সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

আশাশুনির বড়দলে কৃষি ব্যাংক শাখার দাবিতে মানববন্ধন

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনির বড়দল বাজারে কৃষি ব্যাংকের শাখা স্থাপনের দাবিতে মনববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বাজার সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বড়দল বাজারে প্রায় সাড়ে ৪ শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বহু এনজিও, বীমা অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ধনী শ্রেণি মানুষের বসবাস। এখানে ব্যাংকের শাখা স্থাপিত হলে একটি লাভজনক শাখা হিসাবে পরিচালিত হতে পারবে বলে অভিজ্ঞ জনদের ধারনা। বড়দল, কাদাকাটি, খাজরা, আনুলিয়া, প্রতাপনগর ও দরগাহপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ এলাকায় কোন ব্যাংকের শাখা না থাকায় অর্থ লেনদেন নিয়ে খুবই সমস্যায় রয়েছেন। এসব এলাকার মানুষকে দুরবর্তী আশাশুনি, গুনাকরকাটি বা বুধহাটা বাজারে অবস্থিত ব্যাংকে লেনদেন করতে হয়। যা অবসম্ভব বললেও ভুল হবেনা। অনেকে ঝক্কি-ঝামেলা মাথায় নিয়ে বাধ্য হয়ে ঐসব ব্যাংকে লেনদেন করে থাকেন। সরকারের কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিকরাসহ বিভিন্ন ভাতাভোগিরা ১০ থেকে ৩০/৩৫ মাইল পথ অতিক্রম করে তাদের ভাতার টাকা উঠাতে ঐ সব ব্যাংকে যেতে বাধ্য হয়ে থাকেন। যেটি দুরূহ ও ব্যয়বহুল। বাজারের ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের শাখার অভাবে ব্যবসায়িক টাকা লেনেদেনে চরম বিপাকে রয়েছেন। এলাকার মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখতে না পেরে বিপদ সংকুল জীবন যাপন করছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আঃ আলিম মোল্যা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার লিয়াকত আলি, গ্রামীন ব্যাংক ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম, উন্নয়ন প্রচেষ্টার ম্যানেজার শফিয়ার রহমান, আশা ম্যানেজার শিবপদ চক্রবর্তী, ইউপি সদস্য, ব্যবাসায়ীবৃন্দ, বাজার কমিটির সেক্রেটারী কাজল, বড়দল প্রেসক্লাব সভাপতি শফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেন। এলাকাবাসীসহ সকল প্রতিষ্ঠানের মানুষের প্রাণের দাবি অবিলম্বে বড়দল বাজারে কৃষি ব্যাংকের একটি শাখা স্থাপনের মাধ্যমে এলাকাবাসীর দুঃখ ও দুর্গতি লাঘবে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
উন্নয়নের সরকার শেখ হাসিনার সরকার -ডা. রুহুল হক এমপি

কে. এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটা উপজেলা শ্রমিকলীগের আয়োজনে সখিপুর মোড়ে শনিবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আবু তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডাঃ রুহুল হক এমপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ রুহুল হক বলেন, উন্নয়নের সরকার শেখ হাসিনার সরকার। দেবহাটা উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, স্কুল কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসা ও মন্দির এবং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও বাইসপাস সড়ক সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরে রুহুল হক বলেন, আপনারা যদি উন্নয়ন চান তাহলে আবারো আওয়ামীলীগকে বিজয়ী করতে হবে। শেখ হাসিনার বিকল্প শুধুমাত্র শেখ হাসিনাই উল্লেখ করে তিনি জনগনকে শেখ হাসিনার সাথে থাকার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে শ্রমিকলীগের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি শেখ সাইফুল করিম সাবু, উপজেলা আঃলীগের সভাপতি নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান, উপজেলা আঃলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, জেলা শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ খালেক, উপজেলা আঃলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল হক, উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রতন ও জেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ সরদার। উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক আমিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এসময় অনুষ্ঠানে দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের নির্বাচনে বিতর্কিতদের ভরাডূবি

আসাদুজ্জামান: সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে বিতর্কিত ও দুর্নীতিবাজদের ভরাডূবি হয়েছে। শহরের চিহ্নিত দুই/তিন জন টাউটের কারণে পুরো প্যানেলের ভরাডূবি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই বিতর্কিতদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিল মিশন সংশ্লিষ্ট সকলে।

নির্বাচনে মকুল(সহ-সভাপতি)-উজ্বল(সাধারণ সম্পাদ)পরিষদ নিরঙ্কুশ বিজয়ী হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে শনিবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত এক টানা এ ভোট গ্রহন চলে। পরে ভোট গণনা শেষে বিকাল ৫টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোতাকাব্বির আহম্মেদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করেন। এ সময় তার সহযোগী হিসেবে ছিলেন, সাতক্ষীরা বিআরটিএ অফিসের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ ও জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক।
প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি পদাধিকার বলে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক হওয়ায় বাকী ২৪টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে যথাক্রমে কাজী মনিরুজ্জামান মুকুল ৭৪ ভোট (সর্বোচ্চ), আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা ৬০ ভোট ও আলহাজ্ব শেখ মামুনুর রশিদ ৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাদের প্রতিদ্বন্দী প্রাথীরা যারা পরাজিত হয়েছেন তারা পেয়েছেন যথাক্রমে, আলহাজ্ব বজলুর রহমান ৪৮ ভোট, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু ৪৩ ও কাজী সিরাজুল হক ৩৫ ভোট। সাধারান সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান উজ্বল। তিনি পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রাথী আলহাজ্ব শেখ আজিজুল হক পেয়েছেন মাত্র ৩৭ ভোট। যুগ্ন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোনায়েম খান চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী শেখ আঃ মাসুদ পেয়েছেন ৪০ ভোট। সহ-সম্পাদক পদে আব্দুর রহমান ৭৪ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী কাজী আমিরুল হক আহাদ পেয়েছেন মাত্র ৩৩ ভোট (সর্বনি¤œ)। ক্যাশিয়ার পদে ৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে আবুল কাসেম। তারনিকটতম প্রতিদ্বন্দ¦ী আবু দাউদ পেয়েছেন ৪৫ ভোট।
সদস্য পদে যারা নির্বাচিত হযেছেন তারা হলেন যথাক্রমে, আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল খালেক, আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ, আলহাজ্ব শেখ আবুল কালাম, জি,এম মাহবুবুর রহমান, মীর আমজাদ হোসেন, আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক, এ্যাড. শেখ সিরাজুল ইসলাম, ডা. একরামুল হক, আব্দুল আলিম, হাফিজুল আল মাহমুদ, মাহমুদুল হক, হাবিবুর রহমান রনি, আজহারুল ইসলাম, আলহাজ্ব শেখ আলমগীর হাসান, আহছান কবির, জুলফিকার হায়দার ও সৈয়দ মাহমুদ পাপা।
উল্লেখ্য, খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র:) এর হাতে গড়া এই প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন গত কয়েকদিন ধরে সাতক্ষীরা শহরের টক অব দ্যা টাউন ছিল। নির্বাচনকে সামনে রেখে পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে দুটি পক্ষ। মিশনের মাল্টি কমপ্লেক্সে নির্মাণসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সরগরম ছিল মাঠ। পরাজিত কমিটির বিতর্কিত কয়েকজন কর্মকর্তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে যারপরনাই বিরক্ত ছিল মিশন সংশ্লিষ্টরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে শিশুসহ ৮ রোহিঙ্গা আটক

সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে নারী ও শিশুসহ ৮ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বিজিবি।

শুক্রবার রাতে কুশখালি সীমান্তের শিকড়ি গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।

বিজিবি জানায়, ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে কয়েকদিন আগে কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্প থেকে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গাকে সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যায় পাচারকারীরা।

এ খবরে কুশখালি সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৩ শিশু ও নারীসহ ৮ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। পরে তাদের উখিয়া ক্যাম্পে ফেরত পাঠাতে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রমজানের আগে বাজার মনিটরিংয়ে দেশের চারটি গোয়েন্দা সংস্থা

অনলাইন ডেস্ক: আর দু’সপ্তাহও বাকি নেই, এর আগেই শুরু হচ্ছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র ও সংযমের মাস বলে পরিচিত রমজান মাস। ইতোপূর্বে এই মাসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। তাই এবার রমজান মাস শুরুর আগেই বাজার মনিটরিং করতে মাঠে নামবে দেশের চারটি সংস্থার গোয়েন্দারা। নিত্য পণ্যের অবৈধ মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি মনিটর করবে তারা।
এ বছর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে বলে নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রমজানে কারসাজি করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ালে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, বাজার মনিটরের জন্য মাঠে নামানো টিমে দেশের চারটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ছাড়াও র‌্যাব, পুলিশ ও আনসারের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত থাকছেন। অবৈধ মজুদের সন্ধান পেলে মজুদকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থান নিয়েছে সরকার।
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘প্রতিবছরই বাজার পরিস্থিতি জানতে ও তদারকিতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা যৌথভাবে কাজ করে। এ বছরও করবে। ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই এই টিম বাজারে নামবে। কোথাও কোনও সমস্যা দেখলে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবে।এরপর ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।’
জানা যায়, ২০১৮ সাল নির্বাচনের বছর বলে আগে থেকেই সতর্ক অবস্থান নিয়েছে সরকার। যে কোনও অযুহাতে নিত্যপণ্যের বাজার যাতে অস্থির না হয় সেদিকে সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে। এ কারণেই সরকারের এই আগাম ব্যবস্থা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আসন্ন রমজান ও বৃষ্টিকে পুঁজি করে ইতোমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম। এর মধ্যে পেঁয়াজ উল্লেখযোগ্য। ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ও বৃষ্টির কারণে নিত্যপণ্যেও দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হলে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে। তবে এখন পর্যন্ত পণ্যের সরবরাহে কোনও প্রকার সমস্যা নাই। বৃষ্টির সমস্যা সাময়িক।’
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, চাহিদার তুলনায় দেশে সকল প্রকার পণ্যের মজুদ সন্তোষজনক। দেশে কোনও পণ্যের ঘাটতি নাই। সব ধরণের পণ্যের সরবরাহ চাহিদার তুলনায় কয়েকগুন বেশি। সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন, ব্যবসায়ী নেতা ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত এক আন্তঃ মন্ত্রণালয় বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওই বৈঠকে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরাও উপস্থিত ছিলেন।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যাপারে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘শুধু রমজানে নয়, সারা বছরই দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে, দাম বাড়বে না। গত রমজানের আগে ব্যবসায়ীরা অঙ্গীকার করেছিলেন- নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না, তারা সেই কথা রেখেছেন।’ এবারও তারা সেই ব্যবস্থাই নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রমজান উপলক্ষে নিত্যপণ্যের মজুদ পরিস্থিতি দেখতে বাজারে নামছে দেশের ৪টি গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে একাধিক টিম। পণ্যের মজুদ, চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি মনিটরিং করবে এসব টিম। এসময় তারা পণ্যের দাম ও মান যাচাই করবেন। ভাউচারের সঙ্গে কোনও ধরণের অসঙ্গতি দেখলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেবে ওই টিম। এজন্য ব্যবসায়ীদের কাছেও সহযোগিতা চাওয়া হবে।
মন্ত্রণালয়ের সূত্র আরও জানায়, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে বিশেষ বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চালাবে মন্ত্রণালয়। এজন্য এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ২-৩টি প্রস্তুতিমূলক বৈঠকও করা হয়েছে। চূড়ান্ত করণীয় নির্ধারণে বর্তমানে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সারা দেশের জেলা প্রশাসকদের নিজ নিজ জেলার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা বাজার মনিটরিং ছাড়াও ব্যবসায়ীদের সচেতনতামূলক পরামর্শ দেবেন এবং কেউ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার মনিটরিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, ২০০৭ সাল থেকে ঢাকা শহরের বাজার তদারকির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ১৪টি মনিটরিং টিম রয়েছে। একজন উপ-সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তার নেতৃত্বে একজন ম্যাজিস্ট্রেট, একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন করে কর্মকর্তা এবং পুলিশ ও র‌্যাবের সমন্বয়ে এ টিম গঠিত। তারা নিয়মিত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করা ছাড়াও অনিয়মের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে থাকেন।
বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় রাখা, পণ্যের অস্বাভাবিক মজুদ ঠেকানোসহ সরবরাহ ঠিক রাখতে এই ১৪টি মনিটরিং টিমকে পুরোপুরি ঢেলে সাজানোর কাজ শেষ হয়েছে। প্রতিটি কমিটিতেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা জেলা প্রশাসন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, এফবিসিসিআই, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশিন ও ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত থাকেন।
জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত এই ১৪টি মনিটরিং টিম সারা বছর কাজ করলেও রোজার সময় তাদের কাজের গতিকে আরও জোরদার করা হয়।
বাজার বিশ্লেষকদের দাবি- আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণে প্রশাসনিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারলে, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট ভাঙতে পারলে, নিত্যপণ্যের দর তদারকিতে টিসিবিকে ( ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) আরও সক্রিয় করতে পারলে আসন্ন রমজানের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা সরকারের জন্য অনেক সহজ হবে।
এদিকে রমজানের এক সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে বাজারে নামছে টিসিবি। এবছর টিসিবি রাজধানীসহ সারা দেশে ছোলা ৭০ টাকা কেজি দরে, প্রতি কেজি মসুর ডাল (মাঝারি সাইজের) ৫৫ টাকা, খেজুর ১২০ টাকা, প্রতিকেজি চিনি ৫৫ টাকা এবং ভোজ্যতেল ৮৫ টাকা লিটার দরে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে টিসিবির এ কার্যক্রম চলবে বলে টিসিবির চেয়ারম্যানের দফতর থেকে জানানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব ভারতের প্রত্যাখ্যান
ভারতের সঙ্গে পুনরায় আলোচনা শুরু করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া। কিন্তু তার ডাকে সাড়া দেয়নি নয়া দিল্লী। শীর্ষ ব্রিটিশ থিংক-ট্যাংক রয়াল ইউনাইটেড সার্ভিস ইন্সটিটিউট(রুসি)এর এক প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নেতারা ভারতের সঙ্গে শান্তি আলোচনা করতে ইচ্ছা প্রকাশ করছিলেন।এ খবর দিয়েছে জি নিউজ।
খবরে বলা হয়, বাজওয়ার প্রস্তাবের বিশ্লেষণ করেছে রয়াল ইউনাইটেড সার্ভিস ইন্সটিটিউট(রুসি)। প্রতিবেদনটি লিখেছেন রুসি’র পাকিস্তানী সদস্য কামাল আলম।প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয় যে, এই প্রতিবেদনটি তাদের নিজস্ব কোন মতামত নয়।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, জ্যেষ্ঠ পাকিস্তানী কর্মীরা, সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ কামার জাভেদ বাজওয়ার নেতৃত্বে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, শান্তি ও অগ্রগতির মাধ্যম হচ্ছে ভারতের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা। যদিও দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীর নিয়ে লড়াই তীব্র আকার ধারণ করেছে। তবুও পাকিস্তানের জেনারেলরা আলোচনায় বসতে চেয়েছিল ও অনুভব করতে চেয়েছিল যে, বল এখন ভারতের কোটে।
কামাল আলম প্রতিবেদনটিতে, সাম্প্রতিক বাজওয়ার নেয়া বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে, মার্চ মাসে প্রথমবারের মতন পাকিস্তান দিবসে সামরিক কুচকাওয়াজে ইসলামাবাদে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী দূতকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়। এর দুই সপ্তাহ পরে বাজওয়া বলেন, তিনি ভারতের সঙ্গে শান্তি ও সমৃদ্ধি চান।
আলম তার প্রতিবেদনে লিখেন, ভারতের প্রতি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মনোভাবের এমন পরিবর্তন দেখা যায়, ২০১৬ সালের নভেম্বরে বাজওয়া বাহিনীটির নেতৃত্বে আসার পর থেকে।
প্রতিবেদনে লেখক ভারতকে নিয়ে লিখেন, এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের আফগান-ভারতীয় ব্যবসা বিষয়ে আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে ভারত। তবে পাকিস্তানের চেষ্টা অব্যাহত থাকলে কোন এক সময় ইসলামাবাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হতে পারে দিল্লী।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তিন পার্বত্য জেলায় ৪৮ ঘণ্টা হরতালের ডাক

খাগড়াছড়ি উপজেলার মহালছড়ি থেকে অপহৃত তিন বাঙালি যুবককে জীবিত উদ্ধার, শুক্রবার রাঙ্গামাটিতে সশস্ত্র হামলায় নিহত মাইক্রোবাস চালক সজীব হাওলাদার খুনিদের গ্রেফতার এবং জনসংহতি সমিতি, ইউপিডিএফসহ পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠনগুলোর রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে আগামী সোম ও মঙ্গলবার তিন পার্বত্য জেলায় ৪৮ ঘন্টার হরতাল ডেকেছে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদ।

এছাড়া এই তিন দফা দাবিতে রবিবার (৬ মে) তিন পার্বত্য জেলায় কালো পতাকা মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠন দুটি।

শনিবার (৫ মে) দুপুরে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ ফরাজি সাকিব এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ এপ্রিল মহালছড়ি বাজারে কাঠ কিনতে গিয়ে মাটিরাঙ্গার উপজেলার নতুনপাড়া এলাকার মো. খোরশেদ আলমের ছেলে মো. সালাহ উদ্দিন (২৮), মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মহরম আলী (২৭) ও আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা ট্রাকচালক বাহার মিয়া (২৭) নিখোঁজ হন। গত ২০ দিনেও তাদের কোন সন্ধান মেলেনি। এর প্রতিবাদে গত ২৩ এপ্রিলও খাগড়াছড়িতে হরতাল পালন করে বাঙালি সংগঠনগুলো।

অন্যদিকে গত ৪ মে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের কেরেঙ্গাছড়ি এলাকায় আগের দিন সন্ত্রাসী হামলায় নিহত নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্যে যোগ দিতে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয় মাইক্রোবাস চালক সজীবসহ পাঁচ জন।

পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত ফরাজি সাকিব জানান, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক দল জনসংহতি সমিতি, ইউপিডিএফসহ আঞ্চলিক দলগুলোর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কাছে পাহাড়ের মানুষের জীবন আজ জিম্মি। তাই এদের সন্ত্রাসী রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এই হরতাল পার্বত্য তিন জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে পালিত হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইয়েমেনের সকোত্রা বিমানবন্দর ও সমুদ্র আমিরাতের দখলে
ইয়েমেনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত সকোত্রা দ্বীপের বিমানবন্দর ও সমুদ্রের দখল নিয়ে নিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাহিনী। এর একদিন আগে, বৃহস্পতিবার দ্বীপটিতে চারটি সামরিক যান ও শতাধিক সেনা মোতায়েন করেছিল আমিরাত। ইয়েমেনের এক সরকারি কর্মকর্তা আমিরাতের এমন পদক্ষেপের প্রতি নিন্দা জানিয়েছে।এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
সরকারি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেনারা ইয়েমেনের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ ওবেইদ বিন দাঘরসহ আরো ১০ মন্ত্রীকে শুক্রবার সকোত্রা থেকে বের হতে দেয়নি। ওই কর্মকর্তা বলেন, ইয়েমেনি সরকারের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও সংযুক্ত আরব আমিরাত সকোত্রা দ্বীপের বিমানবন্দর ও সমুদ্রের দখল নিয়ে নিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত সকোত্রায় যা করছে তা হচ্ছে একটি আগ্রাসী পদক্ষেপ। ঘটনাটি তদন্ত করতে সকোত্রায় তদন্তকারী পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব।
সকোত্রা, ইউনেস্কো’র ঐত্যিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় স্থান পাওয়া দ্বীপ। এর জনসংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। এর বিমানবন্দরে একটি ৩ হাজার মিটার লম্বা রানওয়ে আছে। যুদ্ধ বিমান ও বড় আকারের সামরিক বিমান আসা যাওয়ার জন্য তা একেবারে আদর্শ দৈর্ঘ্য।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্প্রতি দ্বীপটি ৯৯ বছরের জন্য ইজারা নিয়েছে ও নিশ্চিত করেছে যে,  সেখান থেকে সামরিক অভিযান চালাবে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে যে দ্বীপটির ভবনগুলোতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পতাকা  ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের ছবি দেখা যায়।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest