সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

সাতক্ষীরায় এমপিওভুক্তির দাবিতে আলোচনা সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক: নন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভূক্তি করার দাবিতে সারাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরাতেও এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা ল কলেজের হল রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভূক্তির আশ্বাসের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কেন্দ্রিয় সিন্ধান্ত মোতাবেক উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। সভায় বক্তব্য রাখেন জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমানসহ সকল উপজেলার সভাপতি ও সেক্রেটারি। এসময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ রেজাউল করিম, অধ্যক্ষ জাহিরুল আলম, ইবাদুল ইসলাম, মোঃ হাবিবুর রহমান, জিল্লুর রহমান, মাওঃ গোলাম রসুল, মাওঃ হারুনুর রশিদ, মাহবুবুর রহমান, হোসাইন আলী প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন এস এম তৈয়েবুর রহমান। এসময় বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন হয়েছে। যা বিগত কোন সরকারের আমলে হয়নি। বছরের প্রথমে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ বর্তমান সরকারের এক উজ্জল দৃষ্ঠান্ত। বক্তারা আরো বলেন, মাননীয় প্রধানন্ত্রীর আশ্বাস নিশ্চয়ই বাস্তবায়ন হবে। সেক্ষেত্রে আমরা বাজেট লক্ষ করছি। বাজেটে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্ধ না থাকলে আগামী ১০ জুন ১৮ তারিখ থেকে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাব এর সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কর্মশালা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প স্থানীয় সরকার বিভাগের সহযোগিতায় সোমবার বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক শাহ আবদুল সাদীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার। মূখ্য আলোচক জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন। আলোচক পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমানসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, সাধারণ মানুষকে সহজে সুবিচার প্রদান ও আদালতে মামলার জট কমাতে গ্রাম্য আদালতকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল ছাত্র গুরুতর আহত

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি : কালিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় উত্তম দাশ (১৬) নামে এক স্কুল ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছে। সে উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের নির্মল দাশের ছেলে ও মৌতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৬ টায় দিকে উত্তম দাশ বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়ার জন্য মৌতলা স্কুলে যাওয়ার পথে রায়পুর ব্রিজের পাশে পৌছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পরিবহণ (কিংফিসার ঢাকা মেট্রো-ব-১৪৮৮৫২) নির্মল দাশকে ধাক্কা মেরে দ্রুত গতিতে শ্যামনগর অভিমুখে চলে য়ায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। উত্তম দাশের মেরুদন্ড, বুক ও মাথায় প্রচন্ড আঘাত লেগেছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন। এব্যাপারে আহত ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জিয়াকে প্রথম রাষ্ট্রপতি বলা ঢাবির সেই রেজিস্ট্রার চাকরিচ্যুত

শিক্ষা ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকায় জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে উল্লেখ করার ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমানকে চাকরিচ্যুত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই ঘটনায় একজন কর্মকর্তাকে পদাবনতির শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া সংবাদপত্রে নিবন্ধ লিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগে সাময়িকভাবে অব্যাহতি পাওয়া মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদ হোসেন খানের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ২০১৬ সালের ১ জুলাই প্রকাশিত স্মরণিকায় উদ্‌যাপন কমিটির সদস্যসচিব রেজাউর রহমান ‘স্মৃতি অম্লান’ শিরোনামে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের পরিচিতি তুলে ধরতে গিয়ে লিখেন, ‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান ও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।’

ওই সময় রেজাউর রহমান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ছিলেন। এই লেখার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা রেজিস্ট্রারকে তাঁর কার্যালয়ে তালাবদ্ধ করে রাখেন। বিক্ষোভ জানাতে গিয়ে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের গাড়িতে থাকা অবস্থায় তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করেন। তাঁরা উপাচার্যের বাসভবনের ফটকেও তালা ঝুলিয়ে দেন। বিক্ষোভের মুখে রেজাউর রহমানকে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে টিএসসির ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শদান দপ্তরে ফেরত পাঠানো হয়।

একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, ওই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও ট্রাইব্যুনাল শেষে তাঁকে সিন্ডিকেট থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রকাশনার কাজে সহযোগিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার রিফাত আমিনকে পদাবনতি দেওয়া হয়।

বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি করায় তদন্ত কমিটি
সংবাদপত্রে নিবন্ধ লিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানের বিরুদ্ধে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে সিন্ডিকেট। এ বছরের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে একটি জাতীয় দৈনিকে অধ্যাপক মোর্শেদের লেখা ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। নিবন্ধে তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করেন। তিনি লিখেন, ‘ওই সময় আওয়ামী লীগের নেতারা অধিকাংশই পরিবার-পরিজন নিয়ে পালিয়ে যান, এমনকি বঙ্গবন্ধুও।’ অবশ্য পরে অধ্যাপক মোর্শেদ ওই পত্রিকাতেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে লেখাটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বঙ্গবন্ধু-সংশ্লিষ্ট অংশটুকু প্রত্যাহার করে নেন।

ওই নিবন্ধ প্রকাশের পরদিন ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করার দাবিতে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করেন। ওই শিক্ষককে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। ছাত্রলীগের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এবার সিন্ডিকেটে ওই বিষয়ে তদন্ত কমিটি করা হলো।

মোর্শেদ হাসান খান বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। প্রশাসনের করা তদন্ত কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনিযুক্ত সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, অধ্যাপক হাসানুজ্জামান, অধ্যাপক রহমত উল্লাহ ও সিন্ডিকেট সদস্য বাহালুল মজনুন চুন্নু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

আরাফাত আলী: কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল সোমবার প্রেসক্লাব চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধকালীন কমান্ডার আলহাজ্জ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু ও সাংগঠনিক সম্পাদক এম হাফিজুর রহমান শিমুলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আহমেদ মাছুম, কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান হাফিজুর রহমান, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জী, ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি নিয়াজ কওছার তুহিন, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ও ইফতার কমিটির আহবায়ক শেখ ইকবাল আলম বাবলুর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ইফতার মাহফিলে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ জিএম রফিকুল ইসলাম, কালিগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রাজিব হোসেন, সাতক্ষীরা সম্মিলিত সাংবাদিক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম বেলাল হোসাইন, শ্যামনগর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুস সেলিম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, ইসলামী ব্যাংক কালিগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মুজিবর রহমান প্রমুখ। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, জাতীয় শ্রমিক লীগ, কৃষকলীগ, তরুণ লীগ, ছাত্রলীগ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী ও সূধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন থানা মসেিজদর পেশ ইমাম মাওলানা আশরাফুল ইসলাম আজিজী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় ‘২০ পিচ ইয়াবাসহ’ ২ জন আটক, মামলা

কে. এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটায় পুলিশের অভিযানে ২০ পিচ ইয়াবাসহ ২ আসামি আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। আটককৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদি হয়ে দেবহাটা থানায় মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ বলছে, রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেনের নির্দেশনা মোতাবেক এসআই হাবিবুর রহমান ও এএসআই রকিবুল হাসান সহ একদল পুলিশ ফোর্স উপজেলার গাজীরহাট বাজার এলাকার স্বপন কুমার ঘোষের মাছের আড়তের সামনে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার হাদীপুর গ্রামের আমজেদ হোসেনের ছেলে আব্দুর রহিম ( (৩৮) ও সখিপুর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে আকবর আলী চড়–ই (৩৩) কে ২০ পিচ ইয়াবা সহ আটক করেন। তাদের বিরুদ্ধে এসআই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১) টেবিলের ৯ (ক) ধারায় দেবহাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং- ২২। আটককৃত আসামীদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘সৌদি আরব এখন ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত বন্ধু’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বর্তমান রাজা সালমান সিংহাসনে বসার পর থেকে গত তিন বছরে সৌদি আরবের মধ্যপ্রাচ্য নীতি পর্যালোচনা করে ইসরায়েলি দৈনিক হারেতজ লিখেছে, ‘সৌদি আরব হচ্ছে ইসরাইলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত বন্ধু।’

সম্প্রতি কাতারের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কের অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে এমন মন্তব্য করল ইসরাইলি দৈনিক হারেতজ।

আর গত বছরের জুনে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি সিংহাসনের উত্তরাধিকারি যুবরাজের পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই সৌদি আরব ইসরায়েলবিরোধী মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক কমিয়ে আনছে কিংবা ছিন্ন করছে। এবং ইসরায়েলের দিকে ঝুঁকে পড়েছে।

কাতারের সঙ্গে সৌদি আরবের উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় ইসরায়েল ব্যাপক খুশি হয়েছিল। যদিও ইসরায়েলের সঙ্গে কাতারের গোপন সম্পর্ক বজায় ছিল কিন্তু তারপরও দোহা মধ্যপ্রাচ্যে তৎপর মিশরভিত্তিক ইসলামি রাজনৈতিক সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতাদের আশ্রয়দাতা ও সমর্থক হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া, ইরানের সঙ্গে কাতারের সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে। কাতারের সঙ্গে সৌদি আরবের উত্তেজনা সৃষ্টির পর ইসরায়েল প্রকাশ্যেই সৌদিদের পক্ষে অবস্থান নেয়।

তেলআবিবের এ পদক্ষেপ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করতে সৌদি আরবকে উৎসাহিত করেছে। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে ইরান, কাতার ও তুরস্কের মোকাবেলায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এ অঞ্চলে মিত্র খুঁজে বেড়াচ্ছেন এবং ইসরায়েল তাদের ভালো বন্ধু বলে তিনি মনে করছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েল বহুদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোকে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ইরান ও সৌদি আরব এবং কাতার ও সৌদি আরবের মধ্যে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে তার পেছনেও বড় একটি কারণ হচ্ছে ইসরায়েলের প্ররোচনা। কারণ মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে যে কোনো উত্তেজনা ও দ্বন্দ্ব-সংঘাত ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও স্বার্থই রক্ষা করবে।

গত শনিবার থেকে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত চার দেশের পণ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কাতার। কাতারের ওপর সৌদি জোটের অবরোধ আরোপের এক বছরের মাথায় এই পাল্টা জবাব দিয়েছে দেশটি।

কাতারের দোকানপাট থেকে সৌদি আরব, আমিরাত, বাহরাইন ও মিসরের পণ্য সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ এ কথা জানিয়েছে।

কাতারের অর্থ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট তদারককারী কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে, শনিবার থেকে তদারককারীরা দোকানপাট পরিদর্শন করে দেখবেন-ওই চারটি দেশের কোনো পণ্য রয়েছে কিনা।

উল্লেখ্য, গত বছর সৌদি জোটভুক্ত চারটি দেশ কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে। কাতারের সঙ্গে একমাত্র স্থল সীমান্ত বন্ধ করে দেয় সৌদি আরব।

অবরোধের পাশাপাশি কাতারের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি জোট। এর ফলে, কুয়েত, ওমান হয়ে তুরস্ক ও ইরান থেকে পণ্য আমদানি করতে হয় কাতারকে। এই সংকট দূর করতে কাতারের পাশে এসে দাঁড়ায় তুরস্ক ও ইরান।

অন্যদিকে, সৌদি পণ্য রপ্তানির সুযোগ করে দিয়ে ইসরাইল সৌদি আরবের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করতে চাইছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এতে করে সৌদি কোম্পানিগুলো কিংবা সরকার হয়তো সাময়িকভাবে লাভবান হবে কিন্তু সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে ইসরায়েল। তাদের মতে, সৌদি-ইসরায়েল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সম্পর্ক পরবর্তীতে আরো ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সম্পর্কে রূপ নেবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রধানমন্ত্রী বরাবর কক্সবাজারের মেয়র মাবুর খোলা চিঠি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর খোলা চিঠি লিখেছেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী মাবু। রোববার রাতে লেখা চিঠিতে সম্প্রতি পরিচালিত মাদকবিরোধী অভিযান ও গত শনিবার রাতে অভিযানে নিহত টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি, পৌর কাউন্সিলর মো. একরামুল হকের বিষয় উঠে এসেছে।

একরামুল হককে ত্যাগী নেতা ও আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের সঙ্গী উল্লেখ করেন তিনি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ভুল তথ্য দিয়ে স্বার্থন্বেষী মহল একরামকে হত্যা করিয়েছে জানিয়ে খোলা চিঠিতে মাহবুবুর রহমান লিখেছেন:

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনি নিত্যদিনের অকল্পনীয় পরিশ্রমের পরেও মানুষের দোয়ায় ভালো আছেন। আপনাকে আমরা ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি । কারণ ভালোবাসার শক্তি বড় শক্তি। সেই ভালবাসা শক্তি নিয়েই আপনার কাছে অধমের এই লেখা। কারণ আপনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হলেও আপনাকে দূরের কেউ মনে হয়নি কখনো। এদেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে আপনার স্থান। হৃদয়ের এই স্থানটি আবার অধিকাংশেরই স্থায়ী, অপরিবর্তনযোগ্য। কিন্তু সেটিই সহ্য হচ্ছে না একটি মহলের। নানা কৌশলে তারা আপনার সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। তারা প্রকৃত মুজিব আদর্শের সৈনিকদের ধ্বংস করার অপতৎপরতা চালাচ্ছে।

প্রিয় নেত্রী,
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল ও সংগঠিত করেছে, যারা শত অত্যাচারের পরও আওয়ামী লীগকে বাঁচিয়ে রাখতে কাজ করেছে, আজ আপনার সেই সন্তানদের নাম ও নিশানা নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে। অথচ আপনি সেই সন্তানদের কথা ভেবে নির্ঘুম রাত কাটান।

মা, সারা দেশব্যাপী মাদক বিরোধী অভিযানকে যখন দেশের আবাল বৃদ্ধ বনিতা স্বাগত জানিয়েছেন ঠিক তখনই আপনার এই সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে উঠে পড়ে লেগেছে প্রশাসনের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা একাত্তরের দোসররা। তারা ইয়াবাবিরোধী অভিযানের দোহাই দিয়ে আপনার সন্তানকে হত্যা করেছে। ২৭ মে গভীররাতে টেকনাফে এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে আজন্ম আওয়ামী লীগ পরিবারের অহংকার টেকনাফ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও পর পর তিন তিনবার নির্বাচিত কাউন্সিল’র একরামকে হত্যা করা হয়েছে। মাগো এমন চলতে থাকলে আওয়ামী লীগ তথা বাংলাদেশ নিঃশেষ হতে খুব বেশী সময় লাগবে না।

মা, আপনি তো আপনার সন্তানদের চিনেন। আপনি তো আমাদের সকল খবর রাখেন। আপনি বলেন, আপনার যেই সন্তান আজন্ম বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ছড়িতে দিতে কাজ করেছে, আপনার যে সন্তান দুঃসময়ের মধ্যেও টেকনাফ যুবলীগকে মডেল ইউনিটে পরিণত করেছিল, আপনার সেই সন্তান একরামুল হক কি ইয়াবার মত মরণ নেশার সাথে জড়িত থাকতে পারে? যার চাল চুলো নেই, থাকার জন্য বাড়ি নেই, পরিবার ও সন্তানদের লেখাপড়া চালানোর জন্য যাকে নির্ভর করতে হয় ভাইদের উপর, বন্ধুদের উপর; আওয়ামী লীগকে ভালবেসে জনগণকে সেবা করতে গিয়ে দেনার দায়ে যার সব শেষ তাকে বানানো হচ্ছে ইয়াবা গডফাদার! হায় সেলুকাস।

মাগো, আমি আমার কান্না রুখতে পারছি না। একরামের মৃত্যুতে আমার হৃদয়ে ক্ষণে ক্ষণে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এ হত্যা মানতে পারছি না। কি করে রুখব বলুন। আমি যখন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, তখন একরাম টেকনাফ যুবলীগের সভাপতি। তাই সাংগঠনিক কারণেই আমি তাকে কাছ থেকে চিনি। একরামের কথা ভাবলেই চোখের সামনে চলে আসে তার দুই মেয়ের ছবি। কি হবে এখন তাদের? কি ছিল তাদের বাবার অপরাধ? তবে কি বর্তমান প্রতিহিংসার রাজনীতি কেড়ে নিলো আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কাণ্ডারিকে। তিনি দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের একজন খাঁটি নির্লোভ যোদ্ধা ছিলেন। হয়তবা একারণেই মাদক বিরোধী অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ করতে শকুনের দৃষ্টি এড়াতে পারেনি একরাম।একরামের মৃত্যু আওয়ামী লীগের ত্যাগী বিশ্বস্তদের জন্য অশনি সংকেত। একরামকে হত্যার মধ্য দিয়ে তবে কি টেকনাফকে আওয়ামীলীগ ‍শূন্য করার কাজ শুর হয়ে গেল! বড় ভয় হচ্ছে সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা নুর হোসেন এবং টেকনাফ যুবলীগের সভাপতি নুরুল আলমের কথা ভেবে। তাদের দিকেও তো একটি মহলের কুদৃষ্টি রয়েছে। কিন্তু আমি জানি, মা , তুমি থাকতে ওরা কখনো এটি পারবে না।

মা, এখনো সময়, লাগাম টেনে ধর তাদের। যারা প্রকৃত মুজিব আদর্শের সৈনিকদের হত্যা করার পরিকল্পনা করেছে। মা শুনেছি, ২০০৮ সালে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার সঙ্গে একরামের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ছিল। সেই সময় তার বিরুদ্ধে মাদকের মামলাও হয়েছিল। যদিও মামলাটিতে একরাম নির্দোষ প্রমাণিত হয়। সেই সূত্রে ২০১০ সালে নাম ওঠে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রথম তালিকাতেও। কিন্তু ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তার বদলির পর সেটা সংশোধন হওয়ায় নিরপরাধ এ জনপ্রিয় কমিশনারের নাম বাদ পড়ে হালনাগাদ সব তালিকা থেকে।

মা, একরামের পরিবার টেকনাফ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা পরিবার। এখানকার মুক্তিযুদ্ধে সংগঠকও তারা। টেকনাফের প্রথম বনেদি মুসলিম শাসকও তার দাদা। পাহাড় কেটে নিজ টাকায় যিনি তৈরি করেছিলেন দম-দমিয়া সড়ক।

মাগো , আপনার পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি কি তাদের দেখতে পায় না যারা স্বীকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী। যাদের কাছে কালো টাকার পাহাড় রয়েছে। যারা শূন্য থেকে আকাশে ভাসছে, বাসের কন্ডাক্টর থেকে বিলাসবহুল বাসের মালিক, ঝুপড়ি থেকে ফ্ল্যাটের মালিক, লোকাল বাসের যাত্রীরা বিমানের নিয়মিত প্যাসেঞ্জার, গাছ চোর থেকে নোয়া কারের মালিক।

মা আপনার মাধ্যমেই প্রশাসনকে বলতে চাই, যদি সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করতে চান তবে প্রকৃত ইয়াবাকারবারীদের শেষ করুন। পারলে টেকনাফের সাইফুল করিম, এমপি বদির ভাই আবদুর রহমান ও আবদুর শুক্কুর, কক্সবাজার শহরের শাহজাহান আনসারী ও কামাল আনসারী, লারপাড়ার আবুল কালাম কন্ট্রাকটার, পেকুয়ার মগনামার ওয়াসিমের মত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তালিকাভুক্ত ও সমাজ স্বীকৃত ইয়াবাকারবারীদের ক্রসফায়ার দিন। দয়া করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনাকে সিদ্ধান্তকে কলঙ্কিত করবেন না। একরামের মত নিরপরাধ ও জনপ্রিয় নেতাকে ক্রসফায়ার দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার তথা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গায়ে কালিমা লেপনের চেষ্টা করবেন না।

যদি একরামের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ ইয়াবামুক্ত হয় তবে আমাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে। এই প্রত্যাশায় রইল ।

ইতি
মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, (পৌর মেয়র )
কক্সবাজার পৌরসভা
সাংগঠনিক সম্পাদক
কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ
সাবেক সাধারন সম্পাদক
কক্সবাজার জেলা যুবলীগ ও কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest