সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ২ বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলসাতক্ষীরা-০১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ’লীগ নেতা মুজিবের মনোনয়ন জমাসাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনা

শহিদুলকে হাসপাতালে ভর্তি করার মতো কিছু হয়নি: হারুন

দেশের খবর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ-আল-হারুন বলেছেন, শহিদুল আলমের শারীরিক অবস্থা ভালো। আমাদের মেডিক্যাল বোর্ড তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছে। তাকে হাসাপাতালে ভর্তি করার মতো কিছু হয়নি। তিনি যেসব ওষুধপত্র খেতেন তাই চলবে। আমাদের ডাক্তাররা তার ব্যবস্থাপত্র লিখে দিয়েছেন। বুধবার (৮ আগস্ট) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে শহিদুল আলমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ-আল-হারুন বলেন,‘এখানে আসার পর শহিদুল আলম হাসছিলেন এবং প্রশ্ন করেন— তাকে কেন হাসপাতালে আনা হয়েছে? তিনি তো ভালো আছেন।’
শহিদুল আলমের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএসএমএমইউ’র পরিচালক বলেন,‘আমাদের মেডিক্যাল বোর্ড এমন কিছু পায়নি এবং তিনি নিজেও এ বিষয়ে ডাক্তারদের কিছু বলেননি। তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপত্র দিয়ে আবার ফেরত দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে বুধবার সকাল ৯টার দিকে আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে বিএসএমএমইউ’তে আনা হয়।
উল্লেখ্য, রবিবার (৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায়। পাঠশালার ভাইস প্রিন্সিপাল তানভির মুরাদ তপু বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহিদুল আলমকে ধানমন্ডি ৯/এ সড়কের বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অজ্ঞাত লোকেরা তুলে নিয়ে গেছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শিক্ষার্থীদের আবারও আন্দোলনের বস্তুগত কারণ নেই : কাদের

দেশের খবর: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আবারও আন্দোলনে নামার বস্তুগত কারণ নেই।
আজ বুধবার রাজধানীর আজিমপুর এতিমখানা মাঠে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে কাদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বস্তুত শেষ হলেও ষড়যন্ত্র থেমে নেই বিএনপির।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমার তো মনে হয়, এ মুহূর্তে আন্দোলন হওয়ার মতো বস্তুগত পরিস্থিতি দেশে বিরাজমান নেই। এ মুহূর্তে তো নানা খেলা চলছে, অশুভ খেলা চলছে। যারা নিজেদের আন্দোলন করার সক্ষমতা নেই, ব্যর্থ হয়ে বিদেশিদের কাছে দেশের বদনাম করে।’
একই সঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের খুঁজে বের করা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে দলীয় এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাদের বলেন, ‘(আক্রমণকারীদের) খুঁজে বের করা হচ্ছে। অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গণমাধ্যমকর্মীরা, তারা খবর সংগ্রহ করতে আসে। তাদের ওপর হামলা করবে যারা, তারা আমাদের বন্ধু নয়, তারা আমাদের শত্রু। তারা যেই দলেই থাকুক। আক্রমণকারী আমাদের কেউ হলে, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের কেউ হলে, আপানারা আমাদের কাছে তাদের নাম দিন; আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব এবং আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
বক্তব্য শেষে আওয়ামী লীগের দুর্যোগ ও ত্রাণ উপকমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে দুস্থ, এতিম এবং প্রতিবন্ধীদের মধ্যে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করেন ওবায়দুল কাদের
এদিকে, বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় বঙ্গমাতার আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এ সময় বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে এবং বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রাম বঙ্গমাতার অবদান স্মরণ করার পাশাপাশি দেশের রাজনীতি প্রসঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
বনানীতে কাদের বলেন, ‘যারা আন্দোলনে ব্যর্থ, তারা নালিশই করে। সে নালিশটা দেশের লোকের করে না, বিদেশির কাছে করে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১ নভেম্বর থেকে শুরু জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা

দেশের খবর: অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফেকেট (জেডিসি) পরীক্ষার সূচি চূড়ান্ত করে আজ প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে জেএসসির পরীক্ষার সূচি প্রস্তুত করে তা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ের পাঠায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটি। এর প্রধান হিসেবে রয়েছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব সরকারি মাধ্যমিক-১ আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগামী ১ নভেম্বর থেকে এই পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। বোর্ডের ওয়েবসাইটে সময়সূচি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সময়ন্বয় সাব-কমিটি পরীক্ষার সূচি তৈরি করে অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। পরীক্ষার চূড়ান্ত সময়সূচি এখন প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. আবদুল খালেক স্বাক্ষরিত সূচিতে দেখা গেছে, প্রথম দিন জেডিসি অনুষ্ঠিত হবে কোরআন মজিদ ও তাজবিদ বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বোরকা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য: ক্ষমা চাইবেন না জনসন

বিদেশের খবর: মুসলিম নারীরা বোরকা পরলে তাদেরকে ‘চিঠির বাক্সের মতো’ দেখায় এবং তারা ‘ব্যাংক ডাকাতদের’ মতো। এমন মন্তব্য করেছিলেন সাবেক ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। এ মন্তব্য করার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। ওই মন্তব্যের জন্য তিনি ক্ষমা চাইবেন না বলে জানিয়েছেন।
ওই মন্তব্যের জন্য জনসনকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি উঠেছে। এই দাবির সমর্থন জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-ও। তিনি বলেন, জনসনের মন্তব্য ‘সুস্পষ্ট অবমাননা’।
এদিকে, জনসনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, জনসন ক্ষমা চাইবেন না।
সূত্রটি জানিয়েছে, তার দৃষ্টিভঙ্গির জন্য সমালোচনাকে ‘হাস্যকর’ উল্লেখ করেছেন জনসন।
জনসনের ওই মন্তব্য প্রসঙ্গে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালিস্টার বার্ট বলেন, আমি মনে করি তার মন্তব্যে অপরাধের একটা মাত্রা আছে। পোশাকের বিষয়ে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করবে না সরকার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আমার মা চিন্তা ভাবনায় উচ্চমানের ছিলেন

দেশের খবর: আমার মা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা লেখাপড়ার তেমন সুযোগ না পেলেও চিন্তা ভাবনায় তিনি খুব উচ্চমানের ছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার মা খুব জ্ঞানপিপাসু ছিলেন। তার খুব বই পড়ার অভ্যাস ছিল। আব্বার জন্য বই কিনতেন। লেখাপড়ার তেমন সুযোগ না পেলেও চিন্তা ভাবনায় তিনি খুব উচ্চমানের ছিলেন।
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে জাতির পিতা হত্যাকারীদের নিষ্ঠুর, বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়ে তিনিও শাহাদাত্বরণ করেন। শহীদ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মাত্র ৩ বছর বয়সে পিতা ও ৫ বছর বয়সে মাতাকে হারান। তার ডাক নাম ছিল রেণু।
পিতার নাম শেখ জহুরুল হক ও মাতার নাম হোসনে আরা বেগম। দাদা শেখ কাসেম চাচাতো ভাই শেখ লুৎফর রহমানের পুত্র শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বেগম ফজিলাতুন্নেছার বিবাহ দেন। তখন থেকে বেগম ফজিলাতুন্নেছাকে শাশুড়ি বঙ্গবন্ধুর মাতা সাহেরা খাতুন নিজের সন্তানদের সঙ্গে মাতৃস্নেহে লালন-পালন করেন। গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে তিনি প্রাথমিক লেখাপড়া করেন। অতঃপর সামাজিক রীতি-নীতির কারণে গ্রামে গৃহশিক্ষকের কাছে লেখাপড়া করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হতে পারে সেপ্টেম্বরে

দেশের খবর: আগামী সেপ্টেম্বরে ২১ আগস্ট হামলা মামলার রায় হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। রাষ্ট্রপক্ষের প্রত্যাশা ছিল এই আগস্টেই বহুল আলোচিত এ মামলার রায় হবে। কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত হচ্ছে না বলেই মনে করছেন তারা।
ঢাকার দ্রুত বিচার আদালত-১-এ মামলার কার্যক্রম এখন শেষ পর্যায়ে। এ মামলার সর্বশেষ আসামি হিসেবে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক চলছে। আর কয়েকটি কার্যদিবসের মধ্যেই এ যুক্তিতর্ক শেষ হলে রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার আইনগত দিকগুলো তুলে ধরে চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবে। এরপরই এ মামলার রায়ের দিন ধার্য করবেন বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ভয়ঙ্কর ওই হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২২ জন নিহত হন। গুরুতর আহত হন শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েকশ’ নেতা-কর্মী। তাদের অনেকে শরীরে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার নিয়ে দুঃসহ জীবন যাপন করছেন।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা পরিচালনায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল আলম বিপুলের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এ মামলার আসামিদের তালিকা থেকে তাদের বাদ দেওয়া হয়। মামলাটিতে এখন আসামির সংখ্যা ৪৯। এর মধ্যে ৪৫তম আসামি হিসেবে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক চলছে।
পলাতক থাকায় অন্য চার আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হবে না। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আইনজীবীও পাবেন না তারা। কারণ, তাদের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারার অভিযোগ না থাকায় তাদের জন্য রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবীর সুবিধা পাবেন না। তারা হচ্ছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আমিন আহমদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার, পুলিশের সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ হাসান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক ডিসি (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান খান।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জমান বাবরের যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হবে। মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) দ্বিতীয় দিনের মতো বাবরের পক্ষে চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম। আগামীকাল বুধবারও (৮ আগস্ট) বাবরের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন এই আইনজীবী।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করতে আর কয়দিন সময় লাগতে পারে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এটা সঠিকভাবে বলা যাবে না। তার যুক্তিতর্ক শেষ হলে সিনিয়র একজন আইনজীবী বাবরের পক্ষে আইনগত দিকগুলো তুলে ধরবেন আদালতের কাছে। এছাড়া বাবর নিজেও আদালতের কাছে কিছু কথা বলার সুযোগ চাইবেন। আদালত অনুমতি দিলে তিনিও তার বক্তব্য উপস্থাপন করবেন আদালতে। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন। এরপর আদালত রায়ের দিন ধার্য করবেন।’
এ মামলার কার্যক্রম শেষে কবে নাগাদ রায় দেওয়া হতে পারে জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল এই আগস্ট মাসেই মামলার কার্যক্রম শেষে রায় হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ ছাড়াও আরও একটি পক্ষ আছে— আসামি পক্ষ। তারাও তাদের কার্যক্রম শেষ করতে হবে। তবে শিগগির এ মামলার রায় হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) পর্যন্ত এ মামলায় ১০৬ কার্যদিবস চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮১ কার্যদিবসই নিয়েছে আসামিপক্ষ ।’
৪৯ আসামির মধ্যে বর্তমানে এ মামলায় পলাতক রয়েছেন ১৮ জন। জামিনে আছেন আটজন। কারাগারে আছেন ২৩ জন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরদিন ২২ আগস্ট দণ্ডবিধির ১২০/বি, ৩২৪, ৩২৬, ৩০৭, ৩০২, ২০১, ১১৮, ১১৯, ২১২, ৩৩০, ২১৮, ১০৯ ও ৩৪ ধারায় মতিঝিল থানার এসআই শরীফ ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা (নং ৯৭) দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ৯ জুন হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে সিএমএম আদালতে দুটি অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন সিআইডির সিনিয়র এএসপি ফজলুল কবির। ওই বছরই মামলা দুটির কার্যক্রম দ্রুত বিচার আদালত-১-এ স্থানাস্তর করা হয়। এ আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের ২৯/১১ (হত্যা) ও ৩০/১১ (বিস্ফোরক) মামলা দুটির বিচারকাজ শুরু হয়।
৬১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর ২০০৯ সালের ২৫ জুন এ মামলার অধিকতর তদন্তের আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। ওই বছরের ৩ আগস্ট আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করেন। মামলার অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডির এসপি আবদুল কাহার আকন্দকে। তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ ও আবদুস সালাম পিন্টুসহ আরও ৩০ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১১ সালের ২ জুলাই আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরার কুখ্যাত চোরাকারবারী ও ছিনতাইকারী বেল্লাল আটক

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কুখ্যাত চোরাকারবারী ওরফে ‘সোনা’ বেল্লালকে আটক করেছে করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর সদর উপজেলার আগরদাড়ী ইউনিয়নের কাশেমপুর হাজামপাড়া মোড় এলাকা থেকে তাকে ডিবি পুলিশ আটক করেছে বলে এলাকাবাসী জানান।
বেল্লাল সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের মহররমের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, বেল্লাল কাশেমপুর এলাকার গোল্ডেন বেল্লাল নামে পরিচিত। সে নাশকতাকারী জামাত নেতা ওয়াহাব মেম্বরেরও ঘনিষ্ঠ। বেল্লাল এলাকায় মাদককারবারী, অর্থ ছিনতাই ও স্বর্ণ ছিনতাইকারী চক্রের হোতা বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তারা জানান, বেল্লাল বিভিন্ন প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে দীর্ঘদিন ধরে এসব অবৈধ ব্যবসা করে কোটিপতি হয়েছেন। ইতোমধ্যে বিলাস বহুল বাড়ি ও প্রাইভেটকারের মালিকও হয়েছেন তিনি। ড্রাইভারির পেশা থেকে চোরাচালান করে বেল্লাল রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। ইতোমধ্যে বেল্লালের সহযোগী তার আপন ভাইপো বাবু ও একই এলাকার বাবলু নামে দুই ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়ে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নাগরিক নিবন্ধন নিয়ে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার কারণ নেই: ভারত

বিদেশের খবর: আসামের জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) নিয়ে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার কারণ নেই বলে জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। ভারত সফররত বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি ভারতের মন্ত্রীর এই আশ্বাসের কথা জানিয়েছেন। নজিবুল বশর বলেন, তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতে ভারতের প্রতিমন্ত্রী এই আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে কাউকে পুশব্যাক করা হবে না’।
ভারত সরকারের আমন্ত্রণে সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি তিন দিনের সফরে গত সোমবার ভারতে আসেন। ওই দিনই তিনি কিরেন রিজিজু ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের সঙ্গে দেখা করেন। গতকাল মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (ওআরএফ) এক আলোচনা সভায় অংশ নেন। নয়াদিল্লির রাউস অ্যাভিনিউয়ে ওআরএফের কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা হয়।
সেখানে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার পর প্রশ্নোত্তর পর্বে নজিবুল বশর জানান, ভারতের এনআরসি থেকে বাদ পড়া লোকজন নিয়ে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার কারণ নেই বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু।
আসামের এনআরসি থেকে ৪০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা বাদ পড়েছেন। এ নিয়ে অশান্ত রয়েছে আসাম। স্থানীয় বিজেপি নেতা ও কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর মতে, বাদ পড়া ব্যক্তিদের বেশির ভাগ ‘বাংলাদেশি’ ও ‘রোহিঙ্গা’।
প্রশ্নোত্তর পর্বে নজিবুল বশর বলেন, ‘রিজিজুকে আমি বলি, “১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। এর ওপর যদি আসাম থেকে ৪০ লাখ ফেরত পাঠান, তাহলে তো মরেই যাব!” এ ব্যাপারে রিজিজু আশ্বাস দেন, আমাদের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আসামের নাগরিক নিবন্ধন তৈরি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তা ছাড়া সবকিছু হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে।’
ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা তুলে ধরে নজিবুল বশর বলেন, ‘তাঁকে (এম জে আকবর) বলেছি, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে ভারত সক্রিয় না হলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মতো ভারতকেও ভুগতে হবে। ওই অঞ্চল হয়ে দাঁড়াবে সন্ত্রাসবাদীদের আঁতুড়ঘর।’
ঢাকায় গত ২৯ জুলাই কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থী আন্দোলন প্রসঙ্গে নজিবুল বশর বলেন, যা হয়েছে তা নিতান্তই দুর্ভাগ্যজনক। ওটাকে দুর্ঘটনা না বলে হত্যা বলা উচিত। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আন্দোলন বিপথ চালিত হয়ে পড়ে। জামায়াত ও বিএনপি ঢুকে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে অশান্তি বাড়ানো হয়। পুলিশও কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাত্রাছাড়া আচরণ করেছে। সাংবাদিকদের পেটানো, আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার ‘লজ্জাজনক’।

শাসক আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটে রয়েছে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন। জাতীয় সংসদে দলটির দুজন সদস্য রয়েছেন। সুফি আদর্শে তাঁরা দল গড়েছেন জানিয়ে নজিবুল বশর বলেন, তাঁরা কট্টরবাদী ইসলামের বিরোধী। ধর্মীয় মৌলবাদের বিরোধী। জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে তাঁরা মাঠে দাঁড়িয়ে লড়াই করেন। এবারের ভোটেও তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতাসংগ্রামের চেতনাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ভোটে লড়বেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest