সর্বশেষ সংবাদ-
খালেদা জিয়ার রুহের মাগফেরাত কামনায় সাতক্ষীরায় তাঁতীদলের দোয়াসাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ২ বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলসাতক্ষীরা-০১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ’লীগ নেতা মুজিবের মনোনয়ন জমাসাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ

সেই আগের অবস্থা রাজধানীর সড়কে

দেশের খবর: সেই আগের অবস্থা রাজধানীর সড়কে। আগে যাওয়া নিয়ে বাসের রেষারেষি, মাঝখানে দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলা, যত্রতত্র থামানো, চলন্ত অবস্থায় চালকের মোবাইল ফোন ব্যবহার- সবই চলছে। ট্রাফিক সপ্তাহের মধ্যেও ফিটনেসবিহীন লক্কড়ঝক্কড় বাস রাস্তায় দেখা গেছে। অপরদিকে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করে পথচারী পারাপারের প্রবণতাও আছে আগের মতোই।
উল্টোপথে বা ট্রাফিক সিগন্যাল ভেঙে গাড়ি চালানোর ঘটনাও থেমে নেই। অথচ ৫ দিন আগে শিক্ষার্থীরা যখন রাজপথে ছিল, তখন রাজধানীজুড়ে ছিল ভিন্ন চিত্র। নিয়ম মানার প্রবণতা তৈরি করেছিল শিক্ষার্থীরা। তারা ক্লাসে ফিরে যাওয়ার পর সড়কে সেই আগের বিশৃঙ্খলাই ফিরে আসছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় হাইকোর্টের মোড়ে দেখা যায়, সিগন্যাল ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চারটি বাসের মধ্যে আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতা। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিআরটিসিরই দুটি বাসের মধ্যে আগে যাওয়া নিয়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। এ নিয়ে দুই বাসের চালকদের মধ্যে তর্কও হয়।
এ সময় পেছনে থাকা অন্য বাসগুলো বিকট শব্দে হর্ন বাজাতে থাকে। শিক্ষা ভবনমুখী সড়কের আইল্যান্ডে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে দাঁড়িয়ে একজন সার্জেন্ট দুটি বাসের রেষারেষির এ দৃশ্য দেখিয়ে বলেন, এভাবেই দুই বাসের প্রতিযোগিতা ও ঘষাঘষিতে প্রথমে হাত হারায় কলেজছাত্র রাজিব। পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ফার্মগেট, পল্টন, কুড়িলসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্পট ঘুরে দেখা যায় আগের মতোই রেষারেষি করে বাস চলছে। বেশি যাত্রী পেতে একটি বাস আরেকটি বাসের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিও করছে। পুলিশের সামনেই ভাঙাচোরা বাসও চলাচল করছে। শুধু তা-ই নয়, সিটিং সার্ভিসের নামে যেসব গাড়ি চলে সেগুলো দাঁড়িয়ে যাত্রী নিচ্ছে।
এসব দেখে হতাশার কথা জানান সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সড়ক নিরাপত্তাকর্মী ও বিভিন্ন পেশার মানুষ। তারা বলেন, শিশুদের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন সবার মনে ধাক্কা দিয়েছে। আন্দোলন চলাকালে সবার চেতনায় শানিত ভাব লক্ষ করা যায়, কিন্তু কয়েক দিনেই যেন তা ভোঁতা হয়ে যেতে শুরু করেছে।
তবে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একেবারেই হতাশ নন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা। সমাজচিন্তক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুদের আন্দোলনে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি লাভ হয়েছে। সবচেয়ে বড় লাভ হয়েছে, তারা যে জেগে আছে, সে বার্তা। এদেশ নিয়ে বড়দের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করে দিয়েছে তারা। বাচ্চারা বড়দের কাজ করে ক্লাসে ফিরে গেছে। এখন বড়দের প্রত্যয় নিয়ে বাচ্চাদের চিন্তা ধার করে বাস্তবায়ন করতে হবে। সড়কে দিন দিন আগের পরিস্থিতি ফিরছে- এমন মন্তব্য আমি করব না। কেননা চালকদের আগের চেয়ে সচেতন মনে হচ্ছে। আগের মতো পাগলাটে প্রতিযোগিতা নেই। তবে যেটুকু বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে, সেটা বাড়তে না দেয়ার দায়িত্ব সরকারের। পাশাপাশি মালিকরা অতিমুনাফার চিন্তা বাদ দিলে আর শ্রমিকরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে পরিবহন খাতে সমস্যা একসময় দূর হবে।’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘শিশুদের মুখে উঠে আসা দাবিগুলো এদেশের গণমানুষেরই দাবি। তারা শুধু দাবি তুলেই ক্ষান্ত হয়নি, চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কী করে আইন বাস্তবায়ন করতে হয়। শিশুরা তাদের স্বপ্নের কথা জানিয়ে দিয়ে গেছে। জাতি ও দেশের প্রতি তাদের আস্থা ও শ্রদ্ধা অটুট রাখতে এখন রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও যথাযথ উদ্যোগের মাধ্যমে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কী করতে হবে, সেটা সরকার জানে।’
সড়কে আগের সেই চিত্র ফিরে আসার বিষয়ে হাইকোর্ট মোড়ে কর্মরত পুলিশের এসআই মেহেদী ও কুড়িলে কর্মরত এএসআই আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ফিটনেস সনদ থাকলে এসব গাড়ি আমরা জব্দ করতে পারি না। তবে বিভিন্ন ত্র“টির কারণে মামলা দিচ্ছি। আসলে পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনতে সকলের সচেতনতা দরকার।’
আলাপকালে পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিবহন খাতে নানা নৈরাজ্যের জন্য বিআরটিএর অনিয়ম ও দুর্নীতি অনেকটা দায়ী। রাজধানীর তিনটি স্পটে তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা লক্কড়ঝক্কড় বাস দেখিয়ে বলেন, এসব বাস কীভাবে ফিটনেস সনদ পেল। কোনো বাসের পেছনের সিগন্যাল লাইট নেই, আবার কোনোটির সামনের লাইট নেই। প্রায় সব বাসেই নির্দিষ্ট সংখ্যার চেয়ে বেশি আসন বসানো হয়েছে। অনেক গাড়ির সিটও ভালো নয়। কিছু গাড়ির ইঞ্জিনও ভালো নয়; প্রায়শ রাস্তায় নষ্ট হচ্ছে। অথচ ফিটনেস সনদ থাকায় এসব গাড়ি আমরা জব্দ করতে পারছি না।’
জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সচিব মোহাম্মদ শওকত আলী বলেন, ‘মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ অনুযায়ী প্রতি বছর একবার গাড়ি পরীক্ষা করে ফিটনেস সনদ দেয় বিআরটিএ। বাকি দিনগুলো গাড়ি ফিট রাখা মালিক ও চালকের দায়িত্ব। তবে আমরা সারা বছরই ৫-৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করে থাকি। আমি মনে করি, এ ব্যাপারে পুলিশেরও দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা উচিত।’
বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহের অংশ হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনের ফিটনেস সনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রুট পারমিটসহ অন্যান্য কাগজপত্র পরীক্ষা চলছে। তাই আগের চেয়ে যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার হার দ্বিগুণ বেড়েছে। পথচারীদের ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার বাড়াতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। পাশাপাশি বিআরটিএ বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে।
বুয়েটের এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (এআরআই) অধ্যাপক মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, ‘আন্দোলনের পরপরই ট্রাফিক সপ্তাহে মামলা, ডাম্পিং আর জরিমানার ঘটনা বেশি ঘটছে। আন্দোলনের আগে পরিবহন খাতে যে বিশৃঙ্খলা ছিল, তা এখনও আছে। পরিবহন খাতের উন্নয়ন ও শৃঙ্খলা আনতে পরিকল্পিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ দরকার।’
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর পরিবহন দুর্ঘটনা কমাতে বৃহস্পতিবার থেকে চালককে চুক্তিতে বাস চালাতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু বেশিরভাগ বাস ওই সিদ্ধান্ত মেনে চলেনি। এ কারণে ৫টি কোম্পানির সমিতির সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
এদিকে সড়কে বিশৃঙ্খলার জন্য পথচারীও কম দায়ী নন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, নানা পদক্ষেপের পরও ঝুঁকি নিয়ে চলছেন যাত্রীরা। বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে, ১০ গজ দূরে ফুটওভার ব্রিজ থাকা সত্ত্বেও হাতে গাড়ি থামিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে। কোথাও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদেরও এমন কাজ করতে দেখা গেছে। অনেক স্থানে দৌড়ে বাসে উঠছেন যাত্রীরা। বিপরীত দিকে বাসের হেলপাররাও রাস্তার পাশে না থামিয়ে সড়কের ভেতরে রাখছেন গাড়ি। সেখানে যাত্রী তুলছেন। চলন্ত অবস্থায় যাত্রী টেনে তুলতেও দেখা যাচ্ছে। চলন্ত অবস্থায় মোবাইলে কথা বলতেও দেখা গেছে চালকদের।
নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের পথিকৃৎ চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, চালক, মালিক, পথচারী যার ব্যাপারেই বলেন না কেন, অনেক অনিয়ম আমাদের মজ্জাগত হয়ে গেছে। এটা দূর হতে সময় লাগবে। তবে শিশুরা ওই মজ্জায় আঘাত করে গেছে। চেতনা কিছুটা ফিরেছে। বাকিরা আইন প্রয়োগ করে বাস্তবায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে পথচারীকে জরিমানার আওতায় আনতে হবে। বাকিদের ব্যাপারে আইন তো আছেই। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নমত পোষণ করেন কলেজ শিক্ষক আকলিমা বেগম। তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কায় দেখেছি, একজন মানুষ জেব্রা ক্রসিংয়ে নামলেই গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। আমাদের দেশেও চালকদের প্রশিক্ষণে এই বিষয়টা বলতে হবে যে, সবার আগে মানুষ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এই ঈদেও পাঁচ ছবি!

এই ঈদেও পাঁচ ছবি!

কর্তৃক daily satkhira

বিনোদনের খবর: সপ্তাহ দুই পরেই ঈদ। এবারের ঈদেও বিনোদনের বড় মাধ্যম হয়ে উঠবে বাংলা সিনেমা। ঈদের তালিকায় থাকা সব ছবির শুটিং শেষ। শেষ মুহূর্তে চলছে মুক্তির প্রস্তুতি। তাই চলচ্চিত্রপাড়ায় এখন ঈদের আমেজ। ঈদের ছবির খবরাখবর থাকছে এখানে। গত ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া পোড়ামন ২, সুপার হিরো, চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্যা মাইয়া, পাঙ্কুজামাই ছবি দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে চলছে এখনো। সামনে ঈদুল আজহা। এরই মধ্যে ঈদে ছবি মুক্তির ঢেউ ছড়িয়েছে সিনেমাপাড়া খ্যাত ঢাকার কাকরাইল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে। ঈদের ছবির ছোট-বড় নানা রঙের পোস্টার, ব্যানার ও বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে কাকরাইলের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গার নির্ধারিত প্রেক্ষাগৃহগুলো। ঈদের ছবি ঘিরে প্রেক্ষাগৃহের মালিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা, বুকিং এজেন্টদের আনাগোনা বেড়েছে কাকরাইলের সিনেমা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের অফিসগুলোতে। কত টাকায় এমজি (মিনিমাম গ্যারান্টি), কত কমিশনে ছবি প্রেক্ষাগৃহে উঠবে তা নিয়ে হলের মালিক ও প্রযোজকদের মধ্যে চলছে দর-কষাকষি।
ঈদুল ফিতরের পরপরই ঈদুল আজহার ছবির হিসাব-নিকাশ শুরু হয়েছিল চলচ্চিত্রপাড়ায়। সপ্তাহ দুয়েক আগেও শোনা গিয়েছিল আগামী ঈদে সাতটি ছবি মুক্তি পাবে। এ তালিকায় ছিল—ক্যাপ্টেন খান, বেপরোয়া, মনে রেখ, জান্নাত, আমার প্রেম আমার প্রিয়া, নোলক ও মাতাল। কিন্তু এরই মধ্যে নোলক ঈদের তালিকা থেকে সরে গেছে। মাতাল ঈদে মুক্তি পাবে কি না তা নিয়ে এখনো দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন ছবির পরিচালক শাহিন সুমন। তিনি বলেন, এখনো ছবির একটি গান শুটিং করতে বাকি। তা ছাড়া ছবির আবহ সংগীতের কাজ চলছে।
শাকিবের দুইয়ের বেশি ছবি থাকলেও গত দুই বছরে ঈদে বুবলীর দুটি করে ছবি মুক্তি পায়। কিন্তু এবারের ঈদে এই দুই তারকার একটি করে ছবি মুক্তি পাচ্ছে। নোলক তালিকা থেকে সরে যাওয়ায় শাকিব খানের প্রতিদ্বন্দ্বী শাকিব খান নয়, অন্য তারকারা। ক্যাপ্টেন খান ছবির সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো বড় তারকার কোনো ছবি এই ঈদে মুক্তির তালিকায় নেই। ঈদে একটি ছবি মুক্তি পেলেও বেশ খুশি শাকিব ও বুবলী।
শাকিব খান বলেন, ‘দুটি ছবি থাকলে ভালো হতো। ঈদের সময় মানুষ হলে হলে ঘুরে সিনেমা দেখেন। তখন সিনেমার বাড়তি দর্শক তৈরি হয়। মোটকথা সিনেমার বাজার বাড়ে। এ ধরনের উৎসবে একজন অভিনেতার কয়েকটি ছবি থাকলে তাঁর নিজের জন্য যেমন ভালো, প্রযোজকেরাও লাভবান হন।’মাহি অভিনীত অগ্নি ২ মুক্তি পায় ২০১৫ সালের ঈদে। এর পর আর ঈদের ছবিতে দেখা যায়নি এই তারকাকে। এবারের ঈদে একসঙ্গে দুটি ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে এই নায়িকার। জান্নাত ও মনে রেখ ছবির নায়িকা মাহি। দীর্ঘদিন পর ঈদে মাহির ছবি দুটিতে তাঁর ভক্তদের আলাদা আগ্রহ থাকবে। মাহি নিজেও ছবি দুটি নিয়ে আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন হলো ঈদে আমার কোনো ছবি নেই। এবার দুটি ছবি মুক্তি পাচ্ছে। বিষয়টি আমার জন্য আনন্দের। ছবি দুটি আমার ভক্ত-দর্শকেরও ঈদে বাড়তি আনন্দ দেবে বলে মনে করছি।’ জান্নাত ছবিতে মাহির বিপরীতে আছেন সায়মন সাদিক এবং মনে রেখ ছবিতে কলকাতার বনি সেনগুপ্ত।ঈদের আর বেশি দিন বাকি না থাকলেও ইউটিউবে এখনো ঈদের আমেজ লাগেনি। ঈদে মুক্তি চূড়ান্ত ছবিগুলোর মধ্যে মাত্র আমার প্রেম আমার প্রিয়া ছবির ‘টেরাম টেরাম’একটি গান ইউটিউবে ছাড়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্য কোনো ছবির টিজার, ট্রেলার ইউটিউবে এখনো দেখা যাচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিগগিরই ক্যাপ্টেন খান, মনে রেখ ও বেপরোয়া ছবির গান ও টিজার প্রকাশের কথা বলেছে ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো। বেপরোয়া ছবির প্রযোজক আবদুল আজিজ বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের এই অস্থির অবস্থা কাটলেই টিজার ও গানগুলো একে একে ইউটিউবে ছাড়ব।’ঢাকার চলচ্চিত্রে বেশ কয়েক বছর ধরেই শাকিব খানের ছবি মুক্তি মানেই হলো মালিক, পরিবেশক ও দর্শকদের বাড়তি আগ্রহ তৈরি করে। ঈদের সময় আগ্রহ আরও বাড়ে। আগেভাগেই শাকিব খান অভিনীত ছবির ঘরে হলের মালিক, কর্মকর্তা, পরিবেশক ও এজেন্টদের আনাগোনা শুরু হয়। শুরু হয় অগ্রিম হল বুকিং। এই ঈদেও ব্যতিক্রম ঘটছে না। এরই মধ্যে ক্যাপ্টেন খান ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কার্যালয়ে ভিড় শুরু হয়ে গেছে। সর্বাধিক হলে মুক্তি পেতে পারে ছবিটি। জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত বেপরোয়া ছবিরও বুকিং শুরু হয়েছে। জাজ জানিয়েছে, প্রায় ৮০টি হলে বেপরোয়া মুক্তির পরিকল্পনা আছে তাদের।
বাকি ছবিগুলোর বুকিং এখনো শুরু না হলেও মনে রেখ ৪০টি, জান্নাত ৩৫টি আমার প্রেম আমার প্রিয়া ৩০টি হলে মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলেজ শিক্ষকের মাসিক বেতন মাত্র ১৭৯ টাকা

দেশের খবর: দেশে শিক্ষার বিস্তার ঘটেছে। বেড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও। এর মধ্যেও এক শ্রেণির শিক্ষকের দুঃখ ঘুচছে না কিছুতেই। অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য, এক শ্রেণির কলেজ শিক্ষকের মাসিক বেতন এখনও মাত্র ১৭৯ টাকা ৪০ পয়সা। গত ৪১ বছরে ২৯ টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে এই অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। আন্দোলন না করলেও আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার তাগিদেই বেতন বাড়ানোর দাবি করেছেন এই বঞ্চিত শিক্ষকরা। তারা সংস্কৃত ও পালি ভাষার শিক্ষক।
মৌলভীবাজারের নিত্যানন্দ সংস্কৃত মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বরুণ ভট্টাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণী বিজ্ঞানে অনার্স এবং ফিসারিজ থেকে মাস্টার্স শেষ করে ব্যাকরণ ও কাব্যতীর্থ নিয়ে পড়াশোনা করেন। লেখাপড়া শেষ করে নিত্যানন্দ সংস্কৃত মহাবিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন ২০১২ সালে। তিনি জানান, চাকরিতে যোগ দিয়ে প্রথম বেতন পান ১৪৯ টাকা ৫০ পয়সা। ২০১৫ সালে জাতীয় বেতন স্কেল নির্ধারণের সময় সরকার তার বেতন ২৯ টাকা ৯০ পয়সা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে ১৭৯ টাকা ৪০ পয়সা। সেই বেতন নিয়ে সংস্কৃত ভাষা সংরক্ষণে নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন শিক্ষকতার মহান পেশায়। এখন তিনি কলেজটির অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন।
বরুণ ভট্টাচার্য বলেন, ‘সংস্কৃত ও পালি ভাষা দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এটিকে ধরে রাখতে শিক্ষকতা শুরু করি। বেতন না পেয়ে চলতে কষ্ট হয়। তারপরেও ভাষা ও পুরনো সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে শিক্ষকতা করছি। শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যাবো।’
রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার বিনাপানী সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক তপন কুমার সাহার অবস্থাও একই। তিনি জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন দিনাজুরের একটি কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন। কাব্য ও ব্যকরণতীর্থ, স্মৃতি, বেদান্ত এবং পৌরহিত্য বিষয় নিয়ে লেখাপড়া শেষ করে বিনাপানী সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন।
তপন কুমার সাহা বলেন, ‘আমি ১৫ বছর ধরে শিক্ষকতা করছি। কাব্যতীর্থ, ব্যকরণতীর্থ, স্মৃতি বিষয়ে ছাত্রদের পড়াই। আগে বেতন পেতাম ১৪৯ টাকা ৫০ পয়সা, এখন বেতন পাই ১৭৯ টাকা ৪০ পয়সা। তবে বেতন মুখ্য বিষয় না ভেবে বিলুপ্তপ্রায় সংস্কৃত ও পালিভাষাসহ সনাতন ঐতিহ্য ধরে রাখতে শিক্ষককতা করে যাচ্ছি। বর্তমানে কলেজটির অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছি।’
সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা জানান, এসএসসি পাসের পর তিন বছরের ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হন শিক্ষার্থীরা। তাদের পড়ানো হয়— কাব্যতীর্থ, ব্যাকারণতীর্থ, আয়ুর্বেদতীর্থ, পুরাণ, জ্যোতিঃশাস্ত্র, স্মৃতি, বেদ ও বেদান্ত বিষয়ে। এই কলেজ থেকে পাস করে শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হিন্দুধর্মের শিক্ষক হিসেবেই বেশি যোগদান করে।
শিক্ষকরা আরও জানান, সংস্কৃত ও পালি কলেজ থেকে কাব্যতীর্থ বা ব্যাকরণতীর্থ পাস করলেই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারেন। তবে বেদ, বেদান্ত, স্মৃতিসহ অন্যান্য বিষয়ে যারা পড়েন, তারা বেশি গুরুত্ব পান। পুরাণ বিষয়ে পাস করা শিক্ষার্থীরা বিয়ের নিবন্ধন করার যোগ্যতা অর্জন করেন। জ্যোতিঃশাস্ত্র নিয়ে যারা পাস করবেন, তারা জ্যোতির্বিদ হতে পারেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের পর এসব শিক্ষককরা বেতন পেতেন ১১৫ টাকা। ১৯৭৭ সালে নতুন বেতন স্কেল নির্ধারণের সময় স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের বেতন স্কেল নির্ধারিত হলেও তাদের হয়নি। ওই সময় ৩০ শতাংশ মহার্ঘভাতাসহ ১৪৯ টাকা ৫০ পয়সা আর কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বেতন ৩০ শতাংশ মহার্ঘভাতাসহ ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ৪২ বছর পর গত ২০১৫ সালে বেতন বাড়িয়ে সরকার নির্ধারণ করে ১৭৮ টাকা ৪০ পয়সা। আর কর্মচারীদের বেতন বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭৮ টাকা। অর্থাৎ ৪২ বছরে শিক্ষকের বেতন বেড়েছে ২৯ টাকা ৯০ পয়সা এবং কর্মচারীদের বেতন বেড়েছে ১৮ টাকা।
স্বাধীনতার পর যখন এসব শিক্ষকদের ১৪৯ টাকা ৫০ বেতন নির্ধারণ করা হয়, ওই সময় সরকারি কলেজের প্রভাষকদের বেতন ছিল ৪৫০ টাকা। আর বেসরকারি পর্যায়ে একজন প্রভাষকের বেতন ছিল ৩৭৫ টাকা। এখন সরকারি ও বেসরকারি কলেজের প্রভাষকদের মাসিক বেতন স্কেল ২২ হাজার টাকা। কিন্তু সংস্কৃত ও পালি শিক্ষকদের বেতন-ভাতার কোনও পরিবর্তন হয়নি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) সূত্রে জানা গেছে, এই শিক্ষকদের বেতন বাড়াতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এসব শিক্ষকদের বেতন-কাঠামোর আওতায় আনতে মাউশির মহাপরিচালকের কাছে বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড একটি প্রস্তাব পাঠায়। ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী সনাতন পদ্ধতির সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় নিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান। এর আগেও বিভিন্ন সময় কয়েক দফা শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন স্কেলের আওতায় নিতে প্রস্তাব করা হয়। ওই প্রস্তাবে বলা হয়, জাতীয় বেতন স্কেল নির্ধারণ হওয়ার আগে কলেজের অধ্যক্ষদের পাঁচ হাজার টাকা, অধ্যাপকদের চার হাজার টাকা এবং কর্মচারীদের দুই হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয় সরকারের কাছে।
এর পর গত বছরের ১০ অক্টোবর মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে একটি বেতন কাঠামো তৈরি করে বিষয়টি বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানান। এর প্রায় একবছর পর গত ৭ আগস্ট এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
মাউশির পরিচালক অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নানের প্রস্তাব অনুযায়ী প্রস্তাবিত কাঠামোতে অধ্যক্ষের মাসিক বেতন ধরা হয়েছে ২৯ হাজার টাকা,আর অধ্যাপকদের বেতন ধরা হয়েছে ১৬ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব সালমা জাহান বলেন, ‘আমরা শিক্ষা বোর্ডকে দেশের সংস্কৃত ও পালি কলেজগুলোর কাছে যাবতীয় তথ্য চাইবো। এ তথ্য পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সরকার।’
মাউশির পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমরা দেখবো কলেজগুলোতে স্ট্যান্ডার্ড মান বজায় রাখা হয় কিনা। পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচি ঠিক রয়েছে কিনা, সব প্রতিষ্ঠানে ঠিকমতো ছাত্র রয়েছে কিনা। এসব যাচাই করার পর যদি মান ঠিক থাকে, তাহলে বেতন কাঠামো নির্ধারণ করবে সরকার।’
উল্লেখ্য, সারা দেশে এমন কলেজ রয়েছে ২২৭টি। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ৬১৪ জন ও ২২৭ জন কর্মচারীসহ মোট ৮৪১ জন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট অক্টোবরে চালু হচ্ছে

দেশের খবর: অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে চালু হচ্ছে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠানটির সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ইনস্টিটিউটের কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। ১৭তলা ভবনের নির্মাণ কাজ প্রায় পুরোটাই হয়ে গেছে। এখন যন্ত্রপাতি আসা শুরু হয়েছে। দেশের বাইরে থেকে যেসব যন্ত্রপাতি আসবে সেগুলোর ইন্সপেকশনও হয়ে গেছে।
ডা. সেন বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি আমাদের বলেছেন— এটা যেন দেশের একটি সর্বাধুনিক হাসপাতাল হয়। এতে যেন কোনও ধরনের অবহেলা না থাকে। এটা যেন উদাহরণ দেওয়ার মতো একটি হাসপাতাল হয়। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের চিফ আমার সঙ্গে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন— অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তিনি এটির উদ্বোধন করবেন।’
চিকিৎসকরা বলছেন, প্রায় দুই একর জমির ওপর নির্মিত এই ইনস্টিটিউট চালু হলে এটি সর্বাধুনিক শিক্ষা, চিকিৎসা ও সেবার ক্ষেত্র তৈরি করবে। মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা তাদের উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবেন, পাশাপাশি তারা বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবেন। এখানে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির উন্নততর চিকিৎসার সুযোগ পাবেন রোগীরা।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহুতল এই প্রতিষ্ঠানটিতে থাকবে ১০০টি কেবিন, ৬০টি বেডের হাইডেফিসিয়েন্সি ইউনিট (এইচডিইউ), ৪০ বেডের আইসিইউ, ১২টি অপারেশন থিয়েটার এবং পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডসহ সব ধরনের পরীক্ষার অত্যাধুনিক ব্যবস্থা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৫০০ বেডের এই হাসপাতাল প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। পুরনো ঢাকার চাঁনখার পুলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাশেই নির্মিত হয়েছে হাসপাতালটি। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাব্য সময় ২০১৮ সালের ডিসেম্বর। প্রকল্পটির তত্ত্বাবধান করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বার্ন ইউনিটের যোগাযোগের জন্য ফ্লাইওভারও নির্মাণ করা হবে। এটি হবে বিশ্বের অন্যতম বড় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট।’ তিনি বলেন, ‘আমি প্রথমে পাঁচটি শয্যা নিয়ে এই হাসপাতালে (ডিএমসিএইচ) বার্ন ইউনিটের যাত্রা শুরু করেছিলাম। পরে তা ২০টিতে উন্নীত হয়। সেখান থেকে বার্ন ইউনিট এখন একটি ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট পুর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউটে পরিণত হতে যাচ্ছে। এটি চালু করতে পারলে আমার জীবনের অনেক বড় একটি স্বপ্ন পূরণ হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাকিস্তানকে গুণে গুণে ১৪ গোল দিল বাংলাদেশ

খেলার খবর: সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিলো বাংলাদেশ। এবারও শিরোপার দাবিদার গত আসরের দুই ফাইনালিস্ট।

ভুটানের থিম্পুতে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১২-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। পরের ম্যাচেই পাকিস্তানকে উড়িয়ে দেয় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো অংশ নেয়া পাকিস্তানের জলে গুনে গুনে ১৪টি গোল দিয়েছে তহুরা, মারিয়ারা।

পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক মারিয়া মাণ্ডা বলেছিলেন, আমরা এখানে শিরোপার জন্য এসেছি। দেশে আমার কোচের অধীনে অনেক কঠোর পরিশ্রম করেছি। পাকিস্তানের বিপক্ষে জেতার আত্মবিশ্বাস আমাদের আছে। প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বলে আমাদের ওপর কোনো চাপ নেই। সবাই ফিট ও মানসিক ও শারীরিকভাবে শক্তিশালী আছে, একটা দলের খেলে জেতার জন্য প্রস্তুত আছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাতীয় শোক দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রস্তুতি সভা

 

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষ্যে ৯ আগস্ট’১৮ তারিখ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা মীর মোস্তাক আলী। সভার শুরুতে নিরাপদ সক আন্দোলনের নামে ধানমন্ডি আওয়ামীলীগ অফিসে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী হামলায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আরাফাত ইসলাম বাপ্পীসহ ১৮জন নেতাকর্র্মী আহত হওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সভায় জাতির জনকের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা, এড. সাহিদুজ্জামান জিকো, অরুন কুমার ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান টিটু, আয়েশা সিদ্দিকা, এড. ফারুক হোসেন, জাহাঙ্গীর কবির, মাজাহারুল ইসলাম জীবন, আক্তারুল, জজ, রনি, হযরত, জাহাঙ্গীর প্রমুখ। সভায় জাতীয় মোক দিবসে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের উদ্যোগে সারাদিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার, কুরআন খতম ও গণভোজ উল্লেখযোগ্য। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বায়স্কোপে ফ্রি দেখা যাবে ‘ঢাকা অ্যাটাক’

বিনোদনের খবর: দেশে এবং বিদেশের প্রেক্ষাগৃহে সফলতার পর এবার অনলাইন প্লাটফর্মে দেখা যাবে নির্মাতা দীপংকর দীপন পরিচালিত গত বছরের আলোচিত বাংলা চলচ্চিত্র ‘ঢাকা অ্যাটাক’। চলচ্চিত্রটি গত বছরের ৬ অক্টোবর দেশের ১২৩টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। দর্শক প্রিয়তায় অন্যরকম পর্যায়ে যাওয়া ছবিটি টানা ১০০ দিন প্রেক্ষাগৃহে চলেছে। আর দেশের বাইরেও ছিল এর জয়জয়কার।
ভিডিওনির্ভর সাইট বায়স্কোপ-এ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১২ আগস্ট। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এর পরিচালক দীপংকর দীপন ও চিত্রনাট্যকার সানী সানোয়ার।
তারা জানান, আগে থেকেই বায়স্কোপের সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়েছিল। সে অনুযায়ী ছবিটি এবার মুক্তি পাচ্ছে সেখানে। যেখানে বাংলাদেশের দর্শকরা কোনও চার্জ (ফ্রি) ছাড়াই দেখতে পারবেন।
‘ঢাকা অ্যাটাক’ দেশের প্রথম পুলিশ অ্যাকশন থ্রিলার। বোম নিষ্ক্রিয় ইউনিটের সদস্য, পুলিশ কমিশনার, সোয়াত ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা, সাংবাদিক সব ধরনের চরিত্রই আছে ছবিটিতে। অ্যাকশন দৃশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে পুলিশের ব্যবহৃত ৪৫ পাউন্ড ওজনের বোমা স্কোয়াডের বিশেষ পোশাক ও পাঁচ কিলোগ্রাম ওজনের হেলমেট।
‘ঢাকা অ্যাটাক’ দীপংকর দীপনের প্রথম ছবি। একদল চৌকস পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান নিয়ে বানানো হয়েছে সিনেমাটি।
সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ, মাহিয়া মাহি, এবিএম সুমন, শতাব্দী ওয়াদুদ, আলমগীর, আফজাল হোসেন, কাজী নওশাবা আহমেদ, সৈয়দ হাসান ইমাম, শিপন মিত্র এবং খল চরিত্রে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি তাসকিন রহমাআ
‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির মূল ভাবনা ও কাহিনি রচনা করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি সানী সানোয়ার। ‘ঢাকা অ্যাটাক’ যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে স্প্ল্যাশ মাল্টিমিডিয়া, ঢাকা পুলিশ পরিবার কল্যাণ সমিতি লি. ও থ্রি-হুইলারস লিমিটেডে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জনতা ব্যাংকের ৫ হাজার কোটি টাকা জালিয়াতিতে সাবেক এমডির হাত!

দেশের খবর: জনতা ব্যাংকের প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা জালিয়াতি করেছে ক্রিসেন্ট গ্রুপ। আর এ ঘটনায় যোগসাজশের জন্য ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুস সালামকে দায়ী করেছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ। শুধু তাই নয়, সাবেক এই এমডির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়েছে জনতা ব্যাংকের বর্তমান পর্ষদ। জনতা ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
ব্যাংকের এমডির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সরকারি কোনও ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সুপারিশ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর দৃষ্টান্ত এই প্রথম। অতীতে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক এই ধরনের চিঠি পাঠিয়ে এমডিদের অপসারণ করতো। সর্বশেষ অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক এমডি সৈয়দ আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তার আগে বেসিক ব্যাংকের সাবেক এমডি কাজী ফকরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল।
জনতা ব্যাংক থেকে গত সপ্তাহে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে সাবেক এমডি ছাড়াও তিন ডিএমডির বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে ব্যাংকটির সাবেক এমডি আবদুস সালামকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। তাকে মোবাইলে এসএমএস দেওয়ার পরও কোনও জবাব দেননি।
এদিকে, বুধবার (৮ আগস্ট) অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির বোর্ডসভাতেও অনিয়ম ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান লুনা শামসুদ্দোহার সভাপতিত্বে বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিষয়টি জানতে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান লুনা শামসুদ্দোহা ও বর্তমান এমডি আব্দুছ ছালাম আজাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন ধরেননি। একইভাবে এসএমএস পাঠালেও তারা কোনও সাড়া দেননি। তবে ব্যাংকটির পর্ষদের কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন, দুপুরে শুরু হওয়া বোর্ডসভা রাত আটটা পর্যন্ত চলার কারণে তারা ফোন রিসিভ করেননি।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন,রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে ডোবানোর পেছনে অসৎ এমডিরাই অনেকাংশে জড়িত। তিনি বলেন,‘যেসব এমডির কারণে ব্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের কেবল অপসারণ করলে হবে না,তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তবেই ব্যাংকে অপরাধপ্রবণতা কমে আসবে।’
এর আগে ক্রিসেন্ট গ্রুপের পাঁচ হাজার কোটি টাকা জালিয়াতির ঘটনায় পরিচালনা পর্ষদ থেকে একটি তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সেই তদন্ত প্রতিবেদনে সাবেক এমডি আবদুস সালাম ও তিনজন ডিএমডির বিরুদ্ধে চরম দায়িত্বহীনতার অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং রীতিনীতি লঙ্ঘন করে পর্ষদকে এড়িয়ে এই তিন কর্মকর্তা ক্রিসেন্ট গ্রুপকে বেআইনিভাবে ঋণ সুবিধা দিয়েছেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রিসেন্ট গ্রুপকে ঋণ হিসেবে দেওয়া অর্থের প্রায় সবই নগদ তুলে নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখার ভল্টে নগদ টাকার ধারণক্ষমতা তিন কোটি টাকা। এ কারণে গ্রাহককে ঋণের টাকা দিলকুশা স্থানীয় কার্যালয় শাখা ও মোহাম্মদপুর শাখা থেকে তোলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ ব্যাংকের পর্ষদকে জানানো হয়নি। শুধু তাই নয়,সীমাতিরিক্ত ঋণ বিতরণ করলেও পর্ষদকে জানায়নি, এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনও নেওয়া হয়নি।
এদিকে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুস সালাম, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) জাকির হোসেন ও ইসমাইল হোসেনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে। অবশ্য পর্ষদের কাছে সাবেক এমডি আবদুস সালাম যে জবাব দিয়েছেন তা পর্ষদ গ্রহণ করেনি বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ক্রিসেন্ট গ্রুপ ২০১৩ সাল থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নেওয়া শুরু করে। ২০১৪ সালে এসে ব্যাপকতা বাড়তে থাকে। ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে গ্রাহককে সবচেয়ে বেশি ঋণ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, আবদুস সালাম জনতা ব্যাংকের এমডি পদ থেকে গত বছরের ২৭ অক্টোবর অবসরে যান। ২০১৪ সালের ২৮ অক্টোবর এমডি পদে যোগ দিয়েছিলেন আবদুস সালাম।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,চামড়া খাতের কোম্পানি ক্রিসেন্ট লেদারের রফতানির অর্থ দেশে না আসলেও নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করে একের পর এক বিল কিনেছে জনতা ব্যাংক। ভুয়া রফতানি বিল কিনে গ্রুপটির হাতে নগদে টাকা দিয়েছে জনতা ব্যাংক। এখন রফতানির টাকা ফেরত আসছে না। এর বাইরে সরকারের নগদ সহায়তা তহবিল থেকেও ক্রিসেন্ট গ্রুপ নিয়েছে এক হাজার ৭৫ কোটি টাকা। বিদেশে রফতানির একহাজার ২৯৫ কোটি টাকা আটকা রয়েছে। সব মিলিয়ে গ্রুপটি সরকারি ব্যাংক ও সরকারের তহবিল থেকে ২০১৩ সাল থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত পাঁচ বছরে নিয়ে নিয়েছে পাঁচ হাজার ১৩০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির রফতানির বিপরীতে সৃষ্ট ৫৭০টি বৈদেশিক বিনিময় বিল ক্রয় (এফডিবিপি) করে গ্রাহককে এক হাজার ১৩৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়। আগের বিল মেয়াদোত্তীর্ণ থাকা অবস্থায় পরের বিল কেনার নিয়ম না থাকলেও তা কেনা হয়েছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারপ্রেস নেটওয়ার্কের (আইপিএন) এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ব্যাংকের অধিকাংশ অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের এমডির জ্ঞাতসারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এমডির প্রভাবেও শাখার কর্মকর্তারা অসৎ পন্থা অবলম্বন করেছেন। ২০১৬ সালে প্রতিবেদনটি তৈরি করে আইপিএন। রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের ৫ ব্যাংকসহ বেসরকারি খাতের খেলাপিতে শীর্ষে থাকা ১০ ব্যাংকের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। এই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকের কোনও না কোনও কর্মকর্তার সম্পৃক্ততার কারণেই নাম সর্বস্ব বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঋণ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest