সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় নিজের শিশু কন্যাকে পুড়িয়ে হত্যার পর মাকে পিটিয়ে হত্যা করল মানসিক ভারসাম্যহীনসাতক্ষীরায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে দিগন্ত পরিবহনের ধাক্কা: আহত ১৩সাতক্ষীরায় দৈনিক যুগান্তরের রজতজয়ন্তী উদযাপনদেবহাটায় আ’লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভসাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়ায় শুভেচ্ছা মিছিলতাঁতীদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শ্যামনগরের র‌্যালি এবং বেগম জিয়ার সুস্থ্যতা কামনায় দোয়াসাতক্ষীরায় ৩৯০ কেজি চিংড়ী আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট: ৮০ হাজার টাকা জরিমানাআনোয়ার হোসেনকে দেশের প্রথম ভাষা সৈনিকের স্বীকৃতি ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবিতে মানববন্ধনসাতক্ষীরা সদর উপজেলা তাঁতীদলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদনসাতক্ষীরায় জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ

সাতক্ষীরায় নিজের শিশু কন্যাকে পুড়িয়ে হত্যার পর মাকে পিটিয়ে হত্যা করল মানসিক ভারসাম্যহীন

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় নিজের শিশু কন্যাকে পুড়িয়ে হত্যার পর মাকে পিটিয়ে হত্যা করার দায়ে পুলিশ শান্তা (৩০) নামের এক নারীকে আটক করেছে। আটক শান্তা সদরের নুনগুলা গ্রামের মৃত খোদাবাক্স মেম্বরের মেয়ে। নিহতরা হলেন শান্তার মেয়ে আশরাফী (৩ মাস) এবং মাতা হোসনেয়ারা বেগম (৬৫)।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে শান্তা তার মেয়েকে চুলার আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। এসময় শান্তার মা বিষয়টি দেখে ফেলার কারণে শান্তা তার মাকেও মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই শিললুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে শান্তাকে হেফাজতে নেন এবং মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছেন বলে জানান।

স্থানীয়রা আরও জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী এলাকার জনৈক আজহারুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়। বুধবার স্বামীর সাথে মেয়ে আশরাফী নিয়ে নুনগোলা গ্রামের পিতার বাড়িতে বেড়াতে ছিলেন শান্তা। বৃহস্পতিবার সকালে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে চলে যান আজহারুল ইসলাম। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে ওই ঘটনা ঘটে। তবে কী কারণে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক জানান, দুপুর ২টার দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন শান্তা তার ঘুমন্ত শিশু কন্যা কে জ্বলন্ত চুলার মধ্যে ফেলে দেয়। এসময় তার মা বাধা দিলে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে শান্তা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক শান্তাকে আটক করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে দিগন্ত পরিবহনের ধাক্কা: আহত ১৩

অনলাইন ডেস্ক : নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় দিগন্ত পরিবহনের ১২জন যাত্রী ও এক হেলপার আহত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার ভোর চারটায় সাতক্ষীরা শহরের সার্কিট হাউজ মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মাজাট গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন, একই উপজেলার জয়নগর গ্রামের বাহার আলী তরফদারের ছেলে আব্দুর রউফ, দেবহাটা উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের তারক চন্দ্র ঘোষের ছেলে তপন ঘোষ, কালিগঞ্জ উপজেলার বাজারগ্রাম রহিমপুর গ্রামের বাহার আলীর ছেলে রুহুল আমিন, একই উপজেলার নীলকণ্ঠপুর গ্রামের আশরাফ আলী গাজীর ছেলে শাহীনুর রহমান। এছাড়া চায়না ও আব্দুল্লাহ নামে দুইজনের ঠিকানা জানা যায়নি।

প্রথমাক্ত পাঁচজনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও শেষের দুইজনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া ছয়জনকে বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তপন কুমার ঘোষ জানান, তিনি বুধবার সকালে ভারতীয় মেডিকেল ভিসার জন্য জন্য ঢাকার যমুনা পার্কে যান। সেখান থেকে কাজ মিটিয়ে রাতে ঢাকা থেকে নাভারণগামি একটি পরিবহনে যশোরের চাঁচড়ায় নামেন। সেখান থেকে সাতক্ষীরাগামি দিগন্ত পরিবহনে ওঠেন। ঘুম লাগার কারণে নাভারণ ছাড়ার পর চালক বার বার ব্রেক কষছিলেন।

পরিবহনটি বৃহষ্পতিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে সাতক্ষীরা শহরের সার্কিট হাউজ মোড়ে পৌঁছালে ঘুমের কারণে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরিবহনটিকে আশা সমিতির পাশে একটি সৃষ্টিফুল গাছের সাথে সজোরে ধাক্কা মারেন। এতে ওই গাছটি পরিবহনের সামনে ঢুকে যায়। পরিবহনটি দুমড়ে মুচড়ে গেলে তিনি ও হেলপারসহ কমপক্ষে ১৩ যাত্রী আহত হন। পরিবহনে ৪০ থেকে ৪৫ জন যাত্রী ছিলো বলে জানান তিনি।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ আশরাফুল হক জানান, আশঙ্কাজনক হওয়ায় চায়না ও আলমগীরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে গাছ কেটে যাত্রীদের কের করার সময় সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনের কনস্টেবল নায়েব আলী আহত হন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে দুর্ঘটনায় কোন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় দৈনিক যুগান্তরের রজতজয়ন্তী উদযাপন

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় আলোচনা ও কেক কেটে উদযাপিত হলো দৈনিক যুগান্তরের রজতজয়ন্তী।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের ম্যানগ্রোভ সভাঘরে যুগান্তর স্বজন সমাবেশ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক ও প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপি, বাংলাদেশ বেতার ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আবুল কাশেম ও কালের কণ্ঠের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মোশাররফ হোসেন।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুগান্তরের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মোজাহিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে অংশ নেন সিনিয়র সাংবাদিক ফরিদ আহমেদ ময়না, বিজনেস বাংলাদেশের ফারুক রহমান, বাংলাদেশের খবর ও বাংলাদেশ নিউজের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আব্দুস সামাদ, ডিবিসি নিউজের এম. বেলাল হোসাইন, বাংলা ট্রিবিউন ও ঢাকা ট্রিবিউনের আসাদুজ্জামান সরদার, মানবজমিনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি এসএম বিপ্লব হোসেন, স্বদেশ প্রতিদিনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান সোহাগ, ঢাকা পোস্টের প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল, পত্রদূতের হাবিবুল হাসান, দ্য এডিটরস-এর মেহেদী হাসান শিমুল, হৃদয় বার্তার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আলী মুক্তাদা হৃদয়, প্রথম আলো বন্ধুসভা সাতক্ষীরার সভাপতি কর্ণ বিশ্বাস কেডি, ভলেন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) সাতক্ষীরার সাধারণ সম্পাদক অর্পণ বসু, প্রজেক্ট অফিসার হৃদয় মণ্ডল, সাজেদুল ইসলাম, ইসরাত জাহান ফারিয়া, আনিশা আক্তার মিম, শাহরিয়ার আনজুম, বিএম নাফিস আহনাফ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, যাত্রা শুরুর পর থেকে যুগান্তর মানুষের কথা বলেই পাঠকের আস্থা অর্জন করেছে।

বক্তারা ভবিষ্যতে আরও দায়িত্বশীল ও সাহসী সাংবাদিকতার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় আ’লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ

কে এম রেজাউল করিম, দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবীতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সাতক্ষীরায় গত কয়েকদিন আগে যুবলীগের মশাল মিছিলের প্রতিবাদে এবং আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবীতে দেবহাটার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।

সকাল ১১টায় বিক্ষোভ মিছিলটি সরকারী কেবিএ কলেজ থেকে শুরু হয়ে সখিপুর মোড়ে এসে শেষ হয়।

এখানে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলার সহ-সমন্বয়ক রায়হান কবির, উপজেলার সমন্বয়ক মুজাহিদ বিন ফিরোজ, উপজেলার সমন্বয়ক ইমরান হোসেন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, যে ফ্যাসিস্টদের হাতে এখনো ছাত্র জনতার রক্ত লেগে আছে আর এখনো দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে ষড়যন্ত্র করছে তাদেরকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়ায় শুভেচ্ছা মিছিল

নিজস্ব প্রতিনিধি : জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আংশিক আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়ায় বিএনপি’র চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে শুভেচ্ছা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকাল ৪ টায় শহরের সংগীতা মোড় হতে স্বাগত মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চায়না বাংলা শফিংমহলের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলে নেতৃত্ব দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নবগঠিত আহবায়ক কমিটির আহবায়ক এড. কামরুজ্জামান ভুট্টো ও সদস্য সচিব শরিফুজ্জামান সজীব। এসময় স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা, উপজেলা, পৌর কমিটির সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সংগীতা মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এড. কামরুজ্জামান ভুট্টো
ও সদস্য সচিব শরিফুজ্জামান সজীব এর উপরে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে যে কমিটি দিয়েছে। সেই কমিটি সকল উপজেলাকে সুসংগঠিত করে আগামী নির্বাচনে সাতক্ষীরার ৪ টি আসনকে ধােনর শীষকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো। সকল ভেদাভেদ ভূলে আসুন বিএনপি তথা তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তাঁতীদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শ্যামনগরের র‌্যালি এবং বেগম জিয়ার সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া

জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শ্যামনগরের র‌্যালি এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকালে শ্যামনগরের বংশীপুর মোড়ে শ্যামনগর উপজেলা জাসাসের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিনুর খোকন ও বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলামের এর নেতৃত্বে র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলার স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ জনগণ। দোয়া অনুষ্ঠানে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর ও আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত পরিপূর্ণ সুস্থতা কামনা করা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পরিবারের সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করা হয়েছে। এদিকে, কলারোয়া উপজেলা ও পৌর তাঁতীদলের আয়োজনে র‌্যালি ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত উপজেলার আহবায়ক আব্দুল জলিল এবং সদস্য সচিব জিয়াউর রহমান, পৌর শাখার আহবায়ক মো: রফিক ও সদস্য সচিব আলমগীরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ৩৯০ কেজি চিংড়ী আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট: ৮০ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতিকালে ক্ষতিকর জেলি ও সাবু মিশ্রিত ৩৯০ কেজি চিংড়ী আটক করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকা থেকে এসব চিংড়ী আটক করা হয়।

অভিযানে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোয়াইব আহমাদের নেতৃত্বে উপজেলা সিনিয়র মৎস্যকর্মকর্তা শফিকুল ইসলামসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সিনিয়র মৎস্যকর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, আটকের পর জেলি ও সাবু মিশ্রিত চিংড়ী আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। একই সাথে তিন ব্যবসায়ীকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত। ব্যবসায়ীরা হলেন,কালিগঞ্জের উজিরপুর গ্রামের মিজানুর রহমান, আশাশুনি হাড়িভাঙ্গা গ্রামের আনন্দ কুমার এবং মহেশ^রকাটি গ্রামের বাদসা। তাদের মধ্যে মিজানুর রহমানকে ২০ হাজার টাকা, আনন্দ কুমারকে ৫০ হাজার এবং বাদশা কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আনোয়ার হোসেনকে দেশের প্রথম ভাষা সৈনিকের স্বীকৃতি ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবিতে মানববন্ধন

আশাশুনি প্রতিনিধি : শহীদ ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেনকে দেশের প্রথম ভাষা শহীদের স্বীকৃতি ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবিতে মানববন্ধন এবং প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা আনোয়ার হোসেন স্মৃতিস্তম্ভ সংলগ্ন আশাশুনি-সাতক্ষীরা সড়কে মানববন্ধনের আয়োজন করেন আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটি।

কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও আশাশুনি প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক এস কে হাসান সভাপতিত্বে ও কমিটির সদস্য ও বুধহাটা আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান ইকবাল মামুনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জি, ডিবিসি সাতক্ষীরা প্রতিনিধি বেলাল হোসেন, স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির সদস্য মাহমুদ হাসান, সাবেক ভাই চেয়ারম্যান ও জজ কোর্টের এপিপি অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম, জামাত নেতা মাওলানা মশাররফ হোসেন, আশাশুনি প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জিএম মুজিবুর রহমান, বিএনপি নেতা কবির আহমেদ ঢালী, বিএনপি নেতা রফিকুজ্জামান বকুল, বুধহাটা দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি আনারুল ইসলাম, মোঃ আহসান হাবিব, বাজার ব্যবস্থাপনার কমিটির সদস্য শহিদুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী টুটুল হোসেন, শফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা শওকত হোসেন, জয়নাল হোসেন, বুধহাটা আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, সাংবাদিক বাবুল হোসেন, আবু হাসান চঞ্চল, ফারুক হোসেন,ডাঃ মোশাররফ হোসেন প্রমূখ।

বক্তারা বলেন- শহীদ ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৩০ সালে নানার বাড়ি বুধহাটা গ্রামে আনোয়ার হোসেন জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ছিল কনুই গাজী ও মায়ের নাম পরীজান বিবি। তিন ভাইয়ের মধ্যে আনোয়া,র হোসেন ছিল সবার বড়। মেধাবী আনোয়ার হোসেন বাড়ি সংলগ্ন বুধহাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। এর পর বুধহাটা বি.বি.এম কলেজিয়েট বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার একপর্যায়ে তিনি খুলনা জেলা স্কুলে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৪৬ সালে এসএসসি পাস করেন।

পরে খুলনার বিএল কলেজে পড়াশুনাকালীন ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন। তরুণ আনোয়ার হোসেন ভাষা আন্দোলনের একপর্যায়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ খুলনার তৎকালিন গান্ধী পার্কে (বর্তমানে হাদিস পার্ক) ভাষা আন্দোলনের পক্ষে ইস্তেহার পাঠ করার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কয়েকদিন পর তিনি মুক্তি পান। পরে ভাষা আন্দোলনের মিছিল থেকে ১৯৪৯ সালে পুলিশ তাকে আবারও গ্রেপ্তার করে প্রথমে তাকে কোতয়ালী থানায় রাখা হয়। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজশাহী কারাগারে।

সেখানে পাকিস্তান সরকারের নির্যাতন ও নিপীড়ণের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখেন তিনি। একপর্যায়ে ১৯৫০ সালে ২৪ এপ্রিল রাজশাহী জেলে খাপড়া ওয়ার্ডে গুলি চালানো হয়। তাতে সাতজন কারাবন্দি নিহত হন। তার মধ্যে ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসেন ছিলেন অন্যতম। তাই আমরা বিশ্বাস করি মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলনে ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেন দেশের প্রথম শহীদ। অথচ রাষ্ট্রীয়ভাবে তার কোন স্বীকৃতি নেই। তাই আমাদের দাবি শহীদ আনোয়ার হোসেনকে দেশের প্রথম ভাষা সৈনিক হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান।

আশাশুনি সরকারি কলেজের নাম ‘শহীদ ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেনের’ নামে নামকরণ করা, সাতক্ষীরা, আশাশুনি, বুধহাটাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তার স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা, সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়ক তার নামে নামকরণ করা, সরকারিভাবে ট্রাস্ট গঠন করতে হবে। মানববন্ধন শেষে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়ের মাধ্যমে মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest