সর্বশেষ সংবাদ-
খালেদা জিয়ার রুহের মাগফেরাত কামনায় সাতক্ষীরায় তাঁতীদলের দোয়াসাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ২ বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলসাতক্ষীরা-০১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ’লীগ নেতা মুজিবের মনোনয়ন জমাসাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ

সংসদ ভবনের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে পরামর্শ

দেশের খবর: সংসদ সদস্য, সদস্য ভবন ও সংসদ ভবনের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে জাতীয় সংসদের সংসদ কমিটির সভায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সংসদ ভবনে বৃহস্পতিবার কমিটির সভাপতি চিফ হুইপ আ. স. ম ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সার্জেন্ট অ্যাট আর্মসকে এ ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
কমিটির সদস্য মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, নূর-ই-আলম চৌধুরী, মোছা. মাহাবুব আরা বেগম গিনি, পঞ্চানন বিশ্বাস, তালুকদার মো. ইউনুস এবং নাজমুল হক প্রধান অংশগ্রহণ করেন।
সভার শুরুতেই শোকের মাস আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দ, যারা ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার পরাজিত শত্রু ও তাদের দেশি- বিদেশি দোসরদের ষড়যন্ত্রে ঘাতকের বুলেটে নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
সভায় কমিটির ১২তম বৈঠকের সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সভায় জাতীয় সংসদের সার্বিক নিরাপত্তা, সংসদ সদস্যদের নিরাপত্তা, সদস্য ভবনের নিরাপত্তা, সদস্যদের জন্য সুযোগ-সুবিধা, সংসদ ভবনের পরিচ্ছন্নতা, সংসদ ভবনের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক নিয়োগের বাস্তব অবস্থা এবং পিডাব্লিউডি থেকে সংসদে যে সব কাজকর্ম করা হয় তার সার্বিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় সংসদের আশেপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে পিডাব্লিউডিকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া সভায় সংসদ সদস্যদের নিকট আগত অতিথিরা যাতে জনে জনে সংসদ সদস্যদের কাছে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে দেখা করার অনুমতি নিতে না হয় সেজন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের পথ খুঁজে বের করার পাশাপাশি আগত অতিথিদের সঠিকভাবে চেক করে প্রবেশের অনুমতি প্রদানে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
পাশাপাশি নির্ধারিত ব্যক্তির সঙ্গে আগত অতিথি দেখা করছেন কি না, সে বিষয়টি নিরাপত্তাকর্মীদের মাধ্যমে নিশ্চিত করার ওপর জোর দিতে সার্জেন্ট অ্যাট আর্মসকে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
সভায় সংসদ সদস্য ও আগত অতিথিদের সংসদে যাতায়াতের সুবিধার্থে চন্দ্রিমা উদ্যান ও বিজয় সরণির কর্নারের গেটটি খোলা রাখার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সার্জেন্ট অ্রাট আর্মসকে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
সভায় আসাদ গেট, মানিক মিয়া এভিনিউ গেট এবং মনিপুরিপাড়া গেট দিয়ে সংসদে ঢোকার সময় যাতে সহজভাবে ঢোকা যায় সেজন্য সার্বক্ষণিক ট্রাফিক পুলিশ নিয়োজিত রাখার ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া পিডাব্লিউডির কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে যেকোনো কাজ শুরুর আগে কমিটির সদস্যদের অবহিত রেখে কাজ শুরু করার সুপারিশ করা হয়। সভায় সংসদ সচিবালয়, পিডাব্লিউডি এবং বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নির্বাচনের আগে আরও আন্দোলনের আশঙ্কা ১৪ দলের

দেশের খবর: একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আরও একাধিক আন্দোলনের আশঙ্কা করছে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা। এ জন্য তারা সরকারকে সচেতন থাকার পাশাপাশি এ ধরনের পরিস্থিতি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) তোপখানা রোডে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন ছেড়ে ক্লাসরুমে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয়। তবে বৈঠকে শরিকরা মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত সড়ক পরিবহন আইন নিয়ে তাদের ক্ষোভের কথা জানায়। আইনে সর্বনিম্ন শাস্তি উল্লেখ না থাকাসহ বেশ কিছু বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকার কথাও বলে শরিকরা। তারা আইনটি চূড়ান্ত করার আগে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেয়। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের প্রতিশ্রুতি ৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা হয়।
১৪ দলের আগের বৈঠকের মতো বৃহস্পতিবারের বৈঠকেও নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের কঠোর সমালোচনা করা হয়। গাড়ির চালকসহ পরিবহন শ্রমিকদের বেপরোয়া হওয়ার জন্য তারা পরোক্ষভাবে নৌমন্ত্রীকেই দায়ী করে। চালক হওয়ার জন্য ‘গরু-ছাগল-মানুষ আর রাস্তা চিনলেই হয়’ নৌমন্ত্রীর এই বক্তব্য উদ্ধৃত করে শরিক দলের এক সদস্য বৈঠকে বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই পরিবহন শ্রমিকরা আশকারা পেয়ে যায়।’
সূত্র জানায়, বৈঠকে জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, জাসদ সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া ও কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান নির্বাচনের আগে আরও আন্দোলনের আশঙ্কা করেন। গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন কাঠামো, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তারা বলেন, ‘গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতনের দাবি নিয়ে সরকারকে নির্লিপ্ত মনে হচ্ছে। সরকারের প্রতিশ্রুতিতে এমপিওভুক্তি ও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা ঘরে ফিরে গেলেও তারা আউটপুট না পেলে, আবারও রাজপথে নামতে পারে। আর সুযোগ সন্ধানীরা এসব ইস্যু কাজে লাগাতে পারে। নির্বাচনের আগে সরকারকে এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কেবল প্রশাসনিক ভাবে না করে এইসব বিষয়গুলো রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
বৈঠকের সভাপতি ও ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক বলেন, ‘বৈঠকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইন নিয়ে শরিকরা কিছু অস্পষ্টতার কথা বলেছে।’
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন, শিক্ষকদের এমপিওসহ বার্নিং ইস্যু দ্রুত সমাধান করার জন্য সরকারকে প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৈঠকের পরে ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সড়কে আর নৈরাজ্য সহ্য করা হবে না ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে।বিআরটিএ’র অবহেলা আর দেখতে চায় না জাতি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে নাসিম বলেন, ‘লাইসেন্স আর ফিটনেস ছাড়া কোনও গাড়ি যেন সড়কে চলতে না পারে, ট্রাফিক পুলিশকে সেই নির্দেশ দিতে হবে।’ মন্ত্রী এমপি যে-ই হোক, গাড়ির কাগজ না থাকলে কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন নাসিম। তিনি বলেন, ‘বাস মালিক শ্রমিকদেরকে প্রয়োজনে জেলে ঢোকাতে হবে।’
আনিসুর রহমান মল্লিকের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, উপদফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ অংশ নেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় শিক্ষার্থীদের দাবী মেনে নেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে মিছিল

কে.এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো : নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা আইন মন্ত্রী সভায় পাশ করা এবং শিক্ষার্থীদের দাবী মেনে নেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে দেবহাটার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে বৃহষ্পতিবার সকালে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০ টায় সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন রতনের নেতৃত্বে একটি শুভেচ্ছা মিছিল সখিপুরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। এসময় অন্যান্যের মধ্যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শেখ তহিরুজ্জামান, সহকারী প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন, সাংবাদিক কে.এম রেজাউল করিম, শিক্ষকদের মধ্যে ইয়াকুব আলী, মোসলেমা খাতুন, রেকসোনা তরফদার, অর্নব রায়, শাহনেওয়াজ আলী, আলমগীর কবির, আবু মুসা, ফারুক হোসেন, শেখ তহিদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দেবহাটা কলেজে অনুরুপ এক শুভেচ্ছা মিছিল দেবহাটার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। এসময় অধ্যক্ষ আনিসুজ্জামান কালাম, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনোয়ারুল হক, সহকারী অধ্যাপক ইয়াছিন আলী, সহকারী অধ্যাপক আকবর আলী, সহকারী অধ্যাপক নাসির উদ্দীন, সহকারী অধ্যাপক জাফর ইকবাল, সহকারী অধ্যাপক নাজিমউদ্দীন, সহকারী অধ্যাপক মির্জা মূহসীন আলী, সহকারী অধ্যাপক চঞ্চল দাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দেবহাটা সরকারী বিবিএমপি ইনষ্টিটিউশন হাইস্কুলের আয়োজনে এক শুভেচ্ছা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান শিক্ষক মদন মোহন পাল, সহকারী প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, শিক্ষকদের মধ্যে সিদ্দিক আহমেদ মিঠু, ফজলু হোসেন, গৌৃর চন্দ্র পাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নাম ভাঙিয়ে কেউ যাতে কোনো সুবিধা নিতে না পারে

দেশের খবর: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার নাম ভাঙিয়ে কেউ যাতে কোথাও কোনো সুবিধা নিতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন।
আজ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহবান জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজন অথবা নিকটজন কিংবা পিএস, এপিএস ও দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিচয় দিয়ে এমনকি স্বাক্ষর নকল করে বিভিন্ন স্থানে আধাসরকারি পত্র (ডিও লেটার) প্রেরণ ও ভিজিটিং কার্ড ব্যবহার করে সচিবালয়/সরকারি অফিস বা অন্য কোথাও কোনো অনৈতিক বা অবৈধ সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনৈতিক ও অবৈধ সুবিধা প্রদান হতে বিরত থাকতে মন্ত্রী বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন।
এছাড়া আগামী ঈদ ও জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে কোন প্রকার উপঢৌকন বা উপহার পাঠিয়ে নিজেও বিব্রত না হওয়া এবং মন্ত্রীকে বিব্রত না করার জন্যও তিনি অনুরোধ জানান।
প্রকৃতপক্ষে, চাকরি প্রাপ্তি, বদলী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রী কোনরূপ ডিওপত্র দেন না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এ সকল বিষয়ে কোনো ডিওপত্র পেলে তা মন্ত্রীর দপ্তর থেকে (টেলিফোন নম্বর: ০২-৯৫১৫৫৩৩) নিশ্চিত হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এছাড়া এ অসাধু চক্রের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ইতোমধ্যে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিসিএসসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, গ্রেপ্তার ৮

দেশের খবর: বিসিএস, ব্যাংকসহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি চাকরির নিয়োগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানানো হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হচ্ছেন, গোপালগঞ্জের মো. ইব্রাহিম ও মো. হাসমত আলী সিকদার, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের মো. আইয়ুব আলী বাধন, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গার মো. মোস্তফা কামাল, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের মো. মনোয়ার হোসেন, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের মো. নুরুল ইসলাম, ধানমণ্ডি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হোসনে আরা বেগম এবং অগ্রণী স্কুল ও কলেজ সহকারী শিক্ষক গোলাম মোহাম্মদ বাবুল।
সিআইডির ‘অর্গানাইজড ক্রাইমে’র বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘একজনকে গ্রেপ্তার করেছি গত শুক্রবার। তাঁকে আমরা চার দিনের রিমান্ডে এনেছি। এই চক্রের নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি আটজনকে গতকাল গ্রেপ্তার করেছি বিভিন্ন সময়। আমরা জিজ্ঞাসাবাদে যেটা জানতে পেরেছি; বিসিএস কর্মকর্তা কয়েকজন পেয়েছি। আমরা ব্যাংক কর্মকর্তা কয়েকজন পেয়েছি। আমরা অন্যান্য সরকারি অফিসেও চাকরি করছেন এমন কয়েকজনকে পেয়েছি। আমরা গতকাল থেকে এ পর্যন্ত অনেক তথ্য জোগাড় করেছি। আমরা হয়তো আগামীতে তাঁদের রিমান্ডে এনে সুনির্দিষ্ট তথ্য আপনাদের দিতে পারব।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভর্তি কিংবা নিয়োগ পরীক্ষায় মূলত দুভাবে জালিয়াতি হয়। একটি চক্র আগের রাতে প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস করত। আরেকটি চক্র পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র নিয়ে দ্রুত তা সমাধান করে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীকে সরবরাহ করত। আগের রাতে প্রেস থেকে প্রশ্নফাঁস চক্রের পুরো চক্র চিহ্নিত করা গেলেও ‘ডিভাইস চক্র’টি বাকি ছিল। এরপর ‘ডিভাইস চক্রে’র প্রধান বিকেএসপির সহকারী পরিচালক অলিপ কুমার বিশ্বাস গণমাধ্যমে নাম প্রকাশের পর গা ঢাকা দেয়।
প্রেস বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান যারা এনালগ পদ্ধতিতে প্রশ্নপ্রত্র ফাঁস করে থাকে তাদের আইনের আওতায় আনা যতটা সহজ ডিজিটাল পদ্ধতি অবলম্বনকারীদের আইনের আওতায় আনা ততটাই জটিল। এই চক্রটি গত কয়েক বছর ধরে লাখো তরুণের স্বপ্নের চাকরি বিসিএস পরীক্ষাতেও জালিয়াতি করে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, পাঁচদিনের এক সাঁড়াশি অভিযানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ডিজিটাল ডিভাইস চক্রের ‘মাস্টার মাইন্ড’ বিকেএসপির সহকারী পরিচালক অলিপ কুমার বিশ্বাস, বিএডিসির সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল, ৩৬তম বিসিএসে নন ক্যাডার পদে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক হিসেবে সুপারিশ প্রাপ্ত ইব্রাহিম এবং ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিতে উত্তীর্ণ আয়ুব আলী বাঁধনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
এ ছাড়া পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগে প্রশ্নপত্র সরবরাহের অভিযোগে রাজধানীর অগ্রণী স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক গোলাম মোহম্মদ বাবুল, অফিস সহায়ক (পিওন) আনোয়ার হোসেন মজুমদার এবং মো. নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ছাড়া একই অভিযোগে ধানমণ্ডি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক হোসনে আরা বেগম এবং পিওন হাসমত আলী শিকদারকে আটক করা হয়েছে। আটকের সময় হাসমতের কাছে ওই দিনের বিসিএস লিখিত পরীক্ষার কয়েক কপি প্রশ্নপত্র এবং ৬০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বেতন-ভাতা না পাওয়ায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছে দ্বিতীয় ব্যাচের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তারা মেডিকেল কলেজের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। এদিকে তাদের কর্মবিরতিতে দূর্ভোগে পড়েছেন চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রুগীরা।
ইন্টার্ন চিকিৎসক নজরুল ইসলাম জানান, ইন্টার্ন চলাকালে তারা সরকারিভাবে ১৫ হাজার টাকা ভাতা পান। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলায় তারা দীর্ঘদিন বেতন না পেয়ে নিদারুণ অর্থকষ্টে রয়েছেন। বেতন-ভাতা না পাওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: ফরহাদ জামিল জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে স্বাস্থসেবায় সংকট আরো ঘনিভুত হয়েছে। তিনি সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বেতন না দেওয়ায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ থেকে ২০১৮ সালে পাশ করা ৪২ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটা উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভা

দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটা উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভা বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ¦ আব্দুল গনি। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আঃলীগের সভাপতি নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান, উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রতন, দেবহাটা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ইয়ামিন আলী, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল লতিফ, উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বিঞ্চুপদ বিশ^াস, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ইসরাঈল হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই রকেট, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিসেস নাজমুন নাহার, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রনব কুমার মল্লিক, কুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ ইমাদুল ইসলাম, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। সভায় উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শহিদুল আলমকে নির্যাতন করা হয়েছে কি না পরীক্ষার নির্দেশ

দেশের খবর: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় রিমান্ডে থাকা বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে কি না তা ২০১৩ সালের নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের ২(৬) ধারা অনুসারে পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
স্বরাষ্ট্র সচিবকে আগামী সোমবারের মধ্যে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ওই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ড. কামাল হোসেন, ড. শাহদীন মালিক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
শুনানিতে ব্যারিস্টার সারা হোসেন আদালতকে বলেন, শহিদুল আলমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে যে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে সেখানে চারজন ডাক্তারের নাম আছে। তবে তাদের মধ্যে কোনো মনরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন না। অথচ হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের ২(৬) ধারায় ‘নির্যাতন’ অর্থ কষ্ট হয় এমন ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনকে বোঝায়। এজন্য আমরা তাঁর মানসিক অবস্থাও পরীক্ষার আবেদন জানাচ্ছি।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানিতে বলেন, এই রিট গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা, তাঁকে সঠিকভাবেই গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি কোনো ভিকটিম নন যে এই রিট চলতে পারে। এ সময় মোবাইল ফোন থেকে ডিবি কার্যালয়ে স্বাভাবিকভাবে শহিদুল আলমের হাঁটার ভিডিও আদালতে উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
এরপর সারা হোসেন আদালতকে বলেন, তাঁর (শহিদুল) মুখে ঘুষি মারা হয়েছে। তাঁর নাকের চারপাশে কী অবস্থা তা পরীক্ষা করে শারীরিক অবস্থা নির্ধারণ প্রয়োজন। এ ছাড়া, মানসিক পরীক্ষাও জরুরি। এরপর আদালত রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন।
এর আগে শহিদুল আলমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাতদিনের রিমান্ড চ্যালেঞ্জ করে ও তাঁর সুচিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ।
সেই রিটের শুনানি নিয়ে গত ৭ আগস্ট আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে রমনা থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে একটি বোর্ড গঠন করে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতাল শহিদুল আলমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেই প্রতিবেদনের ওপরই শুনানি হয়।
এর আগে রিমান্ড স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী সোমবার দিন নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ।
দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন। ওই ঘটনায় রমনা থানার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গত ৬ আগস্ট ডিবি (উত্তর) পরিদর্শক মেহেদী হাসান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের (পরিদর্শক) আরমান আলী। শহিদুল আলমের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও জোতির্ময় বড়ুয়া রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। পরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক শহিদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ডে রাখার আদেশ দেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest