সর্বশেষ সংবাদ-
সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে নারীকেও এগিয়ে নিতে হবে- সাতক্ষীরার ডিসিসাতক্ষীরার জুলাই যোদ্ধা মোহিনী অদম্য নারী পুরস্কারে ভূষিতসাতক্ষীরায় প্রতিপক্ষের হামলায় জখম-২সখিপুরে জামায়াতের এমপি প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের পথসভাসাতক্ষীরায় বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণনানা আয়োজনে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উদযাপনজাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন: সাতক্ষীরায় নবাগত এসপিআশাশুনির আনুলিয়া ও কাপসন্ডায় সড়ক নির্মান কাজে দুর্নীতির অভিযোগবাঁশদহে স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়াকেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রচার’: সাতক্ষীরা শহর ছাত্রদলের নিন্দা

সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে নারীকেও এগিয়ে নিতে হবে- সাতক্ষীরার ডিসি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মিজ আফরোজা আখতার বলেছেন- সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে সমাজের নারী সমাজকেও সমানভাবে এগিয়ে নিতে হবে।

নারীকে বাদ রেখে কোনো কাজেই পরিপূর্ণ সফলতা আসে না, কারণ পরিবার, সমাজ ও কর্মক্ষেত্রের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমাদের সমাজে এখনো বহু পরিবার আছে যেখানে মেয়েরা অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার হয়। ছেলে সন্তানের মতো মেয়েরাও সমান সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকার রাখে। পারিবারিক বৈষম্য দূর করে কন্যা সন্তানকে এগিয়ে নিতে পারলেই নারীরা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অংশীদার হবে।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন- নারীমুক্তির জন্য সামাজিক বাধা বিপত্তি সর্বোপরি বহু আন্দোলন- সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে নারী সমাজকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছিলেন বেগম রোকেয়া। নারীজাতিকে যথাযোগ্য মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করার প্রয়াসে বেগম রোকেয়ার অসামান্য অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা মহিলা অধিদপ্তর ও জাতীয় মহিলা পরিষদ সাতক্ষীরার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মিজ আফরোজা আখতার বলেন, শিশুকাল থেকেই ছেলে-মেয়ের মাঝে সমতা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষায়, পুষ্টিতে, সামাজিক অংশগ্রহণে এবং প্রযুক্তি জ্ঞানে মেয়েদের এগিয়ে নিতে হবে। পরিবার ও সমাজ যদি মেয়েদের পাশে দাঁড়ায়, তবে তাদের এগিয়ে যাওয়া কেউ থামাতে পারবে না। এসময় ‘আমিই বেগম রোকেয়া’ প্রতিপাদ্যের উপর ভিত্তি করে বাল্য বিবাহ এবং বেগম রোকেয়ার ভূমিকা শীর্ষক একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

এর আগে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রা শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমির উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, জেন্ডার ডেভেলপমেন্টের সভানেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি, গর্বিত জয়িতা জননী, রত্নগর্ভা মা লুৎফুন্নেছা বেগম, সংগ্রামী নারী মেরিনা খাতুন প্রমুখ।

জেলা মহিলা অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাজমুন নাহারের সঞ্চালনায় এ সময় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা, ওসিসি প্রোগ্রাম অফিসার আব্দুল হাই সিদ্দিক, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমনা আইরিন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, জাতীয় মহিলার সংস্থার জেলা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, স্বদেশ’র নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, জেলা শিক্ষা অফিসের সুপারভাইজার আ ন ম নাজমুল উলা, সিডো এর নির্বাহী পরিচালক শ্যামল কুমারসহ জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও, উন্নয়ন সংস্থা ও নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরার জুলাই যোদ্ধা মোহিনী অদম্য নারী পুরস্কারে ভূষিত
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখ সারিতে নেতৃত্ব দেওয়া সাতক্ষীরার তরুণ নারী সংগঠক মোহিনী পারভীন “সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান” ক্যাটাগরিতে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে অদম্য নারী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ এবং বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে জেলা পর্যায়ে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মিজ্ আফরোজা আখতার। সভার সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল। এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল, নারী–কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হই, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করি। অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, উন্নয়ন সংস্থা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মোহিনী পারভীন বর্তমানে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য এবং একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির মুখপাত্র।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মাঠের সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন মোহিনী। মিছিল, পথসভা, জরুরি সমাবেশ—সব কার্যক্রমেই তিনি ছিলেন সামনের সারিতে। কখনো ব্যানার হাতে স্লোগান, কখনো সংগঠকদের ব্রিফিং, আবার সংঘর্ষের আশঙ্কার মধ্যেও প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দেওয়া, সব ক্ষেত্রেই ছিল তাঁর দৃঢ় উপস্থিতি।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় প্রতিপক্ষের হামলায় জখম-২
গাজী হাবিব:
সাতক্ষীরায় দীর্ঘ দুই দশক ধরে আদালতে মামলা চালিয়ে রায় পাওয়ার পরও মালিকানাধীন জমিতে ঘর তুলতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে রক্তাক্ত হয়েছেন আনসারুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুন।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার রাজারবাগান এলাকার সাকার মোড় সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলার পর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আনসারুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর থানার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী আনসারুল ইসলাম জানান, রাজারবাগান এলাকায় ১১ শতক জমি নিয়ে মৃত সোবহান কবিরাজের ছেলে ইলিয়াস হোসেন, হাবিবুর রহমান ও মোকলেসুর রহমানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ২০২৩ সালে সংশ্লিষ্ট মামলার রায় তার পক্ষে এলেও প্রতিপক্ষরা দখল নিয়ে বিরোধ তৈরি করে।
তিনি অভিযোগ করেন, সম্প্রতি আদালতের রায় পাওয়া জমিতে ঘর তোলার সময় প্রতিপক্ষরা বাধা দিয়ে এডিএম কোর্টে মামলা করে। ওই মামলার তদন্তে রোববার বিকেলে সদর ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে আসেন। তদন্তকারীর কাছে আদালতের রায়ের বিষয়টি উল্লেখ করার পরই প্রতিপক্ষরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
আনসারুল ইসলাম জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তা চলে যাওয়ার পর ইলিয়াস, হাবিবুর, মোকলেস, কামরুন্নাহার কনা ও নাজমুন্নাহার খুকুসহ ৬-৭ জন ভাড়াটে লোক তাকে ও তার স্ত্রীকে মারধর করে। তিনি বলেন, হঠাৎ আমাদের ওপর চড়াও হয়ে তারা বিভিন্নভাবে আঘাত করে। আমার স্ত্রী প্রতিরোধ করতে গেলে তাকেও নির্যাতন করা হয়। আমাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তারা হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যায়।
ভুক্তভোগী ফরিদা খাতুন বলেন, এর আগেও তারা বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়েছিল। এমনকি রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর কথাও বলত। আমরা সাধারণ মানুষ তাই ঝামেলা এড়াতে চেয়েছি। কিন্তু আজ যেভাবে আঘাত করেছে, তাতে মনে হয়েছে-ওদের উদ্দেশ্য আরও খারাপ ছিল। আমার স্বামীকে মেরে রক্তাক্ত করেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার চাই।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়দের দাবি, জমি নিয়ে উত্তেজনা অনেকদিন ধরেই ছিল এবং দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সখিপুরে জামায়াতের এমপি প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের পথসভা

দেবহাটা প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক এবং সাতক্ষীরা-২ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেছেন, ইসলামী আন্দোলনের যে সূচনা হয়েছে সেটা আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। যে দেশের মানুষ ইসলামের জন্য জীবন দিতে পারে সেই জাতি কখনো পিছিয়ে থাকতে পারেনা।

এসময় তিনি বলেন, সৎ লোকের শাসন চালু হলে দেশের সর্বত্র নীতি নৈতিকতা বিরাজ করবে। জামায়াতে ইসলামী সাধারন মানুষের জন্য রাজনীতি করে উল্লেখ করে আব্দুল খালেক বলেন, মানুষের নিরাপত্তা, জীবন জীবিকার মান উন্নয়ন সর্বোপরি সকল স্থানে জবাবাদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরনের জন্য এদেশের মানুষ সবসময় জামায়াতে ইসলামীর সাথে ছিল আর আগামীতেও থাকবে।

এসময় জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন সাংগঠনিক দিক উল্লেখ করে তিনি দেবহাটা তথা সাতক্ষীরার উন্নয়নে যতরকম কাজ করা যায় তিনি সর্বদা সেই প্রচেষ্টা চালাবেন বলে উল্লেখ করেন। দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে সখিপুরে সোমবার বিকাল ৪টায় অনুষ্টিত এক নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখাকালে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ অলিউল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ
সম্পাদক এইচ এম ইমদাদুল হক’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে
বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল ও জেলা জামায়াতের সহ- সেক্রেটারি প্রভাষক ওমর ফারুক। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মোস্তফা আসাদুজ্জামান মুকুল, দেবহাটা (উত্তর) ছাত্রশিবিরের সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন, দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুল কাদের, আব্দুল গফুর সরদার,

কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, মাওলানা আব্দুল ওয়াহেদ, মাওলানা রুহুল আমিন, মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলহাজ্ব মহিউদ্দিন ময়না, নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল খালেক তরফদার, দেবহাটা ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু তালেব বুলবুলসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলবৃন্দ। পথসভায় জামায়াতে ইসলামীর শতশত নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ

নিজস্ব প্রতিনিধি :  সাতক্ষীরায় শুরু হয়েছে বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ‘জনস্বার্থে বলি, নির্ভয়ে নিরাপদে’। সোমবার সকালে শহরের একটি গার্ডেনে ১ম দিনের কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত ফ্রেড প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন জেলার বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা।
প্রথম দিনে জনস্বার্থ সাংবাদিকতা, মুক্তমত এবং স্বাধীন সাংবাদিকতা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। দিনব্যাপী সেশন পরিচালনা করেন ট্রেইনার বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের নুর সিদ্দিকী, কামাল শাহারিয়ার, সোহানা পারভীন এবং ব্লাস্টের গবেষণা কর্মকর্তা ফাহাদ বিন সিদ্দিক।
তারা বলেন, “তথ্যের গতি যেমন বেড়েছে, ভুল তথ্যের ঝুঁকিও তত বাড়ছে। একজন সাংবাদিকের দায়িত্ব সঠিক তথ্য খুঁজে বের করে তা প্রমাণ নির্ভরভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরা।”

আগামী দুইদিন ডিজিটাল মিডিয়া লিটারেসি, ইনক্লুসিভ জার্নালিজম এবং ক্রিয়েটিভ স্টোরি টেলিং নিয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

প্রশিক্ষণে অংশনেন প্রথম আলোর কল্যাণ ব্যানার্জী, সময় টিভির মমতাজ আহমেদ বাপ্পী, দেশ টিভির শরীফুল্লাহ কায়সার, এখন টিভির আহসানুর রহমান রাজীব, চ্যানেল ২৪–এর আমিনা বিলকিস ময়না, কালের কণ্ঠের মোশাররফ হোসেন, হৃদয় বার্তা’র আলী মুক্তাদা হৃদয়, যমুনা টিভির আকরামুল ইসলাম, ডিবিসি নিউজের এম বেলাল হোসাইন, বাংলানিউজের তানজির কচি, গ্লোবাল টিভির রাহাত রাজা, দৈনিক যুগান্তরের মোজাহিদুল ইসলাম, বণিক বার্তার গোলাম সরোয়ার, বাংলা ট্রিবিউনের আসাদুজ্জামান সরদার, এনপিবির হোসেন আলী, ঢাকা পোস্টের ইব্রাহিম খলিল, সমকাল এর কিশোর কুমার হালদার, খবরের কাগজের জাকির হোসেন, আরটিভি অনলাইনের জাহাঙ্গীর হোসেন, বার্তা২৪ এর মৃত্যুঞ্জয় রায়, জিএম মনিরুজ্জামান এবং মেহেদী হাসান সোহাগ।

প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া সাংবাদিকরা মনে করেন, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাংবাদিকরা ভুয়া তথ্য শনাক্তকরণ, সোর্স যাচাই, প্রমাণ ভিত্তিক অনুসন্ধান, অনলাইন নিরাপত্তা, আইনগত ঝুঁকি এড়ানো এবং জনস্বার্থে সত্যনিষ্ঠ রিপোর্ট তৈরির আধুনিক কৌশল শিখবেন। ফলে তাদের রিপোর্টিং আরও নির্ভুল, বিশ্বাসযোগ্য ও পেশাদার হবে যা গণমাধ্যমে আস্থা পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নানা আয়োজনে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উদযাপন

নিজস্ব প্রতিনিধি : নানা আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে গৌরবোজ্জ্বল সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় সাতক্ষীরা জেলা। দিবসটি স্মরণে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, নীরবতা পালন, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনসহ কর্মসূচি গ্রহণ করে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাতক্ষীরা জেলা ইউনিট।

জেলা ইউনিটের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে অংশ নেন জেলার মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের স্বজনেরা। শোভাযাত্রা শেষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুজ্জামান খোকন, মিজানুর রহমান, কাজী রিয়াজ, অ্যাডভোকেট মোস্তফা নুরুল আলম, জিল্লুর করিম, মইনুল ইসলাম মইন, সন্তোষ কুমার দাস প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিক আহমেদ মোল্লা।

বক্তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আজও প্রাপ্য সম্মান ও সেবা থেকে বঞ্চিত হন। সরকারি হাসপাতালে তাঁদের জন্য বরাদ্দ থাকলেও ওষুধ–চিকিৎসা মেলে না, এমনকি বসার জায়গাও পান না—এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তাঁরা আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় পরও মুক্তিযোদ্ধারা অবহেলার শিকার—এ ক্ষোভও ব্যক্ত করেন বক্তারা।

আলোচনা সভায় আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম সাতক্ষীরার মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনার স্মৃতি তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২ মার্চ সাতক্ষীরা শহরে পাকিস্তানবিরোধী মিছিলে গুলিতে আবদুর রাজ্জাক নিহত হওয়ার পর জেলায় আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে। মুক্তিযুদ্ধের খরচ জোগাতে মুক্তিযোদ্ধারা ট্রেজারি থেকে অস্ত্র এবং ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে টাকা ও অলংকার সংগ্রহ করেন।
২৭ মে ভোমরা সীমান্তের সম্মুখযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনার দুই শতাধিক সদস্য নিহত এবং তিনজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। পরবর্তী গেরিলা অভিযানে শহীদ হন আরও ৩৩ জন। ৩০ নভেম্বর রাতের টাইম বোমা বিস্ফোরণে সাতক্ষীরার পাওয়ার হাউস উড়িয়ে দিলে পাকিস্তানি বাহিনীর মনোবল ভেঙে পড়ে এবং ৬ ডিসেম্বর রাতে তারা বিভিন্ন সেতু উড়িয়ে পালিয়ে যায়।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও সাতক্ষীরার অনেক বধ্যভূমি ও গণকবর সংরক্ষণের উদ্যোগ হয়নি।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন: সাতক্ষীরায় নবাগত এসপি

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে নবাগত পুলিশ সুপার মো.আরেফিন জুয়েল বলেন, “আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমার প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য হলো আগামীর জাতীয় নির্বাচনকে স্বচ্ছ এবং নির্বিঘ্ন করা। ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন কী হয়েছে, আপনারা জানেন। গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে আমাদের যাত্রা।

প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় বলেছেন, ‘২০২৬ সালের নির্বাচন ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।’ আমরা সেভাবেই কাজ করব। দেশের সম্মানিত জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবেন, তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এবং নিরাপদে বাড়িতে ফিরে যাবেন। নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করাই আমাদের কাজ। আমরা পুলিশ হিসেবে এই কাজটাই করতে চাই। কে জিতল আর কে হারল, এটা দেখা আমাদের বিষয় নয়। আমরা সততা, নিরপেক্ষতা এবং দক্ষতার পরিচয় দেব। এজন্য আমাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ চলছে; আশা করছি আমরা ভালো কিছু করতে পারব। এক্ষেত্রে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। আশা করি, সেটা তাঁরা করবেন।”

রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে সাতক্ষীরার জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় নবাগত পুলিশ সুপার মে.আরেফিন জুয়েল এসব কথা বলেন।

এসপি জুয়েল আরও বলেন,সাতক্ষীরা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী একটি জেলা।এই জেলার সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান ও মাদক পাচার, সুন্দরবনের দস্যুতা দমন এবং জেলাজুড়ে চুরি-ছিনতাই প্রতিরোধে কঠোরভাবে কাজ করার কথা জানান তিনি। এছাড়া অনলাইন জুয়া, মাদক, সাইবার বুলিং, কিশোর গ্যাং এবং বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

সভায় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক এম কামরুজ্জামান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আবুল কালাম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ ময়না, আর টিভির রাম কৃষ্ণ চক্রবর্তী, যমুনা টিভির আকরামুল ইসলাম, কালের কণ্ঠের মোশাররফ হোসেন, বণিক বার্তার গোলাম সরোয়ার, মানবজমিনের বিপ্লব হোসেন প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কালিদাস রায়, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের আমিনা বিলকিস ময়না, দীপ্ত টিভির রঘুনাথ খাঁ, এস এ টিভির শাহিন গোলদার, ডিবিসি টিভির এম বেলাল হোসাইন, এশিয়ান টিভির মশিউর রহমান ফিরোজ, বাংলা ট্রিবিউনের আসাদুজ্জামান সরদার, স্টার নিউজ ও কালবেলার গাজী ফরহাদ, এনপিবির হোসেন আলী, ঢাকা পোস্টের ইব্রাহিম খলিল, সাংবাদিক মাসুদুজ্জামান সুমন,এস এম হাবিবুল হাসান,হাবিবুর রহমান সোহাগসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিকসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনির আনুলিয়া ও কাপসন্ডায় সড়ক নির্মান কাজে দুর্নীতির অভিযোগ

আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার চেউটিয়া নদীর উভয় পাড়ে দীর্ঘকালের অবহেলিত সড়কের নির্মান কাজ শুরু হয়েছে। শুরু থেকে মহা দাপটের সাথে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। বর্তমানে কাজের সাথে জড়িত ঠিকাদারের ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান কাউকে তুয়াক্কা না করে কাজ চালিয়ে যাওয়ায় এলাবাসীর মধ্যে ধামাচাপা থাকা আগুন প্রজ্বলিত হতে শুরু করেছে।

চেউটিয়া নদীর উত্তরপাড়ে কাপসন্ডা বাজার থেকে নয়ারাবাদ উত্তর পাশ পর্যন্ত এবং নদীর দক্ষিণ পাড়ে চেউটিয়া বাজার থেকে খালিয়া পর্যন্ত সড়ক নির্মান কাজ চলছে। ২০২২ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান “মেসার্স আবেদ মনছুর কনস্ট্রাকশান” কাজের তেমন কোন অগ্রগতি দেখাতে পারেনি। আওয়ামীগের দোসর হিসাবে খ্যাত ঠিকাদার ও তার ধুরন্ধর ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান (স্থানীয়দের কাছে পিস্তল মিজান নামে পরিচিত) দলের প্রভাব ও ক্ষমতার দাপটে কাজে যারপর নয় অনিয়ম দুর্নীতিতে ছেয়ে ফেলেন। বারবার কাজের সময়সীমা বাড়ানোর পরও কাজ শেষ করতে পারেননি। ৫ আগষ্টের পরও তাদের মাথার উপর ছাদ হিসাবে বসে থাকা পুরনো আওয়ামী ঘরানার ক্ষমতার দাপটে তারা এখনো ধরাকে সরা জ্ঞান করে কাজ চালিয়ে আসছেন। বারবার তাদের দুর্নীতি, অনিয়মের প্রতিবাদ ও নিম্নমানের মাল এলাকাবাসী আটকে দেন। উপজেলা ও জেলা কর্তৃপক্ষ কাজ আটকে দিয়ে নিম্নমানের মালামাল রিজেক্ট করলেও ধুরন্ধর মিজান কৌশলে সব বাধা থেকে উত্তোরনে সক্ষম হয়েছেন। এলাকাবাসী জানান, রিজেক্ট করা মালামাল কখনো ফেরৎ পাঠায়নি ইঞ্জিনিয়ার মিজান। বরং একস্থানে রেখে দিয়ে রাতের আঁধারে নদীর এক পারের মালামাল অন্যপারে স্থানান্তর করে ফেরৎ পাঠানোর নাটক মন্থস্থ করা হয়েছে বারবার। উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের দায়িত্বরতরা জানান, গত সোমবার ঠিকাদারের ইঞ্জিনিয়ার মুচলেকা দিয়েও পুনরায় অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এলাকাবাসীর বাঁধার মুখে ৩/৪ হাজার ২/৩ নম্বর ইটের চলমান কাজ বন্ধ হয়ে যায়। উপজেলা প্রকৌশলী নিম্নমানের ইট রিজেক্ট ঘোষণা করে সরিয়ে নিতে আদেশ করেন।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে গিয়েও দেখা যায় ইট সরিয়ে নেয়নি। বরং সেখানে নতুন করে কয়েক টলি ইট ও খোয়া আনা হয়েছে। বাধার মুখে টলিগুলো রাস্তায় আটকে ছিল। একদল সাংবাদিক ঘটনাস্থলে পৌছে নিম্নমানের ইট কাজের স্থানে দেখে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ও নির্বাহী প্রকৌশলীকে মোবাইলে জানান। এসময় ঠিকাদারের ইঞ্জিনিয়ারের কাছে ওয়ার্ক ওর্ডার ও কাজের সিডিউলে কি আছে জানতে চাইলে তিনি কিছুই দেখাতে পারেননি। তার কাছে এগুলো দেওয়া হয়নি, তিনি দেখেনি বরং এসও কামরুল স্যার যেভাবে বলেন সেভাবেই কাজ করা হচ্ছে বলে জানান। কাজের খোঁজ খবর নিতে গেলে এলাকার মানুষকে তোয়াক্কা না করা, রাজকীয় ভঙ্গিতে অপমান করা, উল্টো তার মাথার উপরে থাকা কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী ও অজ্ঞাত ক্ষমতার দাপুটের হুংকারে অবদমিত করে রাখা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কিছুক্ষণ পরে ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌছে রিজেক্ট ইট দ্রুত সরিয়ে নিয়ে নতুন করে উন্নতমানের ইট এনে কাজ করতে নির্দেশ প্রদান করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগের স্তুপ শুনে তিনি অনিয়ম করবেননা এমন অঙ্গীকার করার পর নতুন ভাল মালামাল দিয়ে কাজ করতে বলেন। সিডিউল মেনে কাজ করতে না পারলে কাজ করার দরকার নেই বলে তিনি ছাফ জানিয়ে দেন।

এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী অনিন্দ্যদেব জানান, ঠিকাদার ৫ আগষ্টের পর থেকে লাপাত্তা হয়ে গেছে। আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ নেই। ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর তার পক্ষে কাজ করছেন। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ব্যাপক। আমরা বারবার সঠিক ভাবে কাজ এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু তার জন্য আমরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। বারবার নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার ও অনিয়ম করে আসছেন। সেখানে আমাদের প্রতিনিধি থাকলেও সবসময় তারাও বিব্রত বোধ করছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম জানান, কাজটা নিয়ে আমরা খুবই বিপাকে আছি। অনেকবার কমিটমেন্ট দিয়েও রক্ষা করেনি। রিজেক্ট মালামাল রাতে ফেলে রাখে এবং ভোরে কাজে ব্যবহার করে থাকে এমন অভিযোগ আমরা পেয়েছি। আমি এখনই উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে বলছি। ওখানে কাউকে পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest