সর্বশেষ সংবাদ-
খালেদা জিয়ার রুহের মাগফেরাত কামনায় সাতক্ষীরায় তাঁতীদলের দোয়াসাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ২ বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলসাতক্ষীরা-০১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ’লীগ নেতা মুজিবের মনোনয়ন জমাসাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ

প্রতি বছরের ভোগান্তির সমাধান চান টিকেট প্রত্যাশীরা

দেশের খবর: ঈদে ঘরে ফেরার প্রস্তুতি অনেকটা আগে ভাগেই। কারণ এবারে ছুটি বেশি হওয়ায় এমন প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন অনেকেই। তাইতো ঘরে ফেরা মানুষের মূল টেনশন টিকেট। প্রিয়জনের সানিধ্য পেতে হলে সবার আগে টিকেট নিশ্চিত করা চাই। সবচেয়ে বড় অগ্রিম ঝক্কিই হল টিকেট পাওয়া। ট্রেন ও বাসের টিকেট সংগ্রহে রীতিমতো যুদ্ধ চলছে। ২৪ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে কাঙ্খিত টিকেট না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেকে। আবার বাসের টিকেটের জন্য ছুটির দিনে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে কল্যাণপুর ও গাবতলী এলাকায়।

কাউন্টার থেকে টিকেট বিক্রি শুরু হয় সকাল ৮টায়। কিন্তু সোনার হরিন টিকেট পেতে আগের দিন রাত থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন অনেকেই। রাত যত গভীর হয়, ততো লাইনের পরিধি বাড়ে। সকাল ১০টা পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য কমলাপুর। প্ল্যাট ফরম ছাপিয়ে জন স্রোত ঠেকেছে রাস্তা পর্যন্ত। কোন লাইন কোথায় শেষ হয়েছে তা দেখার জন্যও বেগ পেতে হবে। পরিস্থিতি ঠিক এরকমই। টিকেট সংগ্রহে এত মানুষের ভীড় কমই হয়, খোদ এমন কথা বলছেন টিকেট বিক্রির সঙ্গে যুক্ত অনেকেই। কমলাপুরে ২৬টি কাউন্টার থেকে একযোগে চলেছে টিকেট বিক্রি। শুক্রবার তৃতীয় দিনে ১৯ আগস্টের টিকেট বিক্রি হয়েছে।

যারা সর্বোচ্চ ২৪ ঘন্টা পরিশ্রম করে টিকেট সংগ্রহ করতে পেরেছেন তারা তো প্রশান্তির হাসি মুখে নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। যারা পাননি তাদের ঘরে ফেরার দুঃশ্চিন্তা রয়েই গেছে। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো নারীদের দুটি কাউন্টারেও হাজার ছাপিয়ে মানুষের উপস্থিতি। তবে সবার অভিযোগ টিকেট পেতে ধীরগতি। আর প্রতি বছরে টিকেট পেতে ভোগান্তি নিরসনে করনীয় নিয়ে আলোচনা তো আছেই। অর্থাত বছরের পর বছর প্রায় নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকেই টিকেট বিক্রি হচ্ছে। অথচ প্রতি বছরই টিকেটের জন্য লোক সমাগম বাড়ছে অনেক। সে তুলনায় কাউন্টার বাড়ানো হচ্ছে না। এরমধ্যে ৬৫ভাগ টিকেট সাধারণ যাত্রীদের জন্য অপ্রতুল বলা হচ্ছে গ্রাহকদের পক্ষ থেকে।

এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেনের বলেন, প্রতি বছর টিকেট প্রত্যাশীর সংখ্যা বাড়ছে। একারণে জনভোগান্তি বাড়ছে এটা সত্য। কিন্তু আমরা মানুষের কষ্ট কমাতে প্রতি বছরই সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করি। আগে নারীদের জন্য পৃথক কোন বুথ ছিল না। কয়েক বছর ধরে নারীদের জন্য পৃথক বুথ স্থাপন করা হয়েছে। জনভোগান্তি নিরসনে আরো ৫০টি বুথ বাড়ানোর দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বুথ বাড়াতে হলে কম্পিউটার, পৃথক জনবল, সার্ভার আপডেট সহ নানা প্রক্রিয়া রয়েছে। তবুও আমরা আগামী বছর আরো ভাল সেবা দেয়ার চেষ্টা করবো। যেন মানুষের ভোগান্তি কম হয়।

এদিকে সাধারণ যাত্রীরা বলছেন,ঈদ উপলক্ষে চার ভাগে টিকেট বিক্রি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার। এরমধ্যে পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল। কমলাপুরে নারায়নঞ্জ রেল স্টেশন প্ল্যাট ফরমে অন্তত একটি অঞ্চলের টিকেট ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে মূল প্ল্যট ফরমে ভীড় কমবে। এছাড়াও ঈদকে কেন্দ্র করে বিশেষ ব্যবস্থায় আরো বুথ বাড়ানো সময়ের দাবি। অর্থাত চার অঞ্চলের টিকেট বুথ পৃথক করে বিক্রির দাবি টিকেট প্রত্যাশীদের।

শুক্রবার সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলোর কাউন্টারের সামনে। বারবার হইচই হয়েছে এসি চেয়ার ও কেবিনের টিকেট নিয়ে। অনেক কাউন্টার থেকে বেলা ১২টার আগেই জানানো হয়েছে এসি চেয়ার ও কেবিন না থাকার কথা। রাজশাহীর যাত্রী কাসেম জানালেন, রাত ১টায় এসেও কেবিন ও এসি চেয়ারের টিকেট পাইনি। আবার নারী কাউন্টারে ভোর পাঁচটায় দাড়িয়ে রাজশাহীর টিকেট সংগ্রহ করেছেন দিবানিতা। তাই কারো মাুখে হাসি আর কারো মুখে ছিল কষ্টের ছাপ।

বেলা সাড়ে ১০টার দিকে নারী কাউন্টারের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, ১৭ এবং ১৮ নম্বর কাউন্টার থেকে নারীদের টিকেট দেয়ার কথা থাকলেও ১৮ নম্বর কাউন্টারটি বন্ধ। আর ১৭ নম্বর কাউন্টার খোলা থাকলেও সেখানে ধীরগতিতে টিকেট বিক্রির অভিযোগ করেন কয়েকজন। টিকেট বিক্রি শুরু হওয়ার পর সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ওই কাউন্টার থেকে ৭০ জনকে টিকেট দেয়া হয়। ততক্ষণে অপেক্ষায় থাকা নারীদের লাইন আরও দীর্ঘ হয়েছে। প্রায় দেড় ঘন্টার বেশি সময় কাউন্টার বন্ধ থাকায় এ নিয়ে কমলাপুর স্টেশনজুড়ে হইচই দেখা দেয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করে। তারা কাউন্টার মাস্টারদের পক্ষ নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলায় বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়।

এসিব বিষয়ে কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্ত্তী বলেন, শুক্রবার ৩৫টি আন্তঃনগর ট্রেনের ২৬ হাজার ৮৯৫টি টিকেট ছাড়া হয়েছে। যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী টিকেট দেয়ার চেষ্টা করছেন তারা। তিনি জানান, নারীদের জন্য মোট ৩টা কাউন্টার। একটা চলতি কাউন্টার থেকেও নারীদের টিকেট দেয়া হয়। এ কারণে অগ্রিম টিকেটের দুটো কাউন্টারের একটা বন্ধ রাখা হয়েছিল। চাহিদা বেশি থাকলে সেটা থেকেও টিকেট দেয়া হয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো টিকেট কিনতে যখন শত-শত মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে তখন কেন কাউন্টার বন্ধ করে দেয়া হল। স্টেশন ম্যানেজার এ ব্যাপারে যে যুক্তি উপস্থাপন করলেন তার সঙ্গে বাস্তবতার কোন মিল ছিল না।

আজ পাওয়া যাবে ২০ আগস্টের টিকেট আর ১২ আগস্ট মিলবে ২১ আগস্টের টিকেট। এই দিনগুলোতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সকাল ৮টা থেকে টিকেট বিক্রি হবে।

বরাবরের মত এবারও মোট টিকেটের ৬৫ শতাংশ দেয়া হচ্ছে কাউন্টার থেকে। বাকি ৩৫ শতাংশের ২৫ শতাংশ অনলাইন ও মোবাইলে। ৫ শতাংশ ভিআইপি ছাড়াও রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৫ শতাংশ। এদিকে ১৫ আগস্ট থেকে শুরু হবে ঈদ ফেরত যাত্রীদের জন্য ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি। ঈদ ফেরত অগ্রিম টিকেট রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিহাট স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বিক্রি শুরু হবে। ফিরতি টিকেট ১৫ আগস্টে পাওয়া যাবে ২৪ আগস্টের টিকেট। একইভাবে ১৬,১৭, ১৮,১৯ আগস্ট যথাক্রমে পাওয়া যাবে ২৫,২৬,২৭,২৮ আগস্টের টিকেট। টিকেট বিক্রি শুরু হবে সকাল ৮টায়।

বাংলাদেশ রেলওয়েতে প্রতিদিন ২ লাখ ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করলেও ঈদুল আজহা উপলক্ষে দৈনিক ৩ লাখ যাত্রী চলাচল করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু ও নিরাপদে ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত রেলওয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সকল প্রকার ছুটি বাতিল করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আবারও ২ দিনের রিমান্ডে অভিনেত্রী নওশাবা

বিনোদনের খবর: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে ফেসবুক লাইভে এসে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে অভিনেত্রী-মডেল কাজী নওশাবা আহমেদকে আরও দুই দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। প্রথম দফায় চার দিনের রিমান্ডে শেষে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে হাজির করে আরও ১০ দিন রিমান্ড চাইলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকা মহানগর হাকিম আমিরুল হায়দার চৌধুরী এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই আদালত এর আগে নওশাবাকে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে কাজী নওশাবার বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। মামলাটি তদন্ত কর্মকর্তা হলেন মহানগর পুলিশের উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই বিকাশ কুমার পাল।
আবারও রিমান্ড চাওয়ার কারণ হিসেবে আদালতে বলা হয়, নওশাবার সঙ্গে আর কার কার যোগাযোগ আছে তাতের মেইল আইডি আর কিছু বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
গত ৫ আগস্ট জিগাতলায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলার সময় ফেসবুকে লাইভে আসা প্রসঙ্গে নওশাবা রাবকে বলেছিলেন, একজনের কথা শুনে তিনি এটা করেছেন। ওই সময় তিনি উত্তরায় একটি শুটিং স্পটে ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শোক দিবসে বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা দেবে বিএসএমএমইউ

দেশের খবর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা রোগী দেখার উদ্যোগ নিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ওই দিন বিনামূল্যে/অর্ধমূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আগামী বুধবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের বহির্বিভাগে এ সেবা দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন বিএসএমএমইউ’র জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত মজুমদার।
বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এই প্রথমবারের মতো যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষাসমূহ বিনামূল্যে দেওয়া হবে- CBC, Urine for R/M/E, Stool for R/M/E এবং অর্ধমূল্যে দেওয়া হবে- X-ray Chest (P/A view), Blood for C/S, Urine for C/S, Widal test, S. Creatinine, S. ALT. FCG, USG of Whole Abdomen।

বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবা প্রদানের কার্যক্রম সফল করতে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও পরিচালককে (হাসপাতাল) নির্দেশ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হতে যাত্রা, সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বটতলায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বাদ জোহর কোরানখানি, দোয়া মাহফিল ও তোবারক বিতরণ। এছাড়াও রয়েছে অন্যান্য ধর্মালম্বীদের জন্য প্রার্থনা অনুষ্ঠান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নতুন রূপেই ফিরছেন মিস জিনতা

বিনোদনের খবর: পর্দার প্রীতি জিনতাকে একরকম ভুলতেই বসেছেন দর্শক। সবার কাছে এখন তিনি আইপিএল আসরের পরিচিত মুখ। কিন্তু কত দিন আর নিজ সত্তাকে এড়িয়ে চলা যায়, ভুলে থাকা যায় আপন শিকড়! লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন যাঁর রন্ধ্রে রন্ধ্রে, ব্যাট-বলের দুনিয়ায় তাঁকে কত দিন আটকে রাখা যায়!
প্রীতি-ভক্তদের জন্য সুখবর। লম্বা বিরতির পর পুরোদমে ফিল্মে ফিরছেন। এত দিন বাদে ফিরবেন আর চমক দেখাবেন না, তা কী করে হয়। নতুন রূপেই ফিরছেন মিস জিনতা। বরাবরের মতো পাশের বাড়ির মেয়ের চেহারায় নয়, রীতিমতো মারদাঙ্গারূপে। ছবির নাম ‘ভাইয়াজি সুপারহিট’।
সম্প্রতি প্রীতি তাঁর ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেছেন সিনেমাটির পোস্টার। ছবির ক্যাপশনে প্রীতি লিখেছেন, ‘ব্যাক উইথ এ ব্যাং! ভাইয়াজি সুপারহিট ছবির স্বপ্না দুবের সঙ্গে পরিচিত হোন। ১৯ অক্টোবর দেখা হবে কাছের সিনেমা হলে।’
এদিকে ছবির পোস্টার দেখে তো প্রীতি-ভক্তদের আক্কেল গুড়ুম। এ কোন প্রীতি? তাঁর হাতে পিস্তল। তিনি কাকে গুলিতে এফোঁড়-ওফোঁড় করবেন?
নীরাজ পাঠক পরিচালিত ‘ভাইয়াজি সুপারহিট’ ছবিটি অ্যাকশন-কমেডি ঘরানার। ছবিতে প্রীতির সঙ্গে একজন গ্যাংস্টারের ভূমিকায় সানি দেওলকে দেখা যাবে বলে খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। দেখা যাবে আরশাদ ওয়ারসি, আমিশা প্যাটেল, প্রকাশ রাজ আর মিঠুন চক্রবর্তীর মতো তারকাদের।
১৯৯৮ সালে বলিউডে পা রাখা প্রীতি জিনতা রাতারাতিই পেয়ে যান তারকা খ্যাতি। অভিনয় করেছেন ‘দিল সে’, ‘দিল চাহতা হ্যায়’, ‘বীর জারা’, ‘কোয়ি মিল গ্যায়া’র মতো সুপারহিট ছবিতে। সবশেষ মূল চরিত্রে তাঁকে দেখা গেছে ২০০৮ সালে, ‘হেভেন অন আর্থ’ ছবিতে। এরপর বিশেষ ভূমিকায় টুকটাক কিছু অভিনয় করেছেন তিনি। তবে এবার প্রীতিকে পুরোদস্তুর নায়িকার চরিত্রে দেখা যাবে।
আইপিএলের কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব দলের মালিকানায় অংশীদারত্ব আছে প্রীতির। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাঁকে আইপিএল নিয়েই ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। তাই হয়তো চলচ্চিত্রে পুরোপুরি সময় দিতে পারেননি এই বলিউড ডিভা। আইপিএলের সুবাদে মাঠ আর গ্যালারি তো অনেক মাতানো হলো। এবার প্রীতির পর্দা কাঁপানোর পালা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কর্তৃক daily satkhira

খেলার খবর: দীর্ঘ সাড়ে চার বছর বিরতির পর আবারও পেশাদার ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণা দিলেন ইমরান নাজির। মাংসপেশির তন্তুতে প্রদাহজনিত রোগের কারণে এত দিন পেশাদার ক্রিকেট থেকে দুরে ছিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাবেই সাড়া ফেলেছিলেন তিনি। উইকেটের চারপাশে বাহারি সব স্ট্রোক খেলতেন। বিশেষ করে পেসারদের বিপক্ষে বেশি করে ঝলসে উঠত তাঁর ব্যাট। পাকিস্তানের ওপেনার হিসেবে অনেকে তাঁকে স্থায়ী ভাবতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু ১৯ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে মাত্র ৮ টেস্ট এবং ৭৯ ওয়ানডে কি এই ভাবনার সার্থকতা বহন করে?
বলা হচ্ছে, ইমরান নাজিরের কথা। দীর্ঘ সাড়ে চার বছর বিরতির পর আবারও পেশাদার ক্রিকেটে ফেরার কথা জানালেন নাজির। টেস্ট ও ওয়ানডেতে ১৯৯৯ সালে অভিষেক ঘটে আমিরের। এর আট বছর পর অভিষিক্ত হন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে। এ সংস্করণে সর্বশেষ খেলেছেন ২০১২ সালে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেটাই ইমরান নাজিরের সর্বশেষ উপস্থিতি। এরপর পাকিস্তান দল থেকে ছিটকে পড়েছেন।
গত সাড়ে চার বছর বেশ জটিল এক রোগে ভুগেছেন ৩৬ বছর বয়সী এ ওপেনার। মাংসপেশির হাড়ের সঙ্গে যুক্ত থাকা তন্তুর (টেন্ডন) প্রদাহে ভুগেছেন নাজির। রোগটা ইংরেজি নাম ‘টেনডিনাইটিজ’। এ রোগ কাটিয়ে নিজেকে এখন পেশাদার ক্রিকেট খেলার মতোই ফিট বলে ঘোষণা করলেন নাজির।
লাহোরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি এখন ফিট। দীর্ঘদিন পর আবারও ক্রিকেট খেলতে পারব। ভক্তরা প্রার্থনা করেছেন বলেই আজ এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছি। অসুস্থতা কাটিয়ে ওঠার জন্য আমি পিসিবি ও শহীদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশনের কাছে কৃতজ্ঞ।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বার্সেলোনার ৭ নম্বর জার্সি পেলেন কৌতিনিয়ো

খেলার খবর: নতুন মৌসুম শুরু হওয়ার আগে বার্সেলোনায় ৭ নম্বর জার্সি পেয়েছেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফিলিপে কৌতিনিয়ো।
ক্লাবটির হয়ে সবশেষ ৭ নম্বর জার্সি পরেছিলেন তুরস্কের আরদা তুরান।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে লিভারপুল থেকে বার্সেলোনায় পাড়ি জমান কৌতিনিয়ো। এর মধ্যে হাভিয়ের মাসচেরানো কাতালান ক্লাবটি ছাড়লে তার ১৪ নম্বর জার্সিটি পেয়েছিলেন ২৬ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।
বার্সেলোনায় এই জার্সি পরা তারকা খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেন লুইস ফিগো, হেনরিক লারসন, দাভিদ ভিয়া। ২০১৫ সালে তুরান আসার আগে জার্সিটি ছিল স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড পেদ্রোর গায়ে।
বার্সেলোনায় এসে দ্রুতই নিজেকে মানিয়ে নেওয়া কৌতিনিয়ো গত মৌসুমে দলের লা লিগা জয়ে ১৮ ম্যাচে ৮ গোল করে অবদান রাখেন।
ব্রাজিলের হয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপেও দ্যুতি ছড়ান কৌতিনিয়ো। দুটি গোল করে সেলেসাওদের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠায় বড় অবদান ছিল এই প্লেমেকারের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভোমরা বন্দরে পাঁচটি সোনার বারসহ চোরাকারবারী আটক

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর এলাকা থেকে পাঁটি সোনার বারসহ আবু হুরাইরা নামে এক চোরাকারবারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
শুক্রবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ভোমরা কাচা বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক আবু হুরাইরা ভোমরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীদাড়ি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
বিজিবির ভোমরা ক্যাম্পের কমান্ডার শাহাজান আলী জানান, স্বর্ণের একটি চালান ভারতে পাচার করা হচ্ছে-এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোমরা কাচা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবু হুরাইরাকে পাঁচটি সোনার বারসহ আটক করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সড়কে নৈরাজ্য থামাতে মামলা,মানুষ সচেতন হলে মামলার সংখ্যা কমবে

দেশের খবর: রাজধানীতে চলছে পুলিশের ট্রাফিক সপ্তাহ। আজ ষষ্ঠ দিন। গত পাঁচ দিনে ট্রাফিক আইন অমান্যকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৩৮ হাজার ৩২৮টি। আর চার দিনে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৪১ হাজার ৩৪২ টাকা।
ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা বলছেন, মানুষ আইন ভাঙছে। তাঁরাও মামলা দিচ্ছেন। মানুষ সচেতন হলে মামলার সংখ্যা কমে আসবে।
রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি সিগন্যালে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন সাধারণ পুলিশ সদস্য ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। মামলা দেওয়ার পাশাপাশি তাঁরা সচেতনতা তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছেন।
‘খোকাবাবু যায়, হেলমেট কোথায়?’ ‘অযথা হর্ন বাজাবেন না’, ‘চলন্ত গাড়িতে ওঠানামা করবেন না’, ‘নির্ধারিত স্থান ছাড়া বাস থামাবেন না’, ‘যত্রতত্র রাস্তা পারাপার হবেন না’—রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ট্রাফিক পুলিশ বক্স থেকে পথচারী ও যানবাহনের চালকদের উদ্দেশে এসব সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করা হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার উল্টো দিকের সিগন্যালে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা যানবাহনের নিবন্ধন, লাইসেন্স, ফিটনেস, বিমার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করছিলেন। পাশেই পুলিশের রেকার রাখা। দুজন সার্জেন্ট কাগজপত্র পরীক্ষা করে মামলা দিচ্ছিলেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, মোটরসাইকেলের চালকের হেলমেট থাকলেও আরোহীর হেলমেট নেই। এসব ক্ষেত্রে আরোহীর জন্য হেলমেট রাখতে সতর্ক করার পাশাপাশি মামলাও দিচ্ছিলেন সার্জেন্টরা।
দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট রিয়াদ মোর্শেদ বলেন, এখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন না মানা, উল্টো দিকে গাড়ি চালানো, লেন অমান্য করা—এসব কারণে মামলা হচ্ছে। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ ও কাগজপত্র যাচাই কার্যক্রমের পর মানুষ আগের থেকে সচেতন হয়েছে। বৈধ কাগজপত্র নিয়েই রাস্তায় চলাচল করছে। একধরনের বদ অভ্যাস থেকে কিছু চালক উল্টো পথে গাড়ি চালান বলে মনে করেন তিনি। তবে নিয়মিত মামলা করার কারণে এসব কমে এসেছে।
গাবতলী এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট জসিম উদ্দীন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে আমরা আগের থেকে বেশি সজাগ আছি। মামলাও হচ্ছে আগের থেকে বেশি। তবে শেষ কথা হচ্ছে, মানুষকে সচেতন থাকতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, মোটরসাইকেলে হেলমেট ব্যবহার করতে হবে। সঙ্গে বৈধ কাগজ নিয়ে বাইরে চলাচল করতে হবে। ট্রাফিক আইন মানতে হবে। তাহলে অবস্থার পরিবর্তন হবে বলে মনে করেন তিনি।
কারওয়ান বাজারে একটি মোটরসাইকেল থামিয়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট চালকের কাছে বৈধ কাগজ আছে কি না, জানতে চাইলেন। চালক আবদুল মান্নান কাগজ বের করে দেখালেন। পরে তাঁর কাগজ যাচাই করে ট্রাফিক সার্জেন্ট তাঁকে বললেন, সব ঠিক আছে। আপনি যেতে পারেন। দায়িত্বরত সার্জেন্ট বললেন, ‘আমরা কাউকে অযথা হয়রানি করছি না। কারও কাগজ ঠিক না থাকলে নিয়মিত মামলা দিচ্ছি।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মীর রেজাউল করিম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে পুলিশের নৈতিক ভিত্তি জোরদার হয়েছে। আগে যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যেত না, তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করা হচ্ছে। ট্রাফিক সপ্তাহের মাধ্যমে আমরা জনগণকে সচেতন করতে চাই। জনগণের মধ্যে আইন মানার মানসিকতা গড়ে উঠতে হবে।’
ট্রাফিক সপ্তাহের প্রথম দিনে মামলা হয় ৭ হাজার ৮১টি, জরিমানা আদায় হয় ৪২ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা। ওই দিন ৫৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭০৮টি গাড়ি রেকার করা হয়। দ্বিতীয় দিন ৭ হাজার ৩১৯টি মামলা হয় ও ৪৬ লাখ ৬৭ হাজার ৭২ টাকা জরিমানা হয়। এ সময় ১৪২টি মোটরসাইকেল আটকসহ ৮৩৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও রেকার করা হয়। তৃতীয় দিনে ৯ হাজার ৪৭০টি মামলা ও ৫৪ লাখ ২৫ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা করা হয়। ৯৯৯টি গাড়ি ডাম্পিং ও রেকার করা হয়। চতুর্থ দিনে ৯ হাজার ৯৭৪টি মামলা ও ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ২০ টাকা জরিমানা হয়। এ সময় ১ হাজার ৫৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও রেকার করা হয়। পঞ্চম দিনে ৪ হাজার ৪৮৪টি মামলা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest