সর্বশেষ সংবাদ-
নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা  দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসা

ইকার্দির বিশ্বকাপে না থাকার পেছনে ম্যারাডোনা-মেসি-মাসচেরানো!

খেলার খবর: রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য আর্জেন্টিার চূড়ান্ত দল ঘোষণা পর থেকে একটি নাম না থাকা নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক হচ্ছে। সেটা আরো বেশি আলোচনার জন্ম দিয়ে স্কোয়াডের খেলোয়াড়রা নিজেদের মেলে ধরতে না পারায়। সেই নামটি মাউরো ইকার্দি।

সমাপ্ত ক্লাব মৌসুমে ইন্টার মিলানের হয়ে ৩৬ ম্যাচে লীগের সর্বোচ্চ ২৯ গোল করা মাউরো ইকার্দিকে কেন বিশ্বকাপের দলে রাখা হলো না? আর প্রশ্নটা আরও বেশি উঠছে সেই একই লিগে ২২ গোল করা পাউলো দিবালা এবং ১৬ গোল করা হিগুয়েইন তাহলে কিভাবে ডাক পেলেন বিশ্বকাপ দলে?

গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এক্ষেত্রে কোচ নয়, খেলোয়াড়রাই নাকি চাননি ইকার্দি বিশ্বকাপ দলে খেলুক, যার পেছনে আছে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কোন্দল। ইকার্দির স্ত্রী হচ্ছেন আর্জেন্টিনার মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও ফুটবল এজেন্ট ওয়ান্ডা নারা। তাঁর সঙ্গেই একটা সময় সংসার ছিল আরেক আর্জেন্টাইন ফুটবলার ম্যাক্সি লোপেজের। কখনো জাতীয় দলে না খেললেও লোপেজ খেলেছেন বার্সেলোনায় ও রিভার প্লেটে। ফলে মেসি এবং মাসচেরানোর সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে লোপেজের।

লোপেজের ঘর ভাঙার কারণে ইকার্দিকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয় আর্জেন্টাইন গণমাধ্যমে। তাকে বিশ্বাসঘাতক বলেন ম্যারাডোনা, উল্টো ইকার্দিও দু’কথা শুনিয়ে দেন ‘আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর’কে। এসব কারণেই তাকে দলে চাইছিলেন না মেসি ও মাসচেরানোসহ অনেকেই। স্বাভাবিকভাবে তাই ধারণা করা হচ্ছে, খেলোয়াড়দের ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়েই ইকার্দিকে দলে রাখেননি কোচ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে বজ্রপাতে ২ নারী শ্রমিক নিহত, আহত ৮

শ্যামনগর প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে দুই নারী শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এসময় ৮ শ্রমিক আহত হয়েছে। সোমবার দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের গুমানতলী গ্রামে হাজী মিজানুর রহমানের মাছের ঘেরে কাজ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের শ্রীকান্ত মন্ডলের স্ত্রী জোসনা মন্ডল (৩৫) এবং একই গ্রামে মজিদ মোল্যার স্ত্রী জিন্নাতুন নেছা (৪০)।
আহত ব্যক্তিরা হলেন- একই গ্রামের আনিছুর রহমান, ঝর্ণা পারভীন, আনোয়ারা খাতুন, কুলছুম বিবি, আনোয়ারা বিবি, রহিমা খাতুন, ফুলবাসি মন্ডল এবং জানু।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশিদুল ইসলাম জানান, নিহত এবং আহত ব্যক্তিরা মাছের ঘেরে কাজ করার সময় প্রবল বর্ষনের মধ্যে আকর্ষিক বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে ২ মহিলা নিহত হয়।
আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তবে, আহত আনিছুর রহমান, আনোয়ারা খাতুন ও কুলছুম বিবির অবস্থা আশংকাজনক বলে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ রেজওয়ান আহম্মেদ জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সড়ক দুর্ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রীর ৫ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক: সড়ক দুর্ঘটনারোধে চালক-সহকারীদের প্রশিক্ষণসহ পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ নির্দেশনা হলো :

১. চালক ও হেলপারদের (সহকারী) প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।

২. দূরপাল্লার যাত্রায় বিকল্প চালক রাখতে হবে। পাঁচ ঘণ্টা পর চালক পরিবর্তন করতে হবে।

৩. চালক ও যাত্রীদের সিটবেল্ট বাঁধা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

৪. মহাসড়কের পাশে বিশ্রামাগার রাখতে হবে চালকদের জন্য।

৫. সিগন্যাল মেনে চলতে হবে।

সচিব জানান, স্বরাষ্ট্র, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এসব নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে কি না, তা তদারকি করবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পেনাল্টি মিস করায় অলিম্পিক অ্যাওয়ার্ড! (ভিডিও)

ফুটবলে পেনাল্টি পাওয়া এমনিতেই ভাগ্যের বিষয়। কিন্তু এই পেনাল্টি যদি মিস হয়ে যায় তাহলে খেলোয়ারকে ভৎসনা শুনতে হয়। কিন্তু খেলায় পেনাল্টি মিস করে যদি অ্যাওয়ার্ড পাওয়া যায় তাহলে তা আসলেই আশ্চর্যের বিষয়।

খেলায় ইচ্ছাকৃতভাবে পেনাল্টিটি মিস করেন খেলোয়াড়। বল কে গোলবার থেকে অনেক দূরে ঠেলে দেন। ভাবছেন সুযোগ পেয়েও হার না এড়ানো এমন পেনাল্টি কিক করায় হয়তো ডেনমার্ক দলের অধিনায়ককে তুলাধোনা করা হয়েছিল। কিন্তু না, হয়েছে তার উল্টো। ইতিহাসে জায়গা করে নেয় সেই পেনাল্টি। পরে ডেনমার্কের সেই খেলোয়াড়কে অলিম্পিক ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড দেয় সেই পেনাল্টি মিসের জন্য! সেই ফুটবলারকে শ্রদ্ধা জানায় ফুটবলবিশ্ব। এটিই ফুটবল।

এই ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৩ সালে। তখন দহংকং স্টেডিয়ামে চলছিল ইরান বনাম ডেনমার্কের ফুটবল ম্যাচ। ইতিমধ্যে ইরান ১-০ তে এগিয়ে আছে। খেলাটি ছিল চার জাতি টুর্নামেন্ট। যেখানে উরুগুয়ে ও স্বাগতিক হংকং ছিল। ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ খেলা হচ্ছিল। যে দল জিতবে ফাইনালের টিকিট তার।

ম্যাচের ৪৫ মিনিটের পরও প্রথমার্ধ বিরতি না দিয়ে রেফারি ৩ মিনিট ইনজুরি টাইম দেন। সেই ইনজুরি টাইমে ঘটে যায় একটি ঘটনা। এ সময়ে বল ছিল ইরানের ডি-বক্সে। বাঁশির আওয়াজ শুনে ইরানের রক্ষণভাগের একজন খেলোয়াড় প্রথমার্ধের বিরতি মনে করে নিজেদের গোলরক্ষকের দেয়া পাস থেকে বল হাতে তুলে নেয়। অমনি রেফারির ঠোঁট গলে বেরিয়ে আসে আরেকটি বাঁশির শব্দ।

হ্যান্ডবল বিধান অনুযায়ী পেনাল্টি পেয়ে যায় ডেনমার্ক। গোলরক্ষকসহ হতভম্ব হয়ে পড়ে ইরান শিবির। হাফটাইমের বাঁশি তা হলে বাজাল কে?

প্রথম বাঁশির আওয়াজ তো সবাই শুনেছে। কিন্তু সে বাঁশিতে ফুঁ দেননি রেফারি। সবাই বুঝতে পারেন যে, গ্যালারি থেকে দর্শকদের কারও কর্ম এটি। ইরানের খেলোয়ারটি এ বাঁশি শুনেই ভেবেছিলেন রেফারি প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার বাঁশি দিয়েছেন। তাই সে বলটি হাতে তুলে নেয় এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে ঘটনাটি ঘটেছে ইরানেরই ডি বক্সের ভেতরে।

এদিকে ফুটবলের নিয়ম ভাঙতে অনড় রেফারি। নিয়মানুযায়ী রেফারি তখন ডেনমার্ককে পেনাল্টি শুটের নির্দেশ দেন। এতে ইরানের খেলোয়াড়রা পড়েন বিপাকে। অথচ তাদের কোনো দোষ নেই। শুরু হয় মাঠেই আলোচনা। দুদলের কোচও শামিল হন এ ঘটনার সুরাহা করতে।

কিন্তু রেফারির নিয়ম যেন ঐশী বাণী। ডি বক্সের ভেতরে হাত দিয়ে বল ধরায় মাসুল গুনতেই হবে ইরানকে। অগত্যা কোনো উপায় না দেখে ডেনমার্ক দলের অধিনায়ক মরটেন উইঘোরস্ট তার কোচের সঙ্গে পরামর্শ করে পেনাল্টি নিতে আসেন। বলে পা ছোঁয়ান এবং ঘটে যায় ঐতিহাসিক এক পেনাল্টি কিক। ডেনমার্কের সেই খেলোয়াড় ইচ্ছাকৃতভাবে পেনাল্টিটি মিস করেন। বল কে গোলবার থেকে অনেক দূরে ঠেলে দেন। অথচ সেই ম্যাচে ডেনমার্ক ১-০ গোলে হেরে যায় ইরানের কাছে।

এই খেলা থেকেই ফুটবল বিশ্ব বুঝতে পারে ফুটবল শুধু হার-জিতের ব্যাপার নয়, এটি একটি জীবনদর্শন। মাঠে ২২ জন বল নিয়ে কাড়াকাড়ি করলেও ফুটবল দুটি দেশের মধ্যে ভাতৃত্বের সম্পর্ক গড়ে দেয়। আত্মার সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করে মাত্র ৯০ মিনিটের সাধনায়।

ফুটবল আনন্দের, ফুটবল এ বাসযোগ্য সবুজ গ্রহের বিভিন্ন জাতির মিলনমেলার একটি উপলক্ষ। এটিই ফুটবলের দর্শন। তাই দলমত নির্বিশেষে ফুটবল আমাদের জানায়, এটি ঘৃণা, রেষারেষি বা অপরকে ছোট করার কোনো বিষয় নয়।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন-

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেষ ম্যাচে সবার দৃষ্টি মেসির ওপর

নাইজেরিয়ার বিপক্ষে আগামীকাল মঙ্গলবার বাঁচা-মরার লড়াইয়ে মাঠে নামছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। আর বিশ্বকাপে টিকে থাকার শেষ সুযোগের এই ম্যাচে পুরো বিশ্বের সাথে জাতীয় দলের সতীর্থরাও মেসির জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় থাকবে।

গ্রুপ-ডি’র দুই রাউন্ড শেষে গতবারের রানার্স-আপ দলটি বিদায়ের একেবারে শেষ ক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। রাশিয়া বিশ্বকাপে অভিষিক্ত নবাগত আইসল্যান্ডের সাথে ১-১ গোলে ড্র ও তারকা সমৃদ্ধ ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে আর্জেন্টিনার সামনে এখন পরাজয়ের শঙ্কা।

টুর্নামেন্টের আগেই মেসিকে নিয়ে একটি আলোচনায় সড়ব ছিল পুরো ফুটবল বিশ্ব। ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ কি মেসির জন্য সৌভাগ্যের বার্তা বয়ে আনবে কিনা। ফুটবলীয় ক্যারিয়ারে তার চির প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো পর্তুগালের জন্য ২০১৬ ইউরো শিরোপা উপহার দিয়েছেন। কিন্তু মেসি আধুনিক যুগের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হওয়া সত্তেও জাতীয় দলের হয়ে বড় কোনো সাফল্য এখনো হাতে পাননি।

টিকে থাকার লড়াইয়ে সেন্ট পিটার্সবার্গে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই। একইসাথে ইতোমধ্যেই নক আউট পর্ব নিশ্চিত করা ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আইসল্যান্ড যেন কোনো সাফল্য না পায় সেদিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে আলবে সেলেস্তাদের। বৃহস্পতিবার ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে বিধ্বস্ত হবার ম্যাচটি যেন কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না আর্জেন্টাইন সমর্থকরা।

১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক ও কিংবদন্তী তারকা দিয়েগো ম্যারাডোনা দলের প্রধান কোচ জর্জ সাম্পাওলি ও তার মেথড নিয়ে প্রচন্ড সমালোচনা করেছেন। এমনকি সারা বিশ্ব জুড়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এমন গুঞ্জনও শোনা গেছে কোচের বিপক্ষে খোদ আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়রাই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। যদিও আর্জেন্টাইন ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি ক্লডিও টাপিয়া পুরো বিষয়টিকে ভ্রান্ত ধারণা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

এ সম্পর্কে আর্জেন্টাইন ফুটবল প্রধান বলেন, সত্যিকার অর্থে সাংবাদিকরা অনেক শক্তিশালী। এটা ভুললে চলবে না যে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে তারা কাজ করে থাকে। তাদের হাতে সেই ধরনের ক্ষমতা আছে। তবে পুরো বিষয়টি একেবারেই মিডিয়ার তৈরী। তারা কোচিং স্টাফদের সরাসরি অনুশীলনে দেখতে পায়। পুরো দলের অনুশীলন তারা প্রত্যক্ষ করে। সেখানে তাদের চোখে অনেক কিছুই ধরা পড়তে পারে। কিন্তু আমি একটি বিষয় নিশ্চিত করে বলতে পারি এ ধরনের কিছুই জাতীয় দলের মধ্যে ঘটেনি।

টুর্নামেন্টের হট ফেবারিট আর্জেন্টিনা যেখানে বাঁচা মরার লড়াইয়ের মুখোমুখি সেখানে প্রতিপক্ষ নাইজেরিয়ান পরের রাউন্ডে যেতে হলে ড্র করলেই চলবে। তবে সেক্ষেত্রে আইসল্যান্ড যদি ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে দেয় তবে সমীকরণ সম্পণূ পাল্টে যাবে। তবে সবকিছুর পরেও নাইজেরিয়াও ভালভাবেই জানে মেসি জ্বলে উঠলে সেটা তাদের জন্য সমস্যাই বয়ে আনবে। যদিও দলের প্রস্তুতিতে মেসিকে আটকানোর সব ধরনের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দলের ডিফেন্ডার উইলিয়াম ট্রুস্ট-একং।

তিনি বলেন, এই প্রথমবার আমরা এমন একটি দলের বিপক্ষে খেলছি না যাদের সব খেলোয়াড়ই ভাল। আমরা আমাদের সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে ম্যাচে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করবো।

আইসল্যান্ডের বিপক্ষে আহমেদ মুসার করা দুই গোলের নাইজেরিয়ার জয় নিশ্চিত হয়েছিল। আর তারপর থেকেই আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচের আগে মেসির পাশাপাশি মুসার নামও সকলের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে। আর পুরো বিষয়টি বেশ উভোগ করছেন মুসা।

দুই দলের এ পর্যন্ত খেলা আটটি ম্যাচেই চারটি হয়েছে বিশ্বকাপে যার মধ্যে সবকটিতেই জয়ী হয়েছে শক্তিশালী আর্জেন্টিনা। ১৯৯৮ সালের পরে প্রথমবারের মত পরপর দুটি বিশ্বকাপের ম্যাচে জয়ের অপেক্ষায় রয়েছে নাইজেরিয়া।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আইফা ২০১৮; সেরা অভিনেতা ইরফান, অভিনেত্রী শ্রীদেবী

আন্তর্জাতিক ভারতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৮তে সেরা ছবি নির্বাচিত হয়েছে সুরেশ ত্রিরেণী পরিচালিত ও বিদ্যা বালান ও নেহা ধুপিয়া অভিনীত ‘তুমহারি সুলু’। ছবিটিতে বিদ্যা বালানকে একজন গৃহিণী হিসাবে দেখানো হয়েছে, যে একটু বেশি বয়সে রেডিও জকি হিসাবে নিজের কর্মজীবন শুরু করেছিল।

গত রাতে ব্যাংকক-এর সিয়াম নিরমিত থিয়েটারে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানটি হয়, এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন করণ জোহর এবং অভিনেতা ঋতেশ দেশমুখ।

ইরফান খান, সম্প্রতি তিনি নিউরো এন্ডোক্রিন টিউমার-এর সমস্যাও ভুগছেন, তাঁকেই সেরা অভিনেতা হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে, দিল্লির বিখ্যাত ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে নিজের বাচ্চাকে ভর্তির জন্য একজন বাবা কি করেন, সেই ভূমিকাতেই অভিনয় করেছেন তিনি ‘হিন্দি মিডিয়াম’ ছবিতে। ‘হায়দার’-এ তাঁর সহ-অভিনেত্রী ছিলেন শ্রদ্ধা কাপুর, তাঁর হয়ে তিনিই পুরস্কারটি গ্রহণ করেন। চিকিৎসার জন্য ইরফান এখন লন্ডনে অবস্থান করছেন।

সেরা অভিনেতার পুরস্কারটির জন্য যারা মনোনীত হয়েছিলেন তাঁরা হলেন, ‘জগ্গা জাসুস’-এর জন্য রণবীর কাপুর, ‘মুক্তি ভবন’-এর জন্য আদিল হুসেন, ‘নিউটন’-এর জন্য রাজকুমার রাও এবং ‘টয়লেট : এক প্রেম কথা’-এর জন্য অক্ষয় কুমার।

সেরা অভিনেত্রীর শিরোপাটি লাভ করেছেন ‘মম’-এর জন্য সদ্যঃপ্রয়াত শ্রীদেবী। তাঁর পুরস্কারটি তুলে দেওয়া হয় তাঁর স্বামী বনি কাপুরের হাতে। এই পুরস্কারটির জন্য যাদের নাম মনোনীত করা হয়েছিল তাঁরা হলেন : বিদ্যা, আলিয়া ভাট (বদ্রিনাথ কি দুলহানিয়া), জাইরা ওয়াসিম (সিক্রেট সুপারস্টার) এবং ভূমি পেদনকার (শুভ মঙ্গল সাবধান)।

এই অনুষ্ঠানে ‘হিন্দি মিডিয়াম’ আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার পায় আর সেটি হলো সেরা পরিচালকের পুরস্কার। এটি লাভ করেন সাকেত চৌধুরী। আর এতে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আশ্বিনী আইয়ার তিওয়ারি (বারেইলি কি বরফি), অনুরাগ বসু (জগ্গা জাসুস), অমিত ভি মাসুরকার (নিউটন) এবং সুরেশ ত্রিবেণী (তুমহারি সুলু)।

মেহের ভিজ ‘সিক্রেট সুপারস্টার’-এর জন্য সেরা সহ-অভিনেত্রীর খেতাব অর্জন করেন, আর সেরা সহ-অভিনেতার পুরস্কারটি যায় নাওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর ঝুলিতে, ‘মম’-এর জন্য।

সেরা গল্পের পুরস্কার পায় ‘নিউটন’।

সেরা গায়ক হয়েছেন অরিজিৎ সিং ‘হাওয়ায়ে’ গানের জন্য (জব হ্যারি মেট সেজাল) আর সেরা গায়িকার পুরস্কার লাভ করেন মেঘনা মিশ্র, ‘ম্যা কউন হুঁ’ গানটির জন্য (সিক্রেট সুপারস্টার)।

‘বদ্রিনাথ কি দুলহনিয়া’ ছবির গানের জন্য সেরা সংগীত পরিচালকের পুরস্কার লাভ করেছেন আমাল মল্লিক, তানিস্ক বাগচী এবং অখিল সাচদেভ।

এই অনুষ্ঠানে ভারতের চলচ্চিত্র জগতে অসাধারণ অবদানের জন্য আউটস্টান্ডিং অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন অনুপম খের। তিনি ৫০০ শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন।

হিন্দি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীদেবী, অভিনেতা বিনোদ খান্না ও শশী কাপুরের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আম খান, রোগ বালাইয়ে ঝুঁকি কমান

আম অনেক উপকারী একটি ফল। আমের এই মৌসুমে নিয়মিত আম খেলে অনেক রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ থেকে রেহাই পাবেন, সন্দেহ নেই।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে : 

আমে বিদ্যমান বিটা-ক্যারোটিন এবং ক্যারোটেনয়েড শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলে। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় অনেকটা।

হজমে সহায়ক আম : 

আমে বিদ্যমান বিশেষ ধরনের এনজাইম খাবার হজমে সহায়তা করে। আমের মধ্যে থাকা ফাইবার বিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে।

অ্যাজমা প্রতিরোধ করতে :

আমে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। শরীরে ভিটামিন সি এর মাত্রা বৃদ্ধি অ্যাজমা প্রতিরোধে দারুণ সহায়ক ।

ক্যানসার প্রতিরোধে : 

কুয়েরসেটিন, আইসোকুয়েরসেটিন, অ্যাস্ট্রাগেলিন ফিসেটিন, ফলিক অ্যাসিড, মাথাইল গ্যালেট প্রভৃতি উপাদান রয়েছে আমে। এ উপাদানগুলেো কোলোন, ব্রেস্ট, লিউকেমিয়া এবং প্রস্টেট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকারী আম : 

আমের মধ্যে থাকা আয়রন, ভিটামিন এ, সি এবং বি৬ গর্ভবতী নারীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর ফলে, গর্ভাবস্থায় শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা কমে যায় অনেকটা।

দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটাতে : 

আমে আছে ভিটামিন-এ, যা আপনার দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটাবে।

হৃদরোগ প্রতিরোধে : 

আমে বিদ্যমান ফাইবার, পেকটিন এবং ভিটামিন সি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এর ফলে, হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

ত্বকের যত্নে : 

সপ্তাহে ৩-৪ বার আমের রস দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করলে ত্বকের পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। এতে ত্বকের বন্ধ হয়ে যাওয়া ছিদ্রগুলিও খুলতে শুরু করে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি পায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রস্তুত গাজীপুর কাল ভোট
উৎসাহ এবং শঙ্কার মধ্যে আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। প্রথমবার নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হলেও এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হবে। জাতীয় নির্বাচনের ছয়মাস আগে অনুষ্ঠিত এই সিটির নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে।
গত ১৫ মে খুলনা সিটি নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে থাকা নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট আয়োজনে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে প্রায় ১২ হাজার বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে নগরীর বিভিন্ন স্থানে টহল দিতে শুরু করেছে বিজিবি। ভোটে কোন ধরণের অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
ভোট গ্রহণের দুইদিন আগে গতকাল বিএনপি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে বেশকিছু অভিযোগ উপস্থাপন করেছে। দলটির দাবি নির্বাচন কমিশন ভালো নির্দেশনা দিলেও স্থানীয় প্রশাসন তা মানছে না।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে সর্বশক্তি নিয়ে রবিবার শেষ দিনের প্রচারণা চালিয়েছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচারণার গতকাল শেষ দিনে ছিলো উত্সব মুখর পরিবেশে। প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকদের প্রচার প্রচারণায় মিছিল আর শ্লোগানে নিজ নিজ এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। প্রচারণা শেষে ফলাফল বিশ্লেষনে ব্যস্ত প্রার্থী, ভোটার ও প্রার্থীর সমর্থকরা।
তবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রধান দুই প্রার্থী আওয়ামী লীগের মো. জাহাঙ্গীর আলম সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করলেও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার তাদের কর্মী-সমর্থক ও পোলিং এজেন্টের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন। রবিবার প্রচার-প্রচারণা শেষ দিনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত দুই মেয়র প্রার্থী পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আজ সোমবার দুপুর থেকেই ভোট কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্সসহ যাবতীয় নির্বাচনী সমঞ্জাম পাঠানো হবে।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার রকিব উদ্দিন মন্ডল জানান, রবিবার রাত ১২টা থেকে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসন কঠোর নজরদারি করছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আগের দিন সোমবার থেকে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসারসহ প্রায় ১২ হাজার নিরাপত্তা কর্মী মাঠে থাকবে।
গত ১৫ মে খুলনা সিটির সঙ্গে গাজীপুর সিটির ভোট হওয়ার কথা থাকলেও মাঝপথে এসে আইনী জটিলতায় আটকে যায়। জটিলতা কেটে গেলে নির্বাচন কমিশন পুনরায় ২৬ জুন ভোটের সময় নির্ধারণ করে। গত ১৮ জুন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়।
জাতীয় সংসদের গাজীপুর-১, ২ ও ৩ আসনের কিছু কিছু অংশ নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকা গঠিত। সিটি করপোরেশনের মোট ওয়ার্ড ৫৭টি। ভোট ভোটার ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। ভোটকেন্দ্র ৪২টি, ভোটকক্ষ ২৭৬১টি।
বেশিরভাগ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ
স্থানীয় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় ৪২৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৩৩৭টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং বাকী ৮৮টি কেন্দ্র সাধারণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর জন্য ২৪ জন এবং সাধারণ কেন্দ্রের জন্য ২২ জন করে সশস্ত্র পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া থাকবে পুলিশের টহল দল ও সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা। সব মিলিয়ে ভোটের দিন প্রায় ১২ হাজার নিরাপত্তা কর্মী দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন আচরণবিধি প্রতিপালন পর্যবেক্ষণ ও নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীকে তাত্ক্ষণিক সাজা দিতে প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ১৯টি সংরক্ষিত মহিলা কেন্দ্রে একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। অপরদিকে ১৯টি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স, ১০টি র‌্যাবের টহল টিম এবং ২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়ন থাকবে।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest