সর্বশেষ সংবাদ-
গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিসড়ক দুর্ঘটনায় আহত জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারিসাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচন : জামায়াত সমর্থিত ৫টি পদে বিজয়সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষক ভ্রাতা চাকুরি ফিরে পেতে মরিয়াসাতক্ষীরায় অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের দ্রুত এমপিওর জন্য মতবিনিময় Master Your Game with These Winning Strategies at Kyngs Casinoসাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলাম

গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিনিধি : জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারি নির্বাচন এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতে ইসলামী। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়।

পরে মিছিলটি নিউমার্কেট মোড়, খুলনারোড মোড়, নারকেলতলা মোড়সহ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ করে। মিছিলটির নেতৃর্ত্ব দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও সাতক্ষীরা সদর আসনে জামায়াত মনোনিত এমপি প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক।

এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টায় তারা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পাক সমাবেশ করে। সমাবেশে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও সাতক্ষীরা সদর আসনে জামায়াত এমপি মনোনিত প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, জেলা জামায়াতের আমীর অপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী, গাজী সুজায়েত আলী, মাওলানা ওসমান গনি, জেলা কর্মপরিষদ সদন্য মাওলানা আব্দুল বারী, জেলা অফিস সেক্রেটারি মাওলানা রুহুল আমিন,

জেলা কর্মপরিষদ সদস্যএড আব্দুস সুবহান মুকুল,এড, আজিজুল ইসলাম, শহর জামায়াতের আমির জাহিদুল ইসলাম, কালিগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির মোহাম্মদ আলী, সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলনা মোশারফ হোসেন,দেবহাটা আমির ওলিউর রহমান, শহর সেক্রেটারি খোরশেদ আলম, সদর সেক্রেটারি মাওলানা হাবিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন— তারা আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবশ্যই জাতীয় সংসদ নির্বাচন চান, তবে সেটি হতে হবে জুলাই সনদের ভিত্তিতে। সেই লক্ষ্যে নির্বাচনের আগে গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে তারা আন্দোলনের মাঠে আছেন এবং থাকবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাই

নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রকাশ্য দিবালোকে এক নারীকে চেতনানাশক স্রে করে তার পরিহিত প্রায় এক ভরি ওজনের তিনটি সোনার গহনা ও দুটি মোবাইল সেট ছিনতাই করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সকাল ১১টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের পিএন হাইস্কুলের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত নারীর নাম সিমা রায়(৪৯)। তিনি সাতক্ষীরা শহরের খান মার্কেটের গহনা শিল্পী শেখর রায়ের স্ত্রী । তিনি যশোরের অভয়নগরের বাশুড়ী গ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমানে সাতক্ষীরা শহরের কামাননগরের সঙ্গীতা মোড়ের পার্শ্ববর্তী জবেদ আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া।
সিমা রায় জানান, বৃহষ্পতিবার সকাল ১১টার দিকে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে সুলতানপুর বড়বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বড়বাজারের ভ্যারাইটি স্টোর্সের সামনে দিয়ে দিবা- নৈশ কলেজের দিকে যাওয়ার সময় ২১/২২ বছর বয়সী ও ৩০ বছর বয়সী দুইজনকে তার পিছনে পিছনে হঁাটতে দেখেন। শুশিল ময়রার দোকানের সামনে পেঁৗছালে তাকে অনুসরণকারি দুইজনের মধ্যে একজন পিছন দিক থেকে তার ঘাড়ে হাত দেয়। তিনি পিছনে ফেরা মাত্রই নাকের কাছে কিছু একটা স্প্রে করা হয়। একপর্যায়ে ওই দুইজন তার সাথে কথা বলতে বলতে তিনি চেতনা হারানোর উপক্রম হলে পিএন হাইস্কুলের পাশে সেলুনের দোকানের পাশে ডেকরেটর গলিতে নিয়ে যায়। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগে তার গলায় থাকা ৫ আনা ওজনের সোনার চেইন, চার আনা ওজনের একজোড়া সোনার কানের দুল, চার আনা সোনা বঁাধানো হাতের দুটি শাখা খুলে নেয় তারা।

তার কাছে থাকা ২৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি ও ১৩৫০ টাকা একটি মোবাইল সেট নিয়ে নেয়। ছিনতাই হওয়া মালামালের মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা। একপর্যায়ে তারা তার কাছে একটি শপিং ব্যাগে থাকা এক কেজি ওজনের লবনের প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে সাহা সুইটস এ দিয়ে আসতে বলে। বিষয়টি তার পরিবারের লোকজন জানতে পেরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করান।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শামিনুল হক জানান, এ ঘটনায় সিমা রায় বৃহষ্পতিবার দুপুরে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছন।
তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর পুলিশ ফঁাড়ির উপপরিদর্শক আব্বাস আলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সদর পুলিশ ফঁাড়ির উপপরিদর্শক আব্বাস আলী জানান, তদন্তভার পাওয়ার পর ওই দুই ছিনতাইকারির পরিচয় জানার জন্য পিএন হাইস্কুলের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে খুব বেশিদিন আগেও খেলাধুলার মাঠ ছিল মেয়েদের জন্য এক অঘোষিত নিষিদ্ধ এলাকা। লবণাক্ত নদীর পানি, ঘনঘন ঘূর্ণিঝড়, দারিদ্র্য আর জলবায়ু পরিবর্তনের কঠোর বাস্তবতায় যখন মানুষের জীবনযাত্রা ক্রমে ক্ষয়ে যাচ্ছিল, তখন মেয়েদের অবস্থান সীমাবদ্ধ ছিল ঘরের চার দেয়ালের ভেতরে। ঘরের কাজ, স্কুলছুট হয়ে যাওয়া ও অকালবিয়ের চাপ ছিল তাদের নিত্যসঙ্গী। খেলাধুলার মাঠ তাদের কাছে ছিল সামাজিক বাধা ও নীরব তিরস্কারের প্রতীক মেয়ে মানুষ আবার খেলতে যাবে কীভাবে? এমন প্রশ্ন অসংখ্য স্বপ্নকে থামিয়ে দিত শুরু হওয়ার আগেই।

এই বাস্তবতাকে বদলে দিতে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স, টেরে দে জোম ফাউন্ডেশন, এসডিসি এবং অলিম্পিক রিফিউজ ফাউন্ডেশনের সহায়তায় শোভনালী ইউনিয়নের গোদাড়া ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত হয় একটি রূপান্তরমূলক ক্রীড়া উৎসব। ‘এসপি’রিট (Sports for Protection, Resilience and Transformation)’ প্রকল্পের অধীনে কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়মিত ক্রীড়া সেশন পরিচালনা করা হচ্ছে।

সাতক্ষীরার পাঁচটি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে গত চার মাসে ২৭০০ কিশোর-কিশোরী (১৩৫০ ছেলে ও ১৩৫০ মেয়ে) ১৮০টি দলে অংশগ্রহণ করেছে। ‘ফুটবল ফর প্রোটেকশন কারিকুলাম গাইড ও ‘ট্র্যাডিশনাল গেমস গাইড’ এর ভিত্তিতে ১৮টি সেশনের মাধ্যমে তারা গড়ে তুলেছে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ জীবনদক্ষতা,বিশ্বাস গঠন, সহযোগিতা, যোগাযোগ, আবেগ নিয়ন্ত্রণ, সৃজনশীল চিন্তা ও দায়িত্বশীলতা।

বুধবার (১২ নভেম্বর) দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল হাঁড়িভাঙা, ঐতিহ্যবাহী খেলা এবং কিশোর ও কিশোরীদের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত ফুটবল ম্যাচ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আশাশুনি উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বলেন, শোভনালী ইউনিয়ন জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য, প্রতিবন্ধিতা, বেকারত্ব, জলাবদ্ধতা ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যেও প্রকল্পটি প্রান্তিক শিশু-কিশোরদের জন্য নিরাপদ খেলাধুলার ক্ষেত্র তৈরি করছে। ভবিষ্যতে মাঠ, স্পোর্টস ক্লাব ও অন্যান্য সুবিধা উন্নয়নে আমরা কাজ চালিয়ে যাব।

মূল বক্তা জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ও সাবেক রেফারি ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসান শামসুজ্জামান তিনি বলেন, যারা মাঠে খেলা শিখে, তারা জীবনে কখনো হার মানে না। এসপি’রিট প্রকল্প ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্য মাঠ উন্মুক্ত করেছে, ভয়ভীতির দেয়াল ভেঙে তাদের আত্মবিশ্বাস ও পরিচয় গড়ে তুলছে। ভবিষ্যতে যদি কোনো শিশু ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখে, তার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি আমি দিচ্ছি।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন শোভনালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক। এছাড়া সামাজিক সেবা, যুব উন্নয়ন, মাধ্যমিক শিক্ষা ও মহিলা বিষয়ক দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সিভিল সোসাইটি সদস্য, সাংবাদিক সহ আরো অনেকে। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আশাশুনি উপজেলা কোঅর্ডিনেটর দিপ রঞ্জন বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে কিশোর-কিশোরীরা নেতৃত্ব দিয়ে প্রদর্শনী স্টল সাজায়, যেখানে তারা কমিউনিটি ম্যাপিং, সমস্যা নিরূপণ ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবি

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা: ১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিতে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে ‘উপকূলের জন্য হোক একটি দিন, জোরালো হোক উপকূল সুরক্ষার দাবি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে উপজেলার কাশিমাড়ীতে খোলপেটুয়া নদীর তীরে কোস্টাল ইয়ূথ নেটওয়ার্ক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় কোস্টাল ইয়ূথ নেটওয়ার্কের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন দাসের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের উপকূলে অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলের বিপুল জনগোষ্ঠী জাতীয় অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে। তা সত্ত্বেও উপকূলের প্রায় ৫ কোটি মানুষ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। উপকূলের বহু এলাকা অরক্ষিত থেকে যাচ্ছে যুগের পর যুগ। উপকূলবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি দিবস ঘোষণা এখন সময়ের দাবি। উপকূল দিবস ঘোষণা করা হলে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান, সংবাদ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে উপকূলের গুরুত্ব বাড়বে। এর মাধ্যমে উপকূলের সুরক্ষা ও সেখানকার জনগোষ্ঠীর অধিকার ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হবে।

মানববন্ধন থেকে জলবায়ু বিপন্ন উপকূল সুরক্ষায় স্থানীয় যুব জনগোষ্ঠী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ১২ নভেম্বরকে উপকূল দিবস হিসাবে রাষ্টীয় স্বীকৃতি প্রদান, উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠন, টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, লবণাক্ততার আগ্রাসন বন্ধ করা, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, উপকূলবাসীর জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য পযাপ্ত সাইক্লোন সেন্টার স্থাপন, সুপেয় পানি নিশ্চিত করা, জাতীয় বাজেট উপকূলের জন্য বিশেষ বরাদ্দ প্রদান, দুর্যোগ মোকাবেলায় স্থানীয় সরকারকে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান, সুন্দরবন ও তার জীব-বৈচিত্র্য সুরক্ষায় কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ এবং এ অঞ্চলের কৃষি জমি ও চিৎড়ি চাষের জন্য আলাদা আলাদা জোন তৈরি করে খাদ্য ব্যবস্থা রক্ষা এবং দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলকে দুর্যোগ প্রবণ এলাকা ঘোষণার দাবি জানানো হয়। #

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা কুল্যার মোড়ের কাছে সাতক্ষীরাগামী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে মাওলানা আজিজুর রহমান মোটরসাইকেলযোগে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাওলানা আজিজুর রহমান বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এবং তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বার্তা দিয়েছেন জেলা ও উপজেলা জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচন : জামায়াত সমর্থিত ৫টি পদে বিজয়

নিজস্ব প্রতিনিধি : ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সাতক্ষীরা ইউনিটের কার্যনির্বাহী কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন (২০২৫-২০২৭) সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার বেলা ১১ টা হতে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এ ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে রাত ১ টা ৩০ মিনিটের দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনরা।

নির্বাচনে সহ-সভাপতি মাওলানা আজিজুর রহমান ৪৫৩ ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এড. কামরুজ্জামান ভুট্টো পেয়েছে ৩১৯ ভোট। অপর প্রার্থী প্রফেসর মোজাম্মেল হক পেয়েছেন ২৯৩ ভোট । সেক্রেটারি পদে জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক ওমর ফারুক ৪৭৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ মাসুম বিল্লাহ শাহিন পেয়েছেন ৩৪৫ ভোট।

কার্যকরী সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছেন জামায়াত সমর্থিতি মো. জাহিদুল ইসলাম ৪৭৮ ভোট, মাও. হাবিবুর রহমান ৪৬৩ ভোট, মো. শফিকুল ইসলাম ৪৬০ ভোট, বিএনপি সমর্থিত শফিকুল আলম বাবু ৪৮৪, কামরুজ্জামান কামু ৪৬০ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন।

নির্বাচনে ৭টি পদে ১৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৩জন এবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে ১২জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সচেতন সাতক্ষীরাবাসি সমর্থিত প্যানেল থেকে জামায়াত সমর্থিত প্যানেল নির্বাচনে অংশ নেয়। এবং বিএনপি সমর্থিতরা সমন্বিত নাগরিকরা প্যানেলে ভোটে অংশ নেয়। নির্বাচনে ১,৬৩০জন ভোটারের মধ্যে ১১১৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, নির্বাচন কমিশনার ডাঃ আবুল কালাম বাবলা, ফরিদা আক্তার বিউটি, মো. হাসিবুল ইসলাম সোহান। প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম টুটুল। ##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষক ভ্রাতা চাকুরি ফিরে পেতে মরিয়া

নিজস্ব প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষক ভ্রাতা চাকুরি ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজনৈতিক নেতাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ধর্না দিচ্ছেন তারা। জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পর তাদের পুনরায় বহাল করা হলে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত ললিত মোহন সাহার দুই পুত্র বীরেন্দ্র নাথ সাহা ও প্রতাপ কুমার সাহা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে ২০০৮ ও ২০০৯ সালের নিয়োগে যথাক্রমে ২০০৯ ও ২০১০ সালে চাকুরীতে যোগদান করেন।

এছাড়াও তাদের ভাইপো আদিত্য সাহার পূত্র সুমন সাহা ২০১২ সালে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করেন। তাদের পিতা মৃত ললিত মোহন সাহার মুক্তিযোদ্ধা না হলেও জালিয়াতির মাধ্যমে একটি মুক্তিযোদ্ধা সনদ তৈরি করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটা” ও ”মুক্তিযোদ্ধার পূত্রের পূত্র কোটা” সুবিধা নিয়ে নিয়োগ প্রাপ্ত হন তারা।

চাকুরী প্রাপ্তির পর জালিয়াতি কে বৈধতায় রূপদানের লক্ষ্যে তারা কৌশলে মৃত ললিত মোহন সাহাকে মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে অন্তর্ভূক্তির জন্য ২০১৩ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে অনলাইনে আবেদন করে এবং তৎকালীন মন্ত্রী উক্ত আবেদন উপজেলা পর্যায়ে যাচাই-বাছায়ের জন্য নির্দেশনা দেন। উপজেলা পর্যায়ে যাচাই বাছাই কালে পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জালিয়াতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ধানদিয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তবিবুর রহমানের পূত্র আবু সাঈদ মোহাম্মদ ইদ্রিস পরিচালক, দূদক; মন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর অভিযোগ করেন। সে মোতাবেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বীরেন্দ্র নাথ সাহা ও প্রতাপ কুমার সাহার বিরূদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে এবং ত্রæটিপূর্ণ ও দায়সারা গোছের তদন্ত কার্যক্রম গ্রহন করে তারদকে গত ১৯/০৭/২০২৩ তারিখে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করে। চাকুরী থেকে বরখাস্তের পর উক্ত আদেশের বিরূদ্ধে উপ-পরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, খুলনা বরাবর আপিল আবেদন করলে তা না-মঞ্জুর হলে প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল, খুলনা আদালতে উক্ত আদেশের বিরূদ্ধে মামলা দায়ের করলে

গত ১২/০৯/২০২৪ তারিখে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাতক্ষীরা প্রদত্ত গত ১৯/০৭/২০২৩ তারিখে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করণের আদেশ বাতিলের আদেশ প্রদান করে। এছাড়াও ১২/০৯/২০২৪ তারিখের প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল, খুলনা আদালত ৯০ দিনের ভিতরে আদেশ প্রতিপালনের জন্য আদেশ দিলেও গত ১ বছর কেন জেলা শিক্ষা অফিস তা অবগত ছিলেন না এবং অভিযুক্ত শিক্ষক ও তাদের দাবি জানাননি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নাকি উভয় পক্ষের ভিতরে তাদেরকে বহালের জন্য গোপন কূট কৌশল চলছিল? বর্তমানে তারা বরখাস্ত অবস্থায় থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তির মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে জানা গেছে।

এদিকে, আইনের ফাঁক ফোকড়কে কাজে লাগিয়ে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের আদেশকে ব্যবহার করে পুনরায় চাকুরিতে বহালের পায়তারা চালাচ্ছেন তারা। আর এ কারনে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

অন্যদিকে বিভাগীয় মামলা তদন্তে জানা গেছে, মৃত ললিত মোহন সাহার নামে প্রস্তত ও চাকুরী গ্রহণকালে দাখিলকৃত ১৪৮৬০ নং মুক্তিযোদ্ধা সনদ সঠিক নয় এবং তিনি সর্বশেষ গেজেটসহ কোন গেজেটে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেট ভূক্ত নন। জনশ্রুতি রয়েছে যে, মৃত ললিত মোহন সাহার অপর একপূত্র যোগেশ সাহা ও খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ে চাকুরী করেন একইভাবে কোটা সুবিধা নিয়ে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত প্রতাপ কুমার সাহা অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার না করেই বলেন, গত আড়াই বছর পূর্বে আমাদের চাকুরি চলে গেছে। সুতরাং এটি নিয়ে কথা বলার আর প্রয়োজন নেই।

এব্যাপারে জানার জন্য তালা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গাজী সাইফুল ইসলাম সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে, সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রুহুল আমিন জানান, যেহেতু শিক্ষকরা আদালতে মামলার রায় পেয়েছে। আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি অবগত করেছি। সেখান থেকে কোন নির্দেশনা পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের দ্রুত এমপিওর জন্য মতবিনিময় 
নিজস্ব প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে দ্রুত ৩৫০০ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকের এমপিও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১২ টায় সাতক্ষীরা সিটি কলেজের হল রুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন এর সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি আমিনুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নেকবর হোসেন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক মনিরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সন্দিপ কুমার দাস, সাতক্ষীরা জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফায়েল হোসেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম এবং সাতক্ষীরা সিটি কলেজের প্রভাষক পবিত্র কুমার মন্ডল।
অনুষ্ঠানের পূর্বে বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন, সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা দিবা-নৈশ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ মাসুম বিল্লাহর অকাল মৃত্যুতে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং তার পরিবারকে ২০ হাজার টাকা অর্থ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে মরহুম মাসুম বিল্লাহর কর্মজীবন, শিক্ষা ও সমাজসেবায় তাঁর অবদান স্মরণ করে বক্তারা গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
বক্তারা বলেন, মাসুম বিল্লাহ ছিলেন একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও আদর্শ শিক্ষক, যিনি শিক্ষক সমাজের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যু শিক্ষক সমাজের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। শেষে তাঁর আত্মার শান্তি ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest