়ক দেবহাটা কলেজের অধ্যক্ষ এ.কে.এম আনিসুজ্জামান, যুগ্ম আহবায়ক সখিপুর মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক রামপ্রসাদ ঘোষ, সদস্য সচিব দেবহাটা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ইয়াছিন আলী, সদস্য সচিব কর্মচারী সখিপুর মহিলা কলেজের রফিকুল ইসলাম সহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্মারকলিপি যথাযথভাবে প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রেরনের আশ^াস প্রদান করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন মাল্টি কমপ্লেক্স এর দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাই কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাই কাজের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। এসময় জেলা প্রশাসক কড়াই থেকে নির্মাণ সামগ্রী ঢেলে দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাই কাজের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন পরিচালনা পরিষদের সহ-সভাপতি শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, সাধারণ সম্পাদক শেখ আজিজুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সিরাজুল হক, ক্যাসিয়ার আবু দাউত, আহছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মজিদ সিদ্দিকী, আহ্ছানিয়া মিশন মাল্টি কমপ্লেক্স এর তত্বাবধায়ক ও আজীবন সদস্য মো. আবু সোয়েব এবেল, ঠিকাদার সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. জাহাঙ্গীর আলম জিয়া। এসময় সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন নেতৃবৃন্দ ও মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest