সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনও

অনলাইন ডেস্ক: একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের সন্তান-স্বজনরা সারাদেশে সংঘবদ্ধ হচ্ছে। পাক বাহিনীর সহযোগিতায় গঠিত শান্তি কমিটির প্রধান বা গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন, এমন ব্যক্তি ও তাদের সন্তান-স্বজনদের কেউ কেউ নানা কৌশলে ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির দলগুলোতে ঢুকে পড়েছে। তবে বিএনপি তাদের আদি পিতা। বিএনপির জন্মলগ্ন থেকেই দলটিতে তারা আছে এবং থাকবে। এখন ক্ষমতাসীনদের পৃষ্ঠপোষকতায় নতুন করে সংঘবদ্ধ হচ্ছেন তারা। নানা কিছুর বিনিময়ে কোথাও কোথাও খোদ প্রশাসনও তাদের সহযোগিতা করছে। আবার স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোরও পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে শান্তি কমিটির এক সময়ের দাপটের নেতাদের সন্তান-স্বজনরা। যদিও ক্ষমতাসীন দল-জোটের শীর্ষ নেতারা নিয়মিতই বলছেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের সাথে কোনো আপস নয়, সেখানে খোদ তাদের প্রশ্রয়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের সংঘবদ্ধ হওয়ার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী অনেকে।

আওয়ামী লীগে আশ্রয় নেওয়া শান্তি কমিটির নেতা ও তাদের সন্তান-স্বজনসহ জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেকেই হত্যা-সন্ত্রাস-নাশকতা মামলার আসামি বলেও অভিযোগ রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির রায় ঘোষণার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে শান্তি কমিটির নেতা ও তাদের সন্তান-স্বজনরা তাণ্ডব ও নাশকতা চালায়, সরকারি গাছ কেটে ফেলে। স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ চালায়। পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে। ওই ঘটনায় সারাদেশে স্থানীয় প্রশাসন একাধিক মামলা করেন। তবে দায়েককৃত মামলার আসামিরা প্রশাসন ও সরকারি দলের নেতাদের ম্যানেজ করে দিব্যি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অনেক মামলার চার্জশিট পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। আগুন সন্ত্রাসে জড়িত শান্তি কমিটির নেতা ও তাদের সন্তান-স্বজনসহ জামায়াত শিবিরের অনেক নেতা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও প্রশাসন তাদের ধরতে পারছে না। এছাড়া রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষিত হওয়ায় দলটির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে ভেড়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন খোলস বদলে। ওই চেষ্টার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে অনেক নেতাকর্মী ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে নাম লিখিয়েছেন। এমনকি আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন পাওয়ার জোর চেষ্টায় রয়েছেন।

শান্তি কমিটির নেতা ও তাদের সন্তান-স্বজনদের ক্ষমতাসীন দলে প্রবেশের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডসহ কেন্দ্রীয় নেতারা কিছুই জানেন না। তবে বিষয়টি যে ভয়াবহ পরিণতির দিকে যাচ্ছে সেটি ক্ষমতাসীন দলের তৃণমূল নেতারা অনুধাবন করতে শুরু করেছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সারাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ইতোমধ্যে ৫০ সহস্রাধিক শান্তি কমিটির সঙ্গে জড়িতসহ জামায়াত-শিবিরের তৃণমূল নেতাকর্মী ও সমর্থক আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগে যোগদান করেছেন। কেউ কেউ পেয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পদ। আবার কেউ কেউ পদ না পেলেও আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের অর্থের বিনিময়ে পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে বহাল তবিয়তে আছেন। কেউ কেউ বাবা-ভাই কিংবা স্বজনদের রক্ষা করতে ক্ষমতাসীন দলে যোগ দিয়েছেন কিংবা দল করেন। আবার যেসব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে তাদের স্বজনরা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য।

জানা গেছে, সংঘবদ্ধ হওয়ার লক্ষ্যেই স্বাধীনতাবিরোধী আদর্শের মানুষেরা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ছত্রছায়ায় আছেন। একই সঙ্গে অতীত অপকর্ম থেকে রেহাই পাওয়া, দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, আগামী নির্বাচনে জনগণ থেকে দলকে বিচ্ছিন্ন করার টার্গেট নিয়েও তারা ক্ষমতাসীন দলে যোগ দিয়েছেন। আর কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্থানীয় এমপিরা নিজেদের আলাদা বলয় সৃষ্টি করতে শান্তি কমিটির নেতা ও তাদের সন্তান-স্বজনদের থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের দলে গুরুত্ব পদ দিয়েছেন। এতে দলের ত্যাগী নেতারা বঞ্চিত হয়েছেন। অনেক ত্যাগী নেতা এখন এলাকা ছাড়া। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের এত উন্নয়নের পরও তৃণমূলে আওয়ামী লীগের জনসমর্থন কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

জানা গেছে, তৃণমূল আওয়ামী লীগের সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন শান্তি কমিটির নেতা ও তাদের সন্তান-স্বজনরাসহ জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। আর এসব নেতাদের পূর্বসূরিদের খোঁজ নিলেও দেখা যাবে, তাদের পরিবারের কেউ না কেউ শান্তি কমিটির নেতা ছিলেন। এদিকে তাদের ক্ষমতাসীন দলে প্রবেশের ক্ষেত্রে সহজ হয়েছে পদ বেচা-কেনার কারণে। আওয়ামী লীগের কমিটির গঠনের ক্ষেত্রে উপজেলা থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে পদ বেচা-কেনার ঘটনা ছিল অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’। আর অর্থের বিনিময়ে এসব পদে এসেছে শান্তি কমিটির নেতা ও তাদের সন্তান-স্বজন এবং জামায়াত-শিবিরসহ স্বাধীনতাবিরোধী আদর্শের নেতাকর্মীরা। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পুলিশে নিয়োগসহ স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ সরকারি চাকরিতে স্থানীয় এমপিদের ছত্রছায়ায় অনুপ্রবেশকারীরাই মূল কলকাঠি নাড়ছেন। ২০১৭ সালে ঘটে যাওয়া খুন-খারাবি থেকে শুরু করে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা, চোরাচালান, জমি দখল, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, দখলবাজি, নিয়োগ-বদলি বাণিজ্য, টিআর-কাবিখা প্রকল্পে লুটপাটসহ নানা কর্মকাণ্ডে মূল ভূমিকা পালন করছে এসব অনুপ্রবেশকারী। অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতারা নির্যাতনেরও শিকার হচ্ছেন। অধিকাংশ জেলা-উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুইটি গ্রুপ হয়ে গেছে। একটি গ্রুপে ত্যাগী নেতারা রয়েছেন, অন্য গ্রুপে শান্তি কমিটির নেতা ও তাদের সন্তান-স্বজনরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শান্তি কমিটির নেতা ও তাদের সন্তান-স্বজন এবং জামায়াত-শিবির আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি যে দলেই থাকুক না কেন তাদের চরিত্র কোনো দিন পরিবর্তন হবে না। তাদের উদ্দেশ্য যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডের প্রতিশোধ ও স্বাধীনতাবিরোধী চেতনা বাস্তবায়ন করা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি), প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) এবং ইবতেদায়ী পরীক্ষায় এবারো মেয়েদের জয়জয়কার। পাসের হার কিংবা জিপিএ ৫ সব সূচকেই এগিয়ে মেয়েরা। ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এবার জেএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৮৩ দশমিক ১০ শতাংশ। জেডিসি পরীক্ষায় ৮৬ দশমিক ৮০ শতাংশ।

এই দুই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার ৬২৮ পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে জেএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৭ জন। আর জেডিসিতে ৭ হাজার ২৩১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে। মোট জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১ লাখ ৯১ হাজার ৬২৮ জনের মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার ৭৩০ মেয়ে। আর ছেলেদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮০ হাজার ৮৯৮ জন। ছেলেদের চেয়ে ২৯ হাজার ৮৩৮ জন বেশি মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে। অন্যদিকে পাসের হারেও এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। মেয়েদের পাসের হার ৮৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ। আর ছেলেদের পাসের হার ৮৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

অপরদিকে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক সমাপনী ও ইবতেদায়ী পরীক্ষায়ও পাসের হারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। এমনকি জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকেও তারা এগিয়ে। এবার পাসের হার প্রাথমিক সমাপনীতে ৯৫ দশমিক ১৮ শতাংশ ও ইবতেদায়ীতে ৯২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ফলাফলের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রাথমিক সমাপনীতে মোট ২৬ লাখ ৯৬ হাজার ২১৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। অংশগ্রহণ করা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ১২ লাখ ৩৯ হাজার ১৮১ জন ও ছাত্রী ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৩৫ জন। মোট উত্তীর্ণ হয়েছে ২৫ লাখ ৬৬ হাজার ২৭১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৩০ জন ও ছাত্রী ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ৯৪১ জন। প্রাথমিকে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬২ হাজার ৬০৯ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ছেলেরা জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ১৫ হাজার ৫৪৮ জন ও মেয়েরা পেয়েছে এক লাখ ৪৭ হাজার ৬১ জন। অর্থাত্ ছেলেদের চেয়ে ৩১ হাজার ৫১৩জন বেশি মেয়ে বেশি জিপিএ ৫ পেয়েছে।

প্রাথমিক সমাপনীতে ছাত্রদের পাসের হার ৯৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ ও ছাত্রীদের পাসের হার ৯৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় ছাত্রদের সংখ্যা বেশি হলেও পাসের দিক থেকে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ছাত্রদের পাসের হার ৯২ দশমিক ৪৮ শতাংশ ও ছাত্রীদের পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সরকারি কর্মচারীদের চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার বয়স তিন বছর বাড়িয়ে ৬২ করতে চান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা পেয়ে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষাও শুরু করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

সরকারের মেয়াদের শেষ সময়ে এসে সরকারি কর্মচারীদের অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর কোনো উদ্যোগ নেই বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গত ৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওই প্রস্তাব পাঠিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এতে প্রবীণ বা সিনিয়র সিটিজেনের বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ করারও সুপারিশ করা হয়েছে।

এই দুই ক্ষেত্রে বয়স বাড়ানোর যুক্তি তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী চিঠিতে বলেছেন, ‘আমাদের দেশে সরকারি চাকরির বয়সসীমা হলো ৫৯ বছর। এই বয়স আমাদের ১৯৭২ সালের সংবিধান অনুযায়ী ছিল ৫৭ বছর। ১৯৭২ সালের জীবনসীমা ছিল মাত্র ৪৮ বছর। এই দিক বিবেচনা করলে সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়স বাড়িয়ে ৬২ নির্ধারণ করা যায়।’

২০১১ সাল থেকে সরকারি কর্মচারীরা ৫৯ বছর এবং মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীরা ৬০ বছর বয়সে অবসরে যান। এর আগে ৫৭ বছরে অবসরে যেতে হতো সরকারি কর্মচারীদের।

জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী বছরের শেষ দিকে সরকার জাতীয় নির্বাচন করতে চায়। এই নির্বাচন সামনে রেখে ২১ লাখ সরকারি কর্মচারীর ভোট পাওয়া ক্ষমতাসীন দলের একটি স্বাভাবিক লক্ষ্য। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য দীর্ঘদিন থেকেই সরকারের শীর্ষ মহলে সরকারি কর্মচারীদের অবসরের বয়স বাড়ানোর বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে। অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবের মাধ্যমে সেই লক্ষ্য পূরণের দিকেই হাঁটছে সরকার। তা ছাড়া সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা শিগগিরই অবসরে যাচ্ছেন। চাকরির অবসরের বয়স বাড়লে তাঁদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে না।

জনপ্রশাসনের এসব কর্মকর্তা আরো জানিয়েছেন, সরকারের এক শ্রেণির কর্মকর্তা যাঁরা চাকরিজীবনের শেষ সময়ে রয়েছেন তাঁরা আরো বেশি সময় চাকরি করার জন্য অবসরের বয়স বাড়াতে চান। তাঁদের যুক্তি হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। গত বছরের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭১ বছরের বেশি। তা ছাড়া মানুষের দক্ষতা ও সক্ষমতা বেড়েছে। এগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। তা না হলে একটা বড় অংশ অবসরে চলে যাবে। অবসরপ্রাপ্ত একটা বিশাল জনগোষ্ঠী সমাজকে টানতে হবে। তা ছাড়া বর্তমান সরকারের নীতি হচ্ছে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিরুৎসাহ করা। কারণ এতে পদোন্নতির স্বাভাবিক ধারা ব্যাহত হয়। এ ক্ষেত্রে তাঁরা বিভিন্ন সার্ভিসের অবসরের বয়স সমন্বয়ের কথা বলছেন। তাঁদের মতে, এক দেশে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের অবসরের বয়স ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ভিন্ন হলেও খুব বেশি পার্থক্য থাকা উচিত নয়।

জনপ্রশাসনের ওই কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ৬৫ বছরে চাকরি থেকে অবসরে যান। বিচারপতিরা অবসরে যান ৬৭ বছর বয়সে। সে ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীদের অবসরের বয়স ৬২ হলে সবার অবসরের বয়স কাছাকাছি থাকবে।

চাকরি থেকে অবসরের বয়স বাড়ানোর উদ্যোগ শুরু হলেও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক গত ২১ নভেম্বর সংসদে জানিয়েছেন।

জুনিয়র সরকারি কর্মচারীদের মতে, অবসরের বয়স বাড়ানোর চেয়ে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো জরুরি। কারণ একজন শিক্ষার্থীর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করতে প্রায় ২৭ থেকে ২৮ বছর লেগে যায়। এই দীর্ঘ শিক্ষাজীবন শেষে তীব্র প্রতিযোগিতামূলক চাকরিতে প্রবেশের প্রস্তুতি শুরু করতে না করতেই সময় শেষ হয়ে যায়। সরকারি এই বাধ্যবাধকতার কারণে দেশের যুবসমাজ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

এদিকে বর্তমানে ৬০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। তাঁদের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে আইডি কার্ডের আদলে বিশেষ কার্ড তৈরি করা হবে। সিনিয়র সিটিজেনরা বিশেষ মর্যাদা ভোগ করবেন। বিশেষ করে তাঁরা চিকিৎসাসেবা সুবিধা পাবেন। পরিবহনে কম ভাড়ায় ভ্রমণ করতে পারবেন। এ ছাড়া বসবাসের জন্য তাঁদের বিশেষ আবাসন সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। গড় আয়ু বাড়ার কারণে সিনিয়র সিটিজেন করার বয়সও ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব এবং প্রশাসনসংক্রান্ত একাধিক গ্রন্থের লেখক মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। সেই হিসাবে অবসরের বয়সসীমাও বাড়ানো যায়। তবে অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে চাকরিতে প্রবেশের বয়সও বাড়ানো উচিত। তবে দুই দিকের বয়সসীমাই এক বছরের বেশি বাড়ানো উচিত নয়। ’

তিনি বলেন, ‘অবসরের বয়স এক বছরের বেশি বাড়ালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়া শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়ে যাবে। আর চাকরিতে প্রবেশের বয়স এক বছরের বেশি বাড়ানো হলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে। তাই দুই দিকেই সমান বাড়ানো উচিত। ’

বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদের সভাপতি আল আমিন রাজু বলেন, ‘স্নাতকোত্তর শেষ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ২৭ থেকে ২৮ বছর লেগে যায়। এরপর বিসিএস দেওয়ার প্রস্তুতি নিতে নিতেই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা শেষ হয়ে যায়। তাই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করা দরকার। ’

তিনি বলেন, স্নাতকোত্তর পাস করতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের সময় লাগে। সব বিশ্ববিদ্যালয় যদি ২৪ বছরের মধ্যে স্নাতকোত্তর শেষ করতে পারে তাহলে বয়স বাড়ানোর দরকার হবে না। কিন্তু সেটা তো হওয়ার নয়। কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুব কম সময়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দিয়ে দেয়। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রায় ও ভাঙন আতঙ্কে বিএনপি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায় ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির ভিতরে চলছে নানামুখী আলোচনা। শুধু তাই নয়, এক ধরনের আতঙ্কও তৈরি হয়েছে। যদিও দলীয় নেতারা বলছেন, আতঙ্কের কিছু নেই। যে কোনো মূল্যে দলীয় ঐক্য ধরে রাখা হবে। চেয়ারপারসনের সাজা হলে সরকারবিরোধী একক আন্দোলনে যাবে বিএনপি। কোথাও কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। যারা দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে তারা চিরতরে হারিয়ে যাবে। অতীতেও অনেকেই এমন করেছিল। আজ তারা কোথাও নেই। সংকট মোকাবিলা করেই বিএনপি আগামীর রাজনীতি করবে। তারপরও ত্যাগী নেতারা মনে করেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির ভিতরে অন্তর্কলহ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। বিশেষ করে দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের দুটি মামলার গতি বাড়ায় এ আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে।

বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি যেসব নেতার জন্য সফল হয়নি বলে দলে আলোচনা আছে, তাদের দিকেই সন্দেহের দৃষ্টি। এরা সরকারের কাছ থেকে নানা সুবিধা নিয়ে বিএনপিকে আবারও ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। বিএনপি ঘরানার বুদ্ধিজীবীরাও দল ভাঙার বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছেন না।

এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, গণতন্ত্র যখন সমাজের ভিতরে শিকড় গাড়তে পারেনি, তখন অন্যভাবে হলেও দলটাকে (বিএনপিকে) ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা হতেই পারে। আর তা নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মী, সমর্থক সবাই উদ্বেগ ও আতঙ্কে আছেন। গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘দল ভাঙার চেষ্টা হতেই পারে। অতীতেও হয়েছে। নেতা-কর্মীরাও উদ্বিগ্ন এবং আতঙ্কিত। তবে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে কিছুই হবে না। আমার বিশ্বাস, শেষ পর্যন্ত বিএনপিকে কেউ ভাঙতে পারবে না।’ নাম প্রকাশ না করে বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, কেন্দ্রীয় অনেক নেতার মধ্যেই হঠাৎ আবার সরকার প্রীতি বেড়ে গেছে। তারা নানা কায়দায় চেষ্টা করছেন, দলীয় সিদ্ধান্তগুলো সরকারের অনুকূলে নিতে। এমনকি তারা আর্থিকসহ নানা সুযোগ-সুবিধার প্রস্তাবও দিচ্ছেন কিছু নেতাকে। যারা তাদের কথা শুনছেন না, তাদের নানারকম ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। নতুন করে মামলা-মোকদ্দমা দেওয়া শুরু হয়েছে। এরাই ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর কৌশলে বেগম খালেদা জিয়াকে দিয়ে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি ডেকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের ঢাকায় এনে বিপদে ফেলেছিলেন। সেই ব্যক্তিরা এবারও মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে দলকে বিপদে ফেলার জন্য তত্পর হয়ে ওঠেছেন। এ প্রক্রিয়ায় দলের স্থায়ী কমিটির দু-একজন সদস্যসহ কেন্দ্রীয় কমিটির ডজন খানেক নেতা জড়িত থাকার কথা দলে আলোচনা আছে। এ ছাড়া চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের দুজন বিতর্কিত কর্মকর্তাও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সূত্রে জানা গেছে। বেগম খালেদা জিয়াকে মামলার চাপ দিয়ে সরকারের প্রস্তাবগুলোতে রাজি করাতে না পারলে শেষ পর্যন্ত তাকে অন্তরীণ করে হলেও সরকারি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চান তারা। এদের কেউ কেউ আগামী সংসদের বিরোধী দলের নেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন বলে নেতা-কর্মীরা ধারণা করছেন।

এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, কারা কী করছেন, জানি না। তবে জন্মের পর থেকেই বিএনপির বিরুদ্ধে বার বার ষড়যন্ত্র হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত কেউই সফল হয়নি। এ সরকারও ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সফল হবে না।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে দল ভাঙার যত চেষ্টাই করা হোক না কেন, তা কখনোই সফল হবে না। অতীতেও তারা অনেক চেষ্টা করেছে, ওয়ান-ইলেভেন এর সময়ও করেছে, পারেনি। মামলা-হামলা দিয়ে কখনো জনআন্দোলন ঠেকানো যায় না। কাজেই তারাও (সরকার) সফল হবে না।

স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আবারও একটি প্রতারণার নির্বাচন করতে চাচ্ছে সরকার। এর আগে দল ভাঙতে চায় তারা। কিন্তু এবার আর তা হবে না। সেই চেষ্টা করলে নতুন বছরে এই সরকারকে উচ্চ মাশুল দিয়ে বিদায় নিতে হবে।

বিএনপি সমর্থক বুদ্ধিজীবী ও দলের ত্যাগী নেতারা মনে করেন, দলের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য প্রধানত দায়ী বেগম খালেদা জিয়ার ঘরে বসে থাকা। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। আর সে জন্য বিএনপিকেও বদলাতে হবে। বদলাতে হবে চেয়ারপারসনের অফিসের সময়সূচি। কোনোক্রমেই রাত ১০টার পর তার অফিসে থাকা ঠিক হবে না। আবার অফিসে আসতেও হবে তাঁকে বিকাল ৪টার মধ্যে।

এ প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অঘোষিতভাবে অন্তরীণ করেই রাখা হয়েছে। এ জন্য অনেকটা তিনি নিজেই দায়ী। আর ঘরে বসে না থেকে তাঁর উচিত সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সফর করা। তা না হলে দল ভাঙার ষড়যন্ত্র মোকাবিলা সম্ভব হবে না। তৃণমূল সফর করলে দল যেমন চাঙ্গা হবে, সরকারও ষড়যন্ত্র থেকে পিছিয়ে যেতে বাধ্য হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগর নুরনগরে মৈত্রী ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

নুরনগর থেকে: শনিবার শ্যামনগর উপজেলার নুরনগরের মানিকপুর এস এম বি ক্লাব সংলগ্ন মাঠে মানিকপুর-চিংড়াখালী ৫ দলীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। খেলা উদ্বোধন করেন শ্যামনগর উপজেলা সহঃ কমিশনার ভূমি সুজন সরকার। উদ্বোধনী খেলায় অংশ গ্রহণ করে মোঃ সাইফুল ইসলামের দল আমাজন ঈগল বনাম আব্দুল্লাহ আল ফারুকের দল সুন্দরবন টাইগার্স এর মধ্যকার খেলায় সুন্দরবন টাইগার্স বিজয়ী হয়। প্রথমে টসে জিতে ব্যাট হাতে নেয় সুন্দরবন টাইগার্স নির্ধারিত ১৮ ওভার খেলে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৮রান করে জবাবে ব্যাট হাতে নিয়ে ১৮ ওভার খেলে ৫ উইকেটে ১০৫ রান করে পরাজিত হয়। উক্ত খেলায় ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয় সুন্দরবন টাইগার্স এর আব্দুল্লাহ আল ফারুক। উদ্বোধনী খেলায় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম খোকন, ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান, খেলাটির উদ্দ্যোক্তা ইতালী প্রবাসী মোঃ আকছেদুর রহমান সবুজ এবং মোঃ আকবর হোসেনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ্য এই টুর্ণামেন্টের বাকি খেলাগুলো মানিকপুর এস এম বি ক্লাব সংলগ্ন মাঠে এবং চিংড়াখালী শতদল সংঘের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাত্রাতিরিক্ত চুরির ঘটনা ঘটছে পাটকেলঘাটা এলাকায়

সমীর দাশ: পাটকেলঘাটা এলাকায় চুরির প্রাদূর্ভাব দেখা দিয়েছে, প্রতিনিয়ত ঘটছে চুরির মত ঘটনা। ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ পাটকেলঘাটা কুমিরা বাজার লাগোয়া মোঃ কওসার আলীর দোকান হতে দুইটি মটর, রফিকুল ইসলাম এর একটি মটর চুরি হয় উভয় ঘরের দরজা ভেঙ্গে চোর চুরি করে একই দিনে কুমিরা গ্রামের আনন্দ ভৌমিক এর বাড়ী থেকে চোর চুরি করে, এক সপ্তাহ আগে কুমিরা বাদামতলা এনামুল হোসেনের নির্মানাধীন আর সি সি পিলারে বসানো রড কেটে নিয়ে যায় চোরেরা, তার পূর্বে কুমিরা গ্রামের যদু জয়দেব এর বাড়ীতে চুরি হয়, পাটকেলঘাটা মকসুদপুর গ্রামে সমীর দাশের মোটর চুরি হয়। এমনি ভাবে আশ পাশের আরও কিছু কিছু গ্রামে চুরির খবর পাওয়া গেছে বিশেষ ভাবে মটর চুরির প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। কিন্তু আস্হা হিনতার কারণে এ সকল ভুক্তভোগীরা পুলিশে অভিযোগ জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তাদের ধারণা পুলিশে অভিযোগ জানিয়ে প্রতিকার তো হয়ইনা বরং ঝামেলা বাড়ে। কিন্তু এলাকার সচেতন মহল এ চলমান চুরির ঘটনা প্রতিরোধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কলারোয়া ডেস্ক: কলারোয়া উপজেলার মাঠে মাঠে এখন সরিষার হলুদ ফুলের অপরূপ দৃশ্য। পুরো মাঠ যেন ঢেকে আছে সুন্দর এক হলুদ পরিবেশ।
আর সরিষা ফুলের ক্ষেতে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন মধু আহরণকারীরা। এসব জমির পাশে পোষা মৌমাছির শত শত বাক্স নিয়ে হাজির হয়েছেন মৌয়ালরা। ওই সব বাক্স থেকে হাজার হাজার মৌমাছি উড়ে গিয়ে মধু সংগ্রহে ঘুরে বেড়াচ্ছে সরিষা ফুলের মাঠে।
এই অপরূপ দৃশ্যে মুগ্ধ স্থানীয় শিশুকিশোর থেকে শুরু করে প্রকৃতি প্রেমী সকল মানুষ।
সরেজমিন দেখা গেছে- কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশিরভাগ ফসলি জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। এসব জমিতে সরিষার ফুল ফুটতে শুরু করেছে। আর ফুলের মধু আহরণে নেমেছেন পেশাদার মৌয়ালরা। তাদের বাক্স থেকে ‘ভনভন’ করে দলে দলে উড়ে যাচ্ছে পোষা মৌমাছি। ঘুরে বেড়াচ্ছে এই ফুল থেকে ওই ফুলে আর সংগ্রহ করছে মধু।
মুখভর্তি মধু সংগ্রহ করে মৌমাছিরা ফিরে যাচ্ছে মৌয়ালদের বাক্সে রাখা মৌচাকে। সেখানে সংগৃহিত মধু জমা করে আবার ফিরে যাচ্চে সরিষার জমিতে।
এভাবে দিনব্যাপী মৌমাছিরা যেমন মধু সংগ্রহ করে, আবার বিভিন্ন ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়াতে গিয়ে পুরো ফুলের পরাগ আর এক ফুলে দিয়ে সহায়তা করে। এ মৌসুমে মৌয়ালরা পোষা মৌমাছি দিয়ে প্রচুর মধু উৎপাদন করে যেমন লাভবান হচ্ছেন ঠিক তেমনি মৌমাছির ব্যাপক পরাগ সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনায় চাষিরাও বাড়তি আয়ের আশা করছেন।
উপজেলার কেঁড়াগাছী ইউনিয়নের বাগাডাঙ্গা, কাঁকডাঙ্গা, কেঁড়াগাছী, ভাদিয়ালি গ্রামে পোষা মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহে আসা কয়েক জন পেশাদার মৌয়ালদের সাথে কথা বলে জানা গেছে- ওনারা প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও পোষা মৌমাছির বাক্স নিয়ে মধু সংগ্রহের লক্ষ্যে কলারোয়ার বিভিন্ন জায়গায় এসেছেন। তাদের কারোর কাছে ১০০, ১৬৫, ২০০ বা তারো বেশি বাক্স সরিষা ফুলের বাগানের পাশে রেখেছেন। এ বছর প্রতি সপ্তাহে গড়ে আট মণ মধু সংগ্রহ করতে পারছেন তারা- এমনটাই জানালেন মৌয়ালরা। এমনকি কয়েকটি মাঠে তাবু ফেলে সাময়িক বসতেরও ব্যবস্থা করেছেন তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বুড়িগোয়ালিনীতে হ্যাচারির পাচিল ভাংচুর

শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগর উপজেলা বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে কলবাড়ী এলাকায় শিরহিন্দ শ্রীম্প হ্যাচারীর মালিক মোঃ আব্দুল বারী মোল্যার নিকট দুর্বৃত্তদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় হ্যাচারীর নির্মানাধীন প্রাচিরে ভাংচুর ঘটনায় শ্যামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কলবাড়ী গ্রামে মৃত সাইদুর রহমানের পুত্র জি,এম শফিকুল ইসলাম, জি,এম সহিদুল ইসলাম, সফিকুল ইসলামের পুত্র আরাফাতুল ইসলাম, ইয়াসরিফুল ইসলাম সহ কয়েক জন জোর পূর্বক শিরহিন্দ শ্রীম্প হ্যাচারী কোম্পানি লিঃ চেয়ারম্যান আব্দুল বারী মোল্যার কাছে ২৩শে ডিসেম্বর বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে উক্ত এজাহারকৃত আসামীগন ২ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবী করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ৩০শে ডিসেম্বর শনিবার ভোরের দিকে আসামীগন অস্ত্রসহ দলবদ্ধ হয়ে অনধীকার ভাবে প্রবেশ করে পূর্বের চাওয়া চাঁদার ২ লাখ টাকা দাবীতে হ্যাচারীর কর্মচারী তুরিকুল ইসলামকে গলায় গামছা পেচিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় হ্যাচারীর বাসায় রক্ষিত লক্ষাধীক টাকার লোহার রড, ৫০ বস্তা সিমেন্ট, হ্যাচারীতে রক্ষিত ২ হাজার ১নং ইট নিয়ে আসামীগন আত্মসাৎ করে। হ্যাচারী হইতে ফিরে যাওয়ার সময় হ্যাচারীর দক্ষীন পাশের ৮০ হইতে ১০০ ফুট ইটের তৈরি প্রাচির একেবারে ভেঙ্গে ফেলে ক্ষতি স্বাধন করে এবং উক্ত চাঁদার টাকা পরিশোধ না করিলে পূনরায় এহেন পূর্বক ঘটনা ঘটাবে ও হ্যাচারী করতে দিবে না বলে হুমকি দেয়। এ ঘটনায় গতকাল শ্যামনগর থানায় শিরহিন্দ শ্রীম্প হ্যাচারী কোম্পানি লিঃ এর চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল বারী মোল্যা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest