সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলামসাতক্ষীরা সদরের দত্তবাগ টাইগার ক্লাবের নাইট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনজাতীয় সংহতি দিবস,এই দিনে বিভাজন নয়, ঐক্যের আহবান -কাজী আলাউদ্দিনসাতক্ষীরা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনকে বিজয়ী করতে গণমিছিলতরুণদের উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রীন ইনোভেশন ফেয়ারExplorez les avis des utilisateurs sur gtbet et rejoignez la communautéΕξερευνήστε τις καλύτερες στρατηγικές καζίνο στο gtbet για μεγαλύτερα κέρδηCome registrarsi su Nixbet e iniziare a vincere in pochi passiদেবহাটায় কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে খেলাধুলার আয়োজনগণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নলতা হাসপাতাল হুমকির মুখে :রক্ষার দাবি

সাগরে লঘুচাপ : তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত

ডেস্ক রিপোর্ট : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট আকার ধারণ করেছে। এর প্রভাবে সারাদেশে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে আগামী পাঁচ দিন রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ সব বিভাগেই বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ সুস্পষ্ট আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে এটি উড়িষ্যা-অন্ধ্র উপকূলের অদূরে অবস্থান করছে এবং আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এমন অবস্থায় মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বিস্তৃত হয়েছে উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, উড়িষ্যা, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল হয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসাম পর্যন্ত। বর্তমানে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কিছুটা দুর্বল থাকলেও উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমবে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকায় দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারাদেশে দিনের পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রাও সামান্য কমবে।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশ কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশালে দু-এক জায়গায় বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একই অবস্থা সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর)ও থাকবে। তবে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশালে দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। সেদিন সারাদেশে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। ফলে দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বর্ষণ এবং সমুদ্র উপকূলে ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল ছাত্রের মৃত্যু
নিজস্ব  প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে বিদ্যুতের খুটির সাথে ধাক্কা লেগে রাকিবুল হাসান সিয়াম নামের ১৫ বছরের এক কিশোর নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে পৌরসভার কাঠিয়াস্থ সরকারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগে দ্রুতগামী মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইজিবাইকের সাথে সংঘর্ষ হয়।

সে শহরের মনজিতপুর এলাকার সৌদি প্রবাসি সাইফুল ইসলামের ছেলে ও সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না জানান,সরকারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে দ্রুতগতিতে একটি মোটরসাইকেল ধোপা পুকুরের দিকে যাচ্ছিল।

সিয়াম বাইকের পেছনে বসে ছিল। এসময় বিপরীত দিক থেকে একটি ইজিবাইক আসছিল। রাস্তা কর্দমাক্ত হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিয়ামকে বহন করা বাইকটি ইজিবাইকে ধাক্কা লাগিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। এসময় পেছনে বসা সিয়াম বাইক থেকে ছিটকে পড়ে রাস্তার ধারে বিদ্যুতের খুটিতে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়।

সাতক্ষীরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান,নিহতের মরদেহ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে জলজ উদ্ভিদ বৈচিত্র্যের মেলা

নিজস্ব প্রতিনিধি: জলজ উদ্ভিদ বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও স্থায়িত্বশীল ব্যবহারে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যতিক্রমধর্মী জলজ উদ্ভিদবৈচিত্র্য মেলা।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম জেলেখালীতে শাপলা কিশোরী সংগঠন, সবুজ সংহতি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করে।  মেলায় পশ্চিম জেলেখালী গ্রামের কিশোরীরা ৪টি গ্রুপে ভাগ হয়ে উপকূলীয় এলাকার পানিতে জন্ম নেওয়া শাপলা, ঢ্যাব, শালুক, শেওলা, টোপরপনা, ইদুরকানী, কলমি, হেলাঞ্চ, আদাবরুন, চিচো, লজ্জাবতী, জলপানকচু, ঘাস, মেলে, ছাতেম, নল খাগড়াসহ ৩৫ ধরনের জলজ উদ্ভিদ প্রদর্শন করে।

এসময় জলজ উদ্ভিদের প্রাপ্তিস্থান, গুণাবলী, ব্যবহার, কোন মৌসুমে কি কি পাওয়া যায়, কোনটি মানুষ ও প্রাণীর ওষুধ হিসাবে ব্যবহার হয়, এগুলোর হারিয়ে যাওয়ার কারণ এবং পরিবেশের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ তাও তুলে ধরা হয়।

মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন সবুজ সংহতির সভাপতি ডা. যোগেশ চন্দ্র মন্ডল এর সভাপতিত্বে মেলায় অংশগ্রহণকারী দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে জলজ উদ্ভিদ বৈচিত্র্য সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন মুন্সিগঞ্জ ইউপি সদস্য নীপা চক্রবর্তী, ধুমঘাট নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিভূতি মাঝী, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাছুম বিল্লাহ, কৃষক ভুধর চন্দ্র মন্ডল ও দেবীরঞ্জন মন্ডল, শিক্ষার্থী অন্যন্যা রাণী ও ধৃতিমা মন্ডল, প্রবীণ নাগরিক গংগারাম মাঝী, বারসিক কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ জোয়ারদার ও বিশ্বজিৎ মন্ডল।

তারা বলেন, প্রকৃতির সাথে মানুষের নিবিড় সম্পর্ক। প্রকৃতিতে বেড়ে ওঠা প্রাণ ও উদ্ভিদবৈচিত্র্য যেমন মানুষের খাদ্য ও চিকিৎসার কাজে ব্যবহার হয়, তেমনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অন্যান্য কর্মকাণ্ডেও ব্যবহার হয়। এসব প্রাণ ও উদ্ভিদবৈচিত্রের মধ্যে অন্যতম হলো জলজ উদ্ভিদ।

স্থানীয় কৃষক তারাপদ গাঁতীদার বলেন, উপকূলীয় এলাকায় প্রতিনিয়ত জলবায়ু পরিবর্তন, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার ও মনুষ্য বসতি স্থাপন বৃদ্ধিতে প্রাণ ও উদ্ভিদবৈচিত্র্য অনেকাংশে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এ সকল উদ্ভিদ ও প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণে ব্যক্তি ও সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা রকম উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার। কেননা এসব উদ্ভিদ জলজ প্রাণী, মানুষ ও গবাদিপশুর খাদ্যভাণ্ডার হিসেবে কাজ করে।

তিনি বলেন, আমাদের উপকূল একসময় ছিলো প্রাণবৈচিত্র্যে ভরপুর। কালের বিবর্তনে তা আজ বিলুপ্তির পথে। আর তার মূল কারণ হলো লবণাক্ততা। দিনে দিনে লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে সকল প্রাণবৈচিত্র্য কমতে শুরু করেছে। আর এসকল প্রাণবৈচিত্র্যের মধ্যে জলজ উদ্ভিদ অন্যতম। জলজ উদ্ভিদ না থাকলে মাছসহ অনেক জলজ প্রাণী বাঁচতে পারেনা, যেটি পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য জলজ উদ্ভিদ সংরক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। #

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আন্ত:স্কুল ফুটবল সেমিফাইনালে মারপিট : প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় গ্রীষ্মকালীন স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল খেলার সেমিফাইনালে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল চারটায় সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ডি.বি ইউনাইটেড হাই স্কুল ও ভারুখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে বিকাল ৩টায় প্রথম সেমিফাইনাল খেলা শুরু হয়। খেলার দ্বিতীয়ার্ধের ১৫ মিনিটের মাথায় ডি.বি ইউনাইটেড হাই স্কুলের একজন খেলোয়াড় ফাউল করলে রেফারি বাঁশি দেন। এ সময় ভারুখালী স্কুলের শিক্ষক মোঃ গোলাম রবি মাঠের বাইরে থেকে ছুটে এসে ওই খেলোয়াড়ের উপর চড়াও হন। এসময় ডি.বি. স্কুলের সমর্থক ও ওই শিক্ষকের মধ্যে বাকবিতন্ড সৃষ্টি হয়। তখন ভারুখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ও ডি.বি স্কুলের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সাতক্ষীরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ডি.বি স্কুলের দর্শক ও খেলোয়াড়দের ওপর হামলা চালায়। এতে ডি.বি স্কুলের ৩ জন খেলোয়ায় ও বেশকিছু সমর্থক আহত হন।

তারা আরও জানান, খেলায় কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং খেলা বন্ধ হয়ে যায়।

মাঠে উপস্থিত অভিভাবক ও দর্শকরা অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকারি স্কুল মাঠে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলা অনুষ্ঠিত হলেও মাঠে কোনো পুলিশ বা প্রশাসনের উপস্থিতি ছিল না। ফুটবল একটি জনপ্রিয় খেলা। এখানে বিপুলসংখ্যক দর্শক উপস্থিত থাকেন, ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। অথচ কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে এমন খেলা কেন পরিচালনা করছে।’

এ ঘটনায় ডি.বি. স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক কঙ্কন কুমার দাস বলেন, ‘খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে জন্য অপরিহার্য, কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকলে তা বরং বিপর্যয় ডেকে আনে। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষা কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই মাঠে এমন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’ এ ঘটনায় আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

পুলিশ প্রশাসন ছাড়ায় ফুটবলের মত এমন একটি উত্তেজনাপূর্ণ খেলা কেন পরিচালনা করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে খেলা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান টুকু জানান, খেলার আয়োজক উপজেলা শিক্ষা অফিস। আপনি দয়া করে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগাযোগ করুন। আমাদের একটি শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে আমি সেখানে আছি।
অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম রবি বলেন, আমি চেয়েছিলাম যাতে কোন সমস্যা না হয়। এখন দেখছি পরিস্থিত ভিন্ন। আমি আমার ছাত্রদের শান্ত করার চেষ্টাও করেছি।

সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) আবুল হোসেন জানান, বিষয়টি মিটে গেছে। আগামী খেলায় প্রশাসনের উপস্থিতি থাকবে যাতে এ ধরনের কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে।

স্থানীয় ক্রীড়ামহল দ্রুত এঘটনার তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও ভবিষ্যতের খেলায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কর্মপরিকল্পনা বৈধকরণ কর্মশালা

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলায় ডিআআর এক্টিভিটিস প্রকল্পের আওতায়, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ডাব্লুপি’র সহযোগিতায় এবং সুশীলনের বাস্তবায়নে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কর্মপরিকল্পনা বৈধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়। উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আমিরুল ইসলাম।

ফিল্ড থেকে কমিউনিটির ঝুঁকি হ্রাসের জন্য যে স্কিমগুলো উঠে এসেছে, সে বিষয়ে আলোচনা উপস্থাপন করেন ডিআরআর কো-অর্ডিনেটর ইমরান হোসেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাঁর বক্তব্যে আশাব্যক্ত করেন যে, সুশীলনের সিআরএ মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়িত হলে কমিউনিটির ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা  

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় সরকার প্রণীত জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (এনডিএমপি) ২০২৬-২০৩০ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আয়োজনে ও ব্র্যাক এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় কারিগরি সহায়তা প্রদান করে ইউএন উইমেন ও ইউএনডিপি।

সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহা. মোস্তাক আহমেদ এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোঃ ফারুক হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, জাতীয় পরিকল্পনা শুধু নীতিমালা নয়, এটি স্থানীয় পর্যায়ে জীবনের সুরক্ষা ও উন্নয়নের একটি রূপরেখা। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ২০২৬-২০৩০-এর মূল লক্ষ্য হলো দুর্যোগ সহনশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এজন্য মাঠপর্যায়ের বাস্তব চাহিদা ও সমস্যা চিহ্নিত করে তা পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। সাতক্ষীরার মতো ঝুঁকিপূর্ণ জেলায় এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, সাতক্ষীরা জেলা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এ জেলার মানুষের জীবন ও জীবিকা সুরক্ষায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা অপরিহার্য। তাছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলা করা একার কাজ নয়। সরকারি, বেসরকারি, উন্নয়ন সংস্থা এবং জনগণ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কর্মশালা স্থানীয় পর্যায়ে সমন্বয় জোরদারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। কর্মশালায় দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা পর্যায়ে বিশেষায়িত টাস্কফোর্স গঠন, নারী নেতৃত্ব বৃদ্ধি, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত আলো, চলাচলের জন্য স্প্রীডবোর্ড এবং স্কুল-কলেজ পর্যায়ে দুর্যোগ সচেতনতা কর্মসূচি চালুর ওপর জোর দেন তিনি।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা একটি দুর্যোগপ্রবণ জেলা। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদীভাঙন, লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে এ অঞ্চলের মানুষকে প্রায়শই নানা দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হয়। এসব দুর্যোগ মোকাবিলায় কেবল সরকারি উদ্যোগই যথেষ্ট নয়; বরং স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ, উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতা এবং আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ জরুরি।

সভায় জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ২০২৬-২০৩০-এর খসড়া উপস্থাপনের পাশাপাশি জেলার বাস্তব চিত্র বিবেচনায় প্রয়োজনীয় মতামত ও সুপারিশ তুলে ধরেন উপস্থিত সদস্যরা। এসময় আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা জোরদার, আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ ও সংস্কার, নারী ও শিশু বান্ধব অবকাঠামো স্থাপন, কৃষি ও জীবিকা রক্ষায় সহায়ক কর্মপরিকল্পনা এবং স্থানীয় সম্পদ ব্যবহারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

আলোচনা সভায় আরও বলা হয়, দুর্যোগ মোকাবিলা ও ঝুঁকি হ্রাসে স্থানীয় বাস্তবতা প্রতিফলন, প্রযুক্তিনির্ভর আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা, নারী, শিশু, প্রবীণ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক সুরক্ষা ব্যবস্থা, দুর্যোগ-পরবর্তী পুনর্বাসন ও টেকসই জীবিকা নিশ্চিতকরণ, দুর্যোগ সহনশীল ও টেকসই রাস্তা, বাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা জরুরি। এজন্য সরকারি সংস্থা, বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন, স্থানীয় প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় জোরদার করা গেলে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল, ইউএন উইমেন এর প্রজেক্ট কনসালটেন্ট রাবেয়া ইমি, ইউএনডিপির প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা সেনাক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার সজীব আহমেদ, নৌপুলিশের এএসপি, র্যাবের এএসপি রিয়াদ, খামারবাড়ী সাতক্ষীরার উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম, বিজিবির শামীম হোসেন ও আব্দুর রশিদ, সাতক্ষীরার প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপ্পী, বিন্দু- নারী উন্নয়ন সংগঠনের পরিচালক জান্নাতুল মাওয়া, উত্তরনের নাজমা আক্তার, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ফরিদা আক্তার বিউটিসহ বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী সংগঠনের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্র্যাকের দুর্যোগ-ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির প্রধান খন্দকার গোলাম তৌহীদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জামায়াতে ইসলামী সব সময় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে: মুহা: আব্দুল খালেক

নিজস্ব প্রতিনিধি : আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখার লক্ষ্যে অত্যন্ত প্রাণবন্ত পরিবেশে পূজা উদযাপন কমিটির সাথে সাতক্ষীরা জামায়াতের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫ টায় জেলা শহরের একটি অভিজাত কনভেশান সেন্টারে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে সাতক্ষীরা পৌর ও সদর জামায়াত।
সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি খোরশেদ আলম ও সদর সেক্রেটারী হাবিবুর রহমান সভাটি সঞ্চালনা করেন । সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ সাতক্ষীরা জেলায় অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা ২ আসনের জামায়াতের এমপি প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন: বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সদর উপজেলার সভাপতি স্বপন কুমার শীল, সাধারণ স্পাদক অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন স, সহভাপতি গোপাল চন্দ্র ঘোষাল, কাটিয়া সার্বজনীন মন্দিরের সভাপতি পৌর চন্দ্র দত, সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের আমীর জাহিদুল ইসলাম। সভায় জেলা, পৌরসভা ও সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জামায়াত নেতৃবৃন্দ পূজা উদযাপন কমিটিকে অনেক ব্যস্ততার পর সংগঠনের আহবানে সাড়া দেয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানান। জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন,“বাংলাদেশে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে এক সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পারস্পরিক সহাবস্থানে বসবাস করে আসছে। জামায়াতে ইসলামী সব সময় এ দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে।”পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকেও দুর্গাপূজার প্রস্তুতি, নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করা হয় এবং সকল ধর্ম—বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করার আহ্বান জানানো হয়। অনুষ্ঠান এক আনন্দঘন পরিবেশে, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার এক উজ্জ্বল নিদর্শন পরিলক্ষিত হয়।

সভা শেষে উভয় পক্ষই জেলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং আসন্ন দুর্গাপূজার নির্বিঘ্নে সফল করতে পরস্পরের সহযোগিতা কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুর্গাপূজার ছুটিতে মনের ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভ থেকে
কে এম রেজাউল করিম, দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত পিকনিক স্পট রূপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্র সেজেছে নতুন রুপে। দর্শণার্থীদের বিনোদন নিশ্চিত করতে নানা প্রস্তুতিতে নতুন রুপে সাজানো হয়েছে দেবহাটা তথা সাতক্ষীরার অন্যতম নান্দনিক ও মনোমুগ্ধকর পিকনিক স্পট রুপসী ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। ইছামতি নদীর কোল ঘেঁষে এ পর্যটন কেন্দ্রটি দুর্গাপূজার উপলক্ষে অপরূপ সাজে সাজানো হয়েছে। উপজেলা সদর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত নদী ইছামতির কোল ঘেঁষে মিনি সুন্দরবন নামে পরিচিত পর্যটন কেন্দ্রটি দর্শণার্থীদের কাছে বেশ পূর্ব থেকেই আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। ম্যানগ্রোভের মধ্যে কেওড়া, গোল, বাইন, কাঁকড়া, নিম, সুন্দরী, হরকচাসহ নানা প্রজাতির গাছ-গাছালীর মধ্যে হরেক রকমের হাঁস, মুরগী, খরগোশ, বানর, পাখি এনে দিয়েছে এক মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশ। নদী ভ্রমণের জন্য আছে নৌকা। স্থলে বেড়ানোর জন্য আছে ঘোড়া।
বাচ্চাদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য ট্রেন, দেখার জন্য আছে বিভিন্ন কাটুন বা ফেস্টুন আর তার সাথে আছে বাগান ভর্তি ফুল। এবারের দুর্গাপূজায় একটু লম্বা ছুটি থাকার কারনে
মিনি সুন্দরবন দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন বিনোদনপ্রেমী আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা। কেউ আসছেন পরিবার পরিচনসহ আবার কেউ আসছেন বন্ধু বা প্রিয় কোন মানুষকে সাথে নিয়ে। এখানে আছে গেস্ট হাউস, নামাজের জায়গা। মহিলাদের নামাজের জন্য আলাদা স্থান আছে। দিন অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে লোকজনের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। দুর্গাপূজার শুরু থেকেই  বিনোদন কেন্দ্রে শতশত মানুষের ভিড় পড়ে যাচ্ছে। এখানে বিভিন্ন জাতের কবুতর, লাভ বার্ড, কোকাটেল, পাজেরিকা, টিয়া, কালিম পাখি, তোতামুখি, ইমু পাখিসহ বহু পাখির আবাসস্থল হয়ে উঠেছে এই ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। উপজেলার সদর ইউনিয়নের শীবনগর এলাকায় তিন নদীর মোহনায় ১৫০ বিঘা জমিতে অবস্থিত এই বনের বুক চিরে প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে অনামিকা লেক, পিকনিক স্পট, শিশুপার্ক, কনফারেন্স রুম, পাকা ট্রেইল, সেলফি পয়েন্ট, প্যাডেল চালিত বোড, ইছামতির পাড়ে বসে সূর্যাস্ত উপভোগের দারুণ সুযোগও এখানে পাচ্ছেন আগত মানুষেরা। সুপেয় পানির ব্যবস্থা ছাড়াও নতুন ভাবে যোগ হচ্ছে রাত্রিযাপনের জন্য কটেজ। নানামূখি বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি করা বনটিতে বর্তমানে এই এলাকার অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
জেলার সদর হতে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দুরে ইছামতি নদীর তীরে শিবনগর মৌজায় অবস্থিত এ বনটি। এটি উপজেলার “রূপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্র” নামে পরিচিত। ইছামতি নদীর তীরে ২০১২ পরবর্তী তৎকালীন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডঃ গোলাম মোস্তফা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনম তরিকুল ইসলামের উদ্যোগে সরকারী খাস জমিতে সুন্দরবনের আদলে গড়ে তোলা হয় এই রুপসী ম্যানগ্রোভকে। ১৮৬৭ সালে টাউনশ্রীপুর গ্রামটিই এক সময় পৌরসভা ছিল। এখানে বাস ছিল প্রায় ১৮জন জমিদার ও বিখ্যাত ব্যক্তির। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর টাউনশ্রীপুর পৌরসভা বিলুপ্ত হয়। জমিদারীত্বের অবসানের পর বিখ্যাত ব্যক্তিরা কোলকাতা বা অন্যান্য বড় শহরগুলিতে চলে যান। ফলে টাউনশ্রীপুরের সেই শ্রী আর ধরে রাখা যায়নি। তবে সেই সব বিখ্যাত ব্যক্তিদের বাসস্থান ও অন্যান্য স্থাপনাগুলি এখনো এই এলাকার প্রত্নতত্ব নিদর্শণ হিসেবে থেকে গিয়েছে। এসব কারনে শুধু ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট নয় টাউনশ্রীপুর এলাকা ঘিরে রয়েছে পর্যটনের ব্যাপক সুযোগ।
ঘুরতে আসা দর্শণার্থীরা জানান, বনটি ইছামতি নদীর পাড়ে হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। এপাশে বাংলাদেশ অপরপাশে ভারত আর মাঝখানে নদী। জায়গাটি অত্যন্ত নিরিবিলি হওয়ায় সব বয়সী মানুষের কাছে প্রিয়। তাছাড়া বিভিন্ন দিবস বা ছুটির দিনে বেশি দুরে না যেয়ে দেবহাটায় এসে সুন্দরবন ভ্রমনেরও স্বাদ পান তারা। নারী ও শিশুদের জন্য স্থানটি খুবই নিরাপদ বলেও দাবি দর্শণার্থীদের। এই স্পটটিতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া ছুটি ও বিভিন্ন উৎসব ঘিরে দিনে ৩/৪ হাজার দর্শণার্থীদের পদাচারনা ঘটে এই বিনোদন কেন্দ্রে। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিলন সাহা জেলার মধ্যে এই রুপসী ম্যানগ্রোভটি সকল শ্রেনীর মানুষের কাছে আকর্ষনীয় ও অন্যরকম অনুভূতির জায়গা উল্লেখ করে জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় এই বিনোদন কেন্দ্রটির নানারকম রুপ দেয়া হচ্ছে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে ।
তিনি বলেন, সীমান্ত সংলগ্ন হওয়ায় প্রশাসনের বিভিন্ন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ এখানে এসে যেমন বিমোহিত হন ঠিক তেমনি সাধারন মানুষও এখানে এসে প্রশান্তি পান। সবদিক বিবেচনা করেই ভ্রমন পিপাসুদের কাছে এই বিনোদন কেন্দ্রটির আকর্ষন অন্যরকম বলে ইউএনও মিলন সাহা জানান। বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার সোহেল বলেন, বিনোদন কেন্দ্রে এসে যাতে কেউ কোন প্রকার হয়রানি না হয় সে ব্যাপারে তাদের স্টাফরা নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছেন। দর্শণার্থীদের বিনোদনের জন্য নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest