সর্বশেষ সংবাদ-
অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভালাপা প্রকল্পের জেলা পর্যায়ে স্টেকহোল্ডার পরামর্শ সভাসাতক্ষীরায় যৌথবাহিনির অভিযানে অস্ত্র-মাদকসহ তিনজন আটকসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা

অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিব

তালা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিশখালী ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খলিশখালী বাজারে এ সম্মেলন হয়।

সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে শেখ নুর আহম্মাদকে সভাপতি, শেখ আব্দুল হান্নানকে সাধারণ সম্পাদক এবং মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেনকে যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ নুর আহম্মাদ। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম ও ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মেহেদী হাসান।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব। বক্তব্যে তিনি বলেন,
“আমি কখনো অন্যায় কাজ করি না, নির্বাচিত হলেও কোনো অন্যায় কাজে জড়াবো না এবং কাউকে অন্যায় কাজে প্ররোচিত করবো না। আমি এলাকায় উন্নয়ন করেছি—পাটকেলঘাটাকে থানা করেছি, এবার এটিকে উপজেলা করার লক্ষ্য নিয়েছি। আমি যা বলি তা-ই করি; যদি না করতে পারি, তবে আপনাদের কাছে ভোট চাইবার নৈতিক অধিকার থাকবে না। এক দিনে আমি ৩৭টি স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি, কিন্তু কারো কাছ থেকে এক টাকাও নিইনি। তাই আপনারা ধানের শীষে ভোট দিন—এটাই আপনাদের ও আমার শক্তি।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হাসান হাদী, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃণাল কান্তি রায়, সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম মস্তফা, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মীর্জা আতিয়ার রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুর রহমান প্রমুখ।

আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে খলিশখালী ইউনিয়ন বিএনপির নতুন কমিটি গঠন করা হয়। সম্মেলন শেষে নতুন নেতৃত্বকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। উপস্থিত নেতৃবৃন্দ নতুন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন এবং তাদের নেতৃত্বে সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধন

আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার শোভনালীতে ইউনিয়ন নারী পাচার প্রতিরোধ কমিটির দ্বিমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

‎রূপান্তরের আয়োজনে ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়। প্রধান অতিথি ইউনিয়ন পরিষদে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ক তথ্য কর্ণার ও প্রবাসী কল্যাণ হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন। পরে জেলা সিটি আইপি সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মাসুদ করিমের পরিচালনায় সভায় বিগত সভার রেজুলেশন পাঠ করেন, কমিটির সদস্য সচিব ও ইউপি সচিব মোঃ মতিউর রহমান। সভায় বক্তারা বলেন, মানব পাচারের ফলে বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়ে যখন কেউ দেশে ফিরে আসেন, তখন তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নানা সেবা প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত করতে সার্বিক নিশ্চয়তা প্রদান করা প্রয়োজন।

এছাড়া আগামী দুই মাসের করনীয় কার্যক্রম, মানব পাচারের ধরণ, পাচারের কৌশল, ঝুঁকিপূর্ণ কমিউনিটিতে করনীয় এবং জনসচেতনতা মূলক সভা সেমিনারের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানবপাচার প্রতিরোধ খাতে বরাদ্ধকৃত বাজেট ব্যাবহার করার জন্য একটি পরিকল্পনা করা হয়। সভায় রূপান্তরের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রোগ্রাম অফিসার দিপ্তী রায় ও সার্বিক ব‍্যবস্থাপনায় ছিলেন কমিউনিটি ফ‍্যাসিলিটেটর কুমারেশ মন্ডল। ‎উল্লেখ্য, আশ্বাস প্রকল্পটি সুইজারল্যান্ড আ্যম্বাসিডরের সহযোগীতায় ও উইনরক ইন্টারন্যাশনাল এর বাস্তবায়নে রূপান্তর সাতক্ষীরা জেলায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ১৫২নং গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনারুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের আর্থিক ও প্রশাসনিক কর্মকান্ডে দুর্নীতি, দায়িত্ব অবহেলা ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে তাকে দ্রুত অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিভাবক ও এলাকাবাসীর উদ্যেগে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় অত্র স্কুলের পাশের সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মোঃ আহসান হাবিব, মোঃ আজহারুল সরদার, মাওঃ রফিকুল ইসলাম, বাদশা ইমরান, মোঃ আলিম সরদার, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় তারা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরে বলেন আনারুল ইসলাম বিদ্যালয় চলাকালীন বেশিরভাগ সময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন না। তিনি বিদ্যালয়ের টিন, ল্যাপটপ, কাঠ, পানির ট্যাংকি ইত্যাদি নিজের বাড়িতে নিয়ে গেছেন, যা এখনো ফেরত আনেননি। পরীক্ষার ফিস বাবদ এমনকি কাপ স্কাউটের কথা বলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেন। প্রতিবছর বিদ্যালয়ের পুরাতন বই, খাতা, কাগজ, লোহার দরজা, টিন ইত্যাদি বিক্রি করে সে টাকা নিজে আত্মসাৎ করেন। বিদ্যালয়ের স্লিপ ফান্ডের টাকা দৃশ্যমান কোন কাজ না করে ভুয়া ভাউচার বানিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেন। বৃষ্টি হলে শ্রেণীকক্ষে পানি পড়ে এমনকি কিছুদিন আগে টানা বৃষ্টিতে শ্রেণিকক্ষে মেঝেতে পানি ওঠার কারণে পাঠদান বন্ধ থাকে। বিকল্প কোন পাঠদানের ব্যবস্থা না করে শিক্ষকরা অফিসে অলস সময় পার করেন।

বক্তারা আরো বলেন এই শিক্ষককে দ্রুত বদলি করে একজন সৎ, কর্মঠ, যোগ্য ও দক্ষ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে বিদ্যালয়ের সামগ্রিক সুন্দর পরিবেশ তৈরি করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি মানবাধিকার সংগঠন স্বদেশ ও আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর আয়োজনে ‘‘জবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে নারী পুরুষ এবং অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্টীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা ’’ প্রকল্পটি দাতা সংস্থা এম্বাসি অব সুইজারল্যান্ড ও গেøাবাল এফেয়ার্স কানাডা এর অর্থায়নে মানবাধিকার , নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নারী পুরুষ ও অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে ক্ষমতায়িত করার লক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়িত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার ডিজিটাল কর্ণার রুমে স্বদেশ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্তের সভাপতিত্বে জবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে সুশীল সমাজ প্রতিনিধিদের অংশগ্রহনে এক গোলটেবিল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম আজিজুল হক। গোল টেবিল সভায় সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা গ্রহনে এক কদমের সেবা নিশ্চিত করা, নাগরিকদের সাথে সৌহার্দ সুষ্টি করে সেবা প্রদান করা, বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দুর করতে বিভিন্ন কমিটিতে যোগ্য নাগরিকদের অর্ন্তভুক্তি, মৌলিক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের নীতিমালার সঠিক প্রয়োগ, সুবর্ন নাগরিক সহ অক্ষম ব্যক্তিদের অগ্রধিকার প্রদান, সরকারি বেসরকারি অফিসের সিটিজেন চার্টার ও ওয়েবসাইট নবায়ন, যুব ও তরুনদের জন্য অভিগম্যতা সৃষ্টি, বিভিন্ন স্থানে সাতক্ষীরাতে ঘটে যাওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন জনিত ঘটনাকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় আনা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে মানবাধিকার সংস্কৃতির উন্নয়ন ও আত্মচর্চা বৃদ্ধির জন্য ব্যপক প্রচারনা এবং নাগরিকদের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে সরকারী সেবাপ্রদানকারী সংস্থার বিভিন্ন হয়রানি হওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীর সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তা এস আই তুফান দুলাল মÐল, সদর উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: আবুল হোসেন, পি আই ও মো: শহিদুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যণ ব্যানাজী, এ্যাড: নাজমুন নাহার, সাকিবুর রহমান বাবলা, স্কুল শিক্ষক মো: মোমিনুল ইসলাম ও আশরাফুর রহমান, ক্রিসেন্ট এর নির্বাহী পরিচালক আবু জাফর সিদ্দিক,জেলা কাজী সমিতির সভাপতি শেখ মাহবুবর রহমান, আইন ও সালিশ কেন্দ্র সুফাসেক প্রকল্পের প্রোজেক্ট ম্যানেজার শিল্পী শর্মা, নাগরিক কমিটির সদস্য আলী নূর খান বাবলু, ইূয়ুথ গার্লস গ্রæপের আহবায়ক শাহানাজ পারভীন।্ সভাটি পরিচালনা করেন স্বদেশ প্রোগ্রাম অফিসার মো: আজাহারুল ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন

তালা প্রতিনিধি :
কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাখিমারা বিলে বাস্তবায়িত জোয়ার-ভাটা তথা টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় পাখিমারা টিআরএম বিল কমিটি কর্তৃক আয়োজিত আঃ সালাম গণগ্রন্থাগার হল রুমে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শ্রীমন্তকাটি গ্রামের গোলদার আশরাফুল হক।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কপোতাক্ষ অববাহিকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক তালা উপজেলার পাখিমারা বিলে টিআরএম তথা জোয়ারাধার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে। এতে বিশাল কপোতাক্ষ অববাহিকাকে জলাবদ্ধ মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে কিন্তু ব্যাপক ভোগান্তি হয়েছে পাখিমারা বিল অধিবাসীদের। ২০১১-১২ অর্থবছরে টিআরএম কার্যক্রমের আওতায় পাখিমারা বিলের চারিধারে পেরিফেরিয়াল বাঁধ নির্মাণ এবং বিলের সাথে জোয়ার-ভাটা যুক্ত করার জন্য সংযোগ খাল খনন করা হয়। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ৬বছর এ বিলের ১৫৬২ একর জমিতে জোয়ার-ভাটা কার্যক্রম চালু রাখা হয়। বিলে জোয়ার-ভাটা চালু রাখার মেয়াদ পর্যন্ত জমির মালিকদের ফসলের ক্ষতিপূরণ প্রদানে সরকার প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। বিলে ৬ বছর টিআরএম বাস্তবায়িত হয়েছে কিন্তু জমির মালিকদের জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে মাত্র ২ বৎসরের। অনুমোদিত অর্থ এবং ৪ বৎসর বরাদ্দ না পাওয়া টাকা সব মিলিয়ে সরকারের কাছে জনগণের পাওনা টাকার পরিমাণ প্রায় ৪৮ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আগে বিশাল কপোতাক্ষ অববাহিকার অধিকাংশ এলাকা দীর্ঘদিন যাবত ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় আক্রান্ত ছিল। প্লাবিত হতো ফসলী জমি, মৎস্য ঘের, বসতি এলাকা, স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট সহ বিভিন্ন সেক্টর। এলাকা থেকে ভুক্তভোগী মানুষ স্থায়ী অস্থায়ী ভাবে চলে যেতো অন্য জায়গায়। মানুষের সীমাহীন এই দুঃখ কষ্টের কথা বিবেচনা করে আমরা পাখিমারা বিলে টিআরএম বাস্তবায়নে আমরা সম্মত হয়েছিলাম। টিআরএম বাস্তবায়ন দ্বারা কপোতাক্ষ অববাহিকার প্রায় ১৫ লক্ষ অধিবাসী প্রত্যক্ষভাবে এবং প্রায় ৪০ লক্ষ অধিবাসী পরোক্ষভাবে উপকৃত হয়েছে। এলাকার নদী তার জীবন ফিরে পেয়েছে এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য অনুক‚ল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে আমরা পাখিমারা বিল অধিবাসীরা সীমাহীন দুঃখ কষ্টের মধ্যে পড়েছি। ৬ বৎসর যাবৎ এলাকার জনগণ ফসল উৎপাদন করতে পারিনি, এলাকায় কর্মসংস্থানের তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে। অর্থাভাবে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে, মানুষ ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েছে এবং অভাব অনটনের মধ্যে অর্ধাহার অনাহারে মানুষ তার জীবন অতিবাহিত করতে হচ্ছে। যদি সরকারের নিকট থেকে বকেয়া ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায় তাহলে এলাকার মানুষ এ সমস্যা থেকে কাটিয়ে উঠতে অনেকটা সক্ষম হবে।

ভুক্তভোগিরা আরো বলেন, বকেয়া ক্ষতিপূরণ পাওয়ার দাবীতে ইতিপূর্বে পাখিমারা বিল অধিবাসীরা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ও সচিব বরাবর আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয় এখনো কোন ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। এ সময় তারা সরকারের নিকট থেকে যাতে বকেয়া ক্ষতিপুরণের অর্থ দ্রæত পেতে পেতে পারে এবং নদীর নাব্যতা রক্ষার জন্য বিভিন্ন এলাকায় টিআরএম ব্যবস্থা আবার চালু হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, তালা উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান, পানি কমিটির নেতা জি এম শহিদুল্লাহ, উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি ও তালা প্রেসক্লাবে সভাপতি এম এ হাকিম, উপজেলা নাগরিক কমিটির সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, তালা প্রেসক্লাবে সাধারন সম্পাদক ফারুক হোনেস, উত্তরণ কর্মকর্তা দিলীপ সানা, টিআরএম বিল কমিটির আব্দুল আলীম, রাশেদ সানা,ছফেদ আলী সরদার প্রমূখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে পালনের লক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা এগারটায় পুলিশ ‍সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। এসময়  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মুকিত হোসেন খানসহ অন্যন্য কর্মকর্তা ও জেলার কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার বলেন, দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে উদযাপন নিশ্চিত করতে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। কিন্তু কেউ যদি অপপ্রচার, গুজব বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চালায় কিংবা পূজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট নিরসন, জঙ্গিবাদ দমন, মাদক, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতি প্রতিরোধে সাংবাদিকদের সহযোগিতা অপরিহার্য। সাইবার বুলিং প্রতিরোধ, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জনগণের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে পুলিশি সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে জেলা পুলিশ বদ্ধপরিকর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
জলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে ” এনগেজ ” প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুন ।

সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তারঃ মোঃ জিয়াউর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এস. এম দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শারিদ বিন শফিক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিরাজ হোসাইন ,উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার ( ভারপ্রাপ্ত ) আমজাদ হোসেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত ) আহসান হাবিব, শ্যামনগর উপজেলা এন জি ও সমন্বয়কারী গাজী আল ইমরান, বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাব সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন সুশীল সমাজ সংগঠনের প্রতিনিধি বৃন্দ সহ বারসিক এর এনগেজ প্রকল্পের কর্মকর্তাবৃন্দ ।

উক্ত প্রকল্প অবহিতকরণ সভায় এরিয়া অফিসার রোকসানা পারভীন এর উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার ও পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী  মাহাবুবুর রহমান। প্রকল্প উপস্থাপনার পর প্রকল্প সমন্বয়কারী উন্মুক্ত আলোচনার জন্য প্রকল্প উপস্থিত সকলকে বিনীত আহব্বান জানান।

প্রকল্পটি খুলনার পাইকগাছা ও কয়রা এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার মোট ২৪ টি ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হবে। জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের ২০ হাজার প্রান্তিক মানুষ এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হবেন, যার মধ্যে অন্তত অর্ধেক নারী। প্রকল্পটি মূলতঃ উপকূলীয় অঞ্চলের দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রান্তিক পেশাজীবি জনগোষ্ঠির মানবাধিকার, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা বৃদ্ধি, জীবনমান উন্নয়ন ও দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং এলাকার যুব সম্প্রদায় ও নাগরিক সমাজের সাথে যৌথভাবে কমিউনিটিকে সরকারি/বেসরকারি সেবাদানকারি সংগঠনের সেবাপ্রাপ্তিতে সচেতন বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে।

একই সাথে প্রকল্পটি এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তথ্যগত সহযোগিতা ও সচেতনতা তৈরিতে কাজ করবে এবং প্রকল্পের লক্ষ্যভূক্ত পরিবার সমূহের জীবনমান উন্নয়ন ও দুর্যোগ ঝুঁকি কিভাবে কমানো সম্ভব তা নিয়ে যৌথভাবে গবেষণা এ্যাডভোকেসি ও নানা ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও পরিচালনা করবে যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন সহায়তা করবে।

সভায় অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন, এ প্রকল্প জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর টেকসই উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূণর্ অবদান রাখবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
লাপা প্রকল্পের জেলা পর্যায়ে স্টেকহোল্ডার পরামর্শ সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও স্থানীয় পর্যায়ে অভিযোজন পরিকল্পনা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় জেলা পর্যায়ে স্ট্রেকহোল্ডার পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের টাইগার প্লাস কনফারেন্স রুমে “লোকাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান অ্যান্ড অ্যাকশন (ল্যাপা) ডেভেলপমেন্ট ইন দ্য পটুয়াখালী এবং সাতক্ষীরা ডিস্ট্রিক্টস” প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালার আয়োজন করে উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণ। কর্মশালায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করে ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি)।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উত্তরণের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার অ্যাডভোকেট মুনির উদ্দিন এবং সঞ্চালনা করেন প্রকল্প প্রধান হাসান আব্দুল্লাহ রাফাত। কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এসোসিয়েট প্রফেসর মো. মাহফুজুর রহমান, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মান্নান কবির, জেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা মৎস কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, যুব উন্নয়নের সহকারী পরিচালক মোছা. এসমত আরা বেগম, সমাজসেবা অফিসার প্রবীর রায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাহিনুর রহমান, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার মিজানুর রহমান, একাত্তর টিভি’র বরুণ ব্যানার্জি, ডিবিসি নিউজের এম বেলাল হোসাইন, মানবজমিন’র এস এম বিপ্লব হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার পানি, কৃষি, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। এ সংকট মোকাবিলায় জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ)-এর পাশাপাশি স্থানীয় বাস্তবতা অনুযায়ী কার্যকর অভিযোজন পরিকল্পনা (ল্যাপা) গ্রহণ জরুরি। তারা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণ ও বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য।

তথ্য উপস্থাপনায় জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার ২০২২ সালে ন্যাপ অনুমোদন করেছে, যার বাস্তবায়নকাল ২০২৩ থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত। স্থানীয় জনগণের অভিজ্ঞতা ও মতামতের ভিত্তিতে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের পথ খুঁজতেই ল্যাপা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা খাবার পানির সংকট, কৃষিজমিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অবকাঠামোগত দুর্বলতাকে প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন। এসব সমস্যা সমাধানে তারা দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই পরিকল্পনার ওপর জোর দেন।

উল্লেখ্য, প্রকল্পের আওতায় ধারাবাহিক আলোচনা, কর্মশালা এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীজনদের সম্পৃক্ততায় সাতক্ষীরার জন্য একটি চূড়ান্ত স্থানীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।  ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়ক আল আমিন মোল্লা

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest