সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মশালা  সাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্নকলারোয়ায় মাছ ধরতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না কিশোর নয়নেরসাতক্ষীরায় পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনবৃত্তি উৎসবের নামে সাতক্ষীরায় চলছে কোচিং সেন্টারের রমরমা বাণিজ্য: প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনাসাতক্ষীরায়পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের বীমাদাবীর ৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকার চেক হস্তান্তরসাতক্ষীরায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে হেলমেট বিতরণসাতক্ষীরার প্রাণসায়ের খাল রক্ষায় যুব সমাজের দাবি আশাশুনি উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহবায়কের পিতার দাফন দুই মেয়ের পর আবারো মেয়ের জন্ম :  ৫দিনের কন্যাশিশুকে খালের পানিতে ফেলে হত্যা- মা আটক

ফেল করায় শিক্ষকের বাড়িতে আগুন দিল শিক্ষার্থী!

এসএসসির টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে আকমল হোসেন নামের এক শিক্ষকের বাড়িতে আগুন দিয়েছে এক ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী। বুধবার (৮ নভেম্বর) পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বুধবার বিকেলে ঈশ্বরদী থানায় দেয়া শিক্ষক আকমল হোসেনের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত এসএসসি পরীক্ষায় বাঘইল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১০৯ জন শিক্ষার্থী টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে ৯৩ জন উত্তীর্ণ হয় এবং ১৬ জন অকৃতকার্য হয়। এই অনুত্তীর্ণ শিক্ষাথীদের একজন মোবাইলে কয়েকদিন ধরে শিক্ষক আকমল হোসেনকে হুমকি দিচ্ছিল। ওই শিক্ষার্থীর বক্তব্য ছিল, ‘তুই অঙ্কে ফেল করিয়েছিস; তোকে দেখে নেব’।

শিক্ষক আকমল হোসেনের বাড়ি চাটমোহর উপজেলায় হলেও, সম্প্রতি তিনি স্কুলের কাছেই জমি কিনে থাকার মতো একটি ঘর করেছেন। সেখানেই বসবাস করতেন তিনি। বুধবার সকালে এ ঘরটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় শিক্ষার্থী।

এর আগে মোবাইলে হুমকির কারণে ওই শিক্ষক ঘটনার দিন বাড়িতে ছিলেন না। আশপাশের মানুষজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও জিনিসপত্র রক্ষা করতে পারেনি। বাড়ির আসবাবপত্রসহ সবকিছু পুড়ে গেছে।

ওই শিক্ষকের দেয়া লিখিত অভিযোগটি তদন্তের জন্য থানা থেকে পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আলমগীর হোসেনের কাছে দেয়া হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সন্দ্বীপের বিচ্ছেদ, আবার বিয়ে করবেন কারিশমা

বলি পাড়ায় জোর গুঞ্জন চলছিল শিগগির নিজের প্রেমিক মুম্বাইয়ের ব্যবসায়ী সন্দ্বীপ তশনিওয়ালের সঙ্গে আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে পারেন কারিশমা কাপুর। কিন্তু কতটা তাড়াতাড়ি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন, তাঁরা তা নিশ্চিত করে বলতে পারছিলেন না। কারণ কারিশমার আইনগতভাবে বিচ্ছেদ হলেও সন্দ্বীপ ছিলেন বিবাহিত। তাই আইনের একটা বাধা ছিল সন্দ্বীপের জন্য। যদিও সন্দ্বীপেরও বিচ্ছেদের কথা চলছিল। অবশেষে আইনগতভাবে বিচ্ছেদ সম্পন্ন হলো সন্দ্বীপের। তাই দুজনের বিবাহ আবদ্ধ হতে আর কোনো আইনগত বাধা থাকল না।

মুম্বাই মিররের বরাত দিয়ে ডিএনএ ইন্ডিয়ার খবরে প্রকাশ, ২০১০ সালে স্ত্রী দন্তচিকিৎসক আশরিতার সঙ্গে আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন সন্দ্বীপ। যেখানে নিজের স্ত্রীকে সিজোফেনিয়ার রোগী বলে আখ্যা দেন সন্দ্বীপ। অন্যদিকে সন্দ্বীপকে ব্যভিচারী হিসেবে অভিযুক্ত করেন আশরিতা। আদালতের বাকবিতণ্ডা রূপ নেয় নোংরা এক লড়াইয়ে।

সন্দ্বীপ-আশরিতা দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। একটি সন্তানের বয়স ১২ বছর এবং অপরজনের বয়স নয় বছর। বিচ্ছেদের পর দুটি সন্তানেরই আইনগতভাবে দায়িত্ব পেয়েছেন আশরিতা। বিচ্ছেদের জন্য প্রত্যেক সন্তানকে ভরণপোষণের খরচ হিসেবে তিন কোটি রুপি করে দিতে হয়েছে সন্দ্বীপকে। এ ছাড়া আশরিতা নিজেও পেয়েছেন দুই কোটি রুপি।

এর আগে কারিশমা বিয়ে করেন সঞ্জয় কাপুরকে। সঞ্জয়-কারিশমার বিচ্ছেদের পর সঞ্জয় বিয়ে করেন প্রিয়া সাচদেবকে। কারিশমা ও সন্দ্বীপ দুজনেই নিজেদের সম্পর্কের ব্যাপারে ভীষণ খোলামেলা। প্রায়ই তাঁদের একসঙ্গে বিভিন্ন পার্টিতে অংশ নিতে দেখা যায়। যেহেতু সন্দ্বীপের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে, তাই দ্রুতই কাপুর খানদানের সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছেন সন্দ্বীপ তশনিওয়াল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাচারকারীদের চোখ রোহিঙ্গা শিশুদের দিকে

ঝড় থেমে গেলে যেমন সবকিছু শান্ত হয়ে আসে, ঠিক তেমনি অবস্থা বিরাজ করছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সেনাবাহিনীর নির্যাতন-হামলা-ধর্ষণের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে উপকূলবর্তী বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দাদের। কিন্তু নূর আলমের চোখে-মুখে সেই স্বস্তি নেই; কারণ গত দুদিন ধরে তিনি তাঁর ছয় বছরের মেয়েটিকে খুঁজে পাচ্ছেন না।

নূর আলমের মেয়ে ফাতিমা পাহাড়ের পাদদেশে ঘরের কাছেই ল্যাট্রিনের কাছে বসে খেলাধুলা করছিল, সর্বশেষ তাকে সেখানেই দেখা গেছে। কিন্তু তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

প্রচণ্ড রোদের মধ্যে খুঁজতে খুঁজতে হাঁপিয়ে ওঠা নূর আলম ক্রোধের স্বরেই বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলছিলেন, ‘কেউ আমার মেয়েটার কোনো খবর দিতে পারছে না।’ এ সময় নূর আলমের পাশে বসে ছিলেন বাকরুদ্ধ, ক্লান্ত তাঁর স্ত্রী।

‘আমার খুব ভয় হচ্ছে, কেউ যদি আমার মেয়েকে বিক্রি করে দেয়, অন্য কোথাও নিয়ে যায়। অনেকেই আমাকে বলেছে, এখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে’, যোগ করেন নূর আলম।

নূর আলমের এই ভয় অমূলক নয়।

নতুন করে সহিংসতা শুরুর পর রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বিপদসংকুল নদী ও সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে গত দুই মাসে ছয় লাখের অধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, যারা কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। এই শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া বিপন্ন জনগোষ্ঠীর ওপর নারী ও শিশু পাচারকারীদের লোলুপ দৃষ্টি রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) মিয়ানমারের সেনা ও পুলিশ ক্যাম্পে হামলার জের ধরে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের খড়গ নেমে আসে। সেখান থেকে পালিয়ে রোহিঙ্গারা অভিযোগ করেছেন, গ্রামের পুরুষদের ধরে নিয়ে হত্যা করছে সেনাবাহিনী আর নারীরা প্রতিনিয়ত ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। সেনাবাহিনী সেখানে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে রয়েছে বৌদ্ধ মগরাও।

বলপূর্বক বাস্তুচ্যুতির এই ঘটনা রোহিঙ্গাদের বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘দেশহীন জনগোষ্ঠীতে’ পরিণত করেছে। জাতিসংঘ এই ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদী’ উদাহরণ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছে।

মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে যেসব রোহিঙ্গারা আসছেন তাদের প্রতি ১০ জনের ছয়জনই নারী ও শিশু। এই সুযোগটিকেই কাজে লাগানোর জন্য ওত পেতে বসে আছে পাচারকারীরা। নারী ও শিশুদের গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগের প্রলোভন দিচ্ছে। এর মধ্যে আবার হাজারো শিশু রয়েছে, যারা রাখাইনের সংঘাতপূর্ণ অবস্থার মধ্যে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একাকী জনস্রোতে ভেসে বাংলাদেশে এসেছে। এদের অনেকেরই বাবা-মা মারা গেছে, অনেকে আবার পরিবারকে হারিয়ে ফেলেছে।

জাতিসংঘের শিশু অধিকার রক্ষাবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রধান জেন লিবি বলেন, ‘এটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ একটি অবস্থা। যে কোনো তরুণী পাচারকারীদের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলতে পারেন।’

পাচারকারীরা

রোহিঙ্গা যুবক নাজির আহমেদ দুই মাস আগে শরণার্থী ক্যাম্পের ভেতর একটি তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করেন। তাঁর কাজ হচ্ছে হারিয়ে যাওয়া শিশুদের খুঁজে বের করে বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। এখন পর্যন্ত এমন এক হাজার ৮০০ হারিয়ে যাওয়া শিশুকে বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন নাজির।

নাজিরের তথ্যকেন্দ্রের সম্বল হচ্ছে একটি কাঠের টেবিল আর একটি মাইক। তিনি বলছিলেন, ‘রোহিঙ্গারা এখানে নতুন এসেছে। তাদের জন্য এই জায়গাটা নতুন। অনেক বাচ্চাই নিজেদের ঘর থকে একটু দূরে গেলেই পথ হারিয়ে ফেলে। আর ফিরে আসতে পারে না।’

একদিন সকালে রয়টার্সের প্রতিবেদক তথ্যকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান সেখানে নাজির আহমেদের চেয়ারের পাশে হারিয়ে যাওয়া দুটি বাচ্চা বসে আছে। মাইকে নাজির বলছেন, ‘রোহিঙ্গা ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে, হারিয়ে যাওয়া দুটি শিশু পাওয়া গেছে, তারা এখন আমাদের কাছে আছে।’

শিশুদের বর্ণনা দিতে গিয়ে নাজির অব্যাহতভাবে মাইকে বলছিলেন, ‘তাদের গায়ে লাল ও হলুদ টি-শার্ট রয়েছে। একজনের পরনে প্যান্ট নেই, আরেকজনের হাতে একটি খেলনা রয়েছে। কেউ যদি শিশু দুটিকে শনাক্ত করতে পারেন তাহলে তাদেরকে নিয়ে যেতে পারবেন।’

সতর্কতা অবলম্বনের জন্য নাজির শিশুদের নাম বলছিলেন না। কারণ, এটা হচ্ছে শিশুদের পাচারকারীদের হাত থেকে বাঁচানোর কৌশল। বাবা-মাকে এসে শিশুটিকে শনাক্ত করার জন্য ঠিকমতো নাম বলতে হয়, পাশাপাশি শিশুটিকেও আচরণের মধ্য দিয়ে নিশ্চিত করতে হয় যে, আগতরা তার বাবা কিংবা মা।

শুধু হারিয়ে যাওয়া বাচ্চাদের খুঁজে দেওয়াই নয়, নাজির আহমেদ ক্যাম্পের বাসিন্দাদের নারী ও শিশু পাচারকারীদের সম্পর্কেও সচেতন করছেন। এই তো একদিন আগেই সকালবেলা ফুটপাত থেকে একটি শিশুকে চুরির চেষ্টা করছিল। বাচ্চার আচরণে বোঝা যাচ্ছিল ওই ব্যক্তি তার পরিবারের না। পাশের দোকানে বাচ্চাটির আত্মীয় কেনাকাটা করছিল, নাজির সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে তাকে বিষয়টি জানান।

নাজির বলছিলেন, ‘আমরা সব বাবা-মাকেই সতর্ক করে দিয়ে বলছি, এখানে পাচারকারী আছে, তারা যেন তাদের বাচ্চাদের প্রতিমুহূর্ত দেখে রাখে।’

কিছুক্ষণ পরেই নাজিরের সেই দুটি শিশু হারানোর ঘোষণার ফল ফলতে শুরু করল। হঠাৎ করেই একজন নারী এসে নাজিরের টেবিলের সামনে দাঁড়ালেন। লাল-টি শার্টওয়ালা শিশুটি সেই নারীর দিকে দুই হাত বাড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো অনবরত কাঁদতে শুরু করল।

শিশুটির মা দেলোয়ারা বেগম সন্তানকে পাওয়ার আবেগে কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, ‘আমার সোনামানিককে আমি হারিয়ে ফেলেছিলাম। সেদিন সকালে সে তার বাবার পিছু পিছু গিয়ে হারিয়ে যায়।’

‘কেউ কেউ আমাকে বলেছে, ছেলেটি হয়তো মরে গেছে। কেউ বলেছে, হয়তো পাচারকারীদের হাতে পড়েছে। কিন্তু যখন জানতে পারলাম যে, আমার সন্তান এখানে আছে, আমি খুবই খুশি হই। মনে হচ্ছে, আমি যেন হাতে চাঁদ পেয়েছি’, যোগ করেন দেলোয়ারা।

শ্রমদাস

রোহিঙ্গা নারী ও শিশুরা যে বাংলাদেশে শুধু পাচারের ভয়ের মধ্যে আছে, তা নয়। ইউনিসেফ জানাচ্ছে, অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের শ্রমদাস হিসেবে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে কক্সবাজারের বিভিন্ন মাছের আড়তেই যাচ্ছে বেশির ভাগ রোহিঙ্গা শিশু। মাছের মৌসুমের নয় মাসের জন্য শিশুপ্রতি মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে রোহিঙ্গা অভিভাবকরা ১৮ হাজার টাকা পাচ্ছেন। অর্থাৎ প্রতি মাসের একজন শিশুর শ্রম বিক্রি করে বাবা-মা দুই হাজার টাকা কামাই করছেন।

ইউনিসেফ ২০০৬ সালে সহিংসতার মধ্যে পালিয়ে আসা এমন ৪০০ শিশুকে স্কুলে পাঠানোর পাশাপাশি তাদের পরিবারকেও ছোটখাটো ব্যবসা করার সহযোগিতা দিয়েছে। জাতিসংঘের এই সংস্থা সাম্প্রতিক সময়ে যারা এসেছে তাদেরকে এই ধরনের নগদ সাহায্য দেওয়ার পক্ষে, কিন্তু লাখ লাখ রোহিঙ্গা পানি ও ওষুধের মতো জীবনদায়ী জিনিসের জোগান দিতেই তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পকেন্দ্রিক পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বাড়তে থাকায় আতঙ্কিত ফাতেমার বাবা নূর আলম। তিনদিন টানা খোঁজাখুঁজির পর তিনি ফাতেমাকে কুতুপালংয়ের একটি রাস্তায় খুঁজে পান। তিনি আক্ষেপ করে বলছিলেন, ‘এই সময়ে আমার মেয়েটি সম্পর্কে কেউ কোনো তথ্য  দিতে পারেনি। মানসিকভাবে আমি খুব ভেঙে পড়েছিলাম। এখন আমি খুবই খুশি। আমি জানতেও চাই না, ফাতেমা কোথায় ছিল, কেন গিয়েছিল। আমি তাকে পেয়ে গেছি এটাই যথেষ্ট।’

(রয়টার্সের প্রতিবেদন অবলম্বনে অনুবাদ)

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা প্রশাসকের হাড়দ্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল পরিদর্শন

দেবহাটা ব্যুরো : সাতক্ষীরা জেলার প্রথম মিড ডে মিল চালু হয়েছে হাড়দ্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান উন্নয়নে কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে চালু হয় দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা। প্রতিমাসে ৪০ হাজার টাকা মূল্যের প্রয়োজন হয় এই খাবার পরিবেশন করতে যার অর্থ দাতা স্থানীয় জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। বুধবার দুপুরে তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চালু হওয়া দুপুরের খাবারের মান পরিক্ষা করেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শেখ অহিদুল আলম, জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব আল ফেরদাউস আলফা, উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার জনাব ভুধর চন্দ্র সানাসহ শিশুদের অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। এসময় জেলা প্রশাসক ও অতিথিরা শিশুদের সাথে দুপুরের খাবারে অংশ গ্রহন করে। পরে শিশুদের মা দের সাথে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, হাড়দদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জেলার একটি মডেল হতে চলেছে, অজ পাড়াগায়ে অবসতিত এ প্রতিষ্ঠানটির সুনাম আজ বহু জায়গায় ছড়িয়েছে। তিনি আরো বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি দেশের একটি বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আমরা না থাকলে রাস্তায় ফ্যা ফ্যা করে ঘুরতে হবে : আ ‘লীগকে ইনু

ইনু। সবগুলো দল মিলেই পুরো এক টাকা হয়, তা না হলে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও কোনো লাভ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা ফুটবল মাঠে জাসদের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ইনু।

আওয়ামী লীগ নেতাদের দিকে ইঙ্গিত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দল করি কিন্তু ঐক্য করি। অনেকে বলেন, কারো নাকি দয়ায় মন্ত্রী হয়েছি। আমি একটা কথাই বলব ঐক্য প্রশ্নে এক টাকা চিনেন? এক টাকা, ১০০ পয়সায় এক টাকা। আপনার ৮০ পয়সা থাকতে পারে কিন্তু আপনি এক টাকার মালিক না। আপনার ৯৯ পয়সা থাকতে পারে কিন্তু আপনি এক টাকার মালিক না। যতক্ষণ এক টাকা হবে না ততক্ষণ ক্ষমতা পাবেন না। আপনি ৮০ পয়সা আর এরশাদ, দিলীপ বড়ুয়া, মেনন আর ইনু মিললে এক টাকা হয়। আমরা যদি না থাকি তাহলে ৮০ পয়সা নিয়ে রাস্তায় ফ্যা ফ্যা করে ঘুরবেন। এক হাজার বছরেও ক্ষমতার মুখ দেখবেন না।’

এ সময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট গঠনের ব্যাখ্যাও দেন হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া রাজাকারের নেত্রী। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের, খালেদা জিয়া পাকিস্তানের। শেখ হাসিনা মানুষের, খালেদা জিয়া জঙ্গির। আমি তাই দেশের জন্য হাসিনার সঙ্গে ঐক্য গড়েছি। খালেদাকে বর্জন করেছি। দেশের জন্যই আমি তাই বলি, আর রাজাকার সরকার না।’

নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান জাসদ সভাপতি। বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার উপরে আস্থা রেখে আমাকে তথ্যমন্ত্রী বানিয়েছেন। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন এর আগে কোনোদিন তথ্যমন্ত্রী অন্য দল থেকে হয়নি।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে ইনু বলেন, ‘বাংলাদেশকে যদি রক্ষা করতে চান, উন্নয়ন চান, শান্তি চান তাহলে ১৮ সালের ডিসেম্বরে যথাসময়ে নির্বাচন করতে হবে। সংবিধান রক্ষা করতে হবে। জাসদের শক্তি আছে, লাঠি আছে। আমরা যদি মনে করি জাসদের লাঠি যেই, রাস্তায় যাবে, সেই রাস্তায় আর কেউ থাকবে না।’

‘দেশ ও এলাকায় শান্তি এবং উন্নয়নের ধারা বজায় রাখুন, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ-দখলবাজি-দুর্নীতিবাজদের রুখে দাঁড়ান’ স্লোগানে শুরু হওয়া জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আলীম স্বপন, জাতীয় নারী জোটের সভাপতি আফরোজা হক রীনা, কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, মিরপুর উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী প্রমুখ।

সভাপতিত্ব করেন মিরপুর উপজেলা জাসদের সভাপতি মহাম্মদ শরীফ। জনসভায় স্থানীয় জাসদের হাজারো নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটা-সখিপুর সড়কে শর্ত সাপক্ষে ট্রাক চলাচলের অনুমতি

দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটা সখিপুর প্রধান সড়কে কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর শর্ত সাপক্ষে ১০ টি ট্রাক চলাচল করার অনুমতি দিল স্থানিয় নেতৃবৃন্দরা। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়ক নির্মানের স্বার্থে এবং দেবহাটা-সখিপুর সড়কটি দ্রুত সংস্কারের আশ্বাসে প্রতিদিন রাতে বালুবাহী ট্রাক চলাচল করতে পারবে বলে ঘোষনা দিলেন স্থার্নীয় জনপ্রতিনীধিরা। বুধবার বিকাল ৪ টায় ঈদগাহ বাজার শহীদ মিনার চত্তরে স্থার্নীয় জনসাধারনের উপস্থিতিতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতনের সভাপতিত্বে জবাবদিহীতা মূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আব্দুল গনি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমান, সখিপুর ইউপি সদস্য আবুল হোসেন, জগন্নাথ মন্ডল, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রুহুল আমিন খোকন প্রমূখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সখিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটা ওসি’র সাথে শ্রমিকলীগের শুভেচ্ছা বিনিময়

দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী কামাল হোসেনের সাথে নবগঠিত শ্রমিকলীগের নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। মঙ্গলবার রাত ৯ টায় দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জের অফিস কক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আরিফ, সদস্য রাজিব হোসেন জজ, সিরাজুল ইসলাম, মোঃ ইব্রাহীম হোসেন প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ

শ্যামনগর প্রতিনিধি : শ্যামনগরে ১৯০ জন দরিদ্র কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। ৮ নভেম্বর শ্যামনগর উপজেলা কৃষি অফিস বাস্তবায়নে উপজেলা চত্বরে ধান কাটার রিপার, সার ও বিভিন্ন প্রকার বীজ বিতরণ করেণ সাতক্ষীরা ৪ আসনের এমপি এস,এম,জগলুল হায়দার। এ সময় শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মহসিন উল মূলক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান, প্রেসক্লাব সভাপতি জি,এম,আকবর কবীর, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবুল হোসেন সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। সরকারি ৭০% ভর্তুকিতে ২৫টি ধান কাটার রিপার, প্রত্যেক কৃষককে ৮০ জনের ১কেজি সরিষা, ডিএপি ২ কেজি, এমওপি ১০কেজি, ৮০জনকে কেজি মুগ ডাল ডিএপি ১ কেজি, এমওপি ১০ কেজি, ১০জনকে তিল ১ কেজি, ডিএপি ২০ কেজি, এমওপি১০কেজি, ২০জনকে ২ কেজি ভুট্রা, ডিএপি২০কেজি, এমওপি ১ কেজি সার প্রত্যেক দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। বিতরণ পূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্থহ্যতা কামনা করে দোয়া ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। কৃষকরা উন্নত কৃষি উপকরণ, বীজ ও সার পাওয়ায় কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেণ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest