সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

ইফতারিতে রাখুন ‘মহৌষধ’ পুদিনা পাতা

স্বাস্থ্য ডেস্ক: শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। সারাদিন রোজা রেখে ইফতারিতে পুষ্টিকর খাবার খুবই জরুরি। তাই ইফতারির মেন্যুতে রাখতে পারেন ‘মহৌষধ’ হিসেবে খ্যাত পুদিনা পাতা।

পৃথিবীতে এমন অনেক ধরনের উদ্ভিদ আছে যেগুলোতে প্রচুর ঔষধি গুণ রয়েছে। পুদিনা পাতা তার মধ্যে অন্যতম। সাধারণ আগাছা ধরনের এই গাছটির কাণ্ড ও পাতা বেশ নরম। ছোট গুল্ম জাতীয় এই গাছের পাতা ডিম্বাকার, পাতার কিনারা খাঁজকাটা ও সুগন্ধীযুক্ত হয়। পুদিনা পাতার মূল, পাতা, কান্ডসহ সমগ্র গাছই ওষুধিগুনে পরিপূর্ণ। আসুন জেনে নেই এর বিভিন্ন ধরণের ওষুধি গুণাগুণ সম্পর্কে।

১. পেট ফাঁপায়:
সহজ কথায় পেটে বাতাস জমে যাওয়া। এ অবস্থা সৃষ্টি হলে নানা রোগ হতে পারে। বদ হজমের ফলে পেটে বাতাস জমে এবং পেট ফাঁপে। এ ক্ষেত্রে পুদিনার শরবত উপরিউক্ত পদ্ধতিতে সারাদিন ২-৩ বার করে কয়দিন খেলে পেটে বাতাস জমা বন্ধ হবে। খাদ্যে রুচিও ফিরে আসবে।

২. শিশুদের অতিসারে:
পাতলা দাস্ত, সেই সঙ্গে পেট মোচড় দিয়ে ব্যথা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে অল্প আম সংযুক্ত দাস্ত, সেসঙ্গে পেট ফাঁপা, হিক্কা বমি বমি ভাব, প্রস্রাবও সরলি হচ্ছে না, শিশু কিছুই খেতে চাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে পুদিনা পাতার রস ৮/১০ ফোঁটা অল্প একটু চিনি ও লবণ সহযোগে এক ঘণ্টা অন্তর কয়েকবার খাওয়াতে হবে। কখন কিভাবে কতবার খাওয়াতে হবে সেটা নির্ভর করবে রোগীর সুস্থতার ক্রমের দিকে লক্ষ্য রেখে। বয়স আনুপাতে মাত্রাটা ঠিক করে নিতে হবে।

৩. অরুচিতে:
রোগে ভোগার পর, পেটে বাতাস জমে ও কোষ্ঠ বদ্ধতায় অরুচি আসে। একই রকম খাদ্য দীর্ঘদিন খেলে অরুচি আসে। এসব ক্ষেত্রে পুদিনার শরবত (পুদিনার রস ২ চা চামচ, সামান্য লবণ, কাগজী লেবুর রস ৮/১০ ফোঁটা, হাল্কা গরম পানি পোয়া খানিক একত্রে মিশিয়ে) সকাল বিকাল দিনে দুই বার ৫/৭ দিন খেলে অরুচি চলে যায়। পুদিনা পাতা বেটে পানিতে গুলে শরবত করা যায়। সে ক্ষেত্রে কাঁচা পাতা ৮/১০ গ্রাম নিতে হবে।

৪. মূত্রাল্পতায়:
অনেক রোগে প্রস্রাব কম হয়। কিন্তু যে ক্ষেত্রে ঠাণ্ডা গরমের ফলে সাময়িকভাবে অল্প অল্প প্রস্রাব হতে থাকে কোনো কোনো সময় দাহ হতে থাকে, সে ক্ষেত্রে পুদিনা পাতা ৮/১০ গ্রাম বেটে তাতে সামান্য লবণ ও কাগজি লেবুর রস ঠাণ্ডা পানি মিশিয়ে শরবত করে দিনে ২/৩ বার খেতে হবে। অন্য কোনো রোগে মূত্রাল্পতা হলে সে ক্ষেত্রে এটা ব্যবহার করা যাবে কিনা সেটা নির্ভর করবে রোগের ধরনের ওপর এবং চিকিৎসকের বিচার ধারার ওপর।

৫. এন্টিক্যান্সার:
পুদিনায় আছে মনোটারপিন নামক উপাদান। যা স্তন, লিভার এবং প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। নিয়মিত খেলে ফুসফুস, কোলন এবং ত্বকের ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

৬. বমিতে:
পিত্তে শ্লেষ্মার জ্বর, অম্লপিত্ত, আমাশয়, অজীর্ণ, উদরশূল প্রভৃতিতে বমি হতে পারে। আবার রোদে ঘোরাফিরা করে ঠাণ্ডা পানি খেলে, খালি পেটে থেকে পরিশ্রম করলে বমি হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে পুদিনার শরবতের সঙ্গে এক চা চামচ তেঁতুল মাড় ও চিনি মিশিয়ে ২/৩ বার করে কয়দিন খেতে হবে।

৭. ঘাম নিয়ন্ত্রণে:
যাদের শরীরে বেশি ঘাম হয় তারা পুদিনা পাতা ও গোলাপের পাপড়ি একসঙ্গে মিশিয়ে পানিতে ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হলে সেই পানির সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে ছেঁকে নিয়ে বোতলে করে ফ্রিজে রেখে দিন। গোসলের পর সারা শরীরে লাগান।

৮. অ্যাজমা:
পুদিনায় রোজমেরিক এসিড নামের এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি প্রাকপ্রদাহী পদার্থ তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে অ্যাজমা হয় না। এছাড়াও এ ঔষধি প্রোস্টসাইক্লিন তৈরিতে বাধা দেয়। তাতে শাসনালী পরিষ্কার থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মৌলবাদকে পরাজিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে- প্রফেসর ড. সুশান্ত দাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলবাদকে পরাজিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। যে বাংলাদেশে সামাজিক ন্যায্যতা-সমতা প্রতিষ্ঠিত হবে। শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কর্মশালায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে একথা বলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য কমরেড প্রফেসর ড. সুশান্ত দাস।
পার্টির সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি ও পলিট ব্যুরোর সদস্য সাতক্ষীরা-০১ আসনের সংসদ সদস্য কমরেড অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্টির পলিট ব্যুরোর অন্যতম সদস্য কমরেড নূর আহম্মেদ বকুল।

সভায় বক্তারা বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ঘোষিত ২১ দফা আশু কর্মসূচির ভিত্তিতে সামাজিক ন্যায্যতা-সমতা প্রতিষ্ঠাসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক জনগণতান্ত্রিক আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতেÑ খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান, দারিদ্র বিমোচন ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করা, আধনিক যোগাযোগ ব্যস্থা ও ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জবাবদিহিতাপূর্ণ আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা, সুষম উন্নয়নে নগরায়ন ও গ্রাম উন্নয়ন, আদিবাসী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জাতিসত্ত্বার বিকাশ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসন, ক্ষমতার গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ, স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ, নারীর অধিকার, ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা, জনবান্ধন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাধাহীন তথ্য প্রবাহ নিশ্চিতসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে পার্টির কর্মীদের করণীয় সম্পর্কে গঠনমূলক বক্তব্য রাখেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মোহিবুল্লাহ মোড়ল, সম্পাদকম-লীর সদস্য যথাক্রমে অধ্যাপক সাবীর হোসেন, অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, ময়নুল হাসান, সদস্য যথাক্রমে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সরদার, স্বপন কুমার শীল, আব্দুল জলিল মোড়ল, অধ্যাপক পাল সুভাশীষ, নাসরিন খান লিপি, মফিজুল হক জাহাঙ্গীর, নির্মল মন্ডল, ইঞ্জিনিয়ার আবেদুর রহমান প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে বজ্রপাতে এক গৃহবধূ নিহত

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার আশাশুনিতে বজ্রপাতে এক গৃহবধু নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরো এক জন। শুক্রবার দুপুরের দিকে আশাশুনি উপজেলার ফকরাবাদ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম ষষ্ঠি কুন্ডু (৩৫)। তিনি আশাশুনি উপজেলার ফকরাবাদ গ্রামের শ্যামল কুন্ডুর স্ত্রী। তবে, এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে গৃহবধূ ষষ্ঠি কুন্ড তার বাড়ির পাশে একটি আম বাগানে আম কুড়াচ্ছিলেন। এ সময় বিকট শব্দে বজ্রপাত ঘটলে তিনি ঘটনা স্থলেই মারা যান। এ সময় আহত হন আরো একজন। এদিকে, তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘অভ্যুত্থান চেষ্টাকালে’ সৌদি ক্রাউন প্রিন্স সালমান নিহত!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদির প্রভাবশালী যুবরাজ ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের বেশ কিছুদিন ধরে জনসম্মুখে অনুপস্থিত ইরানের বেশ কিছু গণমাধ্যমকে বিস্মিত করেছে। তাদের ধারণা, গত মাসে এক অভ্যুত্থান চেষ্টার সময় তিনি নিহত হন। খবর স্পুটনিক নিউজের।

ইরানের গণমাধ্যমগুলোর দাবি, গত ২১ এপ্রিল রিয়াদের রাজপ্রাসাদে এক হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় গোলাগুলিতে সৌদি যুবরাজ সালমান নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে আরব রাষ্ট্রের একজন ঊর্ধ্বতন কর্তকর্তার কাছে আসা গোপন প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ইরানের কাইহান পত্রিকা দাবি করছে, সৌদির রাজপ্রাসাদে হামলার সময় যুবরাজ সালমানের শরীরে দু’টি বুলেট আঘাত হানে। তিনি হয়তো মারা গেছেন। কারণ ওই ঘটনার পর যুবরাজকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।

এদিকে, প্রেস টিভি বেশ কিছু বিষয়ের উপর নজর দিয়ে জানিয়েছে, ওই ঘটনার পর থেকে সৌদি কর্তৃপক্ষ যুবরাজ সালমানের কোনো ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করেনি। এপ্রিলের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সৌদি সফরে গেলে তখনও যুবরাজ সালমানকে কোনো ছবিতে দেখা যায়নি।

প্রেস টিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে যুবরাজ সালমানকে প্রায়ই দেখা যায়। কিন্তু রিয়াদে ওই গোলাগুলির পর গত ২৭ দিন ধরে তাকে আর গণমাধ্যম দেখা যাচ্ছে না। ফলে দীর্ঘ সময় যুবরাজ সালমানের এমন অনুপস্থিতি তার বেঁচে থাকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ২০৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় ডিবি পুলিশের পৃথক অভিযানে ২’শ চার বোতল ফেন্সিডিলসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে শহরের পলাশপোল ও সদর উপজেলার আলীপুর এলাকা তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হল, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের রবিউল গাজীর ছেলে শরিফুল গাজী (২২), একই উপজেরার দহাকুলা গ্রামের শফিকুর ইসলামের ছেলে জাকির হোসেন (২৩) ও ভাদড়া গ্রামের শামসুর রহমানের ছেলে শাহিন খান (৩০)।
সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ হাশেমী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল ও সদর উপজেলার আলীপুর এলাকায় ডিবি পুলিশের দুটি পৃথক টিম অভিযান চালিয়ে উক্ত তিন মাদক ব্যবসায়ীকে ২’শ চার বোতর ফেন্সিডিলসহ হাতে নাতে আটক করে। তিনি আরো জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরার কামালনগর এলাকা থেকে দুই শিবির কর্মী আটক

আসাদুজ্জামান ঃ নাশকতার মামলায় সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর এলাকা থেকে দুই শিবির কর্মীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার সকালে শহরের কামালনগর এলাকা তাদের আটক করা হয়।
আটকশিবির কর্মীরা হল, দেবহাটা উপজেলার মাটিকোমড়া গ্রামের নজির আলী মোড়রের ছেলে লাভলু আক্তার (৩৫) ও আশাশুনি উপজেলার কুড়িকাউনিয়া গ্রামের অমেদ আলীর ছেলে ইউসুফ জামিল (২৫)।
সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জুলফিকার আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর এলাকা থেকে উক্ত দুই শিবির কর্মীকে আটক করা হয়। তিনি আরো জানান, আটক ওই দুই শিবির কর্মীর বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতার মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নিজেই ট্রাক চালিয়ে ক্রিমিয়া ব্রিজ উদ্বোধন করলেন পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এবার ট্রাক চালালেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। নিজে ট্রাক চালিয়ে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সংযোগ সেতু উদ্বোধন করেছেন তিনি। বিতর্কিত এই সেতুর মধ্য দিয়ে রাশিয়ার দক্ষিণে ক্রাসনদার অঞ্চলের সঙ্গে ক্রিমিয়ার কেরচ নগরীর সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে। তৈরি হওয়া এই সেতুর মাধ্যমে ক্রিমিয়ার সমুদ্র পথে পরিবহনের ওপর নির্ভরতা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি বুধবার উদ্বোধন করেন পুতিন। পর্তুগালের ‘ভাস্কো দ্য গামা’ ব্রিজকে পিছনে ফেলে এটিই এখন ইউরোপের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু। সেতুটিতে রেলপথও রয়েছে। সেতুটি নির্মাণে ৩ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে।

ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, মেয়াদের ৬ মাস আগেই ব্রিজটি উদ্বোধন করা হল। ২০১৮ সালের শেষ নাগাদ সেতুর ওপর দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তার কাজ পুরোপুরি হবে। আর সেতুটির রেলপথের কাজ ২০১৯ সালে শেষ হবে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।

প্রতিবেশী ইউক্রেইন শুরু থেকেই সেতু নির্মাণের সমালোচনা করে আসছে। তাদের দাবি, সেতুর নির্মাণ কাজের কারণে সমুদ্রের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট হয়েছে। এছাড়া সেতুটির কারণে বড় আকৃতির জাহাজ ‘আজভ সি’ হয়ে তাদের বন্দরগুলোতে যেতে পারবে না।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ইউক্রেইনে গৃহযুদ্ধের সময় রাশিয়া ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয়। বর্তমানে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং সশস্ত্রদল ওই অঞ্চল শাসন করছে। রাশিয়ার সঙ্গে পুনরায় সংযুক্ত হওয়া নিয়ে এক গণভোটে ক্রিমিয়ার বেশিরভাগ মানুষ সংযুক্তির পক্ষে মত দেয়। যদিও ইউক্রেইনের সাংবিধানিক আদালত ওই গণভোট অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে। ইউক্রেইন ও পশ্চিমা দেশগুলো অবৈধভাবে ক্রিমিয়ার দখল নেওয়ার নিন্দা জানিয়ে আসছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আমেরিকা সেতুটি নির্মাণ কাজে জড়িত কোম্পানি ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে মাদক নির্মূলে সাঁড়াশি অভিযান

ন্যাশনাল ডেস্ক: মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হুশিয়ারি ও অভিযান পরিচালনার নির্দেশনার পর সারাদেশে কঠোর অবস্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। দেশজুড়ে চলছে সাড়াশি অভিযান। গত ৪ মে থেকে মাদক নির্মুলে র্যাবের অভিযান শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৭শ’ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। মাদকসহ ৪৯৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের সঙ্গে গুলি বিনিময়কালে ৩ জন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

সর্বশেষ গতকাল রাজশাহীর অন্যতম শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আবুল হাসান ওরফে হাসান ঘাটিয়াল র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে। এসময় অস্ত্র, গুলি, ম্যাগাজিন ও বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করেছে র্যাব। বুধবার দিবাগত রাতে মহানগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
র্যাব-৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর এসএম আশরাফুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে মাদকের চালান আসছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে র্যাবের একটি অপারেশন দল নগরীর পশ্চিম নবগঙ্গা এলাকার পদ্মার ৫ নম্বর বাঁধ অভিযান চালায়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা বস্তায় করে ভারত থেকে মাদক নিয়ে আসছিল। মাদক ব্যবসায়ীরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায়। এ সময় র্যাবও পাল্টা গুলি করে। ৮/১০ মিনিট গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলেও একজনকে ঘটনাস্থলে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিত্সক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর আগে গত মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ থেকে মো. রাজমহল রিকন ও কুষ্টিয়ায় হামিদুল ইসলাম নামক দুই ইয়াবা ব্যবসায়ী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এই দুই ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি, ইয়াবাসহ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এদিকে গতকাল ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জি ব্লকের তিন নম্বর রোডে র্যাব-১ অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম ও আব্দুল খালেক ওরফে পলাশকে ৫০ হাজার ১২০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে শহীদুল ইসলাম র্যাবকে জানায়, তিনি একজন কাপড় ব্যবসায়ী। ইসলামপুরে তার পাইকারী কাপড়ের দোকান রয়েছে। এছাড়া নিউমার্কেট গাউছিয়াও তার একটি দোকান আছে। তার এই ব্যবসার অন্তরালে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবার ব্যবসা করে আসছিলেন। কাপড়ের ব্যবসার চেয়ে ইয়াবার ব্যবসায় তার লাভ ছিল বেশি। এর আগের রাত্রে র্যাব-২ তেজগাঁও’র নাবিস্কোর মোড়ে অভিযান চালিয়ে টেকনাফের মাদক ব্যবসায়ী মামুনকে ৪৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে। মামুন র্যাবকে জানায়, সে প্রায় মাসেই টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে ঢাকায় আসতো।
গত ৩ মে রাজধানীতে র্যাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করে অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে কোন আপোষ নয়। যেই জড়িত থাকুক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এরপর থেকে ইয়াবাসহ মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যায় র্যাব। শুরু করে সারাদেশে সাড়াশি অভিযান। র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী মাদকের বিরুদ্ধে সারাদেশে সাড়াড়ি অভিযান চলছে। মাদক নির্মুল না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে গত বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদা, রাজশাহীতে ৩৫তম বিসিএস (পুলিশ) শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের (এএসপি) এক বছর মেয়াদী শিক্ষা সমপানী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাদকের করাল গ্রাসে আমাদের তরুণ সমাজ আজ বিপদাপন্ন। এই ভয়াল থাবা থেকে আমাদের সমাজকে বাঁচাতে হবে। মাদক সেবনকারী, ব্যবসায়ী, উত্পাদক, সরবরাহকারী সবার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে কার্যকারী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী পুলিশ বাহিনীর প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন।

এ প্রসঙ্গে পুলিশের আইজি ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী জানান, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান আগেও ছিল। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পাওয়ার পুলিশ এখন কঠোর অবস্থানে থেকে সারাদেশে সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। মাদক নির্মুল না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

জানা গেছে, মাদক সেবনকারীদের মধ্যে তরুণ ও শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি। তেজগাঁওয়ের মাদকসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সকল পেশার মানুষ ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকে আসক্ত। এরমধ্যে ১০ বছর থেকে তার ঊর্ধ্বের শিক্ষার্থীরা বেশি আসক্ত। বর্তমানে মাদকাক্তদের মধ্যে ইয়াবায় আসক্ত ৭০/৭৫ ভাগ। আর ইয়াবায় আসক্তদের মধ্যে ৬০/৬৫ ভাগ শিক্ষার্থী। আসক্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধাবিরা বেশি। তরুণ সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কঠোর সাড়াশি অভিযানের দাবি উঠেছিল সমাজের সর্ব মহল থেকে। কেউ কেউ দাবি করেন, মাদকের ভয়াবহ থাবা থেকে রক্ষা পেতে হলে ক্রসফায়ার জরুরি। কারণ মাদক ব্যবসায় জড়িতদের কেউ আটকে রাখতে পারে না। গ্রেফতারের পর কোন না কোনভাবে তারা বের হয়ে আসে। তাদের হাত অনেক বড়। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে। অবশেষে শুরু হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়াশি অভিযান। আর অভিভাবকসহ সব মহল এ সাড়াশি অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest