সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মশালা  সাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্নকলারোয়ায় মাছ ধরতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না কিশোর নয়নেরসাতক্ষীরায় পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনবৃত্তি উৎসবের নামে সাতক্ষীরায় চলছে কোচিং সেন্টারের রমরমা বাণিজ্য: প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনাসাতক্ষীরায়পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের বীমাদাবীর ৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকার চেক হস্তান্তরসাতক্ষীরায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে হেলমেট বিতরণসাতক্ষীরার প্রাণসায়ের খাল রক্ষায় যুব সমাজের দাবি আশাশুনি উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহবায়কের পিতার দাফন দুই মেয়ের পর আবারো মেয়ের জন্ম :  ৫দিনের কন্যাশিশুকে খালের পানিতে ফেলে হত্যা- মা আটক

ভার্জিনিয়া-নিউ জার্সিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার শীর্ষে ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে ধারাবাহিকভাবে কমতে শুরু করেছে তার জনপ্রিয়তা।
আর তারই জের ধরে যে মুহূর্তে এশিয়া সফরে রয়েছেন সেই সময় ভার্জিনিয়া এবং নিউজার্সির ভোটে ভরাডুবি ঘটেছে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির। আর এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ভার্জিনিয়া ও নিউজার্সির শহর ও শহরতলিগুলো ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টিকে মার্কিন কংগ্রেসে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।

এ ব্যাপারে নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, গত মঙ্গলবারের নির্বাচনে রাজ্য দুটির কলেজ পড়ুয়া শিক্ষিত ভোটের ও সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর জনগণ রিপাবলিকান পার্টিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিন অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয় বুধবার। এতে ভার্জিনিয়ার গভর্নর নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী র‌্যালফ নর্থহ্যাম। তিনি হারিয়েছেন রিপাবলিকান এড গিলেসপিকে।

অন্যদিকে, নিউজার্সিতে রিপাবলিকান প্রার্থী কিম গুয়াডাগনোকে হারিয়ে গভর্নর নির্বাচিত হয়েছেন ফিলিপ মারফি।

উভয় দলের নেতারাই বলছেন, ২০১৮ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে এই নির্বাচন রিপাবলিকানদের জন্য একটা নির্ভুল বিপদ সংকেত।
এ ব্যাপারে পেনসিলভানিয়া রাজ্যের রিপাবলিকান প্রতিনিধি চার্লি ডেন্ট বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর ভোটারদের বিরাট ক্ষোভ রয়েছে। আর রিপাবলিকানদের বিরুদ্ধে সেই ক্ষোভ তারা শুধু ব্যালটের মাধ্যমেই প্রকাশ করতে পারে।

এর আগে ওয়াশিংটন রাজ্যে এক বিশেষ নির্বাচনে জয় পেয়েছে ডেমোক্রেটরা। এই জয়ের মাধ্যমে রাজ্য সিনেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা। ফলে ওয়েস্ট কোস্ট তথা যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল পর্যন্ত ডেমোক্রেটদের প্রভাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এমনকি সর্বদক্ষিণের রাজ্য জর্জিয়াতে ডেমোক্রেটরা দু’টি আসন দখল করে যেখানে আগে তারা কোনো প্রার্থীই দিতে পারত না। অন্যদিকে আটলান্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল বাকহেডে একটি সিনেট আসন ডেমোক্রেটদের দখলে এসেছে। এদিকে পরপর তিন নির্বাচনে জয় পাওয়ায় ডেমোক্র্যাট শিবিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। আগামী বছরের মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনের আগে এ তিন নির্বাচনে জয় পাওয়ায় আশান্বিত ডেমোক্রেটরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও সাফল্য নিয়ে এমপি রবির উঠান বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক : বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও সাফল্য নিয়ে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে সদরের ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে দহাকুলা এলাকায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও সাফল্য তুলে ধরে উঠান বৈঠকে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন, আপনাদের সহযোগিতায় দেশের আর্থ-সামাজিক খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। ২০০৯ সালে যখন আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করে তখন ছিল বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, চরম খাদ্যাভাব। বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস এবং পরের দুই বছরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দমননীতির ফলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল বিপর্যস্থ, বিশৃঙ্খলাপূর্ণ। জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার দায়িত্বভার গ্রহণ করে সবক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনছেন। মানুষের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস ফিরে এসেছে। সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শেষ হয়েছে। এখন শুরু হয়েছে ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন জিডিপির ভিত্তিতে বিশ্বে ৪৫তম এবং ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে ৩৩তম স্থান অধিকার করেছে। দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা শীর্ষক তৃতীয় জাতিসংঘ বিশ্ব সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন : ‘দুর্যোগ প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে অধিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে পঞ্চম স্থানে বাংলাদেশ। বিশ্বের খুব কম দেশই একটানা এত দীর্ঘ সময় ধরে ৬ শতাংশের ওপর প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছে। অচিরেই প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। চলতি ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বাজেটের আকার দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। বিএনপি-জামাতের শেষ বছরে মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার। এখন বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলারে। পাঁচ কোটি মানুষ নিম্ন-আয়ের স্তর থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। দারিদ্র্যের হার ৪১.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২.৪ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে মহাজোটকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে বিএনপি-জামাতের দুঃশাসনের চরম জবাব দেয়। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি সরকার গঠনের প্রথম দিন থেকেই জনগণের নিকট নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ শুরু করেন। তিন মাসের মধ্যেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসেন। বিশ্বমন্দার নেতিবাচক প্রভাব সফলভাবে মোকাবেলা করেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেন। বিদ্যুৎ ও গ্যাস উৎপাদনে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেন। দারিদ্র দ্রুত হ্রাস করতে সমর্থ হন। জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করেন। সরকার বিগত পৌনে পাঁচ বছরে সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা, শিক্ষার হার ও মান উন্নয়ন, শিশু ও নারীসহ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, সড়ক, রেল, নৌ-যোগাযোগ ও গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষির বিকাশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই রূপকল্পে দেয়া লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সাফল্য অর্জন করেছেন। সরকার বিগত পৌনে পাঁচ বছরে সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা, শিক্ষার হার ও মান উন্নয়ন, শিশু ও নারীসহ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, সড়ক, রেল, নৌ-যোগাযোগ ও গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষির বিকাশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই রূপকল্পে দেয়া লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সাফল্য অর্জন করেছেন।’ এসময় সাধারণ মানুষ সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্য তুলে ধরেন। এসময় বিভিন্ন এলাকার মানুষ বর্তমান সরকারের উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনার সুস্থ্যতা কামনা করেন ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের সদস্য পৌর কাউন্সিলর জ্যোৎন্সা আরা, নির্বাহী সদস্য জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি এড. আব্দুল লতিফ, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলেখা দাস, দপ্তর সম্পাদক তহমিনা ইসলাম, জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি মীর আজহার আলী শাহিন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগ নেতা শেখ শফি উদ্দিন সফি, ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউপি সদস্য মর্জিনা খাতুন লিলি, শেখ ইলিয়াছ হোসেন, রন শেখ কামরুজ্জামান, রিয়াজ ইখতেখার বনি ও মুস্তাসিমসহ দলীয় নেতা-কর্মী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কপোতাক্ষ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন; বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বসে পড়ার আশংকা

কৃষ্ণ দাস, তালা : ছেলে পুলিশের সার্জেন্ট পরিচয়ে প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই অবৈধভাবে কপোতাক্ষের পাটকেলঘাটার আচিমতলা এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করছেন একই থানার লাল চন্দ্রপুরের নূরুল ইসলাম শেখ। এতে অদূর ভবিষ্যতে বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বসে পড়ার পাশাপাশি সর্বশেষ সরকারের ২৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে নদী খনন প্রকল্পে বিরুপ প্রভাব পড়ার আশংকায় আতংকিত হয়ে পড়েছেন ঐ এলাকার সাধারণ মানুষ।
কপোতাক্ষ নদের সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সরুলিয়া ইউনিয়নের আচিমতলা এলাকা থেকে সরকারি অনুমোদন না নিয়েই বালু উত্তোলন করছেন ঐ এলাকার লাল চন্দ্র পুরের মৃত মাহাতাব উদ্দীনের ছেলে নূরুল ইসলাম শেখ। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ১টার দিকে ঘটনাস্থলে গেলে এর সত্যতা মেলে।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, যশোরের কেশবপুরের বাউশোলা গ্রামের জনৈক শফিকুল ইসলাম নামের এক ঠিকাদারকে প্রতি ঘন ফুট ৩ টাকা চুক্তিতে নূরুল ইসলাম তার নিচু জমিতে বালু উত্তোলন করে উঁচু করছেন। তিনি জানান, গত প্রায় ১০ দিন ধরে তারা সেখান থেকে বালু উত্তোলন করছেন। কথা হয় সেখানে উপস্থিত জমি মালিক নূরুল ইসলামের সাথে। এব্যাপারে তিনি জানান, তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই তারা বালু উত্তোলন করছেন।
তাৎক্ষণিক এব্যাপারে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফরিদ হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, বালু উত্তোলনের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। এসময় তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান। তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) অনিমেষ বিশ্বাসের নিকট মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশিক্ষণে ঢাকায় অবস্থান করছেন। এনিয়ে সরুলিয়া ইউনিয়নের তহশীলদার তারক চন্দ্র মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউএনও স্যার তাকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের আশ্বাস দেন।
এদিকে সাংবাদিকরা বালু উত্তোলনের তথ্য সংগ্রহে ঘটনাস্থলে গেলে বালুর মালিক নূরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নানা আস্ফোলন করতে থাকেন এবং বলেন,তারা ছেলে যশোরের সার্জেন্ট মনিরুল সব কিছু সেই মিটিয়ে ফেলবেন। এসময় তিনি তার ছেলে মনিরুলের মোবাইল নং দিয়ে তার সাথে কথা বলতে বললে তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে ফোন ব্যাক করে তিনি সাংবাদিকদের সম্পর্কে কটুক্তি করেন।
প্রসঙ্গত,এক কালের ¯্রােতসীনি কপোতাক্ষ নদ গত কয়েক বছরে পলি জমে নব্যতা হারিয়ে দির্ঘ দিন বর্ষা মৌসুমে উপকূলীয় এলাকা জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছিল। এর পর এলাকাবাসীর আন্দোলনের ফলে সরকার ২৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে কপোতাক্ষ নদ খননের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় সেখান থেকে বালু উত্তোলন গোটা প্রকল্পকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে বলে মনে করছেন নদী সংশ্লিষ্টরা।
এলাকাবাসী জানান,মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে ঐএলাকার পার্শ্ববর্তী ভূমির তলদেশ থেকে জালের ন্যায় বালু সরে যায়। এতে কয়েক বছরে আক্রান্ত এলাকা ধ্বসে পড়তে পারে। আর এমনটি হলে আগাম আশংকায় আতংকিত হয়ে পড়েছেন ভূক্তভোগী এলাকাবাসী। এব্যাপারে তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি স্থায়ী সমাধানের জোর দাবি জনিয়েছেন।
সর্বশেষ সরুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারী নাজিম উদ্দিন মোবাইলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন যে,ইউএনও’র নিদের্শে তারা ঘটনাস্খলে গিয়ে মৌখিকভাবে সেখান খেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করেও দিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সন্ত্রাস ও মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই- কালিগঞ্জে ডা. রুহুল হক

কালিগঞ্জ ব্যুরো : মাদক ও সন্ত্রাস থেকে যুব সমাজকে দুরে রাখাতে খেলা ধুলার কোন বিকল্প নেই। খেলা ধুলা শলীর মন পরিস্কার রাখে। এ জন্য যুব সমাজকে খেলাধূলার জন্য সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। সরকার খেলাধুলার জন্য ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে বেশী পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলার সাদপুর ক্রীড়া পরিষদের আয়োজনে ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল গফুরের সভাপতিত্বে ৪ দলীয় লাখ টাকার ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ আ.ফ.ম রুহুল হক এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় সাদপুর ফুটবল মাঠে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শ্যামনগর উপজেলার ভ্ররুলিয়া মহসীন রেজা ফুটবল একাদশ ও কালিগঞ্জ উপজেলার উত্তরশ্রীপুর ফুটবল একাদশের মধ্যেকার খেলাটি আক্রমণ পাল্টা আক্রমনের মধ্যেদিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। খেলার প্রথম অর্ধে ৭ মিনিটের মাথায় উত্তরশ্রীপুর একাদশের বেলাল ১ গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়। অন্যদিকে মহসীন রেজা একাদশের নাইজেরিয়ান খেলোয়াড় সিও খেলার ৯ মিনিট, ২৮ মিনিট ও ৬৫ মিনিটের মাথায় পর পর ৩ গোল করে হেট্্িরক করে। দলের অপর গোলটি করেন ৬৯ মিনিটের মাথায় গোল করে দল ৪-১ গোলে এগিয়ে যায়। বিপুল সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে মহসীন রেজা ফুটবল একাদশ ৪-১ গোলে উত্তরশ্রীপুর ফুটবল একাদশকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করে। খেলাটি পরিচালনা করেন ফিফা রেফারি ইকবাল আলম বাবলু, সহকারী ছিলেন সুকুমার দাশ বাচ্চু, সৈয়দ মোমিনুর রহমান, আব্দুস সামাদ। সোহরাওয়ার্দী পার্ক কমিটির সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট জাফরুল্লাহ ইব্রাহিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান, অফিসার ইনচার্জ লস্কর জায়াদুল হক, ওসি (তদন্ত) মোহাম্মাদ রাজিব হোসেন, ভাড়াশিমলা ইউপি চেয়ারম্যান নুরমোহাম্মাদ বিশ্বাস, তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য আসাদুর রহমান সেলিম, নুরুজ্জামান জামু, অধ্যাপক গাজী আজিজুর রহমান, ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল খালেক, ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, নলতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন পাড়, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আহম্মাদ আলী গাজী, সাবেক ইউপি সদস্য ডাঃ আব্দুল কাদের, আব্দুর রাজ্জাক, জিএম শাহাবুদ্দিন গাজী, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা শামছুল হুদা কবির খোকন প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ব্রহ্মরাজপুরে নিঃসন্তান ভিক্ষুক দম্পতি পেল ‘প্রান্তিক বসতি’

মাস্টার আছাদুল, ধুলিহর প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রশাসনের নিরলস প্রচেষ্টায় নিঃসন্তান ভিক্ষুক দম্পতি পেল ‘প্রান্তিক বসতি’। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের চেলারডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন ভিক্ষুক দম্পতির হাতে নব-নির্মিত ‘প্রান্তিক বসতি’ নামের ঘরের চাবি তুলে দেন। চেলারডাঙ্গা গ্রামের মোঃ আমের আলী মালী (৯০) ও আছিরন খাতুন (৭০) এই ভিক্ষুক দম্পতি উপস্থিত থেকে নব-নির্মিত ঘরের চাবি গ্রহন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ নুর হোসেন (সজল), ব্রহ্মরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস,এম শহিদুল ইসলাম, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সুপারভাইজার আব্দুল মকিব ও ব্রহ্মরাজপুর ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও সাংবাদিক মোঃ রেজাউল করিম মিঠু। এছাড়া এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিপুল সংখ্যক লোকজন চাবি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন। চাবি হস্তান্তর শেষে জেলা প্রশাসক ভিক্ষুক দম্পতির খোঁজ-খবর নেন ও কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের জন্য নব-নির্মিত ঘরটি ঘুরে দেখেন। পূনর্বাসিত (পূর্বে ভিক্ষুক ছিলেন) ব্যক্তিদের জন্য উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে ‘প্রান্তিক বসতি’ নির্মিত হয়েছে। অসহায় নিঃসন্তান ভিক্ষুক দম্পতি মাথা গোজার ঠাই নব-নির্মিত ঘরটি পেয়ে খুব আনন্দ প্রকাশ করেছে ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে অনুদানের চেক বিতরণ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে অসহায়, হতদরিদ্র, অসুস্থ, শিক্ষা, চিকিৎসা ও প্রতিবন্ধীদের সাহায্যার্থে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম এ অনুদানের চেক বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু। পাঁচ হাজার থেকে বিশ হাজার টাকার সর্বমোট ১৪৫ জনকে মোট ৯ লক্ষ ৪ হাজার টাকা অনুদানের চেক বিতরণ করেন।এসময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার। এদেশের কোনো মানুষ যাতে বিনা চিকিৎসায় থাকে সে জন্য সকল উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ানে কমিউনিটি ক্লিনিকের তৈরি করে দিয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ পূর্বের তুলনায় এখন অনেক ভালো অবস্থানে আছে। কোনো শিশু যাতে অশিক্ষিত না থাকে সে জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি ও বছরের প্রথমে বই দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়াও বর্তমান সরকার গৃহহীনদের জন্য করে দিচ্ছেন আবাসনের ব্যবস্থা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রতিদিন দারচিনি এবং মধু খাওয়ার উপকারিতা

সবাই বলে এই প্রজন্মের এত রোগে ভোগার পিছনে নাকি ভেজাল খাবার দায়ি। কথাটা যে একেবারে ভুল, এমন নয়! কিন্তু আমাদের শরীর ঠিক না থাকার পিছনে আমাদের দোষও কম নেই।
এই যেমন দেখুন না প্রকৃতি আমাদের হাতে একাধিক অস্ত্র তুলে দিয়েছে। তবু আমরা সেগুলি ব্যবহার করি না। ফলে সহজেই নানা রোগ আমাদের ঘিরে ধরে তাণ্ডব করে।

সবাই তো সুস্থভাবেই বাঁচতে চায়। এমন কাউকে কি খুঁজে পাবেন যে বলবে যে আমি অসুস্থ হতে চাই! তাই যদি হয় তাহলে মধু এবং দরচিনি খাওয়ার অভ্যাস করেননি কেন? একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এই দুই প্রকৃতিক উপাদান একসঙ্গে যদি খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা যেমন বাড়ে, তেমনি ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন…

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়:
নিয়মিত যদি পরিমাণ মতো দারচিনির পেস্টের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের পরিমাণ বাড়তে থাকে যে ধীরে ধীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মারাত্মক শক্তিশালী হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে ক্লান্তিও দূর হয়।

২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে:
পরিবারে কি এই মরণ রোগের ইতিহাস রয়েছে? তাহলে তো আজ থেকেই দরচিনি এবং মধু খাওয়া শুরু করতে হবে। কারণ এই দুই প্রকৃতিক উপাদান ইনসুলের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

৩. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে:
মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, যা শরীর থেকে টক্সিক উপাদানের বের করে দিয়ে ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা কমায়। অন্যদিকে দারচিনিতে উপস্থিত অ্যান্টি-টিউমার প্রপাটিজ শরীরে কোথাও টিউমার হতে দেয় না। ফলে ক্যান্সার রোগ ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগই পায় না।

৪. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত দারচিনি এবং মধু খেলে স্টমাকে উপস্থিত গ্যাস বেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বদহজম এবং বুক জ্বালার মতো সমস্যা কমে যায়। প্রসঙ্গত, ব্লাডার ইনফেকশনের মতো রোগের চিকিৎসাতেও এই দুটি প্রকৃতিক উপাদান বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫. আর্থ্রারাইটিসের প্রকোপ কমায়:
নিয়মিত গরম জলে পরিমাণ মতো মধু এবং দারচিনি পেস্ট মিশিয়ে খেলে জয়েন্টে প্রদাহ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হাড়ও শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আর্থ্রারাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।

৬. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়:
সপ্তাহে ২-৩ দিন পরিমাণ মতো দারচিনি পেস্ট নিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে যদি মুখে লাগাতে পারেন, তাহলে স্কিনের যে কোনও সমস্যা কমে যায়। সেই সঙ্গে কোষের উপরের স্থরে জমতে থাকা মৃত কোষের স্থর সরে যায়। ফলে ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণচ্ছল হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে বলিরেখা এবং বয়সের ছাপও কমতে থাকে।

৭. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়:
শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বা এল ডি এল মাত্রা কমানোর মধ্যে দিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে দারচিনি এবং মধু বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, মধুতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের অন্দরে প্রদাহ কমায়। ফলে কোনও ধরনের হার্ট ডিজিজ হওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে কমে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফ্রিজে ডিম রাখলে কি হতে পারে?

১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৯০ জন এই ভুল কাজটা করে থাকেন। আর এই কারণে তাদের শরীরকেও যে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়, সে বিষযে কোনও সন্দেহ নেই! একাধিক গবেষণায় একথা প্রণামিত হয়েছে যে ফ্রিজের দরজার যে অংশে ডিম রাখার ব্যবস্থা করা হয়, সেখানে ভুলেও ডিম রাখা উচিত নয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রেফ্রিজারেটরের এই অংশে চাপমাত্রা মারাত্মকভাবে ওঠা-নামা করে। যে কারণে ডিম খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তো থাকেই। সেই সঙ্গে নানাবিধ ব্যাকটেরিয়া আক্রামণে ডিম খারাপ হয়ে যায়। এসব ডিম খেলে শরীরের যে কী হাল হতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না। সেই কারণে এবার থেকে ভুলেও ফ্রিজের দরজায় ডিম রাখবেন না। পরিবর্তে একটি এয়ার টাইট পাত্রে ডিম রেখে তা ফ্রিজের পেটের ভিতরে রাখবেন। এমনটা করলে একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় ডিমগুলো থাকবে। ফলে সেগুলো খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমবে।

প্রসঙ্গত, আরও কতগুলো বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
যেমন- রান্না করা ডিম ভুলেও ৩-৪ দিনের বেশি ফ্রিজে রাখা চলবে না। এর বেশি সময় ফ্রিজে রেখে সেই খাবার খেলে শরীর খারাপ হতে পারে। আর কাঁচা ডিম কখনই ৩০ দিনের বেশি রেখে খাবেন না।

এই নিয়মগুলো মেনে ফ্রিজে ডিম রাখলে খাবারটির শরীরে উপস্থিত একাধিক উপকারী উপাদান, যেমন- ভিটামিন-এ, ভিটামিন বি২, বি১২, বি৫, ভিটামিন ডি, ই, বায়োটিন, কোলিন, ফলিক অ্যাসিড এবং আয়রন একেবারে ঠিক ঠিক অবস্থায় থাকবে। ফলে এমন ডিম খেলে নানাভাবে শরীরের উপকারও হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest