সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

অষ্টম সার্ক উৎসবে সেরা চলচ্চিত্র তৌকীরের ‘হালদা’

সংস্কৃতি সংবাদ: শ্রীলংকার কলম্বো থেকে দেশবাসীকে খুশির খবর দিলেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতা তৌকীর আহমেদ। অষ্টম সার্ক চলচ্চিত্র উৎসবে তার পরিচালিত ছবি ‘হালদা’ চারটি বিভাগে পুরস্কার জিতে নিয়েছে।

উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগের সমাপনী চলচ্চিত্র হিসেবে ২৬ মে স্থানীয় সময় সাড়ে ৩টায় ‘হালদা’ ছবিটি প্রদর্শিত হয়। বিচারকদের রায়ে ছবিটি সেরা চলচ্চিত্র, সেরা চিত্রগ্রাহক, সেরা সম্পাদক ও সেরা আবহ সংগীতের সম্মান অর্জন করেছে।

গত বছর ডিসেম্বরে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হালদা’ চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীকেন্দ্রিক জেলে জীবনের বিপন্নতা নিয়ে নির্মিত হয়েছে।

পুরস্কারপ্রাপ্তির খবরটি তৌকীর তার ফেসবুকে ছবিসহ শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা গেছে, তৌকীর আহমেদ চারটি ট্রফি বুকে আগলে রেখেছেন।

পুরস্কারপ্রাপ্তির ব্যাপারে জানতে চাইলে তৌকীর এক ঝলক হেসে বলেন, ‘পুরস্কার তো সব সময় অনেক ভারী হয়। কিন্তু এই ট্রফিগুলো আক্ষরিক অর্থে অনেক ওজন, আয়োজকরা বলেছেন, একেকটার ওজন নাকি ছয় কেজি করে। সেই হিসাবে ২৪ কেজি দুই হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ছবি যখন দেশের বাইরে উৎসবে যায়, তখন সেখানে বাংলাদেশের নাম উচ্চারিত হয়। পুরস্কার পেলে তো বারবার বাংলাদেশের নাম শুনতে পারি। দেশের বাইরে মর্যাদাপূর্ণ আসরে কোনো অর্জনে দেশের নাম উচ্চারণের বিষয়টি অনেক গর্বের, অনেক আনন্দের।’

এবারের সার্ক চলচ্চিত্র উৎসবে ২৬টি চলচ্চিত্র জায়গা পেয়েছে। তৌকীরের ‘হালদা’ ছাড়াও উৎসবে আমন্ত্রিত হয়েছে আকরাম খানের ‘খাঁচা’ ও মোরশেদুল ইসলামের ‘আঁখি ও তাঁর বন্ধুরা’।

উৎসবের গত আসরে তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘অজ্ঞাতনামা’ চলচ্চিত্রটি সেরা চিত্রনাট্যের পুরস্কার পেয়েছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাদকবিরোধী অভিযান; সাতক্ষীরাসহ সারা দেশে ফের নিহত ১১

ন্যাশনাল ডেস্ক: রাজধানীসহ সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযানকালে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১১ জন নিহত হয়েছেন।

সোমবার দিবাগত রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত চলা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কুমিল্লায় দুজন, ভালুকায় একজন, যশোরে দুজন, সাতক্ষীরায় একজন, কুষ্টিয়ায় দুজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন, নারায়ণগঞ্জে একজন ও ঠাকুরগাওয়ে একজন নিহত হয়েছেন।

পুলিশের দাবি, নিহতরা সবাই মাদক ব্যাবসায়ী। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রামোসের বিরুদ্ধে ৮ হাজার ৪৫১ কোটি টাকার মামলা!

স্পোর্টস ডেস্ক: মোহাম্মদ সালাহকে ইনজুরিতে ফেলে চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফিতে চুমু খেয়েছেন রিয়াল অধিনায়ক সার্জি রামোস। আর দুঃস্বপ্নের এক রাত কাটিয়েছে লিভারপুল ও তাদের ভক্তরা। তবে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না রামোসের। কারণ লিভারপুল ভক্তদের কাছে রীতিমতো ভিলেন বনে গেছেন রিয়াল অধিনায়ক।

রামোসের শাস্তি চেয়ে ইতোমধ্যে লিভারপুল ভক্তরা মাঠে নেমে পড়েছে। উয়েফা ও ফিফার কাছে শাস্তি চেয়ে নেমে পড়েছে গণস্বাক্ষর সংগ্রহের কাজে। বিশ্বজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির ১০০ মিলিয়ন অনুসারি রয়েছে। লক্ষ্য, তাদের মধ্য থেকে নূন্যতম ৫ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করা। যেভাবে স্বাক্ষর দিতে হামলে পড়েছেন অনুসারীরা, তাতে লক্ষ্য সীমা তো ছাপিয়ে যাবেই, শেষ পর্যন্ত সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে ঠেকে, সেটাই দেখার বিষয়। কারণ, এরই মধ্যে প্রায় ৪ লাখের মতো স্বাক্ষর আবেদন পড়েছে। তবে ফিফার ইতিহাস লিভারপুল সমর্থকরা হতাশই করবে। কারণ তাদের ইতিহাসে এভাবে কাউকে শাস্তি দেওয়ার নজির ফিফার নেই। আর এমন পিটিশনের ভিত্তিতে ফিফা কাউকে শাস্তি দিতে বাধ্য নয়।

এবার সেই আলোচনার পালে নতুন হাওয়া দিলেন মিশরিয়ান উকিল বাসেম ওয়াবা। সালাহকে করা রামোসের ফাউলকে ‘ইচ্ছাকৃত’ উল্লেখ করে রিয়াল অধিনায়কের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি টাকায় ৮ হাজার ৪৫১ কোটি টাকার (১ বিলিয়ন ডলার) মামলা করেছেন সেই উকিল। ফুটবলের বিখ্যাত ওয়েবসাইট গোলডটকম জানিয়েছে এ তথ্য।

সোমবার মিশরের আদালতে মামলা দায়ের করে ওয়াবা বলেন, রামোস ইচ্ছাকৃতভাবে সালাহকে আঘাত করেছে এবং এজন্য তার শাস্তি পাওয়া উচিৎ। আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি এবং ফিফায় অভিযোগ করেছি। আমি ক্ষতিপূরণ আবেদন করবো, যা কিনা ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি হতে পারে। সালাহসহ মিশরের মানুষকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে আঘাত দেয়ায় তার এই শাস্তি প্রাপ্য।

আপাতদৃষ্টিতে এই মামলায় জেতার কোন সম্ভাবনা নেই ওয়াবার। তবে কোনোভাবে মামলায় জিতে গেলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাওয়া টাকার পুরোটাই মিশরের উন্নতির কাজে দান করে দেবেন বলে জানিয়েছেন ওয়াবা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাকিবদের সঙ্গে আফগানিস্তানে যেতে পারছেন না মুস্তাফিজ

স্পোর্টস ডেস্ক: আইপিএল থেকে ফিরে জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। কিন্তু ওয়ালশ তাকে দুইদিনের বিশ্রাম দিয়েছেন। কারণ মুম্বাইয়ের শেষ ম্যাচে বাঁ পায়ের আঙ্গুলে চোট পান কাটার মাস্টার। ফলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে অংশ নিতে মঙ্গলবার সাকিবদের সঙ্গে যেতে পারছেন না মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ ক্রি‌কেটের মিডিয়া বিভাগ সোমবার রাতে বিষয়টি জানিয়েছে।

আইপিএলে সময়টা ভালো যায়নি কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের। খুব ভালো করতে পারেননি। অবশ্য খুব খারাপও করেননি। তবে দলের কম্বিনেশনের জন্য বেশ কিছু ম্যাচে তাকে বসে থাকতে হয়েছে। শেষ ম্যাচে পায়ের আঙ্গুলে ব্যথা পেয়েছেন। তবে মুস্তাফিজকে নিয়ে বেশ সতর্ক বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত কোচ কোর্টনি ওয়ালশ।

কাটার মাস্টারকে নিয়ে কোনো রকম ঝুঁকি নিতে চান না কোচ। তাই বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে মুস্তাফিজকে। ওয়ালশের দাবি, ‘ভারতে আমরা সেরা ফর্মের মুস্তাফিজকে চাই। সে অনেক উন্নতি করেছে। সে তার শক্তিও ফিরে পেয়েছে। আমি মনে করি, আফগানিস্তানের বিপক্ষে সে তার পুরো গতি দিয়ে বোলিং করতে পারবে। সে ভালো করবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফের হাতে পায়ে শেকড়, হাসপাতাল থেকে বৃক্ষমানব আবুল বাজানদারের পলায়ন

ন্যাশনাল ডেস্ক: ‘বৃক্ষমানব’ হিসেবে পরিচতি পাওয়া বিরল রোগ ট্রি-ম্যান সিনড্রোমে আক্রান্ত খুলনার ভ্যানচালক আবুল বাজনদার কাউকে কিছু না জানিয়েই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (ডিএমসিএইচ ) ছেড়ে চলে গেছেন। দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। গত শনিবার কাউকে কিছু না বলে বাইরে বেরিয়ে যান, আর ফিরে আসেননি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আবুল বাজনদার কাউকে কিছু না জানিয়েই চলে গেছে। সে যেতে চেয়েছিল, ওকে আমি বলেছি, তোমার অস্ত্রোপচার হয়েছে। আমরা আরও করবো। তার হাতে পায়ে আবারও অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া আগেই তিনি চলে যান।

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সরল গ্রামের আবুল বাজনাদারে দেহের বিভিন্ন অংশে ১০ বছর বয়স  গাছের শিকড়ের মতো লম্বা মাংশপিন্ড গজাতে থাকে। এক সময় চলাচল পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায় তার। স্থানীয়পর্যায়ে নানা রকম চিকিৎসা করিয়ে সহায়-সম্বল ও সর্বশেষ বসতভিটা বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে স্বজনরা তাকে ভ্যানে করে বাজারে বাজারে ভিক্ষা করে সংসারের খরচ ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন।এমন পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের পর সরকারি তত্ত্বাবধানে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে  চিকিৎসার জন্য আবুল বাজনাদারকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে। ধাপে ধাপে তার হাতে ও পায়ে ২৫টি অস্ত্রোপচার হয়। হাত-পায়ের দুই-এক জায়গায় মূল শিকড় উঠিয়ে ফেললেও বাকি জায়গা দিয়ে আবারো আগের মতো করে শিকড় উঠেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, আড়াই বছর চিকিৎসার পর সুস্থ না হওয়ায় অনেকটা হতাশ হয়েই পাইকগাছার নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন বৃক্ষমানব আবুল মজুমদার। ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে কেন এভাবে চলে এলেনন জানতে চাইলে আবুল বাজানদা বলেন, ‘কী করবো? ওনারা বলছেন যে তোমার সমস্যার সমাধান হবে না। শিকড় আবারও উঠবে। এটা অস্ত্রোপচার করে ফেলে দেওয়ার, আবারও দেখা দিবে। অস্ত্রোপচার বার বার করতে হবে। এদিকে পরিবার-পরিজন ছেড়ে হাসপাতালে থাকতে আমার অতিষ্ঠ লাগছিল। তাই চিকিৎসকদের কাছে কিছুদিন আগে আমি ছুটি চাই, তখন চিকিৎসকরা জানান তোমার ছুটি নিতে হলে কাগজে সই দিতে হবে। কাগজে অনেক কিছু লেখা ছিল, কিছু না বুঝে কেন আমি সই দেব? তাই কাউকে না জানিয়ে শনিবার কিছু না জানিযে চুপচাপ আমি বাড়ি চলে আসি।

শুরুতে সুচিকিৎসা পেলেও পরে  চিকিৎসকরা  আর আগের মতো তার যত্ন নেয়নি জানিয়ে আবুল বাজনাদার  বলেন, শুরুতে চিকিৎসকরা বলেছেন, ভয়ের কিছু নেই। চিকিৎসার পর তুমি ভালো হয়ে যাবে। এখন বলছেন, তোমার রোগটি জেনেটিক। তোমার রোগটি ভালো হবে না। বার বার শিকড় গজাতেই থাকবে, বার বার অস্ত্রোপচার করা লাগবে। সারাজীবন ধরে চলবে এই রকম চিকিৎসা। তাদের কথায় আমার মন ভেঙে গেছে।আমি সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে বেঁটে থাকতে চাই, সুচিকিৎসা চাই।

এ প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হলে বার্ন ইউনিটে সমন্বকারী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আবুল বাজনাদার দীর্ঘদিন হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। কিন্তু পঁচিশবার অস্ত্রোপচারের পরও দূর্ভাগ্যজনকভাবে তার দেহে আবারও শিকড় দেখা দেয়। কারণ তার রোগটি জেনেটিক। আবার অস্ত্রোপচারের জন্য তারিখও নির্ধারণ করা হয়েছিল। তার আগে বাজনদার কিছু দিন আগে হাসপাতাল থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য ছুটি চাইলে তাকে বলা হয় হাসপাতালের কিছু নিয়ম আছে সেই নিয়ম পালন করে তোমার যেতে হবে। যেমন ছুটির কাগজে তোমার সই দিতে হবে। কিন্তু বাজনাদার তা না করে কাউকে কিছু না জানিয়ে হাসপাতাল ছাড়ে।

ডিএমসিএইচের এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আরো বলেন, এ ধরনের রোগ বাংলাদেশে এই প্রথম এবং গোটা বিশ্বে বিরল। ২০০৭ ও ২০০৯ সালে মাত্র দু’জন এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার রেকর্ড রয়েছে। এদের একজন ইন্দোনেশিয়ায় ও অপরজন রোমানিয়ায়। এ ধরনের রোগীকে সাধারণত ‘বৃক্ষমানব’ বলা হয়ে থাকে। ২০১৫ সালে যে সময় আবুলকে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়, তার সপ্তাহখানেক আগে ইন্দোনেশিয়ায় বিরল এ রোগে আক্রান্ত কসওয়ারা দেদে নামে একজনের মৃত্যু হয়। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে ঢাকা মেডিক্যালের (ডিএমসিএইচ) বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকেরা বাজানদারের চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সফল অস্ত্রোপচারে আবুলের সুস্থতা গোটা চিকিৎসা জগতের বিরল সাফল্য এনে দিয়েছিল। কিন্তু এটি জেনেটিক হওয়ায় আবার বাজনাদার হাতে পায়ে শিকড় গজাচ্ছে। তবু আমরা হাল ছাড়িনি।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আবুল বাজনদার ফিরে এলে অবশ্যই তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা হবে। নতুন করে আমরা আক্রান্ত স্থঅনে অস্ত্রোপচার করবো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুক্তামণিকে দেখতে যেতে পারলাম না, খুব কষ্ট লেগেছে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে গত বুধবার না ফেরার দেশে চলে গেছে রক্তনালীর টিউমারে আক্রান্ত সাতক্ষীরার মুক্তামণি। তাকে দেখতে হাসপাতালে যেতে না পারার মনঃকষ্ট তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

সোমবার (২৮ মে) পেশাজীবীদের সম্মানে গণভবনে ইফতার মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটের জাতীয় সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেনকে দেখামাত্রই মুক্তামণির কথা উল্লেখ করেন। বলেন, মেয়েটা চলে গেল, দেখতে যেতে পারলাম না, আমার খুব কষ্ট লেগেছে।

ডা. সেন গতরাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ছোট্ট এই শিশুটির মৃত্যুতে হৃদয়বান প্রধানমন্ত্রী মনে কষ্ট পেয়েছেন। এর আগে মুক্তামণির মৃত্যুর পরও তিনি শোকবার্তা জানিয়েছিলেন।

ঢামেক বান ইউনিটে চিকিৎসাধীন থাকাকালে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় শিশু মুক্তামণির অসুস্থতার খবর প্রকাশের পর ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিষয়টি জানালে মুক্তামণিরিচিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে কর্মরত তৎকালীন পরিচালক ডা. জুলফিকার লেনিনকে মুক্তামণির চিকিৎসার সার্বিক দায়িত্ব ও খোঁজখবর রাখার নির্দেশ দেন। তিনি নানা সময় মুক্তামণির শরীরের কী অবস্থা তাও জানতে চাইতেন। তবে কথা থাকলেও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকায় তখন মুক্তামণিকে হাসপাতালে দেখতে যেতে পারেননি।

প্রধানমন্ত্রী তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার পর তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়ারও উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে সেখানকার চিকিৎসকরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুক্তামণির হাত দেখে আঁতকে ওঠেন। একই সঙ্গে হাত অপারেশনের জন্য অপারগতা প্রকাশ করেন। এর পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা দেশেই অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কয়েক দফা অপারেশনও করেন। তবে হাতের কোনো পরিবর্তন আনতে পারেননি।

২২ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় মুক্তামণিকে। দীর্ঘ ৬ মাস চিকিৎসাসেবার পর এক মাসের ছুটিতে বাড়িতে যায় মুক্তামণি। তবে পরে মুক্তামণি ঢাকায় আসতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। একই সঙ্গে মুক্তামণির অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় ঢাকায় আসতে নিরুৎসাহী হয়ে পড়ে তার পরিবারও।

গত ২৩ মে সকাল ৮টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের নিজ বাড়িতেই মৃত্যু হয় ১২ বছর বয়সী মুক্তামণির।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মাদক ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আনিসুর রহমান নামের এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, সে মাদক ব্যবসায়ী। কলারোয়ার ইয়াবা স¤্রাট নামে পরিচিত এই ব্যক্তি মাদক ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মাদকের ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষের জেরে গোলাগুলির মধ্যে মারা গেছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, ২রাউন্ড গুলি ও ৭০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
নিহতের নাম আনিসুর রহমান (৪০)। তিনি কলারোয়ার পাকুড়িয়া গ্রামের সুরত আলির ছেলে।
তবে, নিহত ব্যক্তির স্ত্রী নাজমা বেগমের দাবি তার স্বামীকে সোমবার সকালে বাড়ি থেকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে গেছে সাদা পোশাকধারীরা। পরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, সোমবার রাত সোয়া ২ টায় তার কাছে খবর আসে যে দেয়াড়া ইউনিয়নের চিতলার মাঠে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মাদকের ভাগাভাগি নিয়ে চোরাচালানিদের দুটি বিবদমান গ্রুপ গোলাগুলি করছে। এ খবর পেয়ে খোরদো পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম একদল পুলিশ সদস্য নিয়ে সেখানে পেঁছে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ওসি আরও জানান, কিছুক্ষণ পর গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মৃত ঘোষনা করেন।
তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা জেলায় ১০ টি মাদক মামলা রয়েছে। তিনি জানান ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ানশুটার গান, ২ রাউন্ড গুলি ও ৭০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। নিহত আনিসুরের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, নিহতের স্ত্রী নাজমা বেগম জানান, তার স্বামীকে সোমবার সকালে বাড়ি থেকে সাদা পোশাকধারীরা তুলে আনার পর তিনি কলারোয়া থানা ও খোরদো পুলিশ ক্যাম্পে খোঁজ নিলে জানানো হয় পুলিশ তাকে আটক করেনি। তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রথমে কলারোয়ায় ও পরে সাতক্ষীরায় একটি সংবাদ সম্মেলন করার চেষ্টা করেন। রাতে কলারোয়া থানায় একটি জিডি করতে গেলে পুলিশ তাও নেয়নি। বলেছে একটু দেরি করতে। তবে ওসি বলেন তিনি এ সম্পর্কে আর কিছু জানেন না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে চেয়ারম্যানদের সংবাদ সম্মেলন

কলারোয়া : কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ইমরান হোসেনের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন করেন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ সরদার।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যানদের বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ মে বেলা সাড়ে ৩টার সময় কলারোয়া কাছারী মসজিদের সামনে সন্ত্রাসীরা আকস্মিক ভাবে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ইমরান হোসেনকে এলোপাতাড়িভাবে লোহার রড, চাপাতি দিয়ে মারপিট জখম করা হয়েছে। বর্তমানে আহত ইউপি চেয়ারম্যান কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এঘটনার প্রতিবাদে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন পত্রে স্বাক্ষর করেছেন উপজেলার জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন আল মাসুদ বাবু, জালালাবাদ ইউপির(ভারপ্রাপ্ত)চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, কেঁড়াগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল, লাঙ্গলঝাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার নুরুল ইসলাম, সোনাবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মনিরুল ইসলাম, চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি, কেরালকাতা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ সরদার, হেলাতলা ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, কুশোডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আসলামুল আলম আসলাম, দেয়াড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মফে, যুগিখালী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ইমরান হোসেনের উপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest