শ্যামনগর ব্যুরো : শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর গ্রামে সালাউদ্দীন (১৮) নামের একযুবকের বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু বরণ করেন। সে উপজেলার মাজাট গ্রামের মোঃ ইকবাল হোসেনের পুত্র। পরিবার সূত্রে জানাযায়, গত ২৯ আগষ্ট সকাল ৮ টায় সালাউদ্দীন তার মামা নকিপুর গ্রামের মোঃ ফজের আলীর বাড়িতে বেড়াতে আসে। মামার শয়ন কক্ষে একটি বৈদ্যুতিক বাল্বের লাইন সংযোগ দিতে গেলে অসাবধানতা বসত তার হাতে বিদ্যুৎতের তার জড়িয়ে যায়। এ সময় তার নানী সালাউদ্দীনকে ছাড়াতে চেষ্টা করে এবং পরিবারের অন্যান্যদের সহযোগীতায় তাকে দ্রুত শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ওমর ফারুক চৌধুরী তাকে মৃত ঘোষনা করে। মৃত সালাউদ্দীন তার পিতার একমাত্র পুত্র সন্তান। বিকাল ৫ টায় তার পারবারিক গোরস্থানে দাফন করা সম্পন্ন করা হয়।

শুক্রবার রাতে ছোঁয়া পরিবহনের যে বাস বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ গিয়েছিল, সেই একই বাস সোমবার মধুপুর অতিক্রম করার সময় পুলিশ আটকায়। এরপর ওই বাসের চালক হাবিব (৪৫), সুপারভাইজার সফেদ আলি (৫৫) এবং বাসের সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) আটক করে পুলিশ। থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বাসের তিন সহকারী রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে, ওই দিন বাসে রূপাসহ ছয় থেকে সাতজন যাত্রী ছিলেন। অন্য যাত্রীরা সিরাজগঞ্জ মোড় এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে নেমে যান। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার সময় রূপা একাই বাসে ছিলেন। বাসটি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কাছাকাছি এলে বাসের সহকারী শামীম জোর করে রূপাকে বাসের পেছনের আসনে নিয়ে যায়। এ সময় রূপা তাঁর কাছে থাকা পাঁচ হাজার টাকা ও মুঠোফোন শামীমকে দিয়ে দেন এবং ক্ষতি না করতে অনুরোধ করেন। সেই অনুরোধ উপেক্ষা করে শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীর তাঁকে ধর্ষণ করে। রূপা চিৎকার শুরু করলে ধর্ষকেরা তাঁর মুখ চেপে ধরে। একপর্যায়ে ঘাড় মটকে রূপাকে হত্যা করা হয়। পরে মধুপুর উপজেলা সদর পেরিয়ে বন এলাকা শুরু হলে পঁচিশ মাইল এলাকার রাস্তার পাশে লাশটি ফেলে দেওয়া হয়।
