সর্বশেষ সংবাদ-
বৃত্তি উৎসবের নামে সাতক্ষীরায় চলছে কোচিং সেন্টারের রমরমা বাণিজ্য: প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনাসাতক্ষীরায়পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের বীমাদাবীর ৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকার চেক হস্তান্তরসাতক্ষীরায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে হেলমেট বিতরণসাতক্ষীরার প্রাণসায়ের খাল রক্ষায় যুব সমাজের দাবি আশাশুনি উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহবায়কের পিতার দাফন দুই মেয়ের পর আবারো মেয়ের জন্ম :  ৫দিনের কন্যাশিশুকে খালের পানিতে ফেলে হত্যা- মা আটকবিএনপির কণ্ঠে স্বৈরাচারের সুর শুনতে পাচ্ছি– সাতক্ষীরায় গোলাম পরওয়ারজাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে সাতক্ষীরায় বিআরটির রোড শোতালায় বালু বিক্রয় নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৪ : ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগলাবণ্যবতী খালের উপর কাঠের ব্রিজটি যেন মৃত্যুর ফাঁদ

বৃত্তি উৎসবের নামে সাতক্ষীরায় চলছে কোচিং সেন্টারের রমরমা বাণিজ্য: প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বৃত্তি উৎসবের নামে সাতক্ষীরায় শিক্ষা-বাণিজ্যে ভয়াবহ রুপ ধারন করেছে। শহরের নামিদামি কোচিং সেন্টারগুলো “বৃত্তি পরীক্ষা”র আড়ালে গড়ে তুলেছে অর্থ উপার্জনের যন্ত্র। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ বা শিক্ষার মান উন্নয়ন নয়, বরং অভিভাবকদের প্রতিযোগিতার মনোভাবকে পুঁজি করেই ফুলে-ফেঁপে উঠছে এই অবৈধ ব্যবসা।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে সাতক্ষীরা শহরের নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে “বেসিক কোচিং সেন্টার” আয়োজিত “বেসিক বৃত্তি উৎসব-২০২৫” পরীক্ষায় দেখা যায় চরম অব্যবস্থাপনা, বিশৃঙ্খলা ও বেদনার চিত্র। সকাল থেকেই ভিড়ে ঠাসা স্কুল প্রাঙ্গণ। ধারন ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুন প্রায় তিন হাজার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের একসাথে গাদাগাদি করে বসানো হয়েছে। পর্যাপ্ত চেয়ার-টেবিল নেই, পানির ব্যবস্থাও ছিল না। গরম ও ভিড়ে ছোট ছোট শিশুরা কান্নায় ভেঙে পড়ে।

পরীক্ষা শেষে স্কুলের বাইরে অভিভাবকদের মধ্যে সৃষ্টি হয় হাহাকার। কেউ সন্তানকে খুঁজে পাচ্ছেন না, কেউ স্কুল গেটের বাইরে ঠাসাঠাসি ভিড়ে বাচ্চার নাম ধরে ডাকছেন।
এক মা অসহায়ের মতো কাঁদতে কাঁদতে বললেন, আমার মেয়েটাকে পাচ্ছিলাম না প্রায় আধাঘণ্টা। ভিড়ের মধ্যে ওর কান্না শুনে খুঁজে পেলাম। এই অব্যবস্থাপনা যদি স্কুলে হয়, তাহলে আমরা কোথায় নিরাপদ?
অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০০ টাকা করে ফি নেওয়া হয়েছে, যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় তিন লাখ টাকা। অথচ সেই অর্থের কোনো জবাবদিহিতা নেই। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া এমন বাণিজ্যিক পরীক্ষার আয়োজন করেও আয়োজকরা দেদারসে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

অভিভাবক গোলাম সাকলাইন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা শিক্ষা নয়, সরাসরি বাণিজ্য। শত শত শিশু একত্রে পরীক্ষা দিচ্ছে, কোন সুরক্ষা বা তদারকি নেই। শুধুই টাকার লেনদেন। অভিভাবকদের আবেগের ওপর নির্ভর করে এসব কোচিং সেন্টার এখন কোটি টাকার বাণিজ্যে নেমেছেন।
আরেকজন অভিভাবক নাদিম সাকের বলেন, আমরা নিজেরাই সন্তানদের বিপদে ঠেলে দিচ্ছি। সমাজে ‘আমার ছেলে-মেয়ে ভালো রেজাল্ট করেছে’ এই অহংকারের জন্য আমরা শিশুদের অযৌক্তিক প্রতিযোগিতায় পাঠাচ্ছি। কোচিংগুলো সেটাকেই পুঁজি করে টাকা কামাচ্ছে।

সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক এড. কামরুজ্জামান ভুট্টো জানান, বেসিক কোচিং সেন্টার কর্তৃক বৃত্তি পরীক্ষার যে আয়োজন করেছে নবারুন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে সেখানে ধারন ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুন প্রায় তিন হাজারের অধিক শিক্ষার্থীকে চরম অব্যবস্থাপনার মধ্যে তাদেরকে গাদাগাদি বসানো হয়েছে। প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০০ টাকা করে প্রায় তিন লাখের অধিক টাকা নিয়েছেন আয়োজকরা। এতে সর্বোচ্চ তাদের খরচ হয়েছে এক থেকে দেড় লাখ টাকা। বাকীটা সবই তাদের বাণিজ্য। আর এই বাণিজ্য করতে গিয়ে চরম হয়রানীর শিকার হলেন সাধারন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষাবিদ ও সচেতন নাগরিকরা বলছেন, শিক্ষাকে ব্যবসায় পরিণত করার এই প্রবণতা ভয়াবহ। শিশুদের মানসিক বিকাশ ও সৃজনশীলতা নষ্ট হচ্ছে। তারা বলেন, মুখস্থবিদ্যা নির্ভর পরীক্ষার সংস্কৃতি শিশুদের মধ্যে ভয়, উদ্বেগ আর মানসিক চাপ বাড়াচ্ছে। বৃত্তির নামে এই প্রতিযোগিতা বন্ধ করা না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এক ধরনের মানসিক অবসাদে ভুগবে।
তারা আরও বলেন, দেশের শিক্ষানীতিতে কোচিং সংস্কৃতি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনা থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি দুর্বল। শিক্ষা অফিস ও প্রশাসনের তদারকি না থাকায় এই অব্যবস্থা ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
সাতক্ষীরার অভিভাবক ও সচেতন মহল প্রশাসনের প্রতি এসব কোচিং সেন্টারের বাণিজ্যিক বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ করতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে, অবৈধভাবে শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে নিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং সরকারি নিয়ন্ত্রণ ছাড়া কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা আয়োজন নিষিদ্ধের জোর দাবি জানিয়েছেন। তাদের দাবী শিক্ষাকে ব্যবসায় নয় মানবিকতা, সৃজনশীলতা ও নিরাপত্তার জায়গায় ফিরিয়ে আনতে হবে এখনই। শিশুদের কান্না যেন আর কোনো পরীক্ষার প্রাঙ্গণে না শোনা যায়।

তারা আরো বলেন, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক শিক্ষা-বাণিজ্যের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করলেও শহরের বিভিন্ন কোচিং সেন্টার গুলো সেই ঘোষণাকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে বৃত্তির নামে মোটা অংকের অর্থ উপার্জনের খেলায় মেতে উঠেছে।
তবে, বেসিক কোচিং সেন্টারের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বৃত্তি উৎসবে চরম অব্যবস্থাপনার কথা অস্বীকার করে জানান, তারা নবারুন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়টি এই বৃত্তি উৎসবের জন্য দুই হাজার টাকায় আজ শুক্রবার ভাড়া নিয়েছিলেন।
নবারুন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক জানান, তার বিদ্যালয়ের ধারন ক্ষমতা অনুযায়ী সেখানে সর্বোচ্চ ১৫০০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারে। তাকে বলাও হয়েছিল সেই পরিমাণ শিক্ষার্থীদের সেখানে পরীক্ষা নেবেন। কিন্তু তারা ধারন ক্ষমতার চেয়ে বেশী শিক্ষার্থীদের সেখানে বৃত্তি পরীক্ষা নিয়েছে কিনা সে বিষযয়ে তিনি জানেন না বলে জানান। তবে তিনি বিষয়টি খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলে জানান। তবে, ভাড়ার বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি আরো জানান, যে তাদের কাছ শুধুমাত্র বিদ্যুৎ খরচ বাবদ দুই হাজার টাকা নেয়া হয়েছে।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায়পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের বীমাদাবীর ৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের গ্রাহকদের মাঝে ৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকার বীমাদাবীর চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। একই সঙ্গে উন্নয়ন কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যবসা উন্নয়ন সভা।

বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরায় পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির নিজস্ব ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের পপুলার ডিপিএস প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন। তিনি বীমা দাবিদারদের হাতে মোট ৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকার ২৭টি চেক হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব সমাজের আইকন, তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিক, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাতক্ষীরা জেলা শাখার অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক মহাসিন আলম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পপুলার ডিপিএস প্রকল্পের সেল ইনচার্জ কবিরুল হোসেন, কো অডিনেটর ইউনুস আলী ও মহাসিন আলমসহ স্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ।

নির্বাহী পরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স একটি ব্যতিক্রমী প্রতিষ্ঠান। আমরা গ্রাহকদের দাবি নিষ্পত্তিতে দ্রুততা বজায় রাখি। মাত্র এক দিনের মধ্যেই চেক পৌঁছে দিয়েছি—যা দ্রুত সেবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সারা দেশে আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

প্রধান অতিথি মহাসিন আলম বলেন, পপুলার লাইফ সত্যিই পপুলার। এখানে কোনো গ্রাহকের সঞ্চয় বৃথা যায় না। এটি একটি নির্ভরযোগ্য ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। এখন গ্রাহকরা ঘরে বসেই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টাকা জমা দিতে পারছেন, যা যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক সেবা।

চেক গ্রহণ শেষে বীমা গ্রাহকরা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স আমাদের আস্থার প্রতীক। খুব দ্রুত সময়ে চেক হাতে পেয়ে আমরা সত্যিই আনন্দিত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে হেলমেট বিতরণ

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৫ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা। ‘মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বুধবার সকালে সাতক্ষীরা কালেক্টর চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয় যা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও হেলমেট বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাক আহমেদ। তিনি বলেন, “দুর্ঘটনারোধে চালকদের আন্তরিক এবং পথচারীদের সচেতন হতে হবে। মোবাইলে কথা না বলার পাশাপাশি ক্লান্তি, অসুস্থতা বা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকতে হবে।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার পারভেজ বলেন, “স্থানীয়ভাবে চালক ও হেলপারদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তা জোরদার করা সম্ভব।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, স্থানীয় শ্রমিক ইউনিয়ন এবং মালিক সমিতিগুলো মাসে অন্তত একবার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে পারে।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি শেখ আব্দুস সোবহান খোকন, সাতক্ষীরা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক শাহাবুদ্দিন মোল্লা, এবং সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি মেডিকেল অফিসার জয়ন্ত সরকার।

বক্তারা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের প্রশংসা করে তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। তাঁরা বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের ব্যবস্থা নিতে হবে।”

অনুষ্ঠানের সমগ্র কার্যক্রম পরিচালনা করেন মোঃ ওমর ফারুক, বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরা হয় এই আলোচনা সভায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরার প্রাণসায়ের খাল রক্ষায় যুব সমাজের দাবি 

নিজস্ব প্রতিনিধি:সাতক্ষীরা শহরের ঐতিহ্যবাহী প্রাণসায়ের খাল রক্ষা ও জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে তরুণ সংগঠন সাতক্ষীরা ইয়ুথ অ্যালায়েন্স।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর ) সকালে ১০ শহরের সুলতানপুরস্থ আজাদী সংঘ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মুশফিকুর রহমান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ব্রিটিশ আমলে স্থানীয় জমিদার প্রাণনাথ রায়চৌধুরী শহরের উন্নয়ন ও কৃষিকাজের সুবিধার্থে ১৮৬০ থেকে ১৮৬৫ সালের মধ্যে প্রাণসায়ের খালটি খনন করেন। এক সময় এটি মরিচ্চাপ ও বেতনা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে নৌযান চলাচল, সেচ ও বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

কিন্তু বর্তমানে খালটি দখল, আবর্জনা ফেলা, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে পড়েছে। খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে এবং লুইসগেটের কারণে সংযোগ খালগুলোও মৃতপ্রায় অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে শহরে জলাবদ্ধতা, দুর্গন্ধ ও মশা-বাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে।

খালটি সাতক্ষীরার ঐতিহ্য ও পরিবেশের প্রতীক সংগঠনের সভাপতি বলেন,প্রাণসায়ের খাল শুধু একটি জলাধার নয়, এটি সাতক্ষীরার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও পরিবেশগত ভারসাম্যের প্রতীক। এই খালকে পুনরুদ্ধার করা মানে শহরের জীবনযাত্রা, অর্থনীতি ও পরিবেশ রক্ষায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা।

সাতটি দাবি তুলে ধরে সংগঠন

সাতক্ষীরা ইয়ুথ অ্যালায়েন্স প্রাণসায়ের খাল রক্ষায় সাতটি দাবি তুলে ধরে, খালের দুই পাড়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান, বৃক্ষরোপণ ও সৌন্দর্যবর্ধন, যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সবুজ বেষ্টনী তৈরি,খাল সংলগ্ন ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার ও জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ, অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও নিয়মিত মনিটরিং, যুব ও নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণে তদারকি কমিটি গঠন, দূষণকারী কসাইখানা ও স্থাপনা স্থানান্তর,খালের সংযোগ পুনঃস্থাপন ও জনমত গঠন।

এ সময় সংগঠনটি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শ্যামনগর, কালিগঞ্জ, আশাশুনি ও তালা উপজেলায় সুপেয় পানির সংকট মোকাবিলায় প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করার আহ্বান জানায়। পানির বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ করে সকল মানুষের পানির অধিকার নিশ্চিত করারও দাবি জানানো হয়।

প্রাণসায়ের খাল রক্ষায় ২৩ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে নাগরিক কমিটি, সামাজিক সংগঠন, জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে একটি ‘মুভমেন্ট কর্মসূচি’ পালন করা হবে। একই দিনে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্বারকলিপি প্রদান করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনের শেষে সংগঠনের সভাপতি মুশফিকুর রহমান বলেন,প্রাণ সায়ের খাল রক্ষার এই আন্দোলন শুধু পরিবেশ নয়, এটি আগামী প্রজন্মের টিকে থাকার সংগ্রাম। প্রশাসন, পৌরসভা, পরিবেশ অধিদপ্তর, গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজ একসাথে কাজ করলে খালটি আবারও ফিরে পাবে তার হারানো নান্দনিকতা ও জীবনীশক্তি।

এ সময় সংগঠনের সহ-সভাপতি হোসেন আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কর্ণ বিশ্বাস কেডি, সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, সদস্য অর্পণ বসু

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনি উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহবায়কের পিতার দাফন 
আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহবায়ক রুহুল আমিনের পিতা ও সদস্য সচিব আবু জাহিদ সোহাগের শ্বশুর আঃ সামাদ সরদার (৭৭) এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আশাশুনি গ্রামের আঃ সামাদ সরদার হৃদরোগে আক্রান্ত হলে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকাল ৩.৪০ টার দিকে ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহি অইন্না ইলায়হি রাজিউন)। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় আশাশুনি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে মরহুমের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন, সরকারি কলেজ জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মাওঃ সাইদুল্লাহ।
বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আশাশুনি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যাপক ডাঃ শহিদুল আলম, স ম হেদায়েতুল ইসলাম, জামাত আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার, অধ্যক্ষ ড. আবুল হাসান, বিএনপি নেতা মশিউল হুদা তুহিন, জাকির হোসেন প্রিন্স, মরহুমের জামাতা আবু জাহিদ সোহাগ, মাষ্টার আবুল কাশেম, ইমাম হাফেজ মিনাজুল ইসলাম, মরহুমের পুত্র সরদার রুহুল আমিন, জামাতা হাফেজ শাহ জামাল। পরিচালনা করেন, আবুল কালাম আজাদ বুলবুল। জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমকে দাফন করা হয়।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুই মেয়ের পর আবারো মেয়ের জন্ম :  ৫দিনের কন্যাশিশুকে খালের পানিতে ফেলে হত্যা- মা আটক

নিজস্ব প্রতিনিধি : পরপর ২ মেয়ের পর আবারো মেয়ে জন্ম গ্রহন করায় ৫দিনের মেয়েশিশুকে হত্যার লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে সাতক্ষীরার কলারোয়ায়। শারমিন (৩২) নামের অভিযুক্ত পাষন্ড মা’কে আটক করেছে পুলিশ। বাড়ির পাশের সরকারি খালের কচুরিপনার মধ্য থেকে মৃত অবস্থায় শিশুকন্যাকে উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২০ অক্টোবর ২০২৫) রাত পৌনে ১২টার দিকে কলারোয়া উপজেলার কাজিরহাট হাইস্কুলের পাশে রঘুনাথপুর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সাইফুল ইসলাম জানান, ‘২০ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে শিশুটির পিতা ইব্রাহিম খলিল (৪২) থানায় এসে একটি মিচিং ডায়েরি করতে চেয়ে বলেন- তার কন্যা শিশুকে নিয়ে মা শারমিন বিকেলে ঘুমিয়ে ছিলো। ঘন্টাখানিক পরে দেখেন শিশুটি নেই।’

ওসি সাইফুল আরো জানান, ‘শিশুর পিতা খলিলের কথা অসংলগ্ন আর ও সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আমরা (পুলিশ) ঘটনাস্থালে গিয়ে শিশুর মা শারমিনের সাথে কথা বলি ও জিজ্ঞাসাবাদ করি। একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন যে- তাদের ৫বছর ও দেড় বছর বয়সী দুই কন্যা শিশু আছে। পরপর দুই কন্যার পর আবারো কন্যা হওয়ায় পার্শ্ববর্তী খালে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খালের কচুরিপনার মধ্য থেকে রাত পৌনে ১২টার দিকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মৃত শিশুর ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে।’
তিনি জানান, ‘এঘটনায় শিশুর দাদি খাদিজা খাতুন বাদি হয়ে মামলা করেছেন। শিশুর মা শারমিনকে আটক করে সাতক্ষীরা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’

এ সময় সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিঠুন সরকারসহ পুলিশ, ডিবি, পিবিআই ও স্থানীয় বহু মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনাস্থল রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার মুনসুর আলী জানান, ‘৫দিন আগে কলারোয়ায় সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে কন্যা শিশুটির জন্ম হ। সোমবার শেষ বিকালে থেকে সেই ৫দিন বয়সী শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছিলো না বলে শিশুর মা-বাবা বলছিলো। তবে তাদের আচরণ ছিলো সন্দেহজনক। সন্ধ্যা রাতে থানা পুলিশ, ডিবি, পিবিআই এসে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে পাশের খালের কচুরিপনা বা শ্যাওলার মধ্য থেকে মৃত অবস্থায় কন্যাশিশুকে উদ্ধার করা হয়।’

তিনি আরো জানান, ‘শিশুর পিতা ইব্রাহিম খলিলের আদি বাড়ি শ্যামনগরে। তিনি রঘুনাথপুরে ঘরজামাই থাকতেন।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিএনপির কণ্ঠে স্বৈরাচারের সুর শুনতে পাচ্ছি– সাতক্ষীরায় গোলাম পরওয়ার

আমিনুর রহমান: বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারী অধ্যাপক গোলাম পরোয়ার বলেছেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ এবার দাড়ী পাল্লায় ভোট দিতে প্রস্তুত আছে। নতুন বাংলাদেশে যে ঢেউ শুরু রয়েছে হয়েছে তারা সারা বাংলা দেশে পৌছে দিতে হবে। জামায়াত ইসলামী গুম,খুন,লুটপাট ও দুর্নীতি মুক্ত একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায়।

সোমবার বিকাল ৩টায় সাতক্ষীরার তালায় অনুষ্ঠিত ছাত্র-যুব সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এনপিপির উদ্দেশে গোলাম পরোয়ার বলেন, তোমরা নতুন ছাত্রদের দল। জামায়াতে ইসলামী’র সঙ্গে পাল্লা দিতে গেলে তোমাদের আরও বহুদূর যেতে হবে। জন্ম নিয়েই বাবার সাথে পাল্লা দিও না। নতুন গঠিত ছাত্রদের একটি দলের নেতা দুঃখজনক একটি স্ট্যাটাস দিয়ে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী সংস্কার চায় না, জামায়াতে ইসলামী সংস্কার ও নতুন সংবিধান সংলাপে ভূমিকা রাখেনি। অথচ ঐকমত্য কমিশনে লিখিতভাবে ছয়টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে আমরাই প্রথম পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিয়েছি। তারা চাচ্ছেন আমরা যেন তাদের সমালোচনা করি। কিন্তু কেউ তো তাদের নামই নিচ্ছে না।

বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে আওয়ামী লীগের মতো জামায়াতকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। বিএনপির কোনো কেন্দ্রীয় নেতা যদি এমন কথা বলেন, তাহলে তো বিএনপির কণ্ঠে আওয়ামী লীগের সুর শুনতে পাচ্ছি।
কোন উস্কানিতে উত্তেজিত না হয়ে তালা-কলারোয়ার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কোন উস্কানির ফাঁদে পা দেবেন না। একটি পক্ষ আমাদের গণ জোয়ার রুখে দিতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। জামায়াত ঘের দখল করে না, জমি দখল করে না, বালু উত্তোলন করে না। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশে বেকার থাকবে না। দুর্নীতি থাকবে না, লুটপাট থাকবে না। তাই এবার সকলকে দাড়ীপাল্লায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক গোলাম পরোয়ার বলেন, একটা ধারণা আছে হিন্দু মানেই আওয়ামী লীগ, হিন্দু মানেই নৌকা। আমি বলি না, এবার হিন্দুরা দেখিয়ে দেবে—হিন্দু মানে নৌকা নয়, হিন্দু মানেই দাঁড়িপাল্লা। তালা ও কলারোয়ার হিন্দুরা যদি দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেন, তাহলে তারা অতীতের সব শাসন থেকে নিরাপদে থাকবেন, ইনশাআল্লাহ।

তালা উপজেলা জামায়াতের আমীর মাও: মফিদুল্লার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ,খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, জেলা জামায়াতের আমীর শহীদুল ইসলাম মুকুল, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাও: আজিজুর রহমান, সহকারি সেক্রেটারী অধ্যাপক সুজায়েত আলী, সাতক্ষীরা শহর শিবিরের সভাপতি আল মামুন, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি জুবায়ের হোসেনসহ অন্যরা। ##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে সাতক্ষীরায় বিআরটির রোড শো

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সাতক্ষীরা সার্কেলের উদ্যোগে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস – ২০২৫’ উদযাপনের অংশ হিসেবে একটি রোড শো অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল সড়ক দুর্ঘটনা রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।

রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সামনে এই রোড শো শুরু হয়। পুলিশ ট্রাফিক বিভাগ ও বিআরটিএ সাতক্ষীরার যৌথ প্রয়াসে আয়োজিত এই রোড শোতে স্থানীয় জনগণ ও পথচারীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পরিলক্ষিত হয়।

বিআরটিএ খুলনার বিভাগীয় পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জিয়াউর রহমানের দিক নির্দেশনায় অনুষ্ঠিত এই রোড শোতে পথচারী, যাত্রী এবং যানবাহন চালকদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। এছাড়া, বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোঃ ওমর ফারুক সকলের উদ্দেশ্যে সচেতনতামূলক মাইকিং এর মাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে বিআরটিএ’র সাতক্ষীরার সার্কেলের উচ্চমান সহকারী মোঃ নাসির উদ্দিনসহ স্থানীয় মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ ও উপস্থিত সাধারণ মানুষ।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি। বিআরটিএ’র এই উদ্যোগ সড়ক নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার এবং সঠিক যানবাহন পরিচালনার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায়। এই অবস্থায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সঠিক নিয়ম মেনে চলার মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব। রোড শোতে অংশগ্রহণকারীরা এই ধরনের উদ্যোগকে আরো সম্প্রসারিত করার আহ্বান জানান।

সাতক্ষীরার স্থানীয় মানুষ ও সাধারণ জনগণ বিআরটিএ’র এই কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়েছে এবং তারা আশা প্রকাশ করেছে যে, এই ধরনের উদ্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে, যা নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest