সর্বশেষ সংবাদ-
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জেএসডি সাতক্ষীরার শ্রদ্ধাসাতক্ষীরা পৌর তাঁতীদলের আয়োজনে ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনসাতক্ষীরায় নিজের শিশু কন্যাকে পুড়িয়ে হত্যার পর মাকে পিটিয়ে হত্যা করল মানসিক ভারসাম্যহীনসাতক্ষীরায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে দিগন্ত পরিবহনের ধাক্কা: আহত ১৩সাতক্ষীরায় দৈনিক যুগান্তরের রজতজয়ন্তী উদযাপনদেবহাটায় আ’লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভসাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়ায় শুভেচ্ছা মিছিলতাঁতীদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শ্যামনগরের র‌্যালি এবং বেগম জিয়ার সুস্থ্যতা কামনায় দোয়াসাতক্ষীরায় ৩৯০ কেজি চিংড়ী আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট: ৮০ হাজার টাকা জরিমানাআনোয়ার হোসেনকে দেশের প্রথম ভাষা সৈনিকের স্বীকৃতি ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবিতে মানববন্ধন

সাতক্ষীরায় ৩৯০ কেজি চিংড়ী আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট: ৮০ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতিকালে ক্ষতিকর জেলি ও সাবু মিশ্রিত ৩৯০ কেজি চিংড়ী আটক করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকা থেকে এসব চিংড়ী আটক করা হয়।

অভিযানে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোয়াইব আহমাদের নেতৃত্বে উপজেলা সিনিয়র মৎস্যকর্মকর্তা শফিকুল ইসলামসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সিনিয়র মৎস্যকর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, আটকের পর জেলি ও সাবু মিশ্রিত চিংড়ী আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। একই সাথে তিন ব্যবসায়ীকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত। ব্যবসায়ীরা হলেন,কালিগঞ্জের উজিরপুর গ্রামের মিজানুর রহমান, আশাশুনি হাড়িভাঙ্গা গ্রামের আনন্দ কুমার এবং মহেশ^রকাটি গ্রামের বাদসা। তাদের মধ্যে মিজানুর রহমানকে ২০ হাজার টাকা, আনন্দ কুমারকে ৫০ হাজার এবং বাদশা কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আনোয়ার হোসেনকে দেশের প্রথম ভাষা সৈনিকের স্বীকৃতি ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবিতে মানববন্ধন

আশাশুনি প্রতিনিধি : শহীদ ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেনকে দেশের প্রথম ভাষা শহীদের স্বীকৃতি ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবিতে মানববন্ধন এবং প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা আনোয়ার হোসেন স্মৃতিস্তম্ভ সংলগ্ন আশাশুনি-সাতক্ষীরা সড়কে মানববন্ধনের আয়োজন করেন আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটি।

কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও আশাশুনি প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক এস কে হাসান সভাপতিত্বে ও কমিটির সদস্য ও বুধহাটা আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান ইকবাল মামুনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জি, ডিবিসি সাতক্ষীরা প্রতিনিধি বেলাল হোসেন, স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির সদস্য মাহমুদ হাসান, সাবেক ভাই চেয়ারম্যান ও জজ কোর্টের এপিপি অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম, জামাত নেতা মাওলানা মশাররফ হোসেন, আশাশুনি প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জিএম মুজিবুর রহমান, বিএনপি নেতা কবির আহমেদ ঢালী, বিএনপি নেতা রফিকুজ্জামান বকুল, বুধহাটা দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি আনারুল ইসলাম, মোঃ আহসান হাবিব, বাজার ব্যবস্থাপনার কমিটির সদস্য শহিদুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী টুটুল হোসেন, শফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা শওকত হোসেন, জয়নাল হোসেন, বুধহাটা আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, সাংবাদিক বাবুল হোসেন, আবু হাসান চঞ্চল, ফারুক হোসেন,ডাঃ মোশাররফ হোসেন প্রমূখ।

বক্তারা বলেন- শহীদ ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৩০ সালে নানার বাড়ি বুধহাটা গ্রামে আনোয়ার হোসেন জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ছিল কনুই গাজী ও মায়ের নাম পরীজান বিবি। তিন ভাইয়ের মধ্যে আনোয়া,র হোসেন ছিল সবার বড়। মেধাবী আনোয়ার হোসেন বাড়ি সংলগ্ন বুধহাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। এর পর বুধহাটা বি.বি.এম কলেজিয়েট বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার একপর্যায়ে তিনি খুলনা জেলা স্কুলে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৪৬ সালে এসএসসি পাস করেন।

পরে খুলনার বিএল কলেজে পড়াশুনাকালীন ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন। তরুণ আনোয়ার হোসেন ভাষা আন্দোলনের একপর্যায়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ খুলনার তৎকালিন গান্ধী পার্কে (বর্তমানে হাদিস পার্ক) ভাষা আন্দোলনের পক্ষে ইস্তেহার পাঠ করার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কয়েকদিন পর তিনি মুক্তি পান। পরে ভাষা আন্দোলনের মিছিল থেকে ১৯৪৯ সালে পুলিশ তাকে আবারও গ্রেপ্তার করে প্রথমে তাকে কোতয়ালী থানায় রাখা হয়। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজশাহী কারাগারে।

সেখানে পাকিস্তান সরকারের নির্যাতন ও নিপীড়ণের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখেন তিনি। একপর্যায়ে ১৯৫০ সালে ২৪ এপ্রিল রাজশাহী জেলে খাপড়া ওয়ার্ডে গুলি চালানো হয়। তাতে সাতজন কারাবন্দি নিহত হন। তার মধ্যে ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসেন ছিলেন অন্যতম। তাই আমরা বিশ্বাস করি মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলনে ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেন দেশের প্রথম শহীদ। অথচ রাষ্ট্রীয়ভাবে তার কোন স্বীকৃতি নেই। তাই আমাদের দাবি শহীদ আনোয়ার হোসেনকে দেশের প্রথম ভাষা সৈনিক হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান।

আশাশুনি সরকারি কলেজের নাম ‘শহীদ ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেনের’ নামে নামকরণ করা, সাতক্ষীরা, আশাশুনি, বুধহাটাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তার স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা, সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়ক তার নামে নামকরণ করা, সরকারিভাবে ট্রাস্ট গঠন করতে হবে। মানববন্ধন শেষে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়ের মাধ্যমে মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা তাঁতীদলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলা তাঁতীদলের ৪ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি (আংশিক) কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

গত ১৮ ফেব্রæয়ারি ২০২৫ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা তাঁতীদলের আহবায়ক হাসান শাহরিয়া রিপন এবং সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত একপত্রে উক্ত কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

কমিটির নেতৃবৃন্দ হলেন, আহবায়ক এস এম সাহেব আলী, যুগ্ম আহবায়ক শেখ আবু তুহিন, মো: সানজিদ মাহমুদ এবং সদস্য সচিব নাহিদ হাসান টিপু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবী জানিয়ে স্মরণকালের এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সাতক্ষীরা জামায়াত।

১৮ ফেব্রুয়ারী বিকাল চারটায় সাতক্ষীরা খুলনা রোড মোড় সংলগ্ন আফিস চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ মাঠে যেয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলটির নের্তৃত্ব দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। একই সময়ে শহরের চারটি প্রবেশ পথ দিয়ে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন করে জামায়াত। সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ পরবর্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও সাতক্ষীরা জামায়াতের সাবেক আমীর মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, জেলা নায়েবে আমীর শেখ নূরুল হুদা, মাহমুদুল হক, সহকারী সেক্রেটারী মাহবুবুর রহমান, প্রভাষক ওবায় দুল্লাহ, প্রভাষক ওমর ফারুক, মাওলানা ওসমান গণি, শহর শিবির সভাপতি আল মামুন, জেলা শিবির সভাপতি ইমামুল হোসেন, শহর আমীর জাহিদুল ইসলাম, সদর আমীর মাওলানা মোশারফ হোসেন, কলারোয়া আমীর মাওলানা কামরুজ্জামান, তালা আমীর মাওলানা মফিদুল্লাহ, আশাশুনি আমীর তারিকুজ্জামান তুশার, দেবহাটা আমীর মাওলানা. অলিউল ইসলাম, কালিগঞ্জ আমীর মাওলানা. আব্দুল ওহাব সিদ্দিকী, শ্যামনগর আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, প্রমুখ। সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবী জানান বক্তরা। সমাবেশে লক্ষাধীক জামায়াত শিবির কমীর্রা অংশ নেয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের আজ ৬ মাস ১০ দিন অতিবাহিত হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে এই প্রথম আজ জামায়াতে ইসলামী রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পর দেশবাসী আশা করেছিল তারা সকল প্রকার জুলুম নির্যাতন থেকে রেহাই পাবে। যারা মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক ছিলেন তারা মুক্তি পাবে। কিন্তু শেখ হাসিনার পতনের পর ফাঁসির আসামীসহ অনেকেই মুক্তি পেলেও জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পাননি। তার মুক্তি না হওয়ায় দেশবাসী বিস্মিত ও হতবাক।

তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়ে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবাটুকুও দেয়া হয়নি। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১২ সালে তিনি জামিনে মুক্তি লাভ করার পর নিজ বাসায় অবস্থানকালে পুলিশ তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে রাখে।

কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য মুহাদ্দিস রবিউল বাশার বলেন, আওয়ামী সরকার দলীয় লোকদের দ্বারা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও সাজানো সাক্ষ্য প্রদান করে। একজন সাক্ষী আদালতে বলেছেন যে, তিনি ৭ কিলোমিটার দূর থেকে এবং অপর আরেক সাক্ষী বলেছেন যে, তিনি ৩ কিলোমিটার দূর থেকে ঘটনা দেখেছেন। সাক্ষীদের এই বক্তব্য অবাস্তব ও হাস্যকর। আরেকজন সাক্ষী নিজেকে আজহারুল ইসলামের ক্লাসমেট দাবি করে আদালতে তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। আদালতে উপস্থাপিত ডকুমেন্ট অনুযায়ী আজহারুল ইসলাম ১৯৬৮ সালে কারমাইকেল কলেজ ত্যাগ করেন। আর কথিত সাক্ষী ১৯৭০ সালে কারমাইকেল কলেজে ভর্তি হন। অতএব, আজহারুল ইসলামকে ওই সাক্ষী তাঁর ক্লাসমেট হওয়ার যে দাবি করেছেন, তা সর্বৈব মিথ্যা। এ ধরনের মিথ্যা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। তিনি আরো বলেন, আজহারুল ইসলাম ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করেন। আপিল বিভাগের চারজন বিচারপতির মধ্যে তিনজন বিচারপতি ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখলেও একজন বিচারপতি এ রায়ের সাথে দ্বিমত পোষণ করেন। আজহারুল ইসলাম সেখানেও ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হন।

সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে বিচারিক কার্যক্রম সারা বিশ্বে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রত্যাখ্যাত। স্বৈরাচারের আমলে গ্রেফতারকৃত এটিএম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা তার প্রতি চরম জুলুম ও অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তাকে এখনো আটক রাখায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক। দেশবাসী স্বৈরাচারের কবল থেকে পরিপূর্ণভাবে মুক্তি চায়। অবিলম্বে আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান বক্তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটা উপজেলা জাসাসের ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর একটি সহযোগী সংগঠন বাংলাদেষ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা ( জাসাস) এর দেবহাটা উপজেলা শাখার ১১ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা জাসাসের আহবায়ক শেখ জিল্লুর রহমান ও সদস্য সচিব ফারুক হোসেনের স্বাক্ষরিত এক পত্রে দেবহাটা উপজেলা জাসাসের ১১ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ইং তারিখে স্বাক্ষরিত ঐ ১১ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটিতে আহবায়ক হয়েছেন মোঃ মনিরুজ্জামান মনি, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর নাসির উদ্দীন যুগ্ম আহবায়ক শরিফুল ইসলাম ও সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সুমন হোসেন।

এছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন ইয়াকুব আলী, শাহিন আলম, ইব্রাহীম সরদার, রাকিব হোসেন ও মিজান গাজী। আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনি এই কমিটির মাধ্যমে সংগঠনকে মজবুত ও শক্তিশালী করতে জাতীয়তাবাদীর আদর্শের সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনির রাজু বাহিনীর সংবাদ প্রকাশ: সাংবাদিক পরিবারের সদস্যকে হাতুড়িপেটা

নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে রাজু বাহিনীর ত্রাস অব্যাহত রয়েছে। “আশাশুনির শ্রীউলায় ১৮ পরিবারের ঘরবাড়ি পুড়িয়েও ক্ষ্যান্ত হয়নি কে এই রাজু?! শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের জেরে এবার সেই সাংবাদিক পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে রাজু বাহিনীর শীর্ষ সন্ত্রাসীরা।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে আশাশুনি উপজেলার গাজীপুর কুড়িগ্রাম এলাকায় এই নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাজীপুর কুড়িগ্রাম মাদ্রাসার বাৎসরিক মাহফিলে যান সাংবাদিক এসএম বিপ্লব হোসেনের ছোট ভাই দীন ইসলাম। সেখানে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া রাজু বাহিনীর সন্ত্রাসীরা তার ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে তারা দীন ইসলামকে হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক পেটায়, এতে তিনি গুরুতর আহত হন।

হামলায় নেতৃত্ব দেয় রাজু বাহিনীর সদস্য শ্রীউলা গ্রামের মুজাহিদুল ইসলাম, সাথে ছিল মৃত মহিবুদ্দিন সরদারের ছেলে নাজুম, মৃত সালাম সদরের ছেলে মহসিন, ফারুক সরদারের ছেলে তৈবুর, মজনু সরদারের ছেলে অকিতসহ আরও অনেকে। খবর পেয়ে স্থানীয় যুবক শাকিব হোসেন ঠেকাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কোনো পদ-পদবী ছাড়াই বিএনপি ও যুবদলের নাম ভাঙিয়ে রাজু বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। এর আগে, গত ১৫ জানুয়ারি এই বাহিনীর সদস্যরা সাংবাদিক বিপ্লবের ভাইয়ের উপর প্রথমবারের মতো হামলা করে। স্থানীয়দের সহায়তায় সেসময় রক্ষা পায়। বিগত আগস্টের ৬ তারিখে রাজুর নের্তৃত্বে রাজুসহ তার বাহিনী মিলে আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের ১৮টি পরিবারের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয় এবং সর্বস্ব লুট করে। ওই ঘটনার পর দৈনিক মানবজমিন, পত্রদূত, ঢাকা টাইমস, স্বদেশ প্রতিদিন, দি এডিটরসসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে রাজু বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের ওপর প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালায়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রাজু বাহিনীর সদস্যরা পলাতক রয়েছে।

এদিকে, সাংবাদিক মহল ও স্থানীয়রা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও রাজু বাহিনীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। বর্তমানে আহত দীন ইসলাম ও শাকিব হোসেন স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রাজু বাহিনীর বিরুদ্ধে থানায় ও সেনাবাহিনী ক্যাম্পে অসংখ্য অভিযোগ জমা হয়েছে। এছাড়াও, ২টি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি রাজু বাহিনীর প্রধান শামীম রেজা রাজু।

উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি ও শ্রীউলা ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গতকাল রাতে সাংবাদিক বিপ্লবের ভাই দীন ইসলামসহ বকচর গ্রামের আরো কয়েজনের উপর সন্ত্রাসী রাজু বাহিনীর লোকজন অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা করে এবং হাতুড়ি, রড এবং চেইন দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এই শামীম রেজা রাজু আমার দলের পদ পদবীতে কোনদিন ছিল না এবং নেই। এই রাজু তার বাহিনী নিয়ে ইউনিয়নের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে বেড়াচ্ছে। এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এখনই বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আল আমিন ইসলাম বলেন,”শামীম রেজা রাজু ও তার বাহিনী ৫ তারিখ পরবর্তী সময়ে শ্রীউলা ইউনিয়নের ঘরবাড়ি পোড়ানো, ঘের দখল, চাঁদাবাজি, লুটপাট, মারধর, সন্ত্রাসী হামলা—এমন কোনো বেআইনি কাজ নেই যা তারা করেনি। সে কখনো ছাত্রদল, যুবদল বা বিএনপির নেতা ছিল না। তবে বর্তমানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিচয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, যার দায় জাতীয়তাবাদী দল নেবে না। এখন সে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কিছু কর্মীকে নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করেছে। আমি প্রশাসনের কাছে এই সন্ত্রাসী রাজু বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”

এ বিষয়ে আশাশুনি থানার ওসি বলেন,”বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরের ভণ্ডপীর মিজানুর রহমান গ্রেফতার !

শ্যামনগর প্রতিনিধি :
শ্যামনগরের কথিত ‘পীর’ মোঃ মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে শ্যামনগর থানা পুলিশ। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় মঙ্গলবার সকালে তাকে নিজ আস্তানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার সহযোগী ও জামাতা মোঃ আবু নাইমকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে প্রতারণাসহ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগ এনে শ্যামনগরের শংকরকাঠি গ্রামের সিদ্দিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মিজানুর রহমান শ্যামনগর উপজেলার ঈশ^রীপুর ইউনিয়নের ধুমঘাট অন্তাখালী গ্রামের মৃত দীনদার গাজীর ছেলে। আবু নাইম শরীয়তপুরের সখিপুর থানার মোল্যাবাজার গ্রামের নুরুল হুদার ছেলে।

নিজেকে আল্লাহ পাকের কুতুব ও ওলি দাবি করে মানুষের অন্তঃচক্ষু খুলে দেয়ার নামে অসংখ্য মানুষের থেকে আর্থিক সুবিধা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।

মিজানকে ‘ভন্ড’ আখ্যায়িত করে গত শুক্রবার তার আস্তানা গুড়িয়ে দিতে কয়েকশ মানুষ আস্তানা অভিমুখে পদযাত্রা করেছিল। একপর্যায়ে পুলিশ ও সেনাবহিনী সদস্যরা পথিমধ্যে উত্তেজিত জনতাকে আটকে দিলে সে যাত্রায় তার আস্তানা ভাংচুর থেকে রক্ষা পায়। এসময় উপজেলা বাতিল প্রতিরোধ কমিটি ও উপজেলা ওলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দ মিজানকে আইনের আওতায় আনতে তিনদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল।

মামলার বাদি সিদ্দিকুল ইসলাম জানান মিজানের নির্দেশনায় তার জামাতা আবু নাইম শরীয়তের মানদন্ডে ওলীগণের হালত নামীয় একটি বই প্রকাশ করে। উক্ত বাইয়ের বিভিন্ন অংশে আল্লাহ পাক ও তার রাসুল (সঃ) এর প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান গত ২০১৬ সালে প্রকাশিত উক্ত বইয়ে দাবি করা হয়েছে আল্লাহ পাকের সাথে মানুষের কথা হয়, বান্দার ইচ্ছায় আল্লাহ পাক অনেক সময় নিজের হুকুম পরিবর্তন করেন- এ নানান শিরকমুলক উক্তি।

তিনি আরও অভিযোগ করেন নিজেকে ক্রস ফায়ারের আসামী দাবি করে মিজান আরও অনেকের মত তার নিকট থেকে তিন লাখ টাকা ধার নেন। পরবর্তীতে টাকা চাইলে ‘মাওলা দিচ্ছে না’ জানিয়ে টালবাহানা শুরু করে পরবর্তীতে তাড়িয়ে দিয়েছিল।

এদিকে মিজান একজন প্রতারক দাবি করে তাকে আইনের আওতায় নেয়ার আহবান জানিয়ে সোমবার দুপুরের দিকে শ্যামনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন হয়। মিজানের প্রতারণার শিকার হয়েছেন দাবি করে চাঁদপুর জেলার মহামায়াবাজারের বেলায়েত হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন, শরিয়তপুরের সখিপুর থানার মাঝিকান্দি গ্রামের মৃত বশির আহম্মেদের ছেলে জাফর আহম্মদ ও ঢাকা পল্লবীর রুপনগর টিনসেড এলাকার মৃত আব্দুল হান্নানের ছেলে আব্দুল হালিম উক্ত সংবাদ সম্মেলন করেন।

তারা নিজেদের ভুক্তোভোগী দাবি করে জানান আল্লাহ পাকের ওলি বানিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘ সাত বছর তার আস্তানায় থাকতে বাধ্য করে। এসময় অন্তঃচক্ষু খুলে দেয়াসহ আল্লাহ পাকের দিদার লাভের কথা বলে তাদের সাথে প্রতারনা করা হয়। নানা অজুহাতে মানুষেরে থকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে ‘মাওলা’ তাকে দিয়েছে দাবি করার পাশাপাশি মহান আল্লাহ পাকের সাথে তার নিয়মিত কথা হয় বলেও মিজান দাবি করেছিল। নিজের ছেলে ইউসুফকে রাসুলের জামাতা দাবি করার পাশাপাশি তিনি আজগুবি বিভিন্ন তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেন বলেও উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।

এবিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবীর মোল্যা জানান সিদ্দিকুল ইসলামের দায়েরকৃত মামলার আসামী হিসেবে মিজানুর রহমান ও আবু নাইমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবু নাইমের সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘শরীয়তের মানদন্ডে ওলীগণের হালত’ নামীয় বইয়ের মাধ্যমে মুসলমান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে তাদের দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাতক্ষীরা জেলা শাখার আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিএনপির মিডিয়া সেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তিন সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটিতে আহ্বায়ক হয়েছেন সাতক্ষীরা জর্জ কোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ভুট্টো, সদস্য সচিব হয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শেখ শরিফুজ্জামান সজীব এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন আনারুল ইসলাম।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান এই আংশিক কমিটি অনুমোদন দেন। ১০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest