সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

৩৮ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হলো একটি বাটি

চীনে এক হাজার বছরের পুরনো একটি সিরামিক বাটি ৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছে। চীনের সং রাজবংশের এই দুর্লভ বাটিটি নিলামে তোলে ‘সোথেবাই’ নামের একটি নিলাম প্রতিষ্ঠান।

১৩ সেন্টিমিটার বা ৫ ইঞ্চি মাপের নীল ও সবুজ রংয়ের বাটিটি সং রাজবংশের একটি দুর্লভ সংগ্রহ। দাবি করা হচ্ছে, নিলামে বিক্রি হওয়া বাটিটি আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।

তবে জানা যায়নি কে এই বাটিটি কিনেছেন । কারণ ওই ক্রেতা তাঁর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।

১০.২ মিলিয়ন ডলার দিয়ে বাটিটির নিলাম ডাকা শুরু হয়। আর নিলামের ডাক চলে বিশ মিনিট পর্যন্ত। সেটি শেষ পর্যন্ত বিক্রি হয় ৩৮ মিলিয়ন ডলারে।

এর আগে ২০১৪ সালে মিং রাজবংশের একটি দুর্লভ বাটি ৩৬ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়। মি লি নামে এক ব্যক্তি সেটি ক্রয় করেন। শখের বশে দুর্লভ শিল্প সামগ্রী সংগ্রহ করে থাকেন এই শিল্পপতি।

চীনে এ ধরনের দুর্লভ সিরামিক সামগ্রী প্রায়ই পাওয়া যায়।

সোথেবাইয়ের প্রধান নিকোলাস চৌ বলেন, “এবারের বাটিটি এত বেশি দামে বিক্রি হবে তা কল্পনাও করতে পারিনি। তবে নিলামে বড় ধরনের ডাক আসতে পারে- তা আগেই ধারণা করেছিলাম”।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয় স্থানান্তর সিদ্ধান্তে তোলপাড়! দেশে ফেরার তারিখ নিয়ে আবারও ধূম্রজাল

অনলাইন ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার তারিখ নিয়ে ফের ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তিনি কবে দেশে ফিরবেন কেউ বলতে পারছেন না।
দীর্ঘ দুই মাস ২০ দিন ধরে চিকিৎসার কথা বলে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করলেও এখনো ফেরার দিন নির্ধারণ হয়নি। সর্বশেষ গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফেরার কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত তাও বাতিল করা হয়েছে। এবার বলা হচ্ছে, চলতি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে যে কোনো দিন তিনি ঢাকায় ফিরতে পারেন। চিকিৎসার কথা বলা হলেও লন্ডনে বসে এবার দল ঢেলে সাজানোর ব্যাপারে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এর মধ্যে চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়সহ নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘স্ট্রাকচারাল’ পরিবর্তনসহ চেয়ারপারসনের একটি কার্যালয় স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দলের ভিতরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। দলের কজন সিনিয়র নেতা এ ব্যাপারে বিস্ময় প্রকাশ করেন এবং কী কারণে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে তা স্পষ্ট হওয়া দরকার বলে মনে করেন। অনেকে দলীয় পদ-পদবি থেকে বাদ পড়ার ভয়েও কাতর হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, চেয়ারপারসন কার্যালয়ের কতিপয় কর্মকর্তা ও কার্যালয়ভিত্তিক কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও অনিয়ম-দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের অপসারণের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুই শীর্ষ নেতা। বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফেরার পরপরই এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। দলের ভিতরে এ নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দুটি কার্যালয়ভিত্তিক কতিপয় নেতা ও ব্যক্তির রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এত দিন যেসব ব্যক্তি দলের যেসব সিনিয়র নেতার সঙ্গে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে আসছিলেন- তাদের বাসায় বাসায় এখন প্রায় প্রতিদিনই আসা-যাওয়া শুরু করেছেন। লবিং-তদবির করছেন- যাতে দল কিংবা কার্যালয় থেকে বাদ না পড়েন। চিকিৎসার্থে যুক্তরাজ্য যাওয়ার কথা বলা হলেও লন্ডনে বসেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দল ও রাজনীতির বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। দলের স্থায়ী কমিটির তিনটি শূন্য পদ পূরণ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল এবং দলের বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কমিটি পুনর্গঠনের বিষয়সহ রাজনৈতিক কর্মকৌশল ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে পরামর্শ করছেন। আগামী নির্বাচনে দলের প্রার্থিতাসহ সহায়ক সরকারের রূপরেখা চূড়ান্ত করছেন। অন্যদিকে, গত দুই মাস ২০ দিন ধরে লন্ডনে থাকাবস্থায় দলের অনেক নেতাই তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ফিরে এসেছেন। মা ও ছেলে উভয়ে কোনো নেতাকেই দেখা করার অনুমতি দেননি। তার মধ্যে অনেকে আবার তাদের সঙ্গে দেখা করতে না পারলেও দেশে ফিরে ফলাও করে প্রচার-প্রচারণাও চালাচ্ছেন। খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক ও যুক্তরাজ্যে অবস্থানকারী প্রবীণ রাজনীতিক মাহিদুর রহমান বলেন, ‘ম্যাডাম’ কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন এখনো কেউ জানেন না। কারণ তার চিকিৎসা এখনো শেষ হয়নি। চিকিৎসার জন্য বিদেশে এসে তা না শেষ করে তো ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। আর চিকিৎসা শেষ হয়ে যাওয়ার পর বিদেশে বসে থাকার নেত্রী অন্তত বেগম খালেদা জিয়া নন, এটা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ভালো করেই জানেন।

একই কথা বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার। লন্ডন থেকে তিনি বলেন, এখনো ফেরার তারিখ ঠিক হয়নি। একমাত্র চিকিৎসকরাই বলতে পারবেন তিনি (বেগম খালেদা জিয়া) কবে দেশে ফিরবেন। চিকিৎসা শেষ হলেই তিনি দেশে ফিরে আসবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ আগামী ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে। তার আগেই বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন বলে আশা করছেন দলের সিনিয়র অনেক নেতা।

সুষমা স্বরাজের সঙ্গে তার একান্ত বৈঠকেরও একটি শিডিউল রয়েছে। এর আগে সুষমা স্বরাজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশ সফরে এলে বেগম খালেদা জিয়া সোনারগাঁও হোটেলে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন। এবার খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় হতে পারে সেই বৈঠক। এ ছাড়াও ২০১২ সালের ২৮ অক্টোবর ভারত সরকারের আমন্ত্রণে দিল্লি সফরে গিয়ে বেগম খালেদা জিয়া ভারতের তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা এই সুষমা স্বরাজের বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সুষমা স্বরাজও তাকে উষ্ণ আতিথেয়তা প্রদর্শন করেন। তবে লন্ডন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতা চলতি মাসে বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, চলতি অক্টোবর মাসে তার না ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে নভেম্বরের প্রথমার্ধে দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া। প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুলাই বেগম খালেদা জিয়া চোখ ও পায়ের চিকিৎসার্থে লন্ডন যান।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের দায়িত্ব বিশ্ব সম্প্রদায়ের : সৌদি বাদশা

রাশিয়ায় সফররত সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই দায়িত্ব নিতে হবে। কেননা মিয়ানমারের রাখাইনে মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কী ঘটছে তার জন্য দায়িত্ব রয়েছে বিশ্ব সম্প্রদায়ের।

বৃহস্পতিবার মস্কোতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের সময় এ কথা বলেন। এসময় তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। এরমধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যুটিও খানিকটা এসেছে। তবে সংকট সমাধানে করণীয় কী তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

সৌদি-রুশ বৈঠকে ইরাক থেকে কুর্দিস্তানের স্বাধীন হওয়ার বিষয়েও কথা হয়। বাদশা সালমান বলেন, অবশ্যই ইরাকের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে। এসময় তিনি সিরিয়ার অখণ্ডতার কথাও উল্লেখ করেন। সিরিয়া যেন খণ্ড বিখণ্ড না হয়, সে জন্য রাশিয়ার সহযোগিতা চান বাদশা। বৈঠকে তারা বাণিজ্য ইস্যুতে চুক্তির বিষয়ে আলাপ করেন।

উল্লেখ্য রোহিঙ্গা ইস্যুতে সৌদি আরব তেমন কোনো মন্তব্যে করেনি। এদিকে রাশিয়ার সমর্থন পুরোপুরি মিয়ানমারের পক্ষে। রুশরা মনে করছে, রাখাইনে যা হচ্ছে তা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এদিকে জাতিসংঘেও ‘গণহত্যার পক্ষে’ কথা বলেছে রাশিয়া।

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য সৌদি আরব থেকে এসেছে ৯৪ টন ত্রাণ। আরও মানবিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি তাদের মন্ত্রিপরিষদেও আলাপ হয়েছে এই ইস্যুতে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বলিভিয়াকে হারাতে পারলো না নেইমাররা

অনলাইন ডেস্ক : ছয় মাস আগেই বিশ্বকাপে যাওয়া নিশ্চিত করে ফেলেছে ব্রাজিল। বলিভিয়াও নিজেদের শেষ সুযোগ হারিয়েছে কাছাকাছি সময়ে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আজকের ম্যাচটি আক্ষরিক অর্থেই ছিল ‘ডেড রাবার’। এমন এক ম্যাচ নিয়ে কৌতূহল ছিল শুধু একটি বিষয় নিয়েই, নেইমার খেলছেন তো? খেলেছেন নেইমার। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ হয়নি তাঁর। বলিভিয়ার মাঠে গোলশূন্য ড্র করেছে ব্রাজিল।

অনুশীলনে চোট পাওয়ায় ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে নাও দেখা যেতে পারে, এমনটা শোনা যাচ্ছিল ম্যাচের আগে। অবশ্য দল ঘোষণার পরই জানা গেছে, বলিভিয়ার দর্শকদের অতৃপ্ত হতে হবে না, নামছেন নেইমার। তবে নেইমার যে মাঠে আসলেই আছেন সেটা বুঝতে অনেক সময় লেগেছে। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই একটা শট নিয়েছিলেন, আর ১০ মিনিটে একটি ক্রস। এ ছাড়া প্রথম ২০ মিনিটে বোঝার উপায় ছিল না, নেইমার খেলছেন। কিংবা হলুদ জার্সি পরা দলটি ব্রাজিল। এর মাঝেই ১৫ মিনিটে গোলের ভালো একটা সুযোগ সৃষ্টি করেছিল বলিভিয়া। স্বাগতিক অধিনায়ক রোনাল্ড র‍্যাল্ডসের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় সে যাত্রা বেঁচে যায় ব্রাজিল।

নেইমার-কুতিনহোদের ছন্নছাড়া ফুটবলের বিপরীতে প্রতি-আক্রমণে ওঠা বলিভিয়াই বেশি ত্রাস ছড়াচ্ছিল। ম্যাচের ২৫ মিনিটে প্রথম নিজ রূপে দেখা দিলেন নেইমার। দারুণ গতিতে ছুটে বেড়িয়ে যাওয়া নেইমারের শটটি অবশ্য অনায়াসে ঠেকিয়ে দিয়েছেন কার্লোস লাম্পে। ৩৩ মিনিটেও ব্রাজিলকে গোল বঞ্চিত করেছেন এই বলিভিয়ান গোলরক্ষক। মাঝমাঠে ভয়ংকর এক ভুল করে বসে বলিভিয়ার রক্ষণভাগ। গ্যাব্রিয়েল জেসুস বল নিয়ে ছুটে ঢুকে পড়েন বক্সে। জেসুসের পাস থেকে শট নিয়েছেন নেইমার কিন্তু লাম্পেকে এবারও ফাঁকি দিতে পারেননি। এর আগেই অবশ্য ম্যাচে প্রথম বদলির দেখা মিলেছে। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১১ হাজার ফুট উচ্চতার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে ২৯ মিনিটেই উঠে গেছেন থিয়াগো সিলভা।
৩৮ মিনিটেও সেই লাম্পে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালেন। বাঁ প্রান্ত থেকে আসা থ্রু পাস দুই ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় ডামি করলে বোকা বনে যায় বলিভিয়ান রক্ষণ। সে এসে পড়ে ডি-বক্সে ফাঁকায় দাঁড়ানো জেসুসের কাছে। ১০ গজ দূর থেকে নেওয়া জেসুসের শট অবিশ্বাস্যভাবে বাঁচিয়ে দেন লাম্পে। এবার অবশ্য হাত নয়, মুখ দিয়ে ঠেকিয়ে নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন বলিভিয়ান গোলরক্ষক। ৫ মিনিট পরে অবশ্য স্বাগতিক দর্শকের কাছে নায়ক হয়ে গেলেন গ্যাব্রিয়েল ভালভার্দে। লাম্পেকে কাটিয়ে দুবার শট নিয়েছিলেন নেইমার, দুবারই লাইন থেকে ফিরিয়ে দিয়েছেন ভালভার্দে!
প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে উল্টো এগিয়ে যেতে পারত বলিভিয়া। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া বেহারানোর শট ব্রাজিল গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও ক্রসবারে লেগে ফিরেছে।
দ্বিতীয়ার্ধেও গল্পটা বদলায়নি। নেইমার, জেসুসরা একের পর এক সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু লাম্পের দৃঢ়তায় কোনো চিড় ধরাতে পারেনি ব্রাজিল। তাই গোটা আটেক শটের পরও হতাশা নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন নেইমার।
বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে গেছে বলেই কি না তিতের অপ্রতিরোধ্য ব্রাজিল দলটাকে কিছুটা ক্ষুধামন্দায় পেয়ে বসেছে। এটি আর্জেন্টিনার জন্যই বড় দুঃসংবাদ। বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে ব্রাজিল নিজেদের মাঠে খেলবে চিলির বিপক্ষে। আর্জেন্টিনা খুব করে চাইবে সেই ম্যাচটায় চিলিকে হারিয়ে দিক নেইমাররা। তাতে খুব সুবিধে হয় মেসিদের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ঘোর বিপদে ব্রাজিল কী করে, সেটাই এখন দেখার ১০ অক্টোবরের ম্যাচে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছেন প্রধান বিচারপতি !

অনলাইন ডেস্ক : শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছুটিতে যাওয়া প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অস্ট্রেলিয়ায় ভিসার জন্য আবেদন করেছেন। একমাসের ছুটিতে যাওয়ার দুই দিন পর গতকাল সকালে প্রথম প্রকাশ্যে বেরিয়ে তিনি গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত ভিসা সেন্টারে উপস্থিত হয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বড় মেয়ে বসবাস করেন।
গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাসভবন থেকে দ্বিতীয় দফা বেরিয়ে লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সস্ত্রীক যান প্রধান বিচারপতি।
এর আগে বিকেল চারটার দিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে দেখতে তাঁর সরকারি বাসভবনে যান। পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আমি তাঁকে দেখতে গিয়েছিলাম। উনি বিশ্রাম নিচ্ছেন। তাঁর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে কথা হয়েছে, আমাকে তাঁর জন্য দোয়া করতে বলেছেন।’

বিদেশে যেতে বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ভিসার আবেদন নিয়ে কথা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয়নি, আমিও উনাকে কিছু জিজ্ঞাসা করিনি।’

দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা গতকাল সকালে আদালতে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, উনি (প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা) তাঁর বাসভবনে আছেন। তিনি কার সঙ্গে দেখা করবেন বা করবেন না, এটি তাঁর ব্যাপার। আমরা কি নির্দেশনা দিতে পারি?’ ২ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা না করতে পারা এবং তাঁর সঙ্গে আইনজীবী নেতাদের সাক্ষাৎ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির তুলে ধরা এক মৌখিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।

শারীরিক অসুস্থতার কারণে ৩ অক্টোবর থেকে এক মাসের ছুটিতে আছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। ছুটি গ্রহণের দুই দিন পর পূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রথম তাঁকে জনসমক্ষে দেখা যায়।

প্রধান বিচারপতির ছুটি নিয়ে গতকালও আদালতপাড়ায় ছিল নানা আলোচনা। বিকেল পাঁচটার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতিসহ নেতারা দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেন। এর আগে সমিতির সংখ্যাগরিষ্ঠ পদে থাকা আইনজীবীরা (বিএনপি-সমর্থক) এবং কমিটিতে থাকা অপর অংশ (সরকার-সমর্থক) পৃথক ব্রিফ করেন। দুপুরে বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ছুটিতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে একদল আইনজীবী প্রতিবাদ সমাবেশসহ বিক্ষোভ মিছিলও করে।

‘আমি নিশ্চিত, উনি তাঁর বাসভবনে আছেন’
সকাল ৯টা ৫ মিনিটের দিকে এজলাসে আসেন দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের অপর চারজন বিচারপতি। আসন গ্রহণের পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘গত ২ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৫টায় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবনে দেখা করার চেষ্টা করেছিলাম। আমাদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা না করা পর্যন্ত আইনজীবী সমিতি উদ্বিগ্ন।’

এই পর্যায়ে আদালত বলেন, বিষয়টি সংবিধানের ১০৩ অনুচ্ছেদে (আপিল বিভাগের এখতিয়ারসংক্রান্ত) পড়ে কি না? এ সময় জয়নুল আবেদীন আইনজীবী সমিতি বিশেষ করে সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক কীভাবে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে দেখা করতে পারেন, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আরজি জানান।

এ সময় দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা আইনের অধীন। জেনেছি উনি অসুস্থতার জন্য পারফর্ম করতে পারছেন না। তাই জ্যেষ্ঠ বিচারপতি হিসেবে আমি দায়িত্ব পালন করছি। আমি নিশ্চিত, উনি তাঁর (প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা) বাসভবনে আছেন। তিনি কার সঙ্গে দেখা করবেন বা করবেন না, এটি তাঁর ব্যাপার। আমরা কি নির্দেশনা দিতে পারি?’

একপর্যায়ে আইনজীবী মইনুল হোসেন বলেন, ‘এটি বিচার বিভাগ ও আপনাদের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই আপনাদের কাছে এসেছি। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তিনি অসুস্থ, আমাদের উদ্বেগের বিষয়টি জানালাম।’ আইনজীবীদের প্রতিনিধিদল যাতে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে পারেন, সে ব্যবস্থার আরজি জানান তিনি।

এর একপর্যায়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, প্রধান বিচারপতির অসুস্থতা নিয়ে আমরা উদ্বিগ। রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে তাঁর অবস্থা জানিয়ে একটি বক্তব্য দেওয়ার জন্য আরজি জানান তিনি।

সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, ২ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করেছি, দেখা করতে পারিনি। এরপর দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনাদের কথা শুনলাম, উদ্বেগ জানিয়েছেন। আমরা চিন্তা করে দেখব।’

পরে নিজ কার্যালয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে আইনজীবীরা প্রার্থনা করেছেন, যেন তাঁর সঙ্গে (প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা) দেখা করতে পারার জন্য একটি আদেশ দেওয়া হয়। তখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেছেন, এটি তাঁদের তথা আপিল বিভাগের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আইনজীবীদের বলেছেন, তিনি যেদিন ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন, বার সদস্যদের অর্থাৎ সমিতির যাঁরা ক্ষমতায় আছেন, তাঁদের সেদিনই উচিত ছিল উনার (বিচারপতি ওয়াহ্‌হাব মিঞা) সঙ্গে দেখা করার। তাঁরা সেটা করেননি। প্রকাশ্য আদালতে এ রকম প্রার্থনা না করে চেম্বারে গিয়েও তাঁরা তাঁদের এই উদ্বেগ জানাতে পারতেন। যা-ই হোক, তাঁদের প্রার্থনায় আদালত কোনো রকম আদেশ প্রদান করেননি।

পরে বিকেল ৫টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতারা দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞার সঙ্গে তাঁর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন। সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন জানান, দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি তাঁদের বলেন, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আইনজীবীদের সাক্ষাতের বিষয়টি তিনি আইনমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। আইনমন্ত্রী তাঁকে বলেছেন, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কারও বাধা নেই। তবে প্রধান বিচারপতি কার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।

এর আগে বিকেল চারটায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে আইনজীবীদের পূর্বনির্ধারিত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, এতে জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ জ্যেষ্ঠ কয়েকজন আইনজীবী এতে অংশ নেন। তবে সমিতির সহ-সভাপতি মো. ওয়াজি উল্লাহসহ নির্বাহী কমিটিতে থাকা সরকার সমর্থক হিসেবে পরিচিত অপর ছয় জন এতে অংশ নেন নি।

দুই দিন পর বের হলেন প্রধান বিচারপতি
৩ অক্টোবর থেকে ছুটিতে যাওয়ার পর দুই দিন (৩ ও ৪ অক্টোবর) বাসভবনে অবস্থান শেষে গতকাল প্রথম জনসমক্ষে বের হন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। প্রধান বিচারপতিকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে গতকালই বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল।

আদালতের একটি সূত্র জানায়, গতকাল রাজধানীর হেয়ার রোডের সরকারি বাসভবন থেকে দুপুর ১২টার দিকে প্রধান বিচারপতি গুলশান ২ নম্বরে অবস্থিত ভিসা সেন্টারে পৌঁছান। সেখানে তিনি আধঘণ্টার মতো অবস্থান করেন। ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে তিনি বাসভবনে পৌঁছান। পাঁচ বছরের ভিসার জন্য আবেদন করা হয়।

এরপর ৫টা ২৫ মিনিটে তিনি আরেক দফা বের হন ঢাকেশ্বরী মন্দিরে লক্ষ্মীপূজার আনুষ্ঠানিকতা উপলক্ষে। তাঁর গাড়িবহর কদম ফোয়ারা, দোয়েল চত্বর, শহীদ মিনার হয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পৌঁছায় বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিটে। তিনি সস্ত্রীক মন্দিরের মূল অংশে গিয়ে পূজার আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন। এরপর তাঁরা মন্দিরের প্রশাসনিক ভবনের দোতলার অতিথি কক্ষে যান। এ সময় অস্ট্রেলিয়া থেকে বড় মেয়ের ফোন এলে তিনি ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন।
সন্ধ্যা ৬টা ১১ মিনিটে প্রধান বিচারপতি মন্দির প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।

দেখা করতে গেলেন আইনমন্ত্রী
প্রধান বিচারপতি ঢাকেশ্বরী মন্দিরের উদ্দেশে বের হওয়ার আগে আগে তাঁর হেয়ার রোডের বাসভবনে যান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিকেল ৪টা ৫ মিনিট থেকে ৪টা ৩৯ মিনিট পর্যন্ত আইনমন্ত্রী সেখানে অবস্থান করেন। এরপর তিনি বেরিয়ে যান।

প্রধান বিচারপতি আইনমন্ত্রীকে গাড়িবারান্দা পর্যন্ত এগিয়ে দেন। এ সময় প্রধান বিচারপতির পরনে ধূসর রঙের একটি পাঞ্জাবি ও পায়জামা পরা ছিল। আইনমন্ত্রী প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে জড়ো হওয়া সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা না বলেই চলে যান।

দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আইনমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
এর আগে দুপুরে দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে তাঁর দপ্তরে গিয়ে সাক্ষাৎ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এটি সৌজন্য সাক্ষাৎ। তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। ওনার দায়িত্ব পালনে আমার সম্পূর্ণ সহযোগিতার কথা বলেছি। এর আগে প্রধান বিচারপতি দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর তাঁদের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তখন তাঁদের বলেছিলাম যে আইন মন্ত্রণালয় হচ্ছে বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের সেতুবন্ধন। সে কথাই আবারও বলেছি এবং সহযোগিতার কোনো কমতি হবে না, এটাও বলেছি।’

সাক্ষাতের সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে অন্য বিচারপতিরা ছিলেন কি না, এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘একসময় আপিল বিভাগের অপর চার বিচারপতিও এসেছিলেন। ওনাদের সঙ্গেও কথা হয়েছে।’
সূত্র: প্রথমআলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্বকাপের টিকিট কেটে ফেলল জার্মানি-ইংল্যান্ড

অনলাইন ডেস্ক : ম্যাচের আগেই সমীকরণটা জানা ছিল দুই দলের। ২০১৮ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে হলে আজ ড্র করলেই চলবে জার্মানি ও ইংল্যান্ডের। এত সহজ সমীকরণ পূরণ করতে কোনো ঝামেলা হয়নি বাছাইপর্বে এখনো পর্যন্ত থাকা দুই দলের। জয় দিয়েই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে ইউরোপের দুই ফুটবল পরাশক্তি।

মাঠ ও প্রতিপক্ষ বিবেচনায় জার্মানির কাজটাই কঠিন ছিল। একে উত্তর আয়ারল্যান্ডের মাঠে খেলা, তারপর এ ম্যাচের আগে গত ৫২৫ মিনিট কোনো গোল খায়নি এই দলটি। গত ইউরোতেই ফুটবল দুনিয়ায় নিজেদের চিনিয়ে দিয়েছে এই দেশটি। টানা চার ম্যাচে জয় বলে দিচ্ছিল, দুর্দান্ত ফর্মেও আছে তারা। কিন্তু বাছাইপর্বে সবগুলো ম্যাচে জেতা জার্মানি ওসব নিয়ে ভাবার সময় আছে! দুই মিনিটেই এগিয়ে গেল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সেবাস্তিয়ান রুডির প্রথম আন্তর্জাতিক গোলের ১৯ মিনিট পরেই ব্যবধান বাড়িয়েছেন সান্দ্রো ওয়াগনার।
উত্তর আয়ারল্যান্ডের ম্যাচে ফেরার সব স্বপ্ন শেষ হয়েছে ৮৬ মিনিটে। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা জশুয়া কিমিখের দুরূহ কোণের শট নিশ্চিত করে দেয় ১৯বারের মতো জার্মানির বিশ্বকাপে অংশ গ্রহণ। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্রতিপক্ষের মাঠে ৮৩ বছর ধরে অপরাজিত থাকার রেকর্ডটিও অক্ষুণ্ন রইল জার্মানির। যোগ করা সময়ে স্বাগতিক দলের জশ ম্যাগেন্নিসের গোল শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে (৩-১)। তবে এখনো বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়নি দেশটির। নিজেদের শেষ ম্যাচে দুর্ঘটনার শিকার না হলে প্লে-অফ খেলার সুযোগ খোলা থাকবে ১৯৮৬ সালে সর্বশেষ বিশ্বকাপ খেলা দলটির।
ওদিকে নিজেদের মাঠে খেলার পরও ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত হতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত উপেক্ষা করতে হয়েছে। ৯৪ মিনিটে হ্যারি কেনের ওই গোলে ইংল্যান্ডের যতটা না লাভ হয়েছে, স্লোভেনিয়ার ক্ষতি হয়েছে তার চেয়ে বেশি। গ্রুপ ‘এফ’-এ দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কটল্যান্ডের চেয়ে তিন পয়েন্ট পিছিয়ে গেছে স্লোভেনিয়া।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ যাত্রা অন্যের হাতে!

শুক্রবার ভোরে বুয়েন্স আয়ার্সে অনুষ্ঠিত মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পেরুর সঙ্গে ড্র করেছে আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত ৯০মিনিটে কোনো দলই গোল করতে পারেনি।
আর এই ফলাফলের মধ্য দিয়েই রাশিয়া বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ হারালো আর্জেন্টিনা।

জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমে ম্যাচের ৫ মিনিটেই গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলো স্বাগতিক দল। গ্যাব্রিয়েল মারকাদোর ক্রস থেকে হেড করেছিলেন ঘরের ছেলে দারিও বেনোদেতো। কিন্তু অল্পের জন্য সেই শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর ১৫ মিনিটের মধ্যেই পেরু রক্ষণকে বোকা বানিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। কিন্তু কখনো তাঁর শট ব্লক হচ্ছিল, কখনো বা বারের বাইরে দিয়ে যাচ্ছিল।

বিরতির পর মেসির পাস থেকে বেনোদেতো গোল করার সুযোগ পেলেও তা ব্যর্থ করে দেন পেরু গোলরক্ষক পেদ্রো গালেসে। এরপর ৫৮ মিনিটে মেসির দুর্দান্ত এক থ্রু পাস থেকে আর্জেন্টিনাকে প্রায় এগিয়ে দিয়েছিলেন আলেহান্দ্রো গোমেজ। কিন্তু গালেসের আরেকটি সেভ তা হতে দেয়নি।

ঘরের মাঠে ভেনেজুয়েলার পর পেরুর বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ে পয়েন্ট টেবিলে ছয়ে নেমে গেছে লিওনেল মেসির দল।

এদিকে, এ নিয়ে টানা চার ম্যাচে জয়হীন থাকলো আর্জেন্টিনা। শীর্ষ চারটি দল সরাসরি বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলবে। পঞ্চম স্থানধারীকে প্লে-অফের বাধা পেরোতে হবে। পয়েন্ট খুইয়ে সেই অবস্থানটাও হারিয়েছে আর্জেন্টিনা।

বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে ইকুয়েডরের মাঠে জয়ের কোনো বিকল্প নেই। একইসঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচগুলোতে। এদিকে, তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে চিলি। হোম ম্যাচে প্যারাগুয়ের কাছে হেরে এক ধাপ অবনমনে চারে নেমে গেছে কলম্বিয়া। দু’দলের পয়েন্ট সমান ২৬। বলিভিয়া-ব্রাজিল ও ভেনেজুয়েলা-উরুগুয়ে ম্যাচ গোলশূন্য ড্রয়ে নিষ্পত্তি হয়েছে। পয়েন্ট খোয়ালেও দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে উরুগুয়ে (২৮)। সবার আগে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে পা রাখা সেলেকাওদের সংগ্রহ ৩৮।

অন্যদিকে, পাঁচ নম্বরে উঠে আসা পেরুর সমান পয়েন্ট আর্জেন্টিনার। ১ পয়েন্ট পিছিয়ে তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে প্যারাগুয়ে। দুই থেকে চার এ চারটি অবস্থানে পয়েন্টের ব্যবধান মাত্র ১। তাই শেষ ম্যাচে ফলাফলে অনেক কিছুই বদলে যেতে পারে।

আর্জেন্টিনা আসা টিকিয়ে রাখছে এই সমীকরণটাই। শেষ ম্যাচে পেরুর মাঠে নামবে কলম্বিয়া। ভেনেজুয়েলাকে আতিথ্য দেবে প্যারাগুয়ে। হোম ভেন্যুতে উরুগুয়ের সামনে বলিভিয়া। ব্রাজিলে গিয়ে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে চিলিকে।

আগামী বুধবার (১১ অক্টোবর) সবগুলো ম্যাচই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতের সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিচারক মোনালিসা

ভারতের একমাত্র আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতা মিস ও মিসেস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ডওয়াইড-এর বিচারক হওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন বাংলাদেশের মডেল ও অভিনেত্রী মোনালিসা। বিশ্বের ৩৫টি দেশে অনুমোদিত মিসেস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ডওয়াইড- এর এটি হলো ২৫ তম আয়োজন।

ফেসবুকে মোনালিসা লিখেছেন, এবারই প্রথম কোনো প্রতিযোগিতায় বিচারক হতে যাচ্ছি। এই আমন্ত্রণ পেয়ে আমি গর্বিত। এটা আমার কাছে বিশেষ ও দারুণ একটি সম্মান। আন্তর্জাতিক বিচারক হিসেবে এখানে অংশ নেবো ভেবে আমি উচ্ছ্বসিত।

আমেরিকার নিউ জার্সির রয়েল আলবার্টস প্যালেসের দ্য প্লাজায় শুক্রবার আর গ্র্যান্ড বলরুমে আগামী ৮ই অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে মিস ও মিসেস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রাতিযোগিতা। প্রথম দিন ইভিনিং গাউন আর দ্বিতীয় দিন ভারতীয় পোশাকে সেজে বিচারকদের সামনে আসবেন প্রতিযোগীরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest