সর্বশেষ সংবাদ-
সাংবাদিক তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনসাতক্ষীরা জজ কোর্টের এজিপি ফিরোজ আহমেেদের মায়ের সুস্থতা কামনাসাতক্ষীরা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীর মৃত্যুখ্রিস্টান এসোসিয়েশন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কমিটি গঠনসাংবাদিক আবু সাঈদ বিশ্বাসের  মায়ের  মৃত্যুতে শহর জামায়াতের শোকসাতক্ষীরায় ‘স্পিক আপ’ প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালাশ্যামনগরে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ তিন ব্যক্তি আটকঅনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ ও সোনা-রুপা চোরাচালানে বাধা দেওয়ায় পৌর ছাত্রদলের আহবায়কের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগসাতক্ষীরায় শিক্ষকের ধাপ্পড়ে কানের পর্দা ফাটল শিক্ষার্থীর!পাইকগাছার পল্লীতে বাসস চেয়ারম্যানের উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা

গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আশাশুনিতে জামায়াতের গণমিছিল

আশাশুনি প্রতিনিধি:
ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আশাশুনিতে জামায়াতে ইসলামী গণমিছিল ও সমাবেশ করেছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ১০ টায় উপজেলা জামায়াত কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি গণ মিছিল বের করে। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জনতা ব্যাংক মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আমির আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য, বিশিষ্ট আইনজীবী এ্যাডভোকেট আব্দুস সোবহান মুকুল, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সবুর, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি চেয়ারম্যান মাওঃ আবু বকর সিদ্দীক। উপজেলা সেক্রেটারি মাওঃ আনওয়ারুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নায়েবে আমীর মাওঃ নুরুল আবছার মুর্তাজা, সাবেক উপজেলা আমির ডাক্তার নুরুল আমিন, আদর্শ শিক্ষক পরিষদ নেতা প্রভাষক দীপ্র কুমার মন্ডল প্রমুখ।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ সেক্রেটারী ডাক্তার রোকনুজ্জামান, মাওঃ আঃ বারী, অফিস সেক্রেটারি মাওঃ রুহুল কুদ্দুস, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি মাওঃ শাহজাহান আলী, বাইতুলমাল সেক্রেটারী মাওঃ শহিদুল ইসলাম, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওঃ রিয়াছাত আলী, আই বি ডব্লিউ এফ সভাপতি এবিএম আলমগীর পিন্টু, সদর ইউনিয়ন আমির হাফেজ আব্দুল্লাহ প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন-আজ জাতীয় মুক্তি দিবস, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দুই হাজার শহীদের রক্ত স্নাতো বাংলাদেশেকে একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, চাঁদাবাজ মুক্ত, দখল মুক্ত দেশ হিসাবে গড়তে চাই।

৩০ হাজার আহত ছাত্র জনতার চিকিৎসা ও পুনর্বাসন চাই। বক্তারা অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা ও সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। বক্তারা আরো বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার ১৬টি বছর মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো হরণ করেছিল। সাধারণ জনগণের সকল অধিকারগুলো কেড়ে নিয়ে এ দেশটাকে একটি কবরে পরিণত করেছিল। এদেশে আয়না ঘর তৈরি করে আইয়ামে জাহিলাতের মত নির্বিচারে প্রতিবাদী ছাত্র জনতার উপরে গুলি করে হত্যা করেছিল। প্রায় দুই হাজারের মত শহীদ এবং অনেকের আহত করে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছিল। অনেক জীবনের বিনিময়ে অর্জিত এই নতুন স্বাধীন দেশে আর কোন চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ শাসক তৈরি না হয় তার জন্য আজকে আমাদের শপথ নিতে হবে। কেউ যেন বেইমানি না করে এ ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। আসুন আমরা এমন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করি যেখানে থাকবে না কোন অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি, ফ্যাসিবাদী চরিত্র।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি কলেজ সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সমাবেশ থেকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংস্কার না করা হলে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়

মঙ্গলবার ৫ আগষ্ট স্থানীয়রা শহরের মেসলেমা একাডেমি সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন— ২নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মাষ্টার শফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারী হাফেজ বেলাল হুসাইন, মাওলানা ইয়াহইয়া, ৩নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন, স্থানীয় বাসিন্ধা তালিম হোসেন, জয়নুল আবেদিন শামিন,মঞ্জুরুল ইসলাম,জহুরুল হক, নুরুল ইসলাম,আব্দুর রহিম, শিশু আরিফ বিল্লাহ ও আমীর হামজা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে সাধারণ মানুষের যাতায়াত চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টির সময় জলাবদ্ধতা আর শুকনো মৌসুমে ধুলার কারণে স্কুল—কলেজগামী শিক্ষার্থী, রোগী পরিবহন ও সাধারণ যাত্রীদের জন্য সড়কটি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।

১৫ এপ্রিল সাতক্ষীরা পৌরশহরে সরকারি কলেজ রোডসহ ১০টি সড়ক সিআরএম প্রকল্পের আওতায় ও জার্মান ভিত্তিক কেএফডব্লিউ এর অর্থায়নে ১৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ে পৌরসভার প্রায় ৯ কিলোমিটার এই সড়ক সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সাতক্ষীরার উপ—পরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস। এর পরে পুরাতন সাতক্ষীরা থেকে সরকারি কলেজ পর্যন্ত অর্ধ কিলোমিটার সড়কের সংস্কারের অংশ হিসেবে সড়ক থেকে পিস তুলে ফেলা হয়। এবং সড়কের দু ধারে ইটবসানোর জন্য গর্তকরা হয়। এর পর থেকে সড়কটিতে আর কাজ হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জুলাই শহীদ পরিবার ও যোদ্ধাদের নিয়ে আলোচনা সভা-সম্মাাননা

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও গৌরবের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হলো ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও যোদ্ধাদের’ নিয়ে আলোচনা সভা, সম্মাননা প্রদান এবং এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

মঙ্গলবার ( ৫ আগস্ট) সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, জামায়াতে ইসলামীর সাতক্ষীরা জেলা আমির শহিদুল ইসলাম মুকুল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিষ্ণু পদ পাল, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল হাশেম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক আরাফাত হোসাইন এবং সংগঠনটির মুখপাত্র মোহিনী তাবাচ্ছুম।

বক্তারা বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছিল এক ঐতিহাসিক প্রতিবাদের প্রতীক। দেশের গণতান্ত্রিক চেতনা পুনরুদ্ধারে এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছিলেন, তারা জাতির বীর সন্তান। তাদের আত্মত্যাগ ও সাহসিকতা স্মরণীয় করে রাখতে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ইতিহাস জানতে ও ধারণ করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরার ৪ শহীদ পরিবারসহ মোট ১০১ জন কে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সম্মাননা গ্রহণকারী পরিবারগুলোর চোখে ছিল শ্রদ্ধা, গর্ব ও আবেগের অশ্রু।

আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। তাতে ‘জুলাই আন্দোলন’ কেন্দ্রিক গান, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।

পুরো অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সঞ্চালনা করেন সাতক্ষীরা জেলা কালচারাল অফিসার ফাইজা হোসেন অন্বেষা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় সাংবাদিক পেটালেন সাবেক এমপির ভাগ্নে ও সাবেক ছাত্রদল সভাপতি

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের ভেতরে ঢুকে একজন সাংবাদিককে বেধড়ক মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবের ভাগ্নে সাবেক সভাপতি খালেদ মঞ্জুর রোমেলের বিরুদ্ধে।

সোমবার (৪ আগস্ট) রাতে কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাবে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক মো. জাহিদুল ইসলাম (৪৫)দৈনিক রূপান্তর পত্রিকার কলারোয়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। এ ঘটনায় তিনি কলারোয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

ডায়েরি সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে জাহিদুল ইসলাম কলারোয়া পৌরসভার প্রাণীসম্পদ অফিস মোড়ের রিপোর্টার্স ক্লাবে বসে সংবাদ প্রস্তুত করছিলেন। এ সময় উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি খালেদ মঞ্জুর রোমেল সেখানে ঢুকে কোনো কারণ ছাড়াই তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারেন। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।

জাহিদুল ইসলাম আরও অভিযোগ করেন, তিনি প্রতিবাদ করলে রোমেল তাকে হত্যার হুমকি দেন এবং বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে রিপোর্টার্স ক্লাব আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় জাহিদুল ইসলাম কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

ঘটনার পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে রিপোর্টার্স ক্লাবে জরুরি বৈঠক হয়। ক্লাবের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘এ ঘটনা ন্যক্কারজনক। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। আমরা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং রোমেলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা চাই।’

কলারোয়া থানার ওসি শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার কথা শুনেছি, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। লিখিত অভিযোগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত খালেদ মঞ্জুর রোমেলের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আকবর আলী অতিঃ পিপি নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বিবৃতি

সাতক্ষীরা জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহবায়ক এড. মোঃ আকবর আলী অতিঃ পিপি নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় সাতক্ষীরা জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।

অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেন সংগঠনের সদস্য সচিব এড: আলহাজ্ব নুরুল আমিন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এড:আবু সাইদ রাজা,যুগ্ম আহবায়ক এড: শহিদ হাসান,সদস্য এড: এ বি এম সেলিম,

এড: শাহরিয়ার হাসিব, এড: জি এম ফিরোজ আহমেদ, এড: এ বি এম ইমরান হোসেন শাওন, এড: সিরাজুল ইসলাম ৫, এড: মিজানুর রহমান বাপ্পি, এড: লুৎফুন্নেসা রুবি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালা মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় : ২৮ বছরেও নেই স্থায়ী ভবন

তালা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ২১০ নম্বর তালা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২৮ বছরেও এর জন্য নির্মিত হয়নি কোনো স্থায়ী ও টেকসই ভবন। আজও জরাজীর্ণ টিনের ঘরে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে।

সোমবার সরেজমিন বিদ্যালয় পরিদর্শনে দেখা যায়,শ্রেণিকক্ষের ছাউনি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে পুরনো টিন; দেয়ালে স্যাঁতসেঁতে দাগ, মেঝেতে ফাটল এবং কোথাও কোথাও জমে থাকা পানি। বর্ষাকালে ফাঁক দিয়ে পানি পড়ে পাঠদান ব্যাহত হয়, আর গ্রীষ্মে অসহনীয় গরমে দুর্ভোগে পড়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ভাঙা বেঞ্চে বসে, ভিজে বই-খাতায় পড়ালেখা যেন রীতিমতো যুদ্ধ।

বর্তমানে বিদ্যালয়ে ১৪২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে শিশু শ্রেণিতে ২৯, প্রথম শ্রেণিতে ২৮, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১৮, তৃতীয় শ্রেণিতে ২৯, চতুর্থ শ্রেণিতে ১৮ এবং পঞ্চম শ্রেণিতে ২০ জন শিক্ষার্থী পড়ছে। পাঁচজন নারী শিক্ষক অমানবিক পরিবেশেও প্রতিদিন নিয়মিত পাঠদান করছেন।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (LGED) বিদ্যালয়টির জন্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ভবন নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছিল। তবে ৫ আগস্ট সরকারের পরিবর্তনের পর সেই প্রকল্পসহ অন্যান্য বরাদ্দ স্থগিত রাখা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জোহরা পারভীন বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আজও কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এতে শিক্ষার মান যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারহান তামিহ জানায়, বৃষ্টির সময় বই ভিজে যায়, গরমে মাথা ঘুরে। ক্লাসে ঠিকভাবে বসতেও কষ্ট হয়।

অভিভাবক শরিফুল ইসলাম বলেন, ২৮ বছরেও স্কুলে একটা স্থায়ী ভবন হলো না—এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা অভিভাবকরা খুব উদ্বিগ্ন। শিশুদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার অন্যান্য স্কুলে নতুন ভবন হলেও তালা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দিকে কোনো নজর নেই। অথচ বিদ্যালয়টি উপজেলা সদর থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে এবং এটি শহরের অন্যতম প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ হাকিম বলেন, তালা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেবল একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি এই অঞ্চলের শিক্ষার মূলভিত্তি।২৮ বছরেও ভবন না থাকা চরম অবহেলার প্রতিচ্ছবি। সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই অবিলম্বে এই বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হোক।

এ বিষয়ে তালা উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী রথীন্দ্র নাথ হালদার বলেন, বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি আমাদের দপ্তর গ্রহণ করেছিল এবং বাস্তবায়নের সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছিল। কিন্তু উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ স্থগিত রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে পুনরায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করেছি। আশা করছি, খুব দ্রুত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খাল সংরক্ষণে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ভাবনা ও করণীয়’ বিষয়ক আলোচনা সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
খোশলখালী খাল সংরক্ষণে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ভাবনা ও করণীয়’ বিষয়ক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বেলা এর সহযোগিতায় সুন্দরবন ফেউন্ডেশন এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সালেহ। আলোচনা সভায় সঞ্চালনা করেন বেলা, খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলা নেটওয়ার্ক সদস্য শেখ আফজাল হোসেন এবং এলাকার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন নাসির উদ্দিন।

বক্তারা বলেন খোশাল খালি খাল আটুলিয়ার বড় কুপট, মালিবাড়ী এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ খাল । কিন্তু খালটির সাথে খোলপেটুয়া নদীর সংযোগ না থাকায় বড়কুপট, মালিবাড়ী এলাকার বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নাই।

দীর্ঘদিন থেকে এলাকার মানুষ বর্ষাকালে পানিবন্দী জীবনযাপন করছে। একদিকে খাল দখল করে বসত বাড়ি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে খালের প্রবাহ বন্ধ করা হয়েছে, অন্যদিকে খালের সঙ্গে নদীর যে সংযোগ সুইস গেটটি ছিল সেটাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে । এর ফলে পানির সরবার কোন রাস্তা নেই । এলাকার সাধারণ মানুষ জরুরি ভাবে পানি নিষ্কাশনের জন্য নদীর সাথে খালের একটি আউটলেট সুইজগেট নির্মাণের দাবি জানিয়েছে। তা না হলে এলাকার মানুষকে বসত বাড়ী ছাড়তে হবে। বক্তারা তাদের বক্তব্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জরুরী ভাবে সুইজগেট তৈরি করে এলাকার পানি নিষ্কাশনের জোর দাবি জানিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন, তানজিবুল আলম, মোহাম্মদ রুস্তম, জি এম ইয়াসিন, মোহাম্মদ মজিবর, মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, খুকুমণি, আনোয়ারা প্রমূখ

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভোমরা সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে এক বাংলাদেশী যুবক আহত

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে এক বাংলাদেশী যুবক আহত হয়েছে। সোমবার সকালে ভোমরা সীমান্তের লহ্মীদাড়ী এলাকায় এঘটনা ঘটে। আহত যুবক লহ্মীদাড়ী গ্রামের মৃত শেখ সাঈদ উদ্দীনের পুত্র আলমগীর হোসেন (৩৫)।

আহতের ভাগ্নে বেলাল হোসাইন জানান, সীমান্তে তার মামার একটি মৎস্যঘের রয়েছে। সোমবার ভোরে ঘেরে খাবার দিতে গিয়েছিল। এমন সময় ভারত থেকে কয়েকজন লোক দৌড়ে আসছিলো। বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে মামা আলমগীরের ডান পাশের ঘাড়ে, চোখে এবং মাথায় লেগে গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: এবিএম আক্তার মারুফ জানান, ছাররা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনি সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার শরীরের ডান পাশের কয়েকটি স্থানে ছাররা গুলি রয়েছে। চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি আশংকা মুক্ত রয়েছেন।

সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি’র ভোমরা ক্যাম্পের কমান্ডার জহির উদ্দীন বলেন, আলমগীর গত ৩০ জুলাই অবৈধ পথে তার আত্নীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল। আজ সোমবার পুনরায় অবৈধভাবে বাংলাদেশের আসার পথে বিএসএফ’র গুলিতে আহত হয়েছে। ###

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest