সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনওপ্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদসাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রদল নেতার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ !জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশিকুর রহমানের পিতার মৃত্যু

একজনের মুখ কেটে বসানো হলো অন্যের মুখে

পৃথিবীতে প্রথমবারের মতো এক ব্যক্তির দু’বার মুখমন্ডল প্রতিস্থাপনের অপারেশন করা হয়েছে। অপারেশনের তিন মাসের মাথায় জেরোম হ্যামন নামের ওই ব্যক্তি বলছেন, তিনি এখন ভালো অনুভব করছেন।

তেতাল্লিশ বছর বয়স্ক হ্যামনের মুখমন্ডল প্রথমবার প্রতিস্থাপন করা হয় ২০১০ সালে। দ্বিতীয়টি করা হয় গত বছর।

প্রথম অপারেশন সফল হয়েছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে ঠান্ডা লেগে তার সংক্রমণ হবার পর তাকে এন্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। তার প্রতিস্থাপিত মুখমন্ডল সেই এন্টিবায়োটিককে গ্রহণ করছিল না, এর ফলে দেখা দেয় জটিলতা।

প্রথম লক্ষণ দেখা দেয় ২০১৬ সালে, আর গত বছর নভেম্বরে তার প্রতিস্থাপিত মুখে নেক্রোসিস দেখা দেয়। অর্থাৎ সেই মুখের টিস্যুগুলো মরে যেতে থাকে। ফলে তার সেই বসিয়ে দেওয়া মুখটিকে কেটে বাদ দিতে হয়।

এর পর শুরু হয় তার মুখে নতুন করে বসানোর জন্য নতুন আরেকটি মুখের সন্ধান। কিন্তু এমন দাতা পাওয়া যাচ্ছিল না যার মুখমন্ডলকে জেরোমের শরীর `মেনে নেবে`। এই দু`মাস সময় জেরোমকে `মুখমন্ডল-বিহীন অবস্থায়` জর্জ পম্পিডু হাসপাতালে একটি কক্ষে থাকতে হয়।

এ সময়টা তার কোন মুখ ছিল না। তিনি কিছু দেখতে পেতেন না, শুনতে পেতেন না বা কোন কথাও বলতে পারতেন না। এ অবস্থা চলেছে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত। সেই মাসেই একজন দাতা পাওয়া যায়, এবং দ্বিতীয় বারের মতো তার মুখমন্ডল প্রতিস্থাপন করা হয়।

পর পর দু`বার মুখমন্ডল প্রতিস্থাপনের অপারেশন হয়েছে। পৃথিবীতে এমন একমাত্র ব্যক্তি হচ্ছেন এই জেরোম হ্যামন। এ অপারেশনের আগে বিশেষ চিকিৎসার মাধ্যমে তার রক্ত শোধন করা হয়।

ফরাসী সংবাদ মাধ্যম তার নাম দিয়েছে `তিন মুখ বিশিষ্ট ব্যক্তি। এখন জেরোম হ্যামনের নতুন মুখটি মসৃণ কিন্তু নড়াচড়া করে না। তার মাথার খুলি, চামড়া, এবং চোখমুখ এখনো পুরোপুরি যথাযথ অবস্থানে আসে নি।

তিনি এখনো হাসপাতালে। সেখান থেকেই এক সাক্ষাতকারে তিনি ফরাসী টিভিকে বলেন, তিনি আশাবাদী যে তিনি ভালোভাবেই সেরে উঠবেন। আমি আমার নতুন মুখকে মেনে না নিলে তা একটা ভয়াবহ ব্যাপার হতো। এটা আমার পরিচয়ের প্রশ্ন ।তবে যাই বলুন, আমার ভালো লাগছে, এটাই আমি। আমার বয়েস ৪৩। আমার মুখ দাতার বয়েস ছিলো ২২, তাই আমার বয়েসও এখন ২২।

অপারেশনটি করেছেন যে ডাক্তার সেই অধ্যাপক লরাঁ লাঁতিয়েরি বলেন, এখন আমরা জানি যে দু দুবার মুখ প্রতিস্থাপন সম্ভব। এটা এখন আর কোন গবেষণার ব্যাপার নয়।

তবে যার মুখে এই অপারেশন হয়েছে তার এই পুরো ব্যাপারটা সহ্য করার যে সাহস, তা সত্যি অসাধারণ, বলেন তিনি।

উত্তর ফ্রান্সেই প্রথম মুখমন্ডল প্রতিস্থাপন অপারেশন হয়েছিল ২০০৫ সালে। এর পর বিশ্বের নানা দেশে প্রায় ৪০টি এমন অপারেশন হয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘চীন, নেপাল ও ভারত স্বাভাবিকভাবেই বন্ধু’

‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ প্রজেক্টকে সামনে রেখে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-চীন সম্পর্ক। জানা গেছে, নেপাল হয়ে ভারতের দিকে এগিয়ে আসছে চীনের এই ইকনমিক করিডর। তবে এমন পরিস্থিতিতেও ভারতকে স্বাভাবিক বন্ধু হিসেবেই দেখছে চীন।

হিমালয়ের মধ্যে দিয়ে ভারত-নেপাল-চীন ইকনমিক করিডর তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে বেইজিং। চীন ও নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হওয়ার পরই এই প্রস্তাব দেওয়া হয়ছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে কথা চলছে। ইতিমধ্যেই দুই দেশ চুক্তিও স্বাক্ষর করেছে।

এ ব্যাপারে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং লি বলেন, ‘চীন, নেপাল ও ভারত স্বাভাবিকভাবেই বন্ধু। আমাদের দেশ নদী ও পাহাড় দিয়ে যুক্ত। পৃথিবীতে যাই হয়ে যাক না কেন, এই তিন দেশের সম্পর্ক কোনোদিনই পাল্টাবে না।’

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই চীনের সাহায্যে এবার ইন্টারনেটের সুবিধা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে নেপাল। ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য তারা চীনা অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যবহার করছে। এতদিন সাইবার স্পেসে যোগাযোগের জন্য ভারতের উপর নির্ভরশীল ছিল নেপাল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জয়ার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে সৃজিত

শোবিজ পাড়ায় বাংলাদেশের অভিনেত্রী জয়া আহসান ও কলকাতার চলচ্চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখার্জির প্রেমের গুঞ্জন অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। তবে এ প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন ‘জাতিস্বর’-খ্যাত নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি। জয়াকে প্রশংসার সাগরে ভাসালেন তিনি।

এ ব্যাপারে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সৃজিত বলেন, ‘জয়ার মতো অভিনেত্রী, জয়ার মতো মানুষ, জয়ার মতো নারী আমি খুব কম দেখেছি। এই সম্পর্ক বন্ধুত্ব, প্রেম বা তার চেয়েও বেশি কিছু।’ তবে গুঞ্জন রয়েছে, রাজনন্দিনী নামের একজনের সঙ্গে সৃজিতের প্রেমের সম্পর্ক আছে। তাই প্রশ্ন এসেই যায়, ‘রাজনন্দিনী না জয়া আহসান?’

এর উত্তরে সৃজিত বলেন, ‘ওরে বাবা! রাজনন্দিনী বাচ্চা মেয়ে। আমি ওর মেন্টর। ওর সব কিছু নিয়ে আমার বক্তব্য আছে।’

এরপরই সরাসরি বিয়ের প্রশ্ন। সৃজিত বলেন, ‘কার সঙ্গে, কবে বিয়ে হবে জানি না। তবে আমি বিয়ে করব, ভেবেই প্রেম করতে চেয়েছি। এমনও হয়েছে, কোনও আবেগঘন মুহূর্তে কেউ বলে ফেলেছে, ‘কাস্টিং-টা কী হলো?’ তার ছিঁড়ে গেছে সেই দিন। প্রেম আর কাজ আমি জীবনেও গুলিয়ে ফেলিনি।’

সৃজিত সবসময়ই কাজের প্রতি দায়বদ্ধ ছিলেন। তারই জের ধরে তিনি বলেন, ‘বাবা চলে গেল যেদিন, শ্মশানে ওই চিতাভস্ম হাতে নিয়ে বুঝেছিলাম, সব ফুরিয়ে যাবে থেকে যাবে কাজ। আমার চলে যাওয়ার পর মনে হয় পেন ড্রাইভে আমার ওই ছবি, গান, অভিনয় থাকবে। ব্যস, এইটুকু আলো নিয়ে বাঁচি!’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলকাতার গণমাধ্যমে শাকিব-শ্রাবন্তীর প্রণয়ের গুঞ্জন

ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীবন্তীর একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। আর সেই ছবির ওপর ভিত্তি করে কলকাতার গণমাধ্যমে এই দুই তারকার মধ্যে প্রণয়ের গুঞ্জন তুলেছে। যদিও তারা এক্ষেত্রে সংবাদের বিবরণে নিন্দুকের বরাত দিয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম কলকাতা টোয়েন্টিফোরের খবর, শ্রাবন্তীর একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। তাতেই গসিফের হট লিস্টে উঠে এসেছেন টলি-সুন্দরী। সাইবার দুনিয়ায় চোখ ফেরালেই জানা যাচ্ছে, নতুন করে সম্পর্কে জড়িয়েছেন অভিনেত্রী। আর সেই মনের মানুষের সঙ্গে লন্ডনে রয়েছে তিনি।

এরপরই আবারও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদিও এসব নিন্দুকদের কথা। নায়িকার ট্যুইটারে গেলে দেখবেন অন্য ঘটনা। বাংলাদেশি নায়ক শাকিবের সঙ্গে আবার জুটিতে আসছেন শ্রাবন্তী। সিনেমার নাম ‘ভাইজান এল রে’। এই ছবির শ্যুটিং হচ্ছে লন্ডন। কাজের মাঝে নায়ক-নায়িকা পোস্ট করেছেন একটি ছবি। তাতেই শুরু হয়েছে এই গুঞ্জনের।

ছবিটি প্রযোজনা করছে এসকে মুভিজ। কলকাতার শুটিং পর্ব শেষে আপাতত লন্ডনে রয়েছে সিনেমার গোটা টিম। সব কিছু ঠিকঠাক চললে এবছর পূজায় মুক্তি পাবে শাকিব-শ্রাবন্ত্রীর ‘ভাইজান এল রে’।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
২০তম অধিবেশনে যাননি ৩৫ এমপি

* সংসদবিমুখ এমপিরা
* গড়ে উপস্থিত ছিলেন ২৭৯ এমপি
* অধিবেশন শুরুর দিন সর্বোচ্চ আর শেষের দিন সর্বনিম্ন উপস্থিতি

জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশনে ৩৫ জন এমপি সংসদে যাননি। ৮ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ৫ কার্যদিবস চলা ওই অধিবেশনে গড়ে ২৭৯ জন এমপি উপস্থিত ছিলেন। অধিবেশন শুরুর দিন সর্বোচ্চ ২৫৪ জন এমপি সংসদে উপস্থিত ছিলেন। আর সর্বনিম্ন ১৯৬ জন উপস্থিত ছিলেন শেষের দিন। এছাড়া ৩৫ কার্যদিবসের দীর্ঘ ১৯তম অধিবেশনেও যেতে পারেননি ১১ জন এমপি।

সংসদে এমপিদের লবিতে রাখা ডিজিটাল হাজিরা বই থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।

২০তম অধিবেশনে আওয়ামী লীগের ২৮ এমপি অনুপস্থিত ছিলেন। দলটির ভিআইপিদের মধ্যে এই তালিকায় জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম (কিশোরগঞ্জ-১), শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু (ঝালকাঠি-২), সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীও (ফরিদপুর-২) রয়েছেন।

আর জাতীয় পার্টির অনুপস্থিত ছিলেন ৫ জন এমপি। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গাও ছিলেন। এছাড়া একজন স্বতন্ত্র এমপিও অনুপস্থিত ছিলেন। আর খুনের মামলার আসামি হয়ে জেলে থাকায় সংসদে যেতে পারেননি আমানুর রহমান খান রানা (টাংগাইল-৩)।

অধিবেশনের শেষ দিন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ বক্তব্য দিয়ে থাকেন। এদিন সর্বনিম্ন উপস্থিতি এমপিদের সংসদ বিমুখতার প্রমাণ করে বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন।

এমপিদের এই অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় সংসদ নিয়ে গবেষণা করা প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সংসদের অধিবেশনের শেষ দিন প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা বক্তব্য দিয়ে থাকেন। এই অধিবেশনেও তারা বক্তব্য রেখেছেন। অথচ সেই দিন সর্বনিম্ন উপস্থিতি ছিল। এতেই প্রমাণিত হয় এমপিরা সংসদবিমুখ।

২০তম অধিবেশনে যারা যাননি

জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ছাড়াও ২০তম অধিবেশনে আওয়ামী লীগের মো. দবিরুল ইসলাম (ঠাকুরগাঁও-২), হুইপ ইকবালুর রহিম, (দিনাজপুর-৩), আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪), মো. শিবলী সাদিক (দিনাজপুর-৬), মো. ইসরাফিল (নওগাঁ-৬), আ. মজিদ মন্ডল (সিরাজগঞ্জ-৫), ফরহাদ হোসেন (মেহেরপুর-১), শেখ হেলাল উদ্দীন (বাগেরহাট-১), মীর মোস্তফা আহমেদ রবি (সাতক্ষীরা-২), আলী আজম (ভোলা-২), নাজমুল হাসান (কিশোরগঞ্জ-২), সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), মো. জাহিদ আহসান রাসেল (গাজীপুর-২), সিমিন হোসেন রিমি (গাজীপুর-৪), নিজাম উদ্দিন হাজারী (ফেনী-২), মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী (নোয়াখালী-৪), দিদারুল আলম (চট্টগ্রাম-৪), এম আবদুল লতিফ (চট্টগ্রাম-১১), সাইফুজ্জামান চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৩), কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (পার্বত্য খাগড়াছড়ি), বেগম মনোয়ারা বেগম (মহিলা আসন-১৭), ফিরোজা বেগম চিনু (মহিলা আসন-৩৩), মিসেস আমিনা আহমেদ (মহিলা আসন ৩৪), বেগম রহিমা আখতার (মহিলা আসন-৩৬) অনুপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির মো. মশিউর রহমান রাঙ্গা ছাড়াও এম এ হান্নান (ময়মনসিংহ-৭), লিয়াকত হোসেন খোকা (নারায়ণগঞ্জ-৩), এ কে এম সেলিম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৫), সেলিম উদ্দিন (সিলেট-৫) বেগম রওশন আরা মান্নান (মহিলা-৪৭) অনুপস্থিত ছিলেন। আর অনুপস্থিত থাকা স্বতন্ত্র এমপি হলেন তাহজীব আলম সিদ্দীকি (ঝিনাইদহ-২)।

১৯তম অধিবেশনে অনুপস্থিত ১১ এমপি

চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি শুরু হওয়া ১৯তম অধিবেশন চলে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই অধিবেশনে মোট কার্যদিবস ছিল ৩৫টি। বছরের দীর্ঘ এই অধিবেশনেও ১১জন এমপি যেতে পারেননি। এই অধিবেশনে গড়ে ১৯৩ জন উপস্থিত ছিলেন। অধিবেশন শুরুর দিন সর্বোচ্চ ২৫৫ জন এমপি উপস্থিত ছিলেন। আর ১১ জানুয়ারি সর্বনিম্ন ১৪১ জন উপস্থিত ছিলেন। এ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের ৬ জন, জাতীয় পার্টির ৪ জন ও স্বতন্ত্র একজন এমপি অনুপস্থিত ছিলেন।

যারা অনুপস্থিত ছিলেন

এ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪), আ. মজিদ মন্ডল (সিরাজগঞ্জ-৫), এস এম মোস্তফা রশিদী (খুলনা-৪), আমানুর রহমান খান রানা (টাংগাইল-৩), সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম (কিশোরগঞ্জ-১) ও হাজী মো. সেলিম ( ঢাকা-৭) অনুপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির এম এ হান্নান (ময়মনসিংহ-৭), বেগম সালমা ইসলাম ( ঢাকা-১) লিয়াকত হোসেন খোকা (নারায়ণগঞ্জ-৩) এবং এ কে এম সেলিম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৫) অনুপস্থিত ছিলেন। আর স্বতন্ত্র এমপি উষাতন তালুকদারও এই অধিবেশনে যাননি।

প্রসঙ্গত, দশম জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের ২৭৪ জন, জাতীয় পার্টির ৪১ জন, ওয়ার্কাস পার্টির ৭জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের ৬জন, তরিকত ফেডারেশনের ২জন, জাতীয় পার্টির (জেপি) ২জন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (বিএনএফ) ১ জন এবং ১৬ জন স্বতন্ত্র এমপি রয়েছেন। আর বর্তমানে বাগেরহাট-৩ একটি সংসদীয় আসন শূন্য রয়েছে। ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সৌদি আরবে অগ্নিকাণ্ডে ৬ বাংলাদেশির মৃত্যু

সৌদি আরবের হাইল জেলার হোলাইফা শহর এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ৬ প্রবাসী বাংলাদেশী নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চৌদ্দগ্রামের বসন্তপুর গ্রামের মরহুম আবদুল হকের ছেলে দুই সহদোয় এমরানুল হক সোহেল (৩৪), ইমামুল হক মুন্না (২২)ও গুণবতী ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. সোহেল (৩০)। লক্ষীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার করইতোলা বাজার সংলগ্ন চর লরেঞ্চ গ্রামের নেছার আহম্মদের ছেলে জসিম উদ্দিন (২৬) এবং তার ছোট ভাইয়ের নাম মো. ইব্রাহিম (২৩), ফেনির বিরিন্চি এলাকার ইলিয়াছ মেম্বার বাড়ির রফিকুল ইসলামের ছেলে মহিউদ্দিন রাশেদ (৩৫)।

নিহতদের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব (প্রেস) ফখরুল ইসলাম ।

নিহতদের লাশ জ্বলে যাওয়ায় তাদের ডিএনএ টেষ্ট করে পরিচয় নিশ্চিত করা হবে বলে জানান রিয়াদ দূতাবাস শ্রম কর্মকর্তা সরওয়ার আলম।

সৌদি আরবের হাইল থেকে বিডি কোম্পানির এজেন্ট আজিজ উল্লাহ সেলিম জানান, জেলার হোলাইফা শহর এলাকায় চাকরি করতো এমরানুল হক, মুন্না ও সোহেলসহ ৭ জন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতের খাবার রান্না ও খাওয়া শেষে একই রুমে সাত বাংলাদেশি ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ একজন বুধবার রাতে রুমের বারান্দায় সিগারেট খেয়ে ফেলে দেয়। সিগারেটের গোড়ালির আগুন থেকে তা ইলেকট্রনিক শটসার্কিট হয়ে পুরো রুমে ছড়িয়ে পড়ে। এরমধ্যে চৌদ্দগ্রামের দুই সহোদয়সহ ৩ জন, নোয়াখালীর দুইজন ও ফেনীর একজন নিহত হন। গুরুতর আহত একজনকে হাইল কিং ফাহাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়লেন যারা

বাংলাদেশ ক্রি‌কেট বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ১৬ ক্রি‌কেটারের সংখ্যাটা ১০-এ নেমে এসেছে। বাদ পড়েছেন ছয়জন তারকা ক্রিকেটার। গত এক বছরে বাদ পড়া ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স আশাতীত ছিলো না। তাই বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের নতুন চুক্তিতে রাখা হয়নি এ তারকাদের।

বাদ পড়া ক্রিকেটাররা হলেন- সৌম্য সরকার, তাসকিন আহমেদ, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও ইমরুল কায়েস।

তবে আরও তিন ক্রি‌কেটারকে চুক্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। যদিও তাদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি। বুধবার বিসিবির সভা শেষে এ তথ্য জানান বিসিবি সভাপতি।

এদিকে চুক্তিতে বহাল থাকা বাকি ১০ ক্রিকেটার হলেন- মাশরাফি বিন মর্তুজা, তাইজুল ইসলাম, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, মোস্তাফিজুর রহমান, মুমিনুল হক, রুবেল হোসেন ও মেহেদি হাসান মিরাজ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাজস্থানের বিপক্ষে কলকাতার দুর্দান্ত জয়

জয়ের ধারায় ফিরেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আগের ম্যাচে ঘরের মাঠে দিল্লির বিরুদ্ধে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছিল শাহরুখের দল। আর সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই বিধ্বংসী ভূমিকায় পাওয়া দেখা যায় দীনেশ কার্তিকদের। নির্ধারিত ওভারে রাজস্থানের সংগ্রহ ১৬০/৮। সহজেই সেই রান টপকে যায় কলকাতা। ৭ উইকেটের দুর্দান্ত এক জয় তুলে নেয় দীনেশ কার্তিকের দল।

জয়পুরের সোয়াই মান সিংহ স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেকেআর অধিনায়ক কার্তিক। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিল দু’বছর নির্বাসন কাটিয়ে ফেরা রাজস্থান। দুই ওপেনার অজিঙ্ক রাহানে ও ডার্সি শট ভিতটাও তৈরি করে দিয়েছিলেন। রাহানে ১৯ বলে দুরন্ত ৩৬ রানের অধিনায়কসুলভ ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে ৪৪ রান করেন শর্ট।

তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ফ্লপ সঞ্জু স্যামসন। মাত্র ৭ রান করে ফিরে যান তিনি। এর পর আর কেউই বড় রান করতে পারেননি। রাহুল ত্রিপাঠী ১৫, বেন স্টোকস ১৪, কৃষ্ণাপ্পা গৌথম ১২ ও শ্রেয়াস গোপাল কোনও রান করেই প্যাভেলিয়নে ফেরেন। এর মধ্যে ২৪ রানের ইনিংস খেলেন জোস বাটলার।

কলকাতার হয়ে দু’টি করে উইকেট নেন নীতিশ রানা ও টিম কুরান। একটি করে উইকেট পীযুশ চাওলা, কুলদীপ যাদব ও শিবম মাভির।

অন্যদিকে ব্যাট করতে নেমে ১৯ তম ওভারের পঞ্চম বলে লাফলিনকে ছক্কা মেরে নাইট রাইডার্সকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন কার্তিক। কলকাতা ১৮.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১৬৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। কার্তিক ২৩ বলে ৪২ ও রানা ২৭ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest