সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

রমজানে ডায়াবেটিস রোগীদের করণীয়!

শুরু হয়েছে সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান। শুধু আত্মশুদ্ধিই নয়, এ মাস আত্মনিয়ন্ত্রণেরও। রোজার অন্যতম লক্ষ্য মানুষের স্বাস্থ্যগত উন্নতি সাধন। অনেক রোগীই যে কোনো অবস্থায় রোজা রাখতে বদ্ধপরিকর। আবার অনেকেই নিজের মতো অজুহাত তৈরি করে রোজা না রাখার পক্ষে যুক্তি খোঁজেন। আসলে দীর্ঘস্থায়ী রোগেও রোজা রাখা সম্ভব। রোজা রাখলে অনেকে স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় করেন।

ডায়াবেটিস রোগীদের রোজা থাকা উচিত কি-না তা নিয়ে প্রায়ই আলোচনা হয়। রমজানের সময় রোজা পালন করা মানে সৃষ্টিকর্তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীরাও রোজা থাকতে পিছপা হন না। তবে ডায়াবেটিস থাকলে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।

যেহেতু রোজা রাখলে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকতে হয় এজন্য অনেক সময় ডায়াবেটিস রোগীর শরীরে শর্করার পরিমাণ কমে যেতে পারে। এ কারণে রোজা শুরুর আগেই ডায়াবেটিস রোগীর চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

যারা ডায়াবেটিসের জন্য ইনসুলিন ব্যবহার করেন রোজার সময় তা বন্ধ করা যাবে না। বরং সেহরি ও ইফতারের আগে ইনসুলিন নিতে হবে। তবে পরিমাণটা কেমন হবে তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরিমাপ করা উচিত। অনেকে মনে করেন, রোজা থেকে রক্তে শর্করা পরিমাপ করলে রোজা ভেঙে যায়। কিন্তু অনেক আলেমের মতে, এই ধারণা ঠিক নয়। রোজায় শরীরের পানি শূন্যতা দূর করার উপায় হলো, রাতে বেশি বেশি পানি পান করা।

ইফতারে বিকল্প চিনি দিয়ে ইসবগুলের ভুষি, তোকমা, লেবু, কাঁচা আম বা তেঁতুলের শরবত— এসব ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী। ডাব ছাড়া অন্যান্য মিষ্টি ফলের রস এ সময় না খাওয়াই ভালো। ইফতারির সময় কাঁচা ছোলার সঙ্গে আদাকুচি, টমেটো কুচি, পুদিনা পাতা খেতে পারেন।

ইফতারির পর অনেকে রাতে একেবারেই খান না- এটা ঠিক নয়। এই সময় হালকা মসলায় রান্না ছোট-বড় মাছ এবং সবজি নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে।

সেহরিতে রুটি অথবা ভাত খেতে পারেন। এগুলোতে থাকা কার্বোহাইড্রেট দীর্ঘক্ষণ শরীরে শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। সেহরিতে মাছ ও সবজি খেতে পারেন। এই সময় দুধ অথবা ডাল থাকলে ভালো হয়। ইফতারে একসঙ্গে বেশি না খেয়ে অনেক খাবার ধাপে ধাপে খান। এতে রক্তে হঠাৎই শর্করার মাত্রা বেড়ে যাবে না।

যদি রোজা রাখা অবস্থায় কোনো ডায়াবেটিস রোগীর প্রসাবে সমস্যা, তীব্র মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, গা কাঁপা, চোখে ঝাপসা দেখা, মাথা ঘোরানো, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া— এসব সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ এসময় রক্তের সুগার অতিরিক্ত কমে যাওয়া (হাইপোগ্লাইসিমিয়া), সুগার অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া (হাইপারগ্লাইসিমিয়া), পানি শূন্যতা এবং ডায়াবেটিক কিটো এসিডোসিস সমস্যাগুলো হতে পারে। সূত্র: ডায়াবেটিস ডট সিও, ইউএসনিউজ

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চট্টগ্রামে চাল ২৫ চিনি ৪০ টাকা!

চট্টগ্রামের শতবর্ষী বাণিজ্যিক সংগঠন দ্য চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) রমজানে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রি শুরু করেছে। প্রতি কেজি চাল ২৫ ও প্রতি কেজি চিনি বিক্রি করা হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। চেম্বার ২৬ রমজান পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ভর্তুকি মূল্যে চাল-চিনি বিক্রি করবে। গতকাল সকালে নগরের চেম্বার হাউসের সামনে ভর্তুকি মূল্যে ভোগ্যপণ্য বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেম্বারের সহসভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), মো. জহুরুল আলম, অঞ্জন শেখর দাশ, মো. আবদুল মান্নান সোহেল, তরফদার মো. রুহুল আমিন প্রমুখ। মাহবুবুল আলম বলেন, চেম্বার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর ফলে সক্ষম অনেক প্রতিষ্ঠান এ ধরনের কার্যক্রমে এগিয়ে আসার উৎসাহ পায়। প্রতি বছরের মতো এবারও ভর্তুকি মূল্যে ভোগ্যপণ্য বিক্রির কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ সহনীয় মূল্যে ভোগ্যপণ্য কিনতে পারবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবারও ইউরোপে যাচ্ছে সাতক্ষীরার আম, অনুকূল আবহাওয়ায় বাম্পার ফলন

আসাদুজ্জামান: চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সাতক্ষীরায় আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে আম পরিচর্যায় চাষীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। দেশের সীমানা পেরিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে সাতক্ষীরার আম বেশ সাড়া জাগিয়েছে। আর তাই গত ৪ বছর যাবত সাতক্ষীরার এই আম সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে যাচ্ছে ইউরোপে। এবারও ইউরোপে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে সাতক্ষীরার আম।
বিশেষ করে এখানকার মাটি ও আবহাওয়া আম চাষের অনুকূল হওয়ায় অন্যান্য অঞ্চলের উৎপাদিত আমের চেয়ে সাতক্ষীরার আম খেতে বেশি সুস্বাদু। আর তাই গত চার বছর ধরে সাতক্ষীরার আম বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরায় সাতটি উপজেলায় চলতি বছরে প্রায় চার হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১১৯৫ হেক্টর জমিতে, কলারোয়া উপজেলায় ৬০২ হেক্টর, তালা উপজেলায় ৭০৫ হেক্টর, দেবহাটা উপজেলায় ৩৬৮ হেক্টও, কালিগঞ্জ উপজেলায় ৮০৫ হেক্টর, আশাশুনি উপজেলায় ১২৫ হেক্টর ও শ্যামনগর উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে।
এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদরে আমের বাগন রয়েছে ১৫৩০টি, কলারোয়ায় ১৩১০টি, তালায় ১৪৫০টি, দেবহাটায় ৪৭৫টি, কালিগঞ্জে ১৪২টি, আশাশুনিতে ১৯০টি ও শ্যামনগর উপজেলায় ১৫০টি আমের বাগান রয়েছে।
এ জেলায় গোবিন্দভোগ, হিমসাগর, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস, ক্ষিরসরাইসহ নানা জাতের আম বাগান রয়েছে। আমের পরিচর্যার জন্য নানামুখী কর্মযজ্ঞে মেতে উঠেছে জেলার শত শত মৌসুমী শ্রমিক। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মৌসুমে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও সাতক্ষীরা জেলা থেকে প্রায় ১০০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রফতানি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত বছর যার পরিমাণ ছিল ৭০০ মেট্রিক টন।
কলারোয়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মনিরুল ইসলাম জানান, গত বছর কলারোয়া উপজেলা থেকে ৪০ মেট্রিকটন আম বিদেশে রপ্তানী হয়েছিল। যা অন্যান্য উপজেলার চেয়ে বেশী। এবার এ উপজেলা থেকে ৮০ মেট্রিকটন আম বিদেশে রপ্তানী করা হবে তিনি আরো জানান।
এ উপজেলায় আমের সবচেয়ে বড় পাইকারী বাজার বাউড়ি বেলতলা ও সিংগা বাজার।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, কলারোয়ার সিংগা আমবাজারে নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম বাজারজাত করণের লক্ষে আমের পাইকারী বাজার বসেছে। এই বাজারের আমে কোন কেমিক্যাল মেশানো হয় না বলে তারা জানিয়েছেন।
উপজেলার সিংড়া বাজার আম ব্যবমসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কেরালকাতা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ জানান, এখানকার পাইকারী বাজার থেকে আম কিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য ইতিমধ্যে ব্যবসায়ীরা এখানে অবস্থান করছেন। তিনি আরো জানান, চাপাইনবাবগঞ্জের কানসাট, রাজশাহী, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের আম ব্যবসায়ীরা বর্তমানে এখানে অবস্থান করছেন। এখানকার আম ইউরোপেও রপ্তানি হচ্ছে বলে তিনি জানান।
কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন জানান, কলারোয়া উপজেলায় এবার আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই আমে যাতে কোন কেমিক্যাল মেশানো হয় না হয় সেজন্য আম চাষীদের নিয়ে ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক দফায় হাতে কলমে প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, আম ব্যবসায়ী ও আম চাষিদের আরও বেশি প্রশিক্ষণ ও ব্যাংক ঋণের সুবিধা দিলে তারা আরও ভালোভাবে আম চাষ ও আমের ব্যবসার প্রসার বাড়িয়ে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচারক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান জানান, গত চার বছর ধরে এ জেলার আম ইউরোপে রফতানি হচ্ছে। চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরা জেলায় ৪ হাজার ১ ’শ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২’শ মেট্রিকটন আম এবারও ইউরোপের বাজারে রপ্তানী হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জামায়াত-শিবিরের ৪ নেতা কর্মীসহ আটক ৪৫

আসাদুজজ্জামান: সাতক্ষীরায় পুলিশের সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে জামায়াত-শিবিরের ৪ নেতা কর্মীসহ ৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল পযর্ন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু মাদক দ্রব্য। বিভিন্ন অভিযোগে তাদেও বিরুদ্ধে ৮টি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে, আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী একাধিক নাশকতা মামলার আসামী আব্দুল কাদেরসহ সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৬ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন, তালা থানা ৩ জন, কালিগঞ্জ থানা ৫ জন, শ্যামনগর থানা ১১ জন, আশাশুনি থানা ৭ জন, দেবহাটা থানা ৫ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মালয়েশিয়ায় রাজাকের বাড়ি থেকে ৭২ স্যুটকেস ভর্তি নগদ ক্যাশ জব্দ

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৭২ স্যুটকেস ভর্তি নগদ ক্যাশসহ মূল্যবান জিনিসপত্র জব্দ করেছে পুলিশ। জাতীয় নির্বাচনে পরাজয়ের এক সপ্তাহ পর তার দুর্নীতি এবং অর্থ-পাচার তদন্তের অংশ হিসাবে পুলিশ এ তল্লাশি চালিয়েছে বলে জানা গেছে।

দেশটির তদন্ত কর্মকর্তা অমর সিং বলেন, কুয়ালালামপুরের একটি বর্ধিত কনডমিনিয়াম নাজিব রাজাকের সাথে সংযুক্ত কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে এ মূল্যবান জিনিসগুলো জব্দ করা হয়।

তিনি অারও বলেন, দুর্নীতি এবং অর্থ-পাচার তদন্তের অংশ হিসাবে এ অভিযান চালানো হয়েছে। কেননা, রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে নাজিবের সহযোগীরা ৪.৫ বিলিয়ন ডলার চুরি করেছে বলে মার্কিন তদন্তকারীদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

পুলিশ নাজিবের অন্যান্য সম্পদেরও অনুসন্ধান করেছে জানিয়ে অমর সিং বলেন, কাউকে কোনো ধরনের হেনস্থা করার ইচ্ছা আমাদের নেই। আমরা শুধু আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি রয়েছে যে মশলাগুলোতে

স্বাস্থ্য ডেস্ক: একথা তো সবারই জানা আছে যে শরীর যত সুস্থ এবং সুন্দর থাকবে, তত মন এবং জীবন আনন্দে ভরে উঠবে। কিন্তু বাস্তবে এই আপ্তবাক্য়টি কজনই বা মেনে চলেন বলুন! আচ্ছা আপনি নেই তো অসুস্থদের দলে? উত্তরটা যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে কিন্তু বেজায় চিন্তার বিষয়!

এই লেখায় বেশ কিছু মশলার প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। গবেষণা বলছে নিয়মিত এগুলি খেলে নাকি প্রায় প্রতিটি মারণ রোগই দূরে পালাতে শুরু করে। ফলে আয়ু বৃদ্ধি পায় চোখে পড়ার মতো।

আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই সব মশলাগুলি সম্পর্কে যাদের হাতে রয়েছে সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি…

১. লবঙ্গ
এর অন্দরে থাকা একাধিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান একদিকে যেমন দাঁতের যন্ত্রণা সহ যে কোনও ধরনের ব্যথা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, তেমনি পেটের রোগের প্রকোপ কমাতে এবং শরীরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২.আদা
নানাবিধ রোগের চিকিৎসায় সেই আদি কাল থেকে কাজে লাগানো হচ্ছে এই মশলাটিকে। কেন হবে নাই বা বলুন, হলুদে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ওজন হ্রাসেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই যাদের পরিবারে ওজন বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিস রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা হলুদকে সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না।

৩. হলুদ
অ্যালঝাইমার এবং ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখতে হলুদের কোনও বিকল্প নেই। কারণ এই মশলায় উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট নানাভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, সেই সঙ্গে দেহের অন্দরে যাতে কোনও ভাবেই রোগ সৃষ্টিকারি উপাদানগুলি শক্তিশালী না হয়ে ওঠে সেদিকেও খেয়াল রাখে। এখানেই শেষ নয়, হলুদে উপস্থিত কার্কিউমিন নামে একটি উপাদান শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না। ফলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

৪.ধনে বীজ
প্রায় ৭ হাজার বছর ধরে ভারতীয় রান্নায় এই প্রাকৃতিক উপাদানটির ব্যবহার হয়ে আসছে। আর কেন হবে নাই বা বলুন! একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে ধনিয়া বীজের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই যাদের পরিবারে কোনও ধরনের হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা এই প্রাকৃতিক উপাদানটি খেতে ভুলবেন না যেন!

৫. দারুচিনি
এই মশলাটি তো সবারই বাড়িতেই থাকে। তবে কজনই বা জানেন যে প্রতিদিন দারুচিনি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার সুযোগই পায় না। ফলে ডায়াবেটিসের মতো রোগ দূরে থাকে।

৬. রসুন
খাবারকে সুস্বাদু বানানোর পাশপাশি একাধিক নন-কমিউনিকেবল ডিজিজকে দূরে রাখতে রসুনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, ওজন কমাতেও এই মশলাটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৭.গোলমরিচ
শরীরে জমে থাকা ক্যালোরি বার্ন করতে এই মশলাটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে প্রতিটি খাবারে এই মশলাটি মেশালে, খাবার প্রতি প্রায় ১০০ ক্যালোরি বার্ন হয়। এই পরিমাণ ক্যালোরি যদি প্রতিদিন বার্ন হতে থাকে, তাহলে ওজন কমতে যে একেবারেই সময় লাগবে না, তা বলাই বাহুল্য!

৮.জিরা
খাবারে মাত্র এক চামচ জিরা মিশিয়ে সেই খাবার খেলে চোখে পড়ার মতো ওজন কমে। কারণ এই মশলাটি শরীরে জমে থাকা মেদ ঝরিয়ে ফেলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে, ডায়াবেটিস রোগকে দূরে রাখতে এবং রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৯.এলাচ
এই মশলাটি হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটিয়ে ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ২০০৮ সালে জার্নাল অব এথনোফার্মাকোলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্র অনুসারে নিয়মিত এলাচ খেলে যে কোনও ধরনের পেটের রোগ সারতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ডায়ারিয়া এবং কনস্টিপেশনের মতো রোগের চিকিৎসাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে শ্রীলেখা মিত্র

বিনোদন ডেস্ক: হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন টলিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন শ্রীলেখা। বৃহস্পতিবার হঠাৎ শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার কারণে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তার। পরে তাকে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

প্রথমদিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও অক্সিজেন দেওয়ার পর আপাতত সুস্থ আছেন অভিনেত্রী। চিকিৎসকরা জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্যই এমনটা হয়েছে।

অনেকদিন পর শ্রীলেখা মিত্র অভিনীত একটি ছোটদের ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। ছবির নাম ‘রেইনবো জেলি।’ ছবিটির পরিচালনা করছেন সৌকর্য্য ঘোষাল। কলকাতায় মুক্তির তারিখ ২৫ মে। কিন্তু মুক্তির এক সপ্তাহ আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন শ্রীলেখা মিত্র।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্রীদেবীকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে- দিল্লি পুলিশের সাবেক এসিপি

বিনোদন ডেস্ক: ভারতের কিংবদন্তি অভিনেত্রী শ্রীদেবী ২৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের একটি হোটেলে ৫৪ বছর বয়সে মারা যান। যা নিয়ে গোটা উপমহাদেশে হতভম্ব হয়ে যায়।

প্রথমে শোনা যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হোটেলের বাথটাবের পানিতে ডুবে মারা যান শ্রীদেবী। পরে দুবাই পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো, হৃদরোগে নয় দুর্ঘটনাবশত বাথটাবের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় তাঁর। তবে শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে নিয়ে মৃত্যু এবার প্রশ্ন তুলেছেন দিল্লি পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এসিপি বেদ ভূষণ। বেদের দাবি, শ্রীদেবীকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে।

বেদ বলেন, কাউকে চাইলেই তো জোর করে বাথটাবে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া যায়। পানিতে ডুবিয়ে রেখে তার নিঃশ্বাস বন্ধ করে তাকে হত্যা করা সম্ভব। এতে করে কোনো প্রমাণ ছাড়াই একজন মানুষকে মেরে ফেলা যায়। শ্রীদেবীকেও পরিকল্পনা করেই হত্যা করা হয়েছে।

এক সাক্ষাৎকারে বেদ ভূষণ শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে দুবাই পুলিশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন বিষয়ে জানান, আরব আমিরাতের আইন ব্যবস্থার প্রতি আমাদের সম্মান রয়েছে। কিন্তু তারা শ্রীদেবীর ময়নাতদন্তের যে প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছেন সেটি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। ঠিক কি হয়েছিলো তার সঙ্গে আমরা সেটি জানতে চাই। এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া বাকি রয়েছে। আমরা দুবাই যাবো এবং সবকিছু পুনরায় তদন্ত করবো।’

শ্রীদেবীর মৃত্যুর তদন্ত করার জন্য তিনি দুবাইয়ের জুমেইরাহ এমিরেটস টাওয়ার্সে গিয়েছিলেন। কিন্তু হোটেলের ওই ঘরে তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাই তিনি পাশের ঘর থেকে সম্পূর্ণ ঘটনাটি বোঝার চেষ্টা করেছেন। এবং সিদ্ধান্তে এসেছেন যে, শ্রীদেবীর মৃত্যু পরিকল্পিত- এমনটাই জানান।

এর আগে, শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আইনজীবী সুনীল সিংহও। তিনি বলেছিলেন, ৫.৭ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট একজন কী করে ৫.১ লম্বা বাথটাবে ডুবে যাবেন!

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest