সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ২ বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলসাতক্ষীরা-০১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ’লীগ নেতা মুজিবের মনোনয়ন জমাসাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনা

চাঁদপুরে বাড়ছে ইলিশের আমদানি

দেশের খবর: দেশে ইলিশের সবচেয়ে বড় বাজার চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছের আড়তে বাড়তে শুরু করেছে ইলিশের আমদানি। বুধবার (৮ আগস্ট) এ বাজারে অন্তত ৩৫০ মণ ইলিশ আমদানি হয়েছে। যেখানে গত মাসে প্রতিদিন আমদানি ছিল ৩০-৫০ মণ ইলিশ। এসব মাছ স্থানীয় বাজারগুলোসহ যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দক্ষিণাঞ্চল তথা সাগর অঞ্চল থেকে এখনও প্রচুর ইলিশ আসতে শুরু করেনি। ওইসব এলাকা থেকে মাছের আমদানি শুরু হলে এ বাজার ইলিশে কানায় কানায় পূর্ণ হবে। তখন দেশের বাজারেও সাধারণ ক্রেতারা প্রচুর ইলিশ দেখবেন। দামও অনেক কমবে।
মাছঘাটের ব্যবসায়ী শাহীন বলেন,‘গত মাসের চেয়ে এখন ইলিশের আমদানি সামান্য হলেও বেড়েছে। আরও কিছু দিন পর অর্থাৎ এ মাসের মাঝামাঝিতে প্রচুর ইলিশ বাজারে আমদানি হতে পারে। এখন বাজারে যে ইলিশ দেখছেন, তার বেশিরভাগই চাঁদপুর অঞ্চলের। কিছু মাছ আসছে নোয়াখালী এলাকা থেকে।’ চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটের আড়তদার মো. সাগর আলম বেপারী বলেন,‘নামার ফিশিংয়ের মাছ আমদানি একটু বেশি। আজও ৪-৫টি ফিশিং বোট মাছঘাটে এসেছে। প্রতিটি ফিশিং বোটে কমপক্ষে ৫০ মণ থেকে ৭০ মণ মাছ থাকে। হাতিয়া-সন্দ্বীপ, বরিশাল এলাকা থেকে গত দুদিন যাবত মাছ একটু বেশি আসছে। লোকাল মাছসহ এখন প্রতিনিদি চাঁদপুর মাছঘাটে সাড়ে ৩শ থেকে ৪০০ মণ ইলিশ আমদানি হচ্ছে।’ এই মৎস্য ব্যবসায়ী বলেন- মাছের আমদানি বাড়তে শুরু করলেও দাম এখনো একটু বেশি। এ বাজারে পাইকারী দরে এক কেজির বেশি সাইজের মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪শ টাকা, ৮ থেকে ৯শ গ্রাম জনের মাছ ১ হাজার থেকে ১১শ টাকা, ৬শ-৭শ গ্রামের মাছ ৭৫০-৮০০ টাকা, ৫০০ গ্রামেরগুলো সাড়ে ৫শ থেকে ৬শ টাকা।
চাঁদপর বড়স্টেশন মাছঘাটের আরেক আড়তদার ইমান গাজী জানান, চাঁদপুর অঞ্চলের মাছের দাম সব সময়ই একটু বেশি থাকে। তিনি জানান, এক কেজি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫শ টাকা, ৯শ গ্রাম ওজনের মাছ প্রতি কেজি ১২৫০, ৭শ ও ৮শ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ১ হাজার টাকা, ৫শ গ্রামের প্রতি কেজি ৭শ এবং ৪শ গ্রাম ও তার চেয়ে ছোট ইলিশ প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা।
তিনি বলেন, ‘চাঁদপুর মাছঘাটে এখন যে পরিমাণ ইলিশ আমদানি হচ্ছে তা তুলনামূলক বেশি নয়। কারণ, এখানে ভর মৌসুমে হাজার মণেরও বেশি ইলিশ আমদানি হয়েছে।’
চাঁদপুর কান্ট্রি ফিশিংবোট মালিক সমিতির সভাপতি শাহ আলম মল্লিক বলেন, ‘মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) থেকে মাছের আমদানি বেড়েছে। তবে চাঁদপুর অঞ্চলে এখনও কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা পড়ছে না। তাই এখানের জেলেদের মুখে হাসি ফোটেনি। তবে যেহেতু দক্ষিণাঞ্চলে মাছ ধরা পড়তে শুরু করেছে। আশা করি, চাঁদপুর অঞ্চলেও খুব শিগগিরই প্রচুর মাছ ধরা পড়বে।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী বলেন, ‘আগে থেকে এখন মাছ কিছুটা বেশি ধরা পড়ছে। কিছু দিনের মধ্যেই প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে।’
সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ মৃধা বলেন, ‘এটা দেশের ইলিশের সবচেয়ে বড় বাজার। আজ তিন থেকে চারশ মণ ইলিশ ঘাটে এসেছে। এভাবে ধরা পড়তে শুরু করলে আগামী দুই মাস প্রচুর মাছ ধরা পড়বে। তাই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে এ বছর উৎপাদন অনেক বেড়ে যাবে। যা গত বছরের তুলনায় দেড়গুণ বেশি হবে বলে আশা করছি।’
চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান বলেন, ‘সাধারণ মানুষ মনে করে, জ্যেষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ ইলিশের ভরা মৌসুম। কিন্তু বিষয়টি ঠিক নয়। আগস্ট থেকে ইলিশের মৌসুম শুরু হয়। আর ভরা মৌসুম হলো সেপ্টেম্বর-অক্টোবর।’ তিনি বলেন, ‘চাঁদপুর অঞ্চলে একটু কম ধরা পড়ছে। তবে ইলিশ আসা শুরু হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই চাঁদপুরেও প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’ তিনি জানান, গত বছর দেশে ইলিশের উৎপাদন ছিল ৪ লাখ ৯৬ হাজার মেট্রিক টন। এ বছর ৫ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যেতে পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আয়ারল্যান্ডকে হারালো বাংলাদেশ ‘এ’

খেলার খবর: অধিনায়ক মুমিনুলের রেকর্ড রানে ভর করে ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ । ডাবলিলে বুধবার আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৮৬ রানের বড় স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে এই বিশাল স্কোর গড়ে তোলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এতে ১৩৩ বলে ১৮২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন মুমিনুল। ৩৮৭ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দল ৩০১ রানে সব উইকেট হারায় আইরিশরা। ফলে ৮৬ রানের জয় পায় মুমিনুল বাহিনী।
পাঁচ ম্যাচ আনঅফিসিয়াল সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে জয় পাওয়ায় সিরিেজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে রইলো বাংলাদেশ ‘এ’।। প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় পরের তিন ম্যাচে বাংলাদেশ ‘এ’ দুই জয়, আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দল জিতেছে একটি ম্যাচে।
আয়ারল্যান্ডে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুমিনুল। মূল দলের হয়ে মুমিনুল সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৫ বিশ্বকাপে। এরপর ৫০ ওভারের ক্রিকেটে আর দলে ডাকা হয়নি তাকে। এই সফরে দারুণ পারফরম্যান্সকে ওয়ানডে দলে ফেরার বড় সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে চাইছেন মুমিনুল। তার সেই চেষ্টা ফুটে ওঠেছে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে। স্বাগতিকদের বিপক্ষে১৩৩ বলে ১৮২ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলেছেন তিনি। দেশের বাইরে বাংলাদেশি কোনো ক্রিকেটারের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটা সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
দেশের বাইরে আগের সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড ছিল তামিম ইকবালের ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়েতে ১৫৪। এছাড়া লিস্ট ‘এ ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটিও আজ মুমিনুলের হাতের কাছেই ছিল। গত বছর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর বিপক্ষে মোহামেডানের হয়ে রকিবুল হাসান করেছিলেন ১৯০ রান। আজ ইনিংসের ৫ ওভার বাকি থাকতেই আউট হয়ে যান মুমিনুল। দলীয় ৩২৮ রানের সময় রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। তার ১৮২ রানের ইনিংসটি ২৭টি চার আর ৬ ছক্কায় সাজানো।
মুমিনুলের রেকর্ড গড়া ইনিংসের দিন মোহাম্মদ মিথুন ৫১ বলে ৮৬ ও ওপেনার জাকির হাসান ৯৩ বলে ৭৯ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেন।
বিশাল রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবারনি ছাড়া স্বাগতিকদের কেউই স্বাচ্ছন্দে খেলতে পারেননি। অ্যান্ড্রু ১১১ বল খেলে ১০৬ রান তোলেন তিনি।বাংলাদেশের পক্ষে ফজলে মাহমুদ ৪৭ রান দিয়ে ৩টি ও খালেদ আহমেদ ৭৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। সাইফউদ্দিন ও শফিউল ইসলাম নেন ২টি করে উইকেট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবার বলিউডে যাচ্ছেন হিরো আলম

বিনোদন সংবাদ: সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আলোচনায় আসা আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম এবার দেশের গণ্ডি পেরিয়ে হিন্দি ছবিতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন। অবিশ্বাস্য শুনালেও ঘটনা কিন্তু সত্য। ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট ব্যাপ্তির একটি বলিউড ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছেন তিনি। ‘বিজু দ্য হিরো’ নামের এই ছবিটি পরিচালনা করবেন প্রভাত কুমার।

এ বিষয়ে বুধবার দুপুরে পরিচালক প্রভাত কুমার ও হিরো আলমের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। আগামী ডিসেম্বর থেকে ভারতের রাঁচি শহরে ছবিটির দৃশ্যধারণের কাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে।

ছবিটিতে ‘মূক’ চরিত্রে অভিনয় করবেন হিরো আলম। পুরো ছবিটার গল্প আবর্তিত হবে তাকে ঘিরে। এতে একজন বলিউড অভিনেত্রী অভিনয় করবেন। তবে তার নাম এখনও জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আকস্মিকভাবে আলোচনায় উঠে আসেন হিরো আলম। এরপর বগুড়া থেকে ঢাকায় এসে একের পর মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন। ‘মার ছক্কা’ নামের একটি চলচ্চিত্রেও অভিনয়ের সুযোগ পেলে তার। তবে এবার সবকিছুকে ছাড়িয়ে হিন্দি ছবিতে ডানা মেলতে যাচ্ছেন আলোচিত এই অভিনেতা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪৭

বিদেশের খবর: ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন কেন্দ্র লুম্বুক দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৩৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে।গত রবিবার সকালে ৭ মাত্রার ওই ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে আহত হয়েছেন ১ হাজার ৪৪৭ জন মানুষ ।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আজ বুধবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলেছে, দ্বীপের প্রায় ৮০ শতাংশ ভবনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু কিছু ভবন একেবারে ধসেই গেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে অনেক এলাকায় ত্রাণ নিয়ে যেতে পারছেন সংশ্লিষ্ট কর্মীরা।

সপ্তাহের ব্যবধানে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ভূমিকম্প অনুভূত হয় ওই দ্বীপে। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, রিখটার স্কেলে কম্পনটির মাত্রা ছিল ৭। এরপর সুনামি সর্তকতাও জারি করা হয়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ওই ভূমিকম্পের পর আতঙ্কিত হয়ে লোকজন ছোটাছুটি শুরু করে। উদ্ধারকর্মীরা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ভূমিকম্পে পর্যটন দ্বীপটির বেশ কিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।

এর আগে একই অঞ্চলে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১৭ জনের প্রাণহানি ও দেড় শতাধিক মানুষ আহত হন। সেসময় পাহাড়ধস হয়ে দ্বীপটির বিভিন্ন এলাকায় কয়েকশ’ পর্যটক দীর্ঘ সময় আটকাও পড়েছিলেন, পরে তাদের উদ্ধার করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৩৩২ কোটি টাকায় ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেন কিনছে সরকার

দেশের খবর: মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরু হয়েছিল যে ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেনে সেটি প্রায় ৩৩২ কোটি টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছে সরকার। পুরান ঢাকার হৃষিকেশ রোডের এই ভবনটি এত দিন ব্যক্তিমালিকাধীন পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষিত ছিল।

বুধবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন করা হয়েছে।

কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণলয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন’ অনুসারে সরকার ‘সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে’ বর্তমান মালিকদের কাছ থেকে রোজ গার্ডেন কিনবে। এতে ব্যয় হবে ৩৩১ কোটি ৭০ লাখ দুই হাজার ৯০০ টাকা।

জানা গেছে, পুরনো ঢাকার হৃষিকেশ দাস লেনে বলধা গার্ডেনের সামান্য দূরত্বে ১৯৩১ সালে নির্মিত হয়েছিল প্রাসাদসম ভবন রোজ গার্ডেন। এ বাড়িতে ১৯৪৯ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। প্রথমে দলটির নাম ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’। পরবর্তীকালে, ১৯৫৫ সালে মওলানা ভাসানীর উদ্যোগে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠনটির নাম থেকে পরে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়; নাম রাখা হয়: ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’। পরবর্তী কালে এর নাম ছিল নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। ১৯৭১ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর এই সংগঠনটির নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

১৯৩১ সালে ঋষিকেশ দাস নামে এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী পুরান ঢাকার ঋষিকেশ রোডে ২২ বিঘা জমির ওপর একটি বাগানবাড়ি তৈরি করেন। বাগনে প্রচুর গোলাপ গাছ থাকায় এর নাম হয় রোজ গার্ডেন। এছাড়া বাগানটি সুদৃশ্য ফোয়ারা, পাথরের মূর্তি দ্বারা সজ্জিত ছিল। মূল ভবনের দ্বিতীয়তলায় পাঁচটি কামরা আর একটি বড় নাচঘর আছে। নিচতলায় আছে আটটি কামরা।

ভবনটির মোট আয়তন সাত হাজার বর্গফুট। উচ্চতায় ৪৫ ফুট। ছয়টি সুদৃঢ় থামের ওপর এই প্রাসাদটি স্থাপিত। প্রতিটি থামে লতাপাতার কারুকাজ করা। প্রাসাদটির স্থাপত্যে করিন্থীয়-গ্রিকশৈলী অনুসরণ করা হয়েছে।

ভবন নির্মাণের কিছুদিন পর ঋষিকেশ দাশ দেউলিয় হয়ে যান। ১৯৩৭ সালে রোজ গার্ডেন বিক্রি হয়ে যায় খান বাহাদুর আবদুর রশীদের কাছে। এর নতুন নামকরণ হয় ‘রশীদ মঞ্জিল’।

এই বাড়িটিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৪৯ সালে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ (পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) গঠনের প্রাথমিক আলোচনা সভা এই বাড়িতে হয়েছিল। ১৯৬৬ সালে কাজী হুমায়ুন বসির এর মালিকানা লাভ করেন।

১৯৭০ সালে চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ‘বেঙ্গল স্টুডিও’ কে লিজ দেয়া হয়। এ সময়ে চলচ্চিত্রের শুটিং স্পট হিসেবে এই ভবনটি ব্যবহৃত হয়। এখানে চিত্রায়িত কাহিনী চিত্র ’হারান দিন’ এ রোজ গার্ডেনের সেই সময়কার চিত্র সংরক্ষিত আছে। ১৯৮৯ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এই প্রাসাদটি সংরক্ষণ তালিকাভুক্ত করে।

১৯৯৩ সালে কাজী হুমায়ুন বসিরের বংশধর কাজী রকীব বাড়িটির মালিকানা ফেরত পান। ১৯৯৫ সালে তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী লায়লা রকীব ওই সম্পত্তির মালিক হন।

রোজ গার্ডেন নামের এই রাজকীয় বাড়িটি নির্মাণের পেছনেও রয়েছে বঞ্চনা আর অপমানের ইতিহাস। বলধার জমিদারখ্যাত নরেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী বলধায় একটিবাগানবাড়ি নির্মাণ করেন। যা বর্তমানে বলধা গার্ডেন নামে পরিচিত। এখানে নিয়মিত গানের আসর বসতো। সেই সময়কালে পূর্ববঙ্গের উচ্চবিত্তদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পরিণত হয় এটি। জমিদার ও নাট্যকার নরেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরীর এক অনুষ্ঠানে বিনা আমন্ত্রণে হৃষিকেশ দাস নামের ঢাকার এক ধনী ব্যবসায়ী বলধার এক অনুষ্ঠানে যান। কিন্তু ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হলেও সনাতন ধর্ম জাতবিন্যাস অনুযায়ী নিম্ন বর্ণের হওয়ায় সে অনুষ্ঠানে তাকে অপদস্থ করা হয়।

এভাবে অপমান তীব্র ভাবে ঝড় তোলে ব্যবসায়ী হৃষিকেশের মনে। একই রকম বাগানবাড়ি নির্মাণ করে প্রতিশোধ নিতে দৃঢ প্রতিজ্ঞ হন তিনি। এরই ফলশ্রুতিতে নরেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরীর বাগানবাড়ির আদলে তিনি নির্মাণ করেন রোজ গার্ডেন।

কিন্তু ধনী ব্যবসায়ী হৃষিকেশ একপর্যায়ে ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েন। অপমানের প্রতিশোধ নিতে তৈরি করা সেই বাড়িটিই আত্মসম্মান বাঁচাতে ১৯৩৬ সালে বিক্রি দেন তিনি। কিনে নেন ঢাকার আরেক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী খান বাহাদুর মৌলভী কাজী আবদুর রশীদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতীয় ক্রিকেট দলের ‘সহ-অধিনায়ক’ আনুশকা !

খেলার খবর: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে হারলেও বিরাট কোহলির প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোটা ক্রিকেট মহল। স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে যেটুকু করার তা তো ভারত অধিনায়কই করেছেন। মহেন্দ্র সিং ধোনিও তো তাই নির্দ্বিধায় বলে দিয়েছেন, “কোহলি এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে যে, ওকে এখনই প্রায় কিংবদন্তি বলা যায়। বৃহস্পতিবার থেকে লর্ডসে নতুন চ্যালেঞ্জ বিরাটদের সামনে। কিন্তু তার আগে বিতর্কে জড়ালেন ক্যাপ্টেন কোহলি। বিতর্কের কেন্দ্রে অবশ্য সরাসরি তিনি নন, তার স্ত্রী আনুশকা শর্মা।

ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর, মঙ্গলবার লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে গিয়েছিল গোটা ভারতীয় দল। সেখানে খেলোয়াড়রা তো ছিলেন, কোচ রবি শাস্ত্রীর পাশাপাশি ছিলেন দলের সাপোর্ট স্টাফরাও। ইতিমধ্যেই যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে বিসিসিআই। সঙ্গে লেখা, “লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশনে টিম ইন্ডিয়া।” আর তার পর থেকেই বিতর্ক তুঙ্গে। কেন? কারণ টিম ইন্ডিয়ার ছবিতে বিরাটের পাশে তার স্ত্রী আনুশকা শর্মাকে দেখা গেছে। আর এতেই আপত্তি নেটিজেনদের। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে একই ফ্রেমে কোহলিপত্নী? অনেকেই বলছেন, তিনি যতই ভারতীয় ক্রিকেটের ফার্স্ট লেডি হোন না কেন, টিম ইন্ডিয়ার এ ছবিতে অানুশকা বেশ বেমানান। কেউ কেউ আর এক ধাপ এগিয়ে বলছেন, যেখানে সহ অধিনায়ককে দেখা যাচ্ছে পেছনের সারিতে, সেখানে প্রথম সারিতেই আনুশকা। এটাকে সামনে এনে কেউ কেউ বলছেন, তাহলে কি টিম ইন্ডিয়ার সহ-অধিনায়ক হয়ে গেলেন বিরাটপত্নী?

আবার অনেকের প্রশ্ন, যখন অন্য কোনো ক্রিকেটারের স্ত্রী এই ফ্রেমে নেই, তখন অানুশকার থাকার যুক্তি কী? কোহলি-আনুশকা জুটিকে নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে কখনওই উত্তেজনার অভাব হয় না। কিন্তু এমন দৃশ্য তাঁরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুমিনুলের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ ৩৮৫

খেলার খবর: অধিনায়ক মুমিনুল হকের ঝড়ো শতকে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে বড় সংগ্রহের পথে রয়েছে বাংলাদেশে ‘এ’ দল। পাঁচটি ওয়ানডে ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বর্তমানে আয়ারল্যান্ডে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।

আজ বুধবার ডাবলিনের ভিনেয়ার্ড গ্রাউন্ডে চলছে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ। এর আগে প্রথম ওয়ানডে পরিত্যক্ত হয়েছিল বৃষ্টি বাধায়। পরের ওয়ানডেতে জয় পায় বাংলাদেশ। এরপরের ম্যাচ হেরে ১-১ সমতায় আসে সিরিজ। আজ সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় আইরিশ ‘এ’ দল।

ব্যাট করতে নেমে ৬ রানের মাথায় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওপেনার মিজানুর রহমান ফেরেন ৪ রান করে।

এরপরই শুরু হয় অধিনায়ক মুমিনুলের ব্যাটিং তাণ্ডব। আরেক ওপেনার জাকির হাসানের সঙ্গে জুটি বেঁধে তুলে নেন শতক। সঙ্গে অর্ধশতকের ইনিংস খেলেন জাকিরও। ১৩৩ বলে ১৮২ রানের মারকুটে ইনিংস খেলেছেন মুমিনুল। সব মিলিয়ে ৪ উইেকেট বাংলাদেশ ৩৮৫ রান সংগ্রহ করেছে।

বাংলাদেশ ‘এ’ দল:
মিজানুর রহমান, জাকির হাসান, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মোহাম্মদ মিথুন. ফজলে রাব্বি, আফিফ হাসান, খালেদ আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, আল আমিন জুনিয়র, সাইফউদ্দিন ও তাসকিন আহমেদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় পলক

দেশের খবর: বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণী সংস্থা ‘অ্যাপলিটিক্যাল (Apolitical)’ আজ বুধবার ডিজিটাল সরকারে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ জন ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক নির্বাচিত হয়েছেন। এ তালিকায় অন্যান্যর মধ্যে আছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল, ওয়ার্ল্ডওয়াইড ওয়েবের প্রতিষ্ঠাতা টিম বারনার্স লি, ভারতের আইটি মন্ত্রী রব শংকর প্রসাদ ও তাইওয়ানের ডিজিটাল বিষয়ক মন্ত্রী অড্রি ট্যাং।

‘World’s 100 Most Influencial People in Digital Government’ শীর্ষক প্রতিবেদনে অ্যাপলিটিক্যাল জানিয়েছে, এসব ব্যক্তি নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে ডিজিটাল সরকার প্রতিষ্ঠায় অভূতপূর্ব সাফল্য দেখিয়েছেন। নির্বাচিত ব্যক্তিরা ডিজিটাল প্রযুক্তির সুফল সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছেন।

অ্যাপলিটিক্যালের সহযোগী ও পৃষ্ঠপোষকদের অন্যতম ব্রিটিশ কেবিনেট অফিস, ইউরোপিয়ান কমিশন, কানাডা সরকার এবং ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থাটির কাজের পরিধি বিশ্বের ১২০টির বেশি দেশে বিস্তৃত। এটি একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন সংস্থা, যারা নীতিনির্ধারণের পাশাপাশি জনসেবায় নিয়োজিত নেতাদের বিশ্বব্যাপী পারস্পরিক নেটওয়ার্ক স্থাপনের কাজে নিয়োজিত। প্রথমবারের মতো প্রকাশিত শীর্ষ ১০০ জনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী পলক। এই তালিকা নির্বাচনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল গভর্নমেন্ট বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মনোনয়ন নেওয়া হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে দি এলান টিউরিং ইনস্টিটিউট, ওইসিডি, জাতিসংঘ, ফিউচার সিটিস ক্যাটাপুল্ট, ইউএসএইড এবং ওপেন গভর্নমেন্ট পার্টনারশিপ। পূর্ণ তালিকাটি দেখা যাবে এই পেজে : https://apolitical.co/list/digital-government-world100/

অ্যাপলিটিক্যালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রবিন স্কট বলেন, ‘বিশ্বের নানা প্রান্তে যেসব ব্যক্তি ডিজিটাল গভর্ন্যান্স প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন, আমরা তাঁদের খুঁজে বের করেছি এটা অত্যন্ত আনন্দের। তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য চ্যাম্পিয়ন। তাঁরা একই সঙ্গে ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা পৌঁছে দিতে কাজ করছেন আবার এই প্রযুক্তির ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রেও কাজ করছেন।’

এর আগে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম জুনাইদ আহেমদ পলককে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার-২০১৬’ নির্বাচিত করেছে। সংস্থাটি প্রতি সালে ৪০ বছরের কম বয়সী বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিভাবান তরুণ নেতাদের নাম প্রকাশ করে থাকে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জুনাইদ আহেমদ পলক বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং মাননীয় আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের অভিযাত্রায় ডিজিটাল সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে যে অনবদ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে এটি তার বৈশ্বিক স্বীকৃতি।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest