সর্বশেষ সংবাদ-

সাতক্ষীরায় প্রেমিকার বাড়ি চিনিয়ে দেওয়ার অভিযোগ: গুলি করে হত্যা চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে প্রেমিকার বাড়ি চিনিয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক গৃহবধূ কে গুলি করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিকালে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ গৃহবধূ হালিমা খাতুন (৩৫) সোতা গ্রামের মোসলেম আলী চৌকিদারের স্ত্রী। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রেফার করেন।

গুলিবিদ্ধ হালিমা খাতুনের পুত্র সাইফুল্লাহ মনির বলেন তার মা বাড়ির পাশে মারামারির শব্দে বাইরে যান। সেখানে অস্ত্র দেখে দ্রুত স্থান ত্যাগ করার জন্য চেষ্টা করে। তৎক্ষনাৎ মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যায়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা গুরুতর দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলাসদরে রেফার করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, কৃষ্ণনগরসহ দক্ষিণাঞ্চলে ত্রাস সৃষ্টি করা জব্বার দরফদারের ছেলে কুখ্যাত সন্ত্রাসী ইয়ার আলী দীর্ঘদিন ধরে সোতা গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক বজায় রেখে আসছিলেন। সোমবার দুপুরে ইয়ার আলীর স্ত্রী ও পুত্র হ্নদয় তাকে খুঁজতে প্রেমিকার বাড়িতে গেলে সেখানে ইয়ার আলীর সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়।
তিনি আরও জানান এ সময় হালিমা খাতুন ওই বাড়ির অবস্থান দেখিয়ে দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ইয়ার আলী তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় ইয়ার আলীর ছেলে হ্নদয়ও আহত বলে জানা গেছে।

প্রকাশ্যে গোলাগুলির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি ইয়ার আলীর ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পায় না।

কালিগঞ্জ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: কামরুল হাসান বিকালে ওই নারী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি হয়েছিল। অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় সাতক্ষীরায় প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসলাম খান বলেন, মোসলেম চৌকিদারের স্ত্রী গালে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে কোনো গুলির খোসা বা আলামত পাওয়া যায়নি। সুতরাং গুলি কিনা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রয়ের দায়ে নাহিন মেডিকেল হলকে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় ঔষধের অনিয়ম প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
০১ ডিসেম্বর সোমবার সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খুলনা রোড এলাকায় জেলা প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহমেদ অপু, সাতক্ষীরার ড্রাগ সুপার মোঃ বাশারাফ হোসেনসহ পুলিশের সদস্য বৃন্দ।

অভিযানে নাহিন মেডিকেল হলকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে ঔষধ ও কসমেটিক আইন লংঘন করায় উক্ত জরিমানা করা হয়।

অভিযানে নকল ও ভেজাল ঔষধ বিক্রি, ফিজিশিয়ান স্যাম্পল অবৈধভাবে সংরক্ষণ ও বিক্রি, মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি, আনরেজিস্টার্ড, অননুমোদিত ঔষধ মজুদ ও বিক্রি না করার জন্য অনুরোধ করা হয়। অভিযানকালে জানানো হয় জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নো ওয়ার্ক” কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিনিধি : সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে সারা দেশের মতো সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সারাদেশের ন্যা “নো ওয়ার্ক” কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস) সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ইউনিটের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।

এসময় শিক্ষকরা পৃথক অধিদপ্তরে শিক্ষকদের এন্ট্রিপদ ৯ম গ্রেড ধরে ৪ (চার) স্তরবিশিষ্ট পদসোপন, বকেয়া টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড প্রদান, দীর্ঘদিন প্রমোশন বঞ্চিত যোগ্য শিক্ষকগণের দ্রুত প্রমোশনের ব্যবস্থা করা ও অতিরিক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য অ্যাডভান্সড ইনক্রিমেন্ট আগের মতো বহাল রাখার দাবী জানান।

এসব অবহেলার প্রতিবাদেই তারা ১ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকাল কর্মবিরতি পালন করতে বাধ্য হয়েছেন। তারা আরো বলেন, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ও দীর্ঘদিনের বৈষম্য দূরীকরণের জন্য এই আন্দোলন। সরকার দ্রুত প্রয়োজনীয় গেজেট প্রকাশ ও নির্দেশনা না দিলে কর্মসূচি চলমান থাকবে।” পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জনের বিষয় সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম টুকু বলেন, শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের দাবী যথাযথ কিন্তু শিক্ষা ব্যাহত করে আন্দোলন হচ্ছে তাই মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এদিকে শিক্ষক কর্মবিরতির কারণে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ভোগান্তি ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। যে কারনে সকরকারকে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবী আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহবান জানান অভিভাবকরা। এসময় বক্তব্য রাখেন বাসমাশিস সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ইউনিটের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ আব্দুর রউফ, শ্যামল কুমার দাশ, সাইফুল ইসলাম, মো. ইসমাইল হোসেন, জি এম আলতাফ হোসেন, দুলাল চন্দ্র মন্ডল, গাজী মহব্বত হোসেন, আব্দুস ছবুর, নার্গিস সুলতানা, রোকেয়া সুলতানা, এবং সহকারী শিক্ষক কাবিজুল ইসলাম, দিব্যেন্দু সরকারসহ অন্যান্য শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে অংশ নেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় তারুণ্য নির্ভর নতুন বাংলাদেশ গঠনে এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই শীর্ষক আলোচনা

নিজস্ব প্রতিনিধি : তারুণ্য নির্ভর নতুন বাংলাদেশ গঠনে এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অডিটোরিয়ামে জেলা তথ্য অফিস সাতক্ষীরার আয়োজনে সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসু দেব বসু এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মিজ্ আফরোজা আখতার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের জন্য মোবাইল আসক্তি সকল সাফল্য ও সফলতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

উন্নত দেশ গড়তে হলে আমাদের একটি দক্ষ সুশিক্ষিত জাতি দরকার। এ দেশ গড়তে হলে আগে আমাদের নিজেদেরকে গড়তে হবে। নিজেদের কিভাবে গড়ে তুলতে হবে তার জন্য একটি লক্ষ্য স্থির করা দরকার।

নিজেকে আলোকিত মানুষ হিসেবে তৈরি করতে হবে। পরিবার থেকেই আগে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। দুর্নীতির মূল উৎপাঠন করতে পারলেই দেশ ও জাতি উন্নত হবে। সব কিছুর জন্য সামাজিক সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল হাশেম, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব ডা. আবুল কালাম বাবলা, জেলা তথ্য অফিসার মো. জাহারুল ইসলাম, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাজমুন নাহার, সাংবাদিক জি এম মনিরুল ইসলাম মিনি, সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত ও সাবেক ফিফা রেফারি তৈয়েব হাসান বাবু, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট ইশতিয়াক আহমেদ অপু, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা আয়েশা সিদ্দিকা, মোহিনী তাবাচ্ছুম, কলেজের শিক্ষার্থী সুমাইয়া পারভীন প্রমুখ। এ সময় সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা তথ্য অফিসের কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সফটওয়্যার ও আইটি সল্যুশন কোম্পানি গ্লোরিয়াস আইটির ১১ বছর পূর্তি উদযাপন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সফটওয়্যার ও আইটি সল্যুশন কোম্পানি গ্লোরিয়াস আইটি রোববার উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করল তাদের গৌরবময় ১১ বছর পূর্তি। রাজধানী ঢাকা ও খুলনার দুটি শাখায় দিনব্যাপী ছিল কেক কাটা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণ, স্মৃতিচারণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়সহ নানা আয়োজন।

২০১৪ সালের ২৭ নভেম্বর সূচনা হওয়া গ্লোরিয়াস আইটি আজ দেশের সফটওয়্যার শিল্পে একটি নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা ও কর্পোরেট সেক্টরের জন্য কাস্টমাইজড অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই আস্থা অর্জন করে আসছে। তাদের উদ্ভাবনী সফটওয়্যার সমাধান ইতোমধ্যে হাজারো প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল রূপান্তরের পথে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

অনুষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “গ্লোরিয়াস আইটির বিশ্বাস—প্রযুক্তি কেবল একটি পণ্য নয়, এটি সেবার একটি রূপ। আমরা ভবিষ্যতে আরও আধুনিক, ব্যবহারবান্ধব ও স্মার্ট টেক সল্যুশন নিয়ে দেশীয় বাজারে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চাই।”

বর্তমানে গ্লোরিয়াস আইটি ঢাকা ও খুলনার দুটি শাখা থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্কিল ডেভেলপমেন্ট ও আইটি প্রশিক্ষণ প্রকল্প পরিচালনা করছে, যা দেশের যুবসমাজকে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে সহায়তা করছে।

গত ১১ বছরে প্রতিষ্ঠানটি শতাধিক প্রজেক্ট সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। কর্মকর্তারা জানান, আগামীতে আন্তর্জাতিক মার্কেটে সফটওয়্যার এক্সপোর্ট বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্লোরিয়াস আইটি আরও শক্ত অবস্থান তৈরি করতে চায়।

অনুষ্ঠানের শেষে অতিথি, পার্টনার, কর্মকর্তা ও কর্মীদের মধ্যে স্মারক বিতরণ করা হয়। সবাই গ্লোরিয়াস আইটির ধারাবাহিক সাফল্য ও বাংলাদেশের আইটি সেক্টরে আরও বৃহৎ অবদান কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাহসী সাংবাদিকতায় প্রথম আলো দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে

নিজস্ব প্রতিনিধি :  সাহসী সাংবাদিকতায় প্রথম আলো বাংলাদেশের পত্রিকা জগতে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পত্রিকাটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে সাধারণ পাঠকের বিশ^াস ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। প্রথম আলো সবধরণের হুমকি-ধামকি ও বাধাবিঘœ অতিক্রম করে আরও বেশি বেশি নির্যাতিত ও অবহেলিত মানুষের কথা বলবে, তাদের পাশে থেকে দেশ ও সামজাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে-এটাই পাঠকের প্রত্যাশা।

রোববার বিকেল চারটায় সাতক্ষীরা প্রথম আলোর সুধী সমাবেসে বক্তারা এসব কথা বলেন। পত্রিকাটির ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরা শহরের লেকভিউ রির্সোট পদ্ম মিলনাায়তনে এ সুধী সামবেশের আয়োজন করা হয়। বিকেল চারটায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সামাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক,আইনজীবী, গবেষক, সাংবাদিক, ছাত্র-ছাত্রী, নারীনেত্রী ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষ প্রথম আলো সম্পর্কে খোলামেলা মতামত ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চলনার পাশাপাশি স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি।

সমাবেশে সাতক্ষীরা জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নাজমুন নাহার বলেন, প্রথম আলো সবার থেকে আলাদা। পত্রিকাটির যে কোন প্রতিবেদন গুরুত্ব বহন করে। প্রতিবেদনের উপর আস্থা ও বিশ^াস রাখা যায়। সামাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে পত্রিকাটি ভূমিকা অনন্য। বিশেষ করে সাতক্ষীরার বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আন্দোলনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পাশে থেকে প্রথম আলো সকল সময় সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অ্যাড. ইফতেখার আলী প্রথম আলোতে উপকুলীয় এলাকার প্রতিবেদন আরও বেশি বেশি প্রকাশ পরামর্শ দিয়ে বলেন, প্রথম আলো সমাজের দর্পন। বিগত সরকারের আমলে নানা হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করে তার সত্য প্রকাশে অবিচল থেকছে। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমন্বিত রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে পত্রিকাটি আরও সাহসি ভূমিকা রাখতে হবে।
সাতক্ষীরা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বাসুদেব বসু বলেন, প্রথম আলোর উদাহরণ প্রথম আলো। প্রথম আলোর চিন্তা এমনই ভালোমন্দ যা কিছু সহজভাবে সঠিকভাবে তুলে ধরে। এখন প্রথম আলো এখন পরিনত, পরিপক্ষ। প্রথম আলো শুধু একটি পত্রিকা নয়, একটি প্রতিষ্ঠান। প্রযুক্তির বদল ও মানুষের পরিবর্তিত চাহিদা ঠিক রেখে প্রথম আলো এগিয়ে চলছে প্রিন্ট ও ডিজিটালে। প্রথম আলো সাধারণ মানুষের একমাত্র ভরসার স্থল । কি নেই প্রথম আলোতে, যা আছে বাংলাদেশে তা আছে প্রথম আলোতে। যা আছে বাংলা ভাষাতে, তা আছে প্রথম আলোতে। এই সিকি শতাব্দির বেশি সময় ধরে প্রথম আলো দুরান্ত গতিতে, অদম্যতে গতিতে এগিয়ে চলেছে। প্রথম আলোর জনপ্রিয়তা ও দর্শক প্রিয়তা তুঙ্গে হওয়ার একমাত্র কারণ প্রথম আলোর পাঠক একবারে বটতলা থেকে ১০ তলার মানুষ পর্যন্ত। আট থেকে আশি প্রথম আলোকে বিশেষভাবে ভালোবাসে।
সাবেক পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ, বাংলাদেশে রাজনীতিক ও সামাজিকভাবে যখন কোন বিপর্যয় হয়,দেশ যখন তার পথ হারায়, তখন দেশের জনগণ একদিকে সৃষ্টিকর্তার দিকে তাকিয়ে থাকে। আর থাকিয়ে থাকে সংবাদকর্মী ও সংবাদ মাধ্যমের দিকে। দেশের ক্রান্তিলগ্নে, দেশের দুর্যোগের সময় প্রথম আলোর মত পত্রিকা ছিল বলে আজকে নতুন করে মানুষ বাঁচবার স্বপ্ন দেখে।
সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি সোমনাথ ব্যানাজী বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদের সকল গণমাধ্যমের চেয়ে প্রথম আলো এগিয়ে আছে। প্রথম আলোর সত্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য পত্রিকাটির সম্পাদকসহ বিভিন্ন প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সরকারের সময় নির্যাতন, মামলা-হামলা নেমে এসেছে। এ থেকে সাতক্ষীরা প্রতিনিধি রেহাই পায় না।
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহি বলেন,প্রথম আলোর নিউজটাই আমাদের দেশে শেষ কথা বলে। তবে আমার মাঝে মাঝে মনে হয় প্রথম আলো কর্পোরেটদের মুখপত্র।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আজাদ হোসেন বলেন,সাতক্ষীরা উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে আছে। রেল লাইন নেই, পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ে অনুমোদন হওয়ার পরও হয়নি। ভোমরা বন্দর পুনাঙ্গ হয়নি। মেডিকেল কলেজের দুনীর্তিতে ভরে গেছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকার বিষয়গুলো ছাপানোর অনুরোধ জানান। অনেক পাঠক রয়েছে প্রথম আলোর সংবাদ ছাড়া বিশ^াস করে না, পড়ে না। বিভিন্ন অফিস এমনকি জজসিপেও প্রথম আলো পড়ে।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মমতাজ আহমেদ বলেন, যখন সোস্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরণের খবর আসে, আমরা সংবাদকমীর্রা দেখি প্রথম আলো কি বলছে। প্রথম আলোর সংবাদের উপর ভরসা রাখা যায়। প্রথম আলোর উপর যখন কোন আঘাত আসে, তখন সাতক্ষীরা প্রতিনিধির উপর আঘাত বহন করতে হয়।
আরও বক্তব্য রাকেণ সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রার অধ্যক্ষ মুফতি আক্তারুজ্জামান, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ফরিদা আক্তার, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন, সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম,প্রথম আলো বন্ধুসভার উপদেষ্টা ও দুপ্রকের সভাপতি ডা. আবুল কালাম, সাতক্ষীরা দিবানৈশ্য কলেজের শিক্ষক ও কবি মোস্তাক আহমেদ, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রথম আলোর হেড অব অনলাইন শওকত হোসেন। তিনি বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনলাইনে দ্রুত বস্তুনিষ্ঠ ও নিভুর্ল সংবাদ পরিবেশন করায় আমাদের লক্ষ্য। সত্য ও ন্যায়ের প্রতি অবিচল থেকে প্রথম আলো সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে। এজন্য সরকারসহ বিভিন্ন পক্ষের রোষানলে পড়তে হয়েছে। কখনো সংসদে প্রথম আলোর বিরুদ্ধে কথা বলা হয়েছে। আবার কখনো বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাঠক আমাদের শক্তি। পাঠকের ভালোবাসা, বিশ^াস ও আস্থার কারণে প্রথম আলো এগিয়ে যাচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খালেদা জিয়া’র সুস্থতা কামনায় সাতক্ষীরায় জেলা বিএনপির দোয়া

বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া’র সুস্থতা কামনায় সাতক্ষীরায় জেলা বিএনপির দোয়া

২৯ নভেম্বর ২০২৫ বিকাল ৪টায় সাতক্ষীরা শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অবস্থিত পৌর অডিটোরিয়াম সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির উদ্যোগে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু সভাপতিত্বে বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি জনাব হাবিবুল ইসলাম হাবিব।

দোয়া পরিচালনা করেন জেলা ওলামাদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান।

এসময় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক যথাক্রমে আবুল হাসান হাদী, তাসকিন আহমেদ চিশতী, জেলা বিএনপি’র সাবেক সমন্বয়ক ও যুগ্ন আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মাসুদ বিল্লাহ শাহিন, পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোঃ কামরুজ্জামান কামু, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুস সামাদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ভুট্টো, সদস্য সচিব শেখ শরিফুজ্জামান সজীব, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি, সাংগঠনিক সম্পাদক সালেকা হক কেয়া, জেলা জাসাসের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শেখ জিল্লুর রহমান, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম, জেলা তাঁতীদলের সাধারণ সম্পাদক সাহেব আলী, জেলা ওলামা দলের সদস্য সচিব সাইফুল্লাহ আল কাফি, জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম বাবু, জেলা আইনজীবী ফোরামের আহবায়ক অ্যাডভোকেট আকবর আলী, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন, জেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি নুর মোহাম্মদ পাড়,পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মাসুম রানা সবুজ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিএনপি নেতা শাহিনুর রহমান বাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মিলন শিকদার, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আলী হাসান খান হাবলু, সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মনজুরুল ইসলাম বাপ্পি, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহিন ইসলাম ছাত্রদলের সদর ও পৌর বিএনপি’ সহ
ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, তাঁতীদল, কৃষক দল, জাসাস,ওলামা দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ জণগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

In questo articolo, esploreremo il confronto tra Rollero Casino e altri casinò online popolari in Italia. Analizzeremo le caratteristiche, le offerte, l’esperienza utente e le opinioni dei giocatori per capire cosa rende Rollero Casino una scelta interessante nel panorama del gioco online. Attraverso interviste e feedback reali, scopriremo come si posiziona rispetto ai suoi concorrenti e quali sono i punti di forza e di debolezza di ciascuno.

Caratteristiche generali di Rollero Casino e la sua proposta di gioco

Rollero Casino si distingue per un’interfaccia utente moderna e intuitiva, che invita i giocatori a esplorare le varie categorie di giochi disponibili. La piattaforma offre una vasta gamma di slot machine, roulette, blackjack e giochi dal vivo, rendendola adatta sia ai neofiti che ai giocatori esperti. La grafica è accattivante e i caricamenti sono rapidi, caratteristiche molto apprezzate dai giocatori italiani.

“Ho trovato Rollero Casino molto facile da usare, soprattutto per le sue opzioni di gioco dal vivo. Mi piacciono le slot, ma vedere i croupier dal vivo rende l’esperienza ancora più emozionante,” racconta Marco, un giocatore abituale.

Un altro aspetto interessante è la disponibilità di giochi sviluppati da fornitori rinomati come NetEnt e Microgaming. Questa diversità consente ai giocatori di scegliere tra titoli classici e nuove uscite, garantendo sempre una novità nel proprio gameplay.

Confronto delle offerte di benvenuto tra casinò online: chi offre di più?

Le offerte di benvenuto sono un fattore cruciale per attirare nuovi giocatori. Rollero Casino propone un pacchetto di benvenuto competitivo, che include bonus sul primo deposito e giri gratuiti su alcune slot selezionate. Questo approccio è simile a quello di altri casinò online, ma la differenza sta nei requisiti di scommessa, che sono considerati più favorevoli da molti utenti.

“Quando ho iniziato a giocare, ho approfittato del bonus di benvenuto di Rollero. I requisiti di scommessa erano più gestibili rispetto ad altri casinò dove ho provato,” afferma Laura, un’utente che ha recentemente iniziato a esplorare il gioco online.

Oltre a Rollero, anche altri casinò come StarCasinò e 888Casino offrono buone promozioni, ma è fondamentale leggere attentamente i termini e le condizioni, poiché possono variare significativamente. Ecco un confronto rapido delle offerte di benvenuto:

Casinò Offerta di Benvenuto Requisiti di Scommessa
Rollero Casino 100% fino a €500 + 50 giri gratuiti 30x
StarCasinò Bonus del 200% fino a €200 35x
888Casino €88 senza deposito + 100% fino a €100 40x

L’esperienza utente su Rollero Casino rispetto ad altri casinò: un’analisi dettagliata

L’esperienza utente è fondamentale per qualsiasi casinò online. Rollero Casino ha investito nella creazione di un’interfaccia user-friendly, che consente una navigazione fluida tra le varie sezioni. I giocatori possono facilmente trovare i loro giochi preferiti e le promozioni attive, il che contribuisce a un’esperienza complessivamente positiva. Visita https://rollerocasino.it/ per scoprire di più.

“La navigazione su Rollero è molto intuitiva. Non ho mai avuto difficoltà a trovare il gioco che cercavo, e questo è un grande vantaggio,” condivide Giulia, una giocatrice entusiasta.

In confronto, alcuni casinò come Betway e LeoVegas, pur offrendo un’ampia gamma di giochi, possono risultare un po’ più complessi da navigare, specialmente per i nuovi utenti. La chiarezza nella presentazione delle informazioni è un aspetto in cui Rollero eccelle rispetto ad altri concorrenti.

Sicurezza e affidabilità: un aspetto cruciale per i giocatori italiani

La sicurezza è un tema di grande importanza per i giocatori online. Rollero Casino è autorizzato e regolamentato dall’Agenzia delle Dogane e dei Monopoli, garantendo così un ambiente di gioco sicuro e protetto. Utilizza anche tecnologie di crittografia avanzate per proteggere i dati personali e le transazioni finanziarie degli utenti.

“Mi sento al sicuro quando gioco su Rollero. La loro licenza e i protocolli di sicurezza mi tranquillizzano molto,” afferma Luca, un giocatore che ha recentemente scelto di provare Rollero Casino.

Confrontando Rollero con altri casinò, come Snai e Sisal, si nota che anche queste piattaforme offrono solide misure di sicurezza, ma la reputazione e la trasparenza di Rollero nel comunicare le proprie politiche di sicurezza sono un ulteriore punto a suo favore.

Opinioni dei giocatori: esperienze reali con Rollero Casino e i suoi concorrenti

Le testimonianze dei giocatori forniscono una visione preziosa sulle esperienze reali con Rollero Casino e altri casinò online. Molti utenti apprezzano la varietà di giochi e la qualità del servizio clienti. Tuttavia, ci sono anche opinioni contrastanti, che meritano di essere analizzate.

“Ho provato diversi casinò, ma Rollero ha un’atmosfera che mi piace. I giochi dal vivo sono un vero punto forte,” racconta Sofia, una giocatrice che ama il brivido del gioco dal vivo.

Servizio clienti: come si comporta Rollero Casino rispetto ad altri casinò online?

Il servizio clienti è un aspetto che può fare la differenza nell’esperienza di gioco. Rollero Casino offre supporto tramite chat live, email e FAQ dettagliate. I tempi di risposta sono generalmente rapidi, e molti giocatori lodano la professionalità degli operatori.

“Ho avuto bisogno di assistenza una volta e sono rimasto colpito dalla prontezza del supporto. Hanno risolto il mio problema in pochi minuti,” afferma Andrea, un giocatore che ha contattato il servizio clienti di Rollero.

Confrontando con altri casinò come Betfair e William Hill, si nota che mentre molti offrono buoni servizi, la disponibilità della chat live su Rollero è un vantaggio significativo per chi cerca soluzioni rapide.

Conclusioni e considerazioni finali sul confronto tra Rollero Casino e altri casinò

In conclusione, Rollero Casino si presenta come una scelta solida nel panorama dei casinò online italiani, grazie alla sua offerta di giochi, la sicurezza e un servizio clienti di qualità. I feedback dei giocatori evidenziano sia i punti di forza che le aree di miglioramento, ma nel complesso, Rollero sembra soddisfare le aspettative della maggior parte degli utenti.

Confrontato con altri casinò, offre vantaggi significativi, specialmente nell’esperienza utente e nelle promozioni. Tuttavia, come per ogni scelta di gioco, è consigliabile che i giocatori considerino le proprie preferenze e necessità.

In definitiva, Rollero Casino si distingue non solo per la sua offerta di giochi ma anche per l’attenzione al cliente, rendendolo un’opzione interessante per chi cerca un’esperienza di gioco online di qualità.

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest