সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

চট্টগ্রামে ইফতার সামগ্রী নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে নিহত ১০

ন্যাশনাল ডেস্ক: চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের একটি মাদরাসা মাঠে ইফতার সামগ্রী নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ১০ জন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রামের বিশিষ্ট শিল্প গ্রুপ কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির মালিক মো. শাহজাহানের বাড়ির পাশের একটি মাদরাসা মাঠে এ ইফতার সামগ্রী বিতরণের আয়োজন করা হয়।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) এ কে এম এমরান ভূঁইয়া ঘটনাস্থল থেকে  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘৩০-৪০ হাজার মানুষ জাকাত নিতে ওই বাড়িতে ভিড় করে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও কক্সবাজার জেলা থেকেও লোকজন সেখানে আসে।’

অব্যবস্থাপনার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তুরিনের সঙ্গে আসামির গোপন বৈঠক; ‘এটা প্রসিকিউটরের কাজ নয়’

নিউজ ডেস্ক: মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল হক বলেছেন, যুদ্ধপরাধ মামলার কোনো আসামির সঙ্গে প্রসিকিউটরের বৈঠক করার কথা নয়।
এটা তার কাজও নয়। প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ যা করেছেন সেটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। তিনি আসামির সঙ্গে দেখা করে মামলার গোপন নথির ফটোকপি তাকে দিয়েছেন। আসামি ও প্রসিকিউটরের মধ্যে কথোপকথনেই এটা বেরিয়ে এসেছে। তুরিন আফরোজের বিষয়ে তদন্ত সংস্থার বক্তব্য কি জানতে চাইলে সানাউল হক রোববার রাতে এসব কথা বলেন।

তুরিন আফরোজ যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামি জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এবং পাসপোর্ট অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে গত বছরের ১৮ নভেম্বর গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে গোপনে বৈঠক করেন। এর আগে তিনি ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে সাক্ষাৎ করতে চান। ওয়াহিদুল হককে যে কোনো দিন আটক করা হতে পারে জানিয়ে এ নিয়ে তিনি আসামির সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান। রেস্টুরেন্টে বৈঠকের সময় তারা পৌনে তিন ঘণ্টা মামলার নথিপত্র নিয়ে আলোচনা করেন। তখন ওয়াহিদুল হকের কাছে তুরিন আফরোজের সহকারী ফারাবী কয়েকটি প্রস্তাব দেন। জানতে চান তার টাকা পয়সা কেমন আছে। এ সময় ওয়াহিদুল হকের হাতে তিনি মামলার গোপন নথির কপি তুলে দেন।

প্রাথমিকভাবে এ অভিযোগ পেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু ৭ মে তুরিন আফরোজকে প্রথমে ওয়াহিদুল হকের মামলা থেকে এবং পরের দিন ৮ মে অন্য সব মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন। সেই সঙ্গে তুরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগটি আইন মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানিয়ে তদন্ত চান। আইনমন্ত্রী বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন। ২০ মে দেশে আসার পর তিনি তুরিনের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল হক আরও বলেন, তাকে (তুরিন) তদন্ত কাজের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়নি। তদন্তের ক্ষমতাও দেয়া হয়নি। আসামির সঙ্গে বসার তার কোনো সুযোগ নেই। কারণ তিনি প্রসিকিউটর। প্রয়োজনে আমরা আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারি। তার কাজ ট্রাইব্যুনালে। ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনার জন্যই চিফ প্রসিকিউটর ওনাকে অ্যাসাইন করেছেন। কিন্তু ওনি যা করেছেন তা নৈতিকতা সমর্থন করে না। কারণ তার কনভারসেশনে আছে ‘আপনার জন্য ফটোকপি করে নিয়ে এসেছি।’ তার (তুরিন) আচরণ পেশাদার আচরণ বলে মনে হয়নি। এখন বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয়ে আছে। সেখানে তদন্তের জন্য আদেশ করতে হবে। আইন মন্ত্রণালয়ই এখন সিদ্ধান্ত দেবে কি হবে এ বিষয়ে।

গত বছরের ১১ নভেম্বর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে মানবতাবিরোধী অপরাধের আসামি ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে করা মামলা পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মোহাম্মদ ওয়াহিদুল হককে ২৪ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠান। ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান। গ্রেফতার করার সময় ওয়াহিদুল হকই প্রকাশ করেন তার সঙ্গে তুরিনের গোপন বৈঠক হয়েছে এবং দু’জনের মধ্যে পৌনে ৩ ঘণ্টার কথোপকথনের রেকর্ডও আছে তার কাছে। পরে তার মোবাইল জব্দ করে রেকর্ডটি কপি করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অভিযোগটি লিখিতভাবে ট্রাইব্যুনাল থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সঙ্গে তুরিন ও আসামির মধ্যে কথোপকথনের সিডির কপিও সংযুক্ত করে দেয়া হয়। তুরিন আফরোজ আসামির কাছ থেকে কি ধরনের সুবিধা চেয়েছেন তদন্তে তা বেরিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাইব্যুনালের একজন প্রসিকিউটর।
সূত্র: দৈনিক যুগান্তর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইতিহাস গড়ল গার্দিওলার ম্যানসিটি

প্রিমিয়ার লিগে এবার ম্যানচেস্টার সিটির জন্য রেকর্ড গড়ার মৌসুম। পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখেই লিগ জিতে নিয়েছে তারা। এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও তাদের দখলে।

শেষ ম্যাচে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে প্রথম দল হিসেবে প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে ১০০ পয়েন্টের মাইলফলক স্পর্শ করলো পেপ গার্দিওলার দল। ম্যাচের একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুস।

৯৭ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের শেষ ম্যাচ খেলতে নামে পেপের শিষ্যরা। জয়টা পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ৯০ মিনিট পর্যন্ত। খেলা গোলশূন্য ড্র থাকে।

অনেক সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি কেউ। অবশেষে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে ডি ব্রুয়েনের পাস থেকে বল পেয়ে ট্যাপ ইনে সিটির হয়ে ঐতিহাসিক রেকর্ডের গোলটি করেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস।

এ জয়ের ফলে ১০০ পয়েন্টের রেকর্ড গড়লো গার্দিওলারা। পাশাপাশি লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৩২টি জয়ের রেকর্ড গড়লো দলটি।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে ১৯ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় দলের থেকে সর্বোচ্চ ব্যবধানে লিগ জয়ের রেকর্ড গড়লো সিটিজেনরা। আগের ম্যাচেই এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও গড়েছিল তারা। গার্দিওলার শিষ্যদের জন্য এক রেকর্ডময় মৌসুম শেষ হলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বার্সাকে মাটিতে নামাল লেভান্তে

স্পোর্টস ডেস্ক: লা লিগার এবারের মৌসুমে রীতিমতো উড়ছিল বার্সেলোনা। ৩৬ ম্যাচ পর্যন্ত ছিল অপরাজিত। লা লিগার শিরোপাটাও এরই মধ্যে উঠে গেছে বার্সার ট্রফি কেসে। আর মাত্র দুটি ম্যাচে হারের মুখ না দেখলেই অপরাজিত হয়ে লা লিগা শেষ করতে পারত কাতালানরা। কিন্তু শেষপর্যন্ত তেমনটা হলো না। ৩৭তম ম্যাচে এসে উড়তে থাকা বার্সাকে মাটিতে নামাল লেভান্তে।

লা লিগায় অপরাজিত থাকার রেকর্ডকে আর বাড়াতে পারল না বার্সেলোনা। অবশেষে পুঁচকে দল লেভান্তের কাছে হার মেনে নিতে বাধ্য হলো মেসিবিহীন বার্সেলোনা।

মৌসুমের ৩৭তম ম্যাচে এসে পরাজয়ের তেতো স্বাদ পেতে হলো আর্নেস্তো ভালভার্দের দলকে। বার্সেলোনাকে উড়িয়ে দিয়ে ৫-৪ গোলে জয় ছিনিয়ে নেয় লেভান্তে।
ম্যাচের ৯ মিনিটেই লেভান্তের হয়ে প্রথম গোলের দেখা পান বোয়েটাং। হোসে লুইস মোরালেসের বাড়ানো ক্রসে পা ছুঁয়ে প্রথম গোলটি করেন তিনি। ৩১ মিনিটে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান তিনি। ডি বক্সের ভেতর জটলা থেকে গোল করেন দলের লিড বাড়ান এ ফুটবলার। ৩৮ মিনিটে বার্সেলোনার হয়ে এক গোল শোধ করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ফিলিপ কুতিনহো। ডি বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ শটে গোল করেন এই তারকা। ২-১ ব্যবধানে শেষ হয় প্রথমার্ধ।

বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে লেভান্তে। ১০ মিনিটে ব্যবধানে বার্সেলোনার ডিফেন্সকে ওলট-পালট করে ফেলে তারা। তিন গোল দিয়ে ম্যাচের দৃশ্যপট পাল্টে ফেলে স্বাগতিকরা। ৪৬ মিনিটে লেভান্তের বার্দি গোল করলে ৩ গোলের লিড পায় লেভান্তে। ৪৯ মিনিটে আবারও গোল পান বোয়েটাং। ২০০৫ সালের পর এই প্রথম কোনো ফুটবলার বার্সেলোনার বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের কৃতিত্ব দেখালেন। ৫৬ মিনিটে বার্দি আরেকটি গোলের দেখা পেলে ৫-১ গোলের লিড পায় লেভান্তে।

৫ গোল খেয়ে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে বার্সেলোনা শিবির। ম্যাচের ৬০ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন কুতিনহো। ৬৪ মিনিটে বুসকেটসের ফ্রি কিক থেকে বার্সেলোনা ক্লাবের হয়ে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক করেন কুতিনহো। ম্যাচের ৮০ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর সুয়ারেজকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় বার্সা। স্পট কিক থেকে আরও এক গোল শোধ দেন সুয়ারেজ।

পিছিয়ে থেকে আক্রমণ চালিয়ে গেলেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা না পাওয়ায় লেভান্তের বিপক্ষে ৫-৪ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বার্সাকে। এই পরাজয়ের ফলে অপরাজিত থাকার রেকর্ডে লাগাম টানতে হলো ভালভার্দে শিবিরকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কুকুরের জন্য দেশ ছেড়ে ১০ বছর!

ভিন্ন স্বাদের সংবাদ: পরিবারের সদস্য ও বন্ধুরা হয়তো থাকেন হাজার হাজার মাইল দূরে, কিন্তু তারপরেও বন্ধুর অভাব নেই ব্রিটিশ এক দম্পতি মাত্র ১০ দিনের জন্যে বেড়াতে গিয়েছিলেন ভারতের কেরালায়, কিন্তু তারা আর ফিরে আসেননি এবং সেখানকার একদল কুকুরের পেছনে তারা খরচ করেছেন তাদের নিজেদের জমানো তিন লাখ পাউন্ড। কেন?

নির্ধারিত সময়ের আগেই চাকরি থেকে অবসরে গিয়েছিলেন এই দম্পতি। তারপর কথা ছিল তারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াবেন।

গ্র্যান ক্যানারিয়ার পর তারা এবার ভারতে দু’সপ্তাহের জন্যে একটি হলিডে বুক করলেন। ম্যারি এবং স্টিভ মাসক্রফ্ট ঠিক করলেন যে তারা যাবেন দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যের কোভালাম শহরে।

তারা গেলেন, কিন্তু সেখান থেকে একেবারে ফিরে এলেন না। তাদের চোখে পড়লো দুটো কুকুর। প্রাণীটির প্রতি তাদের মায়া এতোই তীব্র হয়ে উঠলো যে এই দম্পতি কুকুর দুটোকে দেখাশোনা করতে শুরু করলো।

তারপর কেটে গেছে ১০ বছর। এখন তাদের আছে একশোটির মতো কুকুর। প্রাণীদের জন্যে তারা একটি ক্লিনিকও পরিচালনা করেন। বেওয়ারিশ কুকুর দেখভাল করার জন্যে তারা একটি সংস্থাও গড়ে তুলেছেন যাদের কাজ রাস্তা থেকে অসুস্থ কুকুর তুলে এনে তাদেরকে খাওয়ানো, টিকা দেওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।

‘কোনদিন ভাবিনি আমার জীবনে এরকম কিছু হবে, বলেন ম্যারি, একজন গায়িকা, থাকেন মিডেলসেক্সে, কিন্তু আমরা তো শুধু বসে বসে, বই পড়ে এবং খেয়ে দিয়ে জীবন কাটিয়ে দিতে পারি না। আমি মনে করি কেউই এরকম করে জীবন সাজাতে চায় না।’

স্টিভ অবসর নেওয়ার আগে ব্র্যাডফোর্ড শহরে একটি ব্যবসা চালাতেন। ‘আমাদের খুব বেশি আর্থিক সচ্ছলতা ছিল না। আবার খুব একটা অসুবিধাও ছিল না। তাই অল্প বয়সেই আমরা অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। ইউরোপে ঘুরে বেড়ানো ছাড়া আমাদের তেমন কোন পরিকল্পনা ছিল না,’ বলেন স্টিভ।

কিন্তু এই দম্পতির প্রথম লক্ষ্য ছিল চাকরি বাকরি ছাড়াই জীবনটা কেমন চলে সেটা দেখার। ‘আমরা তো মাত্র দু’সপ্তাহের জন্যে এখানে বেড়াতে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দুটো কুকুরের বাচ্চার প্রেমে পড়ে গেলাম।’

স্টিভ বলেন, ‘তারপর তো সবকিছু বদলে গেল। দুটো কুকুর থেকে ছ’টি কুকুর হলো। তারপর হলো ১২টি। এভাবে বাড়তেই লাগলো।’

কিছুদিন পর এমন হলো যে এই দম্পতি কোভালাম শহরের বেওয়ারিশ কুকুর খুঁজে বের করতে শুরু করলেন। আরম্ভ করলেন ঘুরে ঘুরে তাদের খাওয়ানোর কাজ। একটা সময়ে কুকুরের সংখ্যা এতো বেড়ে গেল যে তাদের জন্যে খাবার দাবার নিয়ে যেতে বড় একটি রিকশা ভাড়া করতে হলো।

এজন্যে একজন রিকশাচালককেও অনেকটা স্থায়ীভাবেই ভাড়া করা হলো। তার নাম কুক্বু। এখন তিনি কুকুর ক্লিনিকের ম্যানেজার।

শহরের সবাই তখন জেনে গেল এই দম্পতির কথা। রাস্তা থেকে তারা তো কুকুর কুড়িয়ে আনতেনই, লোকজনও এই দম্পতির বাড়ির দরজার সামনে কুকুর রেখে যেতে শুরু করলেন। স্টিভ জানান, একবার তারা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতরে ছ’টি কুকুরের বাচ্চা পেয়েছিলেন।

এভাবেই বদলে গেল এই দম্পতির জীবন। দিন রাত তাদের কাজ হয়ে গেল রাস্তা থেকে অসুস্থ কুকুর বাড়িতে নিয়ে আসা, খাওয়ানো এবং চিকিৎসা করা।

খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়তেন এই দম্পতি। তারপর তারা কুকুরগুলোকে গোসল করান, খাবার দেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখেন।

সকাল ১১টা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত এতো গরম পড়ে, বেশিরভাগ দিনই গড় তাপমাত্রা পৌঁছায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে, সেসময় কুকুরগুলো একটু ঘুমায় এবং চারটার পর আবার শুরু হয় খাওয়া দাওয়ার পর্ব।

এই দম্পতি বলছেন, কুকুরের অসুখ বিসুখ কোভালামে কোন সমস্যা নয়। কিন্তু তারপরেও শুরুতেই তাদেরকে টিকা দেওয়া হয়।

এই দম্পতি বলছেন, কেরালার এসব কুকুরের পেছনে তারা নিজেদের জমানো তিন লাখ পাউন্ড খরচ করে ফেলেছেন। অর্থ সংগ্রহের জন্যে তারা মাঝে মাঝে অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেন। বহু পরিবার, বন্ধু এবং পর্যটকও তাদেরকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন।

তারা যখন কুকুরদের নিয়ে কাজ করতে শুরু করেন তখন কোভালামের সমুদ্র সৈকত এলাকায় ৬৩৩টি কুকুর ছিল। ২০১৭ সালে তাদের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৮৯।

যেসব কুকুর সুস্থ তাদেরকে জীবাণুমুক্ত করে আবার রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র অসুস্থ কুকুরকেই নিয়ে আসা হয় তাদের আশ্রয়ে।

‘আমি আমার আত্মীয় স্বজনকে মিস করি, মিস করি বন্ধুদের, ইংলিশ ব্রেকফাস্ট, খাবার দাবারও মিস করি। আরও মিস করি পাব এবং ফুটবল নিয়ে টিভি অনুষ্ঠান ম্যাচ অফ দ্যা ডে,’ বলেন স্টিভ।

‘তবে ভালো কিছু দিকও আছে। যেমন এখানে আমাকে গাড়ির কাঁচে জমা বরফ পরিষ্কার করতে হয় না। ঠাণ্ডায় ঘর গরম করার জন্যে বাড়তি বিলও গুণতে হয় না।’

‘৬০ বছর বয়সে যেরকম থাকা যায় সেই হিসেবে আমি খুশি,’ বলেন তিনি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ সদর দপ্তরে বোমা হামলায় নিহত ৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া পুলিশ সদর দপ্তরে বোমা হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।

সোমবার (১৪ মে) সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে এ বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটে বলে জানান দেশটির ইস্ট জাভের প্রাদেশিক পুলিশ মুখপাত্র ফ্রাঁস বারুং মঙ্গারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় জামরুল!

স্বাস্থ্য ডেস্ক: আমাদের দেশে ফল হিসেবে জামরুলের চাহিদা খুব একটা বেশি নয়। কিন্তু এই ফলটিতে রয়েছে অসাধারণ কিছু প্রাকৃতিক উপাদান। আর ডায়বেটিসসহ আপনার বেশ কিছু রোগের প্রতিষেধক হিসেবেও এর অবদান কম নয়।

বলা হয়ে থাকে ক্রান্তীয় অঞ্চলের ফল জামরুল। ভারত, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ডে প্রচুর জামরুল হয়। আমাদের দেশেও এখন বাণিজ্যিকভাবে জামরুলের চাষ হচ্ছে। সাধারণত মাঘ মাস থেকে চৈত্র মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসে আর চৈত্র থেকে জ্যৈষ্ঠ মাসের মধ্যে পাকা জামরুল পাওয়া যায়।

দেখতে ছোট ফল হলেও কাজ করে সাইজে বড় ফলের সমান! এতে আছে তরমুজ ও আনারসের সমান খনিজ পদার্থ। আম ও কমলার চেয়ে তিনগুণ! ক্যালসিয়াম ধারণের দিক থেকেও আঙুরকে হার মানিয়েছে জামরুল। একটি লিচুর সমান ক্যালসিয়াম পাবেন আপনি একটি জামরুলে। এখানেই শেষ নয়, জামরুলে আছে পেঁপে ও কাঁঠালের চেয়ে বেশি আয়রন এবং আম, কমলা ও আঙুরের চেয়ে বেশি ফসফরাস। তাই দেখতে ছোটখাটো হলেও জামরুলকে হেলাফেলায় নেয়ার কোনো কারণ নেই।

কেন খাবেন :
১. ক্যান্সার প্রতিরোধের উপাদান সমৃদ্ধ জামরুল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
২. জামরুলে আছে ভিটামিন সি এবং ফাইবার, যা হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
৩. কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে জামরুল খুবই উপকারী একটি ফল।
৪. জামরুল ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
৫. জামরুল মস্তিষ্ক ও লিভারের যত্নে টনিক হিসাবে কাজ করে।
৬. জামরুল ভেষজগুণ সমৃদ্ধ ফল। বাত নিরাময়ে এটি ব্যবহার করা হয়।
৭. চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতেও জামরুলের ভূমিকা অনন্য।
৮. প্রতিদিন একটি তাজা জামরুল খেলে আপনার পুষ্টিহীনতা কিছুটা হলেও পূরণ করা সম্ভব

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায় লবঙ্গ

স্বাস্থ্য ডেস্ক: প্রাকৃতিক শক্তির দিক থেকে লবঙ্গের কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে।  বেশ কিছু আধুনিক গবেষণাতেও এই কথাটি প্রমাণিত হয়েছে।  শুধু তাই নয়, একথাও প্রমাণিত হয়েছে যে এই প্রকৃতিক উপাদানটি ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবেও কাজ করে।

লবঙ্গে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন কে, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম।  এই সবকটি উপাদানই নানাভাবে শরীরে কাজে লেগে থাকে।  বেশ কিছু আধুনিক গবেষণাতে দেখা গেছে, প্রাকৃতিক শক্তির দিক থেকে লবঙ্গের কোনো বিকল্প নেই।

১. অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজে পরিপূর্ণ: 
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এই প্রকৃতিক উপাদানটির অন্দরে উপস্থিত একাধিক অ্যান্টি-অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ যেকোনো ধরনের জীবাণুকে মেরে ফেলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো সংক্রমণের থেকে দূরে থাকতে অনেকেই নিয়মিত লবঙ্গ খেয়ে থাকেন।

২. লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়:
লবঙ্গে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করার পর দেহের মধ্যে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শুধু লিভার নয়, শরীরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৩. দাঁতের ব্যাথা নিমেষে কমে:
লবঙ্গতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু বিক্রিয়া করে যে নিমেষে দাঁতের যন্ত্রণা কমে যায়। তাই তো এবার থেকে দাঁতে অস্বস্তি বা মাড়ি ফোলার মতো ঘটনা ঘটলে কয়েকটা লবঙ্গ চা খেয়ে নেবেন। দেখবেন উপকার পাবেন।

৪. ত্বকের সংক্রমণ সারাতে কাজে আসে:
এবার থেকে কোনো ধরনের ত্বকের সংক্রমণ হলেই চোখ বুজে ক্ষতস্থানে লবঙ্গের রস বা এই প্রকৃতিক উপাদানটি দিয়ে বানানো চা লাগাতে ভুলবেন না। এমনটা করলে দেখবেন কষ্ট কমতে একেবারে সময়ই লাগবে না।  আসলে লবঙ্গে উপস্থিত ভোলাটাইল অয়েল শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে জীবাণুদেরও মেরে ফেলে।  ফলে সংক্রমণজনিত কষ্ট কমতে একেবারেই সময় লাগে না।

৫. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:
লাঞ্চ বা ডিনারের আগে লবঙ্গ দিয়ে বানানো এক কাপ গরম গরম চা খেলে হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে পেটের দিকে রক্ত প্রবাহেরও উন্নতি ঘটে। ফলে খাবার হজম হতে সময় লাগে না। তাই যাদের কম ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার খেলেও বদ-হজম হয়, তারা লবঙ্গ চা পান করে একবার দেখতে পারেন।

৬. জ্বরের প্রকোপ কমায়:
লবঙ্গে থাকা ভিটামিন কে এবং ই, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে দেয় যে শরীরে উপস্থিত ভাইরাসেরা সব মারা পরে। ফলে ভাইরাল ফিবারের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।  প্রসঙ্গত, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার হয়ে যাওয়ার পর সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest