সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

পর পর দুই বছর বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমেছে: নাসা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গ্রিন হাউজের ক্ষতিকারক প্রভাবে প্রতি বছর বাড়তে থাকে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। আর এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে জলবায়ুর ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলার পাশাপাশি বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা।

তবে নাসার এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি এই দুই বছরে উপর্যুপরি তাপমাত্রা কমেছে। এই সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাপী গড় তাপমাত্রা শূন্য দশমিক ৫৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। গড় তাপমাত্রা কমার ক্ষেত্রে গত এক শতকের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় ঘটনা। তবে আশ্চর্যের বিষয় গড় তাপমাত্রা কমার বিষয়টি গণমাধ্যমে সেইভাবে আলোচনায় আসেনি।

বৈশ্বিক তাপমাত্রার তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করতে গিয়ে নাসার কর্মকর্তা অ্যারন ব্রাউন বিষয়টি দেখে রীতিমতো বিস্মিত হন। বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমার ক্ষেত্রে তিনি এটিকে সবচেয়ে বড় ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৫ মাসে সব থেকে বেশি তাপমাত্রা কমেছিল। ২০১৭ সালের একই সময়েও তাপমাত্রা কমেছিল। ২০১৭ সালের ঐ পাঁচ মাসে তাপমাত্রা কমার ঘটনাটিকে চতুর্থ সর্বোচ্চ বলে উল্লেখ করেছেন অ্যারন ব্রাউন।

এতদিন বিজ্ঞানীরা বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির বিষয়ে নানা সময়ে সতর্ক করে এসেছে। নাসার এই তথ্য তার সম্পূর্ণ বিপরীত কথা বলছে। তবে এই দুই বছরের তাপমাত্রা কমে আসার কারণে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিষয়টিকে মোটেই গুজব হিসেবে দেখতে চান না তারা। তাদের বক্তব্য, গত দুই বছর ধরে তাপমাত্রা বাড়ছে না বলে পুরো শতকের তাপমাত্রাকে প্রতিনিধিত্ব করে না।

এর আগে আমেরিকান আবহাওয়াগত সোসাইটি জার্নালে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলা হয়েছিল বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধির পেছনে শতকরা ৪৫ ভাগ ভূমিকা কলকারখানা থেকে নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের। তবে ঐ সময়ে এর বিরোধিতা করে অন্য একটি গবেষণায় বলা হয়েছিল, ২০০০ সালের পর কার্বন-ডাই-অক্সাইডের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণায়নে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব পড়েনি।

এতদিন ধরে প্রায় সব গবেষণাতে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। তাই এই মুহূর্তে হঠাৎ করে নাসার পক্ষ থেকে গত দুই বছরে তাপমাত্রা কমে আসার যে তথ্য দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে মানুষের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে নাসার পক্ষ থেকে এটিও বলা হয়েছে, মাত্র দুই বছরের তাপমাত্রার এই চিত্র পুরো এক শতকের প্রতিনিধিত্ব করে না।-ইনভেস্টরস বিজনেস ডেইলি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মেসি-রোনালদোকে হত্যার হুমকি
স্পোর্টস ডেস্ক: ‘তোমাদের রক্তে লাল হবে মাঠ৷’ কোনো এক স্টেডিয়ামে মেসি ও রোনাল্দোর রক্তাক্ত ছবি দিয়ে তাদের মাথা কাটার হুমকি দিয়েছে আইসিস (ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া)৷
রাশিয়ায় বিশ্বকাপ চলাকালীন সন্ত্রাস চালানোর নানা রকম হুমকি দিচ্ছে জঙ্গি সংগঠনটি৷ সাম্প্রতিক আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের অধিনায়ক মেসি ও পতুগিজ তারকা রোনালদোকে হত্যার হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি। একটি পোস্টারে যেমন দেখা যাচ্ছে , মেসি এবং রোনাল্দোকে মাঠে ফেলে খুন করা হচ্ছে৷ আর একটি পোস্টারে বিশ্বকাপের লোগো ছুরি দিয়ে কেটে ফরাসি‌তে লেখা হয়েছে , ‘সবাইকে শেষ করে দাও৷’
আইসিসের দাবি , সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন শহরে যেমন একজন জেহাদি আক্রমণ চালিয়েছে , সে রকম ভাবেই আক্রমণ হবে রাশিয়ায়৷ কোথাও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হুমকি দেয়া হয়েছে৷ একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে- একে -৪৭ হাতে এক সন্ত্রাসবাদী দাঁড়িয়ে ভর্তি গ্যালারির সামনে৷ আবার একটিতে ছুরির আঘাতে ফালাফালা বিশ্বকাপের লোগো৷ পুতিন সরকার অবশ্য নিরাপত্তার সব রকম আশ্বাস দিয়েছে৷ টেলিগ্রামের মাধ্যমে মেসি এবং রোনাল্দোকে হুমকি দেয়া ওই বার্তার হদিস ব্রিটিশ একটি ট্যাবলেয়ড পেয়েছে৷
যা জানা যাচ্ছে , আইসিসের এক শাখা সংগঠন ওই হুমকি দিয়েছে৷ মাস খানেক আগেই বিশ্বকাপে নাশকতা চালানো হবে বলে হুমকি দেয় আইসিস৷ সেই মর্মে একাধিক পোস্টার বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে তারা৷
সিরিয়া এবং ইরাকে জমি হারিয়ে এখন এমনিতেই এখন যথেষ্ট চাপে আইসিস৷ ফলে এখন তারা এখন সুযোগ পেলেই হামলার নীতি নিয়েছে৷ বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে বিস্ফোরণ বা নাশকতা করা গেলে যে তা গোটা বিশ্বের নজরে চলে আসবে, সেটা জানে আইসিস নেতারা৷ যে কারণেই তারা মেসি -রোনাল্দোর মতো তারকাকে বেছে নিচ্ছে হুমকির নিশানা হিসেবে৷
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইরাকের নির্বাচনে মুকতাদা সদর ও কমিউনিস্ট জোটের আশ্চর্য জয়

পশ্চিমারা প্রায়ই প্রাচ্যের মানুষের আচরণ ব্যাখ্যা করতে পারে না। ইরাকের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আমেরিকাসহ পশ্চিমাদের ভয় ছিল ইরানপন্থীদের নিয়ে। এখন সমস্যা প্রচণ্ড জাতীয়তাবাদী মুক্তাদা আল সদর ও তাঁর কমিউনিস্ট সঙ্গীরা। কোনো মিডিয়া তাদের জয়ের আভাস পায়নি, কিন্তু জনগণ বেশি ভোট দিয়েছে তাদেরই। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, মুসলমানদের পবিত্র শহর নাজাফে জয়ী হয়েছেন এক কমিউনিস্ট নারী।

এখন আমেরিকানদের চিন্তা কেন মার্কিনপন্থী আল আবাদি সরকার নির্বাচনে হারল? তারা কি ইরাক থেকে আইএসকে খেদায়নি? স্বাধীনতার পক্ষে গণভোটের পর কুর্দি শহরগুলোকে সেনা পাঠিয়ে আটকে ফেলেনি? আর তারা কি আমেরিকান বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ইরাককে মুক্ত করছে না? পশ্চিমা বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়ন চালাচ্ছে না?

এসব বুলির উল্টো দিকে মানুষ দেখেছে ইরাককে নিয়ে আমেরিকা ও ইরানের ভাগাভাগির খেলা, দেখেছে দুর্নীতি ও গোষ্ঠীগত বিভক্তি। এ জন্যই কমিউনিস্ট-সদর জোটের ডাকেই মানুষ সাড়া দিয়েছে। এটা শুধু আমেরিকাকেই নয়, ইরানকেও দেওয়া ইরাকিদের জবাব। নির্বাচনের আগে আগে এক ইরানি রাজনীতিবিদ ইরাকে বসে হুঁশিয়ারি দেন, ইরাকে তাঁরা উদারপন্থী ও সেক্যুলারদের শাসন চালাতে দেবেন না। কিন্তু এখন তাদের গুনতে হচ্ছে উদারপন্থী সদর ও কমিউনিস্টদের সায়েরৌন জোটকে। বাংলায় এই জোটের নাম হবে, ‘এগিয়ে চলো’। সদর ইরানের শিয়াধর্মীয় নেতা। ইরাকের শীর্ষ শিয়া আধ্যাত্মিক নেতা আলী আল–সিস্তানির আশীর্বাদ কিন্তু তাঁর দিকেই। ইরাক আগ্রাসনের পর মাহদি আর্মি গঠন করে স্বাধীনতার জন্য লড়েছিলেন; তখন তাঁর বয়স মাত্র ৩০। সদরের উদারতা এখানেই, তিনি সাম্প্রদায়িক ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের বিপক্ষে, কেননা তা বিদেশি শক্তির জন্য পথ করে দেয়। তিনি কুর্দিদের সাংবিধানিক অধিকারের পক্ষে। ক্ষমতাসীন মার্কিনপন্থী আল-আবাদি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও বিদেশি আনুগত্যের অভিযোগ তুলে কমিউনিস্টদের সঙ্গে জোট বাঁধেন। সদরপন্থীদের ডাকটা খুবই সরল, কিন্তু আজকের দুনিয়ায় সবচেয়ে সাহসী: আমেরিকা বা ইরান নয়, ইরাক চালাবে ইরাকিরাই। শিয়া হওয়া সত্ত্বেও রাষ্ট্রীয় মর্যাদার প্রশ্নে ইরানকে ছাড় দিতে নারাজ ৪৫ বছর বয়সী মুকতাদা আল সদর। জাতীয় স্বার্থ ছাড়লে আরো আগেই তিনি ইরাকের শাসক হতে পারতেন।

সায়েরৌন জোট একা ক্ষমতায় যেতে পারবে না। তাকে ক্ষমতাসীন আল-আবাদির জোট কিংবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকির জোটকে সঙ্গে নিতে হবে। এ ছাড়া বারজানির কুর্দি দলেরও ক্ষমতামুখী জোটে থাকার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু যদি আবাদি আর মালিকি জোট বাঁধেন, তাহলে সদর ও কমিউনিস্টদের বৃহৎ বিরোধী দলের ভূমিকাতেই সন্তুষ্ট হতে হবে। তাতে ইরান খুশি হবে। আর আমেরিকা আপাতত যেকোনোভাবে ইরানকে ঠেকাতে পারলেই খুশি, তাই সদরের মতো পশ্চিমা বিরোধী জাতীয়তাবাদীকে মেনে নিতে তারা রাজিই থাকবে।

সদর জাতীয়তাবাদী বটে, কিন্তু নির্বাচনের আগে ইরানের সঙ্গে সমঝোতার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। ইরান চাইলে ইরানপন্থী জোটের নেতা হাইদি আল-আমিরির সঙ্গেও সদরপন্থীরা সরকার গঠন করতে পারে। ক্ষমতায় যান বা না যান, সদরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে না চললে ইরাকে হয়তো আমরা ইরানপন্থী ও সদরপন্থী শিয়াদের মধ্যে বিরোধ দেখতে পাব। সেটা ইরান বা ইরাক কারও জন্যই ভালো হবে না। তা ছাড়া পরমাণু চুক্তি বাতিলের পরে যেভাবে সিরিয়ায় ইরানি অবস্থানের ওপর ইসরায়েল বোমা হামলা চালাচ্ছে, তাতে ইরানের জন্য সদরের সঙ্গে আপস করে নেওয়াই সবচেয়ে ভালো। ইরাক এ মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইরানি মিত্র। ইরানের উচিত ইরাকের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলিয়ে মৈত্রীর মর্যাদা দেওয়া। এ জন্য ইরাকের ইরানপন্থী শিয়া মিলিশিয়া বাহিনীর প্রতাপ কমাতে হবে।

তবে কমিউনিস্টদের প্রত্যাবর্তন ছিল ইরাকের জাতীয় নির্বাচনের সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা। গত শতাব্দীর তিরিশের দশক থেকেই ইরাক-ইরান-সিরিয়া-মিসরের মতো দেশে কমিউনিস্ট আন্দোলন জোরদার হয়। এসব দেশে রাজতান্ত্রিক ও ঔপনিবেশিক শাসন ঘুচিয়ে সাংবিধানিক গণতন্ত্রের জন্য জীবন দেয় অসংখ্য কমিউনিস্ট। তাদের প্রভাবেই অসাম্প্রদায়িক বাথ পার্টির আরব জাতীয়তাবাদ আরবের দেশে দেশে ক্ষমতাসীন হয়। আরব জাতীয়তাবাদের ওই মডেলের দুটি উপাদান ছিল স্পষ্ট: কমিউনিস্ট-বামপন্থী এবং ইসলামমনা দল। এমনকি ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থা পিএলওর মধ্যেও দেশপ্রেমিক বাম-ডানদের সমাবেশ ঘটান ইয়াসির আরাফাত। আরবের ইতিহাস বলে, যখনই সেক্যুলার ও ইসলামপন্থীরা জোট বেঁধেছে, তখনই আরব দেশগুলো মর্যাদা নিয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু পরের দিকে বাথ পার্টি শাসিত দেশগুলোয় আমরা এক ব্যক্তির শাসন কায়েম হতে দেখি। অন্যদিকে, সৌদি-মার্কিন আঁতাত মুসলিম দুনিয়ায় কমিউনিস্টবিরোধী প্রচার চালাতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে। এর ফল হয় বাম-মুসলিম দলগুলোর বিরোধ। আজ যে সৌদি মদদে মিসরসহ উপসাগরীয় দেশগুলোয় মুসলিম ব্রাদারহুডের দমন চলছে, সেই মুসলিম ব্রাদারহুডকে দিয়েই সৌদি আরব ষাট-সত্তর দশকে কমিউনিস্টদের ঠেকিয়েছিল। সেভাবে ব্যবহৃত হওয়ার খেসারত ব্রাদারহুড এখন দিচ্ছে সৌদির বন্ধু মিসরীয় জেনারেল সিসির হাতে নির্যাতিত হওয়ার মাধ্যমে।

ইরাকে বাম ও ইসলামি শক্তির এই জোটবদ্ধতা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির পালাবদলের ইঙ্গিত দেয়। এ ঘটনা মনে করিয়ে দেয় এক ভুলে যাওয়া মুসলিম কমিউনিস্ট নেতাকে। তাঁর নাম সুলতান গালিয়েভ। গালিয়েভের জন্ম সাবেক রুশ সাম্রাজ্যের কাজাখ এলাকায় এক মধ্যবিত্ত তাতার পরিবারে, ১৯০০ সালে। গালিয়েভ তরুণ বয়সে বলশেভিক পার্টিতে যোগ দিয়ে কাজাখ অঞ্চলে সশস্ত্র বিপ্লবী লড়াইয়ে শামিল হন। ১৯২০ সাল নাগাদ তিনি গঠন করেন রুশ কমিউনিস্ট পার্টির মুসলমান শাখা: মুসলিম কমিউনিস্ট কংগ্রেস। তাঁর চিন্তা ছিল, প্রাচ্যের মুসলমান দেশগুলো তথা তাজিকিস্তান, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তানসহ সাবেক রুশ সাম্রাজ্যের মুসলমান অঞ্চলে জাতীয়তাবাদী বিপ্লব করে সমাজ প্রগতি সম্পন্ন করবেন। শ্রেণিসংগ্রামের চেয়ে তাঁর আগ্রহ ছিল ওসব অঞ্চলে রুশ ভূস্বামী ও ব্যবসায়ীদের আধিপত্য কমানো তথা জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের দিকে। দূরবর্তী লক্ষ্য ছিল কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে সমগ্র মুসলিম প্রাচ্য তথা আফগানিস্তান-ভারত-আরব অঞ্চলে স্বাধীনতার লড়াইকে বেগবান করা। স্তালিনের নেতৃত্বে বলশেভিক পার্টির জাতিগত সমস্যাবিষয়ক কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি। কিন্তু অচিরেই স্তালিন তাঁর ভেতরে অতিরিক্ত জাতীয়তাবাদ আবিষ্কার করেন। বিশ্বের প্রলেতারিয়েতের চেয়ে সুলতান নিজ অঞ্চলের কৃষক জনতার মুক্তির বিষয়ে বেশি আগ্রহী ছিলেন। যেখানে শিল্পায়ন হয়নি, সেখানে প্রলেতারিয়েতের নেতৃত্বে শ্রেণিসংগ্রামের তত্ত্বকে তাঁর বাস্তববাদী মনে তো হয়ইনি, বরং মনে হয়েছে নতুন করে রুশ আধিপত্য কায়েমের কৌশল। তিনি বাহিনী গঠন করে তাঁর কাজ চালিয়ে যেতে থাকলে পরাক্রমশালী সোভিয়েত শাসক স্তালিন তাঁকে গ্রেপ্তার করেন, আবার ছাড়েন। ছাড়া পেয়ে সুলতান কাজ চালিয়ে যেতে থাকলে তাঁকে শ্রমশিবিরে পাঠানো হয়। ১৯৩০ সালের পর তাঁর আর কোনো খবর পাওয়া যায় না। পরে সোভিয়েত নেতা কামেনেভ ও বুখারিন গালিয়েভের বিষয়ে অন্যায় করা হয়েছিল বলে স্বীকার করেন।

সুলতান গালিয়েভের জীবন ট্র্যাজিক পরিণতি পেলেও তাঁর এই জাতীয় মুক্তির লাইন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। গালিয়েভ যখন শ্রমশিবিরে, তখন মাও সে তুং চীনে জাতীয় মুক্তির রণনীতি নিয়ে সংগ্রাম চালাচ্ছেন। আরও পরে আমরা দেখি, তাঁর পথানুসারী আফ্রো-এশীয় ব্লকের উত্থান এবং জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন। নির্দিষ্ট সমাজবাস্তবতায় নির্দিষ্ট কৌশল নেওয়ার যে কথা বলেছিলেন গালিয়েভ, ইরাকের কমিউনিস্ট পার্টি সেই লাইনই ধরে রেখেছে এবং সফলতা পাচ্ছে। ধর্ম বিষয়ে পশ্চিমা কমিউনিস্টরা যে ভুল করে থাকে, সেই দায় দুনিয়ার সব কমিউনিস্টের ওপর বর্তায় না। ভারতবর্ষের কমিউনিস্ট আন্দোলনের সূচনাও কিন্তু মুসলিম আলেম ও বুদ্ধিজীবীদের দ্বারাই হয়েছিল। উসমানি ভাইয়েরা, মোহাম্মদ আলী, আলী আকবর থেকে কমরেড মোজাফ্ফর আহমদ পর্যন্ত সেই ধারা বহমান ছিল। তাঁদের নেতা ছিলেন এম এন রায়। সম্প্রদায় চিন্তা না করেই তাঁরা মানুষের মুক্তির আওয়াজই তুলেছিলেন।

ইরাকে শিয়া নেতা সদর এবং কমিউনিস্ট পার্টির এই জোটবদ্ধতা সেই হারানো ধারাকেই মনে করাচ্ছে। ধর্মীয়, সাম্প্রদায়িক ও মতবাদের বিরোধে কিন্তু ক্ষতি হয় বিশ্বাসীর, সম্প্রদায়ের দরিদ্র ও প্রান্তিক নর-নারীর। মতবাদের চেয়ে সাধারণ মানুষের স্বার্থ ও জীবন বড়, ইরাকে সদরপন্থীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা সেই শিক্ষাটা ফিরিয়ে আনল।

ফারুক ওয়াসিফ: লেখক ও সাংবাদিক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ নিলেন ডি ভিলিয়ার্স

স্পোর্টস ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেরই প্রশ্ন, এটাই কি আইপিএল-ইতিহাসে সেরা ক্যাচ? তা না হলেও অন্তত অন্যতম সেরা তো বটেই?

এবি ডি ভিলিয়ার্সের অতিমানবীয় এক ক্যাচের জন্যই প্রশ্নটা উঠেছে। কাল আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে ত্রাস ছড়িয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর এই তারকা। পরে ফিল্ডিংয়ে নেমে ধরেছেন অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ। ম্যাচ শেষে বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক বিরাট কোহলি পর্যন্ত বলতে বাধ্য হয়েছেন, ‘এমন ক্যাচ সাধারণ কোনো মানুষের পক্ষে ধরা সম্ভব নয়।’

৬ উইকেটে বেঙ্গালুরুর করা ২১৮ রান তাড়া করতে নেমে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিলেন সানরাইজার্সের ইংলিশ ওপেনার অ্যালেক্স হেলস। অষ্টম ওভারে মঈন আলীর শেষ বলটি ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা মারার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। টাইমিং ভালো হওয়ায় হেলস ভেবেছিলেন বলটা বাউন্ডারি সীমানা পেরিয়ে গেছে। কিন্তু হেলস ঘুণাক্ষরেও জানতেন না তাঁর জন্য চমক অপেক্ষা করছে।

শুধু হেলস নয়, ডি ভিলিয়ার্স আসলে সবাইকেই চমকে দিয়েছেন। বলটা বাউন্ডারি সীমানা পেরিয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরেই লাফ দিয়েছিলেন এই প্রোটিয়া। কিন্তু বলের নিচে না থাকায় ক্যাচটা সঠিক ‘জাজমেন্ট’ করে লুফে নেওয়ার অসুবিধা ছিল। ডি ভিলিয়ার্স করলেন কি, শূন্যে থাকা অবস্থায়ই ডান হাতটা বাড়িয়ে বলটা বাজপাখির মতো ছোঁ মেরে লুফে নিলেন!

কিন্তু তখনো সব গড়বড় হয়ে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। কারণ, ডি ভিলিয়ার্স শূন্যে লাফিয়ে ক্যাচটা নিলেও বাউন্ডারি সীমানার একেবারে পাশেই ছিলেন। অর্থাৎ, শূন্য থেকে মাটিতে নামার সময় বাউন্ডারি সীমানার সঙ্গে পা লেগে যাওয়ার ঝুঁকি ছিল। কিন্তু সেরা ফিল্ডারেরা যে এই ছোটখাটো কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারগুলোও ভীষণ দক্ষতার সঙ্গে সামলে থাকেন সেটা বোঝা যায় ক্যাচটা ধরে তাঁর মাটিতে নামার মুহূর্তটি দেখলে। এতটাই সাবলীল যে তখন অনেকে মনে করতেই পারেন, এত কঠিন ক্যাচ ধরাও কত সহজ!

সেটা সম্ভব হয়েছে ডি ভিলিয়ার্সের জন্যই। এমন ক্যাচ দেখে তাঁর সতীর্থরাও নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি। একেকজন যেন ১০০ মিটার স্প্রিন্টের গতিতে ছুটলেন ডি ভিলিয়ার্সের দিকে। ম্যাচ শেষে কোহলি বলেছেন, ‘এবি স্পাইডারম্যানের মতো ক্যাচ নিয়েছে। সাধারণ কোনো মানুষের পক্ষে এটা সম্ভব না।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনার ঝড় তুলেছে এই ক্যাচ। ‘বিবিসিস্টাম্পড’-এর উপস্থাপিকা অ্যালিসন মিচেলের টুইট, ‘ক্যাচের মতোই কোহলির মুখটা ছিল দেখার মতো। যেন সে অভাবনীয় কিছুই দেখছে।’ ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ‘সান’-এর কলামিস্ট জেমস ফরসাইথের টুইট, ‘এবির ক্যাচটা অসম্ভবকেও ছাপিয়ে গেছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চমকে দিয়েই ফ্রান্সের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা

স্পোর্টস ডেস্ক: দুদিন আগেই ইউরোপা লিগের ফাইনালে চোটের কবলে পড়ে মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিলেন ফরাসি মিডফিল্ডার দিমিত্রি পায়েট। তিনি যে থাকছেন না ফ্রান্সের বিশ্বকাপ মূল স্কোয়াডে, তেমনটা ছিল নিশ্চিত। এবার যখন ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করলেন ফরাসি কোচ দিদিয়ে দেশম, তখন দল দেখে চমকে যেতে হলো অনেককেই।

ইনজুরি কেড়ে নিয়েছে পায়েটের বিশ্বকাপ। তবে দলে জায়গা হয়নি দুই ফরোয়ার্ড আলেকজান্দ্রে লাকাজেত ও অ্যান্থনি মার্শিয়ালের। করিম বেনজেমা থাকছেন না, অনুমিত ছিল তেমনটাই। রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড শেষমেশ টিকলেন না ২৩ সদস্যের দলে।
আতলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে সদ্যই ইউরোপা লিগ জেতা অতোয়ান গ্রিজম্যান রয়েছেন দলের আক্রমণভাগে। প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি) ফরোয়ার্ড কিলিয়াম এমবাপের সঙ্গে রয়েছেন বার্সেলোনা তারকা উসমানে দেম্বেলে। দলে আছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মিডফিল্ডার পল পগবাও।
রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সের জায়গা হয়েছে ‘সি’ গ্রুপে। ১৯৯৮ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের গ্রুপ পর্বে লড়তে হবে পেরু, অস্ট্রেলিয়া ও ডেনমার্কের সঙ্গে। ১৬ জুন অসিদের বিপক্ষে ফ্রান্স মাঠে নামবে ২০১৮ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে।

রাশিয়া বিশ্বকাপের ২৩ সদস্যের ফ্রান্স দল : 
গোলরক্ষক : হুগো ইয়োরিস, স্টিভ মানদান্দা, আলফনস আরিলা।

ডিফেন্ডার : জিবরিল সিদিবে, বেঞ্জামিন পাভার্দ, রাফায়েল ভারানে, স্যামুয়েল উমতিতি, প্রেসনেল কিমপেম্বে, আদিল রামি, বেঞ্জামিন মেন্ডি, লুকাস হার্নান্দেজ।

মিডফিল্ডার : পল পগবা, কোরেনতিন তোলিসো, ব্লেইস মাতুদি, এনগোলা কানতে, স্টিভেন জঞ্জি।

ফরোয়ার্ড : অতোয়ান গ্রিজম্যান, অলিভিয়ের জিরুদ, কিলিয়ান এমবাপে, উসমানে দেম্বেলে, ফ্লোরিয়ান থাউভিন, নাবিল ফেকির, থমাস লেমার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্লেষণ; যে ৬ কারণে বিশ্বকাপ জিততে পারে ব্রাজিল

স্পোর্টস ডেস্ক: বেজে উঠেছে বিশ্বকাপের ঘণ্টা। আর মাত্র ২৭ দিন পর রাশিয়ায় বসবে বিশ্ব ফুটবলের ২১তম আসর। বরাবরের মতো এবারও ফেভারিটের তকমা গায়ে সেঁটে সেখানে যাচ্ছে ব্রাজিল। হেক্সা (ষষ্ঠ শিরোপা) মিশনে ইতিমধ্যে দল ঘোষণা করেছেন কোচ তিতে। এবার দলটির সেই সাধ পূরণ হবে বলেও প্রত্যাশার পারদ তুঙ্গে।

কেন সেলেকাওরা রাশিয়া বিশ্বকাপে হট ফেভারিট? কোন অদৃশ্য কারণে তাদের এগিয়ে রাখা হচ্ছে? কেনইবা পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সোনালি ট্রফি জয়ের প্রবল সম্ভাবনা আছে, তা বিশ্লেষণের প্রয়াস চালানো হল-

সেরা মানের গোলরক্ষক : ব্রাজিলের এই দলে রয়েছে বিশ্বমানের গোলরক্ষক। প্রথম পছন্দ ২৫ বছর বয়সী অ্যালিসন বেকার ইতিমধ্যেই নিজের জাত চিনিয়েছেন। রোমার হয়ে দুর্দান্ত খেলছেন। তার অসাধারণ নৈপুণ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল খেলেছে দলটি। সিরিআতে রেখেছেন সেরার লড়াইয়ে। তার বিকল্প হিসেবে জায়গা পাওয়া এডারসন ও ক্যাসিওতেও আছে আস্থা।

মজবুত রক্ষণভাগ: সমসাময়িক ফুটবল বিশ্বে অন্যতম সেরা রক্ষণসেনা থিয়াগো সিলভা। তার টেকনিক, বল কাড়া ও ট্যাকল দক্ষতা নিয়ে দ্বিতীয়বার প্রশ্ন তোলার কোনো উপায় নেই। সেই সঙ্গে আছেন সময়ের সেরা মার্সেলো,দানিলো, মারকুইনহোস, মিরান্দারা। স্বাভাবিকভাবেই এ মুহূর্তে বিশ্বের সেরা রক্ষণভাগ ব্রাজিলের।

অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ মিডফিল্ড: গোলরক্ষককে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য সিলভা-মার্সেলোদের ঠিক সামনেই আছেন ফিলিপে কুতিনহো, উইলিয়ান, পাওলিনহো, কাসেমিরোরা। তারা যেমন বল নিয়ে খেলতে পারেন, তেমন খেলাতে পারেন। গোল করতেও সামন পারদর্শী। অভিজ্ঞতাসমন্ন এসব মিডফিল্ডরাই হেক্সা জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ব্রাজিলিয়ানদের।

নেইমারের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল নয়: চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা একক খেলোয়াড়ের ( লিওনেল মেসি) ওপর নির্ভরশীল হলেও ব্রাজিল নয়। অবশ্যই দলটির সেরা তারকা নেইমার এবং তার ওপর বেশি আস্থা রাখছে তারা। তবে তার পাশে গ্যাব্রিয়েল জেসুস, ডগলাস কস্তারা কম যান না। নিজেদের দিনে আলো কেড়ে নিতে পারেন তারাও। বিকল্প হিসেবে হাতে আছে রবার্তো ফিরমিনোও টাইসনের মতো গোলমেশিন।

বিতর্কের ঊর্ধ্বে কোচ: চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বিচারে ব্রাজিলের আগের দুই কোচের চেয়ে অনন্যতিতে। খেলোয়াড়দের সেরাটা বের করে আনতে তার জুড়িমেলা ভার। সবার সঙ্গেইরয়েছে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক। তার অধীনে সেরাটা নিংড়ে দিতে মরিয়া সবাই। বেশ দক্ষতার সঙ্গেই সামলান মিডিয়া। দুঙ্গার উত্তরসূরি হিসেবে দলের দায়িত্ব কাঁধে নেয়ার পর এখন পর্যন্ত তাকে কোনো বিতর্ক ছুঁতে পারেনি। খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফের সবাই ভালোবাসেন, সম্মান করেন তিতেকে।

সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স : ব্রাজিলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সই ভক্ত-সমর্থক, বোদ্ধা-বিশ্লেষকদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। লাতিন আমেরিকা থেকে সবার আগে বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছেন নেইমাররা। এই তাদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। বাছাইপর্ব পরবর্তী বিশ্বকাপ প্রস্তুতি মিশনেও সমান উজ্জ্বল তারা।

ব্রাজিল চূড়ান্ত দল

গোলরক্ষক : অ্যালিসন, এডারসন ও ক্যাসিও।

ডিফেন্ডার : মার্সেলো, দানিলো, ফিলিপে লুইস, ফ্যাগনার, মারকুইনহোস, থিয়াগো সিলভা, মিরান্দা ও পেদ্রো গেরোমেল।

মিডফিল্ডার : ফিলিপে কুতিনহো, উইলিয়ান, ফার্নান্দিনহো, পাওলিনহো, কাসেমিরো, রেনাতো আগাস্তো ও ফ্রেড।

ফরোয়ার্ড : নেইমার, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, রবার্তো ফিরমিনো, ডগলাস কস্তা ও টাইসন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্বকাপ ফুটরলের সেরা যত রেকর্ড

স্পোর্টস ডেস্ক: কদিন পর রাশিয়ায় বসছে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ-২০১৮। এটি ফুটবলের সর্বোচ্চ টুর্নামেন্টের ২১তম আসর। বৈশ্বিক মঞ্চ মানেই পুরনো রেকর্ড ভাঙা, নতুনভাবে গড়া। তাই নতুনের আগে পুরনো রেকর্ডগুলোর ওপর একবার চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক-

সর্বোচ্চ বিশ্বকাপজয়ী দল

স্বপ্নের সোনার ট্রফিটা পাঁচবার শোকেসে ভরেছে ব্রাজিল (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪ ও ২০০২ সালে)।চারবার করে বগলদাবা করেছে ইতালি (১৯৩৪, ১৯৩৮, ১৯৮২, ২০০৬) ও জার্মানি (১৯৫৪, ১৯৭৮, ১৯৯০ ও ২০১৪)।

বিশ্বকাপজয়ী দেশ

এখন পর্যন্ত উরুগুয়ে ২ বার, ইতালি ৪ বার, ব্রাজিল ৫ বার, জার্মানি ৪ বার, ইংল্যান্ড ১ বার, আর্জেন্টিনা ২ বার, ফ্রান্স ১ বার ও স্পেন ১ বার বিশ্বকাপ জিতেছে।

সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলার

ফুটবল ইতিহাসে ৫টি বিশ্বকাপ খেলার কীর্তি আছেই মাত্র দুজনের- মেক্সিকোর আন্তোনিও কারবাহালের এবং জার্মানির লোথার ম্যাথিউসের। এবার মাঠে নামলে সেই বিরল তালিকায় নাম লেখাবেন ৩৯ বছর বয়সী মেক্সিকান মিডফিল্ডার রাফায়েল মার্কেজ।

দ্রুততম গোল

দ্রুততম গোল তুরস্কের হাকান সুকুরের। ২০০২ বিশ্বকাপে এ কীর্তি গড়েন তিনি। খেলার মাত্র ১০.৮ সেকেন্ডের মাথায় গোল করে এ ইতিহাস রচনা করেন। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে এ রেকর্ডের দেখা পান সুকুর। ওই ম্যাচে তুরস্ক জেতে ৩-১ গোলে৷ রাজনৈতিক কারণে তুরস্ক সরকারের রোষানলে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন এ রেকর্ডধারী।

বিশ্বকাপে সর্বাধিক গোল

একটি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল করেছেন ফ্রান্সের জাঁ ফন্টেইন। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে, সর্বসাকল্যে ১৩ বার নিশানাভেদ করেন তিনি।

একাধিক বিশ্বকাপ মিলিয়ে সর্বোচ্চ গোল জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসার। ২৪টি বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলেছেন এ সেন্টার ফরোয়ার্ড। ১৬টি গোল করে তিনিই তালিকার শীর্ষে। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের অন্যতম কিংবদন্তি রোনাল্ডো বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলেছেন ১৯টি। ১৫টি গোল রয়েছে তার অর্জনের খাতায়।

বিশ্বকাপে সবচেয়ে তরুণ খেলোয়াড়

বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে কণিষ্ঠ খেলোয়াড় উত্তর আয়ারল্যান্ডের নর্মান হোয়াইটসাইড। ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে খেলেন তিনি। তার বয়স ছিল তখন ১৭ বছর ১ মাস ১০ দিন৷

বিশ্বকাপে প্রবীণতম খেলোয়াড়

বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে প্রবীণ খেলোয়াড় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রজার মিলা। ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে খেলেন তিনি। তখন তার বয়স ছিল ৪২ বছর ১ মাস ৮ দিন।

সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ খেলা দল

স্বভাবতই ব্রাজিল (২০ বার)! সেলেকাওরাই একমাত্র দল যারা ১৯৩০ থেকে অদ্যাবধি কোনো বিশ্বকাপেই অনুপস্থিত থাকেনি। ১৯৪২ ও ১৯৪৬ সালে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়নি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে।

সর্বোচ্চ ফাইনাল খেলা দল

বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ ফাইনাল খেলা দল যৌথভাবে ব্রাজিল ও জার্মানি। দুদলই শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ৭ বার করে লড়েছে।

সবচেয়ে বেশি টানা শিরোপা

টানা দুবার শিরোপা জয়ের কীর্তি আছে ইতালি ও ব্রাজিলের। ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ সালে ফুটবলের বৈশ্বিক আসরের শিরোপা ঘরে তোলে আজ্জুরিরা। আর ১৯৫৮ ও ১৯৬২ বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি ছিনিয়ে নেয় সাম্বার দেশ।

এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোল

এ কীর্তি আছে ওলেগ সালেঙ্কোর। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে রাশিয়া-ক্যামেরুন ম্যাচে তিনি একই ঠিকানায় বল পাঠান ৫ বার।

সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা

বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে কণিষ্ঠ গোলদাতা ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলে। ১৭ বছর ২৩৯ দিনে বিশ্বকাপে গোলের খাতা খোলেন ফুটবলের রাজা।

সবচেয়ে বেশি গোলের ম্যাচ

অস্ট্রিয়া বনাম সুইজারল্যান্ড (৭-৫)। ১৯৫৪ বিশ্বকাপে এ গোলবন্যা দেখেন ফুটবলপ্রেমীরা।

সর্বোচ্চ সময় গোল না খাওয়া গোলরক্ষক

বরাবরই বিখ্যাত সব গোলরক্ষকের চারণভূমি ইতালি। ওয়াল্টার জেঙ্গা তার মধ্যে অন্যতম। ১৯৯০ বিশ্বকাপে ৫১৭ মিনিট ধরে কোনো গোল হজম করেননি তিনি।

সর্বোচ্চ বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড়

এ রেকর্ডটির মালিক একমাত্র পেলে। সর্বোচ্চ ৩ বার শিরোপা ছুঁয়ে দেখার রেকর্ড আছে তার। ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ সালে এ নজির স্থাপন করেন তিনি।

সবচেয়ে বেশি বয়সী কোচ

এ কৃতিত্ব দেখিয়েছেন অটো রেহেগাল। ২০১০ বিশ্বকাপে গ্রিসের ডাগআউটে বসে তা দেখান তিনি। ওই সময় তার বয়স ছিল ৭১ বছর ৩১৭ দিন।

খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে টুর্নামেন্ট জয়

এ নজির আছে মাত্র দুজনের- মারিও জাগালো ও ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের।

পরিশেষে জেনে আশ্চর্য হবেন, বিদেশি কোচ নিয়ে বিশ্বকাপ জিততে পারেনি কোনো দল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সিআইএর প্রথম নারী পরিচালক হলেন ‘কুখ্যাত বন্দি নির্যাতনকারী’ গিনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-সিআইএর পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন কুখ্যাত গিনা হ্যাসপাল। বন্দিদের নিষ্ঠুর নির্যাতনের কারণে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন।

গিনা হচ্ছেন সিআইএর এমন কর্মকর্তা, যিনি ২০০১ সালের ঐতিহাসিক নাইন ইলেভেনের পর মুসলমানদের গোপন কারাগারে নিয়ে নিষ্ঠুরতম নির্যাতনের বিভিন্ন কলাকৌশল উদ্ভাবন করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এমন এক গোপন কারাগার ছিল থাইল্যান্ডে। যেখানকার নিষ্ঠুরতার কালো অধ্যায়টি সরাসরি দেখভাল করতেন এই গিনা। ওই কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদের নামে কঠোর নির্যাতন করা হতো।

বৃহস্পতিবার মার্কিন সিনেটের ভোটে সিআইএ প্রধান হিসেবে তার নিয়োগ অনুমোদন করা হয়। সিনেটের ১০০ সদস্যের মধ্যে ৫৪ জন গিনার পক্ষে এবং ৪৫ জন বিপক্ষে ভোট দেন। এরমধ্যে ডেমোক্রেট দলের ছয়জন সিনেটর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত এ বিতর্কিত নিয়োগের পক্ষে ভোট দেন।

যদিও সিআইএর প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে গিনা হ্যাসপালের নিয়োগকে অনেকে ট্রাম্পের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু ম্যাককেইন মনে করেন, গিনাকে সিআইএর পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত করা ভুল সিদ্ধান্ত।

২০০২ সালে থাইল্যান্ডের কুখ্যাত কারাগারটি পরিচালনা করেন গিনা। ওই সময় বিভিন্ন মানুষকে সন্দেহভাজনদের ভয়ঙ্কর নির্যাতন করা হয়েছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest