সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

আজও ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সারাদেশে ৭ মাদক ব্যবসায়ী নিহত

ন্যাশনাল ডেস্ক: রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৭ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার ভোরে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে র‌্যাব ও পুলিশের ১৪ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধারের দাবি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাঁচ জেলার নামের বানান নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

ন্যাশনাল ডেস্ক: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত নিকারের সিদ্ধান্তের আলোকে পাঁচটি জেলার নামের ইংরেজি বানান বাংলা উচ্চারণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণকরণ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম -এর ইংরেজি বানান Chittagong এর পরিবর্তে Chattogram, কুমিল্লার ক্ষেত্রে Comilla এর পরিবর্তে Cumilla, বরিশালের ক্ষেত্রে Barisal এর পরিবর্তে Barishal, যশোরের ক্ষেত্রে Jessore এর পরিবর্তে Jashore এবং বগুড়ার ক্ষেত্রে Bogra এর পরিবর্তে Bogura রূপে সংশোধন করা হয়েছে।

সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ, অধিদপ্তর/দপ্তর/পরিদপ্তর, জেলা ও উপজেলাসহ বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে এবং বাংলা ও ইংরেজি অভিধানে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনার লক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাদকের পৃষ্ঠপোষক ও মূলহোতারা এখনও অধরা

ন্যাশনাল ডেস্ক: দেশব্যাপী মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত কোনো পৃষ্ঠপোষক বা মূলহোতার গ্রেফতার অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও র‌্যাবের চলমান এ অভিযানের প্রথম ২১ দিনে প্রায় সাড়ে আট হাজার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পাশাপাশি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে ৫৭ জন। আর ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা হয়েছে ২ হাজার ৮৭৮ জনের। তবে তাদের অধিকাংশই ছোট বা মাঝারি শ্রেণীর মাদক ব্যবসায়ী বা বাহক অথবা সেবক বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মাদক ব্যবসায়ী যত প্রভাশালী হোক না কেন, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আইনের আওতায় সবাইকে আসতেই হবে।

তবে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, সরকারের পাঁচটি সংস্থার সমন্বয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের বিশেষ তালিকায় নাম থাকার পরও মাদকের গডফাদার, প্রভাবশালী আশ্রয়দাতা, বিনিয়োগকারীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। পাশাপাশি সীমান্তের অনেক পয়েন্ট দিয়ে অব্যাহত রয়েছে দেশে মাদক প্রবেশ। বিদ্যমান পরিস্থিতি অব্যাহত রেখে অভিযান কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি সংস্থার তদন্তে যেসব ‘গডফাদার’ বা পৃষ্ঠপোষকের নাম এসেছে তাদের আইনের আওতায় আনা না গেলে মাদকের মূলোৎপাটন সম্ভব নয়। মাদকের তালিকায় থাকা বর্তমান ও সাবেক ২৫ সংসদ সদস্যসহ সাড়ে ৪০০ জনপ্রতিনিধি এখনও থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এমনকি মাদক সিন্ডিকেটে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অনেক সদস্য জড়িত থাকার বিষয়েও অভিযোগ উঠেছে। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনার পরামর্শ দেন তারা।

বিশেষজ্ঞদের আরও অভিমত, শুধু অভিযান পরিচালনা করেও মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়। কার্যকর অভিযানের পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

মাদকবিরোধী অভিযান সফল হওয়ার প্রথম দুটি শর্ত হল- মাদকের রুট বন্ধ করা এবং মাদকের বিনিয়োগকারীদের আইনের আওতায় আনা। চলমান অভিযানে এ দুটি বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ লক্ষ করা যায়নি।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল অভিযানের শুরু থেকেই বলে আসছেন, মাদক বিক্রেতারা সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে যতই ক্ষমতাধর হোক না কেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। কিন্তু মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তালিকায় কক্সবাজারের সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুর রহমান বদির নাম সবার শীর্ষে। তাকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, প্রমাণ নেই।

দলমত নির্বিশেষ সবার চাওয়া দেশ থেকে মাদক নির্মূল হোক। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মাদকবিরোধী অভিযানের নামে বিনা বিচারে হত্যার তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, মাদক নির্মূলের নামে যাদের হত্যা করা হচ্ছে তারা কারা আমরা জানি না। মাদক সম্রাট তো সংসদেই আছে। তাদের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলান।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপিও মাদকবিরোধী অভিযান চায়, তবে এটা হতে হবে অরাজনৈতিক। মাদকবিরোধী অভিযানের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যা সমর্থনযোগ্য নয়।

তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মাদক কারবারিরা অস্ত্র নিয়ে মোকাবেলা করছে বলেই ‘এনকাউন্টার’ হচ্ছে এবং একে বিচারবহির্ভূত হত্যা বলা যায় না। আবদুর রহমান বদিকে মাদক পাচারের অভিযোগে ধরতে হলে তার আগে ‘প্রমাণ লাগবে’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

এদিকে বৃহস্পতিবার একটি অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঢাকাকে মাদকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ সময় তিনি বলেন, মাদকের আগ্রাসন আমাদের চিন্তায় ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার কথা বলেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় মাদকবিরোধী অভিযান চলছে। যারা মাদক ব্যবসা করে তাদের কোনো স্থান নেই। যে কোনো মূল্যে মাদকের আগ্রাসন থেকে মানুষকে রক্ষা করতে হবে।

বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মজিবুর রহমান বলেন, সীমান্তের যেসব পয়েন্ট দিয়ে মাদক আসে আমরা সেই পয়েন্টগুলোতে বিশেষ নজরদারি করছি। মাদক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যুক্ত সব সংস্থার সমন্বয়ে আমরা কাজ করছি। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর যেসব পয়েন্টের কথা বলেছে সেগুলোতেও আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি। মাদক নির্মূলে আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিচ্ছি। মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু হওয়ার পর আমরা আমাদের পদক্ষেপ আরও জোরদার করেছি।

বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান বলেন, দেশে মাদক আসছে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও মিয়ানমার থেকে। সীমান্তের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ভারত ফেনসিডিলের কারখানা স্থাপন করছে। মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসছে। প্রতিবেশী দুই দেশের সঙ্গে এ বিষয়ে সমঝোতায় না এলে মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়। অপরদিকে যারা মাদকের পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এভাবে মানুষ হত্যা করে মাদক নির্মূল করা যাবে না।

বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক একেএম নেহাল করিম বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যারা মারা গেছে তারা বাহক। যারা মাদক আমদানি করছে, যারা বিনিয়োগ করছে তারা ধরা পড়ছে না।
এতে মনে হচ্ছে, মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান লোক দেখানো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানে মাদকের মূল হোতা এবং বিনিয়োগকারী কারা। কারা দেশব্যাপী মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে সেটাও তারা জানে। মাদকের বাহক মারা গেলে মূল হোতাদের কোনো সমস্যা নেই।
কক্সবাজারে মাদকের মূল আমদানিকারক এমপি বদি। তাকে তো ধরা হচ্ছে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, তার বিরুদ্ধে প্রমাণ নেই। এভাবে কখনোই মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়।
বিশেষ অভিযানে গডফাদাররা ধরা পড়ছে না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান বলেন, দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযানে অনেক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধে অনেক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব পর্যায়ের মাদক ব্যবসায়ীই জালে আসবে।

পুলিশের সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদ বলেন, মাদক নির্মূল করা একক কোনো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে না। এটা বন্ধ করতে হলে ‘সাপ্লাইলাইনে’ আঘাত করতে হবে। মাদকের রুট বন্ধ করার কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। তবে মাদক পুরোপুরি নির্মূল করতে হলে, মাদকের স্পটগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। যে এলাকায় বেশি মাদকের প্রাদুর্ভাব সেখানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষকে নিয়ে এর বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, মাদক নিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে সচেতনতার কাজ হচ্ছে। সব এলাকায় স্থানীয়দের নিয়ে সমন্বিতভাবে এ কাজটা চালিয়ে যেতে হবে।
র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মাদকের মামলা আছে, যাদের সঙ্গে মাদক পাচ্ছি, তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, প্রমাণ পেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। যাদের বিরুদ্ধে মাদকসংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে তাদের কোনো দলীয় পরিচয় দেখা হচ্ছে না। চ লমান মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সহেলী ফেরদৌস বলেন, সারা দেশে মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন রোধে পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা সারা দেশে মাদকের গডফাদার, শীর্ষপর্যায়ের ব্যবসায়ী, পাইকারি ব্যবসায়ী এবং খুচরা বিক্রেতাদের তালিকা করেছি। সেই তালিকা অনুযায়ী অভিযান চলছে।
সূত্র: যুগান্তর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইরানের চুক্তি বাঁচাতে একাট্টা চীন-জার্মানি, বৈঠকে ম্যাখোঁ-পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের পরমাণু চুক্তি রক্ষা করতে এবার নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছে চীন ও জার্মানি। আর চুক্তি টেকাতে চাইলে ইরানের কিছু দাবিদাওয়াও যে পূরণ করতে হবে, সে কথা জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। এদিকে ইরান ইস্যুতে আলোচনা করতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৮ মে জানান, ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির স্বাক্ষরিত জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) শীর্ষক পরমাণু চুক্তি থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন এবং ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করবেন। বিশ্বের অন্য কোনো দেশ ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখলে তাদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে গেলেও ইরান যেন সে পথে না হাঁটে, সে জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ইউরোপ। এ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা বৈঠকও করেছেন। কিন্তু ইরানকে চুক্তিতে রাখতে হলে এবং ইরানে নিজেদের ব্যবসা বাঁচাতে হলে তাঁরা ঠিক কী পদক্ষেপ নেবেন, সেটা স্পষ্ট নয়।

ইউরোপীয় নেতাদের দোলাচলের মধ্যেই গতকাল জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। চীনের রাজধানী পেইচিংয়ে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কেল ইরানে ইউরোপের ব্যবসা প্রসঙ্গে কথা বলেন। ট্রাম্প জেসিপিওএ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে সেটা ইরানে ইউরোপের বাণিজ্যে কতটা প্রভাব ফেলবে, সে ব্যাপারে সতর্ক করে দেন এ জার্মান নেতা।

এ ছাড়া চীনের প্রধানমন্ত্রী কেকিয়াং ইরান ইস্যুর সঙ্গে উত্তর কোরিয়া সংকটের সম্পর্ক দেখিয়ে বলেন, জেসিপিওএর অবসান ‘শুধু ইরানকে প্রভাবিত করবে, তা নয়, বরং অন্যান্য উত্তেজনাপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রক্রিয়ায়ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’

চীন-জার্মানির এসব বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি জানান, ইরানকে জেসিপিওএতে রাখতে চাইলে ইরানের জ্বালানি তেলের বাজার চাঙ্গা রাখতে হবে এবং তাঁদের অপরিশোধিত তেল ইউরোপকে কিনতে হবে। শর্ত পূরণ করতে না পারলে ইরান চুক্তি ত্যাগ করে নিজেদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি আবার চালু করবে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ইরানের তেলের বাজার চাঙ্গা রাখতে ইউরোপকে শর্ত বেঁধে দেন তিনি।

এদিকে ইরান ইস্যুতে আলোচনার জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ গতকাল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে রওনা হয়ে গেছেন। ইরান প্রসঙ্গের পাশাপাশি সিরিয়া ও ইউক্রেন নিয়েও তাঁদের আলোচনা করার কথা। ম্যাখোঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা বলছেন, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মানে এই নয় যে, ফ্রান্স তার পুরনো মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
লর্ডসে চালকের আসনে পাকিস্তান

পাকিস্তানের বিপক্ষে বোলিং সহায়ক কন্ডিশনে টসে জিতে আগে ব্যাটিং নিয়ে ভুল-ই করলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট। লর্ডসের পিচ সবুজাভ, পাকিস্তানের একাদশে চারজন পেসার। এমন পরিস্থিতে আগে ব্যাটিং নেওয়ার খেসারত দিল ইংল্যান্ড। চা-বিরতির পরপরই মাত্র ১৮৪ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। প্রথম দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫০ রান।

দুই ডানহাতি পেসার মোহাম্মদ আব্বাস ও হাসান আলী অনেকটা ভাগাভাগি করেই ইংল্যান্ডের উইকেট শিকার করলেন। মোহাম্মদ আব্বাস ১৪ ওভার বল করে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন। আর হাসান আলি ১৫.২ ওভার বল করে ৫১ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার করেন। একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির ও ফাহিম আশরাফ।

পাকিস্তানি পেসারদের লাইন-লেংথ ছিল অসাধারণ। সুইংও পাচ্ছিলেন সবাই। ৪৩ রানেই ইংলিশদের ৩ উইকেট চলে গেলে কুক ও বেয়ারস্টো ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। এই দুই ব্যাটসম্যানের ৫৭ রানের জুটিই ছিল ইংলিশদের প্রথম দিনের সবচেয়ে বড় জুটি। অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফের বলে আউট হওয়ার আগে ব্যাটিং অর্ডারে ওপরের দিকে খেলতে আসা বেয়ারস্টো করেন ২৭ রান।

ইংল্যান্ডের ব্যাটিং সেশনে আশার আলো হয়ে জ্বলেছে অ্যালিস্টার কুকের ব্যাট। মোহাম্মদ আমিরের বলে বোল্ড হওয়ার আগ পর্যন্ত অন্যদের আসা-যাওয়ার মাঝেও ১৪৮ বলে করেছেন ৭০ রান। এই ৭০ রানে আছে ১৪টি চারের মার। বাকিদের মধ্যে বেন স্টোকস করেছেন ৩৮ রান। আব্বাসের বলে স্টোকস আউট হয়ে ফেরার পর ইংলিশদের কোনো ব্যাটসম্যানই আর ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি বেশিক্ষণ। স্বাগতিকদের শেষ ৫ উইকেট পড়ে যায় ১৬ রানের মধ্যেই।

প্রথম দিন শেষে স্কোর
ইংল্যান্ড: ১৮৪ অলআউট
পাকিস্তান: ১ উইকেটে তুলেছে ৫০ রান

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাদকের গডফাদারদের সম্পদের খোঁজে দুদক

ন্যাশনাল ডেস্ক: মাদক বিক্রেতা, ডিলারসহ মাদকের গডফাদারদের অর্থ-বিত্তের খোঁজে মাঠে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধানে খতিয়ে দেখা হবে তাদের নামে-বেনামে গড়া সম্পদ। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের করা মাদক ব্যবসায়ীদের ১৪১ জনের একটি তালিকা জানুয়ারিতে দুদকে পাঠানো হলেও এতদিন তা হিমাগারে ছিল। তালিকার কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান শুরু হলে দুদকও নড়েচড়ে বসেছে। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকের গডফাদারদের অবৈধ সম্পদের খোঁজে জোরেশোরে অনুসন্ধান শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, দুদকের দু’জন পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন ও কাজী শফিকুল আলমের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার পৃথক দুটি উচ্চপর্যায়ের টিমকে তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
দুদক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর থেকে পাওয়া তালিকার বাইরে আরও কোনো তালিকা থাকলে তা দুদককে সরবরাহ করতে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের কাছে চিঠি দেবে। রাজধানীর শীর্ষ ৮২ মাদক ব্যবসায়ীর যে তালিকা পুলিশের কাছে রয়েছে দুদক সেই তালিকাটিও সংগ্রহ করে জড়িতদের সম্পদের তদন্ত করবে। সংস্থাটি নিজস্ব গোয়েন্দাদের দিয়েও গোপনে তথ্য সংগ্রহ করছে বলে জানা গেছে। চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় সহায়তা করে অঢেল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এর সত্যতা নিরূপণ করতে তাদের বিষয়েও তথ্য জোগাড় করবে দুদক।
এদিকে সরকারদলীয় একাধিক এমপির বিরদ্ধে মাদক ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া ও মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ জমা পড়েছে দুদকে। অনুসন্ধানের বিষয়ে দুদক সচিব ড. শামসুল আরেফিন বলেন, মাদক ব্যবসা করে যারা অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন, যাদের কারণে সমাজে সাধারণ মানুষের জীবনও ঝুঁকির মুখে পড়েছে তাদের বিরুদ্ধে দুদকের তফসিল অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অন্যদিকে দুদকের কাছে আসা মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত কিছু অভিযোগের বিষয়ে এরই মধ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে অনুসন্ধান চলছে খুলনা-২ আসনের সরকারদলীয় এমপি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। দুদকের কাছে থাকা তথ্য বলছে, এমপি মিজানুর রহমান মাদক ব্যবসার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন। অবৈধ সম্পদের অভিযোগ এনে ১৬ এপ্রিল তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করে দুদক। এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর থেকে পাওয়া তালিকার ১৪১ জনের মধ্যে কক্সবাজার-৪ আসনের এমপি আবদুর রহমান বদির নামও রয়েছে। তালিকায় আবদুর রহমান বদিকে মাদক সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র অধিপতি বলা হয়েছে। তালিকার একটি প্যারায় বলা হয়েছে, ‘মাননীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি দেশের ইয়াবা জগতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী। তার ইশারার বাইরে কিছুই হয় না। দেশের ইয়াবা আগ্রাসন বন্ধের জন্য তার ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট।’ দুদকের তালিকায় বদি ছাড়াও তার পাঁচ ভাইয়ের নাম উঠে এসেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্ববাসীর প্রতি প্রিয়াঙ্কার আবেদন

রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য সোচ্চার হতে জাতিসংঘের হয়ে বিশ্ববাসীর প্রতি আবেদন জানিয়েছেন জাতিসংঘ ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হলিউড ও বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।

বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর এ আবেদন করেন বাংলাদেশ সফররত প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।

তিনি বলেন, বিশ্বের কোনো শিশুরই যেন রোহিঙ্গা শিশুদের মতো অবস্থা না হয়।

এ সময়, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা শিশুদের আশ্রয় ও শিক্ষার সুযোগ দেয়ায় ইউনিসেফের হয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান জাতিসংঘের এ শুভেচ্ছাদূত।

মিয়ানমারের ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীর মানবেতর জীবনযাপনে বাংলাদেশের মাটিতে প্রতিদিন গড়ে ৬০ রোহিঙ্গা শিশুর জন্মের মতো জটিল সংকট নিরসনে বিশ্ববাসীর জোরালো অবস্থান চান প্রধানমন্ত্রী। ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে ফিরে বাংলাদেশে ৪ দিনের সফরের শেষ দিনে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিজের এ বার্তা দেন বলিউড অভিনেত্রী ও শিশু অধিকারে আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘আমি যখন প্রধানমন্ত্রী হব, তখন দেখবেন’- সংবাদ সম্মেলনে প্রিয়াঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শরণার্থী শিবিরে ঝুঁকির মুখে থাকা রোহিঙ্গা শিশু ও নারীদের সহায়তায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয় ক্যাম্পগুলোয় ঘুরে এসে বৃহস্পতিবার (২৪ মে) রাজধানীর একটি হোটেল এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।

শিশুদের চিত্রকর্ম দেখার কথা জানিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, তারা দেখেছে মাথার ওপরে রকেট লঞ্চার, পায়ের তলায় মাইন। তারা সেটা মনে রেখেছে এবং এঁকেছে। কেউ অল্প কিছু সাহায্য করলে এক শিশুর কয়েক দিনের খোরাক হয়ে যায়।

সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দিয়েছে, তাদের প্রতি মানবিকতার জন্য। যে মানবিকতা সারা বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

মিয়ানমারের অবস্থান প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে প্রিয়াঙ্কা বলেন, এটা রাজনৈতিক সমস্যা। এ নিয়ে আমাদের উত্তর নেই। কিন্তু মানবিক বিষয়ে আমার বলার আছে।

তিনি আরও বলেন, আমি যখন রাজনীতিবিদ হব, তখন সব করব। এ মুহূর্তে আমি ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত। কিন্তু আমি যখন প্রধানমন্ত্রী হব, তখন দেখবেন!

সংবাদ সম্মেলনে ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি সীমা সেন গুপ্ত, ইউনিসেফ বাংলাদেশের কমিউনিকেশনস চিফ জ্যঁ জ্যাক সিমনও বক্তব্য দেন।

গত চার দিনে তিনি উখিয়া ও টেকনাফের ১০টি শরণার্থী ক্যাম্প এবং সীমান্তের কাছের রোহিঙ্গা আগমনের ট্রানজিট পয়েন্ট ঘুরে দেখেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest