একদিনে ২৯ জঙ্গিকে ফাঁসি দিল ইরাক

ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আল কায়েদার ২৯ জঙ্গিকে একসঙ্গে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরাক।

দেশটির রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কার্যকলাপের দায়ে বৃহস্পতিবার ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলীয় নাসিরিয়া প্রদেশে এ ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। ফাঁসি কার্যকরের সময় ইরাকের বিচারমন্ত্রী হায়দার আল জামেলি উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রতি ইরাকে জঙ্গিদের পরাজিত করার পর ফাঁসির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর একদিনেই ৪২ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছিল।

কারাগার সূত্র জানায়, যাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে তারা সবাই ইরাকি নাগরিক। তবে ইরাকের পাশাপাশি একজনের সুইডেনেরও নাগরিকত্ব রয়ে

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সৌরমণ্ডলের প্রতিরূপ খুঁজে পেল নাসা

ব্রহ্মাণ্ডে একচেটিয়া রাজত্ব নেই আমাদের এই সৌরজগতের। কেননা ঠিক একই ধরণের সৌরমণ্ডল রয়েছে বলে বৃহস্পতিবার ঘোষণা দিয়েছে নাসা। এদিন রাতে নাসার সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমাদের সৌরমণ্ডলের মতোই আরও একটি সৌরমণ্ডল রয়েছে এই ব্রহ্মাণ্ডে। সেখানেও রয়েছে আটটি গ্রহ।

চাঞ্চল্যকর বিষয় হচ্ছে ওই সৌরমণ্ডলের গঠন পৃথিবীর মতোই। বুধ থেকে নেপচুন মিলিয়ে যেভাবে গ্রহগুলো সাজানো রয়েছে ঠিক তেমনই গঠনতন্ত্র নয়া আবিষ্কৃত সৌরমণ্ডলের। যেহেতু এই সৌরমণ্ডলের চেহারা অবিকল পৃথিবীর মতোই, সেহেতু সেখানকার আটটি গ্রহ সাজানো হয়েছে আমাদের সৌরমণ্ডলের মতোই, তাই সেই মুলুকে প্রাণের হদিশ পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

ভিনগ্রহে প্রাণের সন্ধান পেতে ২০০৯ সালে প্রথম মহাকাশে কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ পাঠিয়েছিল নাসা। সেই টেলিস্কোপ চার বছরে পৃথিবীর অনুরূপ বসবাসের অনুকূল প্রায় আড়াই হাজার ভিনগ্রহের সন্ধান পায়। তার আগেও প্রচুর ভিনগ্রহ আবিষ্কার হয়েছে।
সব মিলিয়ে নাসার নজরে থাকা ভিন গ্রহের সংখ্যা প্রায় হাজার চারেক। কিন্তু, এত দিন কোনো ভিনগ্রহের নক্ষত্রমণ্ডলেই আমাদের সৌরমণ্ডলের মতো আটটি গ্রহের সন্ধান মেলেনি। এই আবিষ্কারটি সম্ভব হয়েছে গুগলের মেশিন লার্নিং পদ্ধতির সাহায্যে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন গুগলের সিনিয়র সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়র ক্রিস্টোফার শ্যালু, টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাগান পোস্ট ডক্টরাল ফেলো অ্যান্ড্রু ভ্যানডারবার্গ।

নাসার অ্যাস্ট্রোফিজিক্স ডিভিশনের জ্যোতির্বিজ্ঞানী পল হার্ৎজ বলেছেন, ‘‘আমাদের সৌরমণ্ডলের মতো চেহারার মতোই এই সৌরমণ্ডলে সাতটি গ্রহের সন্ধান আগেই মিলেছিল। এবার পাওয়া গেল অষ্টম গ্রহের সন্ধান। যার নাম ‘কেপলার-৯০-আই’। ”

একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “অষ্টম এই গ্রহটিকে দেখতে পুরোপুরি পৃথিবীর মতো। একইসঙ্গে পাথুরেও। ১৪.৪ দিনে ওই গ্রহটি তার নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে। তবে সেটি তার নক্ষত্রের (কেপলার-৯০) বেশি কাছে আছে বলে বেশি তাপে পুড়ে যাচ্ছে। ” ওই গ্রাহের তাপমাত্রা কমপক্ষে ৮০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাজধানীর রাস্তায়, লাগেজের ভেতর লাশ!

রাজধানী ঢাকার রাস্তায় একটি লাগেজের মধ্যে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে। রাজধানীর দারুস সালাম থানার দক্ষিণ কল্যাণপুরে রাস্তায় হাত-পা ও মস্তকবিহীন ওই লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয় বলে গণমাধ্যমকে জানান দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিমুজ্জামান।

ওসি আরো জানান, সকালে দক্ষিণ কল্যাণপুরের রাস্তায় একটি লাগেজ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে লাগেজটি খুলে এর ভেতরে এক ব্যক্তির হাত-পা ও মস্তকবিহীন লাশ পাওয়া যায়। ওই ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর হবে।‘মরদেহটি দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তীব্র ক্ষোভে খুনিরা এভাবে ওই ব্যক্তিকে হত্যা করেছে’

ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা লেডিস ক্লাবের ছাদ ধ্বসে ৪ শ্রমিক আহত

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরা লেডিস ক্লাবের পরিত্যক্ত ভবন ভাঙতে যেয়ে ছাদ ধ্বসে চার শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে শহরের জেলখানা গেট সংলগ্ন লেডিস ক্লাবে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে দুই জনের মধ্যে অবস্থা আশংকাজনক।
আহতরা হলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার বাকাল দৌলতপুরের শহীদুল ইসলামের ছেলে আক্তার হোসেন, সাতক্ষীরা নিউমার্কেট এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে ইসমাইল হোসেন, কামালনগর গ্রামের রমজান কারিগরের ছেলে ফারুক হোসেন ও ইটাগাছার ইনতাজ আলীর ছেলে ইমরান হোসেন।
গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইমদাম হোসেন জানান, সাতক্ষীরা লেডিস ক্লাবের পরিত্যক্ত ভবন ভাঙার টেন্ডার পায় ঠিকাদার নারায়ন শিকদার। তিনি শ্রমিক নিয়ে আজ শুক্রবার সকাল থেকে ওই ভবন ভাঙা শুরু করেন। এক পর্যায়ে ভবনের দেওয়াল ভাঙা শুরু করলে হঠাৎ ছাদ ধ্বসে পড়ে চার শ্রমিক আহত হন।
তাদের সদর হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই জনের মধ্যে অবস্থা আশংকাজনক। এদেও মধ্যে আক্তার হোসেনের কোমর ও পা ভেঙে গেছে। এছাড়া ইসমাইলের মাথায় প্রচণ্ড আঘাত লেগেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা জামাতের শীর্ষ নেতা নাশকতার আসামি মাওলানা বারী আটক

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মাওলানা আব্দুল বারীসহ ২৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর রাতে সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়া গ্রাম থেকে মাওলানা আব্দুল বারীকে এবং অন্যান্য নেতা-কর্মীকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাওলানা আব্দুল বারী ওয়ারিয়া গ্রামের মৃত হোসেন আলি সরদারের ছেলে।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খুলনার শিক্ষা কর্মকর্তা-শিক্ষিকা সাতক্ষীরার অসিত ও পলি আটক

অনলাইন ডেস্ক : অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে খুলনায় শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষিকাকে আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- সদর থানা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (প্রাথমিক) অসীত কুমার বর্মন ও মহানগরের পশ্চিম টুটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নুসরাত জাহান পলি। তাদের উভয়ের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়। বলে জানা গেছে।

আটক অসীত কুমার বর্মন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের অমল কুমার বর্মনের ছেলে ও নুসরাত জাহান পলি তালা উপজেলার হরিনগর গ্রামের জাহাতাব উদ্দিন গোলদারের মেয়ে।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এরআগে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরের দক্ষিণ টুটপাড়াস্থ দিলখোলা রোড এলাকার বাসা থেকে তাদের আটক করে সদর থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় শিক্ষিকা নুসরাত জাহান পলির স্বামী খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খুলনা কলেজ এর ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রভাষক এসএম মিজানুর রহমান বাদি হয়ে দু’জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত কুমার বাড়ই বলেন, শিক্ষিকা নুসরাত জাহান পলির স্বামী এসএম মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। কিন্তু তিনি শহরের সাত রাস্তার মোড় পর্যন্ত গিয়ে আবার বাসায় ফেরেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি বাসায় ফিরে দেখতে পান তার স্ত্রী এবং অসীত কুমার বর্মন অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। এ অবস্থায় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ৪৯৭, ৫০৬, ৪০৬ ধারায় ব্যাভিচারের মামলা হয়েছে। দু’জনেই বিবাহিত। দীর্ঘ দিন ধরেই তাদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।

খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমেন্দ্রনাথ পোদ্দার জানান, শুক্রবার সকালে তিনি দু’জনের আটকের খবরটি শুনেছেন। কিন্তু অফিস ছুটি থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না। অফিস খুললে রোববার তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হবে। এরপর বিধি অনুযায়ী অন্যান্য পদক্ষেপ দেওয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কাল মহান বিজয় দিবস; উদযাপনে প্রস্তুত সাতক্ষীরা

এম বেলাল হোসাইন : আগামিকাল মহান বিজয় দিবস। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলা মায়ের সূর্য সন্তানেরা পাক বাহিনীর কাছ থেকে বিজয় ছিনিয়ে আনে। যে কারণে আজ আমরা পেয়েছি স্বাধীন ভুখ-। পেয়েছি কথা বলার অধিকার, পেয়েছি বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার মত মর্যাদা। এ মহান দিনটি যথযথ মর্যাদায় পালন করার জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন গ্রহণ করেছে বিভিন্ন কর্মসূচি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৫ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠে স্কুল/কলেজের ছাত্র/ছাত্রীদের টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ও প্রবীন ক্রিকেন্ট টুর্নামেন্ট। দুপুর আড়াই টায় শিশু একাডেমী প্রাঙ্গণে লোক নৃত্য, দেশাত্মবোধক সংগীত ও সকল শ্রেণির শিশুদের ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা ও প্রতিবন্ধী শিশুদের ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা। ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, বে-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাঠ, বাসভবন ও অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান। ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর প্রধান প্রধান সড়ক দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন পতাকা দ্বারা সজ্জিত করণ। ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৮. ১৫ মিনিটে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক কর্তৃক আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন। শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের রূহের মাগফেরাত এর জন্য মোনাজাত। পুলিশ, বিএনসিসি, আনসার, কারারক্ষী, রোভার, স্কাউট, স্কাউট গার্লস গাইড, শহরের অন্যান্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শনী। সকাল ১০টায় রক্তদান কর্মসূচি। ১০.১৫ মিনিটে শহিদ আব্দুর রাজ্জাকের মাজার জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন। সাড়ে ১০টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সন্তানদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা। সাড়ে ১১টায় সাঁতার প্রতিযোগিতা ও হাঁসধরা প্রতিযোগিতা। বেলা দেড়টায় হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, সরকারি শশু পরিবার ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নত মানের খাবার সরবরাহ। জোহরের নামাজ অন্তে সন্ত্রাস ও জঙ্গি কার্যক্রমের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টির জন্য আলোচনা ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে আলোচনা এবং মুক্তিযুদ্ধে শহিদ/আত্মদানকারী/ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ মোনাজাত। সুবিধামত সময়ে বিশেষ প্রার্থনা। দুপুর আড়াইটায় প্রদর্শনী ভলিবল প্রতিযোগিতা, কাবাডি প্রতিযোগিতা। দুপুর ৩টায় মহিলাদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান। বিকাল ৪টায় সৌখিক ফুটবল প্রতিযোগিতা, জেলা প্রশাসন একাদশ বনাম পৌরসভা একাদশ। বিকাল সাড়ে ৪টায় বিজয় দিবস টেনিস প্রতিযোগিতা, সন্ধ্যায় আলোক সজ্জা, সন্ধ্যা ৬টায় শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক শহিদ মিনারে পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ১৫ ডিসেম্বর হতে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত খুলনা রোড মোড়, নিউ মার্কেট মোড় ও শহিদ রাজ্জাক পার্কে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শন। সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ নিবন্ধ/সাহিত্য সাময়িকি ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং সুবিধা মত সময়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এক নজরে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বর্ণাঢ্য জীবন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা। তিনি ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু ২০০৯ পর্যন্ত কয়েক দফায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগর ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সিটি মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৪৪ এর ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার গহিরা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরির জন্ম। পিতার নাম মরহুম হোসেন আহমদ চৌধুরি আর মাতা মরহুম বেদৌরা বেগম। আট ভাইবোনের মাঝে মহিউদ্দিন মেজ। পিতা চাকরি করতেন আসাম বেংগল রেলওয়েতে। পিতার চাকরির সুবাদে মহিউদ্দিন পড়াশোনা করেছেন মাইজদি জেলা স্কুল, কাজেম আলি ইংলিশ হাই, আর প্রবর্তক সংঘে। স্কুল জীবনে ছাত্রলীগের সাথে জড়িয়ে পড়েন।

স্কুল শেষে শেষে বাবার আদেশে ভর্তি হয়ে ছিলেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর কোর্সে। সেখানের পাট না চুকিয়ে ভর্তি হন চট্টগ্রামের অন্যতম বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম কলেজে। বছর না ঘুরতেই কমার্স কলেজম, শেষ পর্যন্ত সিটি কলেজ।
সিটি কলেজেই তার বিপ্লবী রাজনৈতীক জীবনের হাতেখড়ি। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

জহুর আহমদ চৌধুরীর হাত দিয়ে রাজনীতি শুরু। বঙ্গবন্ধুর ডাকে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিতে গিয়ে পাক বাহিনীর কাছে গ্রেফতার হন অসংখ্যবার। মুক্তিযুধ্যে অংশ নিতে গিয়ে আইএস আইয়ের চট্টগ্রাম নেভাল একাডেমি সদরদপ্তরের কাছে গ্রফতার হয়ে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন দীর্ঘ চার মাস।

শহিদ ভেবে বাবা ছেলের নামে দিয়ে ছিলো ফাতেহা। এরই মাঝে একদিন মানসিক রোগীর নাটক করে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে পালিয়ে বেরোন মহিউদ্দিন। পাড়ুই জমান ভারতে। সেখানে সশস্ত্র প্রশিক্ষন শেষে সক্রিয়ভাবে সম্মুখসমরে অংশ নেন। ছিলেন ভারত-বাংলা যৌথবাহিনীর মাউন্টেন ডিভিশনের অধীনে।

বঙ্গবন্ধুর খুবই কাছের আর আদরের ছাত্রনেতা ছিলেন মহিউদ্দীন। কিন্তু তৎকালিন সময়ে প্রবল ক্ষমতাশালী হয়েও ক্ষমতার মোহ স্পর্শ করেনি তাকে।

কিছুদিন না যেতেই ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে নিহত হন বঙ্গবন্ধু। অল্পের জন্য মহিউদ্দিন ধরা পরা থেকে বেঁচে যান, মৃত্যু বরণ করেন সাথি মৌলভি সৈয়দ। পালিয়ে গিয়ে ভারতে প্রতিবিপ্লবীদের সাথে যোগ দেন। লক্ষ্য সামরিক জান্তা, খুনি মোশতাককে সামরিক ভাবেই পরাস্ত করা। কিছুদিন পরেই দলের নির্দেশে পন্থা পরিবর্তন করে আবার সক্রিয় হন প্রকাশ্য রাজনীতিতে।

দেশে এসেই নির্যাতন, আর একের পর এক কারাভোগ। তখন স্বৈরাচার জিয়া ক্ষমতায়। মুক্তিযোদ্ধাদের উপর জিয়ার দমন, বংগবন্ধু হত্যাকাণ্ডে গোপন ষড়যন্ত্রের ভুমিকা, প্রতিবাদী করে তোলে মহিউদ্দিনকে। দলের নির্দেশে চলে বৈপ্লবীক প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ। তরুণ ছাত্রনেতা মহিউদ্দিনের জুজুতে সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা তটস্থ।

মাঝে আওয়ামী লীগের ভেতরেই ষড়যন্ত্রকারীরা তৎপর হয়ে উঠলো। বঙ্গবন্ধু কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভুমিকাকে নগণ্য করতে তাকে ঠেকাতে শত্রুরা উঠেপরে বসলো। অদম্য সাহসী মহিউদ্দীন চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় গিয়ে দলবল নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার জন্য ঝাপিয়ে পরলেন। সব বাধা অতিক্রম করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দলের কাণ্ডারির দায়ীত্ব নিতে সহয়তা করলেন।

স্বৈরাচারি সামরিক জান্তা এরশাদের শাসনামলে চট্টগ্রামে স্বয়ং জান্তা প্রধানকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে চক্ষুশূল হন সরকারের। ফলে আবারও রাজনৈতিক বন্দি। ততদিনে চট্টগ্রামের আপামর জনতার নয়নমনি হয়ে উঠেন মহিউদ্দীন চৌধুরী।

একানব্বইয়ের ঘুর্ণিঝড়ে দুস্হ জনতার পাশে দাঁড়িয়ে, অসহযোগ আন্দোলনে খালেদার সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে, গরিব-দুঃখি-শ্রমিকের অধিকারের কথা বলে মহিরুহে পরিনত হন আজকের মহিউদ্দীন।

ওয়ান ইলেভেনের শাসনামলে জেলে যান। ষাটোর্ধ বয়সে কারান্তরিন ছিলেন দীর্ঘ দুই বছর। এরমধ্যেই নির্মম ভাবে ইন্তেকাল করেন আদরের মেয়ে ফওজিয়া সুলতানা টুম্পা। নানান টালবাহানা করে টুম্পাকে মৃত্যু অবধারিত জেনেও দেখতে দেয়নি অনির্বাচিত সরকার নামক ভদ্রবেশি আরেক নব্য সামরিক জান্তা। শতচেষ্টা আর মানসিক নির্যাতন করেও টলাতে পারে নি সরকার মহিউদ্দীনকে একটুও।

তিনি ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন।

২০০৫ সালের মেয়র নির্বাচনে তিনি ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন মন্ত্রীকে পরাজিত করে তৃতীয়বারের মতো চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। পাশাপাশি প্রতিপক্ষের তুলনায় ভোটের ব্যবধানও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest