নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পিপি আব্দুল লতিফকে ৪ দিন ও তার ছেলে মো: রাসেল হোসেনকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সাতক্ষীরার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিলাশ মন্ডল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুচপুকুর গ্রামের হুমায়ুন কবির ও তার ভাই হাবিবুর রহমান হবি হত্যা মামলায় পিতা ও পুত্রকে পৃথক মামলায় পাঁচদিন করে রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এদিকে, আদালত থেকে জেলহাজতে নেওয়ার পথে আব্দুল লতিফ ও তার ছেলের ওপর পচা ডিম নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
আদালত সূত্রে জানা যায়,২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে কুচপুকুর গ্রামের হুমাযুন কবিরকে কাশেমপুর বাইপাস সড়কে ক্রসফায়ারের নাটক সাজিয়ে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মহিদুল ইসলামকে প্রধান আসামী ও তৎকালীন সরকারি কৌশলী আব্দুল লতিফকে ৫নং আসামীসহ মোট ৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আজগার আলী। যার মামলা নং-১২,তাং ০৩/০৯/২৪।
অপরদিকে, একই গ্রামের হাবিবুর রহমান হবি হত্যা মামলার ৩০ নং আসামী আব্দুল লতিফের ছেলে মো: রাসেল। যার মামলা নং-২৩। তাং-১২/০৯/২৪ সাতক্ষীরা আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌশলী তোজাম্মেল হোসেন তোজাম জানান, আব্দুল লতিফের কুকর্ম ফাঁস হতে শুরু করেছে। সরকারি কৌশলী হিসেবে তিনি যে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন, সেটা নজিরবিহীন। আব্দুল লতিফ যে পিপি হয়েছিলেন তা শুধু মাত্র দলীয় কারনে।
সে আগে খাটাল লতিফ নামে পরিচিত ছিল। সে বারের আইনজীবীও ছিলনা। তার সাটিফিকেটও জাল অথচ সাবেক এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি তাকে পিপি বানিয়েছিল তার স্বার্থসিদ্ধির জন্য। পিতা-পুত্রকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মামলায় সরকার পক্ষে ছিলেন সরকারি কৌশলী আব্দুস সাত্তার, অতিরিক্ত সরকারি কৌশলী তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, অতিরিক্ত সরকারি কৌশলী এড এবিএম সেলিম প্রমুখ।
অপরদিকে, আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এড. শফিউল ইসলাম শফি। প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর সকালে খুলনার বয়রা এলাকা থেকে আব্দুল লতিফ ও তার ছেলে মো: রাসেলকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী।

