সর্বশেষ সংবাদ-
খালেদা জিয়ার রুহের মাগফেরাত কামনায় সাতক্ষীরায় তাঁতীদলের দোয়াসাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ২ বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলসাতক্ষীরা-০১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ’লীগ নেতা মুজিবের মনোনয়ন জমাসাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ

জাতির পিতার প্রেরণার উৎস ছিলেন বঙ্গমাতা

দেশের খবর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেছেন, জাতির অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বঙ্গমাতার পরামর্শ জাতির পিতাকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করেছে। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার জন্য প্রেরণা, শক্তি এবং সাহসের এক উৎস ছিলেন বঙ্গমাতা। স্বামীর সকল সিদ্ধান্তে মনস্তাত্ত্বিক সহযোগিতা ছাড়াও বঙ্গমাতার পরামর্শ অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বুধবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেগম ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেবেকা মোমেন ও জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের ওপর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা ও জাতির পিতার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে বঙ্গবন্ধু এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তিনিও নির্মমভাবে নিহত হন।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গমাতা সম্পর্কে বলেন, তাঁর সম্পর্কে মানুষ খুব সামান্যই জানে। তিনি অত্যন্ত সাদাসিধা ও প্রচারবিমুখ ছিলেন। তাই বঙ্গমাতার অবদান লোকচক্ষুর আড়ালেই রয়ে গেছে। বঙ্গমাতাকে স্বামী-সংসার অন্তঃপ্রাণ বাঙালি নারী এবং শোষিত-নিপীড়িত জনসাধারণকে মুক্তির চেতনায় জাগিয়ে তোলার সংগ্রামে স্বামীর পাশে থাকা সহযোদ্ধা হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জেলখানায় দেখা করতে গেলে আব্বা তাঁর মাধ্যমেই দলীয় নেতাকর্মীদের খোঁজখবর পেতেন। আব্বার দিকনির্দেশনা আম্মা নেতাকর্মীদের পৌঁছে দিতেন। আব্বা কারাবন্দি থাকলে সংসারের পাশাপাশি সংগঠন চালানোর অর্থও আমার মা জোগাড় করতেন।’
বাবার কোনো কাজেই মা প্রতিবন্ধক নয়, বরং সহায়ক ছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মা চাইলে স্বামীকে সংসারের চার দেয়ালে আবদ্ধ করতে পারতেন। কিন্তু তিনি কখনো ব্যক্তিগত-পারিবারিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে তাকাননি।’
বঙ্গবন্ধুর কারাজীবনের স্মৃতিচারণা করে এ সময় আক্ষেপের সুরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাবাকে কখনো টানা দুই বছরও আমাদের মাঝে পাইনি।’
তাঁর মা এবং বঙ্গবন্ধু মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে একে অপরের পরিপূরক ছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জীবনের একটি বড় সময়ই কারাগারে কাটিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর অবর্তমানে একদিকে যেমন সংসারের দায়িত্ব পালন; অন্যদিকে মামলা পরিচালনার ব্যবস্থা করা, দলকে সংগঠিত করা, আন্দোলন পরিচালনাসহ প্রতিটি কাজে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা অত্যন্ত দক্ষতা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।’
১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ভাষার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন শুরুর পর দেশমাতৃকার প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে জাতির পিতার সহযোদ্ধা বেগম মুজিবের রাজনৈতিক দূরদর্শিতারও কিছু উপাখ্যান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
বেগম মুজিবের একটি সিদ্ধান্ত বাঙালিকে মুক্তির সংগ্রামে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট স্মরণ করে বলেন, ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময় বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে ক্যান্টনমেন্টে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তান সামরিক সরকার। ছয় মাস পর্যন্ত তাঁর কোনো হদিস ছিল না। আমরা জানতেও পারিনি তিনি বেঁচে আছেন কি না। এর পরে কোর্টেই বঙ্গবন্ধুকে প্রথম দেখার সুযোগ হয়। তখন পাকিস্তান সরকার আম্মাকে ভয় দেখায়, বঙ্গবন্ধু প্যারলে মুক্তি না নিলে তিনি বিধবা হবেন।’
প্রধানমন্ত্রী স্মৃতি রোমন্থনে বলেন, ‘আম্মা সোজা বলে দিলেন, কোনো প্যারলে মুক্তি হবে না। নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে কোনো মুক্তি হবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমি মায়ের সিদ্ধান্তের কথা কোর্টে যখন বঙ্গবন্ধুকে জানালাম তখন অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকেও দেখেছি তাঁরা বলেছেন, তুমি কেমন মেয়ে? বাবার মুক্তি চাও না? আম্মাকে বলেছেন, ভাবি আপনি কিন্তু বিধবা হবেন।’
‘আমার মা তখন কঠিন স্বরেই বলেছেন, প্যারলে মুক্তি নিলে মামলার আর ৩৩ জন আসামির কী হবে। বঙ্গবন্ধু প্যারলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। গণ-অভ্যুত্থানে পাকিস্তান সরকার আব্বাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এর আগে, ১৯৬৬ সালে বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা ঘোষণা করে জনমত সৃষ্টির জন্য সারা দেশে জনসভা করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু আটবার গ্রেপ্তার হন। তখন কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতার ছয় দফাকে আট দফায় রূপান্তরের চেষ্টা বেগম মুজিবের জন্য ভেস্তে যায়। তিনি বলেন, ছয় দফা আন্দোলনের সময় সব থেকে উল্লেখযোগ্য ঘটনা, কারাবন্দিদের মুক্তির জন্য ৭ জুনের হরতাল সফল করা, সেটাও সফল হয়েছিল বেগম মুজিবের প্রচেষ্টায়। তিনি নিজ বাসা থেকে আত্মীয়র বাসায় গিয়ে সেখান থেকে স্যান্ডেল আর বোরকা পরে জনসংযোগে বেরিয়ে পড়তেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস আম্মার যে মনোবল দেখেছি, তা ছিল কল্পনাতীত। স্বামীকে পাকিস্তানিরা ধরে নিয়ে গেছে। দুই ছেলে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করছে। তিন সন্তানসহ তিনি গৃহবন্দি। যোগাযোগ একেবারে বিচ্ছিন্ন; কিন্তু আম্মা মনোবল হারাননি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মা নিজের জন্য কখনো কিছু চাননি। অথচ সারা জীবন এ দেশের কল্যাণে, মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তিনি এ দেশকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। আব্বার সঙ্গে থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখতেন—এ দেশের মানুষ ভালো থাকবে, সুখে-শান্তিতে বাস করবে। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বাবার পাশে থেকে সে স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করেছেন।’
তাঁর মায়ের আত্মত্যাগ বাবাকে এগিয়ে নিয়েছে বলেই বঙ্গবন্ধু জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিতে পেরেছেন। কাজেই এ স্বাধীনতায় তাঁর মায়ের অবদান অবিস্মরণীয়।’ বলেন বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার কন্যা শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আব্বা বারবার কারাগারে যাওয়ার ফলে এমনও দিন গেছে যে বাজার করতে পারেননি। আমাদের বলেননি আমার টাকা নেই। চাল-ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে আচার দিয়ে বলতেন, চলো আজ আমরা খিচুড়ি খাব।’
‘বাবা কারাগারে, সংসার ও সংগঠনের জন্য টাকার জোগাড় করতে গিয়ে মা বাড়ির ফ্রিজটি পর্যন্ত বিক্রি করে দিচ্ছেন অথচ বললেন, ঠাণ্ডা পানি খাওয়া ভালো নয়। শরীর খারাপ হতে পারে। কাজেই এর আর দরকার নেই।’ বলেন তিনি।
স্কুল-কলেজের প্রথাগত শিক্ষা অর্জন করতে না পারলেও বেগম মুজিব স্বশিক্ষিত ছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আম্মার উৎসাহেই জাতির পিতা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ লিখেছিলেন এবং জাতির পিতার ডায়েরিগুলো বঙ্গমাতাই সংরক্ষণ করে রাখেন, যা পরে পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বঙ্গমাতার অত্যন্ত সাদাসিধা জীবনযাপনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনি কোনো দিন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে থাকতে চাননি, যদি ছেলে-মেয়েদের চোখ ওপরে উঠে যায়। তিনি বলেন, বঙ্গমাতা বিলাসিতাকে কখনো প্রশ্রয় দেননি। ছেলে-মেয়েদের সেই আদর্শেই গড়ে তোলেন। আব্বা পাকিস্তান আমলে মন্ত্রী ছিলেন। চা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। স্বাধীনতার পর প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি ছিলেন। কিন্তু আমাদের মধ্যে বিত্ত-বিলাসিতার মোহ কখনো তৈরি হয়নি। আমার মায়ের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
২২টি সোনার বারসহ ভারতীয় যাত্রী আটক

দেশের খবর: শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারতীয় এক যাত্রীর কাছ থেকে সোনার ২২টি বার জব্দ হয়েছে। আটক করা হয়েছে ওই যাত্রীকে। তাঁর নাম আরশাদ আয়াজ আহমেদ (৪৬)। তিনি কলকাতার বাসিন্দা।
বুধবার দিবাগত রাত একটার দিকে তিনি ব্যাংকক থেকে থাই এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন।ঢাকা কাস্টম হাউসের উপপরিচালক অথেলো চৌধুরী বলেন, টিজি৩৩৯ ফ্লাইটটি বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর প্রথম দিকেই আরশাদ আয়াজ আহমেদ বেরিয়ে আসেন। গোপন খবরের ভিত্তিতে কাস্টমস হাউসের প্রিভেন্টিভ টিম তাঁকে অনুসরণ করে। গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার তাঁকে শুল্ক-কর আরোপযোগ্য পণ্যের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি তা অস্বীকার করেন। পরে তাঁর দেহ তল্লাশি করে কোমরে সাদা স্কচটেপে মোড়ানো অবস্থায় বিভিন্ন ওজনের সোনার ২২টি বার পাওয়া যায়। এগুলোর ওজন ১২ কেজি ৩০০গ্রাম। এর বাজার মূল্য ৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দক্ষ চালক তৈরিতে জরুরি বরাদ্দ চায় বিআরটিসি

দেশের খবর: ঢাকাসহ সারাদেশে সড়কে প্রতিদিনই ঝরছে প্রাণ। ওভারটেকিং ও অসুস্থ প্রতিযোগিতার পাশপাশি চালকের অদক্ষতা এসব দুর্ঘটনার জন্য বেশি দায়ী। অধিকাংশ চালকেরই নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন (বিআরটিসি) মনে করছে চালকের অদক্ষতা, যান্ত্রিক ত্রুটি, চালক ও পথচারীদের অসাবধানতা প্রভৃতি কারণে এসব সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে।
এসব বিবেচনায় দক্ষ গাড়িচালক তৈরিতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়ে পরিকল্পনা কমিশনে বুধবার (৮) চিঠি দিয়েছে বিআরটিসি।
‘দক্ষ চালক তৈরির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য বিআরটিসি’র তিনটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, ১৭টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আধুনিকায়ন ও শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পের আওতায় অতিরিক্ত ১২ কোটি ৬ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। অথচ চলতি এডিপিতে প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ ছিল মাত্র ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। ফলে এই প্রকল্পে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) মোট বরাদ্দ দাঁড়াবে ১৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রকল্পটি আরও গুরুত্ব দিয়েছে সরকার।
অনুমোদিত প্রকল্পের মোট ব্যয় ১৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। অথচ প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এ স্বল্প বরাদ্দ দিয়ে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না বলে জানায় বিআরটিসি।
বিআরটিসির ম্যানেজার (পরিকল্পনা) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, পাঁচ বছরে এক লাখ দক্ষ চালক তৈরি করা হবে। এর মধ্যে বিআরটিসি তৈরি করবে ৩৬ হাজার। এই লক্ষ্যে আমরা একটি প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করছি। প্রকল্পের মোট ব্যয় ১৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। কিন্তু আমরা এক টাকাও বরাদ্দ পাইনি। বরাদ্দ না পেলে কীভাবে কাজ করবো। সেজন্য জরুরিভিত্তিতে আমরা বরাদ্দ চেয়েছি। প্রকল্পের আওতায় আমরা অর্থব্যয় করতে পারিনি। ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা দিয়ে কাজ করাও সম্ভব না।
বিআরটিসি, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্কিল ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেইফ) সমন্বিতভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। বিআরটিসির তিনটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও ১৭টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রকল্পের টাকায় এসব প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশন ও কেন্দ্রগুলোর উন্নয়ন করা হবে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণের জন্য গাড়িও কেনা হবে। বিএমইটি প্রশিক্ষণ দেবে ৩২ হাজার জনকে। আর বাকি ৩২ হাজার জনকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
বেসরকারিখাতের প্রশিক্ষণের মূল দায়িত্বে থাকবে সেইফ। বিটিআরসি ও বিএমইটির প্রশিক্ষণের তদারকিও করবে স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেইফ)। অচিরেই সেইফের সঙ্গে এ দুই সংস্থা সমঝোতা স্মারক সই করবে। এসব কাজ বাস্তবায়ন করতে অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন বলে মনে করে বিআরটিসি।
প্রকল্পের আওতায় চলতি সময় থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এক লাখ দক্ষ চালক তৈরি করা হবে। প্রকল্পটি যদিও ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নেই। এজন্য পরিকল্পনামন্ত্রীর অনুমোদন চেয়েছে বিটিআরসি।
প্রশিক্ষিত চালকদের একটি বড় অংশের জন্য বিদেশে কর্মসংস্থানের উদ্যোগও নেওয়া হবে। এজন্য তাদের ইংরেজি ও আরবি ভাষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়া নারী চালকদেরও প্রশিক্ষণের আওতায় আনার লক্ষ্য রয়েছে। বর্তমানে বিআরটিসির তিনটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও ১৭টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এগুলো বর্তমানে জরাজীর্ণ ও ভঙ্গুর অবস্থায়। এসব কেন্দ্রে প্রশিক্ষণের কোনো আধুনিক উপকরণও নেই।
বরাদ্দ পেলে বিআরটিসির নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে গাজীপুর, মিরপুর, তেজগাঁও, জোয়ার সাহারা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, টুঙ্গীপাড়া, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, দিনাজপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, খুলনা, যশোর, ঝিনাইদহ ও বরিশালের প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলোতে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার জয়

খেলার খবর: শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচেই জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এতেই নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের সিরিজ জয়। চতুর্থ ওয়ানডেতেও জয়ের বেশ কাছাকাছি চলে গিয়েছিল প্রোটিয়ারা। তবে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শেষপর্যন্ত ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৩ রানের জয় পেয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।
ক্যান্ডিতে অনুষ্ঠিত এই চতুর্থ ম্যাচটিতে আগাগোড়াই ছিল বৃষ্টির বাধা। শুরুতে ব্যাটিং করতে নামা শ্রীলঙ্কার জন্য খেলার দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করা হয় ৩৯ ওভার। আর সেই নির্ধারিত সময়ে ঝড়োগতির ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কার স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান। এরপর আবার বৃষ্টির বাধায় দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ২১ ওভারে ১৯১। সেই লক্ষ্যেরও খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষপর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস।
সপ্তম উইকেটে ১০৯ রানের ঝড়ো জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কার স্কোর অনেক বড় করে দেওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছেন দাশুন শানাকা ও থিসারা পেরেরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৫ রানের ইনিংস খেলেছেন শানাকা। পেরেরার ব্যাট থেকে এসেছে ৫১ রান। আরেক পেরেরা, কুশালও খেলেছেন ৫১ রানের ইনিংস।
২১ ওভারে ১৮৯ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই কুইন্টন ডি ককের (২৩) উইকেট হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আরেক ওপেনার হাশিম আমলা খেলেছেন ২৩ বলে ৪০ রানের ইনিংস। জেপি ডুমিনির ব্যাট থেকে এসেছে ৩৮ রান। ২১ রান করেছেন ডেভিড মিলার। আর ১৭ রানের ছোট দুটি ইনিংস এসেছে হেনরিক ক্লাসেন ও কেশব মহারাজের ব্যাট থেকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

দেশের খবর: ডিবি পরিচয়ে সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা হাসিনুর রহমানকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার রাত ১০টার দিকে মিরপুর পল্লবীর ডিওএইচএসের বাসার সামনে থেকে তাঁকে তুলে নেওয়া হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। রাত ১টার দিকে পল্লবী থানায় এ অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
পল্লবী থানার ডিউটি অফিসার এসআই শহিদুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজ র‌্যাব সদস্যের পরিবারের লোকজন থানায় এসেছেন। তারা এ ঘটনায় জিডি করেন। হাসিনুর রহমানের শ্যালক ওয়াকিল আহমেদ জানান, তিনি তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। বাসার নিচে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের জ্যাকেট পরা কয়েকজন তাকে ধরে নিয়ে যায়।
পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পল্লবী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে তাঁর ব্যক্তিগত পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীতে চাকরির সময় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় দণ্ডিত হন হাসিনুর রহমান। ওই ঘটনায় পাঁচ বছরের জেল খেটে ২০১৪ সালে মুক্তি পান তিনি। এক সময় র‌্যাব-৫ ও র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক ছিলেন। বিজিবিতেও বেশকিছু দিন দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ‘ব্লক রেইড’ অভিযান

দেশের খবর: রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাসহ আশপাশে অভিযান ‘ব্লক রেইড’ চালিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় এ অভিযান শুরু হয়।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে ডিএমপির গুলশান বিভাগ, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও রিজার্ভ পুলিশের প্রায় এক হাজার সদস্য কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় জড়ো হন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। রাত সাড়ে ৮টার পর ওই এলাকায় অবস্থান নেয় পুলিশ। এরপর রাস্তায়, বাসায়, মেসে তল্লাশি চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) কাছে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ঘিরে ও আবাসিক এলাকার ভেতরে দিনভর অন্তত ১২ বার পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পুলিশ এ সময় কয়েক শ কাঁদানে গ্যাসের শেল এবং অনেক রাবার বুলেট ছুড়েছে । দিনভর সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। রাত ৮টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও সাঁজোয়া যান এনে রাখা হয়।
পুলিশকে লক্ষ্য করে আন্দোলনকারীরা ইট ও পাথর ছুড়ে মারেন। পরে পুলিশ তাঁদের ওপর শতাধিক রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় রাবার বুলেটের আঘাতে ১০ থেকে ১২ বছর বয়সী এক শিশু ও ১৫ বছর বয়সী একটি কিশোর আহত হয়। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এরা কেউ এখানকার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র নয়। বসুন্ধরার পাশের বস্তিতে থাকে।
এদিকে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের পৃথক দুই মামলায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ ছাত্রের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম আবদুল্লাহ আল মাসুদ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার আসামিরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থ সাউথ, সাউথইস্ট ও ব্র্যাকের ছাত্র। এর মধ্যে বাড্ডা থানার পুলিশ ১৪ জন ছাত্রকে এবং ভাটারা থানার পুলিশ ৮ জন ছাত্রকে আদালতে হাজির করে প্রত্যকের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
২ কোটি টাকার ইয়াবাসহ সৌদিয়া বাস আটক

দেশের খবর: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চলাচলরত সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে ১ কোটি ৯৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দামের ৩৯ হাজার ১’শ পিস ইয়াবাসহ যাত্রীবেশী ছয় মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
বুধবার (৮ আগস্ট) বিকেল ৫ টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৭ এর স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়াত জামিল ফাহিম জানান, যাত্রী পরিবহনের আড়ালে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাস চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহাসড়কে বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি চালায় র‌্যাব। এসময় ঢাকাগামী সৌদিয়া পরিবহনের বাস (চট্ট মেট্রো-ব ১১-১০৫৯) এর গতিবিধি সন্দেহজনক হলে র‌্যাব সদস্যরা উক্ত বাসটিকে থামানোর জন্য সংকেত দিলে গাড়িটি না থামিয়ে র‌্যাবের চেকপোস্ট অতিক্রম করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। র‌্যাব সদস্যরা গাড়িটি তাড়া করে ফেনীর রামপুর এলাকায় আটক করে।
বাসটি তল্লাশিকালে কুমিল্লার গয়েসপুর এলাকার খলিলুর রহমান (৫৭), কক্সবাজার জেলার পানখালী গ্রামের মো. রফিক (৪৬), সাতকানিয়া থানার চরকাগুলিয়া এলাকার মো. করিম (২৭), কুমিল্লার কালিকসার এলাকার মো. জাকির হোসেন মহসিন (৪৮), কক্সবাজার এর মহাজরপাড়া গ্রামের মো. পারভেজ উদ্দিন (৩০), রামুর খুনিয়া পালং এলাকার নবী হোসেনের স্ত্রী মোছা. মর্জিনা বেগম (৪৫) এর দেহ তল্লাশিকালে সাড়ে ৬ হাজার পিস এবং তাদের দেয়া তথ্যমতে আটককৃত বাসটির ড্রাইভিং সিটের নিচে সুকৌশলে লুকানো অবস্থায় আরো ৩২ হাজার ৩০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সর্বমোট ৩৯ হাজার ১০০ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ উক্ত বাসটি জব্দ করা হয়।
উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের আনুমানিক মূল্য ০১ কোটি ৯৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং জব্দকৃত বাসের আনুমানিক মূল্য ৮০ লক্ষ টাকা। এ বিষয়ে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে জানায় র‌্যাব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
MTCL এর গাড়ি ৩৬টি, চলছে ৭টি

দেশের খবর: রাজধানীতে এমটিসিএল পরিবহনের ৩৬টি গাড়ি থাকলেও রাস্তায় চলছে মাত্র ৭টি। ৫২ সিটের এই গাড়িগুলো আরামবাগের নটরডেম কলেজের সামনে থেকে ছাড়ে। এটি মতিঝিল হয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি, কলাবাগান, আসাদগেট ও মোহম্মদপুর টাউন হল পর্যন্ত যায়। প্রতিদিন এই রুটে ৩৬টি গাড়ি চলাচল করলেও সম্প্রতি ছাত্র বিক্ষোভের পর থেকে এখন মাত্র ৭টি গাড়ি এই রুটে চলাচল করছে। ফলে এই রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, ছাত্র বিক্ষোভের পর ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের (ডিএমপি) বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ চলছে। তাই রাস্তায় চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় রুট পারমিট ও চালকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় মালিকরা আপাতত গাড়ি রাস্তায় নামাচ্ছেন না।
বুধবার (৮ আগস্ট) দুসঙ্গে রাজধানীতে চলাচলের জন্য ২০১৮ সালের জুন মাসেই রুট পারমিটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। সরকার রুট পারমিটের মেয়াদ আবারও বাড়াবে কিনা জানেন না মালিকরা। তাই নতুন পুরে রাকিব নামের একজন চালক জানান, রাজধানীতে এই গাড়ির সংখ্যা মোট ৩৬টি। কিন্তু বর্তমানে চলছে মাত্র ৭টি। কারণ জানতে চাইলে চালক রাকিব জানান, এই গাড়ির ফিটনেস নাই। একই করে কাগজপত্রও করতে পারছেন না তারা। এতদিন রুটে সংশ্লিষ্ট পুলিশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে এমটিসিএল গাড়ি চলাচল করেছে। কিন্তু ছাত্র বিক্ষোভের মুখে ডিএমপির বিশেষ পুলিশ সপ্তাহ চলাকালে ট্রাফিক বিভাগ আগের তুলনায় কড়াকড়িভাবে কাগজপত্র চেক করার কারণে মালিকরা গাড়ি নামাতে সাহস পাচ্ছেন না। তাই রাস্তায় গাড়ি কম।
চালক রাকিব বলেন, ‘যে গাড়িটি আমি চালাচ্ছি, তারও কোনও কাগজপত্র নেই। তারপরও খামখেয়ালি করে চালাচ্ছি। কারণ মাসোহারা দেই তো।’ রাকিব বলেন, ‘আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাকা। আমার কাগজে কোনও ত্রুটি নাই। এই রুটের গাড়ি আমরা যারা চালাই, তাদের প্রায় বেশিরভাগেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স ওকে।’
এদিকে রাজধানীতে চলাচলকারী এমটিসিএল’এর একটি গাড়ির মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে টেলিফোনে বলেন, ‘কম গাড়ি চলাচলের জন্য জনসাধারণের ভোগান্তি হচ্ছে জানি। কিন্তু আমাদের কি করার আছে? কড়াকড়িভাবে ট্রাফিক সপ্তাহে কাগজ চেক হচ্ছে। রাস্তায় গাড়ি নামালেই টাকা দিতে হয়, তার পরেও কাগজ চায়। না পেলে মামলা দেয়। সেই মামলা মিটমাট করতে হয়। এতো ঝামেলা কে করে? তাই বন্ধ রেখেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক, তার পরে গাড়ি নামাবো।’ তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্টরা কাগজের চেয়ে টাকাকে বেশি পছন্দ করে। কারণ কাগজ পাকা থাকলে তো তাদের আয় কমে যায়।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest