সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ২ বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলসাতক্ষীরা-০১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ’লীগ নেতা মুজিবের মনোনয়ন জমাসাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনা

চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চালানো বন্ধের ঘোষণা মালিকদের

দেশের খবর: চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চালানো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকাভিত্তিক পরিবহন মালিকদের সংগঠন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইনকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে এ ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
বুধবার বিকেলে বিআরটিসি ভবনে অবস্থিত সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, আমরা পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা সবাই এই আইনের পূর্ণ সমর্থন করি। এই আইন ১৯৮৩ সালের আইন থেকে অনেক সময়োপযোগী ও গ্রহণযোগ্য। আমরা সমর্থন জানাই। তবে এই আইনে জরিমানার পরিমাণ অনেক বেশি। আমরা কিছু সংশোধনী প্রস্তাব দেবো। এগুলো সরকার মানলেও সমর্থন থাকবে, না মানলেও সমর্থন থাকবে।
এনায়েত উল্যাহ বলেন, আগে বাস কোম্পানিগুলো ক্ষতিপূরণ দিতো না বললেই চলে। কিন্তু এই আইনে ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার সুযোগ নেই। ক্ষতিপূরণ দিতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীকাল থেকে কোনও গাড়ি চুক্তিভিত্তিক চলবে না। এভাবে চললে পারাপারি (প্রতিযোগিতা) বেশি হয়, দুর্ঘটনা বাড়ে। আমরা এটা করতে দেবো না। যে কোম্পানি এটা মানবে না তার লাইসেন্স বাতিল করার জন্য আমরা সুপারিশ করবো। আর আমাদের সমিতির আওতায় হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেবো।’
তিনি আরও বলেন, আগামীকাল থেকে আমরা প্রতিটি বাস টার্মিনালে চেক করবো কোনও গাড়ি ফিটনেস সনদ, চালকের লাইসেন্স ছাড়া চলে কিনা। কারও (চালকের) কাগজপত্রের ঘাটতি থাকলে তাকে চলতে দেওয়া হবে না। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আমরা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মালিকদের সময় দিচ্ছি তারা যেন এর মধ্যে সব কিছু ঠিক করে নেয়।
এ সময় তিনি চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চালানো বন্ধ করতে সড়কের পাশে টিকিট কাউন্টারের ব্যবস্থা রাখার জন্য সিটি করপোরেশনকে আহ্বান জানান।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মহাখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালামসহ পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাকিস্তানে বিস্ময়কর পরিমাণ তেলের মজুদ আবিষ্কার!

বিদেশের খবর: ইরান সীমান্তের কাছে বিশাল তেলের মজুদ আবিষ্কারের খবর দিয়েছেন পাকিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ হুসেইন হারুন। তিনি দাবি করেছেন, এই একটি খনিতে কুয়েতের মোট মজুদের চেয়েও বেশি তেল রয়েছে।
তিনি মঙ্গলবার পাকিস্তানের ফেডারেশন অব চেম্বার্স অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির এক বৈঠকে ঘোষণা করেন- ইরান-পাকিস্তান পানিসীমার কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘এক্সন মবিল’ কম্পানি বিশাল এক তেলের মজুদ খুঁজে পেয়েছে। উত্তোলন উপযোগী এই তেলের খনি পাকিস্তানকে তেলের মজুদের দিক দিয়ে বিশ্বের ৬ষ্ঠ দেশে পরিণত করবে।
এই তেল ক্ষেত্র থেকে তেল উত্তোলন শুরু করতে এক হাজার কোটি ডলার খরচ হবে বলে জানান এই অস্থায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী, এই ক্ষেত্র থেকে উত্তোলনকৃত তেলের শতকরা ২৫ ভাগ এক্সন মবিলকে দিতে হবে।
সম্প্রতি এক্সন মবিল জানিয়েছিল, তারা ইরান-পাকিস্তান সীমান্তে বড় ধরনের তেলের মজুদ পাওয়ার কাছাকাছি অবস্থায় রয়েছে।
পাকিস্তানের জিও নিউজ জানিয়েছে, দেশটিতে তেল ও গ্যাসের মতো খনিজ সম্পদের সন্ধানে এক্সন মবিল এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার মিটার খননকাজ সম্পন্ন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এ কোম্পানিকে গ্যাস অনুসন্ধানেরও দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের অস্থায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া তথ্য সঠিক হয়ে থাকলে তা পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এক যুগান্তকারী ঘটনা হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। বর্তমানে পাকিস্তানের মোট তেলের চাহিদার শতকরা ১৫ ভাগ অভ্যন্তরীণভাবে উৎপন্ন হয়। বাকি ৮৫ ভাগ প্রয়োজনের জন্য দেশটি আমদানির ওপর নির্ভরশীল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
“ক্যাপ্টেন খান” শুটিং ব্যাংককে, সম্পাদনা কলকাতায়

বিনোদনের খবর: আসন্ন ঈদে মুক্তির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে শাকিব খান ও শবনম বুবলীর চলচ্চিত্র ‘ক্যাপ্টেন খান’। মঙ্গলবার থেকে ব্যাংককে শুরু হয়েছে ছবির গানের শুটিং। বিশেষ ব্যবস্থায় রাতে সম্পাদনার কাজ হচ্ছে কলকাতায়। এতটা তাড়াহুড়া করার কারণ ঘনিয়ে আসছে ঈদের সময়। তাই আগামী রোববার সেন্সর বোর্ডে ছবিটি জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রযোজক সেলিম খান। ছবিটি পরিচালনা করছেন ওয়াজেদ আলী সুমন। ছবিটি প্রযোজনা করছে শাপলা মিডিয়া।
প্রযোজক সেলিম খান বলেন, ‘আমরা ছবির সব দৃশ্যের শুটিং শেষ করেছি চলতি সপ্তাহের শুরুতে। ছবির টাইটেল গানসহ তিনটি গানের শুটিংও শেষ হয়েছে। গতকাল থেকে ব্যাংককে ছবির রোমান্টিক গানের শুটিং করছেন শাকিব খান ও শবনম বুবলী। দিনের বেলায় শুটিংয়ের ফুটেজ চলে আসছে কলকাতায়। সেখানে গানের সম্পাদনা করা হচ্ছে। আশা করি শুক্রবারের মধ্যে দুটি গানের শুটিং শেষ হয়ে যাবে। শনিবারে মধ্যে দুটি গানের সম্পাদনাও শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’
প্রযোজক আরো বলেন, “আমি শাপলা মিডিয়া থেকে বিশ্বমানের কাজ উপহার দিতে চাই। শাকিব খান এরই মধ্যে দুই বাংলায় বেশ প্রতাপের সাথে কাজ করছেন। কলকাতার আধুনিক প্রযুক্তির ছবিতে তিনি কাজ করে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছেন। আমরা সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্ট করছি। ‘ক্যাপ্টেন খান’ ছবিতে তার প্রমাণ দর্শক পাবে। এই ছবিটি হবে আধুনিক সময়ের একটি ছবি।”
গত ঈদে শাকিব-বুবলীকে নিয়ে একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্মিত হয় উত্তম আকাশ পরিচালিত ছবি ‘চিটাগাইঙ্গা পোয়া, নোয়াখাইল্যা মাইয়া’। ‘ক্যাপ্টেন খান’ ছবিতে শাকিব ও বুবলী ছাড়াও অভিনয় করছেন নায়ক সম্রাট, মিশা সওদাগর, বড়দা মিঠু, ডন, শিবা শানু, অমিত হাসান প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ উদ্বোধন

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরায় স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ-২০১৮ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এ স্মার্ট কার্ড বিতরনের উদ্বোধন করেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন।
জেলা প্রশাসন ও জেলা নির্বাচন অফিসের যৌথ আয়োজনে উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরার পৌর মেয়র আলহাজ্ব তাসকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী আকমল হোসেন প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন বলেন, পৌরশহরের দশ বিশিষ্ঠ ব্যক্তিকে পরিচয়পত্র বিতরণের মাধ্যমে সাতক্ষীরায় দৃশ্যমান হলো জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কর্মসূচি। এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে এই বিতরণ কার্যক্রম চলবে।
উক্ত কার্ড বিতরন অনুষ্ঠান থেকে এ সময় জানানো হয়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৩লাখ ৪৪ হাজার নাগরিকের এই স্মার্ট কার্ড পর্যায়ক্রমে বিতরন করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জামিন মিলেছে বাসমালিকের, চালকের মেলেনি

দেশের খবর: রাজধানীর মগবাজারের ওয়্যারলেস এলাকায় বাসের চাপায় যুবক নিহতের ঘটনায় ‘এসপি গোল্ডেন লাইন পরিবহনে’র মালিক জুনায়েদ হোসেন লস্করের জামিন দিয়েছেন আদালত। তবে বাসটির চালক ইমরান সর্দারের জামিন নাকচ করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম বিন আমীন চৌধুরী এ আদেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহমুদুল হাসান এনটিভি অনলাইকে জানান, এসপি গোল্ডেন লাইন পরিবহনের মালিক জুনায়েদ হোসেন হজে যাওয়ার জন্য জামিনের আবেদন করেছেন। বিচারক শুনানি শেষে হজে যাওয়ার কারণে আসামি জুনায়েদের জামিন দিয়েছেন। তবে চালক ইমরান সর্দারের জামিন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার বাসচালক ইমরান সর্দার ও মালিক জুনায়েদকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গত ৪ আগস্ট চালক ইমরান সর্দারকে দুই দিন ও মালিক জুনায়েদকে ৫ আগস্ট একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৩ আগস্ট এসপি গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বাসের চাপায় নিহত হন সাইফুল ইসলাম রানা। তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে ব্রাদার হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার তেতলা গ্রাম। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবার বড়। রাজধানীর খিলগাঁওয়ের গোড়ান হাড়ভাঙ্গা মোড় এলাকায় তিনি থাকতেন।
রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহিবুল্লাহ জানান, গত ৩ আগস্ট দুপুর দেড়টার দিকে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের মগবাজার ওয়্যারলেস গেটের ঢাল দিয়ে নেমে এসপি গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বাসটি মালিবাগের দিকে যাচ্ছিল। ঢাল দিয়ে নামার পরই বাসটি একটি মোটরসাইকেলের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলের চালক সাইফুল গুরুতর আহত হন। সঙ্গে সঙ্গে পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে পাশের সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই মহিবুল্লাহ আরো জানান, দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা বাসচালককে আটক করেন। তাঁকে মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আাশশুনির বড়দলে সুদে মহাজনদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ : সাংবাদিককে হুমকি

 

আশাশুনি ব্যুরো: গত ৭ আগষ্ট মঙ্গলবার আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের সুদে মহাজনদের বিরুদ্ধে তাদের চড়া সুদের ছোবলে একাধিক অসহায় পরিবার নিঃশ্ব হওয়ার সংবাদ প্রকাশে এলাকার সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ব্যপক সমালোচনার ঝড় বইতে দেখা গেছে। সুদে মহাজনদের নাম উল্লেখ করে তাদের আসল মুখোশ সর্ব সাধারনের সন্মুখে উন্মক্ত করায় স্থানীয় সাংবাদিককে ফোনে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন এক সুদে মহাজন। এ প্রতিবেদককে তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশে সহায়তা কারী, চড়া সুদের টাকা দিতে না পেরে পরিবার থেকে পালিয়ে বেড়ানো আছাদুল সরদারের স্ত্রী মুর্শিদা বেগমকে চেকের মামলার ভয় দেখিয়ে সাংবাদিককে তথ্য দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন কেয়ারগাতী গ্রামের অমেদ আলীর পুত্র বাজারের সানমুন টেলিকমের মালিক আছাফুর রহমান। মুর্শিদা বেগম মুঠো ফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, আছাফুর তাকে ফোনে এবং তার স্বামীর বড় ভাইদের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে মামলার ভয় দেখিয়ে সাংবাদিকদের তথ্য দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক সাংবাদিক জানান, যাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তারা তাকে যে সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ করেছে তার নাম বলার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করছেন। সাংবাদিকের নাম না বললে দেখে নেয়ার হুমকি ও দিয়ে চলেছেন। আছাদুলের মাতা মুর্শিদার শ্বাশুড়ী প্রতিবেদককে জানান, আছাদুল সুদের টাকা দিতে না পেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তিন সন্তান, স্ত্রী ও আমি সব মিলে ৫টি প্লেটে ভাত বাড়তে হয় তিন বেলা। তার একটি হাত ভেঙে গেছে চিকিৎসার জন্য টাকার দরকার সব মিলিয়ে তারা খুব অসহায়। এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর অনেকে অভিযোগ করেছে গোয়ালগাংগা বাজারের গীতাঞ্জলী জুয়েলার্সের মালিক বিশ্বনাথ শীল কয়েক জনকে বড় অংকের লাভের আশা দেখিয়ে তাদের স্ব স্ব নামে বিভিন্ন সমিতি থেকে টাকা তুলে নিয়ে সে সুদে বসিয়ে দেয়। বিশ্বনাথ তাদেরকে বলেছিল টাকা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি কিস্তি টাকা সে সুদের টাকা থেকে দিয়ে দেবে। বছর শেষে আসল টাকা সবাইকে পিরিয়ে দিবে। কিন্তু আসল টাকা তো দুরের কথা তিন/ চার কিস্তি দেয়ার পর আর কাহরো খোজ সে রাখেনি। এলাকার সচেতন মহলের দাবি উল্লেখিত সুদখোরদের বাহিরেও কিছু সুদখোর বর্তমানে বড়দলের বিভিন্ন এলাকায় তাদের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। এ সুদের টাকা আদাই করাকে কেন্দ্র করে বহু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে এবং ভবিষ্যতে ঘটার সম্ভবনা আছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে এ এলাকার সুদখোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সকল শ্রেণি পেশার মানুষ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ১২’শ পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী আটক

আসাদুজ্জামান ঃ সাতক্ষীরার পদ্মশাখরা সীমান্ত থেকে ১২’শ পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার সকালে সদর উপজেলার পদ্মশাখরা সীমান্তের আশা সমিতির মোড় থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃত মাদকব্যবসায়ীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ডাক্তার মহিয়ুর ইসলাম ওরফে ময়ুর ডাক্তারের ছেলে দূধর্ষ ছিনতাইকারী মোহন (৩২), একই উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের সঞ্জয় মোড়লের ছেলে ইসমাইল হোসেন দ্বীপ (৩৩) ও বৈচনা গ্রামের মাহমুদ আলী গাজীর ছেলে আসাদুল ইসলাম (২৮)।
সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহারিয়ার হাসান জানান, সাতক্ষীরার পদ্মশাখরা সীমান্ত দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান দেশের ভিতরে আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি টহল দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় সীমান্তের আশা সমিতির মোড় এলাকা থেকে উক্ত তিন জনকে আটক করে তাদের চ্যালেঞ্জ করা হয়। এরপর তাদের দেহ তল্লাশী চালিয়ে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১২’ শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, আটককৃত তিন মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তবে, আটক মোহনের বিরুদ্ধে ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নারী হৃদরোগীদের জন্য নারী ডাক্তাররাই সেরা

স্বাস্থ্য কণিকা: যেসব নারী হৃদরোগে আক্রান্ত বা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, তাদের চিকিৎসা যদি হাসপাতালে একজন নারী ডাক্তারকে দিয়ে করানো হয় তাহলে তাঁর বেচে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
গত ১৯ বছর ধরে ৫ লাখ ৮০ হাজার হার্ট এটাকে আক্রান্ত রোগীদের ওপর এ সংক্রান্ত গবেষণা পরিচালনা করা হয়।
সার্বিক দিক বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, যেসব রোগীদের পুরুষ ডাক্তার দেখভাল করেছেন তাদের মধ্যে ১৩ দশমিক তিন শতাংশ মৃত্যুবরণ করেছে।
অন্যদিকে নারী ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে থাকা রোগীদের মধ্য মারা গেছে ১২ শতাংশ।
তবে কোন পুরুষ ডাক্তারের দলে যদি বেশ কয়েকজন নারী সহকর্মী থাকেন তাহলেও রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
গবেষকরা একটি তত্ত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, নারী রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক পুরুষ চিকিৎসক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
স্বাধীন বিশেষজ্ঞরা বলেছে যে এই ফলাফলগুলি যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলিতে প্রয়োগের আগে এ নিয়ে আরও কাজ প্রয়োজন।
১৯৯১ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ফ্লোরিডা হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া বিভিন্ন রোগীদের মেডিকেল তথ্য পর্যালোচনা করেন গবেষকরা।
রোগীদের বয়স, জাতি এবং মেডিকেল ইতিহাসের মতো বিষয়গুলি বিবেচনা করার পর, তারা দেখেছেন যে একজন রোগীকে যদি একজন নারী চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়, তবে রোগীর হার্ট অ্যাটাক থেকে বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
তবে ফলাফলের পার্থক্য নারী রোগীদের ওপর প্রভাব ফেলে সবচেয়ে বেশি।
পুরুষ ডাক্তাররা যখন হৃদরোগীদের চিকিৎসা করেছিলেন তখন পুরুষ রোগীর মৃত্যুর হার ১২ দশমিক ৬ শতাংশ থাকলেও নারীদের ক্ষেত্রে সেটা বেড়ে ১৩ দশমিক ৩ শতাংশে ঠেকেছিল।
কিন্তু যখন একজন নারী চিকিৎসক যখন চিকিৎসার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন তখন সেই শতাংশের হার পুরুষ রোগীদের ক্ষেত্রে ১১.৮% এবং নারী রোগীদের ক্ষেত্রে ১২% এ নেমে আসে।
সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ বিজ্ঞানী ড. শেঠ কারনারহান বলেন, “আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে যে পুরুষ ডাক্তারের চেয়ে নারী চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রোগীদের অবস্থার উন্নতি তাড়াতাড়ি হয়েছে।”
আমাদের গবেষণায় এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে একজন নারী চিকিৎসকের উপকারিতা বিশেষ করে একজন নারী রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বড় ধরণের প্রভাব ফেলে।”
গবেষণা দলটি আরও জানায় যে, হাসপাতালে দুর্ঘটনা এবং জরুরী ইউনিটে নারী চিকিৎসকের সংখ্যার ওপর নির্ভর করে সেখানে আসা নারী রোগীদের বেঁচে থাকার হার।
নারী চিকিৎসক যতো বেশি থাকে, নারী রোগীদের সেরে ওঠার সম্ভাবনা ততোই বেড়ে যায় বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়।
এবং সেই ইউনিটের প্রধান যদি একজন পুরুষ চিকিৎসক থাকে তাহলে তা আরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
গবেষকদের মতে, চিকিৎসকদের হয়তো এমন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে যে হৃদরোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষরা আক্রান্ত হয়ে থাকে বেশি।
তবে, এ ধরণের গবেষণায় সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলেও জানান গবেষকরা।
কারণ গবেষণাটি এটা প্রমাণ করতে পারে না যে, শুধুমাত্র নারী চিকিৎসকদের উপস্থিতি রোগীদের সেরে ওঠার হার বাড়িয়ে দেয়।
ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের ঊর্ধ্বতন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ মাউরিন টালবোট বলেন, “হার্ট এটাকে আক্রান্ত নারী ও পুরুষ রোগীদের চিকিৎসার ব্যাপারে দাতব্য সংস্থা পূর্বে যে গবেষণা পরিচালনা করেছিল তার ফলাফলে উদ্বেগজনক পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে।”
তিনি বলেন “গবেষণাটি এই তত্ত্ব সমর্থন করছে ঠিকই, তবে এখানে পক্ষপাতিত্ব বিদ্যমান কিনা তা দেখার জন্য যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলোয় এ সংক্রান্ত আরও গবেষণার প্রয়োজন।”
“এটা আমাদের জন্য বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে রোগীর যত্নের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।” জানান মাউরিন টালবোট
এছাড়া এইচএইচএফ ইতোমধ্যে গবেষণা করছে যে হৃদরোগে আক্রান্ত নারীদের সেরে ওঠার হার কিভাবে উন্নত করা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের জার্নাল প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসের -এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest