সর্বশেষ সংবাদ-
দৈনিক সাতনদী সম্পাদক হাবিব কারাগারেমুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‌্যালি ও আলোচনাসভাসাংবাদিক টিপুকে কারাদ্বন্ডাদেশ দেওয়া ইউএনও শেখ রাসেল রংপুর বিভাগে বদলীদেবহাটায় বাবার সঙ্গে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে ছেলের মৃত্যুবেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরায় সাতক্ষীরা জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের শুভেচ্ছাপ্রযুক্তির সহায়তায় নারী ক্ষমতায়নে ফ্রিল্যান্সর প্রশিক্ষন শেষে ল্যাপটপ বিতরণদেবহাটার রুপসী ম্যানগ্রোভ পরিদর্শনে হাইকোর্টের বিচারপতি মাহমুদুল হকবুধবার কপিলমুনিতে তাফসীরুল, কোরআন মাহফিল ঘিরে সাজসাজ রববাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে উঠলো সাতক্ষীরার আমতালায় এক মহিলার লাশ উদ্ধার

স্ব‌দেশ: ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেওয়ায় কুষ্টিয়ায় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকায় পদ্মার পানি বিপজ্জনক হারে বাড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের আশঙ্কা, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে। কারণ, প্রতি তিন ঘণ্টায় সেখানে ২ সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে। এরই মধ্যে অবশ্য দৌলতপুর উপজেলার ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ।

এদিকে রাজশাহীতেও পদ্মার পানি বাড়ছে। পাউবো’র স্থানীয় কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, সেখানেও আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে (শুক্রবার সন্ধ্যা) পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। সেখানে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।

পাউবো’র স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানান, পদ্মায় পানির বিপদসীমা হলো ১৪ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। সেখানে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ১৪ দশমিক ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। অর্থাৎ, বিপদসীমা থেকে দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার দূরে।

পাউবোর পানি পরিমাপ কাজে নিয়োজিত এক কর্মকর্তা জানান, প্রতি তিন ঘণ্টায় ২ সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে।

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, ১৮ আগস্ট পদ্মায় পানির মাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার। ১৯ আগস্ট ছিল ১৩ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। ২৫ আগস্ট ছিল ১৩ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার।

পদ্মার সঙ্গে-সঙ্গে এর প্রধান শাখা গড়াই নদেও পানি বাড়ছে। পাউবো বলছে, পদ্মা নদী ও গড়াই নদের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও বাঁধগুলোতে নজর রাখা হচ্ছে।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নৈমূল হক বলেন, ‘যে গতিতে পানি বাড়ছে, তাতে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে। ভারতের বিহার রাজ্যে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। ভারত তাদের ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিয়েছে। এসব কারণে পদ্মায় পানি বেড়ে যাচ্ছে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চল পানি পরিমাপ বিভাগের নির্বাহী পরিচালক কে এম জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ফারাক্কায় প্রতি বছরই কয়েকটি করে গেট খুলে দেওয়া হয়। এবার তার চেয়ে বেশি গেট খুলে দেওয়ায় পানি বাড়ার হার বেশি।’

এদিকে পদ্মায় পানি বাড়ায় দৌলতপুরের চিলমারী ও রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়নের ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। এসব গ্রামের প্রায় প্রতিটি ঘরেই পানি ঢুকেছে। এতে করে ঘরে মজুদ রাখা পাট, ধান ও মরিচসহ অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে খাবার পানির সংকট।

চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ বলেন, ‘পদ্মার পানি বাড়ায় চিলমারীর ১৮টি গ্রামের ৪০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে তারা।’

  1. রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন জানান, সেখানকার চরাঞ্চলের ১২টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুজিব উল ফেরদৌস জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের পুরো বিষয়ের ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে চিলমারীতে ছয় টন চাল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী প্রস্তত আছে বলেও দাবি করেন তিনি।

অন্যদিকে রাজশাহী প্রতিনিধি জানান, রাজশাহীতে পদ্মার বিপদসীমা হলো ১৮ দশমিক ৫০ মিটার। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় সেখানে পানির উচ্চতা ছিল ১৮ দশমিক ৩১ মিটার। অর্থাৎ, বিপদসীমা থেকে ১৯ সেন্টিমিটার কম। শুক্রবার সকাল ৯টায় সেখানে পানির এই উচ্চতা ছিল ১৮ দশমিক ২৮ মিটার। তার মানে, সেখানে ৯ ঘণ্টায় পানির উচ্চতা ৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

IMG_291337854634251-picsayডি. এম. আব্দুল্লাহ আল মামুন : শ্যামনগরে পানিতে ডুবে মিম নামের দেড় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের নিজদেব পুর গ্রামের খালেক গাজীর কন্যা।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, দুদিন আগে উপজেলার শ্রীফলকাটী নানা নুর ইসলামের বাড়ীতে বেড়াতে এসেছিল মায়ের সাথে শিশু মিম। আজ শুক্রবার দুপুরে ভাত খাওয়ার পর নানা নাতী এক সাথে ঘুমায়। মিম ঘুম থেকে উঠে সকলের অজান্তে খেলা করার এক পর্যায় বাড়ীর পাশের পুকুরে পড়ে মারা যায়। এলাকাবাসী পুকুর থেকে মিমকে উদ্ধার করে বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার মালিহা তাকে মৃত্যু বলে ঘোষনা করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

Zahid satkhiraএম. বেলাল হোসাইন: সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৩০ ঘণ্টা পর শিশু জাহিদ হাসানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের বেতনা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে পাশের গ্রাম মাটিয়াডাঙ্গায় ফুটবল খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ১৩ বছরের শিশু জাহিদ হাসান। তারপর থেকে সাতক্ষীরা সদরের নেহালপুর স্লুইস গেট এলাকা থেকে শুরু করে আশাশুনি সোদকোনা পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার নদীতে নিখোঁজ জাহিদ হাসানের লাশ খোজা হয়। এছাড়া তার আতœীয় স্বজনের বাড়িতেও খোঁজ খবর নেয়া হয়। নিহত জাহিদ হাসান সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুর রহমান ঢালী ও তাসলিমা খাতুনের একমাত্র পুত্র।
তাসলিমা খাতুন জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশি খলিলুর রহমানের ছেলে মিলন(১৩) আব্দুস সালামের ছেলে আদিল(১৩), আব্দুর রহিমের ছেলে সুজন(১২)সহ কয়েকজন এসে ফুটবল খেলার কথা বলে জাহিদ হাসান কে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে নিখোঁজ হয় জাহিদ হাসান। সকাল গড়িয়ে দুপুর, দুপুর গড়িয়ে বিকেল, বিকেল থেকে রাত শেষে আবার সকাল হলেও জাহিদ হাসান বাড়ি না ফেরায় তাকে খোজাখুজি করা হয়। খেলার পর মিলন এসে জাহিদের বলটি বাড়িতে দিয়ে যায়। কিন্তু জাহিদের কোন খবর সে বলতে পারেনি। এরপর শুক্রবার গ্রামবাসি বেতনা নদীর নেহালপুর স্লুইস গেট সংলগ্ন এলাকা থেকে জাহিদের লাশ উদ্ধার করে। ইতোমধ্যে পুলিশও খবর পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নেয়। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সম্ভবত: খেলা করতে গিয়ে নদীতে লাফালাফি করছিল শিশুরা। এতে জাহিদ হাসান পানি থেকে উঠতে না পেরে মারা যায়। এঘটনায় শুক্রবার সকালে জিডি করা হয়। জিডি মূলে পুলিশ খোঁজ খবর নিতে থাকা অবস্থায় শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে তার লাশ  উদ্ধার করা হয়। লাশ ময়না তদন্ত করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

6023মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: “সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে প্রবীণ আবাসন কেন্দ্রের অসহায় বৃদ্ধদের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে নতুন পোশাক বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে আরা প্রবীণ আবাসন কেন্দ্রে রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরা’র সভাপতি রোটাঃ মুফতি মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে এ ঈদের পোশাক বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট রোটাঃ এনছান বাহার বুলবুল, সেক্রেটারী রোটাঃ মো. মনিরুজ্জামান টিটু, রোটাঃ পিপি ভূধর সরকার, রোটাঃ পিপি সৈয়দ হাসান মাহমুদ, রোটাঃ মোশারফ হোসেন মন্টু, রোটাঃ এড. শাহনওয়াজ পারভীন মিলি, রোটাঃ বিশ্বজিৎ সাধু, রোটাঃ ফারহা দিবা খান সাথী, রোটাঃ পুলক কুমার পাল, রোটাঃ আব্দুল লতিফ, রোটাঃ ফারুকুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আরা’র নির্বাহী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ। রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরা’র পক্ষ থেকে  প্রবীণ আবাসন কেন্দ্রের ৯ জন বৃদ্ধকে ঈদের পাঞ্জাবী ও ২ জন বৃদ্ধ মহিলাকে শাড়ী দেওয়া হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রোগ্রাম চেয়ারম্যান রোটাঃ পিপি মো. মাগফুর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

77778মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: সাতক্ষীরা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পানির পাইপ লাইনের কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা পৌর সভার ৯নং ওয়ার্ডের সাতাক্ষীরা স্টেডিয়াম সংলগ্ন পানির প্লান্ট হতে খুলনা রোড মোড় পর্যন্ত এ পাইপ লাইনের কাজ উদ্বোধন করা হয়। পাইপ লাইন কাজের উদ্বোধন করেন পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর ও জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আমিনুল ইসলাম। মোট ৭৬লক্ষ ৯১ হাজার ৯৩৬.৫৮ টাকা ব্যয়ে পৌর সভার বিভিন্ন স্থানে এ পাইপ লাইনের কাজটি করা হবে। কাজের ঠিকাদার মেসার্স জিলানী ট্রেডাস। এসময় উপস্থিত ছিলেন জিলানী ট্রেডার্সএর পক্ষে সৈয়দ হারিস হোসেন তুহিন, অসিম কুমার দাশ সোনা, সহকারী প্রকৌঃ অমল বিশ্বাস, পৌর সভার পানি সুপার প্রকৌঃ সেলিম সরোয়ার, গোলাম আজম ও এড. ওসমান আলী প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

Picture-Kaliganj (Satkhira)-26 Aug.এসএম আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্চু, কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জের ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪ টায় ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সজল মূখার্জ্জীর সভাপতিত্বে দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গনে আয়োজিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম। ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুস সাদাত রাজা ও আওয়ামী লীগ নেতা এড. হাবিব ফেরদাউস শিমুলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধকালীন কমান্ডার আলহাজ্জ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন-অর-রশিদ, শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জজ কোর্টের স্পেশাল পিপি এড. জহুরুল হায়দার বাবু, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রশিদ প্রমুখ। আরও বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোাবিন্দ মন্ডল, রতনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরেশ চন্দ্র মিস্ত্রী, উপজেলা তরুণ লীগের সভাপতি শেখ শাহাজালাল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ নুরুজ্জামান জামু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি গৌতম কুমার লস্কার, ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওবায়দুর রহমান বাবু প্রমুখ। শোক সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগ, সকল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও এর সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে সকলের মাঝে তাবারক বিতরণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

78নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কুখরালী আদর্শ যুব সংঘের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আট দলীয় নক আউট ফুটবল টূর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার কুখরালী ফুটবল মাঠে এ জাঁকজমকপূর্ণ খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বাঁকাল ইসলামকাটি ডিজিটাল একাদশ বনাম আমতলা যুব সংঘ। খেলার নির্ধারিত সময়ে কোন গোল না হওয়ায় টাইব্রেকার অনুষ্ঠিত হয়। টাইব্রেকারে বাঁকাল ইসলামকাটি ডিজিটাল একাদশ আমতলা যুব সংঘকে ২/১ গোলে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সদর ২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। রামপদ মাস্টারের সভাপতিত্বে উক্ত পুরষ্কার বিতরন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির সদস্য শেখ মাতলুব হোসেন লিয়ন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম. কামরুজ্জামান, কুখরালী আদর্শ যুব সংঘের উপদেষ্টা একেএম আনিছুর রহমান, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নবারুন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক গাজী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

0000-5ডেইলি সাতক্ষীরা : কাল শনিবার, ১২ ভাদ্র; জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪০ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শোকাবহ ঘটনার এক বছর পর ১৯৭৬ সালের শোকের মাসের এদিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশন ও বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আগামীকাল সকালে ফজরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআনখানি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সকাল ৭টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা জমায়েত হয়ে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে উপাচার্যের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা করে কবির সমাধি প্রাঙ্গণে গমন, পুষ্পার্পণ এবং ফাতেহা পাঠ করা হবে। পরে কবির মাজার প্রাঙ্গণে উপাচার্যের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
কবি, সাহিত্যিক শঙ্খ ঘোষ নজরুলের মৃত্যু নিয়ে লিখেছেন, নজরুলের কথা আজ যখনই মনে পড়ে আমাদের, মনে পড়ে মিলনগত এই অসম্পূর্ণতার কথা। আর তখন মনে হয়, বাক শক্তিহারা তাঁর অচেতন জীবনযাপন যেন আমাদের এই স্তম্ভিত ইতিহাসের এক নিবিড় প্রতীকচিহ্ন। যে সময়ে থেমে গেলো তার গান, তাঁর কথা, তাঁর অল্পকিছু আগেই তিনি গেয়েছিলেন, ‘ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবিরে, জাগায়োনা জাগায়োনা। রবীন্দ্রনাথকে উদ্দেশ্য করে নজরুলের এই কথাগুলো তাকেই ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলে শঙ্খ ঘোষ লিখেছেন, তাঁর কথাগুলো আমরা যেন ফিরিয়ে দিতে পারি তাঁকেই, যেন আমরাই ওগুলি বলছি নজরুলকে লক্ষ্য করে।
নজরুলের সৃষ্টিকর্ম প্রসঙ্গে নজরুল বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বাসসকে বলেন, নজরুল ইতিহাস ও সময় সচেতন মানুষ ছিলেন যার প্রভাব তাঁর লেখায় স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, তুরস্কে কামাল পাশার নেতৃত্বে প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা, রাশিয়ায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব আর ভারতবর্ষে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের তরঙ্গকে নজরুল তাঁর সাহিত্যে বিপুলভাবে ধারণ করেছেন। সে সময়ে ধর্মান্ধ মুসলমানদের তিনি পুনর্জাগরণের ডাক দিয়েছেন এবং এক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ছিল একজন বলিষ্ঠ নেতার মতো।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস।
নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক। তাঁর লেখনি জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তাঁর কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে। স্বাধীনতার পর পরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করেন এবং কবির জন্য একটি বাড়ি দেন ধানমন্ডিতে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest