সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্য আব্দুল মোমিন সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার আশু সুস্থতা কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল কাশেম, সহ-সভাপতি আবুল কালাম, সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান,
যুগ্ম সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন গোলদার, অর্থ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক আকরামুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মাসুদুর রহমান সুমন, সদস্য যথাক্রমে
এড. খায়রুল বদিউজ্জামান, আবু তালেব, কাজী জামালউদ্দিন মামুন, আব্দুস সামাদ, আসাদুজ্জামান সরদার। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ মাদক জব্দ করেছে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা।
১২ ডিসেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তারা। অভিযানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১ টি দেশীয় পিস্তল, ১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২ টি হাতবোমা এবং ১৬ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে: কমান্ডার বিএন মোঃ মুনতাসির ইবনে মহসীন জানান, এ সময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে দুষ্কৃতিকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। জব্দকৃত আলামত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।##
নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় ওয়াইফাই লাইনের তার কাটার সময় একজনকে আটকে রাখলে তাকে ছাড়িয়ে নিতে দুর্বৃত্তের ছোড়া বিস্ফোরক দ্রব্যে দু’জন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল ও বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করেছে ।
শুক্রবার ভোর ৪ টার দিকে সাতক্ষীরা সদরের শাকরা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সাহেব আলীর বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাড়দ্দাহ গ্রামের নাসির উদ্দিন (৩৮) ও দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের শাহিনুর রহমান (৩০)।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শাকরা গ্রামের সাবেক একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান,,হাড়দ্দহা গ্রামের নাসির দীর্ঘদিন এলাকায় ডিশ ও ওয়াইফাই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল্ । এব্যবসা পরিচালনায় নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় সাইফুল ইসলাম। নাসিরের লাইনের তার এর আগে অনেকবার চুরি করেছে একটি চক্র। শুক্রবার ভোররাতে মোটরসাইকেলে কয়েকজন ওয়াইফাই লাইনের কেবল চুরি করতে গেলে পদ্মশাখরা গ্রামস্থ সাবেক ইউপি সদস্য সাহেব আলীর বাড়ির সামনে মোটরসাইকেলসহ একজনকে ধরে রাখে শাহিনুর রহমানসহ অন্যরা। এসময় বিস্ফোরক দ্রব্য নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এসময় বিস্ফোরক দ্রব্য নিক্ষেপে নাসির ও শাহিন গুরুতর আহত হয়। পরে তাদেরকে সামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মুঃ মাসুদুর রহমান জানান, ওয়াইফাই ব্যবসার দ্বন্দ্বের জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল ও বেশ কিছু বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় যাত্রীবাহী বাস ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে মোঃ শাওন ইসলাম (৩৩) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত সাতজন যাত্রী।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টা দিকে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাওন খুলনা সদরের সোনাডাঙ্গা এলাকার বাবুল হোসেনের ছেলে। মারা যাওয়া যুবক শাওন বাসটির সুপারভাইজার বলে প্রাথমিকভাবে জানাগেছে।
খবর পেয়ে সাতক্ষীরা থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
আহতরা হলেন, দেবহাটা উপজেলার হাদিপুর এলাকার মৃত কামালউদ্দিনের ছেলে শেখ নজরুল ইসলাম (৭০), একই এলাকার ফাইম হোসেন(২০) , সাতক্ষীরা সদরের বকচরা এলাকার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী ফারজানা আক্তার মিম (২১) ,বরিশাল জেলার সদরের কাউনিয়া এলাকার মাহাবুর রহমানের ছেলে নাইম(৩০)। বাকিদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ফাইম হোসেন জানান, শুক্রবার দুপুরে খুলনা থেকে সাতক্ষীরাগামী যাত্রীবাহী বাসটি বিনেরপোতা ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা একটি ইজিবাইককে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি উল্টে যায় এবং ঘটনাস্থলেই বাস সুপারভাইজার শাওন ইসলাম মারা যান। একই সঙ্গে বাস ও ইজিবাইকে থাকা অন্তত সাতজন যাত্রী আহত হন।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ত্রিদেব দেবনাথ জানান, বর্তমানে চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাসুদুর রহমান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একজনের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তবে কতজন আহত হয়েছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি।
তালা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা তালায় খাবারের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাটি বুধবার রাতে উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার খলিষখালি ইউনিয়নের মোকসুদপুর গ্রামের সাধান দাশের বাড়িতে ঘটে।
এ ঘটনায় নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার সহ মোট ১৪ লাখ টাকা মালামাল চুরি করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধন দাশ ।
সাধন দাশের লিখিত অভিযোগ থেকে জানাযায়, বুধবার রাতে খাবার খেতে বসলে মেয়ের জ্বালাতনে তারা কেউ ঠিকমত খেতে পারেন নি।তবে খাবার খাওয়ার সাথে সাথে তাদের ঘুম চলে আসলে যার রুমে চলে যান তারা।তাদের ঘুমের ভিতরে চোরেরা কখন গেটের তালা কেটে ঘরে ঢোকে তা তারা টেরপান নি।চোরেরা ঘরে ঘুমান্ত স্ত্রী কন্যার গায়ে থাকা সোনার গহনা ও আলমারিতে রাখা গহনা ও নগদ টাকা আর বারান্দায় রাখা মোটর সাইকেলটি নিয়ে যায়।
রাত ২ টার দিকে যখন তার ঘুম ভাঙ্গে তখনও তিনি অসড় অবস্থায় চোখ মেলে দেখেন বারান্দায় মোটরসাইকেল টি নেই গেটের তালাটি নিচে পড়ে আছে।
এসময় তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিযে আসেন।তখনো তার স্ত্রী কন্যা ও শশুর অচেতন অবস্থায দেখতে পায় প্রতিবেশীরা। ঘরের ভিতরের স্ত্রী, কন্যার গলার চেন হাতের বালা আংটি,কানের দুল নেই বরে জানালে তার ঘরের আলমিরা খুলে দেখেন তার ভিতরে রাখা গহনা ও নগদ টাকা নেই।
পরে এলাকাবাসি এসে খবর দেয় যে মোটরসাইকেল টি রাস্তার ধারে পাওয়া গেছে।সাদান দাশ বলেন ৭ ভরি সোনার গহনা সহ নগদ প্রায় ১৪ লখ টাকা ক্ষতি করেছে চোরেরা।এই দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় নিঃস্ব হয়ে গেছেন বলে জানান সাধান দাশ।
পাটকেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ লুৎফুল কবির বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান। ###
নিজস্ব প্রতিনিধি : কোটি টাকা চাঁদার দাবিতে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সাবেক পিপিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে বুধবার মামলা হয়েছে।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিলাস মন্ডলের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন দেবহাটা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: আল ফেরদাউস আলফা।
মামলা নং-সিআর ১৭৪২/২৫। ধারা-৪৪৮/৩৬৪/৩২৩/৩০৭সহ অন্যান্য। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দীন,সদর থানার সাবেক ওসি মোস্তাফিজুর রহমান,গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক ওসি মহিদুল ইসলাম,সাবেক পিপি আব্দুল লতিফ ও তার ছেলে মো: রাসেল।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়,২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁকাল চেকপোস্টে বাদীর দেড় কোটি টাকার ভারতীয় সামদ্রিক মাছ জব্দ করে বিজিবি। পরে বাদীর বৈধ কাগজপত্র বিজিবি’র কাছে পাঠানো হয়।
কিন্তু বিজিবি কাগজপত্র যথাযথ বুঝতে না পেরে সেই মাছ সাতক্ষীরা সদর থানায় প্রেরণ করে। বৈধ কাগজ পাঠালেও মাছ ছাড়া হবেনা,এমন হুমকি দিয়ে সদর থানার তৎকালীন ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ফোনে বাদীর কাছে দেড় কোটি টাকা দাবি করেন । একপর্যায়ে বাদী ফোনের সুইস অফ করতে বাধ্য হন। সেদিন মধ্যরাতে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দীন ও ডিবির ওসি মহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০/১২ জন সাদা পোশাকধারী পুলিশ বাদীর পলাশপোলস্থ বাড়িতে যেয়ে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন।
সেসময় বাড়িতে থাকা ১৫ লাখ টাকা দিয়েও রক্ষা পাননি তিনি। বাদীর ভাই আব্দুল আলিম ও বাদীকে ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে তুলে নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন চালায় পুলিশ। চাঁদা না দেওয়ায় সাতক্ষীরা সদর থানায় মাছ আটকের ঘটনায় করা মামলায় তাদেরকে অজ্ঞাতনামা আসামী হিসেবে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। এদিকে পরস্পর যোগসাজসে জব্দকৃত দেড় কোটি টাকার মাছ মাত্র ১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা বিক্রি দেখিয়ে বাকী টাকা আত্মসাৎ করে আসামীরা।
মামলার বিবরণীতে আরও বলা হয় মামলার জামিন করিয়ে দেওয়ার আশ^াস দিয়ে বাদীর কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে বাধ্য করেন সাতক্ষীরা জজ আদালতের তৎকালীন পিপি আব্দুল লতিফ ও তার ছেলে মো: রাসেল।
আসামীদের শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারে বাদী তাঁর দৃষ্টিশক্তি প্রায় হারিয়ে ফেলেছেন ও আর্থিক এবং সামাজিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন,তাই আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করা হয়েছে আরজীতে। তৎকালীন সময়ে মামলার অনুকুল পরিবেশ না থাকায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে আরজীতে উল্লেখ করা হয়।
এবিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী এড. খায়রুল বদিউজ্জামান বলেন, এ মামলার পরবর্তী ধার্য দিন নির্ধারিত হয়েছে ২০২৬ সালের ২০ এপ্রিল তারিখে। এছাড়া বিচারিক হাকিম মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মিজ আফরোজা আখতার বলেছেন- সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে সমাজের নারী সমাজকেও সমানভাবে এগিয়ে নিতে হবে।
নারীকে বাদ রেখে কোনো কাজেই পরিপূর্ণ সফলতা আসে না, কারণ পরিবার, সমাজ ও কর্মক্ষেত্রের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমাদের সমাজে এখনো বহু পরিবার আছে যেখানে মেয়েরা অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার হয়। ছেলে সন্তানের মতো মেয়েরাও সমান সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকার রাখে। পারিবারিক বৈষম্য দূর করে কন্যা সন্তানকে এগিয়ে নিতে পারলেই নারীরা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অংশীদার হবে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন- নারীমুক্তির জন্য সামাজিক বাধা বিপত্তি সর্বোপরি বহু আন্দোলন- সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে নারী সমাজকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছিলেন বেগম রোকেয়া। নারীজাতিকে যথাযোগ্য মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করার প্রয়াসে বেগম রোকেয়ার অসামান্য অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা মহিলা অধিদপ্তর ও জাতীয় মহিলা পরিষদ সাতক্ষীরার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মিজ আফরোজা আখতার বলেন, শিশুকাল থেকেই ছেলে-মেয়ের মাঝে সমতা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষায়, পুষ্টিতে, সামাজিক অংশগ্রহণে এবং প্রযুক্তি জ্ঞানে মেয়েদের এগিয়ে নিতে হবে। পরিবার ও সমাজ যদি মেয়েদের পাশে দাঁড়ায়, তবে তাদের এগিয়ে যাওয়া কেউ থামাতে পারবে না। এসময় ‘আমিই বেগম রোকেয়া’ প্রতিপাদ্যের উপর ভিত্তি করে বাল্য বিবাহ এবং বেগম রোকেয়ার ভূমিকা শীর্ষক একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
এর আগে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রা শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমির উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, জেন্ডার ডেভেলপমেন্টের সভানেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি, গর্বিত জয়িতা জননী, রত্নগর্ভা মা লুৎফুন্নেছা বেগম, সংগ্রামী নারী মেরিনা খাতুন প্রমুখ।
জেলা মহিলা অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাজমুন নাহারের সঞ্চালনায় এ সময় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা, ওসিসি প্রোগ্রাম অফিসার আব্দুল হাই সিদ্দিক, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমনা আইরিন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, জাতীয় মহিলার সংস্থার জেলা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, স্বদেশ’র নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, জেলা শিক্ষা অফিসের সুপারভাইজার আ ন ম নাজমুল উলা, সিডো এর নির্বাহী পরিচালক শ্যামল কুমারসহ জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও, উন্নয়ন সংস্থা ও নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের বকচর গ্রামে সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় শিশুদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে…
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-২ আসনে এবি পার্টির দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন জি এম সালাউদ্দিন শাকিল (এমএ,…
অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার প্রধান কিছু অংশে সম্মতি জানানোর পর…