সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনওপ্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদসাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রদল নেতার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ !জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশিকুর রহমানের পিতার মৃত্যু

রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের নিহতদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৮টায় বনানী বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন ও কবর জিয়ারত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় প্রতিটি কবরে ফুল ছিটিয়ে দেন তিনি।

তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও মতিয়া চৌধুরী, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আজ জাতির শোকের দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘নরহত্যা মহাপাপ, তার চেয়ে পাপ আরও বড়ো/ করে যদি যারা তাঁর পুত্রসম বিশ্বাসভাজন/ জাতির জনক যিনি অতর্কিতে তাঁরেই নিধন/ নিধন সবংশে হলে সেই পাপ আরও গুরুতর’- লাইনগুলো অন্নদাশঙ্কর রায়ের দবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মরণে’ শিরোনামের কবিতার।
কবি তার কবিতায় বাঙালিকে জনক হত্যার দায়ে ‘পাপিষ্ট’ আখ্যায়িত করেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে বাঙালি সেই গুরুতর পাপটাই করেছে। ওইদিন সন্তানসম বিপথগামী কিছু বাঙালির হাতে নির্মমভাবে সপরিবারে নিহত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ককে কিছু চক্রান্তকারী সেনাসদস্য এ দিন নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করে। তাদের বর্বরতা থেকে শিশু ও নারীরাও রেহাই পাননি। ইতিহাসের নৃশংস ও মর্মস্পর্শী সেই রাজনৈতিক হত্যাকা-ের ৪২তম বার্ষিকী আজ মঙ্গলবার। বাঙালির জনক হারানোর দিন। জাতির শোকের দিন-কান্নার দিন। গভীর ও বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতি আজ তার শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধুসহ সেদিনের শহীদদের স্মরণ করবে। দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকা- থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্ত, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টুসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব কর্নেল জামিলও খুন হন তার ‘সহকর্মী’ সেনা সদস্যদের হাতে। ঘাতকদের কামানের গোলার আঘাতে মোহাম্মদপুরে একটি পরিবারের বেশ কয়েকজন হতাহত হন। ওই সময় দেশের বাইরে থাকায় ঘাতক চক্রের হাত থেকে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া। দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে হত্যাকারীদের প্রতি ঘৃণার বিষবাষ্প। হত্যাকা-ের মধ্য দিয়ে সেদিন বাঙালির ইতিহাসে এক কালিমালিপ্ত অধ্যায় রচিত হয়েছিল। এই বর্বর হত্যাযজ্ঞ ছিল বাঙালি জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে নোবেল বিজয়ী পশ্চিম জার্মানীর নেতা উইলি ব্রানডিট বলেন, ‘মুজিবকে হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে, তারা যেকোনও জঘন্য কাজ করতে পারে।’
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সাহিত্যিক নীরদশ্রী চৌধুরী বাঙালিদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেছিলেন, ‘বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি বিশ্বের মানুষের কাছে নিজেদের আত্মঘাতী চরিত্রই তুলে ধরেছে।’ দ্য টাইমস অব লন্ডনের ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট সংখ্যায় বলা হয় ‘সবকিছু সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকে সবসময় স্মরণ করা হবে। কারণ, তাকে ছাড়া বাংলাদেশের বাস্তব কোনও অস্তিত্ব নেই।’
সাহিত্যিক হুমায়ুন আজাদ বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিষয়টি বর্ণনা করেছেন এভাবে- ‘সব চেয়ে বিশাল ও ভারি যে লাশটি বাংলাদেশের নিজের বুকে কবরে বসে চলেছে, সেটি মুজিবরের লাশ’।
সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত একটি দেশের বিকাশকে রুদ্ধ করে দেওয়াই ছিল ওই বর্বরোচিত হত্যাকা-ের মূল উদ্দেশ্য। এই নৃশংস হত্যাকা- জাতির অস্তিত্ব ও মননে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করে। তবে সে ক্ষতের কিছুটা উপশম হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে খুনিদের বিচারের মাধমে। অনেক বাধা-বিপত্তির পর বিলম্বে হলেও ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যাকা-ের বিচার হয়েছে। এই বিচার এবং বিচারের রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে জাতি তার কলঙ্কের দায় লাঘব করতে সমর্থ হয়েছে।
কবি অন্নদাশঙ্কর তার কবিতার শেষাংশে বাঙালিদের পাপমোচনের আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ! থেকো নাকো নীরব দর্শক/ ধিক্কারে মুখর হও/ হাত ধুয়ে এড়াও নরক।’ তবে, কবির আহ্বানে সাড়া দিতে বাঙালির লেগেছিল দীর্ঘ একুশটি বছর। ১৯৭৫ সালেই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়েছিল।
আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করলে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ রদ করে শুরু হয় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কাজ। বিচার শেষের দিকে ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে আবারও থমকে পড়ে বিচার প্রক্রিয়া। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারকে ত্বরান্বিত করে। পরে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি আদালতের চূড়ান্ত রায় কার্যকর হয়। খুনিদের পাঁচজনের ফাঁসি কার্যকর হয়। দণ্তিতদের মধ্যে ছয়জন এখনও পলাতক রয়েছে। সরকার টাস্কফোর্স গঠন করে পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের এই উদ্যোগে কিছুটা অগ্রগতিও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বাণীতে জ্ঞানগরিমায় সমৃদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ কাজকে সম্পূর্ণ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হবে জ্ঞানগরিমায় সমৃদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ কাজকে সম্পূর্ণ করে বাংলাদেশকে সুখী ও সমৃদ্ধ একটি দেশে পরিণত করা। তাহলেই চিরঞ্জীব এই মহান নেতার প্রতি আমরা যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে পারব।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির মহাসড়কে ধাবমান। ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নসহ আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে ‘ভিশন ২০২১’ এবং ‘ভিশন ২০৪১’ ঘোষণা করেছেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে, এ জন্য প্রয়োজন সকলের সমন্বিত প্রয়াস।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্রবিরোধীদের যে কোনও অপতৎপরতা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকারও আহবান জানান। তিনি বলেন, ‘সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আমরা অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের সুযোগ বন্ধ করেছি।’
শোককে শক্তিতে পরিণত করে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করলেও তার স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। সরকার জাতির পিতা হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করেছে। জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে।’
গত সাড়ে ৮ বছরে দেশের প্রতিটি সেক্টরে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি-জামাত জোটের নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারাকে জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে ভোট দিয়ে দেশের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল।’
কর্মসূচি: ১৫ আগস্ট উপলক্ষে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনগুলোয় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। সকাল সাড়ে ছয়টায় ধানম-ির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সাড়ে সাতটায় প্রধানমন্ত্রী বনানী করবস্থানে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য ও অন্য শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতিহা পাঠ করবেন। এরপর সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে ফাতিহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সেখান থেকে ফিরে বাদ আসর তিনি বঙ্গবন্ধু ভবনে মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে অংশ নেবেন।
দিবসটি উপলক্ষে বাদ জোহর দেশের সব মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হবে। মন্দির, প্যাগোডা, গির্জায় হবে বিশেষ প্রার্থনা। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে দুস্থ ও সুবিধা বঞ্চিতদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হবে। এছাড়া, দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও বেতার বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার এবং পত্রিকাগুলো ক্রোড়পত্র ও নিবন্ধ প্রকাশ করবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভয়ঙ্কর এই সর্বভুক প্রাণী, তাজ্জব বিজ্ঞানীরা!

সভ্যতার প্রথম থেকেই মানুষের ইচ্ছে ‘দেখব এবার জগৎটাকে’। কিন্তু এত বছরের গবেষণার পরেও পৃথিবীর বিপুল জীবজগতের বৈচিত্র্যময় সম্ভারের সবটুকু মানুষের গোচরে এসেছে, একথা জোর দিয়ে বলা যায় না।

এই দুর্দান্ত শিকারি প্রাণীটির কথাই উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়। এর অস্তিত্ব বহুদিন পর্যন্ত মানুষ জানত না। বিকটদর্শন এই প্রাণীটিকে দেখলে আঁতকে উঠতে হয়। সমুদ্রের তিন হাজার ফুট নীচে পাওয়া যায় একে। নাম ইউলাগিসকা। এন্টার্কটিক মহাসাগরের তলদেশে এই সৃষ্টিছাড়া প্রাণীটির বাস।

ছবি দেখলে মনে হতে পারে হলিউডের ছবিতে দেখানো ভিনগ্রহী কোনও প্রাণী! এমনই অদ্ভুত শারীরিক গড়ন এর। যেন দুঃস্বপ্নে দেখা কোনও জীব।

শরীরে রয়েছে নানা পাতলা আস্তরণ। সমুদ্রের তলায় অবস্থিত পাথরের গায়ে আটকে বা বালির ভিতর লুকিয়ে থেকে শিকারের জন্য ওত পাতে এই ইউলাগিসকা। শিকার ধরার পরেই আবার শিকারের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে এই লোভী প্রাণী। খাবারের ব্যাপারে কোনও বাছবিচার নেই এর। যা সামনে মেলে তাকেই উদরস্থ করে ফেলে! যা দেখে তাজ্জব বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা একে ‘এলিয়েন ওয়ার্ম’ বলে ডাকেন। বহুদিন পর্যন্ত এমন আশ্চর্য প্রাণীটি অনাবিষ্কৃতই ছিল। সন্ধান মেলার পরেও অনেকদিন লেগে গিয়েছিল এর খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানতে। এর বিকট চোয়াল সত্যিই ভয়ঙ্কর। শিকারি এই প্রাণী কতটা বিপজ্জনক, তা এর চোয়াল দেখলেই বুঝা যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইয়েমেনে কলেরা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ লাখ

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে মহামারি রূপ নিয়েছে কলেরা। দেশটিতে পানিবাহিত এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৫০ লাখ বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এছাড়া এপ্রিলের শেষের দিকে এ রোগ আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে কমপক্ষে ২ হাজার ইয়েমেনি মারা যায় বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, জুলাই থেকে আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসছে কিন্তু এরপরেও প্রতিদিন নতুন করে ৫ হাজার মানুষ এ মহামারিতে আক্রান্ত হচ্ছে। যুদ্ধের কারণে স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন অবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় এবং পানির সরবরাহের বাধা সৃষ্টি হওয়া কলেরা ছড়িয়ে পড়ে দেশটিতে। ১৪ লাখেরও বেশি ইয়েমেনি নিয়মিত পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে।

এছাড়া জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় কমিটির মতে, নিহতদের এক-চতুর্থাংশেরও বেশি এবং সংক্রমিত ব্যক্তিদের ৪১ শতাংশই শিশু।

এদিকে আন্তর্জাতিক শিশু বিষয়ক সাহায্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, ইয়েমেনে কলেরার মহামারি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আর এতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে শিশুরা। তাদের হিসেবে ২০ লাখেরও বেশি শিশু কলেরায় মৃত্যুর মুখে রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ, দুই দিনে ৫৮ জনের মৃত্যু

টানা বৃষ্টি ও পাহাড় থেকে নেমে আসা পানিতে তলিয়ে গেছে দেশের উত্তরাঞ্চলের ২০টি জেলা। গত দু’দিনে মারা গেছেন ৫৮ জন। এর মধ্যে রবিবার ২৬ জন এবং সোমবার মারা যায় ৩২ জন।

অন্যদিকে বন্যায় ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি নদী রক্ষার বাঁধ। পানির স্রোতের তীব্রতায় হুমকির মুখে পড়েছে তিস্তা ব্যারেজ এলাকা। সংশ্লিষ্ট এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। রেললাইন ও মহাসড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়াসহ মহাসড়কের কয়েক জায়গায় ভেঙে যাওয়ায় লালমনিরহাটের সঙ্গে বন্ধ হয়ে গেছে রেল ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। একই সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশে উজানের ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও গঙ্গা অববাহিকা থেকে প্রচুর পানি ধেয়ে আসার খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক দুটি সংস্থা। জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের কার্যালয় (ইউএনআরসিও) ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ গবেষণাকেন্দ্র (জেআরসি) তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার অঞ্চলগুলোতে গত শুক্রবার থেকে পানি বাড়ছে। আগামী ১৯শে আগস্ট পর্যন্ত এই পানি বাংলাদেশের ভাটির দিকে প্রবাহিত হবে। রিপোর্টে বলা হয় বিগত ১০০ বছরের মধ্যে তিব্বতের ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় সবচেয়ে বেশি পানি বেড়েছে চলতি বছর। ৯৮ বছরের মধ্যে চলতি বছর সব চেয়ে বেশি পানি বেড়েছে তিস্তা অববাহিকায়। এবং ৭৫ বছরের মধ্যে চলতি বছর সব চেয়ে বেশি পানি বেড়েছে গঙ্গা অববাহিকায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৮ বছরের শিশুকে চাঁদাবাজি মামলার আসামি করায় ওসিকে শোকজ

ধামরাই সুয়াপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মটর চালক শ্রমিক লীগ ইউনিয়নের মধ্যে ইজিবাইক থেকে ১০০ টাকা চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় সাংসদ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। মামলায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

আর এই মামলা চাঁদাদাবির মামলায় রিফাত আহম্মেদকে নামের ৮ বছরে এক শিশুকে আসামি করায় ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রিজাউল হককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ করেছেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফসানা আবেদীন। তাকে পাঁচদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলেছে আদালত।

বিচারক আদেশে বলেন, আসামির বয়স যাচাই-বাছাই ছাড়া কেন মামলা নেওয়া হয়েছে ওসিকে জবাব দিতে হবে। রিফাত সুয়াপুর ইউনিয়নের পান্নুর মিয়ার ছেলে ও সুয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র বলে দাবি করেছেন তার পরিবার।

এ বিষয়ে ওসি রিজাউল হক দিপু বলেন ‘যাচাই-বাছাই করার সময় ছিল না, নামের সিফাতে জায়গা রিফতের নাম হয়েছে সেখানে বয়স ১৮ দেওয়া ছিলো। তবে তদন্ত সাপেক্ষে যদি প্রমাণ পাওয়া যায় মামলার কোন আসামির বয়স ১৮ বছরের নিচে তাহলে তাকে চার্জশিট থেকে শিশুকে বাদ দেওয়া হবে’।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পাকিস্তানের মাটিতে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। আর যাদের উপর হামলার জেরে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ হয়েছিল সেই শ্রীলঙ্কার হাত ধরেই ক্রিকেট ফিরছে দেশটিতে।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দল বহনকারী বাসে জঙ্গী হামলার পর থেকেই পাকিস্তান সফর থেকে বিশ্বের শীর্ষ দলগুলো বিরত থাকে। তবে নিজ দলের উপর এমন মারাত্মক হামলার আট বছর পর সেই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডই (এসএলসি) দলের পাকিস্তান সফরের অনুমোদন দিয়েছে।

এসএলসি প্রধান থিলাঙ্গা সুমাথিপালা বলেন, ২০০৯ সালের হামলায় আট ব্যক্তি নিহত হলেও বর্তমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা মূল্যায়নের পর লাহোরে ‘অন্তত একটি’ সহ তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলতে দলকে অনুমতি দেয়া হয়েছে।

কোন দলকে বিদেশে পাঠাতে হলে যে কোন সফরের আগে সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। লাহোর স্টেডিয়ামে যাওয়া পথে শ্রীলঙ্কা দল বহনকারী বাসে বন্দুকধারীদের হামলায় তাৎক্ষনিকভাবে অন্তত সাত ব্যক্তি নিহত হলে ২০০৯ সাল থেকে শীর্ষ ক্রিকেট দলগুলো পাকিস্তান সফর থেকে বিরত থাকে।

সুমাথিপালার উদ্ধৃতি দিয়ে এক বিবৃতিতে বলা হয়,‘ ইতোপুর্বে আমাদের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা পাকিস্তান সফর করে একটি মূল্যায়ন রিপোর্ট দিয়েছে এবং পুরো দেশের সার্বিক অবস্থা বিশেষ করে লাহোরের অবস্থা বেশ ইতিবাচক মনে হচ্ছে। ’

তিনি আরো বলেন,‘আগামী সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে আমাদের তিন ম্যাচের একটি টি-২০ সিরিজ রয়েছে এবং যার মধ্যে অন্তত একটি আমরা লাহোরে খেলতে চাই। ’

২০০৯ সালে লাহোর হামলার পর থেকে কেবলমাত্র দুর্বল জিম্বাবুযে দল ২০১৫ সালে লাহোরে পাঁচ ম্যাচের একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে নিজেদের ‘হোম’ বানাতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান।

তবে গত মার্চে ব্যাপক নিরাত্তার মধ্যে পাকিস্তান সুপার লীগের(পিএসএল) ফাইনাল নিজ মাটিতে সফলভাবে আয়োজন করে আশাবাদী হয়ে ওঠে পাকিস্তান। গত সপ্তাহে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের(এসিসি) সভায় পাকিস্তানে নির্বাসন তুলে নিতে এবং সেখানে খেলার জন্য দেশগুলোর প্রতি আহবান জানান সুমাথিপালা।

এক সময় তামিল সমস্যার কারণে শ্রীলঙ্কাকেও দলগুলো বর্জন করত বলেও উল্লেখ করেন এসএলসি প্রধান। তবে সে সময় পাকিস্তান ও ভারতের লংকানদের পাশে দাঁড়ানোর কথাও স্মরণ করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু বোমা আছে ৬,৮০০টি, উত্তর কোরিয়ার ১০টি!

এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে মোট ১৫ হাজারটি। তার ৯০ শতাংশই রয়েছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের হাতে।
আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন, কোন দেশের কাছে কি পরিমাণ পরমানু বোমা মওজুদ আছে-

১। সবচেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে রাশিয়ার হাতে। ৭ হাজারটি।

২। আমেরিকার হাতে রয়েছে ৬ হাজার ৮০০টি পরমাণু অস্ত্র।

৩। ভারত ও পাকিস্তানের ভাণ্ডারে রয়েছে যথাক্রমে ১৩০ ও ১৪০টি পরমাণু অস্ত্র।

৪। ফ্রান্সের হাতে রয়েছে ৩০০টি আর চিনের ভাণ্ডারে রয়েছে ২৭০টি পরমাণু অস্ত্র।

৫। যে দেশটি এখন প্রায় প্রতি মুহূর্তেই পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে, সেই উত্তর কোরিয়ার হাতে রয়েছে ১০টি পরমাণু অস্ত্র।

তবে সবচেয়ে বড় যে পরমাণু বোমাটি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে, তা ফেলা হলে, প্রথম ২৪ ঘণ্টায় কম করে ১৪ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারাবেন। তার জেরে তাপ বিকিরণ ছড়িয়ে পড়বে যে ১৩ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের এলাকা জুড়ে, তাতে গুরুতর জখম হবেন আরও ৩৭ লক্ষ মানুষ।

অপরদিকে রাশিয়ার হাতে থাকা ‘জার বোম্বা’ ফেলা হলে প্রাণ হারাবেন অন্তত ৭৬ লক্ষ মানুষ। তার তাপ বিকিরণ ছড়িয়ে পড়বে প্রায় ৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest