সর্বশেষ সংবাদ-
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগাঁথা দেবহাটা মুক্ত দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভাআশাশুনি বকচরে মানবতার আলোর শীতবস্ত্র বিতরণসাতক্ষীরায় ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালনসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ছাত্রদলের দোয়াফেসবুক পোস্ট মুছে ফেলাকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ে সংঘর্ষতালায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের পর তরুণীকে হত্যার অভিযোগক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার কমানোর দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধনবেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাতক্ষীরায় দোয়াবারসিকের উদ্যোগে পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের ওরিয়েন্টেশনজামায়াত শুধু নিজেদের মানুষকেই চাকরি দেয়, তারা সার্বজনীন হতে শেখেনি: কাজী আলাউদ্দিন

মেয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল বাবা রাম রহিমের!

ভারতের হিন্দুত্ববাদী ধর্মীয় সংগঠন ‘ডেরা সচ্চা সৌদা’র প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিং ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। প্রভাবশালী অপরাধী বলে কথা।
তাই জেলের মধ্যেও স্বঘোষিত এই গডম্যানের সব রকম সুযোগ সুবিধার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

এদিকে বাবা রাম রহিমের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের দিকে গুরুতর অভি‌যোগ করেছিলেন তার দত্তক কন্যা হানিপ্রীতের স্বামী বিশ্বাস গুপ্তা। তার অভি‌যোগ ছিল, পালক কন্যা হানিপ্রীতের সঙ্গে রাম রহিমের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। তবে নিজের পাপ ঢাকতে হানিপ্রীতকে তিনি দত্তক নিয়েছিলেন।

গুপ্তা বিশ্বাসের দাবি, ২০১১ সালে একবার তিনি আশ্রমে বাবার গুফায় গিয়েছিলেন। ঘরের দরজা খোলা ছিল। উঁকি মেরে দেখতেই স্তম্ভিত হয়েছিলেন। আপত্তিকর অবস্থায় ছিলেন রাম রহিম, তার স্ত্রী ও হানিপ্রীত। বিশ্বাস গুপ্তা জানিয়েছেন, ১৯৯৯ সালে ফতেহাবাদে তাদের বিয়ে হয়েছিল। রাম রহিম ‌যদি হানিপ্রীতকে দত্তক নিয়ে থাকেন, তাহলে উনি আমাকে সঙ্গে থাকতে দেন না কেন? প্রশ্ন তুলেছিলেন বিশ্বাস। ২০১১ সালে তিনি রাম রহিমের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলেন। তবে পরে আদালতের বাইরে আলোচনার মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি করে নেন। রাম রহিমের সবকটি ছবিতেই দেখা গেছে হানিপ্রীতকে। তার ফেসবুক প্রোফাইল বলছে, হানিপ্রীত সমাজকর্মী, পরিচালক ও অভিনেত্রী।

জানা যায়, বিহার রাজ্যের ডেরা সাচ্চা সওদার আশ্রমের গোপন ডেরায় ‘রাসলীলা’ চালাতেন এ ধর্মগুরু। অঢেল অর্থ-বিত্ত ও দামি দামি গাড়ি, সিনেমার হিরো, বিদেশ সফর আমোদ-প্রমোদের কোন ঘাটতি ছিল না তার জীবনে। ভারতীয় একটি ইংরেজি দৈনিকের প্রতিবেদনে জানা গেছে, রোহতকের সুনারিয়ার জেলে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত গুরু রাম রহিমকে রাখা হয়েছে। তার কয়েদি নম্বর ১৯৯৭। সেখানেই প্রথম রাতে না ঘুমিয়ে কাটাতে হয়েছে ধর্ষক বাবাকে। শুধু তাই নয়, রাতে মাত্র একটি রুটি এবং দুধ খেয়ে ডিনার সারেন তিনি। তবে জেলখানায় গিয়েও নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন রাম রহিম। কয়েদখানাতেও এক নারী রাম রহিমের সঙ্গে রয়েছেন। যদিও সরকারি সূত্রগুলো এমন দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলছে, সাধারণ কয়েদিদের তুলনায় কোনো বাড়তি সুবিধা দেয়া হচ্ছে না রাম রহিমকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হেলিকপ্টারে আসবেন বিচারক, ২৮ কোম্পানি আধা-সেনা মোতায়েন

হেলিকপ্টারে আসবেন বিচারক। আসবেন দুই সহকারী। থাকবে কড়া নিরাপত্তা। রোহতক থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে, সুনারিয়ার জেলা কারাগারেই আগামীকাল সোমবার বসবে বিশেষ সিবিআই আদলত। আর সেখানেই ঘোষিত হবে শিষ্যাকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ভারতের হিন্দু ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিমের সাজা।

গত শনিবার হরিয়ানা ও পাঞ্জাব হাইকোর্টের তরফ থেকে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালত ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করার পর সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত সেখানে ৩৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। যারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শুধু রায় ঘোষণায় এই অবস্থা, সাজা ঘোষণা হলে কী হবে? আগামীকাল সোমবার সাজা ঘোষণা নিয়ে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না হরিয়ানা প্রশাসন। পঞ্চকুলা, চণ্ডীগড়কে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। দুর্গ বানিয়ে ফেলা হয়েছে রোহতককেও। ২৮ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে গোটা শহর জুড়ে।

সোমবার রোহতকের জেলেই বসবে বিশেষ সিবিআই আদালত। জেলের ভেতরে তৈরি হওয়া অস্থায়ী এজলাসে গিয়েই বিচারক জগদীপ সিংহ গুরমিত রাম রহিম সিংহের সাজা ঘোষণা করবেন।

হরিয়ানা পুলিশের ডিজিপি সাংবাদিকদের গতকাল শনিবার জানিয়েছেন, সাজা ঘোষণার দিন আদালতে আনা হবে না রাম রহিম সিংকে। এক্ষেত্রে দুটি রাস্তা খোলা থাকছে। এক, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রায় ঘোষণার সময় হাজির করা হতে পারে তাকে। দুই, কারাগারে বসতে পারে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। সেই আদালত আয়োজন করতে বিশেষ বিমানে উড়িয়ে আনা হতে পারে বিচারক জগদীপ সিংকে।

শনিবারই শুনানি চলাকালীন হরিয়ানা প্রশাসনকে এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন হরিয়ানা ও পাঞ্জাব হাইকোর্ট। সাজা ঘোষণার দিন কারাগারেই বিচারশালা বসাতে বলা হয়েছে। সেই জন্য বিমানে উড়িয়ে আনতে হবে বিচারক জগদীপ সিং ও দুই সহকারীকে। সেখানেই ঘোষিত হবে সাজা। এই নিয়ে রোহতক জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে নির্দেশও পাঠিয়ে দিয়েছে আদালত।

সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, সুনারিয়ায় রোহতক জেলা কারাগারে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ পাঠিয়ে কোর্টরুম আয়োজন করতে বলা হয়েছে। সেখানে যাতে আইনজীবীরা সহজে যাতায়াত করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

দার্জিলিংয়ে ঘাঁটি ছিল ধর্ষক গুরুর, নাম স্ল্যাক্স বাবা

গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের ‘পদধূলি’ পড়েছিল দার্জিলিংয়েও। সমতল ছাড়িয়ে পাহাড়ে রীতিমতো জমি কিনে, সেখানে স্থায়ী ডেরা তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন গায়ক, নায়ক, পরিচালক, নির্দেশক, স্বঘোষিত ধর্মগুরু রাম রহিম।

শনিবার আদালত গুরমিতকে ধর্ষক হিসাবে দোষী সাব্যস্ত করার পর উত্তাল হয়ে ওঠে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা। টিভিতে সেই ছবি দেখানো হয় ফলাও করে। পর্দায় বারবার ভেসে ওঠে রাম রহিমের মুখ। তা দেখেই চমকে ওঠেন পাহাড়ের বাসিন্দারা। এ মুখ যে তাদের বেশ চেনা। বছর কয়েক এই ধর্মগুরুই তো স্ল্যাক্স পরে পাহাড়ে ঘুরে বেড়াতেন। তার আজব পোশাকের দৌলতে পাহাড়বাসীর কাছে তিনি ‘স্ল্যাক্সবাবা’ নামে পরিচিত ছিলেন।

ধর্ষণে জড়িয়ে যে ধর্মগুরু আজ খবরের শিরোনামে, তার আচার-আচরণ গোড়া থেকেই মুচমুচে খবর ছিল পাহাড়ে। ২০০৯ সালের মে মাসে রাম রহিম প্রথম ৫০টি গাড়ির কনভয় নিয়ে দার্জিলিংয়ে হাজির হয়েছিলেন। তার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল মূলত মহিলারাই।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, তার সঙ্গে ১৫০-২০০ জন রক্ষী ছিল। এছাড়া আরও ৫০ জন লোক থাকত তার আশপাশে। সকলেই ছিল হরিয়ানার বাসিন্দা। দার্জিলিং শহরের সবচেয়ে বিলাসবহুল হোটেলেই উঠেছিলেন স্বঘোষিত এই ধমর্গুরু। তিনি যেখানেই যেতেন, তাকে ঘিরে নিরাপত্তা বলয় থাকত। পাহাড়ে পা রেখেই অখিল ভারতীয় গোর্খালিগের নেতা প্রয়াত মদন তামাংয়ের সঙ্গে পরিচয়পর্ব সেরে ফেলেন তিনি। মোটা টাকার বিনিময়ে বক্সিঝোরায় দুই একরের বেশি জায়গাও কেনেন। সেখানে আশ্রম গড়ে তোলার কাজও শুরু হয়।

হরিয়ানা থেকে মিস্ত্রি, শ্রমিক এনে রাজকীয় কায়দায় আশ্রম তৈরি হতে থাকে। নির্মাণ কাজ নিজে দেখাশোনার জন্য সেখানেও দিন কয়েক ছিলেন রাম রহিম। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ‘ধষর্ক’ এই ধর্মগুরু রাস্তায় দাঁড়িয়ে অশালীন আচরণ করতেন। তার আচরণ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রবল আপত্তি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মসজিদের ভল্ট খুলে মিলল ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা

কিশোরগঞ্জ শহরের পাগলা মসজিদের ভল্ট খুলে মিলেছে প্রায় এক কোটি ১৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া সোনা, রুপা ও বৈদেশিক মুদ্রাও মিলেছে। তবে এসবের হিসাব এখনো করা হয়নি।

গতকাল শনিবার তিন মাস পর মসজিদের ভল্ট খোলা হয়। এতে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বেশি টাকা পাওয়া যায় এবার।

কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা নদীর তীরে এই মসজিদ অবস্থিত। মসজিদের সঙ্গে একটি মাদ্রাসাও রয়েছে। সাধারণের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন।

মসজিদটি পরিচালনার জন্য একটি কমিটি রয়েছে। কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক (পদাধিকারবলে) মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস আর সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র মাজহারুল ইসলাম ভুঁইয়া কাঞ্চন।

গতকাল ভল্ট খোলার সময় জেলা প্রশাসকের পক্ষে নির্বাহী হাকিম আবু তাহের সাঈদ উপস্থিত ছিলেন। রোববার দুপুরে তিনি বলেন, ‘সাধারণত তিন মাস পর পর মসজিদের ভল্ট খোলা হয়। গতকাল ভল্ট খোলা হয়েছে। এতে নগদ এক কোটি ১৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। সোনা, রুপার পরিমাণ এখনো মাপা হয়নি। এ ছাড়া বেশ কিছু মার্কিন ডলার, সিঙ্গাপুরি ডলার, সৌদি রিয়াল, মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত পাওয়া গেছে। সেগুলো এখনো ভাঙানো হয়নি।’

‘এই মসজিদের যখন ভল্ট খোলা হয়, তখন সাধারণত এক কোটি টাকার কাছাকাছি পাওয়া যায়। এবার সর্বোচ্চ টাকা পাওয়া গেছে’, যোগ করেন নির্বাহী হাকিম।

এই টাকা সাধারণত কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও সরকারের পরামর্শক্রমে বিভিন্ন মসজিদে দান-খয়রাত, মাদ্রাসার উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয় বলে এলাকাবাসী জানান।

মসজিদটি অনেক পুরোনো। এখানে জুমার দিন প্রচুর লোকসমাগম হয়। মসজিদে নারীরা আলাদা নামাজ আদায় করতে পারেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেনেরিক নয়, ব্র্যান্ড নামই পছন্দ চিকিৎসকদের!

দেশের বেশিরভাগ চিকিৎসকই রোগীদের দেওয়া ব্যবস্থাপত্রে (প্রেসক্রিপশন) ওষুধের জেনেরিক নাম লিখছেন না। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা ওষুধের ব্র্যান্ড নাম ব্যবহার করছেন। তাই নিজের পছন্দ অনুযায়ী ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নাম লিখে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। অভিযোগ উঠেছে, এতে করে অনেক নিম্নমানের প্রতিষ্ঠানের ওষুধও নিতে হচ্ছে রোগীদের।

চলতি বছর ৯ জানুয়ারি রোগীর ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের জেনেরিক নাম লিখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি হয়। এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রুল জারি করেন।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তবে ওই ব্যাপারে শুনানি এখন পর্যন্ত হয়নি।

জেনেরিক নাম
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) দেওয়া ধারণা অনুযায়ী ওষুধের জেনেরিক নাম হচ্ছে কোনো নির্দিষ্ট ওষুধের রাসায়নিক নাম। ওই নাম বললে ওই ওষুধকে বিশ্বের যেকোনো জায়াগায় চেনা যাবে। ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসব ওষুধের ব্র্যান্ড নাম দেয়। কিন্তু এর নিচে লেখা থাকে ওষুধটির জেনেরিক নাম।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একটি ওষুধের জেনেরিক নাম প্যারাসিটামল। এই প্যারাসিটামল তৈরি করেছে ওষুধ প্রস্তুতকারী অনেক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান নাম দিয়েছে এইস। একই ওষুধ অন্য একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে নাপা নামে। এখানে নাপা ও এইস হচ্ছে ব্র্যান্ড নাম। আর প্যারাসিটামল হলো জেনেরিক নাম।

অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকরা ব্যবস্থাপত্রে জেনেরিক নাম না লিখে ব্র্যান্ড নামই লিখছেন। আর এতে সরাসরিই চিকিৎসক কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানের ওষুধ লিখে দিচ্ছেন।

অভিযোগ উঠেছে, ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ও বিক্রয় প্রতিনিধিদের (মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ) চাপেই জেনেরিক নাম লিখছেন না চিকিৎসকরা।

এ বিষয়ে কথা হয় একাধিক বিক্রয় প্রতিনিধির। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাঁদের একজন বলেন, ‘জেনেরিক নামে ওষুধ লিখলে তো ডাক্তারদের আয় কমে যাবে। তখন উনারা আর কোম্পানির লোকদের কাছে পেইড ডাক্তার থাকবেন না।’

‘এটা লেখা নিয়ে কোনো নির্দেশনা নেই’
জেনেরিক নাম লেখা হয় কি না এ ব্যাপারে একাধিক চিকিৎসকের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তাঁদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আসলে এটা লেখা নিয়ে আমাদের তেমন কোনো নির্দেশনা নেই। বাংলাদেশে জেনেরিক নাম লিখলেও সমস্যা না লিখলেও সমস্যা। এই অবস্থায় কি করা হবে সেটা পরিচালকরাই ভেবে দেখবেন।’

এ ব্যাপারে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই জেনেরিক নামে ওষুধ লেখা উচিত। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা বেশ কঠিন কাজ। জেনেরিক নামে লেখা শুরু হয়ে গেলে অনেকগুলো তুলনা মূলক খারাপ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে কারণ তখন সবাই শুধু ভালো প্রতিষ্ঠানের দিকেই ঝুঁকবে। তবে তখন কিছু অসৎ ব্যবসায়ী বেশি মুনাফার জন্য যে কোনো তুলনা মূলক খারাপ ওষুধ বিক্রি করবে না এটা ভাবা যাবে না। এ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে আমরা মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলব।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘বাংলাদেশে ওষুধের শুধু জেনেরিক নাম লেখা বেশ কঠিন একটা ব্যাপার। ওষুধের দোকানের লোকজন তো বেশি শিক্ষিত না যে তাদের উপর সব কিছু ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে।’

‘জেনেরিক নামে প্রেসক্রিপশন হলে তো খারাপ না’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আব্দুর রব বলেন, ‘এ বিষয় নিয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবো। আমরা শুধু সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভালো ভাবে দেখতে পারব কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সেভাবে তদারকি করতে পারব না।’

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন বরেন, ‘যেহেতু ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের জেনেরিক নাম লিখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেহেতু এটা নিয়ে আমাদের ভাবা উচিত।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী মাল্টি ন্যাশনাল বিজনেস সিস্টেমের কারণে এটা করা বেশ কঠিন কাজ তবে অসম্ভব নয়। জেনেরিক নামে প্রেসক্রিপশন হলে তো খারাপ হয় না। যার যার ইচ্ছে মতো ওষুধ কিনতে পারবে।’

গত ২ জানুয়ারি চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র সম্পর্কে হাইকোর্টে রিট করেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে (এইচআরপিবি) আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ জানুয়ারি ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের জেনেরিক নাম লিখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

এ ব্যাপারে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘বিষয়টি এখনো বিচারাধীন। বিচারকার্য শেষ হলেই আশা করছি ওষুধের জেনেরিক নাম লিখতেও হাইকোর্ট নির্দেশনা দেবেন।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পুলিশি ঝামেলায় রানি মুখার্জি

অনেকদিন অভিনয়ে নেই। বিয়েশাদী করে ঘর সংসারে মনযোগী হয়েছেন এক সময়ের সাড়া জাগানো অভিনেত্রী রানি মুখার্জি। বর আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে সুখের দাম্পত্যে এক কন্যার জননী তিনি। সবকিছু সামলে শোনা যাচ্ছিলো শিগগিরই পর্দা কাঁপাতে কামব্যাক করছেন রানি।

কিন্তু এরইমধ্যে জানা গেল, পুলিশি ঝামেলার মুখে পড়েছেন তিনি। নিজের জুহুর বাংলো ‘কৃষ্ণা রাম’র কাছেই একটা বেআইনি কনস্ট্রাকশনের জন্য রানিকে নোটিশ পাঠিয়েছে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন।

 জানা গেল, কর্পোরেশনের প্রতিনিধিরা সরেজমিন তদন্ত করতে রানির বাড়িতে যায়। কিন্তু তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। রানির প্রতিনিধি অবশ্য এই ঘটনা স্বীকার করেনি। তিনি জানিয়েছেন, নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট ২০১৪ সালেই নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। প্রতি বছর সেটাকে ভ্যালিডেটও করানো হয়। আর বিএমসি’র তরফে যে নোটিস পাঠানো হয়েছিল, পরের দিনই তার জবাব দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বিএমসি’র তরফে নাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে প্রতিনিধিরা আবার যাবেন রানির বাড়িতে। সঙ্গে যাবে পুলিশও। ভালো বিপাকে পড়েছেন এই অভিনেত্রী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পারুলিয়ার পশুরহাট জমজমাট

কেএম রেজাউল করিম : জেলার অন্যতম এবং দেবহাটা উপজেলার বৃহৎ পশুর কেনা-বেচার হাট পারুলিয়ার গরুহাট। আগামী শনিবার ১০ জিলহাজ্ব আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেবহাটায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে পশুরহাট। সপ্তাহের রবিবার এখানে হাট বসে। রবিবার কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশুর ব্যাপক সমাগম ঘটে। কিন্তু দিনটির শুরুতে সকাল থেকে থেমে থেমে হালকা ও মাঝারি আকারে বৃষ্টিতে হাটের পরিবেশ কিছুটা ব্যহত হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ আল আসাদ এবং দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী কামাল হোসেনের দক্ষ নের্তৃত্বে ব্যাপক নিরাপত্তা ও সুস্থ, সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন হয়। জানাগেছে, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবছর সরকার ধায্যকৃত মূল্য না পাওয়ায় সরকারি ভাবে উক্ত হাট নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে। তবে, ক্রেতা-বিক্রেতা ও দর্শানাথীরা এবছর হাটের খাজনার পরিমাণ কম থাকায় এবং পরিবেশ সুন্দর হওয়ায় ধন্যবাদ প্রকাশের পাশাপাশি স্বস্থির নিশ্বাস ফেলেছে। তাছাড়া সকাল থেকে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ আল আসাদ, দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী কামাল হোসেন, ওসি(তদন্ত) শরিফুল ইসলাম, সেকেন্ড অফিসার উজ্বল দত্ত, এসআই, এএসআই, পুলিশ ও গ্রাম পুলিশের সদস্যদের উপস্থিতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়িয়ে, যানজট নিরাশন করে হাটের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করেন।
এদিকে, জেলা ও জেলার বাইরে থেকে পশু ক্রেতা, বিক্রেতা ও দর্শনার্থীদের কিছুটা গতি পিছিয়ে দেয় বৃষ্টির কারণে। এবার ঈদের শেষ হাটে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা থাকলেও দাম কম ছিল না বড় গরুর। এবার দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম। তবে তাতে সন্তুষ্ট খামার, গরু ব্যবসায়ীরা ও ক্রেতারা। যথেষ্ট মূল্য পাওয়াতে লোকসান গুনতে হচ্ছে না তাদেরকে। অন্যদিকে ক্রেতাদের সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে ধর্মীয় কাজটি সমাধা করতে পশু কিনছে মানুষ। তাই বিক্রিতেও রয়েছে প্রতিযোগীতা। তবে এবার হাটে ভারতীয় পশু না থাকায় দেশিয় পশুর আগমন কয়েকগুন বেশি হওয়ায় স্বস্থি ফেলেছেন বিক্রেতারা।
পবিত্র ঈদুল আযহার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এ ঈদের দিনটিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় মানুষ কোরবানি দিয়ে থাকেন। এজন্য প্রয়োজন হৃষ্টপুষ্ট পশু। দেশে প্রায় ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ হওয়ায় বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতি বছর কোরবানি দিয়ে থাকেন। এ চাহিদাকে সামনে রেখে সারাদেশে অসংখ্য পশুর হাট বসে থাকে। তেমনি রবিবার দেবহাটা উপজেলার গরুহাটে গিয়ে দেখা গেছে হাটের হাল চিত্র। গরুর পাশাপাশি পশুর মধ্যে মহিষ ও ছাগল। তবে এর সাথে ভেড়াও যোগ হয়েছে। হাটে বেচাকেনাও অনেকটা জমে উঠেছে। এর মধ্যে দেশী গরুর সংখ্যাই বেশি। গরুর বেপারিরা জানান, জেলার অন্য পশুরহাটগুলোতে এবার বিভিন্ন এলাকা থেকে দেশী পশু আসছে। তবে ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে গরু কম আসায় দাম মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে বলে সাধারণের অভিমত। বিশেষ করে গত বছর বাজারে মাংসের কেজি ছিল ৩৫০টাকা থেকে ৪০০টাকা। সেখানে এ বছর মাংসের কেজি ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০টাকা। সেই হিসেবে পশুর দাম গত বছরের তুলনায় কম। হাটে ছাগলের আগমনও যথেষ্ট। আছে ভারতের রাজস্থান থেকে আনার পরে বাড়িতে পালিত মহিষ। এ হাটে গত কয়েকহাটের তুলনায় বিক্রিও বেশী। হাটে ২৫ হাজার থেকে শুরু করে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাম চাইছে বিক্রেতারা। তবে সর্বচ্চ ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার গরু ও ২০ হাজার টাকার ছাগল বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া ২৫ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা দামের গরু বেশী বিক্রি হয়েছে। ৫৫-৬৫ হাজার টাকার মধ্যেও বেশকিছু গরু বিক্রি হয়েছে। খাসি ছাগলও বিক্রি হচ্ছে তুলনামূলক। দাম ৪ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে। তবে ৬/৮ হাজার টাকা দামের ছাগল বেশী বিক্রি হচ্ছে। পারুলিয়া গড়িয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকায় গরু বিক্রয় করেছেন। আশাশুনি উপজেলার শোভনালি গ্রামের পরিতোষ কুমার জানায়, তার চাহিদা ছিল এক লাখ ২৪ হাজার কিন্তু তিনি ১ লাখ ২৩ হাজার টাকায় গরু বিক্রয় করেছেন। অপরদিকে, পারুলিয়া গ্রামের আমিরুল ইসলাম ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা চাহিদা থাকলেও ক্রেতাদের দাম ছিল ১লাখ ১০হাজার। অপরদিকে, গরুর দাম তুলনামূলক ভালো হলেও ছাগলের দাম তেমন বেশি সন্তোষজনক হয়নি। সখিপুরের কোঁড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছাগলের দাম ৩০ হাজার টাকা চাইলেও ক্রেতারা দাম দিতে চাইছিল ২৫/২৮ হাজার টাকা। নওয়াপাড়ার হাদিপুর গ্রামের ইউসুফ আলী তার ছাগলের দাম ৩৬ হাজার টাকা চাইলেও ক্রেতারা ২৮ হাজারের উপরে দিতে নারাজ, নলতা গ্রামের শম্ভুনাথ ২০হাজার টাকা চাইলে ক্রেতারা ১৫ হাজার টাকা টাকার উপরে দিতে রাজি হয়নি।
তাছাড়া অসংখ্য গরুর মালিকের গরু বিক্রিয় করতে পেরে আনন্দে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে। কিন্তু হাটে যে দাম উঠছে তাতে খরচ উঠানোর পর অনেকটা স্বস্থি ফিরেছে তাদের। আবার অনেকে পশু বিক্রয় করতে না পেরে বাকি দিনগুলোতে কোনো রকম খরচ উঠলেই পরিমানমত দামে বিক্রি করে দিবেন বলে জানান অনেকে। এজন্য উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধাস্ত অনুযায়ী আগামি বৃহস্পতিবার আরো একবার হাট বসানোর প্রস্তুতি চলছে। হাটে শুল্ক আদায়কারী উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার বাবলুর রহমান জানান, ভারতীয় গরু না থাকায় দেশি গরুর সমাগম বেশি। তাই ক্রেতা-বিক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে দাম থাকায় স্বস্তি ফিরেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদ’র কমিটি

তালা প্রতিনিধি : শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ তালা উপজেলা শাখার কমিটি গঠন হয়েছে। গঠিত কমিটির সভাপতি হিসেবে তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য সাংবাদিক মীর জাকির হোসেনকে সভাপতি এবং আওয়ামীলীগ নেতা মোড়ল রফিকুল ইসলামকে সাধারন সম্পাদক করা হয়েছে।
আগামী ২ বছরের জন্য ৬৯ সদস্য বিশিষ্ট উক্ত কমিটি ২৭ আগষ্ট অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি মো. রাশেদুজ্জামান রাশি ও সাধারন সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমার স্বাক্ষরিত উক্ত কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে মো. রফিকুল ইসলাম, গোলদার আব্দুস সামাদ, ডা. গিয়াস উদ্দীন, মিজানুর রহমান সরদার, সুজিত কুমার হোড়, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক স্বজল কুমার নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক অমল সেন, প্রচার সম্পাদক মীর কল্লোল, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার রায়হান, মহিলা সম্পাদিকা নাছিমা আক্তার ময়না, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মীর আব্রাহাম লিংকন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল গফুর গোলদার, শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক অরবিন্দু মন্ডল ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তোফায়েল আহম্মেদকে সহ-সম্পাদকীয় ম-লীর সদস্য ৩৯ জন এবং সদস্য করা হয়েছে ৩০জনকে। এছাড়া প্রধান পৃষ্টপোষক, পৃষ্টপোষক, প্রধান উপদেষ্টাসহ ১০ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টাম-লী গঠন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বন্যার্তদের জন্য সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ রোভার এর সাহায্য ক্যাম্প

জান্নাতুল ফেরদৌস : বন্যার্তদের জন্য সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপের পক্ষ থেকে দুই দিনব্যাপী সাহায্য ক্যাম্প করা হয়েছে। শনিবার ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ্বাস সুদেব কুমার। এসময় উপস্থিত ছিলেন উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক আমানুল্লাহ আল হাদী ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আ. ফ. ম. গাউসার রেজা। দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়ে গেছে। সেখানে বিপদগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অধ্যক্ষ এর অনুমতি নিয়ে রোভাররা এ ক্যাম্প করে।
কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কলেজ এলাকার সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। সকলের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা জেলা রোভার স্কাউটের সদস্যরা এই অর্থ এবং ত্রাণ নিয়ে ২/১ দিনের মধ্যে চলে যাবে বন্যার্তদের কাছে।

জান্নতুল ফেরদৌস : ডেইলি সাতক্ষীরার মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান ইন্টার্নশিপ কর্মসূচির একজন ইন্টার্ন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest