সর্বশেষ সংবাদ-

তালায় বন বিভাগের এফজি ইউনুস আলীর বিরুদ্ধে গাছ বিক্রির অভিযোগ

তালা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কপোতাক্ষ নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংলগ্ন সামাজিক বনাঞ্চল থেকে প্রায় দুই হাজার বাউলা গাছ কেটে বিক্রির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে তালা বন বিভাগের বনপ্রহরী (এফজি) ইউনুস আলী সরদারের বিরুদ্ধে। এতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তালার কপোতাক্ষ নদীর বাঁধ এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১০ হাজার চারা রোপণ করা হয়। এ গাছগুলোর পরিচর্যার জন্য একটি সামাজিক বনায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

সম্প্রতি বৃষ্টিতে শতাধিক গাছ উপড়ে পড়ে। এ সুযোগে বনপ্রহরী ইউনুস আলী সরদার স্থানীয় বনাঞ্চল কমিটির সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে প্রায় দুই হাজার গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী নাম না বলার সত্ত্বে বলেন গত এক মাস ধরে প্রতিদিন ১০-১২ জন বহিরাগত শ্রমিক দিয়ে গাছ কাটা হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৬০ থেকে ৮০ মণ জ্বালানি কাঠ, ৩০০ থেকে ৪২০টি গুড়ি এবং বিপুল পরিমাণ ডালপালা সংগ্রহ করা হয়।

এসব কাঠ বড় ট্রলারযোগে পাইকগাছা ও আশপাশের এলাকায় পাচার করা হয়েছে। এতে মোট বিক্রয়মূল্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকার বেশি বলে অভিযোগ উঠেছে। চরগ্রামের বাসিন্দা আনিছ ফকির বলেন, “শত শত গাছ কেটে নেওয়া হলেও এর কোনো সঠিক হিসাব নেই। বনাঞ্চলকে ইচ্ছেমতো উজাড় করা হচ্ছে, অথচ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।” এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, বনপ্রহরী ইউনুস আলী সরদার স্থানীয় হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সড়ক নির্মাণ কাজে প্রভাব খাটিয়ে এ ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন।

স্থানীয় রফিকুল ইসলাম বলেন, সামাজিক বনাঞ্চলকে ঢালাওভাবে উজাড় করা হচ্ছে অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

সোমবার সকালে কপোতাক্ষ নদীর বাঁধ সংলগ্ন সামাজিক বনাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, শত শত গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। একাধিক স্থানে ডালপালা ও ২০/২৫টি ছোট গুড়ি পড়ে আছে। তালা বন বিভাগের অফিসে গিয়ে দেখা যায়, অন্তত ৬০টির মতো কাঠ মজুত রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউনুস আলী সরদার বলেন, “কমিটির সভাপতির মাধ্যমে গাছ কাটা হয়েছে। সব গাছ অফিসে আনা হয়নি। খরচ বাদ দিয়ে বাকি টাকা সমিতির কাছে দেওয়া হবে। তবে অতিরিক্ত গাছ কাটার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন। সমিতির সভাপতি অমেদ আলী দাবি করেন, গাছ কাটা হয়েছে সমিতির সিদ্ধান্তে। সবাইকে ভাগ করে দেওয়া হবে। তবে অতিরিক্ত গাছ কাটার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

তালা বন বিভাগের কর্মকর্তা মারুফ বিল্লা বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি শুনেছি। তবে অতিরিক্ত গাছ কাটার সুযোগ নেই। এলাকার সুবিধাভোগীরাই এ টাকা পাবেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রকৃত দোষিদের খুঁজে বের করা হবে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাযকিয়া বলেন, বন বিভাগের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি আছে। তবে গাছ কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

Se você está pensando em jogar online, provavelmente já ouviu falar do monro casino. Neste artigo, vou compartilhar minhas impressões sobre por que este cassino é visto como uma opção segura e confiável para os jogadores em Portugal. Vamos explorar aspectos como a segurança, a variedade de jogos, as promoções disponíveis e o suporte ao cliente. Prepare-se para entender porque este cassino está se destacando no mercado.

Segurança e Licenciamento do Monro Casino

Quando falamos de segurança em jogos de azar online, o licenciamento é um dos aspectos mais cruciais. O monro casino opera sob uma licença emitida por uma autoridade reguladora respeitável, o que significa que eles precisam seguir normas rigorosas para garantir a proteção dos jogadores. Isso inclui práticas de jogo responsável e a proteção dos dados dos usuários. Portanto, você pode se sentir mais seguro ao compartilhar suas informações pessoais e financeiras.

Variedade de Jogos Oferecidos no Casino Monro

Uma das razões pelas quais o casino monro se destaca é a vasta seleção de jogos disponíveis. Desde as tradicionais mesas de blackjack e roleta até uma impressionante gama de slots, há algo para todos os gostos. Os jogos são fornecidos por desenvolvedores de software renomados, o que garante gráficos de alta qualidade e jogabilidade suave. Além disso, o casino frequentemente atualiza seu portfólio para incluir novos títulos, mantendo a experiência dos jogadores sempre fresca e emocionante.

Para os fãs de jogos de azar ao vivo, o Monro Casino também não decepciona. A seção de jogos ao vivo oferece uma experiência imersiva, onde você pode interagir com dealers reais em tempo real, tudo do conforto da sua casa. Isso adiciona uma camada de autenticidade à experiência de jogo que muitos jogadores valorizam.

Promoções e Bônus: O que Esperar do Monro Casino

A cada novo jogador que se registra no monro casino, há uma série de promoções e bônus que tornam a experiência ainda mais atraente. O famoso monro casino código promocional pode ser utilizado para obter bônus significativos, como rodadas grátis ou um aumento no valor do primeiro depósito. Isso é uma ótima maneira de começar sua jornada de jogo com um impulso extra, permitindo que você explore mais jogos sem arriscar muito do seu próprio dinheiro.

Além do bônus de boas-vindas, o Monro Casino também oferece promoções regulares para jogadores existentes. Isso pode incluir cashback, torneios e eventos especiais que podem aumentar suas chances de ganhar. A chave é ficar de olho nas promoções disponíveis e aproveitar ao máximo o que o cassino tem a oferecer.

Métodos de Pagamento e Saque no Monro Casino

A questão dos métodos de pagamento é sempre uma preocupação para os jogadores. O monro casino oferece uma variedade de opções, incluindo cartões de crédito, carteiras eletrônicas e transferências bancárias. Isso significa que você pode escolher a forma que mais lhe agrada para depositar e retirar seus ganhos. A plataforma é intuitiva e fácil de navegar, o que facilita realizar transações sem complicações.

Método de Pagamento Tempo de Processamento Taxas
Cartão de Crédito Instantâneo 0%
Transferência Bancária 1-3 dias úteis Variável
Carteira Eletrônica Instantâneo 0%

Suporte ao Cliente: Como o Monro Casino se Destaca

Um bom suporte ao cliente pode fazer toda a diferença na experiência de jogo. No monro casino, você encontrará uma equipe de atendimento disponível 24 horas por dia, 7 dias por semana. Isso significa que, independentemente da hora do dia, você pode contar com assistência imediata para resolver qualquer problema que possa surgir, seja relacionado a depósitos, saques ou dúvidas sobre jogos.

Além do suporte por chat ao vivo, o Monro Casino também oferece um abrangente FAQ, onde muitos problemas comuns são abordados. Isso pode economizar bastante tempo e frustração. O importante é saber que você não está sozinho e que há sempre alguém pronto para ajudar.

Depoimentos e Reviews de Jogadores sobre o Monro Casino

Uma das melhores maneiras de entender a confiabilidade de um cassino é ouvir o que outros jogadores têm a dizer. As monro casino reviews geralmente destacam a experiência positiva que muitos têm com a plataforma. Jogadores comentam sobre a transparência nas transações, a variedade de jogos e a eficiência do suporte ao cliente. Isso se traduz em uma comunidade de jogadores satisfeitos, o que é sempre um bom sinal.

  1. Jogos variados com atualizações frequentes.
  2. Promoções atraentes para novos e antigos jogadores.
  3. Suporte ao cliente sempre disponível.
  4. Transações seguras e rápidas.
  5. Ambiente de jogo justo e confiável.

Para aqueles que ainda estão em dúvida sobre se o monro casino é legal em Portugal, a resposta é sim. O cassino opera sob as regulamentações que garantem um jogo seguro e responsável. Portanto, se você está procurando um lugar confiável para se divertir e potencialmente ganhar, o Monro Casino pode ser a escolha certa para você. Em resumo, a combinação de segurança, variedade, promoções e suporte ao cliente torna este cassino uma opção de destaque no mercado.

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পূর্ব শত্রুতার জেরে তালায় দেড় কিলোমিটার শিম গাছ কেটে দিল প্রতিপক্ষ

তালা প্রতিনিধি ::
সাতক্ষীরার তালা সদর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে ঘেরের বাঁশের বেড়িতে লাগানো প্রায় দেড় কিলোমিটার শিম গাছ কেটে দিয়েছে লাভলু রহমান নামের এক ব্যক্তি। এতে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে খানপুর গ্রামে ।

খানপুর গ্রামের ময়েজ উদ্দিন সরদারের ছেলে শাহিনুর রহমান বাবু জানান, খানপুর বিলে এক ঘেরমালিকের কাছ থেকে হারি নিয়ে ঘেরের দুই পাশে প্রায় দেড় কিলোমিটার শিম চাষ করেন তিনি। গাছে ইতিমধ্যে ধরন আসতে শুরু করেছিল। গাছ লাগানো, ওষুধসহ খরচ হয়েছে প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ মৌসুমে বিক্রি থেকে ৫-৬ লক্ষ টাকা আয় হওয়ার কথা ছিল।

তিনি আরও জানান, জমি-সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ চলছিল খানপুর গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারি সরদার গংয়ের সাথে। তার ছেলে লাভলু রহমান দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে আসছিল শিম গাছ কেটে ফেলার। শনিবার রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গাছগুলো কেটে দেয় সে।

স্থানীয় বিল্লাল সরদার বলেন, গতকাল সন্ধ্যার আগে লাভলুকে এলাকাতেই দেখা গেছে। সুযোগ বুঝে সে এমন শত্রুতা করেছে।
অন্যদিকে তানজিলা বেগম জানান, প্রায় এক মাস আগে বাজারে গেলে আমাকে লাভলু প্রকাশ্যে বলে যত খরচই করুক, শিম ধরার আগেই গাছগুলো কেটে দেওয়া হবে।

তবে অভিযুক্ত লাভলু রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ষড়যন্ত্র করে আমাকে জড়ানো হচ্ছে। এ ঘটনায় আমি জড়িত নই। আমরা এলাকায় প্রভাবশালী, আমাদের ক্ষতি করার জন্যই এসব করা হচ্ছে।

তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাইন উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চাঁদাবাজির অভিযোগে শ্যামনগর  উপজেলা যুবদল নেতা বহিষ্কার

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম দুলুকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় যুবদল। বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় যুবদলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়। গত মাসে উপজেলার হরিনগরে অবস্থিত প্যান্ডামিক ফিশারিজ লিমিটেডে দফায় দফায় লুটপাট ও কোটি টাকার চাঁদা দাবির অভিযোগে আলোচনায় আসেন তিনি।

ফলাও করে রিপোর্ট হয় গণমাধ্যমে। শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ নাজমুল হককে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যুবদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে সাতক্ষীরা জেলা শাখার শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম দুলুকে সংগঠনের সর্বস্তরের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ নাজমুল হক কে আহ্বায়ক মনোনীত করা হয়েছে এবং দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন এ নির্দেশনা কার্যকর করেছেন।

এ বিষয়ে প্যান্ডামিক ফিশারিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এএম সাইদুর রহমান বলেন, গত ১৬ থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত চার দিন দফায় দফায় তার মৎস্য খামারে হামলা ও লুটপাট চালানো হয়। এর আগে স্থানীয় যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম দুলু প্রথমে ৫ লাখ এবং পরে ৩ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় ধারাবাহিক হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম দুলু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোনো চাঁদা চাইনি বা নিইনি। রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য প্রতিপক্ষ দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে বিজয়ী হতে ব্যাপক কাজ করছে জেলা বিএনপি–ড. মনিরুজ্জামান

নিজস্ব প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা-৪ সংসদীয় আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ড. মো: মনিরুজ্জামান বলেছেন,বিএনপি একটি উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্দেশ্য,গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়ে বিএনপি রাস্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব পেলে ৩১ দফার ভিত্তিতে রাস্ট্র পরিচালনা করা। এলক্ষ্যে সাতক্ষীরার ৪টি আসনে সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধিসহ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করছে জেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা।

তিনি আরও বলেন,২০০৯ সাল থেকে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তিনি সাতক্ষীরা-৪ সংসদীয় আসনে গণমানুষের সুখে-দুখে পাশে আছেন। তাই তিনি আশা করেন,নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী হলে, তিনি সাতক্ষীরা-৪ আসনে বিজয়ী হবেন।

ড. মনির শুক্রবার বিকেলে সাতক্ষীরা ম্যানগ্রোভ সভাঘরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে,উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ,জলাবদ্ধতা-লবনাক্ততা দূরীকরণ,পাশ্চাত্য বিশে^র অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বেকার তরুণ-তরুণীদের ফ্রিল্যান্সিংসহ কর্মমুখী শিক্ষার ব্যবস্থা করে স্বাবলম্বী করবেন।
মতবিনিময়কালে সাতক্ষীরায় কর্মরত বিপুল সংখ্যক ইলেকট্রনিক,প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ভারতে আটক ১৫ বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর

নিজস্ব প্রতিনিধি : ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) হাতে আটক ১৫ বাংলাদেশি নাগরিককে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তলুইগাছা সীমান্তের হাকিমপুর চেকপোস্ট এলাকায় এ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

বহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে অবৈধভাবে ভারত প্রবেশের সময় হাকিমপুর চেকপোস্ট এলাকায় বিএসএফ তাদের আটক করে।

আটককৃতদের মধ্যে সাতক্ষীরা, খুলনা ও পিরোজপুর জেলার পুরুষ, নারী ও শিশুসহ মোট ১৫ জন রয়েছেন। পরদিন বিএসএফের আমুদিয়া কোম্পানী কমান্ডার ইন্সপেক্টর দিবাজ্যোতি ডলি এবং বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির তলুইগাছা বিওপি কমান্ডার আবুল কাশেমের উপস্থিতিতে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফেরত দেওয়া হয়। পরে বিজিবির একটি টহলদল আটককৃতদের নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় হাজির হয়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক জানান, তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফরম ফিলাপ ফি বৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

নিজস্ব প্রতিনিধি: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের (২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ) ফরম ফিলাপের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল হাশেমের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি পাঠানো হয়।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্মারকলিপি দেন—জাহাঙ্গীর আলম, ফাহমিদ হায়দার (গণিত), রুহুল আমিন (ইসঃ), নূরে আলম (হিসাববিজ্ঞান), চম্পা খাতুন, ইমাম হোসাইন, মুনজর মোর্শেদ হৃদয় (রসায়ন), আফিয়া মোবাশ্বেরা, নুসরাত তামান্না ও হুসনা খাতুন।

শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, হঠাৎ করে ফরম ফিলাপের ফি বৃদ্ধি মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকের পক্ষে অতিরিক্ত ফি বহন করা সম্ভব নয়। এতে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা থেকে ঝরে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে— ফরম ফিলাপ ফি বৃদ্ধি প্রত্যাহার, শিক্ষার্থীবান্ধব ও সহনশীল ফি নির্ধারণ, ইস্কুভ ফি সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা, পুনঃমূল্যায়ন ফি ১০০ টাকার বেশি নয়, সার্টিফিকেট ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারণ এবং আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তার ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি ৬০ শতাংশ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত যানবাহন ও শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা করারও দাবি জানিয়েছেন তারা।

শিক্ষার্থী ফাহমিদ হায়দার বলেন, সাধারণ পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থীদের পক্ষে হঠাৎ বাড়তি ফি দেওয়া সম্ভব নয়। এতে অনেকে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে। তাই আমরা আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে বোন কে উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে মারপিট ও খুন জখমের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি :
কালিগঞ্জে ফারাজ সূত্রে প্রাপ্ত পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বোন কে উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে মারপিট ও খুন জখমের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী কালিগঞ্জের রঘুনাথপুর গ্রামের জহুরুল ইসলাম মোড়লের স্ত্রী তানজিলা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি পৈত্রিক সূত্রে (ফারাজ সূত্রে) প্রাপ্ত হয়ে কালিগঞ্জের রঘুনাথপুর মৌজায় ১.৩৭ শতক ও কালিকাপুর বড় মৌজায় ৩০ শতক সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছিলাম।

কিন্তু আমার দুই ভাই আমার ফারাজ অনুযায়ী প্রাপ্ত সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চক্রান্ত করে আসছিল। এর জের ধরে গত ৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে আমার দুই ভাই মাসুম বিল্লাহ ও ওলিউল্লাহ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে উক্ত সম্পত্তিতে প্রবেশ করে সেখানে থাকা ফসল কাটতে থাকে এবং ঘরবাড়ি ভাংচুর শুরু করে। এতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে উল্লেখিত দুইভাই আমাদের মারপিট করে এবং অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করে।

সে সময় তারা আমার প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। এঘটনায় বাদী হয়ে কালিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করি। উক্ত মামলার দায়েরের পর তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমার এবং আমার স্বামীসহ পরিবারের সদস্যদের প্রতিনিয়ত খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে উল্লেখিত মাসুম বিল্লাহ এবং ওলিউল্লাহ। পর সম্পদলোভী ওই দুই ভাই ইতোপুর্বেও কয়েকবার আমার সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করে।

এনিয়ে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালত উভয়পক্ষের উপর স্থিতি অবস্থা জারি করলেও তারা আদালতের সে নির্দেশ অমান্য করে গত ৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে আমাদের উপর নগ্ন হামলা করে। দুই ভাইয়েরা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের উচ্ছেদ পূর্বক ওই সম্পত্তি জবর দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্পত্তি উদ্ধার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। ##

বার্তা প্রেরক

আসাদুজ্জামান
সাধারণ সম্পাদক, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest