সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনও

জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে এ মুজিবনগর দিবস পালিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি এড. সাইদুজ্জামান জিকো, সাধারণ সম্পাদক মীর মোস্তাক আলী, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের শাইন আলম সাদ্দাম, সাধারন সম্পাদক ফজলে রাব্বি শাওন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী শাহেদ পারভেজ ইমন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মোস্তাফিজুর রহমান শোভন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফুর রহমান শিমুল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এড. ফারুক হোসেন, জেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ অলিউর রহমান মুকুল সহ জেলা আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুন্সিপাড়ায় জামায়াত নেতা মহাসীনের কাছে জিম্মি ২টি সংখ্যালঘু পরিবার

শহর প্রতিনিধি : শহরের মুন্সিপাড়ায় ২টি সংখ্যালঘু পরিবারের যাতায়াতের পথ নিয়ে এক নতুন খেলায় মেতেছে জামায়াত নেতা মহসীন। কিছু দিন পর পর তালা লাগিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই সংখ্যালঘু পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা। এঘটনায় নিরূপায় হয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মুন্সিপাড়া এলাকার কালিপদ দাশের ছেলে সঞ্জয় কুমার দাশ।
অভিযোগ সূত্রে ও সরেজমিন ঘুরে জানাগেছে, সঞ্জয় কুমারের পিতা বিগত ৫০/৬০ বছর ধরে মুন্সিপাড়া এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। গত ২০১২ ডিসেম্বর মাসে তাদের যাতায়াতের জন্য পাশ্ববর্তী মৃত ডাঃ জয়নুল আরা ৩০ হাজার টাকা বিনিময়ে নোটারি পাবলিকের কার্যালয় হতে এফিডেভিটের মাধ্যমে উক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলের অনুমতি প্রদান করেন। তারপর থেকে আমরা প্রায় ৬ বছর উক্ত রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছি। কিন্তু ডা: জয়নুল আরার মৃত্যুর পর তার ছেলে কুখ্যাত জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ আল মহাসিন সাগর উক্ত যাতায়াতের রাস্তা মাঝে মাঝে বন্ধ করে দেন। এঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর আব্দুস সেলিম ও পৌর মেয়রের মাধ্যমে মিমাংসা করা হলেও কয়েকদিন যেতে না যেতেই মহসীন ওই রাস্তায় একটি গেট নির্মাণ করে আবারো তালা মেরে দেয়। সে সময় প্রতিবেশির সহযোগিতায় তালা খুলে দেন এরপর ওই জামায়াত নেতা মহসীন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং সাতক্ষীরা আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা দায়ের করে। যার নং- ৭৯/২০১৭। এর জের ধরে সোমবার দিবাগত রাতে উক্ত রাস্তায় আবারো তালা লাগিয়ে দেয়। পরদিন সকালে ওই ২ সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজন তাদের সন্তানদের স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে তালা লাগানো থাকার কারণে সময়মত স্কুলে নিয়ে যেতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন সঞ্জয় কুমার স্বপন। বিষয়টি জানতে চাইলে মহসীন বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী সঞ্জয় তাদের যাতায়াতের রাস্তা উন্মক্তের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার ও পৌর মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‌’খালেক মন্ডলের নির্দেশে রাজাকার রোকন  ও বাকী মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ এবং আফতাবকে হত্যা করে’

ডেস্ক রিপোর্ট: মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল খালেক মণ্ডল ওরফে জল্লাদ খালেক, রাজাকার শিরোমণি আলীপুরের আব্দুল্লাহিল বাকী, পলাশপোলের খান রোকনুজ্জামান ওরফে কসাই রোকন এবং বৈকারীর জরহরুল ইসলাম ও রফে টিক্কা খানসহ চারজনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের তৃতীয় সাক্ষী জহিরুল হক তার জবানবন্দি পেশ করেছেন। জবানবন্দি পেশ করার পর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেছেন। জেরা শেষে মামলার কার্যক্রম আগামী ১৫ মে পর্যন্ত মামলা কার্যক্রম মূলতবি করেছেন আদালত।
জবানবন্দীতে সাক্ষী বলেন, আসামি খালেক মন্ডলের নির্দেশে আমার ভাই সিরাজুল ইসলামকে রোকনুজ্জামান খান ও সহমুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিনকে আব্দুল্লাহিল বাকী বুকে গুলি করে হত্যা করে। তিনি বলেন, আমি টেক্সটাইল মিলে চাকরি করতাম। বর্তমানে অবসর জীবন যাপন করছি। আসামি খালেক মন্ডল নৌ কমান্ড সিরাজুল ইসলাম ও আফতাব উদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করার নির্দেশ দেন। এর পর রাজাকার রোকন ও বাকী নৌকামান্ডো সিরাজুল ইসলাম ও আফতাব উদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করে।
সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের পর জেরার কার্যক্রম শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এ মামলার পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ মে।
ট্রাইব্যুনালের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আমীর হোসেনের নেতৃত্বে দুই বিচারপতির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য হলেন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও রেজিয়া সুলতানা চমন।
অন্যদিকে আসামি খালেক মণ্ডলের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুস সোবহান তরফদার ও মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন, অপর আসামি সাতক্ষীরার রাজাকার কমান্ডার আব্দুল্লাহ হেল বাকীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। পলাতক দুই আসামির পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমইএইচ তামিম। এর আগে গত ৫ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেয়া হয়।
২০১৭ সালের ১৯ মার্চ এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। মামলায় চার আসামির মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল খালেক মণ্ডল ওরফে খালেক কারাগারে রয়েছেন এবং অপর আসামি সাতক্ষীরার রাজাকার কমান্ডার আব্দুল্লাহ হেল বাকী গ্রেফতারের পর শর্তসাপেক্ষে জামিনে রয়েছেন। বাকি দুই আসামি খান রোকনুজ্জামান ও জহিরুল ইসলাম টেক্কা খান পলাতক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অনুমোদন পেলো আরও দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

নতুন করে আরও দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) অনুমোদন পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দুটি হলো খুলনা খান বাহাদুর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মহিউদ্দীন খান।

এ নিয়ে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৯টিতে। দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়টি আদালতের নির্দেশে বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে আরও আটটি বিশ্ববিদ্যালয়।

মো. মহিউদ্দীন খান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় দুটি অনুমোদনের প্রস্তাব আগেই পাঠানো হয়েছিল। এখন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি জেড এন আর এফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় নামের আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি স্থাপন করা হবে রাজধানীর গুলশানে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা ড. এম. জুবায়দুর রহমান।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন অনুমোদন পাওয়া বিশ্ববিদ্যলয়ের মধ্যে খুলনা খান বাহাদুর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানা দেখানো হয়েছে ১৪০ কেডিএ, খান বাহাদুর আহছানউল্লা সড়ক, ছোট বয়রা, সোনাডাঙ্গা, খুলনা। আর আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানা দেখানো হয়েছে ২১৬/১ তালাইমারি, পোস্ট- কাজলা, রাজশাহী।

বিশ্ববিদ্যালয় দুটির প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম। এর আগে তিনি আহছানউল্লা ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অনুমোদন নিয়ে তা পরিচালনা করছেন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০-এর ৩৬ ধারা অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার প্রতিশ্রুতিতে একই আইনের ৭-এর ১ ও ২ ধারা অনুযায়ী ২৩টি শর্তে সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দুটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় দুটি স্থাপনের বিষয়ে নীতিগত সম্মতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে প্রধানমন্ত্রীর কর্যালয় থেকে গত ২৯ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয় দুটির অনুমোদন দেয়।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়।এটি স্থাপনের আবেদন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উসৈশিং এমপি। শামসুল আলম নামে একজন সিঙ্গাপুর প্রবাসী শাহ মখদুম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের আবেদন করেছেন। বিরোধী দলীয় নেতা নিজ নামে রওশন এরশাদ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ স্থাপনের আবেদন করেছেন। সাবেক এমপি এবং হুইপ এইচ এম গোলাম রেজা রাজধানীর সেনপাড়ায় সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ স্থাপনের অনুমোদন চেয়েছেন। ‘অ্যাপোলা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন করেছেন জাতীয় সংসদ সদস্য শামসুল আলম ভূঁইয়া। পটুয়াখালীর লাউকাঠিতে সাউথ রিজন ইউনিভার্সিটি স্থাপনের আবেদন করেছেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ.স.ম. ফিরোজ। ইন্টারন্যাশনাল স্টান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি নামে রাজধানীর মহাখালীতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আবেদন করেছেন ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম মোশাররফ হুসাইন। বাংলাদেশ বৌদ্ধকৃষ্টি প্রচার সংঘের প্রেসিডেন্ট এইচ এন ভেন সঙ্ঘনায়ক শ্রদ্ধানন্দ মহাথের ইউনিভার্সিটি অব অতীশ দীপঙ্কর বাজরাগজনি স্থাপনের অনুমোদন চেয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আত্মহত্যা করার যন্ত্র আবিষ্কার!

প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তালিকায় স্থান পাচ্ছে এমন সব যন্ত্রপাতি যা মানুষ একটা সময় হয়তো ভাবতেও পারত না। কিন্তু এবার সবাইকে অবাক করে আবিষ্কৃত হয়েছে আত্মহত্যা করার অদ্ভুত এক যন্ত্র ৷

যন্ত্রের নাম ‘সার্কো’ ৷ ‘সার্কো’ নামটি এসেছে ‘সার্কোফ্যাগাস’ শব্দটি থেকে। পাথরের তৈরি অলংকৃত কফিনকে সার্কোফ্যাগাস বলা হয়। ৭০ বছরের ফিলিপ নিৎশকে এমন এক যন্ত্র আবিষ্কার করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন ৷

নেদারল্যান্ডের রাজধানী আমস্টারডামে ‘ফিউনারেল ফেয়ার’ নামে একটি মেলা হচ্ছে ৷ আর সেখানেই সার্কো যন্ত্রটির ফার্স্ট লুক প্রকাশ করেছেনএই বিজ্ঞানী। কফিনের মতো এই যন্ত্রটি একটি স্ট্যান্ডের ওপর দাঁড় করানো আছে। এর সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে নাইট্রোজেনের একটি ক্যান।

ফিলিপ নিৎশকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, স্বেচ্ছামৃত্যু চাইলে এই কফিনের ভেতরে শুয়ে একটি বোতাম চাপতে হবে। এতে ওই কফিনের ভেতরটা নাইট্রোজেনে ভরে যাবে। প্রথমে একটু মাথা ঘোরার ভাব হবে। এরপর সেই ব্যক্তি অচেতন হয়ে যাবেন এবং কিছু সময় পর মারা যাবেন।

ফিলিপ নিৎশকে নিজেকে ‘স্বেচ্ছামৃত্যু এবং ‘যুক্তিযুক্ত আত্মহত্যার’ পক্ষে একজন কর্মী মনে করেন। ‘এক্সিট ইন্টারন্যাশনাল’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার, যেখানে বলা হয় অসুস্থ এবং মৃত্যুপথযাত্রী একজন মানুষের অধিকার রয়েছে নিজের মৃত্যু বেছে নেওয়ার।

তিনি মনে করেন, স্বেচ্ছামৃত্যু এবং আত্মহত্যা দুটোই মানুষের অধিকার। এ কারণেই সার্কো তৈরি করেছেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তারেককে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে আনা হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দণ্ডিত আসামি তারেক রহমানকে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের মুখোমুখি করা হবে।
মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) লন্ডনে ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটে (ওডিআই) ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন গল্প নীতি, অগ্রগতি ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে ভাষণ দেওয়ার পর প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলছি এবং অবশ্যই একদিন আমরা তাকে (তারেক রহমান) দেশে ফিরিয়ে আনবো। তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
তারেক রহমানের মতো একজন দণ্ডিত ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্য সরকারেরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য একটি অবাধ স্বাধীনতার দেশ এবং এটি সত্যি যে, যেকোনও ব্যক্তি এখানে আশ্রয় নিতে এবং শরণার্থী হতে পারেন। তবে তারেক রহমান অপরাধের কারণে আদালত কর্তৃক একজন দণ্ডিত ব্যক্তি। আমি বুঝতে পারি না, একজন দণ্ডিত ব্যক্তিকে কীভাবে যুক্তরাজ্য আশ্রয় দিয়েছে।’
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছে।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমারের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখিয়ে আসছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মন্ত্রীরা উভয় দেশ সফর করেছেন। সংকটের সমাধান খুঁজে বের করতে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আগ্রহ দেখালেও বাস্তবে তারা কিছুই করেনি। তাই আমরা চাচ্ছি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ ব্যাপারে মিয়ানমারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করুক।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমের আগমনে সেখানে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সরকার সব ব্যবস্থা নিয়েছে এবং তাদের একটি ভালো জায়গায় স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে তারা সেখানে ভালোভাবে থাকতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘খাদ্যসহ আমরা তাদের সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা সবকিছুই করছি। আমরা তাদের জন্য সেখানে কিছু ভবন ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেক শরণার্থী সীমান্তে অবস্থান করছে। সেখান থেকে মাত্র একটি পরিবারের অর্ধেক লোককে মিয়ানমার নিয়ে গেছে। এর মাধ্যমে সম্ভবত তারা বিশ্বকে দেখাতে চেয়েছে যে, তারা ফেরত নিচ্ছে। এটি শুভ লক্ষণ।’ তবে মাত্র একটি পরিবারের অর্ধেক লোককে কেন, এ প্রশ্ন রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
সূত্র: বাসস

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালবৈশাখীতে লণ্ডভণ্ড কলকাতা, নিহত ১৫

দু’দফা ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল শহর কলকাতা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝড়ের তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সাতজনই কলকাতার, হাওড়ায় ৬ জন এবং হাওড়া ও হুগলিতে একজন করে নিহত হয়েছেন।

কালবৈশাখী ঝড়ে চারদিকে গাছ ভেঙে, গাছ উপড়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে কলকাতার রাস্তাঘাট। বিপর্যস্ত হয় বিমান পরিষেবা। বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছে ট্রেনও। গভীর রাত পর্যন্ত অনেকেই বাড়ি ফিরতে পারেননি।

এদিকে, ট্রেন বাতিল হওয়ায় হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে রাতে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন। শহরের বেশ কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা ও আশেপাশের জেলাগুলোতে আচমকা প্রচণ্ড বজ্রসহ ঝড়ে কমপক্ষে ১১ জন প্রাণ হারিয়েছে।

সংবাদ সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যায় প্রতি ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে থাকে। শত শত গাছ ভেঙে পড়ার পর রাস্তায় সড়ক চলাচল মারাত্মক বিঘ্ন হয়। ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ায় এবং ভবন ধসে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে।

যদিও বজ্রসহ বৃষ্টির ব্যাপারে আগেই পূর্বাভাস ছিল তবে এতবেশি বাতাসের গতি থাকবে তেমন কোনও ধারণাই ছিল না।

কলকাতা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তারা বলছেন, বজ্রসহ ঝড়ের সাথে এত বেশি বাতাসের গতি গত কয়েক দশকেও দেখা যায়নি। সূত্র: বিবিসি, এই সময়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা সংকটের আশু সমাধান চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকটের আশু সমাধান চেয়ে বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সাম্প্রতিক সময়ে নির্যাতনের মাধ্যমে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পুরো চাপ বাংলাদেশ একাই সামলাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (ওডিআই)-এ ‘বাংলাদেশ’স ডেভেলপমেন্ট স্টোরি : পলিসিজ, প্রগ্রেসেজ এন্ড প্রসপেক্টস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তৃতা উপস্থাপনকালে বলেন, ‘বাংলাদেশ এ সংকটের শান্তিপূর্ণ, টেকসই ও আশু সমাধান চায়।’

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী দমন অভিযান শুরু করার পর বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর লোকদের সংখ্যা এখন ১১ লাখ। বাংলাদেশ মানবিক বিবেচনায় তাদের আশ্রয় দিয়েছে।’

শেখ হাসিনা সরেজমিনে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিজ চোখে দেখেছেন উল্লেখ করে বলেন, অনেক বিশ্ব নেতা কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিগত কয়েক বছরে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশাল সাফল্য অর্জন করা সত্ত্বেও এই সাফল্যকে টেকসই করতে হলে বাংলাদেশকে আরও অনেক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সাফল্যের মানে এই নয় যে, আমাদের সামনে কোন চ্যালেঞ্জ নেই। …বাংলাদেশের ভেতর ১০ লক্ষাধিক দেশান্তরী মিয়ানমার নাগরিকের অভিবাসনের পাশাপাশি আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদ মোকাবেলায় লড়াই করছি।’

জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু দূষণে খুবই নগণ্য ভূমিকা সত্ত্বেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সবচেয়ে মারাত্মক শিকারে পরিণত হওয়ায় জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের জন্য অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ স্থানচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই গ্রহ, আমাদের জীববৈচিত্র্য এবং আমাদের জলবায়ু সুরক্ষিত করা বিশ্ব সম্প্রদায়ের অভিন্ন দায়িত্ব।’

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন ও ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান-২১০০ প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। তাঁর দল ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতায় আসে, তখন রাজনৈতিক অস্থিরতা, জঙ্গিবাদের উত্থান, প্রাকৃতিক দুযোর্গ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দাসহ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নানা সংকট মোকাবেলা করতে হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য আমাদের রোডম্যাপ ভিশন-২০২১ প্রণয়ন করেছি। দীর্ঘ, মধ্য ও স্বল্প মেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তর করতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করি।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ৬ষ্ঠ পঞ্চম বার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। এতে পল্লীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং পল্লী এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে এসএমই’র জন্য তহবিল সংগ্রহ করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্য উৎপাদনে দেশকে স্বাবলম্বী করতে কৃষি সেক্টরে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছি এবং খাদ্য শষ্য, মৎস্য, পোল্ট্রি ও শাকসবজি উৎপাদনে বিশেষ ইনসেন্টিভ দেয়া হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ। আমাদের পোশাক কারখানাগুলোকে নিরাপদ করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৬৭ টি লীড সনদধারী তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে। ৭টি পরিবেশ বান্ধব কারখানা ও বস্ত্র কারখানা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্র নীতির উল্লেখ করে বলেন, তার সরকার ব্যাবসা বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং কূটনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সকল দেশের সঙ্গে বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, রুপান্তরযোগ্য প্রযুক্তির জন্য আমাদের জ্ঞান ও ইনোভেশন অংশীদারিত্বের প্রয়োজন। আমরা জীবন যাত্রার মান উন্নত করেছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী ও শান্তিপূর্ণ দেশ করতে ভিশন-২০৪১ প্রণয়ন করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সক্ষম হবে বলে দৃঢ় আশা প্রকাশ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest