নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে সন্ত্রাসী স্টাইলে পৈত্রিক সম্পত্তির প্রাচীর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ২৩ মার্চ রবিবার সকালে কাটিয়া টাউন বাজার ঢালীপাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে।
এতে বাধা দিতে গেলে উল্টো জামায়াতের উর্দ্ধতন নেতাদের সংশ্লিষ্টতার দোহাই দিয়ে খুন জখমসহ নানা হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কাটিয়া টাউন বাজার ঢালীপাড়া এলাকার মৃত শামছুদ্দিন ঢালীর পুত্র সিরাজুল ইসলাম গংয়ের সাথে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল একই এলাকার মৃত রাজ্জাক ঢালীর পুত্র মনিরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান ও শাহিন হোসেনের সাথে। এর জের ধরে দীর্ঘদিন ধরে উল্লেখিত ব্যক্তিরা সিরাজুল গংয়ের পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে আসছিল। একপর্যায়ে রবিবার সকালে খায়রুল ইসলাম গং ১৫-২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ ভাড়াটিয়া বাহিনী অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সিরাজুল ইসলামের পৈত্রিক সম্পত্তিতে প্রবেশ করে সেখানে থাকা সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেয়।
পরে সেখানে টিন সেডের ঘর নির্মাণ এবং টিউবওয়েল স্থাপনের কাজ শুরু করে। এতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে উল্লেখিত ভাড়াটিয়া বাহিনীর সদস্যরা সিরাজুল ইসলামসহ তার পরিবারের সদস্যদের খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। এসময় উপায়ন্তর হয়ে থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের কাজ বন্ধ রাখতে বললেও তারা সে নির্দেশ অমান্য করে কাজ অব্যাহত রাখে। এছাড়া জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতার অনুমতিক্রমেই ভাংচুর করা হয়েছে বলে প্রচার দিচ্ছে খায়রুল গং।
এবিষয়ে অভিযুক্ত খায়রুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মুহাদ্দিস খালেকের কাছে আমরা অভিযোগ করেছিলাম। সেখানে সিরাজুলগং যায়নি। এরপর আমরা আমাদের জমি দখল করে নিয়েছি। সেখানে ঘর নির্মান এবং টিউবওয়েল স্থাপন করে দখল নিয়েছি। সেখানেই ইনশাল্লাহ আছি আমরা।
ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম বলেন, উক্ত সম্পত্তি নিয়ে দেং ৩৯/২০০৩ মামলা আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু জামায়াত নেতাদের ইন্ধন থাকায় আইন আদালত অমান্য করে সন্ত্রাসী স্টাইলে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দখলে নিয়েছে।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা পৌর জামায়াতের আমীর জাহিদুল ইসলাম বলেন, খায়রুল ঢালী আমাদের কাছে এসেছিল। কিন্তু পারিবারিক বিষয় বলে আমরা তাদের পারিবারিকভাবে মিটাতে বলেছি। এটাতে জামায়াতের কোন সম্পৃক্তা নেই।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক বলেন, পুলিশ গিয়ে উভয়পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার উভয় পক্ষ মিমাংসা করে নিবেন বলে জানিয়েছেন। ##